অতিথি ওয়াইল্ড-স্কোপ: একটি হাদিস ও প্রফেসর ডঃ মুজীবুর রহমান

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: শনি, ০৯/০১/২০১০ - ১:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ওয়াইল্ড-স্কোপ একটি লিংক দিয়েছেন সহী বুখারী
তিনি অভিযোগ করেছেন আমি বুখারীর ৩৯নং হাদিসটি পুরাটাই উল্টাপাল্টা বলেছি। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি যে আরব দেশে বসে প্রফেসর ডঃ মুজীবুর রহমান কোর’আনের যে বাংলা অনুবাদ করেছেন এবং সেখানে যে হাদিস সমূহের সূত্র ব্যবহার করেছেন তা ইংরেজি অনুবাদের চেয়ে আরো বেশি নির্ভরযোগ্য। কেননা এ অনুবাদের সঙ্গে আরবের ধর্মবেত্তারাও জড়িত আছেন। সে ক্ষেত্রে ডঃ মুজীবুর রহমান উল্টাপাল্টা বলবেন বা লিখবেন সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। ওয়াইল্ড-স্কোপের মন্তব্য ও লিংক দেখে এশার নামাজের সময় আবার আমি মসজিদে গেলাম। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারীর কাছে কোর’আনটি চাইলে সে দিতে রাজি হয়নি বলে স্ক্যানড ইমেজ সংযোগ করতে পারলাম না। যে কারণে সূত্র উল্লেখ করে দিচ্ছি। সৌদি আরবের অনেক বাঙালীর কাছে সে অনুবাদ সহ কোর’আনটি আছে এবং তাদেঁর অনেকেই সচলায়তনের নিয়মিত পাঠক। তাঁরাও একটি স্ক্যানড ইমেজ দিতে পারেন। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোর’আন স্ক্যান বৈধ বলে আমার আশপাশের অনেকেই মনে করেন না। যাই হোক সূত্র হিসেবে আমি বলছি, “বাংলা তাফসীর, কুর’আনুল কারীম, অনুবাদ প্রফেসর ডঃ মুহম্মদ মুজীবুর রহমান, সুরা মুরসালাত (৭৭) এর ১নং পাদটীকা (পৃষ্ঠা ১০৬৪), পারা ২৯।

পাদটীকায় বলা হয়েছে যা হুবহু তুলে দিতে চেষ্টা করছি:
১. আনাস ইবনে মালে(রাযিআল্লাহু) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ বলেছেন, আমাকে লোকদের সংগে জিহাদ করার হুকুম দেয়া হয়েছে। যতক্ষণ না তারা বলে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো মাবুদ নেই।“ যখন তারা তা বলবে এবং আমাদের মত নামাজ পড়বে, আমাদের কিবলার দিকে মুখ করবে এবং আমাদের যবেহ করা প্রাণী খাবে তখন তাদের রক্ত ও সম্পদ আমাদের জন্য হারাম সাব্যস্ত হবে। তবে ইসলাম তাদের জন্য যে হক নির্ধারণ করে দিয়েছে তা ছাড়া তাদের আন্তরিকতার হিসেব আল্লাহর নিকট। (বুখারী, হাদীস নং ৩৯।)

প্রসঙ্গত বলতে চাচ্ছি যে, প্রফেসর সাহেব হাদিসটির ব্যাখ্যা ভুল করেননি বা প্রিন্টিঙেও হয়তো ভুল হয়নি। আর তা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে এ হাদিসটিতে যা বলা হয়েছে অর্থাৎ একজন বিধর্মী যতক্ষণ মুসলমান না হবে ততক্ষণ তাদের (অমুসলিমদের) সম্পদ ও রক্ত রসুলের জন্য হালাল। যার অর্থ হচ্ছে তিনি অমুসলিমদের সম্পদ হস্তগত করতে পারবেন ও তাদের হত্যা করতে পারবেন। এখন কথা হচ্ছে কেবল রসুলের জন্যই যদি এ হাদিসটি প্রযোজ্য হয়ে থাকে তাহলে তা বর্তমানে বুখারী বা কোর’আন শরীফে অন্তর্ভূক্ত না করাটাই বোধ হয় সমীচীন। আর তা যদি সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য প্রযোজ্য হয় তাহলে তা অবশ্যই ভয়ঙ্কর এবং অমুসলিমদের ক্ষেত্রেও বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার পোস্ট পড়ে কিছুই বোঝা গেলনা। কোন পাদটীকা বুঝতে গেলে কোথায় সেই টীকা দেয়া হয়েছে সেটা না জেনে বা না পড়ে বা কনটেক্সট না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবেনা, তাই কিছু বলছিনা। সুরা মুরসালাতের সাথে এই টীকা কেন আসল তা ঐ অনুবাদ পড়তে পারলে বোঝা যেত। আরেকটু বিস্তারিত দিলে ভালো হল। আপনি অনেক বড় বড় উপন্যাস লিখতে পারেন, অথচ এরকম আধাআধি একটা পোস্ট দিয়ে ছেড়ে দিলেন ব্যপারটা কেমন যেন হলো। এরকম পোস্ট শুধু কিছু ব্যক্তিকে রসদ যোগাতে সহায়ক হতে পারে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আপনি অনেক বড় বড় উপন্যাস লিখতে পারেন, অথচ এরকম আধাআধি একটা পোস্ট দিয়ে ছেড়ে দিলেন ব্যপারটা কেমন যেন হলো।

-আমার এ সীমাবদ্ধতাটুকু মেনে নিচ্ছি।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

শেখ নজরুল এর ছবি

আমারও একই মত। গলদটি কোথায় ঠিক বুঝতে পারছি না।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

হাসিব এর ছবি

আমি হৈলে এই পোস্টটা না দিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্টে মন্তব্য আকারে দিতাম । এতে পাঠকদের কনটেক্স বুঝতে সুবিধা হয় ।

হিমু এর ছবি

আর তা যদি না হয়ে থাকে, তাহলে এ হাদিসটিতে যা বলা হয়েছে অর্থাৎ একজন বিধর্মী যতক্ষণ মুসলমান না হবে ততক্ষণ তাদের (অমুসলিমদের) সম্পদ ও রক্ত রসুলের জন্য হালাল।

এটা তো হাদিসে বলা হয়নি। বলা হয়েছে যদি তারা মুসলমান হয় তাহলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হারাম।

যদি কোনো স্টেটমেন্ট দেয়া হয়, অমুক ঘটিলে তমুক ঘটিবে, তখন কিন্তু তার মানে এই না যে "অমুকের বিপরীত" ঘটিলে "তমুকের বিপরীত" ঘটাবে।

যদি কেউ সেই ব্যাখ্যা করে থাকে, তার কোনো গোপন এজেন্ডা আছে। সে সেই অনুবাদ আরবে বসে করুক আর এভারেস্টের আগায় বসে করুক, কিছু এসে যায় না।



হাঁটুপানির জলদস্যু বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

প্রসঙ্গত আমি হাসিবের সাথে একমত। তবুও নাম টাঙিয়ে দিয়ে যেহেতু পোস্ট দিয়েছেন - তাই জবাব দিচ্ছি (জ্ঞানে যতটুকু কুলায় - যার দৌড় গুগুল পর্যন্তই):

আরব দেশে বসে প্রফেসর ডঃ মুজীবুর রহমান কোর’আনের যে বাংলা অনুবাদ করেছেন এবং সেখানে যে হাদিস সমূহের সূত্র ব্যবহার করেছেন তা ইংরেজি অনুবাদের চেয়ে আরো বেশি নির্ভরযোগ্য।

আমি নিজেকে এই ব্যাপারে ব্যাপক জ্ঞানী মনে করি না - তবে গুগুলের যুগে বুখারী যা পাওয়া যায় তা সবই আমার দেয়া লিঙ্কের কথাই বলছে - এইখানে দেখুন। আরবে বসে অনুবাদ করলে সহিহ - আর অন্যখানের অনুবাদ অশুদ্ধ হয়ে যাবে - এই ধারণা কোথায় পেলেন?
কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোর’আন স্ক্যান বৈধ বলে আমার আশপাশের অনেকেই মনে করেন না।

কেন? কুরআন তো আর সিকেতে তুলে পূজার বস্তু না - সবার এতে এক্সেস থাকলে সমস্যা কি? কোথায় মানা করা আছে? কপিরাইটের কথা হলে - দুই এক পাতা কপি করা এমন কিছু দোষণীয় না।
সুরা মুরসালাত (৭৭) এর ১নং পাদটীকা (পৃষ্ঠা ১০৬৪), পারা ২৯

আপনি বোধহয় এই ২৯ নং আয়াতের (সাবধান - সাউন্ড আছে) কথা বলছেন - যা অনেকটা আমার দেয়া লিঙ্কের সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ : কেবলার দিকে ঘোরা নিয়ে - অমুসলিম বধ নিয়ে নয় (অবশ্যই আমি নিজেকে আয়াত গবেষণা বিষয়ে এক্সপার্ট দাবি করছি না)।
যার অর্থ হচ্ছে তিনি অমুসলিমদের সম্পদ হস্তগত করতে পারবেন ও তাদের হত্যা করতে পারবেন।

সর্বোপরি - আপনার অনুবাদ সঠিক ধরলেও এবং স্ক্যান কপি দিতে পারলেও "মুসলমান হলে তাদের মারা হারাম হবে" থেকে "অমুসলমান হলে বিনা উস্কানিতে তাদের সম্পত্তি কেড়ে নিতে হবে বা ইচ্ছামতন মেরে তাদের রক্ত পান করতেই হবে" টাইপের অতি সরলীকরণ লজিক বোধহয় ঠিক না।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

প্রায় প্রাসঙ্গিক, জোকার নায়েকের দুটো ভিডিও দেখলাম সম্প্রতি -

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আলমগীর এর ছবি

প্রায় প্রাসঙ্গিক,
কীভাবে একটু বোঝান।
জাকির নায়েকের যু্ক্তির কোন দাম নাই। সে যে কোরানের আয়াত কোট করেছে সেটা ঠিক আছে। কোরান ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মকে রেটিফাই করে না।
কিন্তু তার মানেই জুলিয়ান ভাইয়ের কথা
এদের অনেকেই বলেছেন হিন্দুদের ক্ষতি তেমন একটা বড় ব্যাপার নয়। কারন ইসলামেই আছে যে অমুসলিমদের হত্যা অবৈধ নয়। (বোখারী-৩৯)

কোরান/হাদিসের কথা হয়ে যাচ্ছে না। জুলিয়ান ভাই তো এখনো তার কথার প্রমাণ দিতে পারেননি।

এবারের জাকিরের প্রশ্নের উত্তরে বলি:
আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া তো খ্রীষ্টান রাষ্ট্র নয়! এরা সেক্যুলার রাষ্ট্র, যেখানে অন্যের অসুবিধা না করে যে কোন বিশ্বাস চর্চা করার সুযোগ আছে। কেউ যদি ভ্যাটিক্যানে গিয়ে মসজিদ বানাতে চায়, সেটা পারবে না। তুর্কি, ইরান, ইরাক, প্যালেস্টাইন, এরকম আরো বহু দেশে নন-মুসলিম আছে, তাদের উপাসানালয়ও আছে। সৌদিতে নাই কেন সেটা সৌদিই ভাল বলতে পারবে। সেখানে ইসলাম নিয়ে এসে জাস্টিফাইয়ের নায়েকি যু্ক্তি হাস্যকর।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

কোরান ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মকে রেটিফাই করে না।
কিন্তু তার মানেই জুলিয়ান ভাইয়ের কথা
উদ্ধৃতি
এদের অনেকেই বলেছেন হিন্দুদের ক্ষতি তেমন একটা বড় ব্যাপার নয়। কারন ইসলামেই আছে যে অমুসলিমদের হত্যা অবৈধ নয়। (বোখারী-৩৯)

কোরান/হাদিসের কথা হয়ে যাচ্ছে না। জুলিয়ান ভাই তো এখনো তার কথার প্রমাণ দিতে পারেননি।

সেটা কোথায় বলেছি একটু দেখাবেন? আপনি কিসের জবাবে কি বললেন, কিছু বুঝি নাই।

জোকার নায়েকের যুক্তির দাম আছে সেটাও কোথাও বলিনি। ভিডিওগুলো "প্রায়" প্রাসঙ্গিক বলে আমি বোধহয় বোঝাতে পারিনি। "প্রায়" এধরনের কথা বার্তা এমন কিছু মানুষের মুখে শোনা যায় , সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। ।অন্যকিছু নয়, কারও বিশ্বাসেও কোথাও আঘাত হেনেছি বলে আমার মনে হয় না...

আপনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ অবাক হয়েছি অবশ্য।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আলমগীর এর ছবি

সেটা কোথায় বলেছি একটু দেখাবেন? আপনি কিসের জবাবে কি বললেন, কিছু বুঝি নাই।

আপনি বলেছেন তাতো আমি বলিনি। আপনি যে ভিডিওর লিংক দিয়েছেন তাতে জাকির নায়েক বলেছে একথা।

জোকার নায়েকের যুক্তির দাম আছে সেটাও কোথাও বলিনি। ভিডিওগুলো "প্রায়" প্রাসঙ্গিক বলে আমি বোধহয় বোঝাতে পারিনি। "প্রায়" এধরনের কথা বার্তা এমন কিছু মানুষের মুখে শোনা যায় , সেটাই তুলে ধরতে চেয়েছি। ।অন্যকিছু নয়, কারও বিশ্বাসেও কোথাও আঘাত হেনেছি বলে আমার মনে হয় না...

জুলিয়ান সিদ্দিকীর কথাটার সত্যতা নিয়ে এ পোস্ট, যেখানে উনি তার প্রমাণ না দিতে পারার কথা বলছেন। আপনার ভিডিওটা কী প্রসঙ্গে এলো? জুলিয়ানের কথা ঠিক হবার সম্ভাবনা আছে? (সেটা যদি না হয় তবে আমি আপনার প্রাসঙ্গিকতা বুঝিনি)
আপনি কারো বিশ্বাসে আঘাত দিয়েছেন কি না জানি না, আমার কোন চোট লাগেনি হাসি

আপনার প্রতিক্রিয়ায় বেশ অবাক হয়েছি অবশ্য।

কেন বলুন তো?

ধর্ম নিয়ে পোস্টগুলো অনেক সময় স্পর্শকাতর, সেজন্য আপনার পোস্ট করা ভিডিওর প্রসঙ্গিকতা জানতে চেয়েছি। সেটা একটু ব্যাখ্যা করলেই উপকৃত হতাম ।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

জুলিয়ান সিদ্দিকীর কথার সত্যতা নিয়ে এ পোস্ট, তা সত্যি... আর "কথাটা" ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিপীড়ন সংক্রান্ত... জোকার নায়েক ধর্মের দোহাই দিয়ে এ নিপীড়নকে অ্যাডভোকেট করছে... তাই আমার মনে হয়েছে "প্রায়" (আপনি এ শব্দটিকে কিভাবে দেখছেন আমি জানিনা..) প্রাসঙ্গিক...

এর বেশি ব্যাখ্যা দিতে আমি অপারগ।

স্রেফ কৌতূহল বশেই একটা প্রশ্ন মাথায় আসছে, আপনি ভাটিকানের কথা বলেছেন.... অনেককেই এটা বলতে শুনি... ভাটিকানে অন্য ধর্মের উপাসনালয় নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো আইন আছে কি? গুগল করে পেলাম না তেমন কিছু। সংগত কারণেই হবে না কারণ সেখানকার জনসংখ্যা সাড়ে পাঁচশ' মত.. আর তার শতকরা আশি ভাগই ধর্মযাজক... ব্যাপারটা হবে কাবা শরীফের পাশে চার্চ বসানোর মত।

কিন্তু আইনগত বাধা আছে কি? রোমে তো চার্চ বসানোর অনুমতি দিচ্ছে দেখলাম ভাটিকান ..

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

আলমগীর এর ছবি

আর "কথাটা" ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নিপীড়ন সংক্রান্ত... জোকার নায়েক ধর্মের দোহাই দিয়ে এ নিপীড়নকে অ্যাডভোকেট করছে...

আমার প্রসঙ্গ ভাবনা তাহলে ঠিক আছে।
১. জুলিয়ান সিদ্দিকী একটা খুব শক্ত কথা বলেছেন, তাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে পোস্টে। তার কথার প্রমাণ এখনও তিনি দিতে পারেননি। এ সময় আপনার এ ভিডিও লিংকটা প্রাসঙ্গিক বললে অনেকের কাছে মনে হতে পারে আপনি জুলিয়ান ভাইয়ের কথা সঠিক বলেই ধরে নিচ্ছেন। (এটা মনে হওয়ার আগেই তাই আপনার কাছে প্রাসঙ্গিকতার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া)।

২. জাকির নায়েক নিপীড়নের এডভোকেসি করল কোথায়? ভিডিওতে তেমন কিছু দেখলাম না তো? (আমি কিন্তুক এ জোকারের ভক্ত নই কোন ক্রমেই)।

আমি আইন বিশেষজ্ঞ না, ভ্যাটিক্যান বিশেষজ্ঞ তো নয়ই। শ্রেফ জাকির নায়েকের কথার প্রসঙ্গে বলা। তবে নিজের অভিজ্ঞতায় এটুকু বলতে পারি (এটা উপাসনালয় স্থাপনের সাথে যায় কিনা নিশ্চিত নই): ক্যাথলিক স্কুলে নন-ক্যাথলিক নেয় না (অস্ট্রেলিয়াতে)। আইন করে কোথাও মানা করা নেই। কিন্তু এটা ক্যাথলিক স্কুলের 'পলিসি'। সরকার সেক্যুলার হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে 'ডিসক্রিমিনেশ ল' প্রয়োগের বেলায় এদের এক্সেম্পশন দেয়। খ্রীষ্টানদের অন্য ডেনোমিনেশন এটা করে না। জু স্কুলগুলো করে (নন-জু ছাত্র বা শিক্ষক কাউকেই নেয় না), মুসলিম স্কুলগুলোও করে (যদিও নন-মুসলিম শিক্ষক নেয়)।

উপাসনালয় স্থাপনার ক্ষেত্রে কোন দেশে কী আইন তার ধারণা নেই। অস্ট্রেলিয়াতে স্থানীয় কাউন্সিল (আমাদের সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদ) সেটা নিয়ন্ত্রণ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের যথেষ্ট আপত্তি থাকলে কাউন্সিল অনুমোদন দেয় না।

সচলায়তনে যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করার মতো ম্যাচুরিটি আমাদের সবার আছে বলেই আমার ধারণা। তাই আহত/অনাহত হওয়ার কিছু নেই।
ভাল থাকুন হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ক্যাথলিক স্কুলে নন-ক্যাথলিক নেয় না (অস্ট্রেলিয়াতে)

এখানে মানে ইউকে'তে নেয়। নন-ক্যাথলিক কি একেবারে নন-খ্রীষ্টানদেরও নেয়। আমার ছেলেই পড়ে একটা ক্যাথলিক স্কুলে।

শিলং এ দেখেছি ক্যাথলিক স্কুলগুলোতে দেদারসে মুসলমান-হিন্দু পড়ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিষয়টা তাই ব্যতিক্রম ঠেকছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

স্পর্শ এর ছবি

আচ্ছা, এখানে মনে হয় শুধু শুধু একটা ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। নো হার্ড ফিলিংস গাইস!!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আলমগীর এর ছবি

। মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারীর কাছে কোর’আনটি চাইলে সে দিতে রাজি হয়নি বলে স্ক্যানড ইমেজ সংযোগ করতে পারলাম না। যে কারণে সূত্র উল্লেখ করে দিচ্ছি। সৌদি আরবের অনেক বাঙালীর কাছে সে অনুবাদ সহ কোর’আনটি আছে এবং তাদেঁর অনেকেই সচলায়তনের নিয়মিত পাঠক। তাঁরাও একটি স্ক্যানড ইমেজ দিতে পারেন। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোর’আন স্ক্যান বৈধ বলে আমার আশপাশের অনেকেই মনে করেন না

জুলিয়ান ভাই
আপনি একটা প্রসঙ্গ এনেছেন, সেটার প্রমাণ দেয়াও আপনার দায়। প্রমাণ না দিতে পারার যেসব অজুহাত আপনি দিয়েছেন কোনটাই সুবিধার না। কোরান স্ক্যান করা যাবে না কীসের ভিত্তিতে?

আর যদি প্রমাণ নাই দিতে পারেন, লেখাটা প্রত্যাহার করে নিন। তা না হলে যা হবে সুবিধাবাদিরা এটা নিয়ে আরো কচলাবে।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ভাইগো, লিংকটা দিলাম।
সেই পৃষ্ঠাটি এখানে পাবেন
দেরি হওয়ার জন্য সত্যি দুঃখিত।

.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ওয়াইল্ড-স্কোপ আর হাসিব ভুল বুইঝেন না। আমি এ কারণেই হিমুর পোস্টে মন্তব্য আকারে দেইনি, এতে করে তাঁর পোস্টে এ নিয়ে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য হতে থাকলে সেটা অপ্রাসঙ্গিক বলেই হয়তো বিবেচিত হতো। যাই হোক
সেই পৃষ্ঠাটি এখানে পাবেন হয়তো সরাসরি ডাউনলোড করতে হতে পারে।

হিমু বলেছেন :
এটা তো হাদিসে বলা হয়নি। বলা হয়েছে যদি তারা মুসলমান হয় তাহলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হারাম।

তাহলে এর মানে দাঁড়াচ্ছে কি? তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হালাল। আমি মনে করছি এটা প্রচ্ছন্ন ভাবেই রয়েছে। আর সুবিধাবাদীরা তাই ব্যবহার করতে তৎপর হবে না সে সম্ভাবনা কিন্তু নাকচ করে দেয়া যায় না। আমার বলা এ কারণেই যে ব্যাপারটি আলোচিত হয়ে গেলে মানুষ বিশেষ করে আমার মত যারা মোটা দাগে বুঝতে চান তাদের খুব সহজেই বোঝানো যাবে যে, ব্যাপারটি কিন্তু তাই। জেহাদ বলতে আমরা কিন্তু সাধারণ কোনো ব্যাপার বুঝি না। রীতিমত ধর্মীয় যুদ্ধ। যে কারণে ১৯৭১এ বাংলাদেশের মুসলমানরা যাঁরা স্বাধীনতার পক্ষে ছিলেন তাঁরাও পাকিস্তানি সেনাদের কাছে কাফের বলে বিবেচিত হয়েছিলেন। তারা তখন খুব সহজেই ধর্মীয় ধূয়া তুলে লোকজনকে বিভ্রান্ত করতে পেরেছিলো। সাম্প্রতিক বাংলা ভাই সংবাদও আমরা অনেকে জানি। আরো জানি সে সময়কার কিছু কিশোর বোমাবাজদের কথা। যারা আত্মহত্যাকে শহীদ হওয়ার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছিলো। তবে যাই হোক ব্যাপারটি নিয়ে আরো ব্যাপাক আলোচনা চলতে হয়তো কোনো বাধা নেই। মোট কথা আমার মনে হচ্ছে তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ রসুলের তথা মুসলমানদের জন্য হালাল কথাটি যেন ভুল বলেই প্রতীয়মান হয়। আমার মত অত সহজ করে যেন কেউ না বোঝেন। আর আমার এ ধারণাটি ভুল প্রমাণ হলেই মনে করি সুবিধাবাদীরা এর থেকে তেমন কোনো বাড়তি সুবিধা অর্জন করতে পারবেন না।

আমি অনেক কৃতজ্ঞ সবার কাছে যাঁরা নানা দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটিকে ব্যাখা করতে চেষ্টা করেছেন। সে সঙ্গে সবাইকে ধন্যবাদ।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আলমগীর এর ছবি

তাহলে এর মানে দাঁড়াচ্ছে কি? তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হালাল। আমি মনে করছি এটা প্রচ্ছন্ন ভাবেই রয়েছে।

এখানেই বিপত্তিটা হয়েছে।

স্বেচ্ছা অনুমতি ব্যতীত এক মুসলমানের সম্পদ আরেক মুসলমানের জন্য হারাম। এ কথাটুকু টেনে "মুসলমানের জন্য অমুসলমানের সম্পদ হালাল" বানানো যায় না। আপনি যে প্রমাণ দিয়েছেন তাতেও সেটা নেই।

আমানত/খেয়ানত সম্পর্কে বহু কঠিন কঠিন কথা আছে ইসলামে, তাই আপনার এ ধরনের উক্তিতে বেশ অবাক হয়েছি।

মোট কথা আমার মনে হচ্ছে তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ রসুলের তথা মুসলমানদের জন্য হালাল কথাটি যেন ভুল বলেই প্রতীয়মান হয়।

ঠিক (কিছু ব্যতিক্রম বাদে)।

টীকার শেষ লাইনের এই এক্সেপশনটাও আপনার নজর এড়িয়েছে। এটাও অধিক ব্যাখ্যার দাবী রাখে।

"তবে ইসলাম তাদের জন্য যে হক নির্ধারণ করে দিয়েছে তা ছাড়া এবং তাদের আন্তরিকতার হিসাব আল্লার নিকট।"

পাকিস্তানিরা/জামাতিরা একাত্তুরের যুদ্ধকে ধর্ম বাঁচানোর যুদ্ধ বলে চালায়- এটা নতুন কিছু না। একই ভাবে, অনেক মুক্তিযোদ্ধা, 'দেশের জন্য জীবন দেয়া ফরজ' এ ধরনের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভেতর থেকেই যুদ্ধে গিয়েছে। কে সঠিক সেটা কিয়ামত না হলে তো বোঝা যাবে না।

যুদ্ধাপরাধের বিচারে বেশ কিছু বাঁধা আছে। "এদের অনেকেই বলেছেন হিন্দুদের ক্ষতি তেমন একটা বড় ব্যাপার নয়। কারন ইসলামেই আছে যে অমুসলিমদের হত্যা অবৈধ নয়।" এরকম উড়ো কথা বললে ধর্মও প্রতিপক্ষ হয়ে যায় যেটা আমাদের কারো কাম্য নয়।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

১-.উদ্ধৃতি
তাহলে এর মানে দাঁড়াচ্ছে কি? তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হালাল। আমি মনে করছি এটা প্রচ্ছন্ন ভাবেই রয়েছে।

এখানেই বিপত্তিটা হয়েছে।

২-"তবে ইসলাম তাদের জন্য যে হক নির্ধারণ করে দিয়েছে তা ছাড়া এবং তাদের আন্তরিকতার হিসাব আল্লার নিকট।"

৩-"এদের অনেকেই বলেছেন হিন্দুদের ক্ষতি তেমন একটা বড় ব্যাপার নয়। কারন ইসলামেই আছে যে অমুসলিমদের হত্যা অবৈধ নয়।" এরকম উড়ো কথা বললে ধর্মও প্রতিপক্ষ হয়ে যায় যেটা আমাদের কারো কাম্য নয়।

ধন্যবাদ আলমগীর।

কিন্তু "বিপত্তিটা" ঠিক পরিষ্কার হলো না আমার কাছে। আর ২ নং উদ্ধৃতিতে যা বলা হয়েছে তাও কিন্তু অস্পষ্টই। তাদের হকগুলো যে কি কি তাও আমার অজ্ঞাত। কোথাও সে সম্পর্কে কিছু বলা আছে কি না তাও আমার জ্ঞানের বাইরে।

আর ৩নং উদ্ধৃতিতে "উড়ো খবর" বলে ব্যাপারটিও এক অর্থে উড়িয় দেয়ার মতই। মুক্তমনার আকাশ মালিকের একটি ইবুক-এ দেখলাম কোর'আন থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন লেখক --

"যেখানেই মুশরিক/অবিশ্বাসীদের পাওয়া যাক তাদের হত্যা কর।" (২:১৯১) ও (৯:৫)

আমি মনে করি এখান থেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে মুজাহিদরা আলবদর বাহিনীর ধারণা পায়। যে কারণে অপব্যাখ্যার (অস্পষ্টতার সুযোগে) পরিণতি হিসেবেই হয়তো আমরা দেখি ১৯৭১এ বদরবাহিনী আর রাজাকাররা (বাঙালীরা ধর্মযুদ্ধের মত কোনো যুদ্ধে পরাজিত না হয়েও) মাল-এ গণিমতের সূত্র প্রয়োগ করেছিলো আমাদের দেশে। কোর'আনের অস্পষ্ট বক্তব্যের কারণে সুবিধাবাদীরা তাদের মনগড়া ভাবে কোর'আনকে ব্যাখ্যা করে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার সুযোগগুলো নেয়।

"যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় তাদের মৃত বোলো না।" (২:১৫৪) এমন ধরনের আয়াত থেকেই বোধকরি মুসলিম জঙ্গীরা অনুপ্রাণীত হয় শহিদী মৃত্যুকে বরণ করতে।

.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

আলমগীর এর ছবি

জুলিয়ানদা
মনে করেছিলাম ঘটনা শেষ হয়েছে।

কিন্তু "বিপত্তিটা" ঠিক পরিষ্কার হলো না আমার কাছে। আর ২ নং উদ্ধৃতিতে যা বলা হয়েছে তাও কিন্তু অস্পষ্টই। তাদের হকগুলো যে কি কি তাও আমার অজ্ঞাত।

ডাবল নেগেশন করে নিজের মতো অর্থ তৈরি করেছেন আপনি- সেটাই বিপত্তি। একটা প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিই। কোরানে শুকর হারাম করার আয়াতটা এসেছে অনেকটা এভাবে: "তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো, শুকরের রক্ত ও মাংস" (হুবুহ মনে নেই, রেফারেন্স চাইলেও বিপদে পড়ে যাব)। এখন আপনি বুঝলেন, শুধু রক্ত আর মাংস হারাম, বাকি কিছু হালাল। চর্বি তো মাংস না, তাইলে চর্বি হালাল। আপনার এই "বাকি কিছু হালাল ধারণাটা" মনগড়া। আপনি বলতে পারেন না "কোরানে আছে শুকরের চর্বি খাওয়া হালাল"।

মুসলিম মুলুকে অমুসলিমদের কী হক সেটা আমার জানা নাই। কোরানে ভিন্ন স্থানে থাকতেও পারে নাও পারে। আর এ প্রশ্নটা কেন এলো আপনার মনে? যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে একটা পোস্টে করা মন্তব্যের সাথে মিল কোথায়? আপনি যদি কোরানের ইন জেনারেল সমালোচনা করতে চান তাহলে ভিন্ন কথা। (সে বিষয়ে আমার আগ্রহ নেই)।

আমার কোরান জ্ঞান আপনার চেয়ে বেশী না। আমি ধার্মিকও না। একটু আধটু একাডেমিক গবেষণার জ্ঞান থেকে বলি, যখনই কেউ কোন রেফারেন্স দেয়, আপনি সেটার উৎসটা (যে ভাষাতেই হোক) পড়ে নিন। কোরানের বেলায় যে আয়াতের রেফারেন্স দেয়া হয় তার আশেপাশের অন্তত গোটা পাঁচেক আয়াত পড়া জরুরী প্রসঙ্গ বোঝার জন্য। আর কোরানের অনেক আয়াতে ল্যাজ লাগানো থাকে, সেটাও দেখা জরুরী।

এবার আকাশ মালিকের কথার উত্তর দিই। (আকাশ মালিক কোথায় বলেছেন কী প্রসঙ্গে তাও জানি না।)

"যেখানেই মুশরিক/অবিশ্বাসীদের পাওয়া যাক তাদের হত্যা কর।"

দেখা যাক কী আছে কোরানে (আশপাশের আয়াত সহ)। আমি গুগলে bangla quran সার্চ দিয়ে যেটা পেলাম সেটা থেকেই তুলে আনছি।

(২:১৯০ থেকে ২:১৯২) বলছে:

আর আল্লার পথে তোমরা যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে যারা অন্যায়ভাবে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, আর সীমা লঙ্ঘন করো না। নিঃসন্দেহে সীমা লঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন না।

আর তাদের হত্যা করো যেখানেই তাদের দেখা পাও, আর তাদের তাড়িয়ে দাও যেখান থেকে তারা তোমাদের তাড়িয়ে দিয়েছিল; আর উৎপীড়ন যুদ্ধের চেয়ে নিকৃষ্টতর। কিন্তু তাদের হত্যা করো না পবিত্র মসজিদের আশেপাশে যে পর্যন্ত না তারা সেখানে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে, কাজেই তারা যদি তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করে তবে তোমরাও তাদের সাথে লড়বে। এই হচ্ছে অবিশ্বাসীদের প্রাপ্য।

কিন্তু তারা যদি ক্ষান্ত হয় তবে আল্লাহ নিসন্দেহে ত্রাণকর্তা, অফুরন্ত ফলদাতা।

এ তিনটা আয়াত পড়ে কী মনে হয় আপনার? এখানে নির্বিচারে 'মুশরিকদের' হত্যা করতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না কি কেউ যদি মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ শুরু করে তাতে মুসলিমদের করণীয় নির্দেশ করা হচ্ছে? আমার তো মনে হচ্ছে যারা মুসলিমদের বিতাড়িত করেছিল তাদের কথাই বলা হচ্ছে; সাথে বাড়াবাড়ি না করার সতর্কতাও আছে। এমনি আত্মসমর্পণের কথাও আছে।

এবার দ্বিতীয় কোটে যাই: একই সূত্র থেকে আয়াতগুলো হচ্ছে:
(৯:৪-৯:৬)

মুশরিকদের মধ্যের সেইসব ছাড়া যাদের সঙ্গে তোমরা চুক্তি করেছ, তারপর তারা তোমাদের সাথে কোনো ত্রুটি করেনি, আর তোমাদের বিরুদ্ধে অন্য কারোর পৃষ্ঠপোষকতাও করেনি, তাদের সঙ্গে তাহলে তাদের চুক্তি প্রতিপালন করো সেগুলোর মেয়াদ পর্যন্ত। নিঃসন্দেহে আল্লাহ ভালোবাসেন ধর্মপরায়ণদের।

অতপর নিষিদ্ধ মাসগুলো যখন অতিবাহিত হয়ে যায় তখন মুশরিকদের কাতল করো যেখানে তাদের পাও, আর তাদের বন্দী করো, আর তাদের ঘেরাও করো, আর তাদের জন্য ওৎ পেতে থাকো প্রত্যেক ঘাটিতে। কিন্তু তারা যদি তওবা করে এবং নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে তবে তাদের পথ ছেড়ে দিও। নিঃসন্দেহে আল্লাহ পরিত্রাণকারী অফুরন্ত ফলদাতা।

আর যদি মুশরিকদের কোন একজন তোমার কাছে আশ্রয় চায় তবে তাকে আশ্রয় দাও যেন সে আল্লার বাণী শোনে, তারপর তাকে তার নিরাপদ যায়গায় পৌঁছে দিও। এটি এজন্য যে তারা হচ্ছে এমন এক সম্প্রদায় যারা জানে না।

এখানে কোন মুশরিকদের কথা বলা হচ্ছে? আবার তাদের কেউ আশ্রয় প্রার্থনা করলে দিতে বলা হচ্ছে? এসব কথা কি আকাশ সাহেব বলেছেন? শেষ লাইনে "এমন এক সম্প্রদায়" দিয়ে কাদের নির্দেশ করা হয়েছে? এটার ব্যাখ্যা জানা প্রয়োজন। ব্যাখ্যার জন্য একটা ইংরেজি অনুবাদ নিলাম (গুগল থেকে দৈববাছাই)

The clear exception of the last verse shows that by the idolaters here are meant, not all idolaters or polytheists wherever they may be found in the world, not even all idolaters of Arabia, but only those idolatrous tribes of Arabia assembled at the pilgrimage who had first made agreements with the Muslims and then violated them

অর্থ দাঁড়াচ্ছে:
এখানে 'মুশরিক' দ্বারা পৃথিবীর এমনকি আরবের সব পূজাকারী বা বহুঈশ্বর বিশ্বাসী বোঝাচ্ছে না। বোঝাচ্ছে তাদেরই যারা হজের মসুমে সবমেত হয়ে মুসলিমদের সাথে চুক্তি করেছিল, এবং পরে তা ভেঙেছিল।

আকাশ সাহেব সুবিধামত অংশটুকু উদ্ধৃত করতে পারেন, পুরাটাও পারেন- কোনটা করেছেন জানি না। আপনি যেটুকু করছেন শুধু সেটুকু উল্লেখ থাকলে উদ্ধৃতি দেয়ার এ ধরনটাকে অসাধু বলব। তার উপর এ আয়তগুলো ইতিহাস বর্ণনার অংশ বলেই মনে হচ্ছে, এ সময়ের মুসলিমদের জন্য নির্দেশমূলক কিছু মনে হচ্ছে না।

জামাত/শিবির কী মনে করল বা ব্যাখ্যা করল তাতে কোরানের অর্থ পাল্টাচ্ছে না। তারা যে কোরানের বিকৃত ব্যাখ্যা করে এটা নতুন কি? বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যখন শিবির হামলা করে, তখন তারা মালামাল লুট করে (এটা আমার নিজের চোখে দেখা)। এ হামলাকেও তারা তাদের জিহাদ মনে করে, আর ছাত্রলীগের/দলের ছেলেপেলের জিনিসপত্রকে গণিমতের মাল মনে করে।

বাংলাদেশের জঙ্গীদের অধিকাংশ অশিক্ষিত, তাদের যা বোঝানো যাবে তাই বুঝবে। যুদ্ধে যারা মারা যায় তারা তো শহীদই, এ নিয়ে দ্বিমত কোথায়? (যুদ্ধ কোনটা, কোন পক্ষ তা নিয়ে বিবাদ হতে পারে)।

এবার আমার বক্তব্যটা বলি:
আপনি একটা কথা বললেন। সেটার যে প্রমাণ দিলেন তাতে দেখা গেল আপনি ভুল বলেছেন। সেজন্য আপনি দুঃখ প্রকাশ করলেন না, উপরন্তু আকাশ নামের আরেক জনের আরেকটা কোট দিলেন। এবারও হুট করে, আগেপিছে না জেনেই। আপনার এদুটো কোটের উদ্দেশ্য স্পষ্ট না আমার কাছে।

আপনাকে কোরান বা কোন কিছুই বিশ্বাস করতে হবে না, কিন্তু কোন কিছুর ভুল উদ্ধৃতি না দিলেই ভালো। এতে কেউ বিভ্রান্ত হবে না। আর যারা নিজেদের স্বার্থে সুবিধামতো ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা দেয় তারা ধর্মব্যবসায়ী, ডান হোক আর বাম হোক।

-------------

আমি যে কোরান/অনুবাদ থেকে যে আয়াতগুলো টেনে আনলাম সেগুলো আমার ব্যাখ্যার সুবিধামতো বেছে বেছে আনিনি। গুগলে স্ট্রেইট সার্চ দিয়ে প্রথম ২/৩ মধ্যে একটাতে ক্লিক করেছি।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আলমগীর ভাইয়ের মন্তব্যে জাঝা। যেখানে পাও হত্যা করোর অজুহাত যে কত নেইভ, তা আশপাশের কয়েকটা আয়াত পড়লেই বুঝা যায়।

কোর'আনের অস্পষ্ট বক্তব্যের কারণে সুবিধাবাদীরা তাদের মনগড়া ভাবে কোর'আনকে ব্যাখ্যা করে নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার সুযোগগুলো নেয়।

জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাইয়ের এই অংশটায় আপত্তি আছে। কারণ, এখানে কোরআনের কথিত অস্পষ্টতার ওপর দোষ চাপানো হয়েছে বিকৃতিকারীদেরকে ভুল ব্যাখ্যার সুযোগ করে দিতে। ইনফ্যাক্ট কোরআন বা আল্লাহকে এ বিষয়ে দায়ী করার কোনো স্কোপ নেই। কোরআনের মূল বিষয়গুলো স্পষ্ট (সুতরাং বাড়তি ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে এমনটা বলা হয় নাই) আর বাকি কিছু আছে রূপক। রূপকগুলোর অর্থ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না, এমনকি রাসূলও না। (রেফ: আল-ইমরান, আয়াত ৭) তাইলে অস্পটতাইবা কোথায় আর তার সুযোগ নেওয়ার স্কোপইবা কোথায়?

উদাহরণস্বরূপ, যেখানে পাও হত্যা করোর ব্যাপারে আলমগীর ভাইয়ের মতো আশেপাশের কয়েকটা আয়াত পড়লেই বিষয়টা দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে যায়। কোনো হাদিস লাগে না, কোনো হুজুরের কেরামতি লাগে না, স্রেফ কোরআনই এনাফ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আলমগীর এর ছবি

কোরানে তো প্রচুর ইতিহাসের বিষয় আছে। তাই প্রেক্ষিত বোঝার জন্য অনেক সময় টীকা/ব্যাখ্যা দেখার দরকার হয়। ব্যাখ্যা না দেখতে চাইলে সে সময়কার ইতিহাস পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানা থাকতে হবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হিমু বলেছেন :
এটা তো হাদিসে বলা হয়নি। বলা হয়েছে যদি তারা মুসলমান হয় তাহলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হারাম।

তাহলে এর মানে দাঁড়াচ্ছে কি? তারা মুসলমান না হলে তাদের রক্ত আর সম্পদ হালাল। আমি মনে করছি এটা প্রচ্ছন্ন ভাবেই রয়েছে

আমি আর আপনি কী মনে করলাম তাতে তো কোরানের বক্তব্য জাস্টিফায়েড হয় না। হিমু তো তার মন্তব্যে বলেই দিলো পরিষ্কার করে যেটা বলার যে কেউ সাধু না মানেই কিন্তু সে (অবশ্যই) চোর, এটা প্রমাণ করে না। এখানে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিতের অজুহাতে উল্লেখিত ব্যক্তিকে চোর বলে গণ্য করলে তো সেটা ঠিক শোভা পায় না। এটা রীতিমতো অন্যায়।

এখন সুবিধাবাদীরা কতো কিছুই তো ভাবতে পারে। সুবিধাবাদীদের দিকে তাকিয়ে নিশ্চই কোরান নাযিল হয়নি! নাকি হয়েছে?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

অমুসলিমের চেয়ে ধর্মত্যাগীদের প্রতিই কোরআন-হাদিস মুলত: কঠিন বেশি। বেশি স্পর্শকাতর বিষয়, তাই এনিয়ে বেশি আলোচনা করছি না। তবে এই হাদিস আর আয়াতগুলো পড়ে দেখতে পারেন--

বোখারী ২: ১৯:১৭৩

বোখারী ৯:৮৪:৫৭

বোখারী ৯:৮৪:৬৪ এইটা একটু খেয়াল করে

আয়াত ৪:৯

সবাই সূত্র নিয়ে বলছেন, তাই কিছু সূত্র দিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে আমার জ্ঞান সীমাবদ্ধ হওয়ায় আলাপে অংশ নিতে পারছি না। তবে সবার মন্তব্য পড়ে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ।
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১.
হাদিসের বই ইনফ্যাক্ট বিকৃত ইসলামকে প্রকাশ করে। সুতরাং ইসলামী নির্দেশের রেফারেন্স হিসেবে হাদিস অগ্রহণযোগ্য।

২.
কোরআনের অনুবাদ (অর্থ) আর তার ব্যাখ্যায় অনেক পার্থক্য আছে। কুরআনের ব্যাখ্যা হচ্ছে ইসলাম বিকৃতির আরেকটা ধাপ। সহজ ভাষায়, বিস্তারিতভাবে বর্ণিত (আল্লাহর ঘোষণা অনুসারে) কুরআনের জন্য ব্যাখ্যা পাদটীকার দরকার আছে, এরকমটা কোরআনে কোথাও আছে বলে এখন পর্যন্ত আমার চোখে পড়ে নি।

৩.

'তাদেরকে যেখানে পাও, হত্যা করো ....' এই বাণী দিয়া ক্যাচাল সৃষ্টির অপচেষ্টা নোতুন না। কিন্তু এই বাণীর আশেপাশে পড়লেই বুঝা যায়, এখানে কাকে কখন হত্যা করতে বলা হয়েছে। আল্লাহ এক জায়গায় বলছেন ধর্মের নামে জবরদস্তি নাই, অন্য যায়গায় কাফেরদেরকে ইসলাম কবুল না করলেই হত্যার আদেশ - কেমনে কি? এই ক্যামনে কির জন্যই যেখান থেকে রেফারেন্স দেয়া হয়, তার আশপাশটা একটু পড়া দরকার। আমি এখানে দুইটা সুরা থেকে 'আশপাশের' কিছু আয়াত তুলে দেই। বুঝার দায়িত্ব যার যার নিজের।

আত-তাওবাহ থেকে (১-৬)

আল বাক্বারাহ (১৯০ - ১৯৪)
(বাংলা অনুবাদ পছন্দ না হলে ইংরেজি অনুবাদ দেখুন। আয়াতগুলো সরাসরি কপি করা যাচ্ছে না, তাই লিংক)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

অছ্যুৎ বলাইকে ধন্যবাদ কিছু ব্যাখ্যা দেবার জন্য।

যারা বলে হাদিসে এইটা নাই, ওইটা নাই, তাদের জন্যই আমার প্রথম মন্তব্যের হাদিসগুলো দেয়া। হাদিস নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। অনেকে বলেন মানুষের ব্যাখ্যার বদলে দূর্বল হাদিসও শ্রেয়। অথচ এরাই আবার দরকার মতন হাদিস অস্বীকার করে ফেলে।

এটা ঠিক যে শতশত বছর পরে লোকমুখ থেকে সংগ্রহ করা এসব হাদীসের ব্যাপারে যেমন অনেক প্রশ্ন আছে, তেমনি এসব হাদিসকে কেন্দ্র করে কোরআনের বিষয়েও অনেক ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। এই যেমন বেশ কিছু হাদিসই দাবী করে যে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদন্ডের বিষয়ে কোরআনের একটি সুরা নাযিল হয়েছিল যা পরবর্তীতে সর্বসম্মতিক্রমে কোরআন সংকলনের সময় বাদ দেয়া হয়। দেখুন এখানে। আবার অনেকেই বলেন যে নাযিল হবার পর কোরআনের সামান্যমত পরিবর্তনও আনা হয়নি কখোনও।

কোরআনের অনুবাদগত সমস্যাও শুধু টীকা-টিপ্পনীতেই সীমাবদ্ধ নয়। এক সূরা নিসার চার নং আয়াতকেই যে কতভাবে অনুবাদ করা হয়েছে তা রীতিমত অবাক করে।

আগেই বলেছি, স্পর্শকাতর বিষয়। তাই না জেনে বলা সমস্যা। তবে একটা জিনিস মনে হয় আমাদের সবার জানা থাকা উচিত- হাদিস আর সুন্নাহর পার্থক্য এবং কোরআনের সাথে এদের সংকলনগত পার্থক্য। কোরআন সংকলিত হয়েছিল নবীর পরলোকগমনের পরপর। আর হাদীস সংকলিত হয়েছিল কয়েক শত বছর পর। কোরআনের অনুবাদ, ব্যাখ্যা আর টীকা-টিপ্পনী কিন্তু আবার এই হাদিস কে নির্ভর করেই।

বাচতে হলে জানতে হবে... (কিন্তু কী থেকে বাচতে হলে কী জানতে হবে এটা যার যার তার তার হাসি )
-----------
"সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে"

-----------
চর্যাপদ

সিরাত এর ছবি

ইন্টারেস্টিং লাগলো। তবে একটু খাবি খেয়ে গেলাম। হাসি

সিরিয়াসলি নেইনি যদিও।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

খাবি খেয়ে গেলাম

চিন্তিত ?!? কেন কেন?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।