বায়স্কোপের নেশা আমার ছাড়ে না

আবু রেজা এর ছবি
লিখেছেন আবু রেজা [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৪/০৭/২০০৮ - ৯:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক. স্মৃতি থেকে

আয়রে আয় পোলাপান
কাইন্দা কাইন্দা পয়সা আন
বায়স্কোপ তোরা দেখবি আয়
চইলা গেল ফুরাইয়া যায়- - -
ছেলেবেলায় এমনিতর ডাকে আমরা ছুটে যেতাম বায়স্কোপওয়ালার কাছে। বায়স্কোপের প্রতি আমাদের সে যে কী আকর্ষণ ছিল! বায়স্কোপওয়ালা কখনো ঝুমঝুমি, আবার কখনো কাঠ-করতাল বাজাত। আর সুরে সুরে ডাকত। সে সুর মুহূর্তেই পৌঁছে যেত আমাদের কানে। কখনো সুর শুনে, কখনো অন্যদের থেকে শুনে শুনে ছুটে যেতাম আমরা। আসলে আমাদের পাড়ায় যেখানেই বায়স্কোপওয়ালা আসুক, সে সুর ছড়িয়ে পড়ত সবখানে। আর আমরা বায়স্কোপওয়ালাকে ঘিরে ভীড় করে দাঁড়াতাম। আমাদের সঙ্গে যোগ দিত বড়রাও। যেন বায়স্কোপওয়ালাকে ঘিরে ছেলে-বুড়োর মেলা বসে যেত। পয়সা দিলেই বায়স্কোপওয়ালা ছবি দেখাতে শুরু করত। সুর করে ঘটনার বিবরণ দিত। আবার ঘটনার মাঝে মাঝে গানও গাইত।
নানা লোককাহিনী ভিত্তিক ছবি দেখাত বায়স্কোপওয়ালা। সেই সঙ্গে সুরে সুরে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরত। লোককাহিনী ছাড়াও ঐতিহাসিক ঘটনা, স্থান, ব্যক্তি, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শনের ছবি ও গান পরিবেশ করত। সাম্প্রতিক ঘটনা, সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানও বায়স্কোপের বিষয় হয়ে উঠত।

দুই. একজন বায়স্কোপওয়ালা আলীজান

একজন বায়স্কোপওয়ালা আলীজান। তিনি গত শতকে পুরনো ঢাকায় বায়স্কোপ দেখাতেন। বায়স্কোপের ছবির সঙ্গে গানে গানে বিবরণ দিতেন। আলীজান সুরে সুরে যে বিবরণ দিয়ে বায়স্কোপ দেখানো শুরু করতেন তার নমুনা-
কী চমৎকার দেখা গেল কী চমৎকার দেখা গেল
কী চমৎকার দেখা যায় ভাই (২)
এই বাকসোর খোপে চক্ষু রাইখ্যা দেখো সবাই নয়ন মেইল্যা
মনোহর শোভা দেখো ভাই,
এই বায়স্কোপের ছবির লাহান আইস্যা পড়ে তামাম জাহান
যত রঙ্গ আছে বইল্যা যাই।।

ওপরের এই অংশটি আলীজানের বায়স্কোপের গানের মুখ। বায়স্কোপ চলাকালে নানা বিবরণের মধ্যে এই অংশটি ঘুরে ফিরে আসত। আলীজান তার বায়স্কোপে গল্প, গান ও বর্ণনার মাধ্যমে লোককাহিনী, ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থানের বিবরণ, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, নিজ শহর ঢাকার বিবরণ উপস্থাপন করতেন। আলীজান সোনাভানের কাহিনী তুলে ধরেন। তাতে থাকে যুদ্ধেক্ষেত্র সোনাভানের বীরত্বের চিত্র ও বিবরণ। আলীজান তা উপস্থাপন করেন প্রচলিত লোককাহিনীর আঙ্গিকে।
আরে ঘোড়ার পিঠে সোয়ার হইয়া তলোয়ারডা যায় ঘুরাইয়া
বাপের বেটি বিবি সোনাভান
এই বিবি সোনাভানের ডরে কতো বীরে লম্ফ মারে
পড়ে উববুত হইয়া পরে থান।।

আলীজান বাদশাহ শাহজাহানের অমর প্রেমের কাহিনী বলেন, মমতাজের প্রেমে যমুনার তীরে নির্মিত তাজমহল দেখাতে আলীজান ভোলেন না। আলীজান ইতিহাসের এই তথ্য তুলে ধরেন এভাবে-
আরে শাহানশাহ শাজাহান ছিলো মমতাজ প্রেমে কাতর হইলো
বিবির শেকে বাদশা টলমল
আরে যমুনার তীরে বানাইলো বাদশার খাযেশ পুরা হইলো
এইবার আইলো ঐ তাজমহল।।

দিল্লীর সুউচ্চ কুতুব মিনারের ছবি দেখান আলীজান। এই ছবির রসালো বিবরণ তুরে ধরেন আলীজান। কুতুব মিনার তালগাছ ছাড়িয়ে উঁচুতে দাঁড়িয়ে কী বলে তা পড়ে দেখুন-
আরে দিল্লীর বুকে আছে খাড়া তালগাছরে কয় বেডা দাঁড়া
আমার লাহান উচার নাই কিনার
আরে এইবার দ্যাখো আইয়া গেলো খাম্বার মতো লাম্বা রইলো
আরশী-পড়শী কুতুব মিনার।।

এরপর বায়স্কোপের মধ্যবিরতি। এই সময় আলীজান বায়স্কোপ যন্ত্রটিকে একটু ঠিকঠাক করে নেওয়ার দিকে মনোযোগ দেন। এই ফাকে আলীজানের সহযোগী দর্শদের থেকে বাকি পয়সা আদায় করে নেয়। এই সময় আলীজান কিংবা তার সহযোগী অপোকৃত ঢিমে তালে বলে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা-
আপনেরা এ্যকটু এইবার সবুর করেন
বাকী পয়সা যার যা আছে উসুল করেন,
চান্দির আওয়াজ শুইন্যা ছবির কইলজায় আসবো পানি
চাইয়া রইছে হরেক মানুষ চীনা-জাপানী;
আরে ইংরাজ আর হিটলার যঙ্গেতে মাতিলো
ঝাঁকে ঝাঁকে উড়াজাহাজ আইয়া যে গেলো;
রেঙ্গুনেতে বোমা মারলো জাপানী বিমান
ইংরাজ বলে ইয়া নাফ্সী বাঁচাও নিজের জান।

মধ্যবিরতির পর আলীজান দেখান প্রিয় শহর ঢাকা। ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন ও ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন। দেখান ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী। বুড়িগঙ্গার গা ঘেঁষে তৈরি বাকল্যান্ড বাঁধ দেখান। বাকল্যান্ড বাঁধ আসলে নদী বরাবর একটি পাকা রাস্তা। ১৮৬৪ সালে ঢাকায় নিযুক্ত কমিশনার সি.টি. বাকল্যান্ড এই রাস্তাটি তৈরি করান। তার নামানুসারে এটি বাকল্যান্ড বাঁধ নামে পরিচিতি পায়। আলীজান মীর জুমলার কামান দেখান। আলীজান এসব উল্লেখ করে ঢাকা শহরের বিবরণ দেন -
এই কী চমৎকার দেখা গেলো কী চমৎকার দেখা গেলো
কী চমৎকার দেখা যায় ভাই।
আরে আচানক ভাই একি হইলো ঢাকা শহর আইয়া গেলো
ঐ দেখো ভাই মীর জুমলার কামান,
আরে বুড়ীগঙ্গার পিনিস দেখো বাকল্যান্ডের বাঁধ দেখো
গোবিন্দ দাশ গাইতো যেথায় গান।।

তারপরে আলীজান মোঘল আমলে যারা ঢাকায় রাজধানী স্থাপন করেছেন, এখানে আবাস গেড়ে শাসন করেছেন সেই ইসলাম খাঁ, শায়েস্তা খাঁন এবং ঢাকার নবাবদের ছবি দেখান। আলীজান লালবাগ দুর্গ দেখান। ১৮৫৭ সালে এখানে ঘটে সিপাহী বিদ্রোহ। এ বিদ্রোহে এখানে অনেক সিপাহী শহীদ হন। অনেক সিপাহীকে আণ্টাঘর ময়দানে ফাঁসি দেওয়া হয়। এসব ঐতিহাসিক তথ্য আলীজান উপস্থাপন করেন নির্ভুলভাবে। তার নমুনা গান-
আরে সুবাদারি পাইয়া তারা সৈন্যসাবুদ রাখে খাড়া
নদীর পাড়ে বানায় কেল্লা বড়োই আলীশান
লালবাগের কেল্লা দেখো পরীবিবির মাজার দেখো
এইবার শোনেন করুন বয়ান।
আঠারোশো সাতান্ন সাল দ্যাশে জ্বললো কী বিশাল
বিপ্লবের আগুন লেলিহান
কতো সিপাই শহীদ হইলো কতোজনের ফাঁসি হইলো
সাক্ষী দেখো আণ্টাঘর ময়দান।।

এভাবে বায়স্কোপ শেষ হয়ে আসে। সবশেষে বায়স্কোপওয়ালা আলীজান নিজের পরিচয় দেন, দর্শকদের কাছে দোয়া চান, ছোট বড় সকলের শুভাকামনা করেন। ছোটদের আদর করে বলেন ‘গুড়াগাড়া জান’। আলীজান এভাবে বলেন-
বায়স্কোপোর বাকসো লইয়া শহর গ্রামে শার্গিদ লইয়া
ছবি দ্যাখাই আমি আলীজান।
আরে কি চমৎকার দ্যাখা গেলো চিও সুখে ভইরা গেলো।
দোয়া রাইখ্যেন সকল ভাইজান
দোয়া রাইখ্যেন সকল ভাইজান
ভালো থাইক্যেন সকল ভাইজান
ভালো থাইক্যো গুড়াগাড়া জান।।

তিন. কলাকৌশল

বায়স্কোপের প্রধান কাঠামো কাঠ ও টিনের তৈরি একটি বাক্স। এই বাক্সের সামনের দিকে থাকে অনেকগুলো মুখ। এই মুখে কাঁচ বসানো থাকে। মুখগুলো ঢাকনা দিয়ে ঢাকা থাকে। বায়স্কোপের কাহিনী শুরু করার আগে ঢাকনাগুলো খুরে দেওয়া হয়। এখানে চোখ রেখে দর্শকরা বায়স্কোপ দেখে।
বাক্সটির দুই পাশে ওপর থেকে নিচ বরাবর দুটি শলাকা আছে। এই শলাকা দুটির একটিতে বায়স্কোপের ছবিগুলো পেঁচানো থাকে। ছবিগুলো আঁটা থাকে মোটা শক্ত কাগজ বা কাপড়ের ওপর। এটি বায়স্কোপের পর্দা। এই পর্দার দুই প্রান্ত দুটি শলাকাতে আটকানো হয়। যে শলাকাতে পুরো পর্দাটি পেঁচানো থাকে তার অপর পাশের শলাকা ঘুরালে পর্দা চলতে থাকে। তখন পর্দায় আটানো ছবিও একের পর এক আসতে থাকে।
পর্দার ওপর ছবিগুলো বিভিন্নভাবে বসানো হয়। আঁকা ছবি, ফটোগ্রাফ, পেপার কাটিং পর্দার ওপর এঁটে দেওয়া হয়। ছবিগুলো বায়স্কোপওলারা বিভিন্নভাবে সংগ্রহ করতেন। কিন্তু এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিবরণভিত্তিক গানগুলো নিজেরাই রচনা করতেন এবং নিজের সুরে গাইতেন। বিভিন্ন সময়ে বিবরণ ও গানগুলোর কথা ও সুরে কিছুটা পরিবর্তন ঘটত। সর্বোপরি, কাঠের বাক্সটিকে নানা রঙে সাজানো হয়। বায়স্কোপ দেখানোর সময় বাক্সটিকে একটি স্ট্যান্ডের ওপর বসানো হয়। বাক্সের পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে বায়স্কোপওয়ালা ছবি দেখান।

চার. আমার স্বপ্ন

আমি এখন এমন বায়স্কোপের স্বপ্ন দেখি যাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা থাকবে, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি ঘটেছে এমন চিত্রও থাকবে। থাকবে দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নের চিত্র। আর থাকবে মৌলবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত, মানবাধিকার, নারী ও শিশু অধিকার সমুন্নত, ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের ছবি। বায়স্কোপওয়ালা এমন সমাজের ছবি দেখাবে আর গাইবে-

কী চমৎকার দেখা গেল
বায়স্কোপ চালু হইয়া গেল
নতুন বায়স্কোপ সবাই খুশি
দুঃখ নাই, মুখে হাসি।

তারপরেতে আইস্যা গেল
ফুলতলা এক গ্রাম
এই গ্রামের সকল মানুষ
লিখতে পারে নাম।

তারপরেতে কী দেখা যায়
ওই যে ইশকুল ঘরে
ছেলে-মেয়ে সকল শিশু
ওই ইশকুলে পড়ে।

তারপরেতে আইস্যা গেল
নারী মুক্তিসভা
ওই সভাতে অনেক নারী
নেত্রী বিজলী প্রভা।

তারপরেতে দেখো তোমরা
দরিদ্রদের মতা
নারী-পুরুষ সকলের
মজুরিতে সমতা।

তারপরেতে দেখো গেল
পাল্টে গেছে সভ্যতা
পরিবেশের প্রতি সবার
দেখ কত মমতা।

তারপরেতে যায় রে দেখা
ভোটারদের লম্বা লাইন
ভোট পাচ্ছে যোগ্য প্রার্থী
দরিদ্রদের পক্ষে আইন।

শুধু বায়স্কোপে নয়, বাস্তবেও এমন বাংলাদেশ দেখতে চাই আমরা সবাই।

তথ্যসূত্র: আলীজানের গানটি হেদায়েত হোসাইন মোর্শেদ রচিত সান্বয় পরিবেশিত স্টেজ প্রোগ্রামের স্ক্রিপ্ট থেকে নেওয়া হয়েছে।

আবু রেজা


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বায়োস্কোপ দেখা হয় নাই কখনো। কিন্তু এই বায়োস্কোপের মানুষেরা দেখি অনেকের চেয়ে বেশী খোলা মনের! বাংলাদেশ বেড়ে উঠুক এই বায়োস্কোপের বর্ণনার মতো।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

আবু রেজা এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

আবু রেজা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ছোটবেলার অনেক গল্প মনে পড়ে গেলো।


লাল গানে নীল সুর, হাসি হাসি গন্ধ

আবু রেজা এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। স্মৃতি আমাদেরকে ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

এরকম লেখা সচলে কম দেখি। আপনার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

আবু রেজা এর ছবি

এরকম আরো লেখা দেওয়ার আশা রইল। আপনাকে ধন্যবাদ।

ক্যামেলিয়া আলম এর ছবি

সত্যিই সুন্দর আপনার লেখা--------আরও কিছু হারিয়ে যাওয়া উপকরণ আর নব সংযোজন চলুক
.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

.....................................................................................
সময়ের কাছে এসে সাক্ষ্য দিয়ে চ'লে যেতে হয়
কী কাজ করেছি আর কী কথা ভেবেছি..........

আবু রেজা এর ছবি

প্রশংসা সব সময়ই ভালো লাগে। হারিয়ে যাওয়া উপকরণ বিষয়ে নব সংযোজন চলবে। শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

রাফি এর ছবি

তথ্যবহুল লেখা। বায়স্কোপ আমার কখনো দেখা হয় নি। শুধু গল্প শুনেছি।
লেখার জন্য ধন্যবাদ। নতুন নতুন বিষয়ে আরো পোস্ট দিন।

---------------------------------------
অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

আবু রেজা এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ। আরো পোস্ট দেওয়ার আশা আছে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভাল লাগলো।


রাজাকার রাজা কার?
এক ভাগ তুমি আর তিন ভাগ আমার!

আবু রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ। উৎসাহ পাচ্ছি।

শেখ জলিল এর ছবি

আরে, আবু রেজা যে! সচলে আপনার লেখা? আপনার বই 'আমার পরিচয় আমার সম্পদ' এখনও যে আমার কাছে!
...দারুণ তথ্যবহুল লেখা। এরকম আরও লিখুন।
তারপর কেমন আছেন?

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

আবু রেজা এর ছবি

নতুন করে পুরানো যোগাযোগ। আপনি কেমন আছেন?
আরো লেখার আশা আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।