টুকলিংবাদিকতা

শেহাব এর ছবি
লিখেছেন শেহাব (তারিখ: শুক্র, ২০/০৬/২০১৪ - ৫:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথমে ২১ শে এপ্রিল ২০১৩ সালের সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে প্রকাশিত বিডিনিউজ২৪.কমের 'ড. তাহের হত্যামামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল' সংবাদটি পড়ে নিন (পিডিএফ কপি)!

এবার একই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৫২তে প্রকাশিত প্রিয়.কমের প্রকাশিত 'ড. তাহের হত্যা মামলায় দু'জনের মৃত্যুর রায় বহাল' খবরটি পড়ুন (পিডিএফ কপি)।

আমি খবর নিয়ে জানতে পেরেছি বিডিনিউজ২৪.কম খবরের টেক্সট বিক্রি করে না। তার মানে হল প্রিয়.কম লেখাটি চুরি করেছে। প্রশ্ন হল এই বাজে চর্চাটি কি করে বন্ধ করা যায়? বিডিনিউজ২৪.কমের কি প্রেস কাউন্সিলের কাছে যাওয়া উচিৎ? প্রেস কাউন্সিল না হয় একবার গেলে কিছু একটা বিচার করে দিবে। কিন্তু এরকম শত শত প্রিয়.কম নিয়মিত চুরি করে যাচ্ছে। এটি সামাল দেয়ার মত জনবল তো প্রেস কাউন্সিলের নেই। আর শুধু এই ধরণের বোরিং কাজের জন্য সৃজনশীল কর্মকর্তাদের ব্যস্ত রাখার কোন মানেই হয় না।

তাহলে কি করা যায়? এর সহজ সমাধান হল যদি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ একসাথে কোন যৌথ উদ্যোগ নেয়। এক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল হবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্লায়েন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বয়ংক্রিয় একটি সিস্টেম তৈরি করে দিবে যেটি প্রতিদিন হাজার হাজার অনলাইন পত্রিকার লেখা একত্র করে পরস্পর তুলনা করে দেখবে কার থেকে কে টুকছে। সাংবাদিকতা বিভাগ হবে মূলত এর বিজনেস কেইস ডিজাইনকারী। তারা ঠিক করবে সিস্টেমটি কি করে কাজ করবে, এর মাণদন্ড কি হবে, ইত্যাদি। কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের গবেষকরা ঠিক করবে কি করে এই অটোমেটেড সার্ভিসটি তৈরি করা হবে, কি টেকনলজি ব্যবহার করা হবে, ফলস পজেটিভগুলো থেকে কি করে বাঁচা যাবে, বাংলার জন্য কি করে সিস্টেম অপটিমাইজ করা যাবে, দক্ষতা কি করে বাড়ানো যায় ইত্যাদি।

আরেকটা উপায় হল সাংবাদিকতা আর কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগ মিলে নিজেরা স্বাধীন গবেষণার অংশ হিসেবে কাজটি করল তারপর প্রেস কাউন্সিল বা অন্য কারও কাছে প্রযুক্তিটি বিক্রি করল। এই ধরণের সিস্টেম চালানোর একটি খরচও আছে। যারা অভিযোগ করবে তারা কিছু একটা ফি দিবে যাতে করে এর খরচটি আসবে।

প্রশ্ন হল কারা করবে? এখানে যে প্রজেক্টের কথা বলা হচ্ছে সেটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের যে শাখার অধীনে তার একটি টেকনিক্যাল নাম আছে - সিমেনটিক ওয়েব। এই বিষয়ে আমার জানামতেই কমপক্ষে দুই জায়গাতে কাজ হয়। একটি হল শাবিপ্রবির অধ্যাপক আব্দুল মুনিম রঞ্জুর গবেষণাদল আর অন্যটি হল বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হানিফ সিদ্দিকী। এর বাইরেও আমি নিশ্চিত আরো অনেকে কাজ করে। সাংবাদিকতার কোন গবেষক কি আমাদের প্রেস কাউন্সিলকে উপহার দেওয়ার জন্য এই গবেষণার নেতৃত্ব দিবেন?


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

স্মার্ট আন্ডারগ্রাড বা মাস্টার্স ছাত্রদের জন্য ভালো একটা থিসিস প্রোজেক্ট হতে পারে!
কিন্তু কেউ যদি টুকলিফাই করে আবার পুরাতন দিনক্ষণ দেয় তখন কি হবে? নিয়মিত বিরতিতে ক্রলিং করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় কি আছে?


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক খুব ভালো আইডিয়া।

--আরাফ করিম

অতিথি লেখক এর ছবি

চুরি বিদ্যা, বড় বিদ্যা
যদি না পড়ে ধরা ।

নিশ্চয়ই এটা রোধ করতে এগিয়ে আসবেন কেউ না কেউ।

ধন্যবাদ শেহাব, সচেতনমূলক পোষ্টের জন্য।

----------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

ইন্টারেস্টিং টপিক। বিষয় টা একটু জটিল বলে মনে হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন এত গুলো ডিপার্টমেন্ট এভাবে একসাথে কাজ করে কি ফল নিয়ে আস্তে পারবে? নিশাচর জীব।

স্যাম এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।