গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্য/ব্যর্থতা নিয়ে অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. খলিকুজ্জামান এর গবেষণার সারসংক্ষেপ

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: রবি, ০৭/০৯/২০০৮ - ২:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গ্রামীণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার ও সাফল্যের মাত্রা নিয়ে এই গবেষণাটি তুলে দিলাম আমাদের প্রকাশিতব্য পত্রিকা প্রতিরোধপর্বের বর্তমান সংখ্যার প্রস্তুতি থেকে। এ নিয়ে আরো বড় করে কাজ করেছেন গবেষক সারাহ জার্দিং, আরো কাজ আছে। এখানে কেবল পত্রিকায় প্রকাশের আগেই লেখাটি তুলে দিলাম। এর একটা ইংরেজি সংস্করণ বাজারে পাওয়া যায়। প্রকাশক সম্ভবত ইউপিএল।

সারাদেশের পল্লী অঞ্চলে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্য থেকে দৈবচয়নের মাধ্যমে ২,৫০১জনের (যার ৯৯%-এর বেশ নারী) একটি প্রতিনিধিত্বমূলক নমুনা তৈরি করে তাদের সরাসরি সাক্ষাতকার নিয়ে এই গবেষণা কর্মটি পরিচালিত হয়েছে। মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০০৬ সালের জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারী মাসে সম্পন্ন করা হয়।

গবেষণা থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা সাধারণভাবে এমনসব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত যেগুলোর অধিকাংশের ক্ষেত্রে আসলে সম্প্রসারণের তেমন কোনো সুযোগ নেই। এর কারণ, হয় ঐসব পণ্য ও সেবার বাজার সীমিত (স্থানীয় বাজার নির্ভর বলে) অথবা উতপাদনশীলতা বাড়ানোর সুযোগ সীমিত অথবা দু'টোই। গবেষণার ফল এটাও দেখায় যে বছর পর বছরের ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণই গ্রহীতাদের ঐসব কাজে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করে যা থেকে তারা সহজে বেরিয়ে আসতে পারে না।

এই গবেষণার ফল থেকে আরো দেখা যায় যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে যুক্তিসঙ্গতভাবে উপকৃত হয়েছে। কিন্ত বড় অংশেরই আয়-উপার্জন একেবারেই বাড়েনি বা তেমন বাড়েনি। এক-চতুর্থাংশ ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতার ঋণসম্পৃক্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও অন্যান্য উৎস থেকে অর্জিত মিলিত আয় দেশের গরীব মানুষের গড় আয়েরও নিচে।

এটাও দেখা যায় যে, এক-পঞ্চমাংশ উত্তরদাতা পরিমাণগতভাবে খাদ্য-নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। আর এক-তৃতীয়াংশ ভোগে গুণগত নিরাপত্তাহীনতায়। প্রায় ৩৯% ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের পর তাদের খাদ্য প্রাপ্তিতে কোনো পরিবর্তন ঘটেছে কি না তা নিশ্চিত নয়। মাত্র ৭% গুণগত ও পরিমাণগত উভয় দিক থেকে পর্যাপ্ত খাদ্য পেয়ে থাকে। জমির মালিকানার বিষয়েও ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের পর তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

ফলাফল আরো দেখায় যে ৭১% ঋণগ্রহীতা-পরিবার এখনো সঠিক চিকিৎসা পায় না। তারা সাধারণত হাতুড়ে চিকিতসকের কাছে যান এটি বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবার চরম পশ্চাদপদতার প্রতিফলন এবং ক্ষুদ্রঋণ এক্ষেত্রে তেমন সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেনি। যারা স্বাস্থ্যসেবা মোটামুটি গ্রহণ করতে পারছে তাদের একটা বড় অংশ আবার এটাও জানিয়েছেন যে ুদ্রঋণ গ্রহণের পর তাদের স্বাস্থ্যসেবায় যে উন্নতি ঘটেছে তার প্রধান কারণ হলো সরকারি-বেসরকারি জনচেতনতামূলক কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার সুবিধা, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের কারণ নয়।

ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের পর মাত্র ২৮% পাকা শৌচাগার ব্যবহার করছেন। এখানেও বৃহত্তর অংশ জানিয়েছেন যে সরকারি-বেসরকারি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সেই সূত্রে সস্তায় পাকা শৌচাগার নির্মাণ কৌশল সম্পর্কে জানতে পারা এর প্রধান কারণ। বাকীদের মধ্যে আগে যারা পাকা শৌচাগার ব্যবহার করেছেন তারা যেমন রয়েছেন তেমনি যারা আগেও সেরকম শৌচাগার করতে না এখনো করছেন না এমনও রয়েছেন।

উত্তরদাতারা জানিয়েছেন যে, শিশু সন্তানদের বিশেষত মেয়ে সন্তানদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যতটুকুই উন্নতি হয়েছে, তা হয়েছে প্রধানত সরকারি-বেসরকারি প্রচারণা এবং তাদের দেয়া আর্থিক সহযোগিতা ও সুবিধার কারণে।

জীবনযাত্রার সার্বিক মানের দিক থেকে বিচার করলে দেখা যায় মোট উত্তরদাতার মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কিছু উন্নতির কথা বলেছেন। বাকীদের হয় কোনো পরিবর্তন হয়নি, অথবা অবস্থার অবনতি ঘটেছে। স্পষ্টতই বড় আকারের জনগোষ্ঠীই তাদের জীবনযাত্রার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণের পরও আগের মতো প্রান্তিক অবস্থায় রয়েছেন।

সার্বিকভাবে সন্তোষের মাত্রা বিচারে মাত্র এক-চতুর্থাংশ উত্তরদাতা সস্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন। ৫০% অসন্তুষ্ট ও বাকী এক-চতুর্থাংশ সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট কোনোটাই না বলে জানিয়েছে। ুদ্র ঋণের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা গড়ার ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ বিশ্বাস করেন যে ভবিষ্যৎ ভাল হবে। আবার এক-তৃতীয়াংশ সামনের দিনগুলো খারাপ হবে এমন আশংকাই করছেন। সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে অর্ধেকের বেশি উত্তরদাতা ঋণ গ্রহণের পর অবস্থার উন্নতি হয়নি জানিয়েছেন, আরো ১৩% অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। মাত্র ২৮% অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন।

সামগ্রিকভাবে এই গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, ক্ষুদ্রঋণর আর্থ-সামাজিক ইতিবাচক প্রভাব খুব সীমিত। স্বল্পসংখ্যক ঋণগ্রহীতা অবশ্য লাভবান হয়েছেন। তবে বেশিরভাগই কোনো সুফল পাননি। বরং অনেক ঋণগ্রহীতা আছেন বিভিন্নভাবে যাদের অবস্থার অবনতি হয়েছে।

ঋণের বোঝার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্রঋণ প্রক্রিয়াটি বেশিরভাগ ঋণগ্রহীতার জন্য একটি অবিরত প্রক্রিয়া বলে প্রতীয়মান হয়। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ঋণগ্রহীতারা ১০% থেকে ১৮% পর্যন্ত ভিত্তিহারে সুদ দেয়। তবে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষেত্রে কার্যকর সুদের হার ও ঋণগ্রহণের ব্যয় যথাক্রমে ২৭% ও ৩১% পর্যন্ত চড়া। ব্র্যাক, আশা ও প্রশিকার ক্ষেত্রে এই হারগুলো আরো বেশী, যথাক্রমে ৩৯-৪১% ও ৪২-৪৫%।

কিস্তি পরিশোধের বিষয়ে প্রায় ৪৮% উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে তারা নানা ধরনের কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন এবং এটা থেকে উত্তরণের জন্য চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণগ্রহণ, অন্য সংস্থা থেকে ঋণগ্রহণ এবং গৃহস্থালী সামগ্রী বিক্রির মতো কঠিন কাজ করতে হয়। কেউ কেউ কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতায় শাস্তি ভোগ করেছেন অর্থাত তাদের মালপত্র ঋণদাতাদের দ্বারা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বস্তুত ৯৬% উত্তরদাতা জানিয়েছেন যে প্রতি কিস্তি পরিশোধের পরই আবার এক সপ্তাহের মাথায় আরেকটি কিস্তি শোধের চাপে থাকেন তারা এবং অর্থ যোগাড় না হলে অবর্ণনীয় ভোগান্তির আশংকায় দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। অনেকেই নিজেদের বিভিন্ন ধরনের সম্পদ-সম্পত্তির বিনিময়ে কিস্তির অর্থ নিশ্চিত করেন যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো নাজুক করে তোলে। ঋণ পরিশোধের এই কঠোর চাপ এবং কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে যে খড়গ তাদের উপর নেমে আসতে পারে তা ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রে এক শক্ত কোল্যাটারেল বটে।

আর যে ৫২% কোনো রকম বড় ধরনের সমস্যা ছাড়া কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন, তারাও তা পারেন কখনও ক্ষুদ্রঋণ ব্যবহার করে আরম্ভ করা অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের আয় থেকে, কখনও বা অন্য উতসের আয় থেকে, আবার কখনও খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে। সাধারণভাবে বললে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা কিস্তি পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি নাজুক অবস্থানে থাকেন এবং তারা অনেকেই এমন সব পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন যা তাদের ঋণগ্রস্ততা বাড়িয়ে তোলে এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলো ঋণ সরবরাহ ও কিস্তি আদায় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বড় ধরনের ঋণ তহবিল গড়ে তুলতে পারে। যেমন, মাত্র ৫ হাজার টাকা ঋণ দিয়ে যাত্রা শুরু করে ১০% হারে ভিত্তি সুদ এবং ৫% বাধ্যতামূলক প্রাথমিক জামানত ব্যবস্থা থেকে সাপ্তাহিক ঋণ-আদায় ও ঋণদান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এক বছরে বাড়তি ১২,৬৪৯ টাকার ঋণ-তহবিল সৃষ্টি হতে পারে। উচ্চতর ভিত্তি সুদের হার ও ঋণগ্রহীতাদের জমাকৃত সাপ্তাহিক সঞ্চয় হিসাবে নিলে তা আরো অনেক বেশি হবে। মূলত এ কারণেই এই ক্ষুদ্রঋণ একটি লাভজনক ও আকর্ষণীয় ব্যবসায়ে পরিণত হয়েছে যা দেশজুড়ে ছোট-বড় শত শত ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ যুগিয়েছে। এতে ঋণ-তহবিল দ্রুত বাড়তে থাকায় সংস্থাগুলোও দিনকে দিন স্ফীতি হয়। কিন্তু ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতারা আয়-দারিদ্র্য থেকেই মুক্তি পাননি বরং তাদের ঋণগ্রস্ততা ও দারিদ্র্য আরো বেড়েছে। সেখানে জীবনযাত্রার মান উন্নত হওয়া ও আয়ের স্তর বাড়ার আশা বাতুলতা মাত্র।

এই গবেষণায় আরো দেখা গেছে, ক্ষুদ্রঋণ মাধ্যমে নারীর মতায়নের যে কথা বলা হয় তা আসলে ঘটেনি। মোট নারী উত্তরদাতার মাত্র ১০% জানিয়েছেন যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তাদের পূর্ণ কর্তূত্ব আছে। বাকী ৯০%-এর ক্ষেত্রে হয় তাদের কোনো কর্তৃত্ব নেই অথবা তারা স্বামী বা পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে এসব কাজ করে থাকেন। অবশ্য দুই-তৃতীয়াংশ নারী উত্তরদাতা জানিয়েছে যে তারা নিয়মিত অথবা মাঝে-মধ্যে পারিবারিক কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরত্ব পান। নারী ঋণগ্রহীতাদের এক-চতুর্থাংশ এখনো পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন। এক্ষেত্রে স্বামীই প্রধান নির্যাতক। নির্যাতনের শিকার যারা হন বলে জানিয়েছেন তাদের ৬০% বলেছেন যে, ঋণগ্রহণের পর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো যে, ৮২% ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকরী পরিবারের ক্ষেত্রে যৌতুকের প্রবণতা বেড়েছে। বোঝা যাচ্ছে, যেহেতু এসকল পরিবার ক্ষুদ্রঋণ সংগ্রহ করতে পারছেন সেহেতু এই পরিবারগুলোর মেয়েদের বিয়ের সময় পাত্রপ যৌতুকের জন্য বেশি চাপ দিচ্ছে।

উপসংহার
এই গবেষণায় যা পাওয়া গেছে তা হতাশাব্যঞ্জক। দেখা গেল, দারিদ্র্যহ্রাসের একটি হাতিয়ার হিসেবে ক্ষুদ্রঋণ ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ। তার মানে অবশ্য এই নয় যে গরীবের জন্য ঋণের প্রয়োজন নেই। বস্তুত ক্ষুদ্রঋণ ধারণায় দারিদ্র্যের সংজ্ঞায়নে শুধু আর্থিক আয়ের দিকটিই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। যেহেতু কেবলমাত্র আয়-উপার্জনকেই বিবেচনায় আনা হয়েছে, সেহেতু ধরেই নেয়া হয়েছে যে সামান্য এই ঋণ গরীব মানুষের আয় বৃদ্ধি করবে যা তাদের গরীবি অবস্থা ঘোচাবে ও জীবনযাত্রার মান বাড়াবে। এই গবেষণায় দেখা গেল, ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতাদের অধিকাংশের আয় বাড়েনি বা তাদের অবস্থার অবনতি হয়েছে। তদুপরি, দারিদ্র্য একটি ব্যাপকতর ধারণা যা জীবন ও জীবিকার সবগুলো দিক ছুঁয়ে আছে। এখানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের মতো মৌলিক বস্তুগত চাহিদাগুলোর পাশাপাশি মানব মর্যাদা ও মানবাধিকারের মতো মানবিক চাহিদাগুলো রয়েছে। আরো রয়েছে মানবসমতা (শিক্ষা-প্রশিক্ষণ-স্বাস্থ্যসেবা), মানবিক মূল্যবোধ, আর্থ-সামাজিক সাম্য ও সমাজ রূপান্তরের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগের বিষয় সমূহ।

দারিদ্র্য ও দারিদ্র্য-বিমোচনকে এই বৃহত্তর মানব উন্নয়নের প্রেক্ষিতেই বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে দারিদ্র্য-বিমোচনে বহুমুখী প্রক্রিয়া গ্রহণ জরুরি। তখন অন্যান্য পদেক্ষেপের পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য হ্রাস প্রক্রিয়ায় একটি উপাদান হতে পারবে। সেক্ষেত্রে ঋণের শর্তগুলো আরো সহজ হতে হবে, কিস্তি পরিশোধ ও সুদের কার্যকরহার সহজ হতে হবে। মনে রাখা দরকার ধনীরা তুলনামূলকভাবে অনেক অনুকূল শর্তে ঋণ পেয়ে থাকে।

এই ব্যাপকতর প্রেক্ষিতে দারিদ্র-বিমোচনে প্রধান বাধা সমাজের বর্তমান ক্ষমতা কাঠামো যেখানে জনগোষ্ঠীর একটি ক্ষুদ্র অংশ ক্ষমতা ও সমৃদ্ধি ভোগ করছেন ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। বিপরীতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বিচ্ছিন্ন থেকে যাচ্ছেন এবং নিচুস্তরের কষ্টসাধ্য জীবন-যাপন করছেন। প্রচলিত নয়া-উদারবাদী মুক্তবাজার অর্থনীতির ধারা ক্রমেই গেড়ে বসছে আর বর্তমান মতা কাঠামোকে অধিকতর শক্তিশালী করছে।

দেশের সকলের নাগরিকের জন্য কল্যাণকর টেকসই একটি সমাজ রূপান্তর প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে হলে, বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ও কার্যক্রম এমনভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে যা গরীব মানুষের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারে, বিদ্যমান ক্ষমতার কাঠামো ও সম্পর্কের সাম্যভিত্তিক পুনর্বিন্যাস করতে পারে এবং সকল নাগরিকের মধ্যে সাম্য ও সংহতি নিশ্চিত করতে পারে।


মন্তব্য

আবু রেজা এর ছবি

ক্ষুদ্রঋণ কি পুরোটাই শুভঙ্করের ফাঁকি! তাহলে ক্ষুদ্রঋণ নির্ভর করে এত শান্তি (নবেল!?!)আসে কীভাবে?

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

দুর্দান্ত এর ছবি

ক্ষুদ্রঋনের ঋনাত্মক দিক ও সীমাবদ্ধতা দেখতে পেলাম।
ব্যাপারটা কত খারাপ? ক্ষুদ্রঋন সংস্থাগুলি কি তাদের পদ্ধতি, নীতি, পরিচালনা ইত্যাদির কোথাও কিছু নির্দিষ্ট পরিবর্তন, পরিমার্জন করে এর ধনাত্মক দিকগুলো (যদি থাকে) বাড়িয়ে নিতে পারে? নাকি মজ্জাগত ভাবেই ক্ষুদ্রঋন খারাপ, এবং প্লাস্টিক ব্যাগের মত একেও বাংলাদেশছাড়া করা উচিত?

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আগে আমাদের কৃষি ব্যাংকও ঋণ দিত। তারা দিত কৃষককে। সেটাকে ভেঙ্গে দূর্বল করা হয়েছে আর অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলে এনজিওরা ছড়িয়েছে। এরা প্রকৃত কৃষককে ঋণ দেয় না, দেয় হাঁস-মুরগি পালনকারী নারীদের। অথচ কৃষক এক হাজার টাকা ঋণ পেলে ফসলের দামে অনেক ফেরত দিতে পারে, আফ্রিকার মালাবিতে এটা প্রমাণিত হয়েছে।

যাহোক, আমার মনে হয়, সুদী কারবার একদম কমিয়ে আনলে, মুনাফা সংবর্ধনের সুযোগ না থাকলে এবং ঋণের ফলপ্রসু ব্যবহার করায় রাষ্ট্র সহযোগিতা করলে ক্সুদ্র ঋণের ইতিবাচক ব্যবহার বাড়ানো সম্ভব।

ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে এত কথার পরেও এটা সত্য যে, এখনো গ্রামাঞ্চলে ও শহরে গরিব মানুষের প্রাপ্ত সেবার ৯৫ ভাগই রাষ্ট্র দেয়।

পুনশ্চ: গ্রামীণ প্রথমে বলেছিল তারা সেবা প্রতিষ্ঠান। এখন ব্যবসাটা ভালই দেখা যাচ্ছে। ক্ষুদ্রঋণ রাজনৈতিকভাবে গ্রামাঞ্চলে উৎপাদন বিকাশের প্রধান কর্মসূচি ভূমিসংস্কারের কর্মসূচি ও দাবিকে হঠিয়ে দিতে পেরেছে। বিদ্যমান মালিকানা ব্যবস্থা অক্ষুন্ন রেখে গ্রামাঞ্চলে পুঁজির বিস্তার ঘটানোয় এর কার্যকারিতা মোক্ষম। অথচ ভূমি সংস্কার ছাড়া উন্নতি করেছে এমন একটা দৃষ্ঠান্ত পৃথিবীতে নেই।
যেখানে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি মধ্যবিত্তদের ১১/১২ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে থাকে, সেখানে একজন কৃষক বা ভূমিহীনকে কেন কমপক্ষে ২০ শতাংশ সুদ দিতে হবে। কী কারণে একে গরিববিদ্বেষী ব্যাংকিং বলা হবে না?
গ্রামীণ/প্রশিকা প্রভৃতিরা সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকেএস এবং আইএমএফের ভ্রাতা আইএফসি প্রভৃতি ঋণদানকারী সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি সরকারের কাছ থেকে প্রায় বিনাসুদে বা ১/২ শতাংশ সুদে ঋণ পেয়ে থাকে। সেটাই আবার তারা চক্রবৃদ্ধি হারে গরিব মানুষের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ হারে খাটায় । বিষয়টা কি সরাসরি অন্যায় ও শোষণ নয়?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রণদীপম বসু এর ছবি

গ্রামীণ/প্রশিকা প্রভৃতিরা সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকেএস এবং আইএমএফের ভ্রাতা আইএফসি প্রভৃতি ঋণদানকারী সংস্থা এবং বিভিন্ন বিদেশি সরকারের কাছ থেকে প্রায় বিনাসুদে বা ১/২ শতাংশ সুদে ঋণ পেয়ে থাকে। সেটাই আবার তারা চক্রবৃদ্ধি হারে গরিব মানুষের মধ্যে ২০-৩০ শতাংশ হারে খাটায় । বিষয়টা কি সরাসরি অন্যায় ও শোষণ নয়?

ফারুক ভাই, আপনার উদ্ধৃত মন্তব্যের সূত্র ধরে কিঞ্চিৎ মন্তব্য করছি।
মাওলা ব্রাদার্স থেকে জুন ২০০৫ এ প্রকাশিত 'গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন' নামের (ফরাসি ভাষায় রচিত VERS UN MONDE SANS PAUVRETE- এর ইলা লাহিড়ী ও জয়ন্ত লাহিড়ীর বঙ্গানুবাদকৃত মুহাম্মদ ইউনূসের আত্মজীবনী) যে বইটি বেরিয়েছে তার বাংলাদেশ সংস্করণের ভূমিকায় মুহাম্মদ ইউনূসের জবানীতে বলা হয়েছে যে, 'গ্রামীণ ব্যাংক ১৯৯৫ সাল থেকে নতুনভাবে বিদেশি কোনও সাহায্য নেয়নি। যে সাহায্য পাইপ লাইনে ছিল তা ১৯৯৮ সনে শেষ হযেছে। গ্রামীণ ব্যাংক আমানত এবং নিজস্ব সম্পদের ওপর ভিত্তি করেই তার কার্যক্রম চালায়। ভবিষ্যতে আর কোনওদিন তাকে কোন দেশি বা বিদেশি ঋণ গ্রহণ করতে হবে না।' সে প্রেক্ষিতে পিকেএসএফ বা আইএমএফ থেকে গ্রামীণের ঋণ নেয়ার বিষয়টা কি ঠিক ?
গ্রামীণ ব্যাংক সর্বসাধারণ থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। এসব আমানত সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ৮.৫০শতাংশ প্রদেয় সুদে সঞ্চয়ী আমানত হিসাব, ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে মেয়াদী আমানত হিসাব এবং ৭ বছরে দ্বিগুণ মেয়াদী আমানত হিসাব। এ ছাড়া ব্যাংকের দরিদ্র সদস্যদের জন্য আরেকটি প্রদত্ত সুবিধা হলো জিপিএস বা গ্রামীণ পেনশন স্কীম।
বইটির ভূমিকায় কিছু স্ট্যাটিসটিক্যাল ডাটাও দেয়া আছে। আমানত জমার পরিমাণ, ঋণ বিতরণের পরিমান ইত্যাদি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য একটি বাক্যে দৃষ্টি আটকে যায়- 'গ্রামীণ ব্যাংকের সুদের হার সরকারি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সুদের চাইতে কম।'
সরকারি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে সুদের হার কত আমার জানা নেই। তবে গ্রামীণ ব্যাংকে সহজ ঋণের ক্ষেত্রে এই হার ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে ২০ শতাংশ সরল সুদ। অর্থাৎ ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক কিস্তিতে পরিশোধ করলে বছর শেষে সুদ হয় ১০০ টাকা। এ ছাড়া ৮ শতাংশ সরল সুদে গৃহঋণ। এবং ৫ শতাংশ সরল সুদে শিক্ষা ঋণ, যা শিক্ষা সমাপ্তির পর থেকে কাউণ্ট হয় ; শিক্ষাচলাকালীন এই হার শূণ্য শতাংশ। এক্ষেত্রে আপনার চক্রবৃদ্ধি হারের মন্তব্যটির সাথে আমার অভিজ্ঞতা কণ্ট্রাডিক্ট করছে।

দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণের একচ্ছত্র প্রভাব রয়েছে এমন কথা নিশ্চয়ই ড.ইউনূসও বলেন না। তাঁর বক্তব্য, এটা দারিদ্র্য বিমোচনে অন্যতম হাতিয়ার।
কেবল হাতিয়ার থাকলেই যুদ্ধ জয় করা যায় না নিশ্চয়ই। এর জন্য আরো যে সব শর্ত আবশ্যক সেগুলোও যদি গ্রামীণ ব্যাংক বা এনজিও গুলোকেই পূরণ করতে হয়, তাহলে আর রাষ্ট্রের প্রয়োজন কী ? এটা ওদের হাতে ছেড়ে দিলেই হয়।
রাষ্ট্র যেখানে সামর্থহীন দরিদ্র জনগোষ্টীকে বিনাজামানতে ব্যাংকিং সুবিধা দিতে অক্ষম, সেখানে এরা এটা করছে। এখানে রাষ্ট্রের কি কোনো দায়িত্ব নেই ? ওই গরীব মানুষগুলো কি বানের জলে ভেসে এসেছে ? এরা কি রাষ্ট্রের নাগরিক নয় ?

এ বিষয়গুলো অবশ্যই ব্যাপক আলোচনায় আসা প্রয়োজন।
অনেক ধন্যবাদ, এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনায় নিয়ে আসার জন্য। আসলে বিষয়টার বিস্তৃতি এতোই ব্যাপক যে সংক্ষেপে বা মন্তব্য আকারে তা খোলাশা করা সম্ভব নয়।
আর হাঁ, গ্রামীণ ব্যাংক কিন্তু এনজিও নয়। ১৯৮৩সালের সংসদীয় অধ্যাদেশ বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন একটা বিশেষায়িত ব্যাংক। আলোচনা করতে গেলে এ বিষয়টাও আমাদের মনে রাখা জরুরি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

faruk wasif এর ছবি

sorry ranadipom, ani jhoj nie janachchi

অতিথি লেখক এর ছবি

গ্রামীন ব্যাংক অবশ্যই একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এই ব্যবসার মালিক কারা। এই লাভের গুড় কারা খায়? ডঃ ইউনুস নাকি অন্য কেউ। গরীব মানুষের এত অকল্যান করার পরও ডঃ ইউনুস সারা পৃথিবী থেকে ধিক্কারের বদলে এত সম্মান পায় কি করে? যাদুটা কোথায়? যে মানুষের হাত বিশ্বব্যাপী এতটা শক্তিশালী, তার হাতে তো পুরো বাংলাদেশের দায়িত্ব দিয়ে দেয়া উচিত? ক্লাস এইট-নাইন পাশ লোকজন আর কতদিন বাংলাদেশ শাসন করবে?

নীড় সন্ধানী

আলমগীর এর ছবি

ফারুক ভাই বম্ব মারছেন হাসি
আমার জানামতে জাহাঙ্গীর নগরের আরো একাধিক জন বিভিন্ন সময়ে কাজ করেছে। তাদের কোনটাই গ্রামীণের জন্য প্রীতিকর না। আমার কাছে সেসবের কোন ছাপানো কপি বা লিংক নাই তাই জোর দিয়ে বলতে পারিনি।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে সেখানকার অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের গবেষণার কথা বলছেন? ওটার একটা ভার্সন আনু ভাইয়ের বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভবনা: এনজিও মডেল এ আছে।

আরো কিছু বম্ব আছে আমার কাছে। সেগুলো প্রতিরোধপর্বের ক্ষুদ্র ঋণ সংখ্যার জন্য রেখে দিলাম। তবে সারাহ জার্দিং-এর যে গবেষণাপত্রের কথা বললাম ওটা সত্যিই সুন্দর ও ব্যালান্সড। চাইলে ইংরেজিতেই পড়ে নিতে পারেন। আমরা অবশ্য অনুবাদ করিয়ে নিয়েছি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়াসিফ ভাই... সারাহ জার্দিং এর লিঙ্কটা কাজ করছে না, একটু দেখবেন কি?

~

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

মুশকিল হচ্ছে ওটা আছে পিডিএফ ফর্মেটে। সরাসরি ব্রাউজ করলে আসে না। Sarah Gjerding-micro credit দিয়ে সার্চ দেন। পাবেন আশা করি।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রাসেল এর ছবি

মন্তব্য নিস্প্রয়োজন-

যদি ৬৬ শতাংশ মানুষের ন্যুনতম মানবিক চাহিদা পুরণ না হয় তবে গরীবের ঋণের অধিকারে লাভবান হয় কারা?

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

তানবীরা এর ছবি

তাহলে ক্ষুদ্রঋণ নির্ভর করে এত শান্তি (নবেল!?!)আসে কীভাবে?

"নবেল" ব্যাপারটা কতোটুকি "নবেল" আর কতোটুকু পলিটিক্যাল কে জানে।

অনেক জটিল আলোচনায় না যেয়েও একটা কথা সাধারন ভাবেই বলা যায়, ক্ষুদ্র ঋন এর যদি তেমন কোন উপকারিতে থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই সেটা আমাদের চোখে পড়তো। খুব কোন বড় পরিবর্তন কি গ্রাম গঞ্জে আমাদের চোখে পড়ে, কিংবা কোথাও? ???

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

লেখাটা আমার ব্যক্তিগত ব্লগে দিয়ে দিচ্ছি, অন্য পোস্ট দেব। নইলে ডাবল পোস্টিং হয়ে যাবে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয় ক্ষুদ্রঋণের উপকারিতা বোঝার জন্যে একটি এক্সপেরিমেন্ট করা যেতে পারে। শ্রদ্ধেয় ইউনুসসহ আরো চারজনের একটি গ্রুপকে দুই হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হোক। এই প্রক্রিয়াকে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের অবকাঠামো অনুযায়ী চলতে দেয়া হোক। যদি দলটি বর্তমান বাংলাদেশে ঋণের কল্যাণে সুদ শোধ করে খেয়েপরে বছরখানেক সারভাইভ করতে পারে, তাহলে বোঝা যাবে, ক্ষুদ্রঋণ জিনিস হাল্কা হইলেও খারাপ না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

বেড়ে বলেছেন হিমু।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমারো ক্ষুদ্রঋণ দর্কার



অজ্ঞাতবাস

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমারো দরকার, তবে কি, ক্ষুদ্রঋণ না থাকলেও গরিব মানুষ থাকতো, কিন্তু ড. ইউনূস থাকতেন না। তাই তাঁকে তো ব্যভসাটা চালাতেই হবে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।