ব্লগে সাধারণত ধর্ম আর অধর্ম নিয়ে তর্ক করি না। আমি একটা জিনিস মানি তা হলো প্রাপ্ত বয়ষ্ক একজন ব্যক্তিকে কোন কিছু বুঝানো সম্ভব নয় যদি না তিনি সেটা নিজে থেকে বুঝেন। তাই আমি যেটার চেষ্টা করি তা হলো নিজের জাজমেন্ট অন্যের কাছে চাপিয়ে না দিয়ে বরং তথ্য এবং যুক্তি গুলো তুলে ধরি, তারপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পালা অন্যের।
অন্যের বিশ্বাসে আমার আপত্তি নেই ততক্ষন, যতক্ষন তার বিশ্বাস আমার জন্যে অস্বস্থিকর না হয়। সমস্যা হলো যে যেকোন বিশ্বাস/ধারণাই হোক (সেটা ধর্ম হোক, গনতন্ত্র হোক, জাতিয়তাবাদী হোক, মানবতাবাদী হোক, বা নাস্তিকতাই হোক) সেটার কাজই হচ্ছে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু যে বিশ্বাস ন্যাচারাল সিলেকশনে উন্নতর সুবিধে প্রদান করবে মানুষকে, সে বিশ্বাসই পরবর্তী প্রজন্মে বেশি করে ছড়িয়ে যাবে এবং টিকে থাকবে। যে বিশ্বাসগুলো টিকে থাকায় বাড়তি সুবিধে প্রদান করবে না তারাই ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে। যেমন হারিয়ে গিয়েছে বহু ভাষা, বহু সংস্কৃতি, বহু জাতি। ধর্ম গুলো এর বাহিরে নয়।
আমি যেভাবে দেখি তা হচ্ছে - মানুষ সাধারণত একটি গ্রুপের মাঝে থাকতে পছন্দ করে। এই যেমন সচল বা মুক্তমনা সবাই একটি গ্রুপ। আরো বড় গ্রুপ যদি চিন্তা করেন তবে ধর্মীয় গ্রুপ গুলো, কিংবা একেকটি জাতি বা রাষ্ট্রকে চিন্তা করতে পারেন। ছোট হোক বা বড় হোক যে গ্রুপে আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন সেই গ্রুপে আপনি চলতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার একই সাথে একাধিক গ্রুপে চলে থাকেন। একটি গ্রুপের অন্যান্য সদস্যদের প্রয়োজন গ্রুপ বড় করার (টিকে থাকায় সুবিধে), আবার আপনার নিজেরও প্রয়োজন কোন না কোন গ্রুপে থাকার (নিজেরও টিকে থাকার বাড়তি সুবিধের জন্যে)। এভাবে দু’য়ের প্রয়োজনে আপনি আপনার গ্রুপ খুঁজে পান, আবার একটি গ্রুপও আপনাকে খুঁজে পায়।
একটি গ্রুপের চেষ্টা থাকে নানান সুবিধে দিয়ে তার গ্রুপকে সুসংহত রাখার। অন্য গ্রুপের আক্রমন হতে গ্রুপ আপনাকে রক্ষা করে। নিজের নানান বিপদে গ্রুপের সদস্যদের আপনি পাশে পাবেন যেটা আপনি পেতেন না যদি আপনি এই গ্রুপের সদস্য না হতেন। আবার একটি গ্রুপ সব সময় নিজের ভাঙ্গন রোধে সচেষ্ট থাকে। তাই অনেক সময় কেউ গ্রুপ হতে বের হয়ে চলে যেতে চাইলে সেটাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। গ্রুপের সদস্যদের মাঝে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে গ্রুপ নানান নীতিমালা প্রণয়ন করে থাকে। গ্রুপের মাঝে কেউ নিয়ম না মানলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয় গ্রুপকে রক্ষার্থে আবার ভালো কাজের জন্যে তাকে পুরষ্কৃত করা হয়। এই সবই চিন্তা করা যেতে পারে “এজ এ সেলফিশনেস অফ এ গ্রুপ” হিসেবে। অর্থাৎ গ্রুপ যা করছে তা তার নিজের টিকে থাকার জন্যে, তার নিজের আদর্শকে টিকিয়ে রাখার জন্যে, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্যে নয়।
ছোট হোক বড় হোক যে কোন গ্রুপের মাঝে আমরা এই কমন বৈশিষ্ট্যগুলো দেখতে পাবো। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যেমন সত্য সচল বা মুক্তমনার মত ছোট গ্রুপের জন্য তেমনি সত্য প্রাতিষ্ঠানিক রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় সংগঠনগুলোর জন্য। এখন কেউ যদি ধর্ম গ্রন্থগুলো পড়ে দেখেন আপনি দেখবেন ধর্ম গ্রন্থগুলোতে সেই সব এলিমেন্টই রয়েছে যা দিয়ে তার গ্রুপের মানুষদেরকে প্রয়োজনে একত্রিত করা যাবে, কিংবা অন্য গ্রুপ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে, কিংবা নুতন মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারবে।
এ কারণেই দেখবেন প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থেই দাবী করা হবে তারাই সর্ব শ্রেষ্ঠ, এক মাত্র তারাই সত্যি। সব গুলোই দাবী করে তাদের ধর্ম গ্রন্থ সরাসরি ঈশ্বরের সৃষ্টি এবং তাদের ঈশ্বরই সত্য। যদিও সেই দাবীর পক্ষে কোন প্রমান তারা দেয় না। এ কথা সত্য যে মনুষ্য সৃষ্ট ধর্ম হলে সেটার গ্রহনযোগ্যতা এমনিতেই কমে যায়। এ কারণেই দেখা যাবে প্রতিটি ধর্ম গ্রন্থে মানুষকে ভালো কাজের জন্যে পুরষ্কারের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে আর খারাপ কাজের জন্যে রাখা হচ্ছে শাস্তির। এ কারণেই দেখা যায় নিজ ধর্ম ব্যতীত অন্য ধর্মের প্রতি ঘৃণার এলিমেন্টও থাকে। এ সবই স্বাভাবিক যদি নিজের দলকে সুসংহত রাখতে চাই। এ সবই স্বাভাবিক যখন ধর্মগ্রন্থ গুলো হয় মনুষ্য সৃষ্ট।
তাই ধর্ম গ্রন্থে যখন পুরষ্কারের লোভ দেখায় আর নরকের লেলিহান আগুনের ভয় দেখায় আমি বিশেষ অবাক হই না। তাই ধর্ম গ্রন্থে যখন অন্য ধর্মে বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসীদের প্রতি ঘৃণার বাণী থাকে আমি তাতে বিশেষ অবাক হই না। প্রতিটি গ্রুপই চায় যে কোন ভাবেই হোক নিজেকে টিকিয়ে রাখতে। ধর্ম গুলোও সেটার ব্যতিক্রম নয়। শুধু অবাক হই যখন সেগুলো করা হয়ে থাকে ঈশ্বরের নামে।
কারণ, ঈশ্বর যদি থেকেও থাকেন তার প্রয়োজন নেই মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির। তার প্রয়োজন নেই স্বর্গ ও নরক নামক আসমানপুরীর। তিনি যদি হন সর্ব শক্তিমান, তবে তিনি হতেন এ সমস্ত ক্ষুদ্র মানসিকতার উর্ধ্বে। কিন্তু তিনি তা নন, এবং নয় তার ধর্মগ্রন্থ গুলো। এ কারণে আমি মনে করি সব ধর্মগ্রন্থ গুলো কোন না কোন মানুষের তৈরী। তবে আমি স্বীকার করি ঈশ্বর সত্যিই নিরাকার, তিনি সত্যিই অসীম। কারণ উনার অবস্থান আসলে আমাদের কল্পনায়, আমাদের মস্তিষ্কে। তাই তিনি নিরাকার, তাই তিনি অসীম।
মন্তব্য
আপনার ইহকাল-পরকাল দুই কালই গেল!
ধর্ম একটা ভ্রান্ত ধারণা...পৃথিবীতে যতগুলো মানুষ, ততগুলো ধর্ম! যে যার যার মত নিজের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মটাকে ব্যবহার করে-তা নিয়ে নিয়ে ব্যবসা করে। সেটা আমি-বা যে কেউই! ধর্মটা একটা তরলের মত...পাত্রের উপর ডিপেন্ড করে। ধর্ম দিয়ে কেউ খুন্তি বানায়, কেউ কামান বানায়, কেউ মালা বানায়, কেউ সর্ষের তেল বানায় আবার কেউ বোমাও বানায়! যখন যেভাবে দরকার এটাকে সেভাবেই ব্যবহার করা যায় বলেই এটা এত জনপ্রিয়!
আমার নিজের ব্যক্তিগত মতঃ যদি খোদা-ঈশ্বর বলে কেউ থাকেন তিনি এতবড় স্টুপিড নিশ্চয়ই না যে কে কি নিয়তে কোন কাজটা করছে সেইটা বুঝবে না। ধর্মের রিচুয়ালগুলো একটা অপশন মাত্র। একটা সত্যকারের ভালমানুষ জীবনে খোদা-ঈশ্বরকে তৈলমর্দন না করলে তিনি গোস্বা করবেন আর কেউ তৈলমর্দন করে-ব্লাফ দিয়ে তার দুর্নীতির দায় থেকে রেহাই পেয়ে যাবে খোদা-ঈশ্বরকে এতটা বেকুব ভাবা মনে হয় না ঠিক! আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত! সমস্যা হল, মানুষ নিজেরে খুব বেশি চালাক ভাবে...
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
ঈশ্বর আছেন কি নেই সে তর্কে আমি যাব না। সেটা একেবারেই বিশ্বাসের ব্যাপার।
কিন্তু কষ্ট লাগে যখন দেখি অনেক জ্ঞান অর্জনের পরেও, অনেক যুক্তি দিয়ে বোঝানোর পরও মানুষ মানতে চায়না যে ধর্মগ্রন্থহুলো মানুষের সৃষ্টি। ওটা কিছু বুদ্ধিমান লোকের তৈরি বাকীদের ফাঁকি দেয়ার সেটা বুঝতে চায়না।
ভালো লিখেছেন।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে আমি "কুলইয়া আইয়্যোহাল কাফেরুন" তথা এথিস্ট। ঠিকঠাকভাবে বললে বলা যায় ৭৫ ভাগ সংশয়বাদি ও ২৫ ভাগ হার্ডকোর কাফের। হয়তো বিশ্বজগতের এক বা একাধিক স্রষ্টা সত্যিই আছে কিন্তু আব্রাহামিক ধর্মগুলোতে যে স্রষ্টা/স্রষ্টাদের বর্ণনা লেখা রয়েছে সেগুলোয় বিশ্বাস করার পেছনে কোন যুক্তি খুঁজে পাই না।
আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থগুলোর পরস্পরবিরোধী উপদেশসমূহ ও বর্ণিত ঘটনাবলীর ঐতিহাসিক ও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি এত বেশি দুর্বল যে এগুলো চোখ বুঁজে বিশ্বাস করা দুঃসাধ্য।
বেশ সুন্দর এক বাক্যে বলে দিলেন
কোটেশনটা একদম আমার মনের কথা! আপনার লেখাও গুছিয়ে লিখেছেন। ভালো লেগেছে।
মানুষের অজানা ভয়, সংশয়ই বোধহয় মানুষকে ধর্মের বলয় থেকে বের হতে দেয় না।
যেমন আমি আজ রোজা রেখেছি সংশয়ের কারণে। পরস্পরবিরোধী উপদেশসমূহও পড়ছি। আমার যুক্তি, আমি তো কত কিছুই জানি না। জানলেও কত কিছু ভুলভাল জানি। যদি সত্যিই আমার পরলোকগত বাবা মা আমার দিকে চেয়ে থাকেন এই মুহুর্তে! আমি এই রিচুয়াল গুলো পালন না করলে যদি তাদের শাস্তি দেয়া হয়!? না হয় আমার যুক্তিবাদী মন মানতে চায় না। তবুও বাবা মার কথা মনে হলেই নামাজ পড়ি, দোয়া করি। দোয়াটাও খুব সুন্দর।
O Lord,
be merciful to them just as they
brought me up with kindness
and affection. :'(
আমার যতই সংশয় থাকুক, আমি নামাজ পড়ে এই দোয়াই করে যাবো।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ধর্মের সবচেয়ে খারাপ অংশটা হচ্ছে কোরবানি! মুসলিমরা দেয় কোরবানি হিন্দুরা দেয় বলি এভাবে সব ধর্মেই নিরিহ প্রানি দের জবাই করে সৃষ্টিকর্তা কে খুশি করানো হয়। আমার সৃষ্টিকর্তার প্রতি একটা প্রশ্ন তিনি যদি এতই মহান হন তাহলে এই সব নিরিহ প্রানিদের রক্ত দেখে উনি কেন বিকৃত আনন্দ পান? বেশ কজন হুজুর তাবলীগের আলেম অলামা দের প্রশ্নটা করেছি কিন্ত একেক জনের উত্তর শুনে কশে থাবড়া দিতে ইচ্ছে করছিল বেশ কবার
মাহমুদ.জেনেভা
ধন্যবাদ!
মাহমুদ ভাই, এই প্রসঙ্গে আমার মতামতটা বলি। শুনতে বেশ খারাপ লাগতে পারে যদিও। আমার মনে হয় না এখানে নিরীহ প্রাণির রক্ত/প্রাণ একটা ফ্যাক্টর, বরং আস্তিক-নাস্তিক নির্বিশেষে আমাদের যাবতীয় উদযাপনের (বিয়ে, জন্মদিন, বার্ষিকী, এবং অন্যান্য 'ট্রিট') এক অত্যাবশ্যক উপকরণ মাত্র। কারণে-অকারণে কাগজের অপচয়ে যেমন গাছ কাটা পড়ে, চিকেন উইং বা বিফ স্টেকের বেলায়ও সেই একই কথা। কিন্তু মাংস খাওয়ার আগে আমরা সচরাচর "আরো মাংস খাওয়া কি স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক হবে?" টাইপের ভাবনায় যতটা মশগুল থাকি, গরু-ছাগল-মুরগির কথা কিন্তু ততটা ভাবিনা। 'ফিশিং' তো অনেকের হবি-ই, তাই না? এটা ভালো না খারাপ সেটা অন্য বিতর্ক, তবে আমার মনে হয় এই ইস্যুতে (নিরীহ প্রাণি ভক্ষণ) আস্তিক-নাস্তিক সবাই একই প্ল্যাটফর্মে। মানে, আমাদের উদ্দেশ্যের সামনে (হোক সেটা কুরবানি/বলি অথবা অন্য কোন উপলক্ষে ভোজ) গরু-ছাগল-মুরগি নিধনের প্রশ্ন কোন বাধা না। সারকথা, এক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা/ধর্মের নিয়ম বেশ দুর্বল একটা নিয়ামক, কারণ আস্তিক-নাস্তিক ভেদে এক্ষেত্রে পার্থক্য খুব একটা নেই।
এই মন্তব্যও কিন্তু জেনারালাইজেশনের দোষে দুষ্ট, কারণ ভেজিটেরিয়ানরা এই হিসাবের বাইরে।
বি
আসলে যত দোষ হিন্দু মুসলিম এর ভোজ এর জন্য কাটাকাটি
১। ধন্যবাদ। লেখাটি উপভোগ করেছি। নিজের ধারনা অন্যএর ওপর না চাপানোর যে সন্কল্প করেছে, তাতে বাহবা দেই। আপনি গ্রুপ বা দলের স্বআর্থপরতা থেকে ধর্মচিন্তার উদ্ভবের যে ধরণাটি দিলেন, সেটাকে শুধু ধর্মগ্রন্থে সীমাবদ্ধ রাখলেন দেখে একটু আশাহত হলাম। মানুষের চাইতে বড় কোন কিছু (যেমন খোদ-ঈশ্বর-জাতির পিতা-টাকা) থাকার ধারনাটাও কি ঐ একই প্রক্রিয়াজাত নয়? সুতরাং আপনার বক্তব্য়ে একটি রহস্য় রয়েই গেল। মনের গহীনে যতদিন মানুষের চাইতও বড় কিছুর প্রয়োজন থাকবে, ততদিন এই রহস্য় থেকে বেরুনো যাবেনা।
২। সব ধর্মগ্রন্থ নিজেকে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসাবে জাহির করে, আপনার এই ধারনাটি কতটুকু তথ্যনির্ভর?
১। লেখাটা ধর্মকে নিয়েই লেখা সন্দেহ নেই, কিন্তু স্পষ্টতই অন্যান্য বিশ্বাস/ধারণা গুলো যে এর বাহিরে নয় সেটাও উল্লেখ করেছি। এবং ধর্মকে নিয়ে বিশেষ করে লেখার কারণ হচ্ছে বাকি মতবাদ গুলো মানব সৃষ্ট সেটা আমরা জানি, তাই সেগুলোকে পরিত্যাগ করতে বা পরিবর্তন করতে আমরা দ্বিধা করি না। কিন্তু ধর্ম যেহেতু ঈশ্বর সৃষ্ট বলে দাবী করা হয় তাই সেগুলোর পরিবর্তন অসম্ভব। সে কারণেই ধর্ম নিয়ে আলাদা করে লিখতে হয়।
২। অন্তত আব্রাহামিক ধর্ম গুলো একে অপরের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং সত্য সেটা তাদের অনুসারীরা দাবী করে এবং তাদের সেই দাবীর উৎসও হচ্ছে তাদের ধর্ম গ্রন্থগুলো।
এটার প্রধান কারণ, ধর্মগ্রন্থকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা। যেমন, কুরআনে আছে,
অন্যদিকে জাকির নায়েকরা মুহাম্মাদকে সর্বশ্রেষ্ঠ নবী প্রমাণ করার জন্য ফতোয়া দিবে।
আরেকটা প্রাসঙ্গিক আয়াত,
বিশ্বাসের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি নাই। যার যার বিশ্বাস, তার তার। চাপিয়ে দেয়ার কাজটা কেউ ধর্মের নামেও করে, কেউ নাস্তিকতার নামেও করে। যেমন, উপরে অর্ক চৌধুরির মন্তব্যে,
একইভাবে একজন ধার্মিকেরও কষ্ট লাগতে পারে ধর্মগ্রন্থগুলো যে স্রষ্টার সৃষ্টি এবং তা বিশ্বাস না করার জন্য লোকটা সাজা ভোগ করবে। এই পর্যন্ত নো প্রবলেম। কিন্তু কেউ যদি বলে, "তুই আল্লায় বিশ্বাস করোস না, জাহান্নামে গিয়া পুঁড়া কনফার্ম" বা "তুই ঈশ্বর নামক একটা ফালতু জিনিসে বিশ্বাস করিস, তুই একটা গর্দভ" তাইলে বিগ প্রবলেম। আমি যতোদূর জানি, কুরআন কোনো মুসলমানকে অন্যের বিশ্বাসকে উত্যক্ত করার এই অধিকারটা দেয় না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অছ্যূৎ বালাই: কথাটা একটু মনে হয় জেনারালাইজ হয়ে গেছে তাই পড়তে খটকা লাগছে। ধর্ম নিয়ে আলোচনা আমিও পারতপক্ষে করি না, করলেও তাদের সাথেই করি যারা ধর্মকে যুক্তি দিয়ে বিচার করার সাহস রাখে। একজন বিশ্বাসীকে বা নাস্তিক কাউকেই আমি জোড় করে চাপিযে দেয়া কথা বলছি না।সমমনাদের সাথেই তর্ক টা করা যায়। আমি কষ্ট লাগা বলতে যা বোঝাতে চেয়েছি তা হলো কিছু লোক সামনে প্রগতিশীলতার কথা বলে আর পেছনে ধর্ম দিয়ে ভয় দেখায়। এরাই সময় বুঝে বলে উঠে না রে ভাই ধর্মটা সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। কষ্টটা সেই কারণে।
আপনার মন্তব্যকে খারাপ বলি নাই। আমার বিবেচনায় ওটা লিমিটের ভিতরেই আছে, আরেকজন ভুল করছে ভেবে আপনি দুঃখ পেতেই পারেন। আমি শুধু এর বিপরীত দিকের লিমিটটা তুলে ধরেছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বস এই প্রব্লেমেটিক কথা তো কোরানেই লেখা আছে। শুধু আল ইমরানেই দেখিঃ
" নিঃসন্দেহে যারা আল্লাহর আয়াতসমূহ অস্বীকার করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আ৪"
" কাফেরদিগকে বলে দিন, খুব শিগগীরই তোমরা পরাভূত হয়ে দোযখের দিকে হাঁকিয়ে নীত হবে-সেটা কতই না নিকৃষ্টতম অবস্থান। আ১২"
"যারা তোমাদের ধর্মমতে চলবে, তাদের ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করবে না। আ৭৩"
"যে লোক ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্ম তালাশ করে, কস্মিণকালেও তা গ্রহণ করা হবে না এবং আখেরাতে সে ক্ষতি গ্রস্ত। আ৮৫"
"আর ওদের ঠিকানা হলো দোযখের আগুন।" আ ১৫১।
"আখেরাতে তাদেরকে কোন কল্যাণ দান না করাই আল্লাহর ইচ্ছা। বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে মহা শাস্তি। আ ১৭৬""
"কাফেররা যেন মনে না করে যে আমি যে, অবকাশ দান করি, তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। আমি তো তাদেরকে অবকাশ দেই যাতে করে তারা পাপে উন্নতি লাভ করতে পারে। বস্তুতঃ তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাজনক শাস্তি।" আ ১৭৮।
যেখানে কোরানেই বারবার কাফেরের দোযখে পুড়আর কথা লেখা আছে, সেখানে জাকেরের আলাদা করে দোষ হবে কেন?
উপরন্তু কোরানের কথায় প্রব্লেম খুঁজে পাওয়াটা একটা প্রব্লেমই বটে। কারন
"বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।" আ১৮৮।
বিশ্বআসের ব্যাপারে জবরদস্তী নাই বললেন। তাহলে সুরা তওবাতে এটা কি?
" অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" আ ৫।
যদি বলেন এটা নির্দিষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে আল্লাহর নির্দেশ, তাহলে তো এভাবে পুরো কোরানটাকেই দেখা যায়, যে এটা নবীর জীবনের কিছু বছরের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে আল্লাহর সুনির্দিষ্ট নির্দেশ। সেই নির্দেশগুলোর কোনটা রেখে কোনটে আমাদের যুগে/পরিবেশে/পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য, এই উত্তর কে দেবে? হাদিস-তাফসীর-ফিকহ-কিয়াস-ইজমা-জাকির নায়েক? অসীম ক্ষমথাধর সৃ্ষ্টিকর্তার বক্তব্য় যদি সসীম মানুষের ভাষা ও সময়ে কাছে পরাস্ত হয় যদি কোরানকে সামগ্রীকভাবে কালোত্তঈর্ণই না বলা যায়, তাহলে এতে বিশ্বআস স্থাপনে যুক্তিগুলো কি? তাহলে ইসলাম ধর্মের প্রাসঙ্গিকতা কোথায় যায়? জবাবদিহীতা চাইনা, আলোচনা স্বআগতম।
দুর্দান্ত ভাই, আপনার মন্তব্যের প্রথম দিকের আয়াতগুলো আমি আর এর আগেপরে কি আছে খুঁজে দেখলাম না। যেভাবে দিছেন, ওভাবেই দেখা যায়, 'আযাব' এর কাজটা আল্লাহ করবেন, আমি আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে আপনি এসে আমার মাথায় বাড়ি দিতে পারবেন, বা আমার ইসলাম বিশ্বাস না করার জন্য আপনি আমাকে কটুক্তি করতে পারবেন - এরকম কোনো নির্দেশ নাই।
সুরা তওবার ওই আয়াতটা হলো ত্যানা প্যাচানিদের ভুলব্যাখ্যা। ত্যানাপ্যাচানি ইসলামের নামেও হয়, তার উলটাও হয়।
এর আগেপরের কয়েকটা আয়াত (৪-৭) দেখি:
ভাষা নিয়া কেউ ক্যাচাল করতে পারে, আরবির ওয়ার্ড বাই ওয়ার্ড অনুবাদ নিয়াও ক্যাচাল করা যায়। কিন্তু এটুকু পড়ে আমার ওভারঅল ইম্প্রেশন, চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে বলা হয়েছে। যারা চুক্তিবদ্ধ তাদেরকে আক্রমণ করতে বলা হয় নাই। কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই আয়াতগুলা, আমার জানা নাই, কোরআনে না থাকলে জানার তেমন দরকারও নাই।
আমার বুঝামতে, কোরআনের ঘটনাগুলা উদাহরণমাত্র। তা থেকে শিক্ষার দায়িত্ব যার যার নিজের। হাদিস-টাফসীর-ফিকহ-ইজমা-কিয়াস-জাকির নায়েক না হলে কুরআন বুঝা যাবে না - এরকমটা কোথাও দেখি নাই। বরং এর উলটোটা আছে। যেমন,
আমার কাছে এটা সম্পূর্ণভাবে সেন্সিবল মনে হয়। কারণ, আমাকে সর্বশক্তিমান একটা উপদেশ দিবে আর সেটা বুঝার জন্য আমাকে অন্যের শরণাপন্ন হতে হবে, ইউজার-ফ্রেন্ডলিনেসের সমীকরণেই এটা ধরা। সুতরাং একটা আয়াত পড়ে কি সিদ্ধান্ত কেউ নিবে, সেটা তার নিজের সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্তের প্রয়োগ নিজের জন্য যেভাবে করুক, সেটা তার আর ওই সর্বশক্তিমান ক্লেইমকারীর ব্যাপার, আরেকজনের অযায়গায় আঙুল না দিলেই হলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
১। আপনি বললেন কাফেরকে দোযখের ভয় দেখাইলে প্রব্লেম - আমি কোরানের কিছু লাইন উল্লেখ করলাম যেখানে আল্লাহ নিজেই বহুবার কাফেরকে দোযখের ভয় দেখাইছে - উদ্দেশ্য় ছিল এইটা সাব্য়্স্ত করা যে যদি আপনার দোযখের ভয় দেখানো=প্রব্লেম হয়, তাইলে আলইমরান=আল্লাহ কথা= আপনার ভাষায় বিগ প্রব্লেম।
২। আযাব কে দিবে সেটা তো এতক্ষন আলোচ্য় ছিলনা। সুতরানং এইটা নিয়া এখানে না আলোচনা করি।
৩। তওবার আয়াত অবশ্য়ই তেনে পেচানো। তএব এই তেনা পেচানোটা ঘটেছে ইমরানে করা 'সুস্পষ্ট-রঊপক' ডিস্ক্লেইমারের আওয়তায়। আল্লাহর রসুলের দেওয়া জবান বা চুক্তি কেন লন্ঘন করা যায়, যে মাসে খুনখারাপি কোরানেই হারাম বলা হয় - সেই মাসে কোন আইনের আওতায় নিরপরাধ কাফের খুন করা যায়, যে প্রতিবেশী রাজ্য়র সাথে আপাতত কোন কাইজা নাই তাকে কি উসিলায় আক্রমন করা যায়, এবনং সেই আক্রমন কেন ঈমানের অনং্গ ও তাতে ইহকালে কি কি লাভ (গণিমত) এইসব কিছু তেনাপেচাতে সুরা তওবা নাজিল/রচনার প্রয়োজন হয়। তবে পেছনের এইসব কথা কোরানে নাই, তাই এগুলো ঘটে নাই ও আমাদের এইসব কথা জানার দরকার নাই।
যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না, তার জন্য আল্লাহর আজাবের ভয় কোনো ব্যাপার না। আমি যদি আল্লাহকে বিশ্বাস না করি, তাইলে আমার জন্য আল্লাহর অস্তিত্ব অবাস্তব, তার কথার কোনো দাম নাই; কিন্তু মানুষের অস্তিত্ব বাস্তব। এজন্য আল্লাহর কথা আমার জন্য কোনো প্রবলেম না; কিন্তু কোন মানুষ আমাকে ওটা বলে উত্যক্ত করতে এলে প্রবলেম।
নিরপরাধ কাফের খুন করতে আল্লাহ কখন বললো বুঝতেছি না। "যে পর্যন্ত তারা তোমাদের জন্যে সরল থাকে, তোমরাও তাদের জন্য সরল থাক।" অর্থ তো আমি অন্যরকমই বুঝতেছি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আপনি নিজেই তো আততওবা থেকে কোটেশান দিলেন। সবাইকে খুন কর এক্সেপ্ট, চুক্তিবদ্ধ, আশ্রিত, ধর্মান্তরে আগ্রহী ও সরলমনা। চুক্তি না থাকা, আশ্রয় না চাওয়া আর কপটতা করা কি অপরাধ?
"সবাইকে খুন কর" কোন আয়াত?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
সবাইকে বলতে সব কাফেরকে বুঝিয়েছি।
আপনি সব কাফেরকে পাইলেই হত্যা করা মুসলমানের দায়িত্ব বুঝতেছেন, আমি বুঝতেছি ধৈর্যধারনের উপদেশ। কাফের মানেই আগ্রাসী হয়ে তাদেরকে হত্যা করা (কাজটা গ্রহণযোগ্য না এবং ইন রিয়েলিটি মুসলমান মানেই কাফের মারতে তলোয়ার নিয়ে ঘোরে না) মুসলমানের নির্দেশ ভেবে আপনি যদি ইসলামে বিশ্বাস না করেন এবং আমি ধৈর্যধারনের যৌক্তিক নির্দেশ মনে করে ইসলামে বিশ্বাস করি, তাইলে কোনো সমস্যা দেখি না। কারণ, দুজনের উদ্দেশ্যই শান্তি। এর বিপরীতে কাফের মানেই হত্যার জোশে 'মুসলমান' এবং কুরআন অনুসারে কাফের হত্যা করতেই হবে ফতোয়া দেয়া অমুসলমান দুইজনই মানবশান্তির জন্য ক্ষতিকর।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা,
আপনার নির্দেশিত 'বিগ প্রবলেম' পয়েন্টটির ব্যাপারে যে সমস্যা রয়ে যাচ্ছে, তা হলো- "তুই ঈশ্বর ( বা কোনো একটা প্রথাগত ধর্ম) নামক একটা ফালতু জিনিসে বিশ্বাস করিস, তুই একটা গর্দভ" এমন কথা বলার ক্ষেত্রে নাস্তিক বা স্রেফ আস্তিকের হাতে একটা উপায় রয়ে যাচ্ছে- পর্যবেক্ষণ/ যুক্তি।অন্যদিকে "তুই আল্লায় বিশ্বাস করোস না, জাহান্নামে গিয়া পুঁড়া কনফার্ম" এমন বলার ক্ষেত্রে ধার্মিকের (এখানে মুসলিমের) হাতেও মসলা আছে- একেবারে কোরানেরই বাক্য।
যুক্তি বা কোরান হাতে থাকতে তারা থামবে কেনো? আপনি কিসের ভিত্তিতে বিগ প্রব্লেম পয়েন্টটা ঠিক করছেন?
অনুভুতিতে আঘাত লাগার কথা যদি বলেন, প্রাকৃতিক অনেক সত্য উদঘাটন কি অনেক ক্ষেত্রে মানুষের আগের ধারণা (সেখান থেকে কোনো অনুভূতি) কে আহত করেনি? বিজ্ঞান যখন চাঁদকে একটা উপগ্রহ হিসাবে দেখালো, হিন্দু সোমদেবকে কি আঘাত করে বসলো না বিজ্ঞান? সেইসুত্রে আহত কি করলো না সোমদেবে বিশ্বাসীদেরকে?
অনুভুতির কথা তুলে আমরা যে সাম্যাবস্থা গড়তে চাইছি তা কি অনেকক্ষেত্রে যুক্তির বিপক্ষে দাড়াচ্ছে না? কেঊ যদি যুক্তি দেখিয়ে আমায় বলে 'একটা ফালতু জিনিসে বিশ্বাস করিস, তুই একটা গর্দভ' আহতবোধের বাইরে এতে সমস্যাটা কি? বা কেঊ যদি "তুই আল্লায় বিশ্বাস করোস না, জাহান্নামে গিয়া পুঁড়া কনফার্ম" যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারে তো আপত্তি কি?
এখানে একজন নাস্তিক না হয় 'অবাস্তব' আল্লাহ অবিশ্বাস্য ভেবে 'জাহান্নামে গিয়া পুঁড়া কনফার্ম'কেও অবিশ্বাস্য বলে উড়িয়ে দিলো, কিন্তু 'বাস্তব' মানুষ তো তার সাথে 'বিগ প্রবলেম' আচরণ করার মত মশলা তো ধর্মগ্রন্থে পাচ্ছেই। তো ফায়দা কী এভাবে ভেবে?
রব
কোরআনের বাক্যে আল্লাহকে বিশ্বাস না করলে 'আল্লাহ' কি সাজা দিবেন, তা বলা আছে, একজন মানুষ অন্য মানুষকে আল্লাহকে বিশ্বাস না করার জন্য সাজা দিতে পারবে - এরকম কোনো আয়াত এখনো চোখে পড়ে নাই।
নাস্তিক মানেই যুক্তিতে ভরপুর আর আস্তিক মানেই যুক্তিহীন, ব্যাপারটা এমন না। ঈশ্বরের অনস্তিত্বও প্রমাণিত বিষয় না। ঈশ্বর নাই - এটা কেউ হাতেকলমে প্রমাণ করে দিয়েছে বলে জানা নাই। আস্তিকেরও যুক্তি, সবকিছুই কেউ না কেউ সৃষ্টি করে। অতএব, সৃষ্টিকর্তা থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রেও সৃষ্টিকর্তার হাতেকলমে প্রমাণ নাই। মানুষের জ্ঞান খুবই সীমিত। বিশ্বজগতের তুলনায় মানুষের স্কোপ খুবই নগণ্য। এজন্যই বিশ্বাস-অবিশ্বাস আসে, সবকিছু হাতেকলমে পাওয়া যায় না।
আরেকজনকে অ্যাটাক করার সমস্যা হলো, এটা মানব সমাজের শান্তি নষ্ট করে। কতোটুকু বিরুদ্ধ মত 'অ্যাটাক' এর পর্যায়ে পড়ে, এটা নির্ভর করে একটা সমাজব্যবস্থার ওপর। অনুভূতির লেভেলও সমাজের অবস্থার ওপর নির্ভরশীল। আমার কাছে, উদ্দেশ্যটা আসল। যদি মনে হয়, আরেকজন আমাকে 'উত্যক্ত' করার জন্য তার 'যুক্তি' ফলাচ্ছে, তাইলে আমি বিরক্ত হবো। এখানে ধর্মের দায় নেই। যেমন, আমার ছবি কেউ আঁকলে আমি চুপচাপ মেনে নিবো আর মুহাম্মাদের ছবি আঁকলেই আমাকে ঢাল তলোয়ার নিয়ে লাফ দিতে হবে, কুরআনে এরকম কোনো নির্দেশ আছে বলে দেখি নাই। কিন্তু এই কাজটা যদি অন্যকে উত্যক্ত করার জন্য করা হয়, তাইলে সামাজিক সম্প্রীতির জন্যই বিরক্তিকর।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। (২:৬২)
উপরোক্ত কথাগুলো যদি বুঝে থাকি, তাহলে অর্থ দাড়ায়, আল্লাহর প্রতি যারা ঈমান এনেছে আর তাদের কোনোই ভয়ভীতি নেই । তারমানে অন্যদের, পৃথিবীর বাকি লক্ষকোটি মানুষ, যারা আল্লায় ঈমান আনেনি, নানা কিসিমের বিশ্বাসি বা অবিশ্বাসি, কিম্ভুত পূজারি, তাদের তরে রয়েছে ভীতিকর কিছু !
তো, এই যদি কোনো মহৎপ্রানের মনোভাব বা নির্দেশনা হয়, তারে চরম রেসিষ্ট মনে না করার কোন বিকল্প আমার আছেকি ?
একজন সৃষ্টিকর্তার কথা যদি তার সৃষ্টি না শুনে, তাইলে তাকে শাস্তি দেয়ার মধ্যে রেসিজমের কি আছে, বুঝলাম না। আল্লাহর দাবি, তিনি সৃষ্টিকর্তা। তার কথা শুনলে ভালো রাখবেন, না শুনলে ভীতিকর কিছু করবেন।
আমি যদি তার অস্তিত্বে অবিশ্বাস করি, তাইলে তার শাস্তির কথায় আমার কি যায় আসে? তার শাস্তির কথা প্রযোজ্য হয়, যখন তাকে বিশ্বাস করা হয়। একজনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না, আবার 'সে রেসিস্ট' ক্যামনে কি?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ভাই সৃষ্টিকর্তা বলতে যদি শুধু আল্লাহকে ই বুঝান তাহলেই ঝামেলাটা লাগে।আর যদি অন্যদের স্বীকার করেন তাহলে আল্লার বক্তব্যটা কেমন একপেশে হয়ে গেলো না! যাই হোক এই বিষয়ে আমি আর কোন তর্কে যাবো না।এটাই শেষ কমেন্ট।
বস্তুত ইসলাম ধর্মের উপরে আমার শ্রদ্ধা উঠে যায় আরবদের প্রতি আল্লাহের একপেশে স্বভাবের জন্য। সবকিছুতেই আল্লাহ আরবদেরকে মাথার উপরে উঠিয়েছেন। উনাদের ভাষাও হবে বেহেস্তের ভাষা, ক্যানরে বাপ, দুনিয়ার এতো ভাষা কি দোষ করল। আরবীতেই কেন কোরান, আরবীই কেন বেহস্তের ভাষা হতে হবে। দুনিয়ার যত নবী রাসূল দেখবেন, সব ঐ এক আরবেই গিয়া জড়ো হইছে। বাকি দুনিয়ার মানুষ কি দোষ করল, যদিও কোরানে উল্লেখ্য আছে সব জাতির জন্য নাকি নবী পাঠানো হইছে। খুজে দেখেন আরবদের বাইরে কোন নবী খুঁজে পাবেন না।
বন্ধু তোর এই যুক্তিগুলো আমি শুভাশীষ এর লাস্ট লেখা থেকেই দেখে আসছি। বলা যেতে পারে আমার এই লেখাটি ওই লেখার সবগুলো কমেন্ট পড়ে তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই লেখা। কিছুটা স্বতন্ত্র আলোচনার জন্যেই মন্তব্য আকারে না দিয়ে পোষ্ট আকারে দিয়েছি। তার উপরে আবার অনেক দিন কিছু পোষ্ট দেইনি, সেটাও একটা কারণ আলাদা পোষ্ট আকারে দেওয়ার।
যা হোক ভুমিকা শেষে এই বার প্রসঙ্গে আসি। তোর যুক্তিতে দাড়াচ্ছে যে ধর্ম গ্রন্থগুলোতে কোন ভুল নেই, ভুল যা তা হচ্ছে অনুবাদকের, ভুল ব্যাখ্যাকারীর, বিশেষ করে জাকির নায়েকদের মতো লোকদের। তোর আরো একটি যুক্তি হচ্ছে কোন আয়াতের আগে ও পরের কথা বিবেচনা না আনলে সেই আয়াতের ব্যাখ্যা সঠিক ভাবে বুঝা সম্ভব নয়। আর রূপক নিয়ে আর কথা বাড়ালাম না।
আমার বক্তব্য হলো যে কোরানকে বুঝার জন্যে আল্লাহ এটি মানুষের জন্যে সহজ করে দিয়েছেন। এক সূরা ক্বামার এ একই কথা তিনি চার বার বলেন
অতএব কোরান পড়ে আমার মতো একজন সাধারণ মানুষ যেটা বুঝবে সেটাই আমার জন্যে হুকুম, সেটাই আমার জন্যে ধর্ম। অনুবাদ অনেক কষ্টসাধ্য মানি, কিন্তু এরকম সহজ একটি গ্রন্থ নিশ্চয়ই অনুবাদের জন্যে পুরোপুরি বদলে যাবে না। আমি কোরানের অনুবাদ পড়েছি। পড়েই বলছি যে কোরানে অনেক জিহাদী বাণী রয়েছে, বৈজ্ঞানিক ভাবে ভুল, এমন অনেক বাণী রয়েছে, যা কোরানকে মনুষ্য সৃষ্ট হিসেবে চিন্তা করতে যথেষ্ট। ১৪০০ বছর আগের একটি গ্রন্থে ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক আমার হিসেবে। ভুল না থাকলেই আমি অবাক হতাম।
এখন তোর যেহেতু বিশ্বাস কোরান আসলেই কোন ঈশ্বরের তৈরী, আমি সেই বিশ্বাসের পেছনের কারণগুলো শুনতে আগ্রহী, যদি তোর আপত্তি না থাকে। হয়তো এমন হতে পারে আমি কিছু মিস করছি যা তোর চোখ এড়ায়নি। কোরানে এমন কি রয়েছে যেটা মানব সৃষ্ট হতে পারে না, এমন কি রয়েছে যাতে প্রমান হয় যে এটি কোন ঈশ্বরের সৃষ্টি। আগে আমি তোর কাছ থেকে এই বিষয়টি জানতে চাই। না হলে কোরানের ভুল আমি যতই তুলে ধরি সেটা তোর মনপূতঃ হবে না। সেটা তখন ভুল অনুবাদ বা ভুল ব্যাখ্যা হয়ে যাবে। তাই আমি আগে কোরানের ঐশ্বরিকতার পেছনের যুক্তি শুনতে চাই। তারপর না হয় সেগুলোকে খন্ডন করে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরবো। আমি কিন্তু এখানে ঈশ্বর আছে কি নেই সেই বিতর্কে যাচ্ছি না। জানতে চাচ্ছি কোরান যে ঈশ্বরের সৃষ্টি, এটি কোন মানুষের সৃষ্টি নয় তার স্বপক্ষে কি কি যুক্তি তোর রয়েছে? সময় হাতে নিয়েই লিখতে পারিস। এই লেখাতে মন্তব্য আকারেও দিতে পারিস, না হলে পোষ্ট আকারেও দিতে পারিস।
ভালো থাকিস।
স্বাধীন, এক্ষেত্রে আমার উদ্দেশ্য মানবশান্তির। আমি কুরআন পড়ে মনে করেছি ইসলাম মানবশান্তির জন্য পারফেক্ট, অন্যদিকে তোর যদি মনে হয় কুরআন মানবশান্তির জন্য খারাপ, তাইলে ইসলামে তোর বিশ্বাস করার তো দরকার নাই। কনফ্লিক্টটা তখন হবে যখন তোর বা আমার কাজে মানবশান্তি নষ্ট হবে। যে যার ইচ্ছা যে কোনো গ্রন্থে বিশ্বাস করুক; কিন্তু মানুষের ল্যান্ডস্কেপে মানুষের বিপক্ষে কাজ করার দায় তার। গ্রন্থের দায় তখন হবে, যখন গ্রান্থানুসারী প্রায় সবাই-ই গ্রন্থের দোহাই দিয়ে আকাম শুরু করে।
কুরআনকে বিজ্ঞানের আধার বা কুরআন ঈশ্বরের সৃষ্টি, এই প্রমাণগুলোর দায়িত্ব আমার ওপরে ন্যস্ত না, জাকির নায়েকদের ওপরেও না। কুরআন পড়ে যে যার সিদ্ধান্ত নিলেই এনাফ।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
দ্বিমত পোষণ করি। গ্রন্থকে দায়ী করার জন্যে সবাইকে আকাম করতে হবে সেটা সবল কোন যুক্তি নয়। যদি একজনও আকাম করে এবং সেই আকামের মালমশলা গ্রন্থের মাঝেই থাকে সেটাই এনাফ হওয়া উচিত গ্রন্থকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে, এবং দুর্দান্ত দেখিয়েছে, আমিও দেখাতে পারি, যে মাল-মশলা ধর্ম গ্রন্থেই রয়েছে। এবং আমি আমার এই লেখায় বলেছি যে থাকাটাই স্বাভাবিক। অহিংস মতবাদ দিয়ে টিকে থাকা যায় না। টিকে থাকতে হলে গ্রুপের মাঝে এগ্রিসেভ ভাব থাকতেই হবে। আমি সেই থাকার জন্যে ধর্মকে দোষ দেই না, কিন্তু সেই থাকাকে যারা অস্বীকার করে তাদেরকে দোষ দিব।
ধর, বিজ্ঞানের যে কোন তত্ব, সেটা যদি তত্ব হতে হয় তবে সেই তত্ব যেই টেস্ট কেইসের জন্যে প্রতিষ্ঠিত তার সবগুলো টেস্ট কেইসের ক্ষেত্রেই কাজ করতে হবে। যদি কখনো যে কোন একটি টেস্ট কেইসের জন্যেও তত্বটি সঠিক প্রেডিকশান না দেয় তবে সেই তত্ব তত্বের মর্যাদা হারায়। যারা আমরা গবেষণার সাথে জড়িত এই কথাগুলো বেশ ভালো ভাবেই জানি। একই যুক্তিতে গ্রন্থকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে তার প্রায় সব অনুসারীর আকাম করার প্রয়োজন পড়ে না, কিছু করলেই চলে এবং বাংলা ভাই, লাদেন সেটি করিয়ে দেখিয়েছে।
তুই বলবি যে তারা ট্রু ইসলামকে রিপ্রেজেন্ট করে না, কিন্তু স্যরি টু সে, তারাই আসলে সত্যিকার মুসলমান। তারাই প্রকৃত আল্লাহর বান্দা। তারাই প্রকৃত আল্লাহ ও তার নবীর প্রেমিক। তারা যে ধর্মকে বিশ্বাস করে সেই ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে নিজের জীবন দিতে পর্যন্ত কুন্ঠিত নয়। তাদের এই বিশ্বাস তাদের নবীর কাছ থেকেই পাওয়া। আমি তাদেরকে সেই ক্রেডিট দিতে রাজী আছি, কারণ অন্তত তারা তাদের নিজেদের কাছে সৎ। যদিও তাদের সমস্যা ভিন্ন। তারা আমার মতো বিশ্বাসের ভাইরাসে আক্রান্ত, যদিও বিশ্বাসের ধরণ বিপরীত মেরুর।
দ্বিমত নেই। একই কথা আমিও বলি - যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো মতো বাংলা কোরান পড়ুক সবাই। নীচে মন-মাঝির মন্তব্যে লিখেছি সবাই যদি ধর্মের ভালো দিক বেছে নেয় আর মন্দের দিক গুলো পরিত্যাগ করে আমার তাতে কোন আপত্তি নেই। আমি মনে করি না ধর্ম আগামী কয়েক প্রজন্মের মধ্যেই বিলীন হয়ে যাবে। ধর্ম থাকবে যতদিন মানব জাতি থাকবে, তবে সেটা বিবর্তিত হবে। আমার আপত্তি থাকবে কেউ যদি বলে ধর্মের সব কথাই সত্য এবং সেটা ধরে আমার কল্লা কাটতে আসে। আমার মনে হয় এই বিতর্ক এখানেই শেষ করি।
অন্যদিকে আমি দেখতেছি কুরআনে আকামের কোনো মালমশলা নাই; বরং তার উলটোটা আছে। যেমন, দুর্দান্ত ভাই পড়তেছেন কাফির পাইলেই হত্যা করা কুরআনের নির্দেশ, আমি পড়তেছি শুধুমাত্র সেইসব কাফির যারা আগে অ্যাটাক করেছে, সন্ধি ভঙ্গ করেছে। অধিকাংশ মুসলমানই যেহেতু কাফির পাইলেই হত্যার জন্য লাফ দেয় না, সেহেতু কোনো কারণ ছাড়াই কাফির মারার দায় কুরআনের ওপর চাপানোর কোনো কারণ নাই। কিছু লোক যে আকামের জন্য কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করে ত্যানা প্যাচাতে পারে, কুরআন সে বিষয়ে সতর্ক করার পরও যদি কুরআনেরই দোষ হয় সবকিছু, তাইলে কেমনে কি?
এখন যারা কাফির পাইলেই হত্যা করার ব্যাখ্যা নিয়া মুসলমান হয়, তুই যদি তাদের ব্যাখ্যাকেই সমর্থন করিস, তাইলে নিজের অজান্তেই মানুষ হিসেবে সন্ত্রাসকেই সমর্থন করা হয়। অধিকাংশ মুসলমানই কুরআন অনুসরণ করে শান্তিময় জীবনে বিশ্বাসী, অন্যদিকে সংখ্যালঘু লাদেনেরা ধর্মের অপব্যবহার করে সন্ত্রাস ঘটায়। তারাই যদি তোর কাছে সৎ হয় আর বৃহত্তর শান্তিকামী মুসলিম যদি অসৎ হয়, তাইলে তোর অবস্থানও আলটিমেটলি লাদেনদের সমর্থকই হয়, শান্তির সমর্থক হয় না।
ক্যান, আপত্তি থাকবে ক্যান? তারা তো সৎ! পৃথিবীর অধিকাংশ ধার্মিক কল্লা কাটতে আসছে না দেখেই তো অসৎ! সততার সার্টিফিকেট দেয়ার পরে তারা কল্লা কাটলে সমস্যা কোথায়? নিজের কল্লা বলে?
উগ্রতা, সেটা ধর্মের নামেই হোক আর নাস্তিকতার নামে, পৃথিবীতে থাকাই স্বাভাবিক (এবং অবশ্যই উগ্রতার জন্য ধর্ম এবং নাস্তিকতার বাইরেও অনেক 'ঢাল' আছে)। স্বস্তির বিষয় হলো, অধিকাংশ মানুষই - ধার্মিক এবং নাস্তিক - শান্তিকামী।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
নিশ্চিতভাবেই কারও অস্থিত্বে বিশ্বাস করিনা,এই অবিশ্বাসের ব্যাপারটা উল্লেখ করাও বাহুল্য মনে হয়।উপরোক্ত মন্তব্যে অন্যবিশ্বাসিদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি যে, আল্লাহকে তারা এমন ঘৃনিত বা বিদ্ধেষী মনে করলে তাতে ভুল হয় কিনা? তার শাস্তির কথায় আমার নিজস্ব আসা যাওয়ার কারনে ওকথা বলিনি।
"আল্লাহর দাবি, তিনি সৃষ্টিকর্তা। তার কথা শুনলে ভালো রাখবেন, না শুনলে ভীতিকর কিছু করবেন।"
মানুষ বর্তমানে একটা প্রজাতি হিসেবে লক্ষবছর পার করছে জীবনবিধানের হাজাররকম বৈচিত্র নিয়ে, আর হুট করে এই সেদিন একজন এসে বললো,তার এক আল্লাহ আছেন তিনিই সবকিছুর মালিক।কিছু নির্দেশনা দিয়ে বললেন এইমোতাবেক যারা চলবেনা তাদের তিনি ভালো রাখবেননা ! কি মুশকিল, কোথায় দয়ালু সর্বশক্তিমান, এতো আমাদের চেনা স্বৈরশাসকের প্রতিরূপ, ক্যামনে কি !
আপনার কাছে আল্লাহকে স্বৈরশাসক মনে হলে তাকে পাত্তা দিয়েন না, কোনো সমস্যা তো নাই।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই স্মাইলিটার জন্যই আর তর্কে এগুলামনা
ভালো থাকুন ।
ধর্ম নিয়ে সচলে ক্যাচাল ভাল্লাগে না। ভালো থাকুন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেক ভাল লাগলো কমেন্টটা
ধর্ম সব সময়ই আমার কাছে পিলিটিক্যাল মনে হয়। রাজনৈতিক কারনেই ধর্মের জন্ম হয়। রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠার জন্যই ধর্ম ব্যবহৃত হয়।
আর ঈশ্বর মানুষের মধ্যেই বসবাস করেন। কিন্তু কোন বিচ্ছিন্ন মানুষও আবার ঈশ্বর নন। ঈশ্বর কোন বিচ্ছিন্ন স্বত্তা না। আবার মানুষও কোন বিচ্ছিন্ন একক স্বত্তা হতে পারে না। বিচ্ছিন্ন মানুষ মানুষইনা।
ধর্ম নিঃসন্দেহে মানুষের সৃষ্টি এবং তা মানুষের জন্যই এবং আরো মোটা দাগে ধরে নেওয়া যায় ধর্ম প্রচারকরা তা মানুষের কল্যাণের জন্যই তৈরী করেছিল যদিও পারে নাই, অনেক ক্ষতি করেছে প্রকৃতপক্ষে। যেগুলো মোটামুটি মানুষের মেনে চলতে কম সমস্যা হয়, সেধর্মগুলো এখনও টিকে আছে। কিন্তু ধর্মের অনেক বিষয় অমানবিক, সাম্প্রদায়িক, অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক, প্রাগৈতিহাসিক, কিছু ক্ষেত্রে হাস্যকর দেখে এগুলো টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে আজকাল। এজন্য আমি মনে করি ধীরে ধীরে ধার্মিক মানুষের সংখ্যা কমে যাবে, ধর্মগুলো অস্তিত্বের চরম সংকটে পড়বে, হয়তো তখন তারাই সংখ্যালঘু হয়ে যাবে, তাদের জন্য নতুন সংখ্যালঘু অধিকার সংরক্ষণ আইনও করতে হতে পারে।
আমার মতে যে কোন রাষ্ট্রের উচিৎ যে ধর্মীয় আচরণ/প্রথা/নিয়ম/বিচার গুলো অমানবিক সেগুলো আইন করে নিষিদ্ধ করে দেওয়া। কিছুতেই যেনো সেই অমানবিক বিষয়গুলো কেউ বাস্তবায়িত করতে না পরে।
আর সৃষ্টিকর্তা আছেন কী নেই এ ব্যাপারে আমি বিজ্ঞানীয় মতবাদের স্মরাণাপন্ন হই। এখন পর্যন্ত পদার্থ বিজ্ঞানের ঈশ্বরধারণার কোন প্রয়োজন হয় নাই।
আমি মনে করি যে যেই মতবাদেই বিশ্বাসী হোক তার এমন কিছু করা উচিৎ নয় যা অন্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সেক্ষেত্রে ধর্মোন্মাদ/ধর্মান্ধদের আমি অপছন্দ করি। আবার কোন উগ্র নাস্তিক যখন ধার্মিকদের ঘৃণা করে তখন তাকেও অপছন্দ করি। মানবাতাই আমার কাছে মূল বিষয়। মানুষকে ভালোবাসতে হবে প্রচণ্ড। জীব তথা সকল প্রাণকে ভালোবাসতে হবে। সবার জন্য কল্যাণকর হতে হবে।
মানুষকে হতে হবে আরো মানবতাবাদী, দেশ প্রেমিক, সৎ, সুশিক্ষিত, বিজ্ঞানমনস্ক আর উদার।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। জ্বি আপনার বক্তব্যে সহমত। ধর্ম যে লোপ পাচ্ছে সেটা সাম্প্রতিক একটি গবেষণাতেও পাওয়া যাচ্ছে। এই লেখাটি পড়ুন আগ্রহী হলে।
বিপদে পড়লে সত্যকার ধর্ম চেনা য়ায়।
রক্ত না পেলে মরণ কালে যে কোন ধর্মের রক্ত নিতে আস্তিকরা প্রস্তুত।
কিন্ত জীবন কালে বিধর্মের লোকেরা ছায়া স্পর্শ করবে না।
ধর্ম হলো বর্তমানে আত্ম রক্ষার হাতিয়ার।
আদিম কালে মানুষের ধর্ম ছিল গাছের উপর রাত কাটানো।
ধন্যবাদ_____
মানুষ
কাজী নজরুল ইসলাম
ভাল বলেছেন।
ভাল লাগল, ফিনিশিং টাচ টা তো মোক্ষম ! দেখুন ধর্ম বা ঈশ্বর বিশ্বাস যতই ব্যক্তিগত হোক না কেন পৃথিবীর ৭ বিলিয়ন মানুষের প্রগাঢ় বিশ্বাসও কিন্তু কোন সত্যকে মিথ্যাই বা মিথ্যাকে সত্যতে পরিণত করতে পারে না। ধর্মের অন্যতম সমস্যা- মানুষকে শেখানো হয় একমাত্র তাদের জন্যই সব কিছুর সৃষ্টি, সমস্ত জীব, সমগ্র জগৎ! অথচ আমরা বরাবরই ভুলে যায়, এই গ্রহের জীবজগতের আমরা একটি অংশ মাত্র। এমন লেখা আরো চাই, শুভেচ্ছা- অণু
ওহে মানব .. ধর্ম ধর্ম করিয়া আর কত অধর্ম (পাপ) করিবে? আগে মানব হইয়া দুনিয়া হইতে একটা পশু প্রবৃত্তি হ্রাস কর ..
কিছু লোক ধর্মের এইসব কিচ্ছা কাহিনীতেই আরাম বোধ করে । জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্র বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সুফল ভোগ করবে আর ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক হলে সব ভূলে গিয়ে ধর্মের সাফাই গাইবে সেটা যত হাস্যকরই হোক না কেন । হিপোক্রেসি আর কাকে বলে !!
উৎবচন:
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
বিশ্বাস সবার ব্যাক্তিগত। যিনি ধর্ম বিশ্বাস করেন না তারও বিশ্বাস আছে (জগতে কোন ধর্ম নেই এটা তিনি বিশ্বাস করেন)। কিছু মানুষ প্রথাগত ধর্মে বিশ্বাসী হতে আগ্রহী, কিছু মানুষ নন। বিশেষ কোন ধর্ম বা বিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজেদের বিশ্বাস নিজেদের মাঝে রেখে আমরা কি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করতে পারি না?
এখানে একটা ভুল আছে। যিনি ধর্ম বিশ্বাস করেন না, তিনি জগতে কোন ধর্ম নেই সেটা 'বিশ্বাস' করেন, সাধারণত এমন দেখিনি। 'বিশ্বাস' শব্দ টা ধর্মগুলোর প্রাথমিক রিকোয়ারমেন্ট। যিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন না, তিনি বিশ্বাস করার কারণ অনুসন্ধাণ করে পাননা। অকারণে অবিশ্বাস করা আর অকারণে বিশ্বাস করা, দুইটা একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ সাইফ জুয়েল, মানবধর্ম , অণু, ক্যাকটাস, রণ'দা, সুবজপত্র, কৌস্তভ। সেই সাথে যারা লেখাটি পড়েছেন, কিন্তু কমেন্ট করেননি এবং যারা ভোট দিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ।
যিনি ধর্ম বিশ্বাস করেন না তিনি তো ধরেই নেন ধর্মের সব বিষয়বস্তু মানুষের মনগড়া, অর্থাৎ ধর্মের সাথে স্রষ্টার সংযোগ অস্বীকার করেন, অর্থাৎ অবিশ্বাস করেন। কোন ধর্ম বিশ্বাস না করাটাও একটা বিশ্বাস বা নতুন ধর্ম হয়ে থাকলে অবিশ্বাসীও/নাস্তিকও একটা নতুন ধর্মের অনুসারী। সেক্ষেত্রে প্রচলিত ধর্ম ধারণাকে আঘাত করার জন্যে কিছু ব্যাপারে অস্বাভাবিক রকমের যুক্তিবাদী হয়ে উঠা হয়তো গ্রহনযোগ্য নয়। যে যেমন আছে বা থাকতে চায়, তাকে তেমনি থাকতে দেয়াটাই শ্রেয়।
আপনি গ্রুপকে ন্যাচারাল সিলেকশনের একটা ইউনিট হিসেবে এনেছেন খানিকটা। কিন্তু আসলে ইউনিটটা হোলো মিম, সোশ্যাল আইডিয়ার একক সিলেকশন মেকানিজম। অর্থাৎ ধর্ম গ্রুপ হিসেবে বেঁচে থাকছে এবং ফ্লোরিশ করছে সেটা ঠিক নয়। বরং ধর্মের মিম বা ধারণাটা ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে বিবর্তিত হচ্ছে।
ধর্ম নিজেও যে বির্বতিত হচ্ছে সেটা প্রাচীনকালের ধর্ম এবং বর্তমান কালের ধর্মাচার তুলনা করলেই বোঝা যাবে। বিশেষ করে যেসব ধর্ম লিখিত ডকুমেন্ট প্রশ্নাতীতভাবে ঈশ্বর প্রেরিত বলে স্বীকৃত নয়। এসব ক্ষেত্রে নতুন নতুন ধারণা আস্তে আস্তে ধর্মের অংশ হিসেবে মেনে নেয়া হয়। যেমন নারী স্বাধীনতা একসময় ধর্মীয়ভাবে নিশিদ্ধ হলেও এখন ওয়াইডলি গ্রহণযোগ্য।
এভাবেই ধর্মীয় মিম গুলো বেঁচে থাকে এবং বিবর্তিত হয়। ধর্মীয় গ্রুপ নয়।
সহমত।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
মিমের ব্যাপারে যা বলেছো ঠিক আছে। তবে আমি দেখাতে চেয়েছি সেটার সাথে গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের সম্পর্ক কি? কিভাবে এই মিমগুলো একটি গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই সাথে একটি ব্যক্তিকে। আবার এই টিকে থাকার প্রচেষ্টা থেকে কিভাবে গ্রুপ অথবা ব্যক্তি আবার মিমকে পরিবর্তন করে। মিমগুলোর যদি কোন উদ্দেশ্য না থাকে তবে তো মি্মগুলো ছড়াবে না কিংবা বিবর্তিতও হবে না। আমি সেটাই দেখাতে চেয়েছি। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
একটা বিষয় খুব ইন্টারেষ্টিং, তা হলো- ধর্ম নিয়ে যখনই কোন বিতর্ক শুরু হয় এক পর্যায়ে সেটা ইসলাম নিয়ে বিতর্কে রুপ নেয়। ধর্মের বিরোধিতা করা মানে শুধুমাত্র ইসলামের বিরোধিতা কার নয়। একই ভাবে বলা যায় আলোচক ধর্মের বিরোধিতা করলে শুধুমাত্র নিদ্দিষ্ট কোন ধর্মকে আক্রমন না করে সামগ্রিকভাবে সব ধর্মের রেফারেন্স ধরে বিরোধিতা করাই সমিচিন।
ধর্ম নিয়ে যখনই কোন বিতর্ক শুরু হয় এক পর্যায়ে সেটা ইসলাম নিয়ে বিতর্কে রুপ নেয়।ধর্মের বিরোধিতা করা মানে শুধুমাত্র ইসলামের বিরোধিতা করা নয়।
এইক্ষেত্রে আমার একটা বিশ্লেষন আছে, সঙ্গত কারনেই মানুষের সচরাচর ঝগড়া বা সংঘর্ষ হয় তার নিকট প্রতিবেশীর সাথে, দূরদ্বীপবাসিনীর সাথে নয় ।:)
তারচে বড় একটা ব্যাপার, ইসলাম বা খ্রীস্টান ধর্ম হিসেবে যতটা সুসংঘটিত ও যুক্তিশীল,কাঠামোগত দিক দিয়ে স্ট্রং,প্রভাব প্রতিপত্তিতে গগনস্পর্শি, সেই তুলনায় হিন্দু ধর্মের অবস্থান একেবারেই শোচনীয়,ভঙ্গুর । হাস্যকরভাবে বৃক্ষ থেকে নক্ষত্র সবকিছুই তাদের পূজ্য । ধর্ম হিসেবে দাবি করার মত সুনির্দিষ্ট কোনো কাঠামো এর নেই, এমনকি গুটিকয় কমন আচার ব্যতিত একেক অঞ্চলে যার যেমন খুশি তেমনভাবে ধর্মপালন করে। এক অঞ্চলের আচার নিয়ে অন্য অঞ্চলে হাসি ঠাট্টা বিদ্রুপ হয়। অর্থাৎ হিন্দুধর্মকে ধর্মচ্যুত করতে অতো বেগ পেতে হয়না, যেকেউ এক তুড়িতেই সেটা পারে,পারা সম্ভব। আর বৌদ্ধধর্মতো হিসেবেরও বাইরে। তাই টানাহেচড়াটা ইসলাম নিয়েই বেশি হয়।এর পেছনে আলাদাভাবে ইসলাম আক্রমন বা বিদ্ধেষ খোঁজা অমূলক।
আরও কিছু ব্যাপার আছে, ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কিত ব্যাপারগুলো মুসলিম সমাজে অনেকটা সম্মান অসম্মানের বিষয় এখনও। তাই পারিবারিক বা সামাজিক গন্ডিতে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা সমালোচনার সুযোগ সম্ভবত কম তাই ব্লগেই চান্স নেয় !
আর কে না জানে ক্ষেপাটেকে ক্ষেপানোর প্রবনতা মানুষের মৌলিক।
এরকম বক্তব্যযুক্ত পোষ্টে প্রতিবক্তব্য যত কমে আসবে ততই এরকম পোষ্টের সংখ্যা কমবে বলেই আমার ধারনা ।
ইসলাম ধর্ম নিয়ে এত বিতর্ক হয় আসলে আপনার মত কিছু মন্তব্যের জন্যই। এক কোথায় হিন্দু ধর্মকে হাস্যকর, বৌদ্ধধর্মকে হিসাবের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন? ইসলামের আকাশ ছোয়া প্রভাব প্রতিপত্তি কোথায় দেখলেন বলবেন কি? কেবল মাত্র অশিক্ষিত তৃতীয় বিশ্ব ছাড়া আর কোথাও ইসলাম ছড়িয়েছে কি? মুসলমানদের নিয়ে এখন মিডিয়ার এত আলোচনা কিন্তু তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে না, বরং তাদের বোমা ফাটানোর দক্ষতা নিয়ে। কথা বললে নিজের ধর্ম নিয়েই বলুন, অন্য ধর্ম নিয়ে টানাটানি না করলেই কি নয়?
১: "এক কথায় হিন্দু ধর্মকে হাস্যকর, বৌদ্ধধর্মকে হিসাবের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন?"
চর্চিত হিন্দুধর্ম কতটা হাস্যকর তার উদাহরন দিতে গেলে অন্য মহাভারত লেখা লাগবে আর বৌদ্ধত্বকে ধর্মের কৌলিন্য আমি দিতে রাজি নই ধর্মের কিছু কমন উপাদানের অনুপস্থিতির কারনে।
২: "ইসলামের আকাশ ছোয়া প্রভাব প্রতিপত্তি কোথায় দেখলেন বলবেন কি?"
প্রতিপত্তি সম্পদের হিসেবে নয়তো,ওইযে বললেননা "ছড়িয়েছে", সেই ছড়ানো অর্থে বলা।
৩: "মুসলমানদের নিয়ে এখন মিডিয়ার এত আলোচনা কিন্তু তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি নিয়ে না, বরং তাদের বোমা ফাটানোর দক্ষতা নিয়ে।"
আমার বিবেচনায় শুধুই বাংলা ব্লগমিডিয়া ছিল, তাই প্রতিবেশী শব্দের উল্লেখ। যাদের চক্ষুসীমায় নাচতে গাইতে চলতে দেখা যায় তারাইতো প্রতিবেশি।আলোচনা সমালোচনা তাদের নিয়েই বেশি হবে সঙ্গত কারনে।
৪: "কথা বললে নিজের ধর্ম নিয়েই বলুন, অন্য ধর্ম নিয়ে টানাটানি না করলেই কি নয়?"
কোন ধর্মটা আমার বুঝালেন !
কারণটুকুও খুব স্পষ্ট। ইসলাম হচ্ছে সর্বশেষ এবং সবচেয়ে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম। সবচেয়ে আধুনিক ধর্ম নিজেই অন্য ধর্মের ঈশ্বরকে খন্ডন করে নিজেকে প্রতিস্থাপিত করে। তাই সমালোচনা যখন হবে তখন পুরোনো ধর্মগুলোকে নিয়ে আলোচনা কম হবে আর ইসলামকে নিয়ে বেশি হবে সেটাই তো স্বাভাবিক, তাই নয় কি? ধরুন যারা গবেষণার কাজে নিয়োজিত, তারা গবেষণা করার আগে লিটেরাচার রিভিউ করেন। এখন লিটেরাচার রিভিউর তো শেষ নেই। কি করা যায়? সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে এই বিষয়ের উপর লাস্ট যিনি কাজ করেছেন তার পেপারটা পড়া। তাহলেই আপনি একটা ধারণা পেয়ে যাবেন সেই বিষয়ের উপর। এখন আপনার কাজ হচ্ছে লাস্ট ব্যক্তি যেখানে শেষ করেছেন সেখান হতে নুতন কিছু করা। একই ভাবে সবচেয়ে আধুনিক ধর্মকে খন্ডন করা হলে বাকি ধর্মগুলো এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়, তাই ইসলাম নিয়েই আলোচনা বেশি হয় এবং সেটাই স্বাভাবিক।
তাই নাকি! আমি তো জানতাম ইসলাম ধর্মের পর বৌদ্ধ ধর্ম, মরমন, কাদিয়ানী, সায়েন্টোলজি ইত্যাদি ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে!! ইসলামের ভায়োলেন্ট অতীতের কিংবা শহীদ হবার ব্যাপারটার সাথে মুসলিমদের জোশের কোনো সর্ম্পক নেই তো?
বৌদ্ধ ধর্মের উৎপত্তি অনেক আগে। এমনকি খ্রীষ্ট ধর্মেরও আগে। আর বাকি ধর্মগুলো সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু তারা সেভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে নি, অন্তত ইসলাম যেভাবে এক্সপ্যান্ড করেছে তার ধারে কাছেও নেই। এর কারণও কিন্তু ইসলাম। তিনি যদি নিজেকে শেষ নবী হিসেবে ঘোষণা না দিতেন তা হলে প্রতি ৫০০ বছর পর পর অন্তত একটি করে নুতন ধর্ম আসতো, নুতন নবী আসতো। কিন্তু সেটা হয়নি।
দুর্দান্ত একটা লেখা !
ঈশ্বর আছেন কিনা সেই ব্যাপারে আমি আমার চিন্তার মধ্যে কিছুটা স্পেস রাখি- আপাতত আমার বিবেচনায় এমন কেউ নেই, তবে ভবিষ্যতে কারো অস্তিত্ব আবিষ্কার হলে মেনে নিতেও সমস্যা নেই। বাস্তবতা হচ্ছে যে, ঈশ্বরের থাকা না থাকা আমার অস্তিত্বকে প্রভাবিত করে না। তাঁর অস্তিত্বহীনতা মেনে নিয়েও আমি দিব্যি জীবন কাটিয়ে দিতে পারবো, তাই বলা ভালো তাঁর ব্যাপারে আমি, অন্তত এখন পর্যন্ত, উদাসীন।
তবে ধর্মের ব্যাপারে আমি খুবই নিশ্চিত যে এটা নেহায়েতই মানুষে মানুষে বিভেদ বাড়ানোর একটা যন্ত্র। আমি ধর্মের বিন্দুমাত্র উপযোগিতাও আমার জীবনে এখন দেখি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বর্তমানের এই অকারণ হিংসাময় পৃথিবীর চে ধর্মবিহীন পৃথিবী অনেক চমৎকার একটা জায়গা হতো।
কিন্তু ধর্মবিহীন পৃথিবী মনে হয় সম্ভব না, পৃথিবী ক্ষমতাধর মানুষেরাই কখনো নিজেদের স্বার্থেই ধর্মকে পৃথিবী থেকে সরতে দিবে না। আমার তাই একটাই নূন্যতম চাওয়া, ধার্মিক/বিশ্বাসীরা থাকুন নিজেদের বিশ্বাস নিয়ে। আমার এতে বিন্দুমাত্র সমস্যা নাই। শুধু একটাই অনুরোধ তাঁরা যেন নিজেদের নিয়েই থাকেন, অবিশ্বাসীদের হেদায়েত না করতে আসেন, আর তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ- নিজেদের ধর্মাচারণ পালনের সময় তাঁরা যেন একটু লক্ষ্য করেন, এর ফলে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা (অন্তত আমাদের দেশে)।
অলমিতি বিস্তারেণ
আমি প্রবলভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসী মানুষ, কিন্তু ধর্মের সেই কথা গুলা মানি যেগুলা আমার জ্ঞান আর বিবেক সাপোর্ট করে, যেগুলা করে না সেগুলা মানি না, হিসাব পুরা কিলিয়ার। মূল কথা "জীবনে আমি কার যদি কোন ভালো না করতে পারি অন্তত কার যেন কোনও ক্ষতি আমার দিয়ে না হয়, আর যদি অনিইচ্ছাক্রিত ভাবে হয়ে যাই তার কম্পেনশেস্নর দায়িত্ব আমার।" ধর্মের ভালো খারাপ নিয়া বা তুলনা নিয়া মোটেও মাথা নষ্ট করি না।
আপনি নিজেই যদি ভালো মন্দ যাচাই করতে পারেন তাহলে ধর্মের প্রয়োজন কি? কতগুলো আচার অনুষ্ঠান? আর তাহলে ধর্ম বদলে গ্যালো না? হয়ে গ্যালো আপনার ভার্সনের ধর্ম। ধর্ম কি সেটা অ্যালাও করে?
কিন্তু সমস্যা হলো ধর্ম আপনাকে সেই স্বাধীনতা দেয় না। অন্য কথায় এর মাধ্যমে আসলে আপনি এক প্রকার আপনার ধর্মকে অস্বীকারই করছেন ।
হুম....উনি সেটা করছেন বৈকি ! কিন্ত আমার প্রশ্ন হলো, সো হোয়াট ? উপরের কমেন্টে মুর্শেদ যেটা বলেছেন,
- তো, উনি না হয় সেই নিজের ভার্শনের ধর্মই ফলো করছেন, সেই ভার্শনের উনি নিজেই নবী/অবতার/ইমাম, নিজেই উম্মত/অনুসারী ! আপনি বলতে পারেন উনি ধর্মের নামে আসলে ওনার নিজের বিবেককেই অনুসরন করছেন, কিন্তু উনি যদি এটাকে ধর্ম বলে যদি শান্তি পান - কোন অসুবিধা আছে ?
আছে। যে কোনো অন্ধ বিশ্বাসই ভয়াবহ আউটকামের জন্ম দিতে পারে। প্রথমতঃ যুক্তিকে অগ্রাহ্য করে একটা বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে ধর্ম বিশ্বাসী হয়েছেন। তারপর আবার পরীক্ষিত কিছু ধর্মীয় অনুশীলনকে নিজের পছন্দ মতো বদলে নিয়ে নিজের ভার্সনের ধর্ম বানিয়েছেন। সেটা ডিফেন্ড করছেন, পালন করছেন এবং প্রতিষ্ঠা করছেন। একটা ফ্যানাটিক সৃষ্টি করার জন্য এর চেয়ে মোক্ষমে মেকানিজম আর হয়না।
একটা পাকিস্থানী মুভি দেখেছিলাম,নাসিরুদ্দিন শাহ এক ইসলামী বিশেষঞ্জের চরিত্র করেছিলেন। অনেক দ্বন্ধসংঘাতের পর শেষ দৃশ্যে ছেলেটা ফ্যাশন টুপি উল্টো করে পরে আযান দিচ্ছে।অর্থাৎ ছবিটার মেসেজ হচ্ছে মূল ঠিক রেখে যার যার নিজের মতো ইসলাম পালন করলে তাতে ইসলাম ভেঙ্গে পড়েনা । আমার সবচে ঘনিষ্ট বন্ধু, যার ধর্মে বিশ্বাস নেই, প্রবল উচ্ছসিত হয়ে মুভিটা দেখিয়েছিল আমাকে। সেদিনই টের পেয়েছিলাম অবিশ্বাসী মনেও ইসলামের প্রতি গভীর মমতাবোধ।ব্যাপারটা আমাকে আহত করেনি করুন করেছে।
তো,বর্তমান সময়ে সুস্থ ভদ্রস্থ জীবনধারন করতে গেলে এইযে ধর্মের নিজস্ব ভার্শনের প্রয়োজন পড়ছে,তারমানে কি? পুরোনো বা মূল ভার্শনটা অকেজো তাইতো? অর্থাৎ যতই পূর্নাঙ্গ চিরকালিন জীবনবিধান বলা হোক আদতে তা একটা সীমাবদ্ধ সময়ের জন্যই। পরবর্তী বদলে যাওয়া সময় বা প্রেক্ষাপটে সেই বিধান অনুসরন করে আর যাই হোক স্বভাবিক বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। সেই বুঝ আসার পরও নিজস্ব ভার্শনের নামে গলিত ধর্মের কঙ্কাল আকঁড়ে সর্বশক্তিমানকে তুষ্ট রাখতে চাওয়ার এই জগাখিচুরি অবস্থার শেষ কোথায় কে জানে !
@সুবর্না
১. আপনি কেন ধরেই নিচ্ছেন (অন্তত আপনার মন্তব্যে সেরকমই তো মনে হচ্ছে) যে মূল মন্তব্যকারী তার মন্তব্যে কেবল ইসলামের কথাই বুঝিয়েছেন ? তিনি তো কোন ধর্মের নামই উচ্চারন করেননি।
২।
- হ্যাঁ, তাতো ঠিকই। এ ব্যাপারে আমি আপনার সাথে সহমত। সব ধর্মের বেলাতেই এটা প্রযোজ্য।
৩।
- যারা এমন মডিফায়েড ভার্শনে বিশ্বাস করেন, তাদের ক্ষেত্রে সর্বশক্তিমানকে তুষ্ট রাখতে চাওয়াটাই এসব ক্ষেত্রে একমাত্র বা আসল কারন না-ও হতে পারে। এ বিষয়ে আপনার ধারনাটাই চূড়ান্ত সত্য না।
৪। যতক্ষন কেউ আপনার পাকা ধানে মই না দিচ্ছে ততক্ষন কে কিসে বিশ্বাস করল না করল, কাকে তুষ্ট করতে চাইল বা না চাইল, তাতে আপনার কী ?
বন জোভির সেই বিখ্যাত গানের চিৎকৃত লাইনটা মনে আছে -- "ইট্স মাই লাইফ!" ? এই লাইনের উহ্য মানেটা কি জানেন ? সেটা হলো - ইট্স নান অফ ইয়োর ড্যাম বিজনেস ! যতক্ষন না কেউ তার বিশ্বাসের কারনে আপনার (বা অন্যকারো) সুপক্ক ধান্যে মদিকা প্রয়োগ করছে বা পদযুগল বা লাঙুলকে পদপিষ্ট করছে, ততক্ষন পর্যন্ত সে কিসের ভার্শন, কার ভার্শন, কত ভার্শন, গলা না টাটকা, কঙ্কাল না মাংস, সর্বশক্তিমান না সর্বশক্তিহীন - কি নিয়ে কি বিশ্বাস করছে সে নিয়ে খামাখা গালাগালি বা নেতিবাচক বিশেষন প্রয়োগ করাটা আমার কাছে অন্যের ব্যক্তি-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সামিল মনে হয়। কিছুটা ফ্যাসিবাদীও। আর এধরনের এ্যাটিচ্যুডধারিদের সাথে আমি ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের বিশাল কোন পার্থক্য খুঁজে পাই না।
৫। নাস্তিক দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল তার কোন এক বইতে নাস্তিক ও কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ/মতাদর্শগুরু জোসেফ স্টালিনের ফ্যাসীবাদী মনোবৃত্তি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন (রেফারেন্স দিতে পারব না - অনেক আগে পড়েছি- বইয়ের নাম ভুলে গেছি) - স্টালিন ছোটবেলায় ধর্মীয় সেমিনারিতে লেখাপড়া করেছিলেন। প্রাপ্ত বয়সে তিনি তত্ত্বগত ভাবে নাস্তিক্যবাদে উপনীত হলেও, সেই ছোটবেলায় তাঁর মনের উপর পড়ে যাওয়া মৌলবাদী প্রবণতাসম্পন্ন শিক্ষার ছাঁচটা আর মুছে যায়নি পরবর্তীতে। সেই ছাঁচের উপর এক তত্ত্ব কেবল আরেক তত্ত্বকে তাত্ত্বিকভাবে রিপ্লেস করেছে মাত্র, মূল ছাঁচটা রয়ে গেছে যথা পূর্বং তথা পরং। হাজারো উচ্চমার্গের তত্ত্বশিক্ষা বা দীক্ষা এই ছাঁচটা মুছতে পারেনি। অন্যের উপর নিজের বুঝটা জবরদস্তি চাপানোর বা নিজের মাপে অন্যকে মাপতে না পারলে তার উপর জবরদস্তি একগাদা গৎবাঁধা নেতিবাচক বিশেষন চাপানোর প্রবণতা দেখলে আমার রাসেলের ঐ পর্যবেক্ষনটা কেন জানি মনে পড়ে যায়। আমরা প্রায়ই এই প্রবনতা কাটিয়ে উঠতে পারি না।
৫। "সবার উপরে মানুষ সত্য / তাহার উপরে নাই" - চন্ডীদাসের এই বিখ্যাত লাইন অনেকেই ধর্মের কথা স্মরণ করে উল্লেখ করেন। কথাটা ঠিকই। তবে এর সাথে আমার মনে হয় "তত্ত্বকথার তেনাপেঁচানির" বিষয়টাও স্মরণ করা উচিৎ। তত্বকথার চেয়ে বাস্তব মানুষ অনেক বড় আর প্রত্যেক বাস্তব মানুষেরই একটা প্রাইভেট স্পেস দরকার এবং সেটা তার জন্মগত অবিচ্ছেদ্য অধিকারও বটে - যে স্পেসে সে কি করবে না করবে, কি বিশ্বাস করবে বা করবে না, সেটা সম্পূর্ন তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এনিয়ে তাঁকে দুর্গন্ধময় গলিত শবের কঙ্কাল বহনকারী হিসেবে ট্যাগিং করা অনাকাঙ্খিত।
সত্যি কথা হচ্ছে ব্যাক্তির বিশ্বাসটা তার নিজের বাড়িতে বসে থাকলে মনে হয় কারো কিছু বলার ছিলো না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, ব্যাক্তির ধর্ম-বিশ্বাসই আমাদের দেশে অন্তত আদতে ঠিক করে দিচ্ছে আমি কীভাবে চলব, কী বলতে পারব, রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে আমার অধিকারের সীমাটুকু কত দূর, দেশে কোন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড চলবে না চলবে না (উদাহরণঃ যাত্রা)। সবাই নিজ নিজ ধর্মবিশ্বাস নিয়ে ঘরে বসে থাকলে সমস্যা ছিল না, সমস্যা আমার শ্বাস নেয়ার বাতাসেও তার ধর্ম মিশিয়ে জোর করে আমাকে ইনহেল করানোতে। এই জন্যই মনে হয়, কারো বিশ্বাসের পেছনের ভ্রান্তিগুলো ধরিয়ে দিয়ে, তাকে চিন্তা করতে শেখানোটা জরুরী। আমাদের দেশের একটা বিরাটসংখ্যক ছেলেদের নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী কেমন, সেটা ফেসবুকে কিছু কুৎসিত পেজের মেম্বার কাউন্টের দিকে তাকালেই বুঝা যায়। এই দৃষ্টিভঙ্গীর সমর্থন অনেক মানুষ তার ধর্মবিশ্বাস থেকেই পাচ্ছে। তাই নারীদের প্রতি তাচ্ছিল্যের মনোভাব কারো ব্যাক্তিগত বিশ্বাসের একটা ন্যাচারাল কনসিকুয়েন্স হলে তার বিশ্বাসের ভুল ধরিয়ে দেয়া আমাদের একটা দায় হয়ে দাঁড়ায়, "ব্যাক্তিগত" ট্যাগ দিয়ে নো অ্যাটাক পলিসি আকড়ে বসে থাকলে চলে না।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সজল ভাই,
আপনি মনে হয় মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের এই প্রশাখাটা আগাগোড়া মনোযোগ দিয়ে ফলো করেননি। নইলে দেখতেন আপনার কন্সার্নগুলির সবকটাই এখানে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এ্যাড্রেস করা হয়েছে। আবার ভালো করে পড়ে দেখুন। তারপরও না বুঝলে আমি নাচার। আর হ্যাঁ, আপনি আমার মন্তব্যটা আঊট অফ কনটেক্সট কোট করেছেন। ফলে কিছুটা হলেও এর অর্থ বদলে গেছে আপনার কোটেশনে বিচ্ছিন্নাবস্থায়। তবে এনিয়ে কথা বাড়াবার মতো এনার্জি আমার আর নাই। এই প্রশাখার বিতর্কটা আর আমার আগ্রহ মেরিট করছে না।
আমি এই ধারায় নতুন কমেন্ট করা থেকে অবসর নিচ্ছি। এটা মনে হয় এখন একটা অন্তহীন লূপের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে।
মন মাঝি ভাই, কমেন্ট থ্রেড পড়েই কমেন্ট করেছি। আপনার এই কথাটার কন্টেক্সট বুঝেও বলছি, এর কন্টেক্সট আমার কাছে জরুরী না, কারণ কোট করা অংশটার নিজেরই স্বয়ংসম্পূর্ণ মানে আছে। আপনার আগ্রহ মেরিট না করলে অবশ্যই কিছু করার নেই, এখানেই থামা শোভন
"যুক্তিকে অগ্রাহ্য" করার কথা কে বলছে ? আমি তো দেখছি শ্রীকৃষ্ণ স্পষ্টই বলছেন --
আমি যদ্দুর বুঝেছি, আলাদাভাবে উলেখ না করলেও এখানে উনি "জ্ঞান আর বিবেক" বলতে 'যুক্তি'-কেও বুঝিয়েছেন। অবশ্য আমার এই বোঝায় ভুল হলে অন্য কথা।
তাহলে দাঁড়ালটা কি ? আমি যদ্দুর বুঝি, এর মানে দাঁড়াল - অন্যের পাকা ধানে মই দেয় না ধর্মের এমন সব অংশেই শুধু উনি বিশ্বাস করেন বা পালন করেন। অন্যগুলি না। তা-ই যদি হয় তাহলে অন্যদের সমস্যা কি তাতে ? উনি যদি উনার কথা রাখেন, তাহলেতো অন্যের আপত্তি করার কিছু দেখতে পাচ্ছি না। এটা তখন একেবারেই উনার ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। ধরেন, উনি যদি স্রেফ 'ইশ্বর বিশ্বাসী'ই হয়ে থাকেন, কিন্তু সেটা নিয়ে আর কারো ওপর ডাণ্ডাবাজি করতে না যান বা কোন ভাবে অন্যের যুক্তিসঙ্গত অধিকার খর্ব করতে না যান, তাহলে অন্যের সমস্যা কি এতে ?
বলতে কি বুঝালেন ঠিক বুঝলাম না। এর মানে কি এমন "কিছু ধর্মীয় অনুশীলন" আছে যার ফলাফল 'পরীক্ষিত' ও প্রমানিত এবং ঐ "অনুশীলন" নিজের মত করে বদলে নিলে ঐ "অনুশীলন"-এর কাঙ্খিত বিশুদ্ধ ফলাফল পাওয়া যাবে না ? ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য হল না বিধায় কোন মন্তব্য করতে পারলাম না।
তবে একটা উদাহরন দিয়ে প্রশ্ন করি, কেউ যদি স্রেফ নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য নিজের মত করে নামাজ পড়ে বা পুজোআচ্চা করে, বা চার্চ কিম্বা প্যাগোডায় গিয়ে আধাঘন্টা ধ্যানমগ্ন সময় কাটিয়ে আসে, কিন্তু সেসব অন্যের উপর চাপিয়ে না দেয় বা অন্যের উপর আপনার ভাষায় "প্রতিষ্ঠা" করতে উদ্যোগী না হয় এবং বাস্তব (দুনিয়াদারী) জীবনটাকে যুক্তিবুদ্ধি দিয়েই পরিচালিত করে এবং বড়জোর "শ্রীকৃষ্ণের" ভাষায় তার কাছে ধর্মের যে অংশগুলি পজিটিভ মনে হয়েছে শুধু সে অংশগুলি দ্বারাই ইন্সপায়ার্ড হয় - তাহলে অন্যের তাতে সমস্যা কি বা কিভাবে সেটা "ফ্যানাটিক সৃষ্টি করার জন্য এর চেয়ে মোক্ষমে মেকানিজম" হয়ে যায় ? এখানে তো স্পষ্টই যে বাস্তব দুনিয়াদারী ও অন্য মানুষের সাথে আচরনের ক্ষেত্রে তিনি তার ধর্মবিশ্বাসকে যুক্তিবুদ্ধিবিবেক দিয়ে ফিল্টার করে নিচ্ছেন।
এখানে একটা প্রশ্ন উঠতে পারে - ধর্ম এটাকে "এলাউ" করে কিনা ? আমার পালটা প্রশ্নঃ না-ই বা করলো, তো কি হয়েছে ? আমি তো কোন ইতরবিশেষ তফাৎ দেখছি না। ধর্ম যদি মিথ্যাই হয়, তাহলে তো তার আর কোন 'সত্য' কর্তৃপক্ষ বলে (অর্থাৎ ইশ্বর) কিছু থাকছে না। সেক্ষেত্রে এর কোনরকম মডিফিকেশনে কারো কোন রকম 'এলাউ' বা অনুমতি নেয়ারও কোন প্রয়োজন দেখছি না। তাছাড়া, ধর্ম যদি মিথ্যাই হয় আর কেউ যদি সেটা অন্যের প্রতি অক্ষতিকারক হিসাবে মডিফাই করে নেয়, সেক্ষেত্রেও তো অসুবিধার কিছু দেখছি না। যেমন ধরা যাক, কেউ যদি অপ্রমানিত ভিনগ্রহের এলিএন প্রাণিতে বা প্যারালাল ওয়ার্লডে বা পঙ্খিরাজ ঘোড়ায় বিশ্বাস করে কিন্তু তার সেই বিশ্বাসের কারনে আমার পায়ে পাড়া না দেয় বা আমার পাকা ধানে মই দিতে অর্থাৎ আমার অধিকার খর্ব করতে না আসে, তাহলে আমি তার বিশ্বাস নিয়ে মাতামাতি করে সময় নষ্ট করতে যাব কেন ? বড়জোর মনে মনে নিজের বিশ্বাস মত একটা মুচকি হাসি দিতে পারি। কিম্বা তা-ও না।
ভাই মন-মাঝি, আমি কি কোথাও বলেছি যে আমার অসুবিধে আছে? আমার ব্যক্তিগত ভাবে কোন অসুবিধে নেই, বরং আমি এটাই চাই যে প্রতিটি মানুষ এভাবেই তার নিজের ভার্সান বেছে নিক। কিন্তু আপনি আমার এবং মুর্শেদের যে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি মিস করছেন তা হলো ধর্মগ্রন্থগুলো কি আপনাকে সেটা এলাও করছে? আমার জবাব করছে না, আর এখানেই ধর্ম তার উপযোগিতা হারিয়ে ফেলছে।
উপরে মুর্শেদের প্রতিমন্তব্যের জবাব দিয়েছি। ওটা দেখে বলুন তো এবারও কোন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট মিস করলাম কিনা আমি ? নাকি এবার আপনি একমত হবেন ?
আরেকটা কথা, এখানে আমার মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পুরোটাই অনেকখানি থিওরিটিকাল। এগুলি আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের বিবরন নয়, বরং মূল মন্তব্যকারি "শ্রীকৃষ্ণ"-এর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া বা ইন্টারপ্রিটেশনজাত এবং কিছুটা একইরকম মনোভাব পোষনকারী কিছু বাস্তব জীবনে পরিচিত মানুষের সাথে তাদের বিশ্বাস নিয়ে আলাপের ফসল। অবশ্য, এখানে মূল মন্তব্যকারি "শ্রীকৃষ্ণ" কিন্তু তার মন্তব্যের কোন ব্যাখ্যা দেননি সমালোচনা সত্বেও। অবশ্য আমি তার দরকারও দেখি না কারন তিনি স্পষত করেই বলে দিয়েছেন তার "হিসাব পুরা কিলিয়ার"। আমার কাছেও সেটা বেশ কিলিয়ারই মনে হচ্ছে আপাতত। যাহোক, উনি (এবং উনার মত অন্যরা) ধর্মের বিশুদ্ধ না অশুদ্ধ না ভেজাল অনুসারী, নিজের না কার ভার্শানের অনুসারী, সেটা গ্রহনযোগ্য কি অগ্রহনযোগ্য - এসব বিতর্কে খুব একটা আগ্রহ বোধ করছি না আর। প্রয়োজনিয়ও মনে হচ্ছে না। আমার অন্তত ভার্শান নিয়ে বা ঐ ভার্শানের নাম-নম্বর নিয়ে কোন সমস্যা নাই যতক্ষন কেউ অন্যের পাকা ধানে মই দিতে না যাচ্ছে। আর কথা না বাড়াই, কেমন ?
একবিংশ শতাব্দীর যুক্তি আর মূল্যবোধ দিয়ে ১৪০০, ২০০০, বা ৫০০০ বছর আগের ধর্মবিশ্বাস ডিফেন্ড করা বড়ই কঠিন কাজ !
একমত। ১৪০০ বছর আগের মতবাদকে যখন মানুষ সেরা মতবাদ বানাতে যায় তখনই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়
শ্রীকৃষ্ণ এর সাথে পুরোটাই সহমত ।
লেখক ধর্মের বিরুদ্ধে অনেক কিছুই বলেছেন কিন্তু তার সমর্থনে পর্যাপ্ত যুক্তি উপস্থাপন করেন নি। লেখক বলেছেন "সেই দাবির পক্ষে কোনও প্রমান তারা দেয় না"। যীশু কিন্তু মৃতকে পুনর্জীবিত করেছিলেন। মুসা নবীর লাঠি ছুঁড়ে ফেল্লে সাপ হয়ে যেত। আর আমাদের নবী চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন। এর পরও অবিশ্বাসীরা বলেছিল "জাদু"। তিনি যদি চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত না করতেন তাহলে জাদুর প্রসঙ্গ আসত না। সেই সময়েই সবাই বলত, চাঁদ ত দ্বিখণ্ডিতই হয়নি এ তো ডাহা মিথ্যা। মুসলমানরাও বিশ্বাস করত না।
আর কোরান ত জীবন্ত মুজেজা।
আপনি স্বর্গ-নরক আর ঈশ্বর প্রসঙ্গে অনেক কথাই বলেছেন। আপনি কি "আইনাল হক" সম্পর্কে জানেন? জানেন রুহ সম্পর্কে? এই যে, আপনি আমার এই লেখা টি পড়ছেন। লক্ষ্য করুন লেখক, "আপনি নিজে" (self) পড়ছেন। এই "feelings of self" কে টেকনিকেল ভাষায় বলে "subjective experience", যা চেতনার অংশ। আপনি ঈশ্বরকে অবিশ্বাস করলে, নিজকে আগে অবিশ্বাস করুন। neuroscientist রা "subjective experience" কে বলে "হার্ড প্রব্লেম" বা "মাইন্ড-বডি প্রব্লেম"। তারা এই ব্যাপারে নিরুত্তর। ঐ যে বললাম, নিজেকে "নাই" ভাবতে হবে। এদের মধ্যে যারা নাস্তিক তারা বলে "illusion", আরও বলে "self will" বলে কিছু নাই, কারন আমরা তো মেশিন। আপনি আল্লাহকে অবিশ্বাস করার আগে নিজেকে অবিশ্বাস করেছেন তো? (http://www.susanblackmore.co.uk/Conferences/Sharpham Aug 2006.htm)
আমি বলি, আপনি আল্লাহকে খুজে পাচ্ছেন না? আল্লাহ আপনার ভিতরেই আছে।
“……যে ঘড়ি তয়ার করে, লুকায় ঘড়ির ভিতরে গো
লুকায় ঘড়ির ভিতরে…”
অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন,
একজন বলেছেন কোরান এ নাকি বৈজ্ঞানিক অসত্য আছে...তাকে অনুরোধ তিনি যেন তা উপস্থাপন করেন।
রুহ বিষয়ে আমার একটি প্রস্তাবনা আছে। জানেন ত, আদমকে জীবিত করার সময় তিনি নিজ থেকে একটা কিছু "ফুকে" দিয়েছিলেন। আর ঈশা নবীর ত ছিল "পবিত্র আত্মা"। তিনি বলেছেন "The word was with God, The word is God"(বাইবেল) যার কারনেই না এত বিপত্তি। যদি বলি আমাদের রুহ হচ্ছে ঈশ্বরের অংশ, তাহলে কি আপনারা সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যান? কিন্তু বিষয় টা এত সহজ না। আপনারা সবাই চুম্বক নিয়ে খেলেছেন তো?
একটা চুম্বক যদি লোহার কাছে রাখেন তাহলে, সেই লোহাটা চুম্বক এর মত আচরণ করে, কিন্তু সেটা বাস্তবে চুম্বক না বরং আবেশিত চুম্বক।
এবার ঈশ্বরের প্রসঙ্গে আসি। আমরা জানি ঈশ্বর সব কিছুই করতে পারে, কিন্তু তিনি কি ইচ্ছা করলে অন্যায় করতে পারেন? পারেন বৈ কি, খুব পারেন। তার কিন্তু তিনি সেটা পছন্দ করবেন না। তিনি তার সেই খারাপ ইচ্ছাকে সংশোধন করতে চাইবেন। যদি বলি আমরা তার সেই খারাপ ইচ্ছার আবেশ থেকে তৈরি? লক্ষ্য করুন আমরা কিন্তু তাঁর অংশ না কেননা আমরা "আবেশিত"। আমাদের কে শাস্তি দিয়ে প্রকারান্তরে তিনি নিজেকেই শাস্তি দিবেন। আমি কিন্তু শুরুতে বলেছি এটা আমার প্রস্তাবনা। এটা বিশ্বাস করার জন্য কারো পরকালে ক্ষতি হলে আমি দায়ি নই। (বিষয়টি সুফিবাদ এর থেকে কিছুটা ধার করা)
এখন প্রশ্ন হল, তিনি আমাদের উপর অন্যায় করছেন কিনা? দেখুন, "কুফর" শব্দের অর্থ হচ্ছে গোপন করা। আর আল্লাহর নিদর্শন কিন্তু সবখানেই আছে। এ ছাড়াও প্রত্যেকেই ব্যাখ্যাতিত কিছু না কিছু প্রত্যক্ষ করে। আমি নিজে এর সাক্ষী। এরপরও যদি কেউ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করে তাহলে সে তাঁর নিদর্শন অস্বীকার করল, অর্থাৎ সে গোপন করল বা কুফর করল। তাহলে তো সে শাস্তির যোগ্য। কিন্তু কেও যদি বলে, "আমি আল্লাহকে অস্বীকার করছি না কিন্তু সংশয়বাদী যেহেতু তাঁকে দেখা যায় না। তাঁর কি হবে? হাদিসে আছে (আমি এই মুহূর্তে reference দিতে পারছিনা), "কারো অন্তরে তিল পরিমান ইমান থাকলেও সে বেহেস্তে যাবে।"
আরেকটি বিষয় হল, শিরক। শিরক কেন সবচাইতে বড় অপরাধ? কারন আপনি যখন শিরক করবেন তখন পরমাত্মার সাথে আর মিলিত হওয়ার আর কোনও সুযোগ থাকবেনা শাস্তি ব্যতীত। কোরানে একটা আয়াত আছে, আয়াতটি এইরকম , "...তারা বেহেস্তে চিরকাল থাকবে যদি না আল্লাহ অন্য ইচ্ছা করেন...তারা দোজখে চিরকাল থাকবে যদি না আল্লাহ অন্য ইচ্ছা করেন...." আমার ধারনা, পরমাত্মার সাথে মিলনের বিষয়ে এই আয়াতটি ইঙ্গিত করেছে। হিন্দু এবং বৌদ্ধ ধর্মও এই কথা বলে, সুফিরা ত বলেই।
শেষ যে কথাটি বলব সেটি শাস্তি বিষয়ে, আল্লাহ এত দয়ালু হয়েও এত কঠিন শাস্তি কি করে দিবেন? হাদিসে আছে, "দোজখীদের অনেক বিশাল দেহ করে তৈরি করা হবে..." আর কোরানে দোজখীদের কথোপকথনের অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। একটু চিন্তা করলে বুঝবেন, যে লোক আগুনে পুড়ছে তাঁর স্বাভাবিক কথা বলা সম্ভব না। আল্লাহ তাঁর জন্য সেটা সেটা সহনীয় করে দিবেন বলেই মনে হয়।
আমি লেখা-লেখিতে খুবই কাঁচা। moderator কে অনুরোধ, তিনি আমার অপটু লিখাটা বাদ না দেন।
লেখক নাহয় মহা অজ্ঞ নাস্তিকবিশেষ। আপনি দয়া করে এই কথাগুলোর প্রমাণ দিন না?
মন্তব্য নেই, আপনি কি self-declared দার্শনিক টাইপের কিছু?
এবার মনে হচ্ছে, আপনি কি পুরো সুস্থ আছেন?
আমি বলিনি, যিনি বলেছেন তিনি হয়তো উত্তর দেবেন, আপাতত আপনার জন্য খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, কয়েকদিন আগে আরেকজনের জন্য খুঁজে বের করেছিলাম।
কোরানের ২০:৫৩, ৪৩:১০ আর ৭৮:৬ আয়াত বলে পৃথিবী কার্পেটের মত অথবা বিছানার মত অথবা একটি Wide Continuous Surface - সোজা বাংলায় পৃথিবী স্রেফ চ্যাপ্টা। এই তথ্য কি আধুনিক বিজ্ঞানে সমর্থিত?
প্রথমেই বলি ধর্ম সম্পূর্ণ বিশ্বাসের ব্যাপার। আপনি যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে তাহলে তো ল্যাঠা চুকেই গেল। আর যদি বিশ্বাস করেন তাহলেও ঝামেলা নাই। এখন আসেন বিশ্বাস শক্ত করা যাই কিভাবে সেটা চিন্তা করা যাক। আপনি এই যে ক্ষুদ্র উদাহরণ দিলেন তার জন্য ২০ নং মন্তব্য (অছ্যুৎ বলাই-এর)একটু মনযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি। তার কারণ আল-কুরআন ৬৬৬৬টি আয়াতের সম্পূর্ণ একটি জীবন বিধান। এর একটি আয়াতের সাথে আর একটি সম্পর্কযুক্ত। যে কোন একটি আয়াত উদাহরণ হিসাবে টানলে হবে না, আগে-পিছের আয়াত এবং এই আয়াত নাযিলের শানে-নযুল জানতে হবে।
আর একটা বিষয়, কুরআন-এর সকল বিষয় বৈজ্ঞানিক না অবৈজ্ঞানিক তা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারবোনা, তবে এটা বলতে পারবো যে কুরআন-এর সকল বিষয় সত্য। আর বিজ্ঞান কুরআন-এর সকল বিষয় প্রমান করতে পারেনি। কারণ বিজ্ঞান এখনো এতো অগ্রসর হতে পারেনি যে এই সকল বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারবে। যেমন, জ্বীন-এর বিষয়ে বলি, জ্বীন অস্তিত্ব কিন্তু বিজ্ঞান এখনো প্রমান দিতে পারেনি। তারপর মেরাজ-এর ঘটনা ইত্যদি।
“ আপাতত আপনার জন্য খুব ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, কয়েকদিন আগে আরেকজনের জন্য খুঁজে বের করেছিলাম।“
একটা পরামর্শ, এই রকম খুঁজা-খুঁজি করতে করতে পুরো কুরআন একবার পড়ে শেষ করেন, তাহলে অন্যের কাছে আর উত্তর জিজ্ঞেস করতে হবেনা।
১।
ধর্ম যখন শুধুমাত্র বিশ্বাসেরই ব্যাপার, তখন তাতে কোন কথা ঠিক না ভুল তা ব্যাখ্যা করার কী দরকার? আপনি তো বিশ্বাস করছেনই যাহা ধর্ম বলে তাহাই সঠিক। তাহলে খালি খালি এত মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা টানারই বা কী দরকার আর অন্যে কে বিশ্বাস করে কোরানে কি সমস্যা আছে তার প্রমাণ চাওয়ারই বা কী দরকার?
২।
ঠিক কথা, তবে তাই বলে একটা আয়াতের কথা বলতে হলে আস্ত কোরানের ৬৬৬৬টা আয়াত কোট করার দরকার পড়ে না। আগে পিছে কোন যুক্তি যোগ করে পৃথিবী চ্যাপ্টা বলাটা জাস্টিফায়েড হয় বলতে পারবেন?
৩।
কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক বিশ্বাস যে ধর্মগুলোতে আছে, আপনার মত বিশ্বাসী সেগুলোতেও আছে, এবং আপনার মতই তারা কারণ না খুঁজে বিশ্বাস করে তাদের ধর্মের সবকিছু সত্য। কোন যুক্তিতে অন্যেরা (আপনি নন) আপনার অন্ধবিশ্বাসকে গ্রহণযোগ্য ধরে অন্য ধর্মের কারো অন্ধবিশ্বাসকে বর্জনীয় বলবে? অন্য ধর্মের লোকজনকে আপনি কি এই স্পেসটা দেবেন যে সে বিশ্বাস করবে তার ধর্মে যা আছে সব সত্য, কারণের প্রয়োজন নেই? দিলে তো আপনার ধর্মের বিপক্ষের কথাকেও সত্য বলা হয়ে যাবে, গ্রহণ করবেন সেটা?
৩।
আপনি কীভাবে জানেন যে আমি একবার, বা কয়েকবার পুরোটা পড়ে শেষ করিনি - আপনার কি ধারণা কোরান পুরোটা পড়া থাকলে যে কেউ না খুঁজেই যে কোন রেফারেন্স হাওয়া থেকে হাজির করতে পারে? আমি অন্ধবিশ্বাসে মুখস্থ করি না যে রেডি রেফারেন্স চাহিবামাত্র না খুঁজেই মাথা থেকে বের করে আয়াত নম্বর সহ দিয়ে দিতে পারবো। বুঝে পড়া আর মুখস্থ করার মধ্যে পার্থক্য জানেন আশা করি।
আপনার সাথে সহমত। এই জন্যই আমাদের উচিত ধর্মের সবকিছু মেনে চলা। আর আল্লাহ্ কে সৃষ্টিকর্তা মেনে নিলে ইসলাম সর্বশেষ ধর্ম যা সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য একমাত্র ধর্ম। তার কারণ ইহুদী, খ্রীষ্টান এদের ধর্ম ইসলাম দ্বারা প্রতিস্থাপিত। কিছু মানবো আর কিছু মানবোনা এইরকম না করে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা মেনে চললে সমস্যা হওয়ার কথা না।
আপনার এই মন্তব্যের জন্য বলেছিলাম খুঁজা-খুঁজি করতে, কোন খারাপ কিছু বোঝাতে চাইনি। আপনাকে অভিন্দন, যদি কয়েকবার কূরআন শেষ করে থাকেনতো।
আপনি সম্ভবত আমার কথার অর্থ বোঝেননি।
আমি জানতে চাচ্ছি, আপনি বিশ্বাস করছেন ইসলাম একমাত্র সত্য, খুব ভালো কথা। অন্য ধর্মে বিশ্বাসী একজন একইভাবে বিশ্বাস করতে পারে তার ধর্মই একমাত্র সত্য। আপনার যেমন যুক্তির প্রয়োজন হয় না, তারও হবে না। সেক্ষেত্রে আপনি এবং তিনি পাশাপাশি থাকবেন কী করে? আপনার বিশ্বাসের প্রতি আপনি সম্মান আশা করছেন, সেই একই সম্মান কি আপনি তাঁকে দেবেন?
ক্লাসিক মন্তব্য। আমার সাধ্য নেই আপনার সামনে কোন যুক্তি উপস্থাপনের। একেবারে নক-আউট আমি , কাদম্বিনিকেই এখন মরিয়া প্রমান করিতে হইবে যে তিনি আসলে মরেননি। বিজ্ঞানকেই এখন প্রমান করতে হবে যে কোরানের সকল বিষয় সত্য ।
একই পরামর্শ আপনার জন্যেও প্রযোজ্য। তবে সব সত্য ধরেই যদি পড়েন তাহলে না পড়াই ভালো। আমার পরামর্শ একবার যে কোন গল্প/উপন্যাসের বই মনে করে পড়ুন। তারপর না হয় আবার আলোচনা করা যাবে।
সহমত। কারণ বিজ্ঞানকেই যেহেতু স্ট্যানডার্ড বলে মনে করছেন, তাই কুরআনের সত্যতা-অসত্যতা(যদিও নাই) বিজ্ঞানকেই প্রমাণ করতে হবে।
তার কোন অবকাশ-ই নাই। কারণ এটা আহমেদ ছফা বা হুমায়ন আহমেদের কোন গল্প না। আর তাই যদি মনে করেন তাহলে গল্প পড়ুন, মজা নিন, ভুলে যান আলোচনার কোন দরকারই নাই শুধু সময় নষ্ট হবে। তবে আল্লাহ প্রদত্ত পরিপূর্ণ জীবন বিধান মনে করলে না হয় আবার আলোচনা করা যাবে।
কোন কারণ ছাড়াই যখন বিশ্বাস করা হয় "আল্লাহ প্রদত্ত পরিপূর্ণ জীবন বিধান" তখন আর সেটা নিয়ে আলোচনা করে কী হবে? অন্ধবিশ্বাস নিয়ে 'আলোচনা' করা স্রেফ ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু নয়।
বেশ তো, লেখককে নাহয় অনুরোধ করবো বিজ্ঞান ব্যবহার করে কোরানের সত্যতা-অসত্যতা প্রমাণ করতে। আপনি যখন একইভাবে কোরানকেই স্ট্যান্ডার্ড ধরেন, তখন বৈজ্ঞানিক ব্যাপারগুলোও ওখান থেকেই প্রমাণ করে দিন না? যেগুলো ইতোমধ্যে আবিষ্কৃত হয়ে গেছে সেগুলো নয়, এখনো সমাধান হয়নি এরকম দু'চারটা ওপেন প্রবলেম সলভ করে দিন।
নিচের তিনটি লিন্কে আপনার দেয়া তিনটি রেফারেন্সের অনুবাদ আছে। প্রতিটি আয়াতের তিনটি অনুবাদ আছে। কার্পেটের/বিছানার কথা যেমন এসেছে, তেমনি 'expanse'- এরও উল্লেখ আছে। অনুবাদে ভিন্নতা আছে। আমি নিশ্চিত না অবশ্যই, তবে আমরা সচরাচর যে অর্থে 'বিস্তীর্ণ এলাকা' বলি, সেই অর্থও এখানে খাটতে পারে।
link-1
link-2
link-3
বি
expanse মানেই Wide Continuous Area. এখানে দেখুন
আমি নিজে কোরান পড়ার সময় যতগুলো সম্ভব অনুবাদ পড়ার চেষ্টা করি, যাতে অনুবাদের ফলে যদি সমস্যা হয়ও, সেটা এড়ানো যায়।
তিনটা অনুবাদ এখানে পাবেন আপনার দেয়া লিঙ্কও একই তিনজন মানুষের অনুবাদ নিয়ে তৈরী।
তো কী দাঁড়ালো? বাকি দু'জনেরটা অগ্রাহ্য করে যদি ধরে নেয়া যায় পৃথিবী বিস্তীর্ণ এলাকা, তার ফলে কী বলা যায় পৃথিবী গোল, বা নিদেনপক্ষে পৃথিবী চ্যাপ্টা নয়?
piss TV বাংলার জোকার নায়েক সচলায়তন এ ....
এতো বিশাল মন্তব্যের জন্যে প্রথমে ধন্যবাদ নিন। আপনার মন্তব্য এই লেখাটিকে পূর্ণ করেছে, যদিও আমি আপনার সবগুলো মন্তব্যের জবাব দিবো না, নিচে কারণ ব্যাখ্যা আছে।
আপনি এগুলোকে বিশ্বাস করতে চাইলে আমি কি বলতে পারি । আপনি ভুত বিশ্বাস করতে চাইলে, আপনি ব্যাট ম্যান, সুপার ম্যান, থান্ডারক্যাটস এগুলোকে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে চাইলে আমি কি করতে পারি? কিছুই করতে পারি না। শুধু এটুকু বলতে পারি এই কাহিনী গুলো যে সত্য তা কি ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় এক ধর্ম গ্রন্থ ছাড়া? দেয় না।
দু'একটা প্রমান দিয়ে তারপরে কথাটা বলতেন তাহলে না কিছু বলতাম। যাক, আপনার কষ্ট করে প্রমান দেওয়া লাগবে না। উপরের অংশতেই কিছু প্রমান আপনি দিয়েছেন। আর তাছাড়া আপনি যতগুলো প্রমান দিতে পারবেন তার চেয়ে বেশি প্রমান আপনার হয়ে আমি দিতে পারবো। আপনার কি ধারণা ধর্মকে নিয়ে সমালোচনা করার আগে নুণ্যতম পড়াশুনাটুকু করা হয়নি আমার? এতোটা কাঁচা না ভাবা বুদ্ধিমানের হবে।
আর আপনার মন্তব্যের বাকী অংশের জবাবে ডিটেইলস কিছু বলছি না। শুধু এক কথায় বলি আপনার "মাইন্ড বডি প্রবলেম" এ সাইন্স আত্মার কোন অস্তিত্ব স্বীকার করে না। যদি এমন কোন সাইন্টিফিক জার্নাল দেখাতে পারেন যেখানে সাইন্স আত্মার অস্তিত্বকে স্বীকার করেছে তারপর আপনার সাথে সে বিষয়ে আলোচনা করা যাবে। আমাদের মস্তিষ্কের কল্পনাতে সব কিছুর অবস্থান, আত্মা বলেন, ফ্রি উইল বলেন, আর ঈশ্বরই বলেন।
তারপরেও কষ্ট করে মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাদের কাছ থেকে আরও জোরালো বক্তব্য আশা করেছিলাম ।
আপনাদের মিউ মিউ শুনে আশাহত হয়েছি ।..আপনারা বরং আরও নাস্তিক ভাড়া করে নিয়ে আসেন অথবা গুগুল সার্চ করে কিছু নিয়ে আসেন যেটা আমার জন্য Challenging ।
@ অপছন্দনীয়, পুরো প্যারাগ্রাফ আগে পড়ুন।
আর, "পৃথিবী চ্যাপ্টা" প্রসঙ্গে বলছি, দেখুন ত এই আয়াত দুইটী কি পরিচিত মনে হয়?
"Who has made the earth your couch, and the heavens your canopy............" (2:22)
" It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy......"(40:64)
এই আয়াত দুটি দিয়েই আপনার আয়াতগুলোর ব্যাখ্যা দিলাম। এই আয়াত দুটি তে কি মধ্যাকর্ষণ শক্তির ইঙ্গিত পাওয়া যায়? না বুঝলে বলি, আকাশ ছাদ আর পৃথিবী বিছানা তখনি হবে যখন "Force of gravity" কাজ করে।
@ স্বাধীন, আপনি কি বলতে চান কোরান এর বিকৃতি ঘটেছে?
কোরানের মুজেজা ত অনেক। কোনটা বলব?
আপনি বরং আমাকে, ইয়াজুজ মাজুজ নিয়ে প্রশ্ন করুন, জিন বিষয়েও প্রশ্ন করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়া পড়তে যাওয়া সবগুলাই কি এইরকম নাদী ফেলা ছাগু হয় নাকি?
উঁহুঁ, মুর্শেদ ভাই, একটু জেনারেলাইজ করা হয়ে গেলো। এই প্রজাতি ক্যানাডায়ও বেশ কয়েকটা দেখেছি - অস্ট্রেলিয়ার সবগুলো নিশ্চয়ই এমন না।
এই গুলোর পিছনে সময় নষ্ট কইরেন না। এরা কিছু তো মানবেই না বরং আপনাকে নাকাল করে ছাড়বে।
ভাই প্লিজ, আপনে এইরকম আরও কিছু এক্সামপল দিয়ে ফিজিক্স এর ল গুলা বুঝায় দেন। যেমন থার্মোডাইনামিক্স, কোয়ান্টাম মেকানিক্স
সেটাই।
আমি বাংলা পড়তে জানি, তবে আপনি জানেন কিনা সন্দেহ হচ্ছে।
আমি আপনাকে ফ্ল্যাট আর্থ মডেলের কথা জিজ্ঞেস করেছি, মাধ্যাকর্ষণের কথা জিজ্ঞেস করিনি, পড়তে জানলে পড়ে দেখুন। অবশ্য মাধ্যাকর্ষণ জিনিসটা স্ফেরিক্যাল আর্থের সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু আপনার আয়াত পড়ে তো আমি কোথাও পাচ্ছি না যে পৃথিবীর টানের কারণে পৃথিবী বিছানা হিসেবে আছে। ওই যুগের মানুষ পৃথিবী চ্যাপ্টা ধরে নিয়েই মেনে নিতো যে তারা পৃথিবীতে হেঁটে চলে বেড়াতে পারে, সেটার জন্য তাদের মাধ্যাকর্ষণের ধারণার প্রয়োজন পড়েনি কখনো - দয়া করে দেখান কোরান কোথায় সরাসরি মাধ্যাকর্ষনের বর্ণনা দিয়েছে?
ইজিপশিয়ান মিথোলজির নাম শুনেছেন? ইসলামের জন্মের হাজার কয়েক বছর আগে তারা পৃথিবী (জেব) কে বিছানা আর আকাশ (নুট) কে ছাদ কল্পনা করতো, যদিও মাধ্যাকর্ষণের কোন ধারণা তাদের ছিলো না। আধুনিক বিজ্ঞান মাধ্যাকর্ষণ সমর্থন করে বলে তো বলাই যায় কোরানের অমুক আয়াত তমুক আয়াত এটা সমর্থন করে, দয়া করে একটা উদাহরণ দিন না যেখানে আধুনিক বিজ্ঞানের একটা আনসলভড প্রশ্ন কোরানের সাপেক্ষে সলভ করা হয়েছে? (নিউটনের আগে কোন মুসলিম বিজ্ঞানী কোরানের আলোকে মাধ্যাকর্ষণের ব্যাখ্যা দিয়েছে এরকম প্রমাণ দেখালেও চলবে)
কোরানের মুজেজা যে কোন দুই একটাই বলুন না শুনি।
আর ফ্ল্যাট আর্থ মডেলের স্বপক্ষে আরো একখানা আয়াত শুনুনঃ
আরো একখানা থাকলো
কী চমৎকার তাই না?
ইয়াজুজ মাজুজ কী জিনিস? সবাই তো আপনার মত কামেল ব্যক্তি না যে ম্লেচ্ছ বাংলার বদলে শরীফ আরবী দিয়ে কথা বলবে - এইসব শব্দ দয়া করে অনুবাদ করে দিলে সুবিধা হতো।
প্রমাণ করতে পারবেন জিন আছে?
(
আপনার ম্যা-ম্যা রবে অবশ্য অবাক বা আশাহত হইনি আমি - কারো কারো গলা থেকে কী আওয়াজ বেরোবে সেটা আশপাশের বাতাসে গন্ধ শুঁকলেই বোঝা যায় অনেক সময়ে।
)
ভাইয়া ইয়াজুজ মাজুজ (আর জুলকার্নাইনের) গল্পটা শুনতে মনে চায়। আচ্ছা সুরা কাহহাফের শানে নূযুলটাও একটি বলেন। আবার এইটাও বলেন ইজিকিয়েল নামক এক ইহুদি-নাসারার স্বরচিত গল্পটা কোরানের ভিতরে আল্লাহ বানী হিসাবে কেমনে আইসা পড়ল?
বিছানার সাথে গ্র্যাভিটির রিলেশন কী?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
সুপ্রিয় আল-আমিন
কোরানের আয়াতে শুধুই মাধ্যাকর্ষন ? ডার্কম্যাটার-এনার্জি এইসবেরও উল্লেখ আছেতো !
পড়াশোনা জানা মানুষগুলোর কোরানে বিজ্ঞান খুজেঁ পাওয়ার সদর্প উচ্চারনে কেমন অসুস্থবোধ করতে থাকি।
@আল-আমিন,
আপনি কি নব্যুওতি প্রাপ্ত হয়েছেন যে, আপনাকে প্রশ্ন করলেই সব জানা যাবে? আল্লাহ কি আপনাকে কুরআন ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দিয়েছেন? কুরআন কি নিজেকে সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন হিসেবে দাবি করেছে? আপনার বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার জন্য ইসলামের ভুল ব্যাখ্যার দায়িত্ব কে নিবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এই সঠিক ব্যাখ্যাটা আসলে কে করবে? এইটা করার দায়িত্ব তাহলে কার? কোন ব্যাখ্যা সঠিক আর কোনটা ভুল সেটা নির্ধারণের উপায় কি? কিভাবে বুঝবো যে আল-আমিন সাহেবের ব্যাখ্যাই ভুল আর তোর বা আমার ব্যাখ্যাই সঠিক?
আমাকে একটা সহজ প্রশ্নের জবাব দিস দয়া করে, কোনটাকে সঠিক হিসবে ধরবো আমি।
এক, কোরানের যে ব্যাখ্যা নবী/সাহাবী/আলেমরা দিয়ে গিয়েছেন সেটা? নাকি
দুই, আমি নিজে কোরান পড়ে যেটা নিজে বুঝি সেটা?
আমার কাছে এইটা একটা ভালো সমস্যা!
জি ভাইজান, আমি আপনাকে জিন বিষয়ে একটা প্রস্ন করতে চাই, শুনছি মহিলা জ্বিনেরা নাকি অনেক সুন্দরী হয়, তাই একখান মহিলা জ্বীন বিবাহ করতে চাই। আপনে যদি এই অধমের প্রতি দয়া করে এক জনরে পরিচয় করায়ে দেন। প্লিজ লগে, প্লিজ।
@স্বাধীন,
আর হ্যাঁ, আপনি যদি নিজের চেতনাকে "illusion" আর আপনার "free will" কে অস্বীকার করেন তাহলে...আপনিই বলুন আপনাকে আর "জীবিত" ভাবা আমার ঠিক হবে কিনা।
না ভাই, আমি আর জীবিত নই, অনেক আগেই মৃত্যু বরণ করেছি। আমি এখন কবরের ভেতর থেকে ব্লগিং করছি (ওখানে এখন ফ্রি ওয়াই-ফাই এর ব্যবস্থা আছে), আর অপেক্ষা করছি কবে যিশুর আবার আগেমন ঘটবে আর তিনি আমাকে আবার জীবিত করবেন ।
কবর তাইলে অতটা ভয়ের জায়গা না? ফেসবুক অ্যাক্সেস করা যায়?
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
আণ্ডারওয়ার্ল্ডে কি গ্রামীণফোনের ইন্টার্নেট সার্ভিস পাওয়া যায় ? গ্রামীনের ইএসবি মডেম ঐখানে কাজ করবে ?
@ সজল,, আমার বক্তব্য আপনি ধরতে পেরেছেন, সেইজন্য ধন্যবাদ। একটু ব্যাখ্যা করা যাক। কোরানের অনেক বৈশিষ্ট্যের একটি হচ্ছে একই বক্তব্য বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন ভাবে বলা। কোথাও "longer version" (বিছানার সাথে আকাশ) আবার কোথাও বা shorter (শুধু বিছানা)। আশা করি এবার বুঝেছেন।
@অপছন্দনীয়। আমার পোস্ট বুঝার জন্য আপনাকে আরও একটু মাথা খাঁটাতে হবে।
আর যুলকারনাইন প্রসঙ্গে বলছি..."setting place" was in view of Zulkarnain. যেমন এই বাক্যটি দেখুন... "He saw the sun setting in the ocean." ...
আবার কুরআনের আরেকটি আয়াত এ আছে
"And the sun runneth on unto a resting-place for him. That is the measuring of the Mighty, the Wise."
( Ya Seen, Chapter #36, Verse #38)
উইকিপেডিয়া দেখুন,
"The general direction of the Sun's galactic motion is towards the star Vega in the constellation of Lyra at an angle of roughly 60 sky degrees to the direction of the Galactic Center." (http://en.wikipedia.org/wiki/Sun)
এখন আপনারা যদি "ভেগা" নক্ষত্রে সাগর খুজে পান, আমার কি করার আছে বলেন?
আর কিয়ামত দিবসে পৃথিবীতে উঁচুনিচু থাকবেনা...এর সাথে "চ্যাপ্টা পৃথিবীর" কোনও সম্পর্ক নেই।
@সুবর্না,
"Lord of the two easts, and Lord of the two Wests!" ( سورة الرحمن , Ar-Rahman, Chapter #55, Verse #17)
কি বুঝলেন?
@ দুর্দান্ত
এই বিষয়টার জন্য অন্য সময়ে লিখব।
ইউ লস্ট মি! বিছানার সাথে গ্র্যাভিটির রিলেশনের গাজাখুরিটা এখনো বুঝলাম না। অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেই যাচ্ছেন।
সজল, আমি বোধহয় আপনাকে খানিকটা সাহায্য করতে পারি। সম্ভবত এই আল-আমিন সাহেবের মতানুসারে ইসলামের (খালি কোরানের নয়) সবকিছুই রূপক+উদাহরণ+তেড়াবেঁকা কথা দিয়ে বোঝানো। কাজেই যদি কোথাও বলা থাকে অজগর, সেটার মানে হতে পারে অজগর সাপ, কেউটে সাপ, ঢোঁড়া সাপ, লাউডগা সাপ... বলিউডের নাগিন, হলিউডের বোয়া ভার্সেস পাইথন, সচলায়তনে বুনোহাঁসের "সর্পমানবী ও আমাদের বিশ্বাস" পোস্ট... মা মনসা, ফণীমনসা, ঘৃতকুমারী, অর্জুন, হরিতকী, আমলকী... রজ্জুতে সর্পভ্রম, পাটের দড়ি, নাইলনের দড়ি, পাজামার দড়ি, গলায় দেয়ার দড়ি, ছাগল বাঁধার দড়ি... ছাগল, গরু, মুরগী, কুকুর, বেড়াল, ভেড়া... উল, পলিয়েস্টার, সুতি... মসলিন, জামদানী, বালুচরী... এবং তাবৎ দুনিয়ার সবকিছু।
খুব সম্ভবত এই 'ঐশী' ফ্লেক্সিবিলিটি রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে ওনাদের মত সাচ্চা ধার্মিককে সাহায্য করা, যাতে প্রয়োজনে ওনারা আপনার আমার মত অজ্ঞ (সেমি)-নাস্তিককে সাইজ করার সময় সুড়ুৎ করে হাতার মধ্য থেকে অপ্রাসঙ্গিক একটা কথা টেনে বের করে তার সাথে এটা ওটা মিলিয়ে হাঁসজারু বা বকচ্ছপ মার্কা কিছু একটা দাঁড় করাতে পারেন।
এবং বোধহয় এই নিশ্চয়তা দেয়া যেতে পারে যে আগামীকাল যদি নিউটনিয়ান থিওরী ভুল প্রমাণিত হয়, ওনারা এই একই বিছানা ব্যবহার করে বলবেন মাধ্যাকর্ষণ নেই বলেই বিছানা লেগেছে, না হলে শুধু মাটি বলা থাকতো।
কমেন্টে পাঁচতারা নাই
হ, অ-তে অজগর, অ-তে অর্শঃ প্রাণীবিদ্যা থেকে রোগতত্ত্ব সব কাভার হয়ে যায়।
আমার কথা বুঝতে অবশ্য খুব একটা মাথা খাটানোর দরকার নেই, খালি সার্টিফিকেটের সাথে অথবা বদলে একটুখানি 'শিক্ষা' থাকলেই চলবে।
ওই আয়াতের কোথায় বলা আছে যে এটা "In View of"? এখন যদি বলা হয় "আল-আমিন সচলের মন্তব্য দেখেছে" তার অর্থ কি দাঁড়াবে আসলে সচলে মন্তব্য টন্তব্য কিচ্ছু নেই ওটা আল-আমিনের ভিউ? নিজেই আরেকবার ভালো করে পড়ে দেখুন না, আয়াতটা কি প্রত্যক্ষ বর্ণনামূলক নাকি পরোক্ষ বর্ণনামূলক? ওখানে একটা ঘটনার বর্ণনা দেয়া হচ্ছে, কারো ভিউপয়েন্ট ব্যাখ্যা করা হচ্ছে না।
আবার ভেগা নক্ষত্র নিয়ে এলেন কোত্থেকে? উপরের মন্তব্যগুলো একটু পড়লে দেখবেন সাগর আমি বা আমরা খুঁজে পাচ্ছিনা, সেটা কোরানের আয়াত থেকেই এসেছে। যদি ধরে নেইও যে এই সাগর আসলে ভেগা নক্ষত্র, যুলকারনাইন কি ভেগা নক্ষত্রে ইন্টারস্টেলার ট্রিপ মেরে দেখে এসেছেন সূর্য ওখানে ডুবছে? অসংলগ্ন কথারও সীমা থাকা উচিত।
কিয়ামতের আগে না সব ধ্বংস হয়ে যাবে? তাহলে আবার ফ্ল্যাট না রাউন্ড এই প্রশ্ন আসছে কোত্থেকে?
যেহেতু হয় আপনি আমার প্রশ্নগুলো বোঝেননি অথবা ইচ্ছে করেই এড়িয়ে গেছেন, কাজেই এবার একটু সোজা ভাষায় লেখা যাক-
১। ইসলাম প্রচারের পর পর শুনেছি অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীর প্রচুর নামযশ হয়েছিলো। তাঁরা অনেক কিছুই আবিষ্কার করে গেছেন। কোরানে যদি সত্যিই মাধ্যাকর্ষণের প্রতি ইঙ্গিত থাকে, তাহলে এই বিজ্ঞানীদের কেউ কেন নিউটনের আগেই সেটা ব্যাখ্যা করে যাননি?
২। বিছানার উল্লেখমাত্রই যদি মাধ্যাকর্ষণ বোঝানো হয়ে থাকে, তাহলে ইসলামের কয়েক হাজার বছর আগের মিশরীয় সভ্যতাকে মাধ্যাকর্ষণের আবিষ্কারক বলা উচিত, শুধুমাত্র যে এই বিছানা প্লাস ছাদের ধারণা তাদের সাথে মেলে তা-ই না, মাটি দিয়ে মানুষ বানিয়ে তাতে রূহ ফুঁকে দেয়াটাও খুব অদ্ভুতভাবে ইজিপশিয়ানদের সাথে মিলে যায়। এবার বলুন দেখি, স্যার আইজাক নিউটন যদি বলতেন "পৃথিবী আসলে একখানা বিছানামাত্র, আর আকাশ তার ছাদ" তাহলে আপনি আর আপনার মত কামেল ব্যক্তিবর্গ সেখান থেকে বুঝে নিতেন এর অর্থ "অভিকর্ষ নামে একটি বল আছে যার পরিমাণ বস্তুর ভর গুণ g নামে একটি ধ্রুবক?"
৩। কোরানে যদি সব সায়েন্টিফিক প্রবলেমের সমাধান পাওয়া যায়, তাহলে বর্তমান বিজ্ঞানের একটা ওপেন প্রবলেম ওখান থেকে সলভ করে দিয়ে দেখান দয়া করে যে সেটা করা যায়।
আর একটা অনুরোধ, যুক্তির উত্তর যদি যুক্তি দিয়ে দিতে পারেন দিন, কিন্তু দয়া করে অসংলগ্ন কথাবার্তা বন্ধ করুন। বিরক্তির সীমা সবারই আছে।
@moderator,
ঘণ্টা দুই আগে করা আমার reply টা কোথায়? আমি কি আপনাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছি?
দুঃখের বিষয়, সেটা সেভও করিনি। কি হল, কিছুই বুঝতে পারছিনা।
মডারেটররা সব সময় অনলাইনে থাকেন না। মন্তব্য করে দয়া করে একটু ধৈর্য ধরুন। দুই ঘন্টা নয়, অনেক সময় বারো ঘন্টাও পার হয়ে যেতে পারে।
vai apni ekjon vodro manush dekhi!!! ei rokom ঊনশিক্ষিত ছাগুরেও এত ভদ্র জবাব দেন। আমরা আসলেই এরকম সহাবস্থান চাই। আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা মানুষ!!!!
বড় আপ্লুত হইলাম।
আপনাকে আপ্লুত করতে পেরে আমি বড়ই আনন্দিত, পুলকিত, উদ্বেলিত এবং অত্যন্ত উৎসাহিত
তবে hudai ei rokom ছাগুরে জবাব দিয়া আপনের মূল্যবান সময় নষ্ট না করলে aro apluto homu...........
@সজল এবং @অপছন্দনীয় উভয়ের জন্য "বিছানা" র আবারও ব্যাখ্যা করছি।
আপনারা "বিছানা" শব্দে "Plate Model" আবিস্কার করেছেন। কিন্ত বিছানা বলতে এখানে যে "পৃথিবীর আকার" বুঝায় নি সেটা আমি অন্য দুই আয়াতের মাধ্যমে বুঝিয়েছি।
আবার দেখুন
"Who has made the earth your couch, and the heavens your canopy............" (2:22)
" It is Allah Who has made for you the earth as a resting place, and the sky as a canopy......"(40:64)
প্রথম আয়াত এ "বিছানা'র পরিবর্তে "Coach" শব্দ কোনও ভাবেই "Plate Theory" কে সমর্থন করে না।
আর কিভাবে বুঝাব আপনিই বলুন @ অপছন্দনিয়
এই আয়াতগুলো দেখুন,
"That is because Allah causes the night to enter into the day and causes the day to enter into the night, and because Allah is Hearing, Seeing". (سورة الحج , Al-Hajj, Chapter #22, Verse #61)
" Do you not see that Allah makes the night to enter into the day, and He makes the day to enter into the night," (Luqman, Chapter #31, Verse #29))
"He causes the night to enter in upon the day, and He causes the day to enter in upon the night" (Fatir, Chapter #35, Verse #13))
ঊপরের সবগুলো আয়াতে একটি দৃশ্যই দেখা যায়, "View of the earth from the space"
আর যখন পৃথিবীকে বিছানা আর আকাশকে ছাঁদ বলা হয় তখন সেটা, "View from someone standing on the earth". পৃথিবীকে বিছানা আর আকাশকে ছাদ বানানোর অর্থ... Gravity Force এর indication ছাড়া আর কি হতে পারে আপনার ধারনা?
এটার ব্যাপারে কি বলবেন?
"...তিনি দুই পূর্ব আর দুই পশ্চিমের অধিপতি..."(সুরা রাহমান)
ওয়েবসাইট ঘেঁটে এত ভুল বের করেছেন, নিজের মাথা খেঁটে এই সহজ ভুল টা বের করতে পারলেন না?
নিজের চিন্তাশক্তি ব্যবহার করেন, সত্য কে চিনুন।
আর আল্লাহকে ভয় করুন, Before its too late.
আপনার এই হাসিটা সেদিন আমি দেখতে চাই ।
[83.29] Surely they who are guilty used to laugh at those who believe.
[83.30] And when they passed by them, they winked at one another.
[83.31] And when they returned to their own followers they returned exulting.
[83.32] And when they saw them, they said: Most surely these are in error;
[83.33] And they were not sent to be keepers over them.
[83.34] So today those who believe shall laugh at the unbelievers;
.........
BTW,
আপনার জন্য একটা প্রশ্ন থাকল,
ধরুন, আপনারা দুই যমজ ভাই... physically আপনাদের দুজনের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। আপনাদের দুইজনের দেহের এমন কি মস্তিস্কের অনু-পরমানু পর্যন্ত একরকম। আপনার নাম সুমন, আপনার ভাইয়ের নাম ইমন...আপনি ত ইমনের brain এ জন্ম নিতে পারতেন। কিসে আপনাকে সুমনের brain circuit এ নিয়ে আসল?
বিষয় টী বুঝতে সমস্যা হলে, google/youtube এ "mind-body problem" লিখে সার্চ দিন...
আপনার প্রতিটি কমেন্টেই অন্ধবিশ্বাস আর অপবিজ্ঞান মিলিয়ে -র জন্য যে চমৎকার ককটেল পরিবেশিত হয় তা অতুলনীয়...
ঠিক একই জাতীয় হুমকি-ধামকি সব ধর্মেই আছে, সেজন্যে আর সব বিধাতাকে বাদ দিয়ে আপনার কল্পিত আল্লা'কে ভয় কেনো করতে হবে তা ঠিক বোঝলাম না। যে কারণে মানুষের উদ্ভাবিত আরো হাজারো স্রষ্টাকে অস্বীকার করি, ঠিক একই কারণে আপনার আল্লা'কেও অস্বীকার করি। সবগুলোই আরণ্যক নির্বোধের ভ্রান্ত দু:স্বপন এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুপরিকল্পিত মিথ্যাচার। বিশ্বাসীদের অবশ্য শেষ অস্ত্র হুমকি-ধামকি, আর ঠিক এই কাজটিই আপনি এখানে করেছেন আল্লার ভয় দেখিয়ে।
আর, আমার হাসি আপনি 'সেইদিন' দেখতে চান? 'সেইদিন' কোনদিন? যেদিন আল্লার তৈরি পাল্লার সামনে সবাইকে দঁাড় করানো হবে? আমার মতো নাস্তিকদের মানবিক ৈনতিকতা ওইসব গাঁজাখুরি গল্প, বেহেশতের লোভ আর দোজখের আতঙ্কের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়। খুব দেখছি কোরানের আয়াত ঝাড়ছেন, আপনি কি মনে করেন নাস্তিকেরা কোরান/বাইবেল/বেদের কয়েক গন্ডা অনুবাদ না পড়েই নাস্তিক হয়? বিশ্বাসীদের অবশ্য খতিয়ে দেখার সে প্রয়োজন নেই, জন্ম নিলেই সে পেয়ে যায় তার পিতা-মাতার বিশ্বাস, তার কাজ শুধু মুখস্ত প্রথাযাপন করা।
আপনি আমাকে যে প্রশ্নটি করেছেন তাতেই আপনার জ্ঞানের গভীরতা খুব টের পেলাম। বিষয়টি বুঝতে আমার কোনো সমস্যা নেই, আপনার থাকলে ড্যান ডেনেট-এর 'দ্য মাইন্ড'স আই' এবং 'কনশাসনেস এক্সপ্লেইন্ড' পড়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আপনার হাস্যকর অপবৈজ্ঞানিক কথাবার্তার উত্তর দেয়ার চেয়ে একটি চড়ুই পাখির দিকে তাকিয়ে থাকা অনেক বেশি সৃষ্টিশীল।
আবারো ধন্যবাদ আল্লার ভয় দেখিয়ে আমোদ দেয়ার জন্যে। মাঝে মাঝে সচলে এসে এভাবে নির্মল বিনোদন দিয়ে যাবেন।
আমার প্রথম পোস্টেই আপনার উল্লেখিত "Consciousness Explained" সম্পর্কে বলেছি। এইসব বিজ্ঞ মানুষজন মনে করে, আমাদের চেতনা তথা অনুভুতি, ব্যথা, ভালোবাসা, আনন্দ এমনকি ফুলের সুঘ্রাণ নেওয়া সমস্তই Illusion যেহেতু আমরা মেশিন। আর আমাদের "Free Will" তো অসম্ভব। আবারো বলি, ঈশ্বর কে অবিশ্বাস করার আগে নিজেকে অবিশ্বাস করেছেন তো?
আমি জানি আপনাদের নাস্তিকদের সব চাইতে বড় অস্ত্র হচ্ছে "Origin of species by means of natural selection". কিন্তু যে সমস্ত পদ্ধতির কথা বলা হয় (যেমন, Mutation by chance) তাতে favorable genetic rearrangement er এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে রুপান্তর অসম্ভব। এইরকম favorable major change with exotic design, সৃষ্টিকর্তার দিকেই অঙ্গুলি নিরদেশ করে। বলে রাখি, এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতি সৃষ্টির বিষয়ে আমি সন্দিহান নই ( এই পর্যন্ত প্রাপ্ত জীবাশ্মগুলো timeline অনুযায়ী সাজালে তাই মনে হয়)।
Couch মানে সোফার মত বস্তুবিশেষ তাই না? তাহলে
কেন? পার্থক্যটা কী হলো? দয়া করে ব্যাখ্যা করুন। আর এখানে এই দিয়ে ওই বোঝানো হচ্ছে - এর চেয়ে সহজভাবে আর কী করে বোঝাবো না বলে দয়া করে ব্যাখ্যাটাই দিয়ে দিন না - বুঝতেই তো পারছেন আমাদের মগজের শক্তির উপরে খুব একটা ভরসা রাখা যায় না।
যদি এটা দিয়ে পৃথিবী গোল এর ধারণা নিয়ে আসতে চান, তাহলে একটা প্রশ্ন করার ধৃষ্টতা দেখাই, পৃথিবীপৃষ্ঠের বক্রতা ভেতরের দিকে, অর্থাৎ পৃথিবীপৃষ্ঠের অধিবাসীদের জন্য পৃথিবীপৃষ্ঠ 'উত্তল' (Convex)। আর কাউচের হাতলসুদ্ধ বসার যায়গাটাকে যদি বাঁকা চিন্তা করা হয় তাহলে যে ওখানে বসে আছে তার সাপেক্ষে ওটা অবতল (Concave)। এখন কাউচকে যদি গোল পৃথিবীর রূপক চিন্তা করতে হয় তাহলে হয় মাটি খুঁড়ে পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছাকাছি বসতি গড়তে হবে নাহয় কাউচের উপরে না বসে হামাগুড়ি দিয়ে ওটার নিচে ঢুকতে হবে - কোনটা করা হয়?
ওই আমলের লোকজনের ধারণা ছিলো পৃথিবীটা চ্যাপ্টা আর আকাশটা তার উপরে উলটে রাখা বাটিমত একটা বস্তু। এখানে যে সেটা বোঝানো হচ্ছে না সেটা কীসের সাপেক্ষে নিশ্চিত হবো? আপনি দয়া করে দেখাবেন পৃথিবীকে বিছানা আর আকাশকে ছাদ বলার সাথে গ্র্যাভিটি ফোর্স কোত্থেকে এলো?
আউটার স্পেস হতে হবে কেন? পৃথিবীতে থেকে আর রাত যে পরপর আসে সেটা বের করা কি এতই কঠিন? ইসলামের অনেক আগে থেকে মানুষের কল্পনায় দিনকে নেকড়ে তাড়া করে, রাত দিনকে ঠেলে সরিয়ে তার জায়গা নেয়, আবার দিন রাতকে ঠেলে সরিয়ে আসে এই ধরনের ব্যাপারগুলো আছে, সেগুলো যদি আউটার স্পেসের ভিউ ছাড়া সম্ভব হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে হবে না কেন?
আপনাকে খুব সোজা ভাষায় তিনখানা প্রশ্ন করেছিলাম। দয়া করে নম্বর ধরে উত্তর দিন।
আপনার প্রতিও একই অনুরোধ থাকলো। চোখ বন্ধ করে অন্ধবিশ্বাস নিয়ে না এগিয়ে সত্যকে চিনতে চেষ্টা করুন।
দয়া করে যুক্তিবাদী মানুষ হয়ে উঠুন, Before it is too late.
আর আরেকটা প্রশ্ন করি।
(#জীবনানন্দ দাশ)
১। এখানে বোধহয় অ্যারোডাইনামিকস এবং ফ্লুইড মেকানিক্স নিয়ে কথা হচ্ছে। ওই দুই বস্তুর সংযোগেই পালে হাওয়া লাগিয়ে ডিঙা বাওয়া বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা যায়।
২। নিঃসন্দেহে লাইটের ওয়েভ প্রপার্টি, Rayleigh স্ক্যাটারিং এবং ডিফ্র্যাকশনের ধারণা এখানে খুব চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। ওগুলো না থাকলে মেঘ লাল দেখানোর কোন প্রশ্নই আসে না।
৩। বায়ুমন্ডল এবং তার লেয়ারগুলোর ধারণা ছাড়া কী করে মেঘ সাঁতরানোর কথা বলা যায়? এটা নিঃসন্দেহে ট্রপোস্ফিয়ারের বর্ণনা।
৪। এখানে রূপকের সাহায্যে নির্ঘাৎ ন্যাচারাল থিওরীগুলোর শুদ্ধতা বোঝানো হয়েছে, সাদা বকের মত শুভ্র চেহারাবিশিষ্ট ময়লাহীন থিওরীগুলো দিয়েই তো বিশ্বব্রহ্মান্ড চলে।
৫। এটা হচ্ছে শক্তির নিত্যতা সূত্রের একেবারে সোজাসুজি রেফারেন্স। আমার সব দেহকোষে যে কেমিক্যালগুলো রয়েছে সেগুলোর কেমিক্যাল বন্ডগুলো ভেঙে গেলেও এনার্জিগুলো তো আর হারিয়ে যাবে না, সেগুলো অন্য কোন রূপে রূপান্তরিত হয়ে রয়েই যাবে। আবার যদি শক্তি পর্যন্ত না-ও যাই, আমি মরে মাটিতে মিশে গেলেও তো রাসায়নিকগুলো রয়েই যাবে - কাজেই এটা 'রাসায়নিকের নিত্যতা সূত্রও বটে'।
এবার জিজ্ঞেস করি, আপনার কি ধারণা কবি জীবনানন্দ দাশ সবাইকে "মারফতি ফিজিক্স" শেখাচ্ছিলেন?
(আমি কোবতেপ্রেমী নই, অন্য জায়গা থেকে কপি করা কবিতায় যদি ভুলভাল থাকে তো সেজন্য সচলের কোবতেপ্রেমীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।)
চমৎকার একটি মন্তব্য। একেবারে (গুল্লিতে হবে না, মিসাইল এর ইমো লাগবে)
জীবনানন্দ দাশ যে তলে তলে এতো বড় বৈজ্ঞানিক ছিলেন কখনই ভেবে দেখিনি। কত অজানা রে
ভাই, আপনি ছাত্র মানুষ, জীবনে তো আরো অনেক দরকারি কাজ আছে, এর সাথে অনর্থক বাক্যলাপে সময় নষ্ট করছেন কেন????? (গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি, বলদার্গু কমেন্টগুলি (কপিরাইট হিমুদা) মডুরা ছাড়েন পাঠকদের বিনোদিত হওয়ার জন্য। আপনিও বিনোদন হিসাবেই নিন।)
কিন্তু কমেন্টের শেষাংশে
কৌস্তভের সাথে সহমত। এইখানে সময় ব্যয় না করে বরং আরেকটি লেখা নামিয়ে ফেলুন। ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞান খুঁজে পাওয়া লোকের সাথে আমি আমার একটা যুক্তিও খরচ করতে রাজী নই। ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের আপনি ভালো একটি উদাহরণ দিলেন। আর দ্রোহী'দাও বেশ ভালো যুক্তি দিয়েছেন। এর বেশি আসলে বলার কিছু নাই, দরকারও নাই।
এখন জীবনানন্দের কবিতার মানে একটু একটু বুঝতে পারছি, চরম বৈজ্ঞানিক কবিতা লিখতো লোকটা মন্তব্যটা আসলেই হইছে।
অনেকের রক্তচক্ষু অনুমান করতে পারলেও দেওয়া কিছুতেই আটকাতে পারলাম না...
কেন, তাম্বু ?
****************************************
@ভাই বলাই আপনার মন্তব্যকে স্বাগতম। একটা কথা বলে রাখি, যে বিশ্বাসী তাঁর সাথে আমি সব সময়ই তর্ক এড়িয়ে চলি।
এই আয়াতটি দেখুন,
" And hold fast, all together, by the rope which Allah (stretches out for you), and be not divided among yourselves; and remember with gratitude Allah.s favour on you; for ye were enemies and He joined your hearts in love, so that by His Grace, ye became brethren; and ye were on the brink of the pit of Fire, and He saved you from it. Thus doth Allah make His Signs clear to you: That ye may be guided." ( سورة آل عمران , Aal-e-Imran, Chapter #3, Verse #103)
তাই আপনার সাথে আমি বিতর্কে যাবনা, তবে যতটুকু না বললেই নয় ততটুকু বলি।
কোরানের যে আয়াতের ব্যাখ্যা আমাদের নবী দিয়েছেন তাঁর সাথে দ্বিমত করা ঈমান বিরোধী।
কিন্তু যে সব আয়াতের ব্যাখ্যা তিনি দিয়ে যান নাই...সেসব আয়াতের যে ব্যাখ্যা নিজে করাটা অন্যায় নয় যখন অন্যদের ব্যাখ্যা common sense বিরোধী। বস্তুত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোরানের এক আয়াত অন্য আয়াত কে ব্যাখ্যা করে।
এই আয়াতটি দেখুন,
(Nay more, it is for Us to explain it (and make it clear):
( سورة القيامة , Al-Qiyama, Chapter #75, Verse #19)
আর কোরান কোনও Science Journal না ।..সেটা কোরানের উদ্দেশ্যও না। সে উদ্দেশ্য থাকলে আল্লাহ নবিকে দিয়ে মানুযকে বিজ্ঞানের কলা কৌশল শিখাতেন।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) মানুষদেরকে কোরানের সাহায্যে দাওয়াত দিতেন। প্রধানতঃ মক্কায় অবতীর্ণ সুরাহ গুলো এই ধরনের। এই সুরাগুলোর মর্মস্পর্শী ভাষায় আপ্লুত হয়ে অনেকেই ইসলাম গ্রহন করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হযরত ওমর (রাঃ)। আর মদিনায় অবতীর্ণ সুরাগুলোর বড় অংশই ইসলামি জীবন-বিধান সম্পর্কিত। আর সব সুরার মধ্যেই কিছু আয়াতে এমন কিছু বিষয় এসেছে যা নিয়ে মানুষকে চিন্তা-ভাবনা করতে বলা হয়েছে। আমার ধারনা, তখনকার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা যায়নি বা ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যেমন, "ইয়াজুজ-মাজুজ"। এর প্রচলিত ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ "common sense" বিরোধী। পরে এটা নিয়ে বিস্তারিত বলব।
আবার দেখুন,
"“And if you all are in doubt about what I have revealed to My servant, bring a single chapter like it, and call your witnesses besides God if you are truthful.” (Quran 2:23)
সব চাইতে ছোট সুরা হচ্ছে কাউসার। এইখানে "১৯" এর ফরমুলা আছে কিনা আমার জানা নাই।
So, There are still many things we don't know. কাজেই চিন্তা-ভাবনা করাটা দোষের কিছু না।
আসসালাম
ধর্মগ্রন্থের ব্যাখ্যা অনেকটা এইরকম:
কোন ধর্মগ্রন্থে যদি লেখা থাকে "অতঃপর তিনি ইয়াব্বড় একটা পাদ দিলেন" বিশ্বাসীরা বলবে, "লিচ্চয় এখানে বিগ ব্যাংয়ের কথা বলা হয়েছে! দেক্সো ধর্ম কত ইসমার্ট!!"
গল্পের গরুকে রূপকের ঘাড়ে চাপিয়ে গাছে তোলা ধর্মগুলোর কাছে কোন ঘটনা না।
বড় দুঃখের কথা হচ্ছে, ধর্মগ্রন্থে সবকিছু লেখা আছে, কিন্তু আবিস্কারের আগ পর্যন্ত কেউ সেগুলো খুঁজে পায় না। এমনকী হাজার বছরের ধর্মের ইতিহাসে ধর্মগ্রন্থ পড়ে কেউ কোন কিছু আবিস্কার করেছে বলে কোন ঐতিহাসিক বিবরণ নেই।
বিজ্ঞানের প্রথম শর্ত হচ্ছে "ডাউট এভরিথিং" আর ধর্মের প্রথম শর্ত হচ্ছে "বিলিভ এভরিথিং"। সুতারাং, ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সমন্নয় ঘটানোর চেষ্টা একটা হাস্যকর বিষয়। বরং ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় মানুষের ধারণাকে আমূল বদলে দেয়া আবিস্কারগুলোকে প্রতিষ্ঠা করতে ধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছে।
দ্রোহী
আপনাকে একটা খোঁজ দিয়ে যাই।
"...তিনি দুই পূর্ব আর দুই পশ্চিমের অধিপতি..."(সুরা রাহমান)
আরেকটা "parallel universe" আছে।
উরে বিজ্ঞানী আলামিন:
এত কিছু জানেন আর এইটা জানেন না যে মহাবিশ্বে উত্তর-দক্ষিণ-পূর্ব-পশ্চিম-উপর-নিচ-পাশ বলে কিছু নেই? যেখানে উত্তর-দক্ষিণ বলে কিছু নাই সেখানে দুইটা পূর্ব আর দুইটা পশ্চিমের অধিপতি ক্যামনে থাকেন?
এবার আসা যাক প্যারালাল ইউনিভার্সের কথায়। মাল্টিভার্স হাইপোথিসিসে অসীম সংখ্যক মহাবিশ্ব ধারণার কথা বলা হয়। মাল্টিভার্স হাইপোথিসিসের কোনটিতেই মাত্র দুটো মহাবিশ্ব সম্ভাবনার কথা বলা হয়নি।
দুইটা মহাবিশ্ব ধারণা মূলত সায়েন্স ফিকশনের। সেখানে দেখা যায় প্যারালাল ইউনিভার্সের আরেক সেট নায়ক-নায়িকা মারামারি-হুড়োহুড়ি করে বেড়াচ্ছে। সমস্যার কথা হচ্ছে এ জাতীয় সায়েন্স ফিকশন লেখকের অধিকাংশেরই সায়েন্স ব্যাকগ্রাউন্ড বড় নড়বড়ে ধরনের!
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সপ্তম শতাব্দীর অর্জিত জ্ঞান দিয়ে একুশ শতকের জ্ঞান ব্যাখ্যা করতে গেলে হাস্যকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
নিচের ভিডিওতে আপনের মতই আরেক বিজ্ঞানীকে দেখেন:
আল-আমিন সাহেব, উপরের এই মন্তব্যটি তো আপনারই করা, তাই নয় কি? মন্তব্যটি আপনি করেছেন মুক্তমনা ব্লগের একটি লেখায়। আপনার এই মন্তব্য থেকেই আপনার প্রকৃত পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। মডুরামদেরকে অনুরোধ করবো আল-আমিন সাহেবের মন্তব্যগুলো আর না ছাড়তে। বিনোদন বেশি হলে আবার বদ-হজমের সম্ভাবনা রয়ে যায়।
বলদার্গু না ছাড়ার ব্যাপারে আমিও সহমত। তা চুপচাপ ফেলে রেখে দিলেও গন্ধ ছড়ায়, ফোরামের সম্বন্ধেও অন্য পাঠকদের কাছে ভুল ইমেজ যায়। আর যুক্তিযুক্ত বিরোধিতা করতে যাওয়া মানে পুরোই সময় নষ্ট।
আল-আমিন সাহেব, ব্যাপক বিনুদিত করলেন ...বুঝা গেল গিয়ানের কুনো শেষ নাই
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আলামিন গং এর কমেন্টগুলি স্টিকি করা হোক।
অজ্ঞাতবাস
নতুন মন্তব্য করুন