৭৭২ কিস্তির মেগা উপন্যাস : প্রথম কিস্তি

যূথচারী এর ছবি
লিখেছেন যূথচারী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৬/২০০৭ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
আমি যখন প্রিমিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর থেকে ঢাকা আসছিলাম, তখনও আমি ঘামছিলাম। আমার সহপাঠীদের কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন- গরম তো আর কম না, গাড়ির গরম, বাতাসের গরম, সূর্যের গরম, মানুষের গরম- সব মিলে গরম এত বেশি যে এসি গাড়িতেও আমাকে ঘামতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে রূপগঞ্জের পথে গরমে আমি কোমল পানীয় পান করতে বাধ্য হই, যার কোনো ফুড ভ্যালু নেই। এবং খেয়াতে নদী পাড় হবার সময় আমি নদীর পানিতে হাত মুখ ধুয়ে ঠাণ্ডা হতে চেষ্টা করি। এ নদীটিকে স্থানীয় লোকেরা বালু নদী বলে। আমি যখন বাড়ি এসে পৌঁছাই, বাড়িতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমার বোন হাতপাখা এনে দেয়। কারণ অনেকদিন ধরে এলাকায় বিদ্যুত নেই। আমি হাতপাখা নাড়ি। কিন্তু একটু পরেই থেমে যাই। ক্লান্তিতে নয়, বাড়ির চারপাশের গাছগুলো প্রচণ্ডভাবে নড়ছে, সুতরাং বইছে বাতাস প্রবলভাবে। সূর্যের নীচে প্রচুর কালো মেঘ, আমাদের মাথার ওপর- তাই সূর্যের উত্তাপ এবং আলো দুইই উধাও। একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হলো। প্রচণ্ড বৃষ্টি। অপ্রত্যাশিত বৃষ্টি। আমার পিচ্চি বোনটা 'ভাইয়া দেখ মেঘ' বলে চীত্কার করতে থাকে। আমি মেঘ দেখি। দেখি থামার কোনো লক্ষণ নেই। আমরা বৃষ্টিকে অনন্ত ধরে কাজের পরিকল্পনা করি। তখন দুপুর সাড়ে তিনটাতেই ঘরে হ্যারিকেন-মোমবাতি জ্বলে ওঠে। আমি দুপুর সাড়ে তিনটাতেই দুপুরের খাওয়া সেরে ফেলি, বৃষ্টি থামার অপেক্ষায় থাকি না। এবং সেই দুপুর সাড়ে তিনটাকেই আমাদের কাছে সন্ধ্যা মনে হয়। সন্ধ্যাকে মনে হয় নিশুতি। সেই সন্ধ্যা বা রাতে আমি ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ করে হ্যারিকেন জ্বালিয়ে লিখতে বসি, তবু দরজা-জানলার ফাঁক দিয়ে হুড়মুড় করে বাতাসের, পানির ঝাপটা এসে টেবিল ভিজিয়ে দেয়, হ্যারিকেন নিভিয়ে দিতে চায়। সে রাতে আমি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি, পরদিন সকালে আকাশ উজ্জ্বল হলে আবার লিখবো কিংবা দিনের বাকি কাজগুলো করবো ভেবে। কিন্তু সকালে দেখি বৃষ্টি ঝরছেই। বৃষ্টি ঝরতেই থাকে। আমি আবারও রাত হলে শুয়ে পড়ি। কিন্তু আমার কিছু লিখতে ইচ্ছে করে। এ প্রচণ্ড শীতে যখন আমি কম্বলের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি, তখনও মশারির বাইরে যেতে ইচ্ছে করে না। কিন্তু আমি লিখতে চাই। সুতরাং লেখার জন্য উঠি এবং লিখি। তখনই একদল রংবেরংয়ের পোকা আমার হাতে, কাগজে, গায়ে এসে বসে। ওরা বাইরে থাকতো, বৃষ্টি ওদের বাইরে থাকতে দেয়নি।

মন্তব্য

মুহম্মদ জুবায়ের এর ছবি
অভিনন্দন নিন। ৫ পর্ব পড়েছিলাম। এখানে ৬ থেকে শুরু করবো।

-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!

সৌরভ এর ছবি
৭৭২? বাঁচবো অত দিন? পড়লাম। ------ooo0------ বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ..

আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

যূথচারী এর ছবি
না বাঁচলেও পড়তে পারবেন, সেই ব্যবস্থাও আছে। পরে কমুনে, আগে টাইপ করি। ______________________________________________ চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম... আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সুমন চৌধুরী এর ছবি
৫টা একবারে দিয়া ৬ এ যাইতে পারতা। ব্যাপার না। তোমার পিল্যান মতো আউগাইতে থাকো... ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
অরূপ এর ছবি
যূথচারী ভাই, ১ম পাতায় শুধু লেটেস্ট পর্বটা রাখলাম। :) ------------------------------------- রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।