জাফলং

সুমন তুরহান এর ছবি
লিখেছেন সুমন তুরহান [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২১/০৭/২০১১ - ৯:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জাফলং

মাঝে মাঝে শিলং পাহাড়ে এসে ঘর বাঁধে
চেরাপুঞ্জির অভিমানী মেঘ ... বিচ্ছিন্ন চোখের
পাতায় পরায় ভরা কাজলের রেখা, শুরু হয়
ঝলমলে নংক্রেম উৎসব।

লাবান উপত্যকার কোলে উদাসীন উইলোর সবুজ
হাওয়া আবেশে জড়ায়, খাসিয়া কন্যার আঁচলে গলফ
কনকনে সুনীল উষ্ণতা, অনুভবে স্বরলিপি নাচ-
উমখ্রা নদীর করতাল ধ্বনি অবয়ব হয়ে ওঠে,

এ পাহাড় সুরমার ঘ্রাণ ...

---


মন্তব্য

সুমন_তুরহান এর ছবি

আবার টাইপো! (আমার চোখ তো গেছে দেখছি!) সপ্তম লাইনে হওয়া উচিৎ ছিলো - "কনকনে সুনীল উষ্ণতা, অনুভবে স্বরলিপি নাচ।" ইয়ে, মানে... দু:খিত।

তানিম এহসান এর ছবি

অনেক পোষ্টের ভীড়ে কি পড়বো, কি পড়বো ভাবতে ভাবতে জাফলং আর শিলং উপর কবিতা দেখে পড়তে শুরু করা. সময় নেই, সুমন তুরহান এর কবিতায় মন্তব্য না করে যাই কিভাবে? খুব ভালো লাগলো!

কবিতায় উপমার ঘ্রান আর কিছু বলতে দেয়না!

পুনশ্চ: আপনি আমার পোষ্ট হওয়া সর্বশেষ লেখাটিতে কোন মন্তব্যই করেননি, দারুন অভিমান হয়েছে। অভিমান রোমেল ভাইয়ের উপরেও। ভালো না লাগলে সেটাও বলুন!

সুমন_তুরহান এর ছবি

আপনি তো দেখি লজ্জায় ফেলে দিলেন তানিম ভাই। আপনার লেখায় রয়েছে প্রবল শক্তি এবং আবেগ যা আমি কখনো আনতে পারবো না। (নজরুলের 'দেখিয়া শুনিয়া ক্ষেপিয়া গিয়াছি, তাই যাহা আসে কই মুখে'র আবেগকে আমি শ্রদ্ধা করি। সাথে বলি- এ আবেগ সময়ের দাবি মেটায়, শিল্পের বা মহাকালের দাবি মেটায় কিনা তা প্রশ্নসাপেক্ষ। আমার কেবল মনে হয়েছিলো হয়তো কখনো কখনো আবেগের গলায় লাগাম পরাতে হয় কবিতা বা শিল্পের স্বার্থে। কিন্তু এটা ছিলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত মত, এ নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে।)

সর্বোপরি মনে করি, প্রত্যেককেই খুঁজে নিতে হবে নিজস্ব পথ, সৃষ্টি করতে হবে নিজস্ব সৌন্দর্য এবং সেই সৃষ্টিকে তাৎপর্যময় করে তুলতে হবে নিজের মতো করেই। পূর্বপুরুষের দেখানো পথ থেকে আমরা অনুপ্রেরণা নিতে পারি, কিন্তু সেই পথে অন্ধভাবে চলতে পারি না, কেননা প্রথাবদ্ধতার আরেক নাম মৃতু্য।

আমি ভেবেছিলাম আপনি আমার আগের মন্তব্যে ভুল বুঝেছেন বা কষ্ট পেয়েছেন। তাই আর মন্তব্য করিনি। কিন্তু এখন দেখছি আমি নিজেই ভুল বুঝেছি! এখন থেকে আর এই ভুল হবেনা। হাসি

আরে কবি আসেন কোলাকুলি করি ! কোলাকুলি

তানিম এহসান এর ছবি

মনটা ভালো করে দিলেন, আমি ভাই কঠিন আবেগী মানুষ, আমি লেখাটা ছাপা হওয়ার পর আপনার আর রোমেল ভাই এর আলোচনার প্রতীক্ষায় থেকেছি, যতবার সচলে এসেছি ততবার দেখেছি আপনারা দুজন মন্তব্য করেছেন কিনা! আমার পাগলামী আমাকেই অবাক করে সব সময়!!

এরই মধ্যে আমার এক বড়ভাই-বন্ধু নিজ থেকে ফোন করে জানিয়েছে আপনি সিডনী থাকেন এবং সেখানকার অল্টারনেটিভ কাব্য ধারার সাথে আপনি সামিল, খুবই খুশী হয়েছি শুনে। কোলাকুলিটা ফেসবুকে হউক - এহসানুল ইসলাম তানিম - পেয়ে যাবেন। আরেকটা কথা, সবার কাছে চাইতেও শিখিনি, চাওয়ার মানুষগুলো কেমন করে যেন পেয়ে যাই।

পাহাড়ের চাইতে সমুদ্র বেশী নির্বাক আবেশ আনে তবু পাহাড়ের মাধুর্য্য (বিশেষ করে পাহাড়ে জোছনা) এড়াতে পারে কে? খুব ভালো লেগেছে কিন্তু কবিতা!!

সুমন_তুরহান এর ছবি

ধন্যবাদ কবি, এই নিন সমুদ্রের কবিতা -

জলের সাথে আছে জলের গভীর পরিচয়,
সমুদ্র তাই ঐক্যবদ্ধ, পাহাড় ততো নয় ।
পাহাড় হলো একটা থেকে অন্যটা বেশ দূরে,
কিন্তু সাগর মহাসাগর বাঁধা একই সুরে ।

ধ্যানী পাহাড় আপন ধ্যানে থাকে পৃথক একা,
তখন তুচ্ছ নদীর সাথে সাগর করে দেখা ।
নদীর যতো জলের ধারা সাগর বুকে বয়
সমুদ্র তাই ঐক্যবদ্ধ, পাহাড় ততো নয় ।

পাহাড় হলো অহংকারী শিখর হিমাদ্রির,
সাগর সদা গতিচঞ্চল প্রতীক পৃথিবীর ।
সইতে জানে, বইতে জানে সারা জগৎময়,
সমুদ্র তাই ঐক্যবদ্ধ, পাহাড় ততো নয় ।

(ঐক্যবদ্ধ জল - নির্মলেন্দু গুণ )

হাসি আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

শাহীন হাসান এর ছবি

মাঝে মাঝে শিলং পাহাড়ে এসে ঘর বাঁধে
চেরাপুঞ্জির অভিমানী মেঘ ...

ভ্রমণ বিলাসী ভাব চোখে পড়ে, ভাল লাগলো বেশ!

....................................
বোধহয় কারও জন্ম হয় না, জন্ম হয় মৃত্যুর !

সুমন_তুরহান এর ছবি

ধন্যবাদ কবি! আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

কৌস্তুভ এর ছবি

ছোট্ট কবিতা ভালো লাগল। কিন্তু আবার ভালো জিনিস তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলেও খারাপ লাগে... কী যে করি!

সুমন_তুরহান এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

দারুণ লাগলো কবি................ চলুক চলুক

সুমন_তুরহান এর ছবি

ধন্যবাদ হে মৃত্যুময়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।