প্রপোর্শানাল বা সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা কি হতে পারে আরেকটি সমাধান?

স্বাধীন এর ছবি
লিখেছেন স্বাধীন (তারিখ: সোম, ০৫/০৯/২০১১ - ২:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার গত লেখাটি ছিল ডিরেক্ট বা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র নিয়ে। মূল উদ্দেশ্য ছিল বর্তমান রিপ্রেজেন্টেটিভ মূলক নির্বাচন ব্যবস্থার বিকল্প কিছু চিন্তা করা। আজকে আরেকটি সম্ভাব্য বিকল্প নিয়ে আলাপ করবো তা হচ্ছে প্রপোর্শানাল বা সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা।

প্রথমে চিন্তা করি কেন আজকের এই আলোচনা। আমাদের দেশের প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে যে রাজনীতি আজ সব নষ্টদের অধিকারে চলে গিয়েছে। বর্তমান অবস্থাটি এমন যে রাজনীতিতে ভালো মানুষ আসতে চায় না। প্রধান দু’টি দলেই আজ কালো টাকা আর পেশি শক্তি ওয়ালা ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি। রাজনীতিতে তারাই এখন সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি। রাজনৈতিক দলগুলো এখন এই সব ব্যক্তির হাতে জিম্মি। এখন চলুন একটু চিন্তা করে দেখি বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থা কি এর সাথে কোন ভাবে সম্পর্কিত হতে পারে? রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে এই দুর্বৃত্তদের হাত হতে মুক্ত করতে কোন বিকল্প কি আছে?

এখন আমাদের দেশে যে ভোটিং ব্যবস্থা বিদ্যমান তা হচ্ছে First-past-the-post (FPTP) (এইটার ভালো বাংলা কি হতে পারে?)। বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থার (FPTP) আরেক নাম হচ্ছে “Winner takes all”। অর্থাৎ যে কোন এলাকায় যে ব্যক্তি পাশ করবে সেই এলাকার সকল ভোট তার হিসেবে গণনা করা হয়, বা নির্বাচিত হয়ে যায়। ধরুন, একটি এলাকায় চারজন প্রার্থী দাড়ালো। এখন একজন প্রার্থী মাত্র ২৬% ভোট পেয়েও সেই এলাকায় নির্বাচিত হতে পারেন। রিপ্রেজেন্টেটিভ গণতন্ত্র মানে হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধি। কিন্তু এই ভোটিং ব্যবস্থায় নির্বাচিত ব্যক্তিটি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছে না, করছে এক চতুর্থাংশের। বাকি ৭৪% জনগণ এই ব্যক্তির পরিবর্তে অন্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে ভোট প্রদান করেছে।

FPTP ভোটিং ব্যবস্থার এই সমস্যা শুধু এলাকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। জাতীয় পর্যায়েও যদি চিন্তা করেন দেখানো যেতে পারে যে যদি একটি দেশে একাধিক দল বিদ্যমান থাকে সে ক্ষেত্রে ৪০% প্রাপ্ত ভোটের দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে সরকার গঠন করতে পারে। এই বছর কানাডার নির্বাচনেই সেরকম ঘটনা গঠেছে। কনজার্ভেটিভ দল মেজরিটি আসন (১৬৬ টি) পেয়েছে, কিন্তু তাদের মোট প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৩৯.৬২% এর মতো। কানাডাতে মোট পাঁচটি দল রয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে যারা রয়েছে তারা ৩০.৬৩% ভোট পেয়ে পেয়েছে ১০৩টি আসন, আর তৃতীয় স্থান অধিকারী দল ১৮.৯১% ভোট পেয়ে পেয়েছে মাত্র ৩৪ টি আসন। চতুর্থ স্থান অর্জনকারী পেয়েছে ১০% ভোট (৪ টি আসন) এবং পঞ্চম স্থান অর্জনকারী দল পেয়েছে ৬.৭৮% (আসন ১ টি)। দেখা যাচ্ছে যে অল্প ভোটের পার্সেন্টেজ পরিবর্তনেও বেশি আসন সংখ্যার পরিবর্তন চোখে পড়ার মতো।

এর সাথে কালো টাকা এবং পেশি শক্তি ওয়ালাদের যোগসুত্র কোথায়? যোগ সুত্র হচ্ছে যেহেতু FPTP ব্যবস্থায় কত পার্সেন্ট ভোট পেলাম সেটার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কতগুলো আসন জিতলাম। তাই প্রতিটি দলের লক্ষ্য যেভাবেই হোক আসন জিততে হবে। আর সেই আসন জিততে যেয়ে এই ভোটিং ব্যবস্থা বাধ্য করে প্রার্থীদেরকে এক অসুস্থ প্রতিযোগীতার। সে প্রতিযোগিতায় তখন কে বেশি অর্থ খরচ করতে পারে আর কার বেশি শক্তি আছে সেটা প্রদর্শন শুরু হয়। দলগুলোর কাছেও যেহেতু আসন জেতাই মূল লক্ষ্য তাই এই সব দুর্বৃত্তদের হাতে জিম্মি হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না। এলাকায় একজন ভালো ব্যক্তিকে দাঁড় করালাম, কিন্তু সে পাশ করতে পারলো না, তাতে দলের কোন লাভ হয় না। বরং একজন কালো পয়সা ওয়ালা লোকও যদি দাঁড়িয়ে পাশ করতে পারে দলের পেছনে একটি আসন লেখা হয়। এভাবেই রাজনৈতিক দলগুলো এই দুর্বৃত্তদের হাতে আটকা পড়ে যায়, এই বর্তমান ব্যবস্থায়।

কিন্তু প্রপোর্শানাল ভোটিং ব্যবস্থায় দলের এই ব্যক্তি নির্ভরতা কমানো সম্ভব। কিভাবে, চলুন সেটা দেখা যাক। তার আগে দেখি সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা বিষয়টি আসলে কি? খুব সহজে এবং সাধারণ ভাষায় যদি বলি - রিপ্রেজেন্টেটিভ গণতন্ত্রের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন করা এবং সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থায় আসন সংখ্যা বন্টিত হয় একটি দলের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে। অর্থাৎ মোট আসন সংখ্যা যদি হয় ৩০০, তবে যে দল ৪০% ভোট পেয়েছে তারা পাবে ১২০ টি আসন, যে দল ৩০% ভোট পেয়েছে তারা পাবে ৯০ টি আসন। এভাবে কোন দল যদি ২% ভোট পায় সেও পাবে ৬টি আসন। কিন্তু আগের ভোটিং ব্যবস্থায় যারা ৪০% ভোট পেয়েছিল তারা হয়তো আসন সংখ্যা পেয়ে যেতো ২০০, অর্থাৎ তারা ৪০% ভোট পেয়েও দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে সুপার মেজরিটি সরকার গঠন করতো, এবং বাকি দলগুলোকে কোন প্রকার পাত্তা না দিলেও চলতো। আবার আগের ভোটিং ব্যবস্থায় ২% বা ৫% ভোট প্রাপ্ত দল হয়তো কখনোই কোন আসন পাবে না, যেমনটা হয় আমাদের দেশের বাম-দলগুলোর ক্ষেত্রে। অর্থাৎ বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠির কোন প্রতিনিধি কখনোই নির্বাচিত হতে পারে না, এবং তাই তাদের কথাও সংসদে উচ্চারিত হয় না।

অনেক রকমের প্রপোর্শানাল ভোটিং ব্যবস্থা রয়েছে। সব চেয়ে সিম্পল হচ্ছে ওপেন এন্ডেড পার্টি ভোটিং। নির্বাচন হবে শুধু দলের ভিক্তিতে। একজন ব্যক্তি কেবল মাত্র একটি দলকেই ভোট দিবেন। সারা দেশের প্রাপ্ত ভোটের ভিক্তিতে পরে সমানুপাতিক হারে আসন সংখ্যা বন্টন করা হবে, এবং দলগুলো সেই আসনের ভিক্তিকে তাদের দলীয় প্রতিনিধি পাঠাবেন। এখন কি বাড়তি সুবিধে পাচ্ছি এই ভোটিং ব্যবস্থায়?

এক, প্রতিটি ভোট কাজে লাগছে। প্রতিটি নাগরিকের মতামত কাজে লাগছে। এই ব্যবস্থায় কারো ভোট নষ্ট হচ্ছে না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এইটা একটা বড় সমস্যা। ধরুন একজন ভালো/সৎ/যোগ্য লোক ভোটে দাঁড়ালো ক্ষুদ্র একটি দলের হয়ে কিংবা স্বতন্ত্র হয়ে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থায় অনেকেই মনে করেন যে এই ব্যক্তি হয়তো পাশ করবে না, তাই তাকে ভোট দেওয়া মানে ভোটটি নষ্ট হওয়া। তখন সে সেই ভোটটি উক্ত ব্যক্তিকে না দিয়ে ঠিকই ধানের শীষ বা নৌকাতেই দেয়। অর্থাৎ বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থায় ভোটারদেরকে এক রকম প্রভাবিত করা হচ্ছে প্রান্তিক দলীয় প্রার্থীকে ভোট না দিতে।

এ জন্যে বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থার একটি দোষ হিসেবে দেখা হয় যে এই ব্যবস্থা দেশকে প্রধান দু’টি দলে বিভক্ত করে ফেলে। যেহেতু আসন জেতাই মূল লক্ষ্য তাই ছোট ছোট দলগুলো বাধ্য হয় বড় দলের সাথে যুক্ত হয়ে জোট গঠনের। যারই প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই আমাদের দেশে। দেশ মূলত আওয়ামী আর বিনপি এই দু’দলে বিভক্ত। একই চিত্র দেখা যায় আমেরিকাতে, রিপাব্লিকান আর ডেমেক্রেটের বাহিরে আর কেউ আসতে পারবে না। অর্থাৎ এই ভোটিং ব্যবস্থা (FPTP) একাধিক দল ভিক্তিক রাজনীতির জন্যে সহায়ক নয়। কিন্তু সমানুপাতিক হারে ভোটিং ব্যবস্থায় যেহেতু প্রতিটি ভোটই কাজে আসে তাই আমি আমার নিজের পছন্দের দল/আদর্শকেই ভোট দিবো। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি দলের চেষ্টা থাকবে তাদের সমর্থক বাড়াতে। আবার এর ফলে জনগণের মাঝে ভোট প্রদানের প্রবণতাও বৃদ্ধি পায়।

দ্বিতীয়ত আরেকটি সুবিধে হয় যে কালো টাকা/পেশি শক্তিওয়ালাদের প্রতি নির্ভরতা কমে যায়। দলগুলোকে আর সরাসরি আসন জেতার লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা করতে হচ্ছে না, বরং কিভাবে অধিকতর সংখ্যক মানুষের সমর্থন জোগানো যায় সেটার জন্যে চেষ্টা করতে হবে। তাই আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সমানুপাতিক হারে ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত। বিশ্বের অনেক দেশেই এখন এই পদ্ধতিতে ভোট হয়, যেমন অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিল, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, জার্মানি, হল্যান্ড, হাঙ্গেরী, ইসরাইল, জাপান, ইতালী, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, রাশিয়া, স্পেন, সাউথ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, ভেনিজুয়েলা ইত্যাদী।

উপরে উল্লেখিত সিম্পল সমানুপাতিক পদ্ধতি ছাড়াও আরো কয়েক ধরণের সমানুপাতিক পদ্ধতি রয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে পার্টি লিস্ট পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে দলগুলো তাদের প্রার্থীদের তালিকা দিয়ে দিবে। জনগণ দল পছন্দ করার পাশাপাশি দলের কোন প্রার্থীকে চায় সেটাও পছন্দ করে দিতে পারবে। এই পদ্ধতি আগেরটার তুলনায় কিছুটা ভালো হতে পারে, কারণ এখানে কে প্রার্থী হচ্ছে সেটা আগে থেকে জানা যাচ্ছে।

অনেক দেশে মিক্সড পদ্ধতি চালু আছে। এই পদ্ধতিতে মোট আসন সংখ্যার পঞ্চাশ ভাগ নির্বাচিত হয় বর্তমান পদ্ধতিতে, বাকি পঞ্চাশ ভাগ নির্বাচিত হয় ওপেন এন্ডেড প্রপোর্শানাল ভোটিং ব্যবস্থায়। এ ছাড়া আরো একটি পদ্ধতি রয়েছে “সিঙ্গেল ট্রান্সফার ভোট”। এই সবগুলোর বিস্তারিত বিবরণে আমি যাচ্ছি না। আগ্রহী যে কেউ উইকি থেকে জেনে নিতে পারেন।

সর্বশেষ কথা হচ্ছে বর্তমান (FPTP) ভোটিং ব্যবস্থার অনেকগুলো দুর্বলতা রয়েছে যার ফলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বর্তমান রাজনীতি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী, কালো টাকা, পেশি শক্তিওয়ালা ব্যক্তিদের হাতে চলে গিয়েছে। সেই সাথে দেশ আজ বিনপি-চারদলীয় জোট আর আওয়ামী জোট এই দুই জোটের চক্করে আবদ্ধ। বর্তমান ভোটিং ব্যবস্থায় তৃতীয় কোন দলের গড়ে উঠা সম্ভব নয়। এই দুই দলের চক্র থেকে মুক্ত হতে হলে, এবং এই দুবৃত্তদের হাত হতে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে প্রপোর্শানাল কিংবা সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থায় যেতে হবে। সেই সাথে একটি শক্তিশালী স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন হবে। এই পরিবর্তন গুলোর জন্যে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে কিছু মৌলিক পরিবর্তনের জন্যে চেষ্টা করতে হবে। কোন মৌলিক পরিবর্তন ব্যতীত জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা আমি দেখি না।

সবার উম্মুক্ত আলোচনা কামনা করছি।


মন্তব্য

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

চলুক

--------------------------------------------------------------------------------

স্বাধীন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

শিশিরকণা এর ছবি

চলুক

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

স্বাধীন এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।

কাঠের সেনাপতি এর ছবি

দলগুলো যখন প্রার্থী বা সাংসদ নির্বাচন করবে তখন যদি তারা কাল টাকার জোরে সাংসদ নিয়োগ দেয় তখন কিন্তু সমানুপাতিক ভোটিং সিস্টেম এও ভাল নেতা আসবে না । কিন্তু যদি এমন হয় যে দলগুলো ভবিষৎ সাংসদ এর একটি হিট লিস্ট নির্বাচনের আগে প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে সর্বোচ্চ ৫% পরিবর্তন করতে পারবে, তাহলে এই সিস্টেম এ সফলতা আসতে পারে ।

স্বাধীন এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। নীচে নিবিড়ের মন্তব্যের জবাবে এই বিষয়টি কিছুটা আলোকপাত করেছি।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আমার তো মনে হচ্ছে সোজাসাপ্টা সমানুপাতিক পদ্ধতিটিই আমাদের দেশের জন্যে যুতসই। "Simple is beautiful".

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

স্বাধীন এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সোজাসাপ্টা হোক আর বাঁকা হোক যে কোন প্রকারের প্রপোর্শানাল এখন পছন্দ করা উচিত এই বড় দুই দলের মনোপলি ভাঙ্গার জন্যে।

ঘুম কুমার এর ছবি

এই পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের উপায় থাকছে না। সবাইকেই একটা রাজনৈতিক দলের অধীনে থাকতে হবে।
আর প্রাথমিক একটা প্রার্থী তালিকা করলেও দেখা যাবে যাদের টাকা, পারিবারিক বা অন্যান্য ক্ষমতা বেশি তারাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে হাত করে সব সময় তালিকার উপরের দিকে থাকার ব্যবস্থা করবে। প্রার্থী তালিকা তৈরিতেও জনগনকে সম্পৃক্ত করা গেলে হয়ত ভাল লোকের নির্বাচনের সুযোগ নিশ্চিত হবে।

স্বাধীন এর ছবি

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। নীচে নিবিড়ের মন্তব্যের জবাবে এই বিষয়টি কিছুটা আলোকপাত করেছি।

নিবিড় এর ছবি

আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থায় সমস্যা আছে তবে আমি এফপিটিপি সিস্টেমের বদলে প্রপোশার্নাল ভোটিং সিস্টেম কে ভাল সমাধান মনে করি না। প্রধান কারণ দুইটা উপরে দুইজন অতিথি বলে দিয়েছেন তাও নিজের মতগুলো আরেকবার বলি,

১) প্রপোর্শানাল সিস্টেমে একটি রাজনৈতিক দল তার পছন্দমত প্রার্থীদের মনোনয়ন দিবে, সেখানে তাদের এলাকায় গণভিত্তি আছে কীনা সে ব্যাপারটা আর মূখ্য থাকবে না। আপনি বলছেন এই সিস্টেমে টাকার খেলা কমবে কিন্তু আমার মনে হয় আর বাড়বে। কারণ যখন এলাকায় গণভিত্তি থাকা না থাকা ব্যাপার হবে না তখন দলগুলো টাকাওয়ালা প্রার্থীদের কাছে সরাসরি মনোনয়ন বেচবে। আগে টাকা দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি হলেও দলগুলো অন্তত টাকাওয়ালা প্রার্থীদের মধ্যে থেকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় ভাবতে হত এদের মধ্যে কার এলাকার জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেশি। তবে প্রপোশার্নাল সিস্টেম চালু হলে দলগুলোর সে ভাবনা আর থাকবে না তাই অবাধে আগের থেকে বেশি পরিমাণে চলবে সিট বেচা বিক্রি।

২) শুধুমাত্র প্রপোশার্নাল সিস্টেম চালু করলে আরেকটি যে সমস্যা তৈরি হবে সেটা হল স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে দাড়াবার ক্ষেত্র বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৫ বছর বয়স্ক যেকোন নাগরিক অপ্রকৃ্তস্থ না হলে, দেওলিয়া না হলে, বিদেশী নাগরিকত্ব না থাকলে, রাষ্ট্রের কোন লাভজনক পদে না থাকলে, যদি কোন ফৌজদারী অপরাধে সাজা খাটার পর নূন্যতম পাঁচ বছর অতিবাহিত হয় তবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু কথা হচ্ছে প্রপোর্শানাল সিস্টেমে যেহেতু ব্যক্তির একা নির্বাচনে দাড়ানোর সুযোগ থাকছে না তাই সমস্ত যোগ্যতা থাকার পরও একজন নাগরিক শুধুমাত্র কোন পার্টির প্রতিনিধিত্ব না করার কারণে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এটা নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক।

৩) আপনি আরেকটা প্রস্তাব করেছেন নির্বাচনে ভোটাররা দলীয় প্রার্থীদের তালিকায় ক্রমিক পরিবর্তন করতে পারবে। খোলা চোখে প্রস্তাবটা ভাল মনে হয় কিন্তু এটা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ একটা দলের প্রার্থীদের ক্রমিক ঠিক করতে গেলে আপনার দলের দেওয়া তিনশ প্রার্থীর সবার সম্পর্কে জানা প্রয়োজন হবে। একজন ভোটারের কোন দলের তিনশ প্রার্থী সম্পর্কে জানা ও তাদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে তাদের তালিকায় ক্রমিক ঠিক করে দেওয়া বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা তাদের যোগ্যতা তুলে ধরার জন্য প্রচারে যাবেন এবং সে ক্ষেত্রে আবার যেসব প্রার্থীর টাকার জোর বেশি তারা সারাদেশে প্রচারের ক্ষেত্রে একজন কম অর্থশালী প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে যাবেন। যে টাকার খেলা থেকে আপনি নির্বাচন কে বের করে নিয়ে আসতে চাইছেন নির্বাচন এভাবে আবার তার খপ্পরে পরবে।

৪) প্রপোর্শানালিস্ট সিস্টেমে একজন প্রার্থী যেহেতু মূলত দলীয় মনোনয়ন থেকে আসছেন তাই তার মূল আনুগত্য থাকবে দলের প্রতি এলাকার জনগণের প্রতি নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকোন নির্বাচনে একজন প্রার্থীর মূল আনুগত্য থাকা উচিত জনগণের প্রতি, যখন এই আনুগত্য মূলত দলীয় আনুগত্যে পরিণত হয় তা কিন্তু কোন ভাবেই গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। আবার একটি নির্বাচনী এলাকার ভোটার হিসেবে আপনি অবশ্যই চাইবেন জাতীয় সংসদে আপনার এলাকার একজন সদস্য থাকুন যিনি আপনাদের দাবি দাওয়া সংসদে তুলে ধরতে পারবেন কিন্তু এই ব্যবস্থায় ভোটারদের আর সে নিশ্চয়তা আর থাকছে না। কারণ দল চাইলে এক সাংসদীয় এলাকা থেকে পাচজন প্রার্থীও মনোনয়ন দিতে পারবে।

এই সমস্যাগুলোর কারণে প্রপোশার্নাল সিস্টেম চালু করলেও তা কোন বাস্তব সমাধান দিবে বলে মনে হয় না। কয়েক বছর আগে ঢাবি সোসাল সায়েন্স রিভিওতে ফেরদৌস জাহান ম্যাডাম এর একটা লেখা পড়েছিলাম নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে।আমার মনে হয়েছিল উনার প্রস্তাবিত সমাধানটা উত্তম সমাধান। লেখাটা বর্তমানে আমার কাছে নেই তাই স্মৃতি থেকে যতদূর মনে আছে সেই অনুযায়ী বললে- আমরা বরং এফপিটিপি এবং প্রপোর্শানাল সিস্টেম দুইটা একসাথে চালু করতে পারি। আমাদের সংসদে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে যদি আমরা ৫০০ করি এবং এই আসনগুলোর মধ্যে ৩০০ বর্তমান সিস্টেমে ও বাকি ২০০ প্রপোর্শানাল সিস্টেমের মাধ্যমে ঠিক করা হবে। প্রপোর্শানাল সিস্টেমে আসন পেতে হলে যে কোন দলকে অন্তত মোট কাস্টিং ভোটের এক শতাংশ পেতে হবে। এই ব্যবস্থায় বর্তমানে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যার অনুপাতে আসন প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা এবং প্রপোর্শানাল সিস্টেমের অসুবিধা সব এড়ানো যাবে।

স্বাধীন এর ছবি

ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে। আপনার মন্তব্য লেখাটিকে পূর্ণ করেছে।

১. এই পদ্ধতিতে সরাসরি দলের কার্যক্রমের উপর ভিক্তি করে ভোটাররা ভোট দিবেন। এখন কেউ যদি কালো টাকা ওয়ালাদেরকেই মনোয়ন দেন, পরের বছর বা পরের বার তার ভোটার কমে যাবে। আরেকটি মন্তব্যেও বলেছেন যে একজন ভোটারের পক্ষে সম্ভব নয় সবাইকে বিচার করে ভোট দেওয়া। সেটাও নির্ভর করছে দলের উপরই। আমার যদি দলের প্রতি বিশ্বাস থাকে তবেই আমি দলকে ভোট দিবো। দল যদি আমার সাথে বেঈমানি করে তবে আমি আর পরের বার থেকে দলের সাথে থাকবো না। এখন দলের দায়িত্ব কিভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করবে। কিন্তু এখনকার সিস্টেমে নগণ্য একজন ভোটারের কোন মূল্য নেই। সেই সাথে আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে এই পদ্ধতিতে রাতারাতি এক দল ক্ষমতায় আর অন্য দল বিরোধী সেটা হবে না, যা এখন হচ্ছে। এর ফলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে কারণ এক সরকার এসে আগেরকার সরকারের সব বাতিল করে দিচ্ছে। সমানুপাতিক হারে ভোটিং হলে সেটা সহজে পরিবর্তন হবে না, বেশি হলে এক দলের ভোট ৫ থেকে ১০ ভাগ কম বেশি হবে। এভাবে লং রানে একটি স্ট্যাবল রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

২. প্রপোর্শানাল সিস্টেমেও স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন করা সম্ভব। যদি তাদের আলাদা একটি তালিকা থাকে। এবং দেশের মানুষ যদি চায় তবে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচিত হতে পারবে। আর লেখায় যেমন বলেছি অনেক রকমের প্রপোর্শানাল ভটিং ব্যবস্থা আছে।

৩. দলীয় আনুগত্য এখনো আছে, তখনো থাকবে। কিন্তু এখন যেমন দলের জবাবদিহীতা নেই কারণ তারা জানে যে পাঁচ বছর পরেই আবার তারা ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু প্রপোর্শানাল ভোটিং ব্যবস্থায় দল তার প্রার্থীদেরকে বাধ্য করবে জনগণের জন্য কাজ করতে, কারণ না হলে পরের বার জনগণ তাদের দল হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে। ব্যাপারটি হচ্ছে যে বর্তমান ব্যবস্থায় বড় দু'দলের বাহিরে জনগণের জন্যে কোন বিকল্প আসে না। তাই তারা বাধ্য হয় এই বার এদেরকে আরেকবার অন্যদেরকে বেছে নিতে। কিন্তু প্রপোর্শানাল ব্যবস্থায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দল গড়ে উঠবে। আমি নিজেই একটি দল গঠন করতে পারি, কিছু সমর্থক জোগাড় করতে পারি। আমার টার্গেট থাকবে প্রতিবছর সমর্থক বাড়ানো। এভাবে একদিন আমার সমর্থক বাড়লে একটি আসন পেতে পারি, তার থেকে একদিন দশটি আসন পেতে পারি। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় সেটি সম্ভব নয়। তাই সমানুপাতিক ব্যবস্থায় জনগণের সামনে বহু বিকল্প গড়ে উঠে। আর যখনই বিকল্প চলে আসে প্রধান দলগুলো বাধ্য হয় নিজদের চিন্তাভাবনা পরিবর্তনের। কিন্তু এখন কি হচ্ছে এখন হচ্ছে মনোপলি। আর যে কোন মনোপলিই খারাপ। আজ বহু মোবাইল কোম্পানী হওয়াতে প্রতিযোগিতায় লাভবান হচ্ছে গ্রাহকেরা। তেমনি বহু দলের তৈরী হলে লাভবান হবে জনগণ।

৪. এলাকা ভিক্তিক যে সমস্যার কথা বলেছেন সেটা আমিও জানি। তাই মিক্সড সিস্টেমের কথা লেখাতে আমিও উল্লেখ করেছি। অনেক দেশই মিক্সড সিস্টেম এডাপ্ট করেছে। এইটার আরেকটি সমাধান হতে পারি বিকেন্দ্রীকরণ। এলাকাগুলোতে যে সরকার প্রধান হবে সে বর্তমান ব্যবস্থায় নির্বাচিত হতে পারে। কিন্তু যারা আইন প্রণয়ন করবে তারা প্রপোর্শানাল বিক্তিতে নির্বাচিত হতে পারে। আর প্রপর্শানালের অনেক রকম আছে সেগুলোকেও দেশের প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করা সম্ভব। কিন্তু আধুনিক গণতন্ত্রে প্রায় সব দেশই এই প্রপোর্শানাল সিস্টেমেই ঝুঁকছে। এর মূল কারণ হচ্ছে এটি বহু দলীয় রাজনীতির জন্য সহায়ক, আর মানুষও এখন বহু দলে বহু আদর্শে বিভক্ত। শুধু ডান-বাম আর চলছে না। এখন মানুষ অন্ততঃ উগ্র ডান- ডান- মধ্যপন্থা-বাম-উগ্র বাম এই সব আদর্শে বিভক্ত। তাই একমাত্র প্রপোর্শনাল ব্যবস্থাই সেই ভেরিয়েন্সকে ধারণ করতে সক্ষম।

আবারো ধন্যবাদ আপনার বিস্তারিত মন্তব্যের জন্যে।

কাঠের সেনাপতি এর ছবি

৬১ বা ৬২টি আসন পেয়েও কিন্তু আওয়ামিলীগ তাদের শুধরে নেয়নি । গত নির্বাচনে ৩০ আসন পেয়েও বিএনপি কিন্তু যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছে । কিন্তু দুটি নির্বাচনেই যদি মোট ভোটের পার্সেন্টেজ দেখেন দুই দলের ভোট সংখ্যা শতকরা ৩০ এর আশেপাশে । এরকম ভরাডুবির পরও যখন দুই দল তাদের চরিত্র পরিবর্তন করছে না তখন সমানুপাতিক হারে কিন্তু তাদের সদস্য সংখ্যা ১০০ এর আশেপাশেই থাকবে । এত ভরাডুবির পরেও যদি তারা সতর্ক না হয় কিভাবে আশা করতে পারি ১০০ এর কাছাকাছি আসনে এই দলগুলো নিজেদের গুণগত উন্নয়ণ ঘটাবে । আমার তো মনে হয় কালোটাকার প্রভাব আর বাড়বে । বাংলাদেশের প্রেক্ষিত বিবেচনায় নিলে । কারণ আমি আপনি যতই দল গঠন করি না কেন নিকটতম ভবিষ্যৎ এও আওয়ামিলীগ এবং বিএনপি শতকরা ৩০ এর কোঠতেই ভোট পাবে ।

আর মিক্সড প্রপোর্সনাল সিস্টেম আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে একটু কঠিন হয়ে যায় । যেখানে জনগণের সচেতনতার হার আশংকাজনক ভাবে কম ।

নির্বাচনী ব্যবাস্থা সংস্কার এর চেয়ে কার্যকরী উপায় মনে হয় - সচেতন ভোটার তৈরীতে । আমার মনে হয় প্রচলিত ব্যবস্থাতেই সাংসদরা যদি নিজ নিজ এলাকায় জনগনের প্রশ্নের মুখোমুখি হয় তাহলে উপকারীতা বেশী পাওয়া যাবে ।

স্বাধীন এর ছবি

আপনি বেশ ভালো পয়েন্ট ধরেছেন। কিন্তু আরেক বার চিন্তা করে দেখুন যে কেন লীগ ৬১/৬২ আসন পেয়ে বা বিনপি ৩০ টি আসন পেয়েও তাদের চরিত্র বদল করে না? কারণ, যেহেতু এই দুই দলের বাহিরে সত্যিকার অর্থে কোন তৃতীয় শক্তি নেই তাই তাদের চরিত্র পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তাদের কোন প্রকার গুণগত পরিবর্তন ছাড়াই একে অপরের ভুলের জন্যে অন্যকে জয়ী করবে। তারেক/বাবরের বদৌলতে লীগ আসবে আর আবুল/শাহজাহানের বদৌলতে আবার বিনপি আসবে। আপনি বলছেন যে এই দুই দল সব সময়ই ত্রিশ ভাগ ভোট পায়ই। সেটাও পাচ্ছে কারণ কোন তৃতীয় শক্তি উঠে আসতে পারছে না বলে। যদি জনগণে সামনে বিকল্প থাকতো তবে ঠিকই তাদের সেই ত্রিশ ভাগে টান পড়তো। প্রপোর্শানাল ভোটিং ছাড়া বহু দলীয় রাজনীতির পরিবেশ সম্ভবপর নয়।

আপনি আরেকটি বিষয় বলেছেন, তা হচ্ছে প্রপোর্শানাল ভোটিং এই দু'দলের সব সময় ১০০ আসন করে থাকতো। একজ্যাক্টলি তাই। ধরেও যদি নেই যে তারা সব সময় ত্রিশ ভাগ করে ভোট পাবে তারপরেও দেখুন সমানুপাতিক হারে ভোটিং এর সুবিধে কত। এই ১০০ ভাগ আসন নিয়ে লীগ বা বিনপি কিন্তু সরকার গঠন করতে পারবে না কখনোই। তখন হয় তাদেরকে গুণগত পরিবর্তন করে আরো সমর্থক বাড়াতে হবে, অন্যথায় বিনপির সাথে সমোঝতা করে সরকার গঠন করতে হবে। কিন্তু বর্তমান ব্যবস্থায় কি হচ্ছে এই ত্রিশ ভাগ পরের বছর পয়ত্রিশ ভাগ হয়, আর তা দিয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করে ফেলে দুই দল। প্রতি পাঁচ বছরে এক বার করে ক্ষমতায় এসে যদি এক হাজার কোটি টাকা বানানো যায় তবে ক্ষতি কি? তারা এই সূযোগ পাচ্ছে কারণ আমাদের এই পপুলার ভোটিং ব্যবস্থা।

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

Kamrul Hasan এর ছবি

হাহ! বাংলাদেশ নিয়ে আর স্বপ্ন দেখি না। ধন্যবাদ।

স্বাধীন এর ছবি

স্বপ্ন না দেখলে তো আর কোন কথাই নেই চোখ টিপি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।