শন ইয়েট ও একজন -০২

ইমরুল কায়েস এর ছবি
লিখেছেন ইমরুল কায়েস (তারিখ: শনি, ১২/০৪/২০০৮ - ৩:৪৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(প্রথম পর্বের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

তাং চুন বইটি প্রফেসর শনের দিকে এগিয়ে দিলেন। কালো মলাটের একটি বই। বইটির পৃষ্টাগুলোও এত পাতলা যে সূক্ষ কোন জিনিস দিয়ে ওল্টাতে হয়। তাং চুনের কাছে জানা গেল তিনি এটি একটি পরিত্যক্ত হিওটিটের প্রাইসম অংশে পেয়েছেন। প্রফেসর শন স্বযত্নে বইটি তার পকেটে পুরে তাং চুনকে বিদায় দিলেন।

ঘটনাগুলো শুরু হয়েছিল এভাবে এবং সম্ভবত শেষও হচ্ছে এভাবে। এরপরে এই একটি ঘটনাই শুধুমাত্র কাল এবং ব্যক্তি পাল্টে তার বেলায় ঘটছে। এরপর আরো পাঁচটি একই রকম বই তিনি বিভিন্ন ঘটনায় পেয়েছেন। আশ্চর্য হয়ে প্রফেসর শন লক্ষ্য করেছেন বইগুলোর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ক্রমাগত আগেরটির তুলনায় কমে যাচ্ছে। বইগুলোর প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় লিখিত। এদের নিয়ে কয়েক বছর ধরে ঘাটাঘাটি করে শন শেষে আবিস্কার করেছেন এদের কোনটারই একটা শব্দ পর্যন্ত ব্যাখ্যা করা যায় নি। শুধু একটা জিনিসই তিনি আপাতদৃষ্টিতে বুঝতে পেরেছেন এগুলো শুধুমাত্র পরিত্যক্ত হিওটিটের প্রাইসম অংশেই পাওয়া যাচ্ছে এবং যারা বইগুলো প্রথম পাচ্ছেন তারা পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের অধিবাসী। আরো একটি আশ্চর্য বিষয় হল বইগুলো প্রায় নিয়মিত বিরতিতেই সাধারণত দুই বছর অন্তর অন্তর পাওয়া যাচ্ছে। মিল যে জিনিসটা আছে সেটা হল প্রতিটি বইয়ের কাগজই একই ধরনের এবং দৈর্ঘ্য প্রস্তের পার্থক্য হলেও এদের আয়তন একই অর্থাৎ দৈর্ঘ্য-প্রস্ত ক্রমাগত কমলেও বেধ বেড়ে যাচ্ছে ।

এই ঊনিশ বছর বইগুলো নিয়ে গবেষনা করে তিনি যে দুটি জিনিস আবিষ্কার করেছেন তা হল ভেরোনিন কাগজ ও রুকটাইল কালি। রুকটাইল কালিটির ব্যাপারটি তিনি প্রকাশ্যে জানলেও ভেরোনিন কাগজ অর্থাৎ যে কাগজে বইগুলো লিখিত তার কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করেননি। মনে মনে ধারনা করে রেখেছেন বইগুলোর রহস্যের সমাধান হলে একসাথে দুটো জিনিস সবাইকে জানাবেন। কিন্তু সেটা হবার কোন লক্ষন আছে বলে তিনি ভাবতে পারছেন না। সুতরাং এই ব্যর্থতার কারণেই তিনি নিজেকে সবসময় লোকজন থেকে এড়িয়ে রাখার চেষ্টা করেন এবং এটাও কখনো ভাবেন না যে তিনিই সমসাময়িক কালের পদার্থবিজ্ঞানের পুরোধা। এইরকম বিষয়গুলো ভাবতে ভাবতে প্রফেসর শন ইয়েট তার ২৭১ বাইলিয়াল ষ্ট্রিটের বাড়ীর দিকে রওনা হলেন। পিছনে তার দীর্ঘশ্বাস বায়ুতে পড়ে রইল।


বাড়ির ডোরবেলে চাপ দিতেই হিওটিট লুমেনের গোঁ গোঁ এক ধরনের শব্দ তার কানে এল। এদের নিয়ে হয়েছে এক জ্বালা । এই জাতীয় ধ্বনি তারা কোথায় পেয়েছে কে জানে? সম্ভবত হিওটিট নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় সংস্থার কোন গানিতিক ভুলে হিওটিটদের প্রাইসম এ ভিন্ন ধরনের ইনপুট পাচ্ছে। অবশ্য প্রফেসর শন এটা নিয়ে আগেই চিন্তা করে দেখেছেন যে শুধুমাত্র আনন্দ পেলে হিওটিটরা এরকম অর্থহীন ধ্বনি উচ্চারণ করে। ঘরে ঢুকেই দেখলেন লুমেন ফ্লাবিশ৮ স্কিনে সস্তা ধরনের একটি কার্টুন দেখে এরকম আওয়াজ করছে।
- লুমেন স্কিনটা বন্ধ কর। কিছুট ঝাঁঝের সাথেই বললেন প্রফেসর শন।
লুমেন তাড়াতাড়ি অটোমেটিক লিন্ডিকার৯ দিয়ে স্কিনটা বন্ধ করে দিল। শন ইয়েট বেলকনির একটি চেয়ারে বসলেন। কিছুটা ইচ্ছা করেই কোন একটা বিষয় নিয়ে ভাবতে চেষ্টা করলেন। হঠাৎই শুনতে পেলেন কে যেন তাকে বলছে প্রফেসর শন, আপনি কি জানেন আপনি একজন প্রায় হাস্যকর রকমের প্রতিভাশুন্য বিজ্ঞানী। আপনি দীর্ঘ ঊনিশ বছর গবেষনা করেও সামান্য কয়েকটি বইয়ের কোন রহস্য বের করতে পারেননি। আপনার মত একজন অপদার্থ পদার্থবিদের এ পৃথিবীতে খুব একটা প্রয়োজন আছে বলে কি আপনি মনে করেন?’

মুহুর্তেই তটস্থ হয়ে উঠলেন শন ইয়েট। বুঝতে পারলেন তার অজান্তেই তার অবচেতন দ্বিতীয় সত্তা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ নিজে নিয়েছিল। অবশ্য তাকে এজন্য দোষারোপও করা যায় না। মূলত শন নিজেই তার মস্তিষ্কের সাথে কিছু সেমি নিউরন১০ যুক্ত করে দিয়েছেন যারা সজাগ থাকা অবস্থায় কোন দ্বিতীয় তথ্য প্রদান করতে পারে না। কিন্তু তিনি অবচেতন হয়ে গেলে এটা তার অবচেতন মনের ধারণাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে তাকে এক ধরনের ধিক্কার জানায় ফলে তিনি তৎক্ষণাৎ জেগে উঠেন। এই যে তিনি এত বড় একজন খ্যাতিমান বিজ্ঞানী হয়েও ইচ্ছা করেই এ ধরনের লাঞ্চনা ভোগ করছেন তার একটা ছোট খাট ইতিহাস আছে। ইতিহাসটা এ রকম-

wso এর বাহাত্তর তম সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি সবেমাত্র ভিয়েনা পৌঁছেছেন। ফ্লাইটের বিড়ম্বনার কারণে প্রথম দিনের সম্মেলন তার মিস হয়ে যায়। দ্বিতীয় দিনে একটু সকাল সকাল সম্মেলনস্তলে পৌছে দেখেন যে, তিনি একটু আগেই এসে পৌঁছেছেন। বিজ্ঞানীদের মধ্যে শুধু রাশিয়ার আলেকজান্ডার বশিলভই এসে পৌঁছেছেন। বশিলভ অবশ্য আজ পর্যন্ত তেমন কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ব্যাখ্যা করতে পারেননি। কিন্তু একটা ব্যাপারে তিনি অন্যদের থেকে আলাদা। বশিলভই একমাত্র বিজ্ঞানী যিনি তেমন কিছু ব্যাখ্যা না করেই wso এর স্পেশাল সায়েন্টিফিক এসোসিয়েশনের সদস্য হিসাবে যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। বশিলভের সাথে আলোচনা করে প্রফেসর জানতে পারলেন তিনি ইতিমধ্যে একটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের বর্ণনা ও ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন। শীঘ্রই নাকি সেটা প্রকাশও করা হবে। শন ইয়েট এটা অবশ্য বিশ্বাস করলেন না। কারণ বশিলভ এ ধরনের কথা কয়েক বছর থেকেই বলে আসছে। কিন্তু তার সেই তত্ত্ব কখনো আলোর মুখ দেখছে না। সম্মেলনের শুরুতেই সভাপতি পলস জোনস শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করলেন এবং বিজ্ঞানীদের প্রতি এটা বলেও সতর্ক করে দিলেন যে, যারা কয়েক বছর ধরে কোন গবেষণালব্ধ ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারেনি অথচ সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছে তাদের আর কিছুদিনের মধ্যেই এসোসিয়েশন থেকে বের করে দেওয়া হতে পারে। এই ইঙ্গিতটা যে স্পষ্ট বশিলভকে উদ্দেশ্য করেই সেটা কারো বুঝতে আর বাকি থাকল না। এরপর সবাই আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করল বশিলভও কিছু বলার জন্য ফ্লোর চাচ্ছে। সে গম্ভীর গলায় বলল, শন ইয়েটের মতো পরপর তিন বার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী বিজ্ঞানীও যদি সামান্য কয়েকটি বইয়ের রহস্য এক যুগেরও বেশি সময় ধরে গবেষণা করে কোন কুল কিনারা করতে না পারেন তবে তিনি তার গবেষণার জন্য আরও কয়েকটা বছর সময় পাবেন না কেন? বক্তব্য শেষ করে তিনি যখন শন ইয়েটের পাশে বসলেন তখন ইয়েট বশিলভের গর্বিত মুখের দিকে চেয়ে প্রতিজ্ঞা করলেন এ রহস্যের সমাধান না করে তিনি কিছুতেই মরবেন না। দরকার হলে ডাই অপিনাইল১১ খেয়ে বাড়তি দু এক বছর বেঁচে থাকবেন। তবুও এ রহস্যের সমাধান করবেনই করবেন। বাড়িতে ফিরে সাথে সাথেই তিনি মস্তিষ্কের সাথে কিছু সেমি নিউরণ যোগ করে নিলেন যাতে এটি সবসময় তার অবচেতন মনকে ভৎসনা করে তাকে গবেষণার জন্য উৎসাহিত করে।

-ওথাম হোম১২, আপনার ফ্লুটিন কণার ভর হিসাবে সম্ভবত তৃতীয় মাত্রার গাণিতিক ভুল হয়েছে। যান্ত্রিক আওয়াজে কথাগুলো বলল লুমেন।
কিছুটা অপ্রস্তুত হওয়ার ভঙ্গি করে প্রফেসর শন জিজ্ঞেস করলেন কিভাবে বুঝলে।
-হিসাব করে দেখলাম আপনার গাণিতিক হিসাব যদি ঠিক থাকে তবে এটমের১৩ ভর শূন্য হয়ে যায় ফলে ফ্লুটিন কণারও কোন অস্তিত্ব থাকে না।
একবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত- ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল যে, ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনই পরমাণুর মূল স্থায়ী কণিকা। সেই সাথে বলা হয়েছিল ইলেকট্রন ও প্রোটন যথাক্রমে ঋনাত্বক ও ধনাত্বক আধান বিশিষ্ট বলে পরমাণু তড়িৎ নিরপেক্ষ এবং নিউট্রন কণা পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে।অথচ দুই শতক পরেই ঐ তত্ত্বের ভুল প্রমাণ হলো। শনেরই হাঙ্গেরিয়ান বন্ধু রসায়নবিদ রজার ফিনলে দেখালেন যে, মূলত ফ্লুটিন ও গ্লুটানো কণার জন্যেই এটম বা পরমাণু তড়িৎ নিরপেক্ষ। এরাই পরমাণুর আদিকণিকা। আর যে ইলেট্রন ও প্রোটনের কথা বলা হয়েছিল তারা হলো মূলত এই ফ্লুটিন ও গ্লুটানো কণারই ভৌত ধর্মের একটা অংশ মাত্র। এরা কখনই পরমাণুর সামগ্রিক অস্তিত্বের জন্য দায়ী হতে পারে না। এই তত্ত্বের সাহায্যেই ফিনলে দেখিয়েছেন থায়োডেজার্টোব্লুটানেট১৩ যৌগটিতে আয়নিক, সমযোজী প্রভৃতি মৌলিক বন্ধন সহ এমন কোন ইলেকট্রন প্রোটন মতবাদ ভিত্তিক বন্ধন নেই যা দ্বারা তার ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা করা যাবে। ইলেকট্রন ও প্রোটনের অসারতা মূলত প্রমাণ হয়ে যায় তখনই। ফিনলে তার তত্ত্বে দেখান যে, পরমাণুর সমান্বয়ে যৌগ গঠনে যে জিনিসটি কাজ করে তা হলো সিগমো পারমোল্টিক এফেক্ট। অর্থাৎ যৌগ গঠনের জন্য পরমাণুর চার্জ আদান-প্রদানের কোন প্রয়োজন হয় না। সেটার প্রয়োজন হয় সেটা হলো পারমোল্টিক ধর্ম। একবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত ইলেকট্রন ও প্রোটনের আদান-প্রদান বিষয়ক যে তথ্যগুলো বোঝানো হয়েছে বা পরমাণুর গঠন রহস্য বিষয়ক যে সকল মডেলের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তার অস্তিত্ব বিলোপ হয়ে যায় তখনই। ফিনলের এই তত্ত্বের প্রভাব এতটাই সূদুরপ্রসারী ছিল যে, তারপর আবিস্কৃত আরো তেইশটি মৌলের যৌগ গঠন রহস্য সহজেই ব্যাখ্যা করা গেছে যা পূর্বের মতবাদ দিয়ে সম্ভব নয়। ইয়েট অবশ্য নিজেও এই তত্ত্ব আবিষ্কারের পেছনে কিছুটা জড়িত ছিলেন। তবে অবাক বিষয় ফিনলে তার এ অবদানের কথা কখনো বড় গলায় স্বীকার করেন নি।

প্রফেসর শন ইচ্ছা করেই লুমেনের বুদ্ধিবৃত্তির স্তর পরীক্ষার জন্য ফ্লুটিন কণার ভর নির্ণয় বিষয়ক সতের পৃষ্ঠার জটিল সমাধানটিতে ভুল করে টেবিলের উপর রেখেছিলেন। দেখা গেল লুমেন ভুলটা ধরে ফেলেছে।

প্রফেসর লুমেনের উপর খুশি হয়ে বললেন লুমেন তুমি ইচ্ছা করলে ফ্লাবিশ স্কিনটা দেখতে পার।

লুমেন দেরী না করে তাড়াতাড়ি চলে গেল। শন টেবিলের উপর রাখা wso এর পুরনো একটা সংখ্যা হাতে তুলে নিলেন।

ঘোষণা-০১: অষ্টম ভার্সনের ওয়াল্ড্রল মাদারদের১৪ সচেতন করে বলা হচ্ছে আপনারদের ব্লোনাডকে১৫ এই মাসের তৃতীয় স্তরের বুদ্ধিবৃত্তিক ইমেজ পাঠানো হচ্ছে। এই বিষয়ে বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে ওয়াল্ড্রল মাদাররা ইমেজ পাঠানোর সময় ব্লোনাডদের উইরিয়াল সিগনালটি অকেজো করে দেবেন। যদি এ ব্যাপারে কোন সমস্যা হয় তবে পার্শ্ববর্তী নিউরন সার্জন সেন্টারে যোগাযোগ করুন।

ঘোষণা-০২ আমার উইরিয়াল সিগনালের দ্বিতীয় প্রক্রিটের অষ্টম তরঙ্গটি wso এর অনুমতিক্রমে বিক্রি করব। আগ্রহীরা বিপনণ কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।

নির্দেশনাঃ উইরিয়েল সিগনালের এই তরঙ্গটি কিনলে আপনার রিসিভিং স্টোরেজ বেড়ে যাবে এবং আপনি wso এর সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহারের অংশীদার হবেন।

হারানো বিজ্ঞপ্তিঃ আমার হিওটিটের ব্যাকলাইট বনের প্রিপুশ অংশের একটি ডিজাইন আমার বাসা থেকে হারিয়ে গেছে। এর এসোসিয়েশন সিরিয়াল নং-3K2B4। কেউ পেয়ে থাকলে এসোসিয়েশনের পঞ্চম সিগনালে পাঠিয়ে দিলে উপকৃত হবো।
wso , সংখ্যা ৩১ ।
পৃথিবীর বিবর্তন আরও কতভাবেইনা হবে চিন্তা করতে লাগলেন বৃদ্ধ প্রফেসর।

(চলবে)
------------------------------------------------------------
(পরিশিষ্ট)
১. ইয়েট মাইক্রোসকোপ : এক ধরনের বিবর্ধক যন্র যার সাহায্যে ছোট কোন জিনিসকে বড় করে দেখা যায়।
২. রুকটাইল কালি :এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ীত্বের কালি। (কল্পনা)
৩. হিওটিট : রোবটদের উন্নত সংস্করণ। (কল্পনা)
৪. প্রাইসম : রোবটদের মস্তিস্কের একটি অংশ। (কল্পনা)
৫. WSO : World scientific organization।
৬. ইন্টারনেট : তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম।
৭. উইরিয়াল সিগনাল : মানুষের মস্তিস্কের নিউরনের মাধ্যমে তথ্য ও প্রযুক্তি বিনিময়ের একটি মাধ্যম। (কল্পনা)
৮. ফ্লাবিশ ষ্কিন : এক ধরনের পর্দা যা আপতিত আলোর উপযুক্ত প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি করতে পারে। (কল্পনা)
৯. অটোমেটিক লিন্ডিকার: রিমোটের ন্যায় এক ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১০. নিউরন : মানুষের মস্তিস্কের একটা অংশ যা সংবেদন পরিবহনের কাজ করে। মানুষের মস্তিস্ক কোটি কোটি নিউরন নির্মিত।
১১. ডাই অপিনাইল : এক ধরনের ট্যাবলেট যা মৃত স্নায়ু বা কোষকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জাগিয়ে তুলে স্বল্প সময়ের জন্য জীবিত রাখতে পারে। (কল্পনা)
১২. ওথাল হোম : অজিওটিক ভাষায় সম্বোধনবাচক শব্দ। (কল্পনা)
১৩. থায়োডেজাট্রোব্লুটানেট : এক ধরনের যৌগ। (কল্পনা)
১৪. ওয়াল্ড্রল মাদার : ক্লোন শিশুদের যারা রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকে। (কল্পনা)
১৫. ব্লোনাড : ক্লোন শিশু। (কল্পনা)
১৬. লিওবিট টিউব : কলিংবেলের মত একধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস। (কল্পনা)
১৭. রিসাইকেলএবল : পূনরায় ব্যবহারযোগ্য করা যায় যা।
১৮. লেন্টালিন : এক ধরনের রাসায়নিক তরল যা অবশ স্নায়ুকে সংবেদন গ্রহনে সাহায্য করে। (কল্পনা)
১৯. ডুকাইল :ফ্লিজ জাতীয়। (কল্পনা)
২০. বিট্রিওল : এক ধরনের পিল। (কল্পনা)
২১. মিলকিওয়ে : পৃথিবী যে গ্যালাক্সীতে আছে তার নাম।
২২. গ্যালাক্সী : ছায়াপথ। প্রতিটি গ্যালাক্সীতে সূর্যের ন্যায় অসংখ্য নক্ষত্র থাকে।
২৩. নেবুলা : মহাকাশে ঘণীভূত হয়ে থাকা ভস্ম, গ্যাস, গলিত পদার্থ ইত্যাদি।
২৪. অক্টোবিট ভেইকল : এক ধরনের যানবাহন। (কল্পনা)
২৫. FSO: Federal Scientific organization
২৬. এলোবেশিয়ান : কুকুর ও বিড়ালের সংকর প্রজাতি। (কল্পনা)
eru

-------------------------------------------------
সুগন্ধ বিলোতে আপত্তি নেই আমার
বস্তুত সুগন্ধ মাত্রই ছড়াতে ভালবাসে।


মন্তব্য

শিক্ষানবিস এর ছবি

প্রথম পর্বের পরই দ্বিতীয় পর্ব পড়লাম। ভাল চলছে। বেশ পাণ্ডিত্যের সাথে অত্যাধুনিক পৃথিবীর ছবি আঁকছেন।
পরমাণুর গঠন বিষয়ে ইলেকট্রন-প্রোটনের তত্ত্ব এখনই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তরঙ্গ-কণা দ্বৈততার মাধ্যমে কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করলে বোধহয় আরও ভাল হতো।
তবে একটা জিনিস, পরিশিষ্টগুলো ক্রমান্বয়ে দিন। এই পর্বের জন্য যেগুলো দরকার কেবল সেগুলোই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।