দাদু হুঁকা টানে গড়রগড়!

আবু রেজা এর ছবি
লিখেছেন আবু রেজা [অতিথি] (তারিখ: রবি, ২৯/০৩/২০০৯ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পরানের হুঁক্কা রে
তোর নাম কে বানাইছে ডাব্বা .....

সম্ভবত ডাব বা নারকেলের খোল দিয়ে তৈরি হয়েছে বলে এর নাম হয়েছে ডাব্বা। ডাব থেকে ডাব্বা। কচি নারকেলকে ডাব বলা হয়। তবে হুঁকা তৈরি হয় ঝুনা নারকেলের খোল দিয়ে।

আগের দিনে অতিথি আপ্যায়নের অন্যতম উপকরণ ছিল পান-তামাক। অতিথি এলে তাকে পিঠাপুলি, মুড়ি-চিড়া, পোলাও-ঘিভাত ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। এর পাশাপাশি আপ্যায়নের জন্য তৈরি থাকত পান-তামাক। অতিথির সামনে এগিয়ে দেওয়া হতো পানের বাটা কিংবা তশতরিতে সাজানো পান। আর তামাক দিয়ে আপ্যায়নের জন্য এগিয়ে দেওয়া হতো হুঁকা। এখনো পান-তামাক দিয়ে আপ্যায়নের রেওয়াজ শেষ হয়ে যায় নি। তবে হারিয়ে গেছে হুঁকা। তার পরিবর্তে এসেছে বিড়ি-সিগারেট, অভিজাত উপকরণ পাইপ।

ছোটবেলায় আমার দাদাকে হুঁকা টানতে দেখেছি। তাঁর দুইটি হুঁকা ছিল। একটি নারকেলের খোলের তৈরী। আরেকটি পিতলের হুঁকা, নলওয়ালা, যাকে দাদা বলতেন ফরসি হুঁকা, কখনো বলতেন বৃন্দাবনী হুঁকা। হয়তো হুঁকাটি বৃন্দাবন থেকে আনানো হয়েছিল। দাদা মাঝে-মধ্যে আমাদের হুঁকা সাজিয়ে আনতে বলতেন। সেই সময় আমরা ছোটরা হুঁকায় দু-এক টান দিয়েও দেখেছি। কিন্তু কোনো স্বাদ পাই নি। নানার বাড়িতে নারকেলের খোলের হুঁকা দেখেছি হাফ-ডজন। কিন্তু নানাকে কখনো হুঁকা টানতে দেখি নি। তিনি পান-তামাকে অভ্যস্ত ছিলেন না। কিন্তু নানার ক্ষেতে কাজ করত কামালারা। তাদের জন্য দুপুরের খাবার, তামাক, হুঁকা আর হালিসায় করে আগুন পাঠাতে হতো, হুঁকা ধরানোর জন্য।

অতীত কালে এ উপমহাদেশে পান-তামাক, হুঁকা বিলাসী উপকরণ হিসেবে পরিচিতি ছিল। কিউবা থেকে এ অঞ্চলে তামাক এসেছে। পর্তুগীজরা এ অঞ্চলে তামাক এনেছিল। তাই ধারণা করা হয়, এ অঞ্চলে ধূমপান বা হুঁকার প্রচলন শুরু হয় তখন থেকে পর্তুগীজদের মাধ্যমে। কিন্তু তার আগেও এ অঞ্চলে অতিথি আপ্যায়নে পান-সুপারির প্রচলন ছিল। একাদশ শতকে, দ্বাদশ শতকে ভারতে প্রচুর সুপারি উৎপন্ন হতো সে কথা বিভিন্ন দলিল-দস্তাবেজে উল্লেখ আছে। হুঁকা ব্যবহার বা ধূমপানের প্রচলন প্রাচীন ভারতে ছিল না। সম্ভবত মোগল আমল থেকে এ উপমহাদেশে ধূমপান বা হুঁকা ব্যবহার শুরু হয়। মোগল ও রাজপুত চিত্রকলায় ধূমপানের দৃশ্য দেখা যায়। মোগল আমলে বাদশাহ-বেগম থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলেই হুঁকা ব্যবহার করেছে।

কালক্রমে গ্রাম বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে হুঁকার ব্যবহার, প্রচলন হয় ধূমপানের। এক সময় গ্রাম-বাংলায় পান-তামাক ঐতিহ্যের রূপ লাভ করে। গ্রামের হাট বাজার, বিয়ের মজলিশ, কবিগান, পুঁথিপাঠ আর গল্পের আসর হুঁকা ছাড়া জমে না। গাঁয়ের চাষী চাষবাসের সময়ও হুঁকা টানে। এক সময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি ঘরের বেড়ায় হুঁকা ঝুলানো থাকত। আধুনিক সময়ে এসে বিড়ি-সিগারেটের ব্যবহার বেড়েছে। হুঁকার ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে। গ্রামে-গঞ্জে এখন আর হুঁকার ব্যবহার নেই বললেই চলে। শহরে তো একেবারেই নেই। মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বিধায় অনেকেই ধূমপান পরিহার করছেন।

মোগল আমলে রাজকীয় উত্সবে কিংবা নিত্য দিনেও বাদশাহ-বেগমদের হুঁকা ছিল রাজকীয়। তাঁরা ব্যবহার করতেন নলওয়ালা ফরসি হুঁকা। যেন তাকিয়ায় হেলান দিয়ে হুঁকার নলের মুখে মুখ লাগিয়ে আয়েশি টান দেয়া যায়। মোগল আমলে এ ধরনের হুকার ব্যবহার ছিল ব্যাপক। হুকার কারুকাজে ছিল সূক্ষ্ম নকশা করা। ধাতুর উপরে লতাপাতার অলঙ্করণ করা থাকত। কখনো থাকত জালিকাজ। হুকার নল তৈরি হতো কাঠ দিয়ে। তাতেও থাকত নানান কনশা। আর থাকত দীর্ঘ রবারের নল। নলের উপর জরির সুতার কাজ করা থাকত। মোগল আমলের চিত্রকলায় এ ধরনের হুঁকার নিদর্শন লক্ষ করা যায়।

আর সাধারণ মানুষ ব্যবহার করত নারকেল খোলের হুঁকা। কিন্তু নারকেল খোলের উপর দামি ধাতুর বিশেষত রূপার নকশা করা হতো। নারকেলের খোলের উপর লাগানো হতো কাঠের নল। নলের উপর মাটির কলকি বসানো হতো। আঠার ও উনিশ শতকে জমিদার, বিওশালী এমন কি অনেক সাধারণ পরিবারেও নারকেলের খোলের পরিবর্তে রূপার তৈরি হুঁকার প্রচলন দেখা যায়। সেই রূপার হুকায় নকশা করা থাকত। তাতে যুক্ত থাকত দীর্ঘ নল, যাতে আরাম কেদারায় বসে বা তাকিয়ায় হেলান দিয়ে হুঁকা টানা যায়।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এ ধরনের রাজস্থানী কাঠের হুঁকা, নারকেলের খোলের সাধারণ হুঁকা, রূপার পাতের কাজ করা হুঁকা, রূপার তৈরি নকশাদার হুঁকা, তারজালির কাজ করা হুঁকা সংগৃহীত আছে। বাংলাদেশের গ্রাম কিংবা শহরে এখনো পান-তামাকের প্রচলন থাকলেও হুকার ব্যবহার নেই। বিলুপ্তপ্রায় এসব শিল্পকর্ম এখন হয়ত শুধু ঘরের শোভা বাড়াতে পারে। কোনো কৌতূহলী মানুষ হয়তো প্রাচীন নিদর্শন হিসেবে সংগ্রহে রাখতে পারে হুঁকা। আর নয়তো হুঁকার স্থান হবে শুধুই জাদুঘরে।

লোকজ ধাঁধা আমাদের লোক সাহিত্যের অন্যতম শাখা। লোকজ জীবনের অনেক উপকরণ এসব ধাঁধার উপজীব্য। আগে পান-তামাক বা হুঁকা টানার অভ্যাস হয়তো এত ব্যাপক ছিল যে প্রায় সকল অঞ্চলেই লোকজ হুঁকা বিষয়ে ধাঁধা পাওয়া যায়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তো আছেই, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলেও হুঁকা নিয়ে ধাঁধা আছে। হুঁকা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েকটি ধাঁধা-

তিন জাতের তিন বেটা
ঘর বানাইল একটা।
কামার কুমার ছুতার বেটা,
উপরে কমার, মাঝে ছুতার
তলার মাঝে গাছের গুটা।
নাম কও চাই পণ্ডিত বেটা?

প্রিয় পাঠক, বলুন এর নাম কী? অবশ্যই হুঁকা। এটি সিলেট অঞ্চলের ধাঁধা। সিলেট অঞ্চলের আরেকটি ধাঁধা-

একখানে দুইখানে তিনখানে জোড়া।
তার উপর বসাইল আনি ফাঁকি আঙ্গড়ার গুঁড়া।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের হুঁকা নিয়ে একটি ধাঁধা-

ঢাকা দি লাগ্যে আগুন, কৈলকাতা গেইয়ে পোড়া।
শঙ্খনদী ভুট ভটাইয়ে নলুয়া দি থাইয়ে ধুঁয়া।

যশোর অঞ্চলের একটি ধাঁধা-

খাম্বার উপর খাম্বা পানির উপর ঘর,
জিনিসখানি পুড়িয়া গেলি, তেউনা পোড়ে ঘর।

দিনাজপুর অঞ্চলের একটি ধাঁধা-

হাড্ডির ভিতর মাস যার, খুলির উপর চাম।
লোককে ভুলাবার পারে, জগৎ জোড়া নাম।

খুলনা অঞ্চলের একটি ধাঁধা-

লম্বা সাদা দেহ তার, মাথায় হল টিকি,
সেই টিকিতি আগুন দিলে জ্বলে ধিকিধিকি।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েকটি ধাঁধা -

রাম নয় লক্ষণ নয়, শেল মেরেছে বুকে।
কত জন নিচ্ছে কোলে, চুম্বন দিছে মুখে। (বীরভূম)

ঘাট কাছে, পুকুর দূর
পাখি ডাকে মেদিনীপুর। (চব্বিশ পরগনা)

ছেলের পেট গুড়গুড় করে
ছেলের মাথায় আগুন জ্বলে। (মুর্শিদাবাদ)

জনম গেল দুঃখে
বুকে আমার আগুন দিয়ে খায় মনের সুখে। (বর্ধমান)

সমুদ্রের মধ্যে তালগাছ ব্রহ্মায় করেছেন বাসা।
কেউ খাচ্ছেন, কেউ নিচ্ছেন, কেউ করছেন আশা। (নদীয়া)

ঠিক এরকম একটি ধাঁধা, ঢাকা অঞ্চলের-

মধ্যিখানে তালগাছ ব্রহ্মা করছে বাসা
কেউ খায়, কেউ ছোঁয়, কেউ করে আশা।

এ সকল ধাঁধার অর্থ হুঁকা।
হুঁকা নিয়ে এত কথা বলার অর্থ ধূমপানে উত্সাহিত করার জন্য নয়। বরং এ ব্যাপারে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ :
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ধূমপান মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান মানে বিষপান।


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

চমৎকার কাজ দাদা! চালিয়ে যান। আগামী মেলায় এগুলো নিয়ে একটা ঢাউস বই চাই, অবশ্যই ছবিসহ।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আবু রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ!চমত্কার পাঠক আপনি।
উত্সাহ পেলাম ভাই। কাছে থাকবেন আশা করি।
**************************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

আলাভোলা এর ছবি

আমদের বাড়ীতেও একটা আছে। সম্ভবত দাদাভাইয়ের ছিল।

চমৎকার। চলুক
--
আমার এই দেশেতে জন্ম, যেন এই দেশেতেই মরি...

আবু রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ!!
******************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

তীরন্দাজ এর ছবি

বেশ পুরোনো কথা মনে করিয়ে দিলে। আমার বাবাও সেই ফরাসী হুক্কা টানতেন। ছোটবেলায় সাজিয়ে দিয়েছি অনেক বার। টিকায় ফুঁ দিতে মজা লাগতো বেশ।

আপনার লেখাটি খুব ভালো লেগেছে।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

আবু রেজা এর ছবি

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ভ্রমণ কাহিনী অদ্ভুত!
কি সংগ্রামী জীবন আপনার - ভাবতে অবাক লাগে।
*******************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমি অনেক ছোটবেলায় দাদার হুক্কা খেয়েছি।
গন্ধটা তো ভালো লাগতোই। গুড়গুড় শব্দটাও মনে হতো নেশা ধরানো। লইজ্জা লাগে

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

আবু রেজা এর ছবি

ঠিক বলেছেন। আমারও এমন মনে হতো। ধন্যবাদ।
*********************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

অনিশ্চিত এর ছবি

ধাঁধাগুলো দারুণ। সিরিজটা চালিয়ে যান।
‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

‌‌-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!

আবু রেজা এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!! আশা করি চলবে।
**************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

শেখ জলিল এর ছবি

ছোটবেলায় লুকিয়ে হুঁক্কা টানতে গিয়ে কতোবার যে পানি খেয়ে ফেলেছি!
অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন আবু রেজা।
এরকম লেখা আরও চাই।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

আবু রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ। আমিও এরকম পানি খেয়েছি। আরো লেখা পাবেন।
*******************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

এনকিদু এর ছবি

আরে , ছবি কই ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আবু রেজা এর ছবি

আমি কম্পুকানা।
বইমেলা থেকে আপনার তোলা ছবি আমার কম্পুটারে আছে।
কিন্তু যুক্ত করতে পারি নি।
ছবি যোগ করে দিতে পারবেন, প্লীজ।
**************************************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

***************
শাহেনশাহ সিমন

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

আবু রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ।
***********************
যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

যে জন বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গ বাণী
সে জন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।