১৯৭১

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি
লিখেছেন মেহবুবা জুবায়ের [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৭/১২/২০১২ - ৭:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৩
১৯৭১
মেহবুবা জুবায়ের

বাংলা খবর পড়তেন সরকার করির উদ্দিন, রাত নয়টায় বাংলা খবর হত। সাধারণত আব্বা রাতের খাবার খেয়ে তারপর খবর শুনতেন। রোজার দিন বলে নিয়মটা বদলে গিয়েছিলো। খবর শুনে তারপর রাতের খাবার খাওয়া হত। যদিও আব্বা তখন নামাজও পড়তেন না, রোজাও রাখতেন না, তবে আমাদের সাথে খুব জাঁক করে ইফতার খেতেন।

(যুদ্ধের আগে এবং পরে টেলিভিশনে বাংলা খবর পড়তেন ইকবাল বাহার চৌধুরী, সরকার কবির উদ্দিন, কাফি খান, সিরাজুল মজিদ মামুন, তাজুল ইসলাম এরা। এদের মাঝে যুদ্ধের সময় কে কে খবর পড়তেন সেটা আমি কিছুতেই মনে করতে পারলাম না। একে তাকে জিজ্ঞেস করে ভোট পেলাম সরকার কবির উদ্দিনের পক্ষে।)

সরকার ফিরোজ উদ্দিন অনুষ্ঠান ঘোষণা করলেন...এখন শুরু হচ্ছে বাংলা খবর...বাংলা খবর শুরু হলে দেখি সরকার ফিরোজ উদ্দিনই আবার টেলিভিশনের পর্দায়, আমরা ভাবলাম মনে হয় ওদের ভুল হয়েছে, কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে সরকার ফিরোজ উদ্দিনই ফিরে এসে খবর পড়া শুরু করলেন। এখন যেমন সংবাদ পাঠকরা দর্শকদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে খবর বলে। তখন ছিলো অন্য রকম। তারা খবরের খানিকটা অংশ দেখে দেখে পড়ে, তারপর দর্শকদের দিকে তাকিয়ে “হয়েছে, বলেছে, করেছে,” এইসব শেষ শব্দ গুলি বলতেন। ফিরোজ উদ্দিন পুরো খবরটা পড়ে গেলেন মুখ কালো করে, একবারও দর্শকের দিকে না তাকিয়ে। তাকে কী বাধ্য করা হয়েছিলো খবরটা পড়তে? নিয়মিত খবর পাঠকই বা কোথায় ছিলেন সেদিন? খবরের বিষয়বস্তু কী ছিলো অতশত মনে নেই, তবে সারমর্ম মনে হয় অনেকটা এই রকম ছিলো, ইন্ডিয়া খুব বাড়াবাড়ি শুরু করেছে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে, পাকিস্তান সাবধান করে দিচ্ছে যে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রয়োজনে তারা দাঁত ভাঙ্গা (?) জবাব দিবে। আর দেশের জনগণকে বলা হল, যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য কি কি করতে হবে সে সব। সেদিন একটা নতুন শব্দ শুনেছিলাম, ‘ব্ল্যাকআউট’। জিনিসটা কী আমি আগে জানতাম না। জনগনকে ব্ল্যাকআউট বা নিঃ প্রদীপ মহড়া দেবার জন্য বলা হল। সেটা হলে কী কী করতে হবে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হল।

এরপর রেডিও টেলিভিশনে খুব শোনা যেতে লাগলো এই নিঃ প্রদীপ মহড়ার কথা। সরকারের নির্দেশ অনুসারে সেফ প্লেস তৈরী করতে লেগে গেলো সবাই। আমাদের সিড়ির নিচের ঘরটায় নিচের তলার চাচার মটর পার্টস থাকতো, সেসব সরিয়ে ঘরটা পরিষ্কার করে শতরঞ্জি বিছানো হল, মোমবাতি, পানির জগ ও গ্লাস রাখা হল।

একদিন রাতে ইংরেজী খবরের পর পরই সাইরেন শুরু হল, প্রথমে একটানা, তারপর থেমে থেমে। সবাই পরি মরি করে নীচে নেমে আসলাম। নীচতলার চাচাদের সাথে সবাই মিলে গাদাগাদি করে সিড়ির নীচে ই ঢোকা হল, একটু পরে খেয়াল করলাম আমাদের মাঝে লালু মামা আর বড়াপু নেই। সিড়ির ঘরের সাথেই ছিলো সার্ভেন্ট বাথরুম। সেখান থেকে বিকট গন্ধ আসছিল। অসহ্য হয়ে আমি একফাঁকে ওখান থেকে বেড়িয়ে উপরে চলে এলাম। উপরে কেউ নেই, তাই জানিনা কী মনে করে ভয়ে ভয়ে ছাদে চলে এলাম, এসে দেখি লালু মামা আর বড়াপু ছাদে বসে আছেন। আমার ভয় কেটে গেলো। ওদের সাথে নিঃ প্রদীপের সত্যিকারের অর্থ কী সেটা দেখতে লাগলাম। অন্ধকার! চারিদিকে শুধুই অন্ধকার। সূর্যটা ডুবে গেছে অনেকক্ষণ আগে, তবুও দিগন্তরেখায় একটা লাল রেখা রয়ে গেছে। কী যে অপূর্ব একটা দৃশ্য! থেকে থেকে সাইরেন বাজছিল। বড়াপু খুব ধীরে ধীরে গেয়ে উঠলো, “ও আমার দেশের মাটি, তোমার পরে ঠেকাই মাথা”। একটু পর লালু মামাও গলা মেলালেন, আমি গানটা জানতাম না, শুধু মুগ্ধ হয়ে শুনছিলাম।

আগের রাতে মনে হয় বৃষ্টি হয়েছিল। সকালে ঘুম ভাঙ্গল ধুপ-ধাপ শব্দে। বাইরের বারান্দায় গিয়ে দেখলাম চারজন মজুর আমাদের কপি ক্ষেতে মাটি কাটছে, আর দুইজন মিলিশিয়া পুলিশ তার তদারকি করছে। দিন দুয়েকের মধ্যেই তারা আঁকাবাঁকা ট্রেঞ্চ খুঁড়ে ফেললো। শুধু কপি ক্ষেতে ই নয় আমাদের পাড়ার সব মাঠেই ট্রেঞ্চ খোঁড়া হয়ে গেলো। ইন্ডিয়া বোমা ফেললে আমাদের নাকি এই ট্রেঞ্চে গিয়ে ঢুকতে হবে সেজন্য।

এবার আমাদের খেলার একটা নতুন ধরণ ও জায়গা হল, ট্রেঞ্চের ভেতর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতাম। একদল মেলেটারী সাজতাম অন্যদল মুক্তিযোদ্ধা। আমাদের পাড়ায় নিয়মিত দুজন মিলিশিয়া পুলিশ টহল দিতো বা এভাবে বলা যায় পাড়া বেড়াতে আসতো। একটা মোটকু ওপরটা শুঁটকা। ওদের নাম জানতাম না, তাই আড়ালে ওদের নাম দিয়েছিলাম সিন্ডারেলার ইঁদুরের নামের সাথে নাম মিলিয়ে। মোটা টাকে ডাকতাম গাস গাস, শুঁটকা টাকে জ্যাক। ওরা আমাদের সাথে খুব ভাব করতে চাইতো। শিমুলদের বয়েসি বাচ্চাদের কোলে নিয়ে আদর করতো। আমাদের চিল গোজ বলে এক ধরণের বাদাম খেতে দিতো (পাইন নাট)। বরই এর মতো কালো কালো শুঁকনো এক ধরণের ফল খেতে দিতো (ড্রাই প্লাম)। প্রথম প্রথম ওদের আমরা খুব ভয় পেতাম। তবে লোভ বলেও তো একটা জিনিস আছে, কতক্ষণ, কতদিন আর না না করা যায়? তারপর একটা সময় আমাদের ভয় ভেঙ্গে গেলো। ওদের দেওয়া খাবার খেতে শুরু করে দিলাম। আমরা ওদের সামনেই খুব চিৎকার চেঁচামেচি করে খেলতাম। আমাদের খেলায় কেউ মিলেটারি হতে চাইতো না, সবাই মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইতো, তারপর মারামারি লেগে যেতো। এই সমস্যার সমাধান করে দিলো গাস গাস। ওরা তো মিলেটারি ই। তাই ওরাই মেলেটারি হত, আর আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। আমরা ওদের লক্ষ্য করে লাঠির বন্দুক দিয়ে গুলি করতাম। মাটির দলা দিয়ে গ্রেনেড ছুড়তাম আর ওরা দাঁত বেড় করে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হাসতো। তারপর একসময় ওদের সত্যিকারের বন্দুক আমাদের দিকে তাক করে বলতো সারেন্ডার! আমরা আর কী করবো? ভয়ে ভয়ে দুই-হাত উপরে ওঠাতাম, না করলে যদি ওরা সত্যি সত্যি আমাদের গুলি করে! ওদের সাথে খেলতাম সত্যি কিন্তু বিশ্বাস তো আর করতাম না।

এই ভাবে প্রতিদিন মাগরিবের আজান পর্যন্ত খেলতাম। ঈদের জন্য গাস গাস ওর দেশে চলে গিয়েছিলো। যাবার আগে জানতে চেয়েছিল আমাদের জন্য কী আনবে? আমি চুড়ি আনতে বলেছিলাম। ঈদের পর ও যখন ফিরে এসেছিলো, তখন সত্যিই আমার জন্য চুড়ি নিয়ে এসেছিলো। যদিও সেই চুড়ি বড়াপু আমাকে পরতে দেয়নি।

আমি যতটুকু মনে করতে পাড়ি তখন ঈদের নতুন ফ্যাশনের চলনটা প্রথমে রোজার ঈদে পশ্চিম পাকিস্তানে আসতো। পরে সেটাই কুরবানী ঈদে পূর্ব পাকিস্তানে আসতো। আবার আগের বছর কুরবানী ঈদে পশ্চিম পাকিস্তানে যে ফ্যাশনটা চলন হয়েছিলো সেটা পরের বছর রোজার ঈদে পূর্ব পাকিস্তানে চলতো। শুধু ঈদেই নয়, সব কিছুই প্রথমে ওখানে চালু হত, তারপর এখানে। কাপড়-চোপড়, শাড়ি-গহনা, জুতা-সেন্ডেল থেকে শুরু করে সব কিছুতেই এমনটি হত। শুধু ব্যতিক্রম দেখা যেতো অবাঙালী, যাদের আত্বীয়-স্বজনরা পশ্চিম পাকিস্তানে থাকতো তারা আর যারা ঈদের আগে আগে পাকিস্তানে যেতো তাদের বেলায়, তারা রোজার ঈদেই নতুন ফ্যাশনের কাপড় কিনে আনত পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। এই ব্যপারটা আপাত দৃষ্টিতে তেমন কিছু মনে না হলেও, এটা বাঙালী মধ্যবিত্তের কাছে অনেক বৈষম্যের ব্যপার ছিলো। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো। একই দেশ তবু কেন দেশের দুই অংশে দুই রকম হবে? কেন পূর্ব পাকিস্তানিরা দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে গন্য হবে? হাতে গোনা গুটি কয়েক বাঙ্গালী ছাড়া কাপড় থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যের পুরোটাই অবাঙালী বা পশ্চিম পাকিস্তানিদের একচেটিয়া অধিকারে ছিলো। ওদের চেইন ভেঙ্গে বাঙ্গালীদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব ছিলো না। ক্ষমতা ছিলো ওদের হাতে, টাকা-পয়সাও ছিলো ওদেরই হাতে।

আমাদের কখনোই দুই ঈদে কাপড় দেওয়া হত না। আব্বা একটু চালাকী করতেন এভাবে (কাপড়ের গজ ছিলো খুব বেশী হলে আড়াই টাকা তিন টাকা, আমাদের কাপড়ে আর কতই লাগতো?) কুরবানি ঈদের আগে আগে বলতেন ব্যবস্যা ভালো না, ঈদে কাপড় বা কুরবানি একটা হবে, কোনটা চাও? আমাদের বাধ্য হয়ে বলতে হত থাক কাপড় লাগবে না। তাই রোজার ঈদের একটা না পরা জামা আমরা রেখে দিতাম কুরবানি ঈদে পরবার জন্য। সুতরাং নতুন ফ্যাশানের কাপড় পরবার জন্য আমাদের এক বছর অপেক্ষা করতে হত।

এবার রোজার ঈদেই জামা কাপড়ের কোন খবর নাই। আব্বা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এবার আমরা ঈদ করবো না। ঈদের খরচ ও যাকাতের সব টাকা মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া হবে। এ কথার পরে তো আর কোন কথা থাকতে পারে না। মুখ শুকিয়ে ঘুরে বেড়াতাম। ওদিকে পাশের বাসার নিতুর বাবা নিতুর জন্য করাচি থেকে কী এক এলিফেন্ট বটম কাপড়ের সেট নিয়ে এসেছে, বিরাট ঢিলা পাজামা, কোমরের পর থেকেই ঢিলা, অনেকটা ডিভাইডারের মতো। তার সাথে ছোট্ট কামিজ ও চুনট ওড়না, ওড়নার ভেতর কাঁচ বসানো। (এই ফ্যাশনটাই হয়ত ৭২ সনের কুরবানী ঈদে পূর্ব পাকিস্তানের সকলে পরত, তার বদলে ৭২ সনে সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে আমরা পরম আনন্দের সাথে খদ্দরের কাপড়ের জামা পড়েছিলাম) যদিও আমাদের ছোটদের মাঝে ঈদের আগে ঈদের কাপড় দেখানো আইনগতভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিলো, কিন্তু কোন ভাবেই যেহেতু আমরা নিতুর মতো কাপড় জোগাড় করতে পারবো না, তাই নিতু খুব আগ্রহের সাথেই পাড়ার সব বান্ধবীদের ডেকে ডেকে তার ঈদের জামা দেখাতে লাগলো। যাতে করে ঈদের বেশ আগে থেকেই আমাদের জ্বলুনি শুরু হয়। সেই ব্যপারে নিতু পুরোপুরিই সাফল্য অর্জন করেছিলো। আমার করুণ অবস্থা দেখে শেষে বড়াপু আম্মার না পরা জংলা প্রিন্টের একটা শাড়ী কেটে বেশ লেস-টেস দিয়ে ক্লাউনের মতো একটা জামা বানিয়ে দিলো। স্বাধীনতার জন্য আমার কোন অবদান নেই। আমি কোন আত্মত্যাগ করিনি। আমি কিছুই খোয়াই নি। কিন্ত নিতুর পাশে ওই জামাটা পরে ঈদ করাটা যে কি প্রচন্ড কষ্টের তা এখন আর আমি কাউকেই বোঝাতে পারবো না। ওটা পরে ঈদ করার চেয়ে মিলিটারির গুলি খেয়ে মরে যাওয়াটা আমার কাছে অনেক সহজ মনে হচ্ছিলো। আমার মনে আছে আমি চোখের পানি গোপন করে নিজেকে এই বলে শান্তনা দিচ্ছিলাম যে, স্বাধীনতার জন্য সবাই যুদ্ধ করছে, রক্ত দিচ্ছে, আর আমি এই জামাটা পরতে পারবো? অবশ্যই পারবো। শুধু স্বাধীনতার জন্য এটা পরেছি আমি। শুধু স্বাধীনতার জন্য।


মন্তব্য

মলিকিউল এর ছবি

ঈদে পোশাক-আষাকের ফ‌্যাশনে আমাদের অবস্থা কিন্তু প্রায় আগের মতই। নিজস্ব ফ‌‌্যাশন হাউজ গুলোতে যায় মোট জনসংখ‌্যার অল্প কয়েকজনই, উচ্চবিত্ত- মধ‌্যবিত্তের একটা বিশাল অংশ ভারতীয় মুভি বা স‌্যাটেলাইট টিভির নায়ক-নায়িকার ফ‌্যাশন আর ইদানিং কালে নাপাকিস্তানের সালোয়ার-কামিজের ফ‌্যাশনের জন‌্য লালায়িত। আমাদের জাতীয় চরিত্র বরাবরই এমন।

অনেকদিন পর দিলেন এই পর্বটা। ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

অবনীল এর ছবি

স্বাধীনতার জন্য আমার কোন অবদান নেই। আমি কোন আত্মত্যাগ করিনি। আমি কিছুই খোয়াই নি। কিন্ত নিতুর পাশে ওই জামাটা পরে ঈদ করাটা যে কি প্রচন্ড কষ্টের তা এখন আর আমি কাউকেই বোঝাতে পারবো না। ওটা পরে ঈদ করার চেয়ে মিলিটারির গুলি খেয়ে মরে যাওয়াটা আমার কাছে অনেক সহজ মনে হচ্ছিলো। আমার মনে আছে আমি চোখের পানি গোপন করে নিজেকে এই বলে শান্তনা দিচ্ছিলাম যে, স্বাধীনতার জন্য সবাই যুদ্ধ করছে, রক্ত দিচ্ছে, আর আমি এই জামাটা পরতে পারবো? অবশ্যই পারবো। শুধু স্বাধীনতার জন্য এটা পরেছি আমি। শুধু স্বাধীনতার জন্য।

চরম মানবিক অভিজ্ঞতার ছোয়া। লেখিকা সাধুবাদ দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলার জন্য।

অফটপিকঃ মলিকিউল ভাই আপনার নিক-টা আমার পছন্দ হয়েছে। খাইছে

___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক

মলিকিউল এর ছবি

@অবনীল ভায়া,
নিক পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার জিহবা কিন্তু অনেক লাল। হাসি

অতিথি এর ছবি

বিশ বছর আগের কথা। বন্ধুদের সাইকেল দেখে একটা সাইকেল কিনে দেয়ার আবদার আমার কখনোই পূরণ হয়নি। কতদিন মনে হয়েছে , আজ হয়ত বাসায় গিয়ে একটা সাইকেল পাব ! অনেকদিন পরে আজ আমার নিজের একটা গাড়ি হয়েছে। কিন্তু শত শত ডলারের তেল পুড়িয়েও আমার ছেলেবেলার সেই বাইসাইকেল না থাকার দুঃখটাকে আমি বাতাসে মিলিয়ে দিতে পারিনা। ছেলেবেলার কষ্টটাকে আপনি এত সুন্দর করে লিখলেন কিভাবে ?

মন্তব্যটা লেখার মূল সুরের সাথে একটু অপ্রাসংগিক হয়ে গেল, এজন্য দু:খিত।

প্রদীপ্ত এর ছবি

অনেকের চোখ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। শিশুর সরল চোখ দিয়ে দেখা হল এবার। ভাল লাগল। গুরু গুরু

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

গুরু গুরু এই সিরিজটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হোক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।