শয়তানের টুপি অন্বেষা ও আমার সাধনার হতইতিগজঃ

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: শনি, ০৪/১০/২০০৮ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৮০/৮১র দিকে ক্লাস এইট-নাইনের ছাত্র থাকা কালীন একবার শুনতে পেলাম সাতগাঁয়ে কোন চোর নাকি অদৃশ্য হয়ে থাকতে পারতো। তখন আমার বিশ্বাস এমনিতেই ঠুনকো ছিলো। তা ছাড়া মসজিদে স্রষ্টাকে কেউ দেখতে পেয়েছে কিনা প্রশ্ন করে ইমাম সাহেবের দৃষ্টিতে আমি তখন কাফেরের গোষ্ঠীবদ্ধ। তখনই কোনো এক চাঁদনী রাতে গ্রামের আরো দু’জন ভাস্তে সম্পর্কের বন্ধুর সঙ্গে হাঁটতে হাঁটতে এগোচ্ছিলাম।

সেই বয়সটাতে ছেলেমেয়েদের মাথায় এমনিইতেই নানা উদ্ভট চিন্তা-ভাবনা গিজগিজ করতে থাকে। আমাদেরও ছিলো। সে কথা এখন আর না-ই বলি। কথায় কথায় মফিজ (পরে যে নিজের নাম রেখেছে হৃদয়। যদিও মফিজ কথাটা তখনও ভোদাই/চদু/বেকুব ইত্যাদির বিকল্প হিসেবে চালু হয়নি।) সাতগাঁয়ের চোরের অদৃশ্য হওয়ার নানা ঘটনা বর্ণনা করছিলো। তার বলার ভঙ্গিটিও ছিলো চমৎকার! সেই চোর কখনো পাতা হয়ে যায়, কখনো বা পিঁপড়ে হয়ে গৃহস্থের হাতে ধরা পড়তে পড়তে বেঁচে যায়। ভাবনাটি তখনই আমার মাথায় ঢুকে পড়ে। মনে মনে খুঁজি এমন কোনো উপায় আছে কি না।

পরে একদিন চাচা আব্দুল্লা (ভালো নাম ছিলো আব্দুর রহমান।) এমনি নানা উদ্ভট গল্প শোনাচ্ছিলেন। তখনও আমার মাথায় সাতগাঁয়ের সেই চোরের অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘুরছিলো। তখন তাঁকে ফট করে জিজ্ঞেস করে বসি, ‘সাতগাঁয়ের কোন চোর বলে গায়েব অইতো পারতো?’
‘পারতো।’
চাচা জবাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি যদি বলতেন এমন কথা তিনিও শুনেছেন। আসলে আমাদের দাদা এবং তাঁর ভাইয়েরা যখন কিশোর সেই সময়কার একটি চালু গল্প। দিনে দিনে বিভিন্ন কথকের মুখে প্রচারিত হতে হতে নানা রঙে বর্ণিল হয়ে উঠেছে। আর সেই বর্ণনা শুনছি আমার মত বেদম কৌতুহলী এক কিশোর যে কিনা স্কুল ল্যাবরেটরিতে এসিড মুখে দিয়ে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে ফেলেছিলো। যেহেতু চাচা বলেছেন যে, সাঁতগায়ের চোর অদৃশ্য হতে পারতো, তখন আর আমাকে পায় কে! আমাকেও শিখতে হবে কিভাবে অদৃশ্য হওয়া যায়! [পাঠক ভাববেন না যে চুরি করতেই এমন কৌশল শিখতে মরীয়া হয়ে উঠেছিলাম। দেঁতো হাসি ]

তারপর আমার শুরু হলো অন্বেষা। কেউ বলে মন্ত্র পড়তে হয়। কেউ বলে সুরা পড়তে হয়। কেউ বা বলে শয়তানের টুপি থাকলে সম্ভব। তখনই আগ্রহ তৈরী হলো মন্ত্র কি? কোন বইপুস্তকে পাওয়া যাবে? সুরা হলে সেই অসামান্য সুরার নাম কি? এভাবে আমার অন্বেষণ চলতে থাকলে বিচিত্র মানুষের সংস্পর্শে আসতে থাকি। আমার জানামতে বেদেরা মন্ত্র-তন্ত্র ভালো জানে। আর মন্ত্রের জোরেই বিভিন্ন সাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। (তখন শরৎচন্দ্রের বিলাসী পড়া হয় নাই।)

আমাদের কাছাকাছি বড় বাজার ইলিয়টগঞ্জ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উত্তর দিকেই গোমতীর একটি শাখা। সেখানে বেদের বহর। পঞ্চাশ-ষাট কিংবা সংখ্যায় আরো বেশি বেদের নৌকা হবে। একদিন কাউকে কিছু না জানিয়ে গেলাম সেই বেদের বহরে। ঝারু বা সারু নামের এক বয়স্ক বেদের কাছে এমন অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্রের কথা জানতে চাইলাম। সে কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বললো, ‘উসকুলি পড়িস?’
আমি মাথা নেড়ে জানাই, পড়ি।
তখন সে বললো, ‘ইটা তোর লাকান পুলাপানের কাম না! ইসব কাম করতে সাপির মণি লাগে। সাপির মণি বহুত দাম!’
আমি দমে না গিয়ে বলি, ‘কত?’
লোকটি চোখ ঘুরিয়ে মাথা নেড়ে নেড়ে বলে, ‘পঞ্চাশ-ষাইট লাখ!’
আমার মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হয় না।
আমার নিরবতা দেখে লোকটি তখন বললো, ‘ইসব চিন্তা না করিস! ভালা করি লিখাপড়া কর!’

ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসি। কিন্তু আমার মাথায় ঘুরছিলো, সত্য না হলে এসব কথার জন্ম হলো কি করে?
তখন ধরলাম আমার পরিচিত এক মোল্লা বন্ধুকে। সে জানালো পহাড়পুরের হুজুর জ্বিন পোষেন। জ্বিনেরা ইচ্ছা করলে মানুষটিকে আড়াল করতে পারে। তখন শুনতে পেতাম আমাদের স্কুলের হেডমাস্টার সাহেবও নাকি মন্ত্র-তন্ত্র করেন। জ্বিন পোষেন। কিন্তু স্যারের সঙ্গে তখনও আমার তেমন গুরু-শিষ্যের সম্পর্ক হয়নি।

তো সেই বন্ধুটিকে ধরলাম যে, আমাকে শেখাতেই হবে জ্বিন পোষার সুরা। সে বললো যে, খুবই সহজ কাজ! সুরা জ্বিন মুখস্ত করে অন্ধকার ঘরে চল্লিশবার পড়লেই জ্বিন এসে হাজির হয়।

মনে হলো তখনই ”ইউরেকা” বলে চেঁচিয়ে উঠি। ঠিক তখনই সে জানালো, জ্বিন আনতে হলে নামাজ পড়তে হয় পাঁচ-অক্ত। সব সময় অজু রাখতে হয়। পাক-পবিত্র থাকতে হয়। একটুও ভয় পাওয়া চলবে না। কথা শুনে মনে মনে ভাবি এ আর এমন কী শক্ত কাজ! কেবল সুরা জ্বিন মুখস্ত করাটাই একটু কঠিন হবে!

তখনও আমি আরবি ভালো পড়তে পারি না। খুঁজি বাংলা কোরান শরিফ। কিন্তু কোথায় পাই? মসজিদে মসজিদে ঘুরে খুঁজতে লাগলাম বাংলা উচ্চারণ সহ কোরান শরিফ আছে কি না। আমার গ্রামের দুটো গ্রাম পরে এক মসজিদে পেয়েও যাই। কিন্তু পৃষ্ঠাগুণে দেখি চল্লিশ পৃষ্ঠার মত। সুরার আকৃতি (বাংলা-আরবি) দেখেই আমার জ্বিনের চিন্তা বাদ দিতে হয়। আর কোন পথ বাকি আছে? দেখি কোনো বই-পত্র পাওয়া যায় কিনা। যে কাজে হাত দিয়েছি তা তো কাউকে বলাও যায় না। বিশেষ করে বাজারে গিয়ে যদি বলি যাদু-মন্ত্রের কোনো বই আছে কিনা। তখন দোকানদার তো আমার দিকে চোখ তুলে তাকাবেই, পাশে কেউ থাকলে সেও একবার মাথা ঘুরিয়ে আমাকে দেখবে। কাজেই খুবই গোপনে করতে হবে কাজটা। বইও খুজতে হবে গোপনেই।

হাট বসে শনি আর মঙ্গলবার। তখন অনেক বইঅলা কোরান, তসবিহ, আতর, সুরমা, তাবিজের কেতাব, ফাজায়েল-এ অমুক তমুক বই নিয়ে বসে। আমি সেখান দিয়ে ঘোরাফেরা করি আর চোখ রাখি। আর কী আশ্চর্য! একদিন পেয়ে যাই মিশরীয় কেরামতি ও যাদু নামের একটি বই। খুবই তাচ্ছিল্য দেখিয়ে সেটা হাতে তুলে নেই। সূচী দেখি। শয়তানের টুপি নামে নামে একটি চ্যাপ্টার পেয়ে যাই। আর এক দামেই কিনে নিয়ে আসি।

বাবা-মা ভাইবোন কাউকেই দেখাই না সেই বই। কাগজ দিয়ে সুন্দর করে মলাট বেঁধে আড়াল করে দিয়েছি অদ্ভূত-দর্শন সেই প্রচ্ছদ। অমূল্য রতন পেয়েগেছি! এখন কেবল চমকে দেবার পালা! কিন্তু তখনও ভেতরে কী আছে দেখার সুযোগ পাইনি। কাজটি তো খুবই গোপনীয়! রাত গভীর হলেও আমার জেগে জেগে স্কুল পাঠ্যের বাইরের বই পড়ার অভ্যাস ছিলো। সেই সুযোগে শয়তানের টুপি আহরণের বৃত্তান্ত পড়ি আর ভাবি এতো খুবই সহজ! কাঁচা সর্ষেতে মন্ত্র পড়ে ফুঁ দিয়ে সে মন্ত্রসিদ্ধ সর্ষে ছড়িয়ে দিতে হবে। কাক বা কোনো পাখি এসে সে সর্ষে কুড়েকুড়ে খাবে। শেষ সর্ষেটি বাকি থাকতেই তা হাতে নিতে হবে। ব্যাস মিলে গেল টুপি!

হায়রে! তখন যদি জানতাম কাক সর্ষে খায় না। উঠোনে সর্ষে ছড়ানো থাকলেও দেখিনি কোনো কাক এসে একটি ঠোকর দিতে।

যাই হোক, পরদিন থেকে নেমে পড়ি কাজে। যেখানেই ঝোঁপ-ঝাঁড় দেখি মন্ত্র পড়ি আর মায়ের জমানো কাঁচা সর্ষে চুরি করে এনে ফুঁ দিয়ে ছিটাই। কিন্তু কাকের দঙ্গল সে সর্ষের দিকে ফিরেও তাকায় না। ফলে কিছুদিনের মধ্যেই আমার শয়তানের টুপি সংগ্রহের চেষ্টা ক্ষান্ত দিতে হয়। কারণ, ততদিনে মায়ের সর্ষের রিজার্ভ কলসের তলায় এসে ঠেকেছে। আর আমিও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।

তার পরও, বইটি দীর্ঘদিন আমার কাছে ছিলো। কিভাবে যেন বন্ধুরা টের পেয়ে গিয়েছিলো আমি মন্ত্রের কারবার করি। তখনই খোরশেদ নামে আমার গ্রামেরই এক সহপাঠি এসে আমাকে খুব করে ধরে একটি মন্ত্র দিতে। মেয়ে পটানোর মন্ত্র। কোনো একটি মেয়ে তাকে পাত্তা দিচ্ছে না। দেখলেই মনে হয় তাকে ঘৃণা করে। আমিও ভাব দেখিয়ে ক’দিন ঘুরিয়ে সেই বই থেকে একটি মন্ত্র কাগজে লিখে তাকে দিলাম। নিয়ম অনুযায়ী তাকে বলে দিলাম যে, সাতবার পড়ে মেয়েটির হাত ছুঁতে হবে। নিজে কার্দানি করে বলে দিলাম যে, ছোঁয়ার ব্যাপারটি যে ইচ্ছাকৃত মেয়েটি যেন টের না পায়। কিন্তু আমি জানতাম অর্থহীন কথায় কোনো কাজ হবে না। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে খোরশেদ এসে একদিন জানালো, ওস্তাদ কাম তো অইয়া গেছে!

তারা আজও সংসার করছে। তাদের সম্মিলনে জন্ম নেয়া মেয়েদের বিয়েও হয়েছে। কিন্তু আমি আজও ভেবে পাই না এ কী করে সম্ভব হলো? যদিও এর পর অনেকেই ট্রাই করেছে। কিন্তু মন্ত্রের সুফল পায়নি। মন্ত্রটি এখানে তুলে দিচ্ছি-
ওঁ কামদেব হস্তস্পর্শং উত্তাং কুরুঃকুরুঃসাহা


মন্তব্য

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

দারুণ গল্প, দারুণ লেখা।
আসলে সব যাদুই মানুষের হৃদয়ে!
কিন্তু মিশরীয় কেরামতির বইতে সংস্কৃতে মন্ত্র কেন?হো হো হো

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আসলে সব যাদুই মানুষের হৃদয়ে!

ঠিক! একটি কথা হাজার বার আউড়ালে মনের ভেতর কিছুটা হলেও পরিবর্তন আসে। আর মানুষের ইচ্ছাশক্তির ক্ষমতা যে কতটা তা হয়তো বিভিন্ন ভাবে কিছুটা হলেও জেনেছেন।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

কিন্তু মিশরীয় কেরামতির বইতে সংস্কৃতে মন্ত্র কেন?

-কথা তো এখানেই। মানুষকে মানুষ কিভাবে বুদ্ধু বানাচ্ছে সেটাই দেখার বিষয়। আর যারা এসব কাজ পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে তারা কিন্তু বিদ্যার দৌঁড়ে খুব একটা অগ্রসরমান নয়। সেটা নিয়ে তারা যেমন ভাবে না, তাদের কাছে যারা যায় তারাও এসব নিয়ে ভাবে না। ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অমিত আহমেদ এর ছবি

সেরম মজা পাইলাম।
এ ধরণের লেখা আরও লেখেন।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ধন্যবাদ। সেই বয়সে ভালো কাজের তালিকাটা কোন অদৃশ্য কারণে যেন ছোট হয়। তাই আরো দিতে গেলে আমারই গলায় টান পড়তে পারে। তবুও ভাবি! দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

ভাই, আপনি ত দেখি কঠিন সাধক ছিলেন?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

চেষ্টাতো করসিলাম শয়তানরে পকেটে পুরতে। পরে দেখলাম আমারেই মানুষে কয় শয়তান!
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

ভাই, আপনি ত দেখি কঠিন সাধক ছিলেন!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

পথে হারানো মেয়ে (যাচাই করা হয়নি)
-আপনার কন্ঠস্বর কেমন চেনা মনে হচ্ছে।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

পুতুল এর ছবি

বেদের বহর তাহলে দেখেছেন। শোনেন মিঞা ইন্দুরের দুধ, মশার হাড্ডি, জোনাকী পোকার আগুনে পোরা দিয়া, বড়ি বানাইবেন। কুয়াশার একপোয়া জলে পদ্ম মধু দিয়া হেই বড়ি আমাবস্যার রাইতে গিল্লা খাইবেন। বড়ি যেন দাঁতে না লাগে। তাইলে যখন ইচ্ছা হবে তখনই অদৃশ্য হইতে পারবেন। ওষুধে কাম না অইলে পাবলিকে গনপিটুনী দিতে পারে! কিন্তু পিটনী খেয়ে ফেললে পানের সাথে একটু আফিম খেয়ে নেবেন, ব্যাথা-বেদনা লাগব না।
সাতদিন বাদে খবর জানাইবেন, ইলিয়ট গঞ্জের মুন্সীবাড়ির মায়ার কাছে গিয়া।
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মায়া ছেলেধরা আসিলো, নাকি আপনেরা মায়া-পাগল আসিলেন?

আমি বৃত্তের বাইরের লোক। ত্রি-ভূজের। তাই মনে হয় দেখা কিংবা শ্রবন কোনোটাই হয় নাই। দেঁতো হাসি
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

ভাঙ্গা মানুষ [অতিথি] এর ছবি

হায়রে ছোটোবেলা - তার ব্যর্থতার গল্পও কত মজার...

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ছোটবেলাটাই মজার। যে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন। তাই হয়তো ছোটদের কান্না দেখেও বড়রা হাসে।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

তীরন্দাজ এর ছবি

বিশ্বাসে পাবি রে মূল্য, তর্কে বহুদুর!

অনেব সময়ই কথাটি ঠিক হয়ে দাঁড়ায়। বেশ মজা করে লিখেছেন। ভাল লাগলো।

নিয়ম অনুযায়ী তাকে বলে দিলাম যে, সাতবার পড়ে মেয়েটির হাত ছুঁতে হবে। নিজে কার্দানি করে বলে দিলাম যে, ছোঁয়ার ব্যাপারটি যে ইচ্ছাকৃত মেয়েটি যেন টের না পায়।

হয়তো এই অনিচ্ছাকৃত ছোঁয়াই ছিল সাফল্যের চাবিকাঠি। মন্ত্রফন্ত্র নয়!

*******************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মন্ত্রফন্ত্র খুঁটিয়ে দেখেছি। কতগুলো অর্থহীন বা পরম্পরাহীন শব্দ সমষ্টি। কিন্তু তা দিয়ে যে কী থেকে কী হয় বুঝে পাই না। মন্ত্র সাহিত্য বলে একটি গবেষণামূলক বইয়ে আরো ব্যাপক অর্থহীন কথা পেয়েছিলাম।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।