শিরোনামহীন

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১২/২০০৮ - ৫:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় আব্বাজান ! টেকেরঘাট হইতে
তাং- ৩০/৭/৭১
আমার সালাম নিবেন। আশাকরি খোদার কৃপায় ভালই আছেন। বাড়ির সকলের কাছে আমার শ্রেণীমত সালাম ও স্নেহ রইলো। বর্তমানে যুদ্ধে আছি। আলীরাজা, মাহতাব, রওশন, রুনু, ফুলমিয়া, ইব্রাহিম সকলেই একত্রে আছি। দেশের জন্য আমরা সকলেই জান কোরবান করিয়াছি। আমাদের জন্য ও দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য দোয়া করবেন। আমি জীবনকে তুচ্ছ মনে করি, কারণ দেশ স্বাধীন না হইলে জীবনের কোন মূল্য থাকিবেনা। তাই যুদ্ধকে জীবনের পাথেয় হিসাবে নিলাম।

আমার অনুপস্থিতিতে মাকে কষ্ট দিলে আমি আপনাদের ক্ষমা করিবনা। পাগলের সব জ্বালা সহ্য করিতে হইবে। চাচা-মামাদের ও বড় ভাইদের নিকট আমার ছালাম। বড় ভাইকে চাকুরীতে যোগ দিতে নিষেধ করিবেন। জীবনের চেয়ে চাকুরী বড় নয়। দাদুকে দোয়া করিতে বলিবেন। মৃত্যুর মুখে আছি। যে কোন সময় মৃত্যু হইতে পারে এবং মৃত্যুর জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছি। দোয়া করিবেন মৃত্যু হইলেও যেন দেশ স্বাধীন হয়। তখন দেখবেন লাখ লাখ ছেলে বাংলার বুকে পূত্র হারাকে বাবা বলে ডাকবে। এই ডাকের অপেক্ষায় থাকুন। আর আমার জন্য চিন্তার কোন কারণ নাই। আপনার দুই মেয়েকে পুরুষের মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তবেই আপনার সকল সাধ মিটে যাবে।

দেশবাসী! স্বাধীন বাংলা কায়েমের জন্য দোয়া কর। মীরজাফরী করিও না, কারণ মুক্তিফৌজ তোমাদেরকে মাফ করিবেনা এবং এই বাংলায় তোমাদের জায়গা দেবে না।

সালাম ! দেশবাসী সালাম!
ইতি
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
৩০-৭-৭১ ইং


মন্তব্য

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

নীচের কথাগুলো দিয়ে পোস্ট শুরু করেছিলাম। এখন সরিয়ে নিলাম। ঐ চিঠিটি রাজনীতি, স্বার্থ, ইতিহাস সবকিছুর ঊর্ধ্বে এক অপরিমাপনীয় মাত্রায় চলে গেছে। যেমনটা ঐ চিঠি লেখকের জীবন ও মৃত্যুও। তাই ওপর থেকে সরিয়ে মন্তব্যের ঘরে আমার অনুভূতি লিখলাম।
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পুতুপুতু আবেগে ভুগি না। আওয়ামী লীগকে জেতাবার জন্য বেশি বেশি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিও তুলতে পারি না। কারণ আমলীগ জিতলে মুক্তিযুদ্ধ কণামাত্রও জেতে তা মনে হয় না। বাংলাদেশের পয়লা নম্বর সমস্যা হিসেবেও ‌'মৌলবাদকে' দেখি না। কারণ, জানি, আমাদের কোনো আবেগ-ক্রোধ আর ভালবাসাই দেশমার্তৃকার এই সংকল্পের পায়ের ধুলাটিও ছুঁতে পারবে না। মানুষই মহত হয়, মানুষই বীর হয়। আমাদের সিরাজ সেরকমই এক মহত বীরবিক্রম। আমাদেরই বয়সী তাঁর লাশ এখনো পড়ে আছে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মাঝে কোনো এক 'নোম্যানসল্যান্ডে'_ যেমনটা মুক্তিযুদ্ধও আটকে রয়েছে চেতনার জ্ঞান-অজ্ঞানের সীমান্তে কোনো এক ‌'নোম্যানসহিস্টরি'-তে।
তাঁকে নিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জনৈক প্রকৌশলী পাশা। তাঁর ভাষায় ‌‌''একাত্তরের ১৯৭১ সালের এ দিনে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার মুক্ত করতে গিয়ে সম্মুখ সমরে শহীদ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শহীদ সিরাজ। তাঁকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশ ভারত সিমান্তে দাফন করা হয়। তাঁর নামে সাচনার নামকরণ করা হয়েছিল 'সিরাজ নগর'। সম্ভবত শহীদ সিরাজ হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মধ্যে (ঋঋ) সর্বোচ্চ খেতাব প্রাপ্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু তাঁর স্মৃতি রার্থে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তিনি ছিলেন কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল কলেজের ছাত্র নেতা এবং সে সময়ে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী। তাঁর সহযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সুধী মহল ও স্থানীয় জনতা শহীদ সিরাজের দেহাবশেষ তাঁর জন্মভুমিতে সমাহিত করার দাবীতে এ বছর সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। শহীদ হওয়ার মাত্র ৮ দিন আগে সিরাজ তাঁর পিতাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। ''
.........................................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

বিপ্রতীপ এর ছবি

আওয়ামী লীগকে জেতাবার জন্য বেশি বেশি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিও তুলতে পারি না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী তুললেই জামাতীরা 'আমলীগ' ট্যাগ লাগিয়ে দেয়...এইটা ওদের চুপ করানোর একটা তরিকা...। আর নির্বাচনের পর যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবী কতোটুকু জোড়ালো থাকে সেইটাও দেখার বিষয়...

নিঝুম এর ছবি

কি বলি ??? আর কি-ই বা লিখি...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

মাহবুব লীলেন এর ছবি

....

স্পর্শ এর ছবি

....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

হিমু এর ছবি

দোয়া করিবেন মৃত্যু হইলেও যেন দেশ স্বাধীন হয়। তখন দেখবেন লাখ লাখ ছেলে বাংলার বুকে পূত্র হারাকে বাবা বলে ডাকবে। এই ডাকের অপেক্ষায় থাকুন।

হায় সিরাজ! হায় আপনার স্বপ্ন!


হাঁটুপানির জলদস্যু

নন্দিনী  এর ছবি

মন্তব্য করবো বলে এসেছিলাম,কোন কথা খুঁজে পাইনি......

নন্দিনী

রণদীপম বসু এর ছবি

জয় বাংলা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই অঞ্চলের আরো ক'জন মিথিক্যাল শহীদ যোদ্ধা- জগতজ্যোতি, তালেব, হারুন ।
প্রত্যেককে নিয়েই রচিত হতে পারে এক একটা মহাকাব্য ।

আচ্ছা, ঢাকায় অনেক তরুনরা ডিজিটাল ফিল্ম করছেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ও শুনি ফিল্ম হচ্ছে । কল্পিত চিত্রনাট্য না বানিয়ে এইসব শহীদ যোদ্ধাদের নিয়ে কাজ করা যায়না?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অয়ন এর ছবি

কারিগরী/আর্থিক সাপোর্ট না থাকলে ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়া ছবি করা উচিত না। কারিগরী দক্ষতার অভাবে অনেক ভালো স্ক্রিপ্ট নষ্ট হয়। আমাদের পরিচালকরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়া যে ছবি বানায় তাতে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ বুঝি একটা ছেলেখেলা। কব্জিতে কেসিও ডিজিটাল ঘড়ি, পড়নে জিন্সের প্যান্ট আর হাতে ডামি বন্দুক- এইগুলা বানানোর চেয়ে না বানানো ভালো।

মুস্তাফিজ এর ছবি

কত সপ্নই না ছিল

...........................
Every Picture Tells a Story

স্নিগ্ধা এর ছবি

কেন যেন, হতাশার বদলে চিঠিটা পড়ে খুব ভালো লাগলো!

পুতুল এর ছবি

একটু নীরবে ভাবব, আর চুপ করে মাটির দিকে তাকিয়ে থাকব। মৃত্যুর সামনে দাড়িয়ে যে এমন চিঠি লিখতে পারে, সে বীরের সামনে মাথা তুলে কথা বলার সাহস আমার নেই!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

অমিত আহমেদ এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

দেশবাসী! স্বাধীন বাংলা কায়েমের জন্য দোয়া কর। মীরজাফরী করিও না, কারণ মুক্তিফৌজ তোমাদেরকে মাফ করিবেনা এবং এই বাংলায় তোমাদের জায়গা দেবে না।

----
সেই মানুষগুলো যে কত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছিল
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ...
ফারুক ভাই... এই উদ্যোগটা সত্যিই দারুণ... এরকম আরো শেয়ার করার অনুরোধ করছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নিবিড় এর ছবি

হুম...... অসাধারাণ উদ্যোগ চলুক

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

প্রথম প্রণত হয়েছি, তারপর বুক উথলে কান্না এসেছে। সেসব থামলে বুঝলাম সিরাজের চিন্তার ধরণ।

বর্তমানে যুদ্ধে আছি। ...যুদ্ধকে জীবনের পাথেয় হিসাবে নিলাম।
এদেশের তরুণরা আর কি কখনো বলেছিল, আর কি কখনো বলবে? ‌'বর্তমানে যুদ্ধে আছি'।

আলীরাজা, মাহতাব, রওশন, রুনু, ফুলমিয়া, ইব্রাহিম সকলেই একত্রে আছি। দেশের জন্য আমরা সকলেই জান কোরবান করিয়াছি।

সেসময়ের নাম, এখনকার মতো টেডি আধুনিক নয়, তারা আত্মদান করে না জান কোরবান করে। বুদ্ধিজীবীদের ভাষার বিমূর্ত আত্মদান আর জান কোরবানে অনেক তফাত।

আমার অনুপস্থিতিতে মাকে কষ্ট দিলে আমি আপনাদের ক্ষমা করিবনা। পাগলের সব জ্বালা সহ্য করিতে হইবে।

এই কথা বলার অথরিটি যুদ্ধে লিপ্ত যোদ্ধার চৈতন্যের উচ্চকিত দশা থেকেই বলা সম্ভব। সে তার অপ্রকৃতস্থ মায়ের কথা বলতে পেরেছে কারণ দেশের জন্য যে জীবন দিতে পারে, মায়ের কষ্ট সে সইবে কেন?

আপনার দুই মেয়েকে পুরুষের মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবেন। তবেই আপনার সকল সাধ মিটে যাবে।

নারীকে পুরুষের মতো শিক্ষিত করে তোলার চিন্তা যে করে, বুঝতে হবে স্বাধীনতা সংগ্রাম এক ধাক্কায় তার চেতনাকে অনেক দূর এগিয়ে দিয়েছে। যে কোনো মুক্তিযুদ্ধ বা বিপ্লব নারী-পুরুষের বৈষম্যকে অনেক কমিয়ে আনে, নারী চলে আসে সংগ্রামের অগ্রভাগে।

দেশবাসী! স্বাধীন বাংলা কায়েমের জন্য দোয়া কর। মীরজাফরী করিও না, কারণ মুক্তিফৌজ তোমাদেরকে মাফ করিবেনা এবং এই বাংলায় তোমাদের জায়গা দেবে না।

এই আত্মবিশ্বাস ও সংকল্প মুক্তিযোদ্ধারা কীভাবে হারালো? একজন মহান নেতার ভাবমূর্তির মোহে চুপ করে থেকে?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

বার বার পড়লাম। গলায় ব্যাথা করে।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

.................

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অমোচনীয় দুঃখটা ওখানেই। >
নির্বাচনের পরদিনই এইটা প'ড়ে, কমেন্ট করতে গিয়েও বারবার মনে পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই এক সম-মত বন্ধুর কাছে শোনা অন্য একজন রাজনীতিকের আক্ষেপ- "আওয়ামীলীগ হারলে দেশও হারে, (তবু/যদিও) আওয়ামীলীগ জিতলেই দেশ জেতে না"।
সকালেই শুনতে পেলাম আওয়ামীলীগেরও খেইল গতকাল সন্ধ্যায়ই শুরু হয়ে গ্যাছে এখানে ওখানে। মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের মতো বিষয়গুলোও এখন আইডিয়োলজিক্যাল জায়গায় নেই, এ সবই এখন পলিটিক্যাল কমোডিটি মাত্র। যার এগুলো বিক্রি ক'রেই ক্ষমতায় আসতে হয়, সে সেই বিক্রয়ে পিছ-পা হয় না। মন খারাপ

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।