আমাদের সেই সাঁকোটা হারিয়ে গিয়েছে
এলজিআরডির কালভার্ট প্রিয় খালটারে দখল করেছে
হারিয়েছে দিগন্তের বুকে তার গুনচিহ্নের কাটাকাটি
ভি-ফ্রেমেবন্দি ওপাড়ের বয়সী বট, এবং
হঠাৎ আটকে যাওয়া কিশোরীর নীল ওড়না ।
সবকিছু এখন ছেলেবেলা হয়ে গ্যাছে,
এখন বাড়ী ফেরার আর কোন রহস্য নাই,
রিক্সাওয়ালা নেমে টেনে তুলে ব্রিজের চূড়া পর্যন্ত,
ক্যামন জানি একটা পর্বতাহোরণের স্বাদ হয়,
তারপর ঢালে ধীরে সহজ পতন,
আমাদেরই যাপিত জীবনের মতো,
আমার ছেলেকে এখন ছবি এঁকে সাঁকো চেনাতে হয়,
কিংবা যেতে হয় আরো ত্রিশমাইল দূরে ।
এইসব উড়ালসেতুর মাঝে শুধু সেই সাঁকোটার কথা মনে হয়,
সেই কাটাকাটি বুকবন্দি করে আমি উড়ালসেতুতে বসে
অচেনা বারান্দায় শুকাতে দেয়া গ্রিলবন্দি নীল ওড়না দেখি,
ওড়নাটার আর আকাশ দ্যাখা হলোনা,
ওর বিষন্নতা দেখে দিগন্তের কথা আর মনে পড়েনা,
এখন আর বাড়ী ফেরার কোন রহস্য নাই।
মন্তব্য
ওর বিষন্নতা দ্যাখে দিগন্তের কথা আর মনে পড়েনা,
এখন আর বাড়ী ফেরার কোন রহস্য নাই।
দারুন.........।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসাধারণ!!!
-অতীত
ক্রিয়াপদগুলো আর কিছু শব্দ কি ইচ্ছে করেই কথ্যরূপে রেখেছেন?
কবিতাটার শুরুটা পড়ে রোমেল ভাইয়ের "আমাদের নদী মরে গেছে" কবিতাটার কথা মনে হয়েছিল। তবে দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ থেকে কবিতা আপনার স্টাইলে চলেছে। প্রথম অনুচ্ছেদের মুক্ত বাতাসে ওড়া নীল ওড়নার শেষ অনুচ্ছেদে এসে গ্রিলবন্দী হওয়ার ব্যাপারটা চমৎকার লাগে।
আর হয়তো চল্লিশটা, অথবা চব্বিশটা - আমি ঠিক নিশ্চিত না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
পাণ্ডবদার প্রশ্নটা আমারও, কথ্যরূপটা কি ইচ্ছাকৃত?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
বেশ লাগলো।
ক্রিয়াপদগুলো ইচ্ছে করেই কথ্যভাবে ধরা, মন্দ কি?
নতুন মন্তব্য করুন