শুভ্র শরৎ

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৯/০৫/২০১২ - ৩:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার নেইবার এক সুইস মহিলা এখানে একটা রেস্টুরেন্ট চালায়। যার নাম 'মামা'স রেস্টুরেন্ট' বা মায়ের হোটেল। সবাই তাকে মামা ডাকে, সত্যি বলতে তার আসল নাম আমি এখনো জানিনা। সেই রেস্টুরেন্টই তার বাসা, উপরে একটা ঘরে সে থাকে। তার সাথে পরিচয় প্রায় তিন বছর আগে আমার এক বার্থডে তে তার রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। আমরা তখন কেবল এখানে এসেছি, তখনো জানতাম না যে রেস্টুরেন্টটা তার, আমদের পাশের একটা টেবিলে সে দুটো কালো বা

আমার নেইবার এক সুইস মহিলা এখানে একটা রেস্টুরেন্ট চালায়। যার নাম 'মামা'স রেস্টুরেন্ট' বা মায়ের হোটেল। সবাই তাকে মামা ডাকে, সত্যি বলতে তার আসল নাম আমি এখনো জানিনা। সেই রেস্টুরেন্টই তার বাসা, উপরে একটা ঘরে সে থাকে। তার সাথে পরিচয় প্রায় তিন বছর আগে আমার এক বার্থডে তে তার রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। আমরা তখন কেবল এখানে এসেছি, তখনো জানতাম না যে রেস্টুরেন্টটা তার, আমদের পাশের একটা টেবিলে সে দুটো কালো বাচ্চাকে খুব যত্ন করে খাওয়াচ্ছিল, বাচ্চাগুলোর একটার বয়স ২ থেকে ৩ বছর আরেকটা ৮ থেকে ৯ বছর। একসময় সে আমাদের কাছে এলো এবং জানতে চাইলো আমরা ডিনার এনজয় করছি কিনা। আমার ছেলে টুকুনের বয়স তখন আড়াই বছর, তার সাথে সে নানা কথা বলার চেষ্টা করলো, ওকে কিছু চকলেট দিলো। আমাদের সাথে টুকটাক আলাপ পরিচয়ে যখন জানলো যে আমরা নতুন এসেছি, তখন আমাকে জিজ্ঞেস করলো- তোমার ছেলেকে কোনো কিন্টারগার্ডেনে দিয়েছ কিনা?

আমি বললাম, আমি কিছুই চিনি না, তাছাড়া আমাদের গাড়ি এখনো নেয়া হয় নাই।

সে বলল- আমার এই ছোট মেয়েটা একটা নার্সারিতে যায়, তুমি চাইলে ওখানে ওকে দিতে পারো, আমিই একসাথে ওদের দেয়া-নেয়া করতে পারবো।

আমি কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না এত্তো ছোট বয়সে ছেলেকে স্কুলে দেয়ার কোনো ইচ্ছা আমার ছিলোনা!

আমার মনের অবস্থা বুঝেই হয়তো সে বলল, কালকে তুমি আমার সাথে চলো, স্কুলটা দেখে আসো, যেহেতু তোমরা এখানে নতুন এসেছ ছেলেকে স্কুলে দিলে সে তার বয়সী আর কিছু বাচ্চার সাথে মিশতে পারবে, যা একটা নতুন এনভারমেন্টে দ্রুত এডজাস্ট হতে ওকে সাহায্য করবে।

পরদিন সকাল নটায় সে আমাদের নিতে চলে এলো, আমি আর টুকন তার সাথে গেলাম বলাবাহুল্য যা ছিলো টুকুনের জীবনের প্রথম স্কুল যাওয়া। সেখানকার রংবেরঙ-এর খেলার জিনিস দেখে ছেলে এতটাই মুগ্ধ যে খুব অল্প সময়ে সে সেখানে মেতে গেলো, আমি পরীক্ষামূলক তাকে দুঘণ্টার জন্য সেখানে রেখে এলাম। যেটা ছিলো সব মায়েদের মতই আমার জীবনের একটা উল্লেখজনক ঘটনা, সেই অনুভূতিটাকে কিসের সাথে তুলনা করবো এই মুহূর্তে ঠিক বুঝতে পারছিনা, পুরো রাস্তায় আমি মামার সাথে কোন কথা বলতে পারি নাই, জানি ছেলে ভাল আছে তারপরেও গলার কাছে একটা কান্না দলা বেঁধে আছে, মাঝে মাঝে যা চোখ গড়িয়ে নেমে আসছে।

মামা আমাকে বললো, "আমি তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি আসলে সব মায়েদের জন্যেই এটা একটা কঠিন পরীক্ষা সময়, আমিও এটা এক সময় পার করেছি! বাট ট্রাষ্ট মি ইওর সন ইউল বি ফাইন, অ্যান্ড মামা'স হার্ট পেইনস মোর দেন দা বেবি'স!"

এভাবেই জীবনের একটা স্পর্শকাতর মুহুর্তের সাথে মামা-কে আমার একটু একটু করে জানা শুরু, যে কিনা আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে আফ্রিকা ভ্রমনে বের হয়েছিলো, পিছুটান বলতে তখনো কিছু ছিলোনা তার, স্বামী মারা গেছে তারও অনেক আগে, আর ছেলে মেয়রা সব বড় হয়ে যে যার মত ব্যস্ত, পৃথিবীটাকে নিজের মতো করে দেখার, জীবনটাও নিজের মতো করে কাটাবার এইতো সময়! ঘুরতে ঘুরতে একসময় সে আসে ছোট্ট দেশ গাম্বিয়ায়, অজানা কারণে ভাল লেগে যায় তার এই দেশটি, থেকে যায় এখানে। তার কাছ থেকেই জেনেছি যখন সে এখানে আসে জঙ্গলে ভরা ছিলো পুরো দেশটি, তারপরেও তার নিজের দেশ সুইজারল্যান্ড থেকে সম্পূর্ন বিপরীত আবহাওয়া, প্রকৃতি, পরিবেশের একটি দেশে সে কেন রয়ে গেলো তা শুধু সে-ই জানে! এখানে আসার তিন বছরের মাথায় তার বাবা মারা যায় বার্ধক্যজনিত কারণে। তার সাথে এসে থাকা শুরু করে তারই ছোট বোন নেলী, হয়ত নেলীর নিজের জীবনের নিঃসঙ্গতা কাটানোর আকাঙ্ক্ষাও ছিলো এর পেছনে আর একটা কারণ। কিন্তু সে সঙ্গও বেশি দিন উপভোগ্য হয় নাই তাদের দুবোনের কাছে। বাবার মৃত্যুর পর ক্যান্সার আক্রান্ত বোনটির চলে যাওয়াও সে মেনে নেয় প্রবল দৃঢ় মানসিকতার সাথে!

একদিন সে আমার বয়স জানতে চেয়ে হেসে বলেছিলো, আমার গ্র্যান্ড ডটার তোমার থেকে বড়। মামার বয়স আনুমানিক ৭০ থেকে ৭৫, কিন্তু তাকে আমি বৃদ্ধ বলতে পারিনা, কারণ তাকে বৃদ্ধ বললে আমার নিজেকে মৃত বলা লাগে অনেক আগেই! তার রেস্টুরেন্টের এমন কোনো কাজ নেই সে করে না, ভোর ৬ টায় উঠে সে দিনের প্রথম সিগারেট ধরায় এবং কাজ শুরু করে, সে একজন চেইন স্মোকার। গুনে গুনে ফোন করে সবজিআলা, মাছওয়ালা আর গোশওয়ালাকে, এছাড়াও খাতায় লিখে রাখা রুটিন মাফিক প্রতিটা কাজ সে করে নিয়মমতো।

কখনো সকালে সারা গায়ে রং মেখে টুকুনকে স্কুলে নিতে চলে আসে, আমাকে অবাক দেখে হয়তো অপ্রস্তত হয়ে বলে, "সকাল থেকে বাইরের দিকের ওয়াল গুলা পেইন্ট করছি, দেখতো বর্ডারের রংটা কেমন লাগছে? অনেস্টলি বলো! ওদের স্কুলে দিয়ে এসে দ্রুত বাকীটা শেষ করবো!"

যদিও এখানে যেকোন কাজের জন্যে লোক পাওয়া যায় খুব সহজে, কিন্তু তাদের অপেক্ষায় সে বসে থাকে না কখনো। বরং তাদের সাথে সমানে হাত লাগিয়ে তাদের চেয়ে বেশি কাজ সে নিজেই করে ফেলে। একাধিকবার তাকে আমি বাগানে কাজ করতে, সমানের রাস্তা বা ঝোপ পরিস্কার করতে, ছেড়ে রাখা পোষা কচ্ছপ খুঁজে বেড়াতে দেখেছি! বিকেলে প্রতিটা টেবিলে গিয়ে কাস্টোমারের সাথে কথা বলা, খাওয়া কেমন লাগছে জানতে চাওয়া। খাওয়া হয়ে গেলে ওয়েটারকে ডাকার বদলে নিজেই হাতের কাছের এঁটো প্লেটগুলো তুলে নিয়ে যাওয়া, সবকিছুই সে করে দিগুণ উৎসাহের সাথে। প্রতিদিন প্রচুর লোক আসে তার রেস্টুরেন্টে, শুধু খাওয়া নয় বরং মামার সাথে দুটো কথা বলে মনে শান্তি পেতে বা বলা যায় মামার সঙ্গ পেতে!

আবার যখন ওকে খুব ক্লান্ত লেগেছে, জিজ্ঞেস করেছি, তুমি ভাল আছ তো? তোমাকে অসুস্থ লাগছে কেন?

হেসে বলেছে, আমার এই মেয়েটা খুবই খারাপ বেবি, এখনও তাকে আমার কোলে নিয়ে ঘুমিয়ে দেয়া লাগে, যখনি মনে হয় ও ঘুমিয়ে পড়েছে বিছানায় শোয়ায় দিই, ব্যস! অমনি আবার জেগে যায়, ও সারারাত আমার কোলেই ঘুমাতে চায়! জানো, আমার আগের কোনো বেবি এত্তো দুষ্টু ছিলোনা! আবার আমাকে জিজ্ঞেস করে, তোমার ছেলে তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব করে নাতো! বলা হয়নাই, যে দুইটা বাচ্চাকে সে পালছে তারা আসলে তার রেস্টুরেন্টে কুক এক মেয়ে, তার বাচ্চা। দুটাকেই সে অ্যাডপ্ট করেছে, তাদের থাকা-খাওয়া, ভাল স্কুলে পড়া সব কিছুই সে করছে নিজের সন্তানের মতই, ছোটটা দুই মাস বয়স থেকেই মামার কোলে ঘুমায়। প্রায় বিশ বছরে সে এখানকার চারটা নেটিভ বাচ্চা পালছে একদম ছোট থেকে, আগের দুইটাকে গ্রাজুয়েশনের জন্য ইংল্যান্ড পাঠিয়েছে নিজের চালানো রেস্টুরেন্টের সামান্য সঞ্চয় থেকে। কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম তার সাথে দেখা করতে, দেখি আর একটা ছোট নেওটা কোথা থেকে যোগাড় করেছে, কোলের মধ্যে নিয়ে বসে আছে, নাক দিয়ে যথারীতি ঝোল গড়াচ্ছে সেটা নিয়ে মামাকে তেমন বিচলিত মনে হচ্ছেনা। আমাকে দেখে উৎফুল্লের সাথে বলে ওঠে, দেখ এইটা আমার পাঁচ নাম্বার গাম্বিয়ান বেবি!

আসলে মানুষটাকে যত জেনেছি তত বিস্ময়ে অনুভব করেছি বেঁচে থাকার আসল সংজ্ঞা। বলতে গেলে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে একজন প্রকৃত সুখী মানুষকে। না, কোনো লাক্সারিয়াস জীবন, দামী গাড়ি, বাড়ি, কাড়ি কাড়ি টাকা, সন্তান-সন্ততি, আপনজন অথবা খ্যাতি, গতানুগতিক কোন কিছুরই পরোয়া করেনা তার সুখ! বরং নিজের পরিশ্রম এবং ভালোবাসায় গড়ে তোলা ছোট্ট একটা পেশা, সারাদিন তাতেই ব্যস্ত সময় কেটে যাওয়া, সেখানেই খুঁজে নেয়া আপনজনের মাঝে ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়া, দিন শেষে হিসেবের বইটাতে খুচরো কিছু অংক, তারপরেও রাত্তিরে শ্রান্তির প্রগাঢ় ঘুম দেবার অবকাশ নেয় না সে! জীবনের জটিলতা, বয়স, একাকীত্ব সবকিছুকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত সে যেন উপভোগ করছে শুধু নিজের মতো করে। হয়ত একেই বলে বাঁচা!

আমার আগের লেখা একাকীত্ব ছিলো নিঃসঙ্গতার জটিলতা নিয়ে একটা গল্প, আমাদের সমাজের বাস্তবতা নিয়েই লেখার চেষ্টা করেছিলাম, একটা উদাহরণ খুঁজছিলাম জীবনের প্রতি শক্ত ইতিবাচক মানসিকতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তিত্বের, আমার চোখের সামনে ‘মামা’র চেয়ে ভালো উদাহরণ বুঝি আর পাওয়া সম্ভব না, আমাদের সমাজে যা বিরল! কেন একজন মানুষ ছেলে মেয়ে বড় করে, গতানুগতিক সব কাজের অবসরের পরে, নতুন করে শুধু নিজের জন্যে বাঁচতে পারবে না? সেসব কিছু করতে পারবে না যা সে আগে করার ফুরসৎ পায় নাই? জীবন তো ততদিন যতদিন মানুষের মনটা বেঁচে থাকে, কেন শরীরের অবসরের আগেই মনকে অবসর নিতে হবে! কেন বয়সের বেড়াজালে আগে মনকেই বেঁধে ফেলতে হবে! প্রতিটা বয়সের একটা নিজস্ব সৌন্দর্য্য আছে যেমনটা ফুটে উঠে নির্মলেন্দু গুণের কবিতায়- “যৌবনের শেষে শুভ্র শরৎকালের নেয় একটি গভীর, প্রশান্ত, প্রগাঢ় বয়স আসে; যখন জীবনের ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।“

আমার মনে হয়, একজন মানুষের প্রয়োজন পৃথিবীতে কখনো ফুরায় না, যতদিন না সে নিজে তা মনে করে বরং সবসময় তার পৃথিবীকে দেয়ার বাকি কিছু থেকেই যায়---

(লেখাটি আমার বাবাকে উৎসর্গ করলাম)

-----------------

রংতুলি


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মামার গল্প ভালো লাগলো। কিন্তু মামা কি রেস্টুরেন্টে বসে চেইন স্মোক করে? আপনার ঐ অংশের বর্ণনা পড়ার সাথে সাথেই সিগারেটের অসহনীয় গন্ধ পেলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু করার নাই ভাই, যে যেমন সে তেমন! থাকনা সে তার নিজের মত, আমরা বরং ওর ভালো গুণগুলো দেখি! হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি এটা তার অগুন অর্থে দেখিনি, বরং মন্তব্যটি করেছি নিজের এবং ক্রেতাদের প্রেক্ষিত বিবেচনা করে হাসি
অবশ্যই উনি যে কাজ করছেন তা এইসময়ে বিরল।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয়, একজন মানুষের প্রয়োজন পৃথিবীতে কখনো ফুরায় না, যতদিন না সে নিজে তা মনে করে বরং সবসময় তার পৃথিবীকে দেয়ার বাকি কিছু থেকেই যায়---

কথাগুলো বেশ ভাল লেগেছে। লেখার মধ্যে প্রাণ আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ! হাসি প্রাণ কিছু মানুষের মধ্যে আছে, যাদের দেখলে নিজেকে আসলে মৃত মনে হয়!

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

লেখাটা পড়ে ভাল লাগছে বলতে পারেন অনুপ্রেরনা পাচ্ছি কারন আমার নিজের এমন একটা রেষ্টুরেন্ট হবে এই স্বপ্ন দেখি।আল্লাহ সহায় থাকলে এটা আমি পূরন করব।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাকে অনুপ্রেরণা যোগাতে পেরে সত্যি খুব ভাল লাগছে! হাসি দোয়া করছি আপনার রেটুরেন্টের স্বপ্ন দ্রুত পূরণ হোক!

কাজি মামুন এর ছবি

অসাধারণ লাগল মামার কাহিনী। আসলে এমন মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। জীবন সংগ্রামে হাল ছেড়ে দেয়া কোন মানুষ মামার কাহিনী জেনে নিশ্চয়ই খুব উদ্দিপ্ত হবে।

আমার মনে হয় একজন মানুষের প্রয়োজন পৃথিবীতে কখনো ফুরায় না, যতদিন না সে নিজে তা মনে করে বরং সবসময় পৃথিবীকে তার দেয়ার কিছু বাকী থেকেই যায়

অসাধারণ!

অতিথি লেখক এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ! হাসি

"এমন মানুষদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে"

"জীবন সংগ্রামে হাল ছেড়ে দেয়া কোন মানুষ মামার কাহিনী জেনে নিশ্চয়ই খুব উদ্দীপ্ত হবে।"

-পুরোপুরি সহমত চলুক

সুলতান এর ছবি

মামা'র গল্প অসাধারন লাগলো। লেখাটা পড়ার পর মনে হল মামা কি করছে আর আমরা কি করছি!!

লেখা ভালো লেগেছে।

শুভকামনা আপনার জন্য।

রংতুলি এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ!

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা। হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কেন শরীরের অবসরের আগেই মনকে অবসর নিতে হবে! - একেবারে ঠিক্কথা।
আমি মাঝেমাঝেই এই মামা'স লাইফের মতো লাইফ কাটানোর স্বপ্ন দেখি। হাসি

ওহ আরেকটা কথা, আপনার "একাকীত্ব" গল্পটায় যে কমেন্ট করেছিলাম, সেটাতে কিন্তু এরকম মোটেও বলিনি যে, শুরুটা যে আমার ভালো লাগেনি। ওটার শুরু, শেষ, সবই ভালো লেগেছে। ভালো লেগেছে এটাও। হাসি

আপনার বাবাকে নিয়ে কিছু লিখুন না!

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রংতুলি এর ছবি

আমিও একি স্বপ্ন দেখি! হাসি

আগের লেখার কমেন্টটা আসলে আমার নিজেরই ভুল, কণা আবীরের মিট হওয়ার অংশটা লেখার পর থেকেই মনে হচ্ছিল হয়ত এরকম ইদানীং বাংলা নাটকে প্রায় দেখানো হচ্ছে, কিন্ত আমার লেখার বিষয়টা যেহেতু আলাদা ছিলো, তাই ওই অংশটা নিয়ে আর মাথা ঘামাতেও ইচ্ছা হচ্ছিল না! আপনার কমেন্টটা ঠিকমত না বুঝেই নিজের আশংকার কথা বলে ফেলছি, পরে যদিও বুঝছিলাম যে আপনি কি বলতে চেয়েছেন! নুতুন ব্লগিং তো তাই, হে হে হে... খাইছে

দুইটা আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

রংতুলি এর ছবি

বাবা রিটায়ার্ড করেছে প্রায় এক বছর, সে কিছু করছে না চুপচাপ বসে আছে এই ছবিটা মনে আসলে, আমার নিজেরই অস্থির লাগে! খাইছে

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমার বাপজানও রিটায়ার্ড। বহুদিন। কিন্তু তার কাজের কোনো অভাব নাই। খাইছে

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রংতুলি এর ছবি

চলুক হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার!!

_____
বুনোফুল

রংতুলি এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।