মেয়েটির নাম লুত্ ফা -২

শ্যাজা এর ছবি
লিখেছেন শ্যাজা (তারিখ: সোম, ২৯/১০/২০০৭ - ২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অসাধারণ রুপসী লুত্ফা শ্বশুরঘর করতে এলো৷ ঘর যেন আলো হয়ে গেল৷ তার বরটিও তাকে বেশ ভালোবেসে ফেললো,আর লুত্ফা যেন একটি পুতুল, তার শাশুড়ি মা, তার ননদ,তার শ্বশুর তাকে সারাক্ষণ স্নেহে মমতায় আদরে ভাসিয়ে রাখেন৷ লুত্ফা সেই ভালবাসায় আপ্লুত৷ শ্বশুর সাঁঝের নামাজ সেরে ফেরার পথে রোজই কিনে আনেন লুত্ফার জন্য টোকো কুল, পাকা কামরাঙা এই বিদেশের বাজারে যার দেখা পাওয়াই দুষ্কর৷ ব্যবসার কাজে তাকে মাঝে মাঝেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে হয়৷ সেখান থেকে ফেরার সময় লুত্ফার জন্যে উপহার আসে আলাদা একটা বাক্সে৷ গয়না কাপড়, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে বোঝাই হয়ে৷ প্রতিবারই তিনি অতিরিক্ত শুল্ক গোনেন হাসি মুখে৷ বিশাল প্রাসাদের তিনতল্লাটা লুত্ফাদের জন্য বরাদ্দ৷ সেখানে হরেক রকমের ঘর ৷ একটা ঘর ক্রমশ ভরে ওঠে সিন্দুকে সিন্দুকে৷ হরেক রকমের গহনা৷ বিভিন্ন দেশের, হরেক ডিজাইনের, হরেক স্বাদের৷ আলিবাবার গুহার কথা মনে আসে৷ এত গহনা যে লুত্ফার মতন আরো কয়েকশোটা মেয়ের সর্বাঙ্গ মুড়ে দেওয়া যেতে পারে কত সহজে৷ যে ঘরে কাপড় থাকে শুধুই কাপড়৷ পাশাপাশি সারসার সব আলমারি৷ ঘরটা দেখতে ঠিক দুর্গের মত লাগে৷ সারাদিন সে একবার এ কাপড়টা পরে পরক্ষণে অন্যটা৷ বেশীদিন এই খেলা তার ভালো লাগে না, সে নিজেই বিরক্ত হয়ে পড়ে৷ তখন সে চলে যায় পাশের ঘরে৷ এই ঘর ভরতি শুধু পুতুলে৷ কাঁচের আলমারীতে সব ঠাঁসা পুতুল৷ সব মিলিয়ে যেন একটা মিউজিয়াম৷ সব তার৷ সবাই তার বন্ধু৷ সকলের সাথে আলাপটুকুও হয়ে ওঠেনি৷ ইস৷ তাকে রান্না ঘরে যেতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না৷ তাকে তো রোজা রাখতেও দেওয়া হয় না৷ স্বশুরমশাই রোজা রাখেন৷ লুত্ফার ভারী ইচ্ছে করে শ্বশুর মশাইকে নিজে বসে ইফতার করায়৷ কেউ গা করে না তার কথায়৷ ফলে পুতুলদেরকেই মিছিমিছি রান্না করে সে খাওয়ায়, সাজিয়ে দেয় ইফতার পার্টি৷ এদের সাথেই অবিরত কথা বলে ,মান করে, ঠোঁট ফোলায়৷ কও তো পৃথিবীর সব চাইতে সুন্দরী কে? কেউ কোন উত্তর দেয় না৷ ভীষণ রাগ হয় তার৷ ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে পুতুলগুলো৷ রাগ করে চেঁচায়, এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে৷ কখনও শ্বশুর এসে ডেকে তোলে, হাতে নতুন গয়নার বাক্স বা তার সাধের কাঁচামিঠে আম৷ কখনো ডেকে তোলে ননদেরা৷ হাতে বিলিতি কোন ফ্যাশন ম্যাগাজিন৷ চুলে ডিম লাগিয়ে কোন বিশেষ প্যাক দিয়ে মেখে বিয়ার দিয়ে ধুয়ে ফেললে তার উজ্জ্বলতা হবে ফসফরাসের মত তা সবিস্তারে পড়ে শোনায় ৷ বাংলা করে করে বলে দেয়৷ তার জন্যেই এই বাড়িতে আসে পনের খানা বিশেষ ম্যাগাজিন৷ সে সমস্ত অবাক হয়ে শোনে৷ দেশ থেকে আসা খোদাবক্সের মা, তার খাস বাঁদি ননদের নির্দেশ মত উপাচার মাখিয়ে দেয় মাথায় মুখে ও দেহে৷ লুত্ফার চোখ বুজে বসে থাকা ব্যতীত যেন অন্য কোন কাজ এই সময় ঈশ্বর তার জন্য বরাদ্দ করেননি৷

দেখিতে দেখিতে বছর ঘুরিতে সন্তান আসিল ক্রোড়ে৷
কন্যা চাহিয়া পুত্র পাইল, ভাসিল স্নেহের তোড়ে৷৷
দিন-রাত তার শুধু কেটে যায় সন্তানেরে বুকে লয়ে৷
স্বামীটি তাহার ফিরিয়া না চায়, ফিরে না রাত্রে আলয়ে৷৷
একা একা সে স্বপ্নে বিভোর পাইছে চরম সুখ৷
শেষ জীবনে যেন নিশ্চিত মথিয়া রহিবে বুক৷৷
ভালবাসা চাহিয়া ফিরিছে নারী স্বপ্নে স্বপ্নে বিভোর৷
স্বামীর ব্যবহারে, অদ্ভুত অত্যাচারে, নির্মূল তার ঘোর৷৷
পড়শী সকলে না দেখিবারে পায়, না জানে তাহার কথা৷
মাটিতে লাঙল পুনরায় চলে, না বুঝে তাহার ব্যথা৷৷
স্বপ্ন সায়রে দোকা ডুব দেয়, জায়া যে হয়েছে জননী৷
ফাটাফাটা মাটি ফাঁক হও তুমি, টেনে নাও বুকে ধরণী৷৷

এভাবেই বছর দুই কেটে গেল৷ লুত্ফা টেরও পেল না, দিন কোথা দিয়ে কিভাবে কেটে গেল৷ কোল আলো করে ছেলে এল৷ ষোল বছরের লুত্ফা মা হল৷ শ্বশুর শাশুড়ির আদর যত্নে কোন ঘাটতি ছিল না, কিন্তু লুত্ফা একটু যেন হতাশ হতে শুরু করেছিল তার স্বামীটিকে নিয়ে৷ তার স্বামী জয় সর্বদা ব্যস্ত৷ সারাক্ষণই সে ব্যস্ত মোবাইল ফোনে৷ একের পর এক ফোনের পর্দায় ফুটে ওঠে বিদেশী সব মেয়েদের নাম৷ সব নাম ঠিক করে উচ্চারণ করাও লুত্ফার পক্ষে অসম্ভব৷ স্বামীর পারসোনাল আলমারীতে সে ভয়ে হাতই দেয় না, পাছে কি বেরিয়ে পড়ে৷ লুত্ফার কথা তো সে শুনতেই পায় না৷ মুখের সামনে ধরা ঝাঁ চকচকে সব বিলিতি ম্যাগাজিন৷ মলাটে যে এক নগ্ন নারীর ছবি , তা থেকেই লুত্ফা ধারনা করে নেয় সে ম্যাগাজিনের অভ্যন্তর সম্পর্কে৷ টেলিভিশনে ডিভিডিতে রাত জেগে দেখে ইংরাজী বর্ণমালার চব্বিশ নম্বর অক্ষরের ত্রিগুণ দ্বারা সূচিত সিনেমা৷ এটাও সে জানতে পারে ননদের কাছ থেকে৷ এক-দু মিনিটের বেশী দেখাই যায় না সেই সব৷ শরীরে ভীষণ অস্বস্তি হয়৷ মাথা ঘোরে , বমি পায়৷ জয় তা দেখতে থাকে একের পর এক, সারা রাত জুড়ে৷ লুত্ফা কেবল আল্লাহকে স্মরণ করে৷ একটু যেন সুবুদ্ধি দেন ওকে৷ রাত্রে শুয়ে ছেলেকে বুকে আঁকড়ে স্বপ্ন দেখে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের৷ লুত্ফার ছেলে অধিকার করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চডিগ্রী৷ এক মেয়ে হবে তার, ঠিক তার মতন ই সুন্দরী৷ লোকে বলবে এতো সেই সকলের চোখ থেকে হারিয়ে যাওয়া শ্রীহট্টের লুত্ফা সুন্দরী৷ সে যা পায়নি সব পাবে তার সেই মেয়ে৷ খেলতে খেলতে বড় হবে, মেয়ে বেণী দুলিয়ে কলেজে যাবে৷ সকালে জয়ের অফিসে যাওয়ার সময়টুকু লুত্ফা ভীষন ব্যস্ত থাকবে৷ পেটুক জয়ের জন্যে তৈরী করে দেবে এক একদিন এক এক রকমের নাশতা৷ হাঁক পাড়বে জয়, লতারে, আমার শার্টের বোতামটা যে ছেঁড়া! ছুটে আসবে লুত্ফা, কোন শার্টের বোতাম ছেঁড়া? দরাজ হাসে জয়,তোকে বলেছি না, আমি বেরুনোর সময় কোথাও যাবি না? অমলিন হাসিতে অপরুপা লুত্ফা একটু কপট শাসায় জয়কে, তোমায় বলেছি না তুই করে ডাকবে না আমাকে? ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে না? জয় আবার হাসে, ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে বলে কি তুই ও বড় হয়ে গেলি নাকি রে ? চকিত প্রশ্ন জাগে লুত্ফার মনে, এই কি সেই জয়? ভাবনাটাকে দূরে সরিয়ে লুত্ফা এবার মন দেবে গৃহস্থালীতে৷

স্বপ্নেরা আসে ফিরি ফিরি যায় জীবন তবুও কাটে৷
সারাদিন তার অপেক্ষায় যায়, সূয্যি যায় পাটে৷৷
ছেলে বড় হয় তবুও তাহার নিজের কি কিছু নাই?
তবু একটিবার বাপ মায়ে তার, খোঁজ নিল না হায়!
যত লোকে তার সকালে বিকালে জানিতে চাহিত কুশল৷
আজও কি তাহারা থাকে পথ চেয়ে, চাহে তার মঙ্গল৷৷
মনে কি পড়ে বটঝুরিটার, কে খাইত তাহাতে দোল৷
যে বা দিত এনে কুল-ফলসা, দীঘি হতে মহাশোল৷৷
শীতের শেষেতে মেঠো ইদুরেরা ফসল লইত বাসায়৷
দেশে ফিরে গিয়া সব ফিরি পাবে, কান্দে এমন আশায়৷৷
স্বপ্ন কেবল আসে আর যায়, কাটায়ে ব্যর্থ দিন৷
তবু বুকে বাঁধে শেষ আশা তার, সব হইবে রঙিন৷৷

লুত্ফার স্বামী জয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে৷ থাকে ছাত্রাবাসে৷ মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি আসে, যখন বাড়ি আসে, তখন ফিরে যেতে চায় না, কিন্তু একবার গেলে আবার তাড়াতাড়ি ফিরেও আসতে চায় না৷ লুত্ফা বুঝতে পারে না, এত কিসের পড়া? কেন সে প্রতি মাসে বাড়ি আসে না? বাচ্চাটির প্রতি যে দায়িত্ব লুত্ফার স্বামীর পালন করার কথা, সেই দায়িত্ব পালন করেন তার শ্বশুর, শাশুড়ী৷ তার স্বামী যখন বাড়ি আসে, তখন সে বেশি ব্যস্ত থাকে লুত্ফাকে নিয়ে৷ হরেক নতুন নতুন পদ্ধতিতে সে চায় লুত্ফাকে৷ যে ভাবে সে দেখেছে সদ্য কোন ডিভিডি সিনেমায়৷ সেই সব সুন্দর দর্শন অস্বাভাবিক মডেলরা যেন ক্রমশ লুত্ফার প্রতিদ্বন্দী হয়ে পড়ে৷ লুত্ফা সময়ও পায় না তার ছেলের দেখাশোনা করার জন্যে৷ ছেলে থাকে তার ফুপুর কাছে৷ ধীরে ধীরে লুত্ফার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে লাগল৷ জয়, তার স্বামীর প্রতি তার শাশুড়ি মায়ের অসন্তোষ সে বুঝতে পারে৷ তাদের কথা বার্তা থেকে সে টের পায়, জয় ঠিকমত পড়াশোনা করে না, বন্ধুদের নিয়ে প্রায়ই বেরিয়ে পড়ে, তাকে নিয়ে শ্বশুর বেশ উদ্বিগ্ন৷ ধীরে ধীরে এই অসন্তোষ যেন এসে পড়ে লুত্ফার ওপর৷ সে কেন তার স্বামীকে বাঁধতে পারে না? জয়কে আটকানোর জন্যই তো সাত তাড়াতাড়ি ছেলের বিয়ে দেওয়া? তাও পাড়া-গাঁয়ের লেখাপড়া না জানা এই রকম একটা আপাদ মস্তক পুতুল মেয়ের সাথে৷ লুত্ফা যেন পড়তে পারে শ্বশুরের মনের ভাষ্য৷ কি পেয়েছে সে জীবনে৷ বাড়ি যাওয়ার তো কোন প্রশ্নই নেই৷ কেমন আছে তার বাবা মা? বছর ফুরোলে একটা কি দুটো চিঠি আসে৷ না কি তাকে দেওয়াই হয় না চিঠি? খোদাবক্সের মায়ের কথায় বিশ্বাস করতে মন চায় না তার৷ অবসরে সে চেষ্টা করে তার ভাঙা স্বপ্ন গুলো জোড়া লাগাবার৷ সব সময় সে ঘোরের মধ্যে থাকে৷ নতুন কাপড় পরেই না৷ গয়নার ঘরে সে ঢোকেনি বহুদিন৷ তার এক কালের প্রিয় সেই পুতুলঘর এখন তার পুত্রের অধীনে, সে ফিরেও চায় না৷ কবে বড় হবে তার ছেলে৷ ঐ যেন সব দেখা যায় দূরে৷ লুত্ফার ছেলে আজ অধিকার করল বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডেগ্রী৷ এক মেয়ে হয়েছে তার, ঠিক তার মতনই সুন্দরী৷ লোকে বলে এ তো সেই সকলের চোখ থেকে হারিয়ে যাওয়া শ্রীহট্টের লুত্ফা সুন্দরী৷ সে যা পায়নি সব পাবে তার সেই মেয়ে৷ খেলতে খেলতে বড় হবে, মেয়ে বেণী দুলিয়ে কলেজে যাবে৷ মেয়ে বেণী দুলিয়ে কলেজে যায়৷ সকালে জয়ের অফিসে যাওয়ার সময়টুকু লুত্ফা ভীষন ব্যস্ত৷ পেটুক জয়ের জন্যে এক একদিন এক এক রকমের জলখাবার৷ হাঁক পাড়ে জয়, লতারে, আমার শার্টের বোতামটা যে ছেঁড়া! ছুটে আসে লুত্ফা, কোন শার্টের বোতাম ছেঁড়া? দরাজ হাসে জয়, তোকে বলেছি না, আমি বেরুনোর সময় কোথাও যাবি না? অমলিন হাসিতে অপরূপা লুত্ফা একটু কপট শাসায় জয়কে, তোমায় বলেছি না তুই করে ডাকবে না আমাকে? ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে না? জয় আবার হাসে, ছেলে মেয়ে বড় হয়েছে বলে কি তুই ও বড় হয়ে গেলি নাকি রে ? চকিত প্রশ্ন জাগে লুত্ফার মনে, এই কি সেই জয়? ভাবনাটাকে দূরে সরিয়ে লুত্ফা এবার মন দেয় গৃহস্থালীতে৷ গৃহস্থালী,গৃহস্থালী,গৃহস্থালী,হায় গৃহস্থালী! খোদা তো সব দেখতে পান, অতীত বর্তমান ভবিষ্যত৷ ভবিষ্যতে ঠিক সব পাবে সে, নইলে আল্লাহ পাক কবে আজরাইলকে পাঠিয়ে দিতেন তার রুহ কবচের জন্য৷

(চলবে)


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ভূমির নিচে ফাটল হলে পৃথিবী নড়ে উঠে
পাহাড়ে ফাটল হলে এক অংশ ভেঙেচুরে ধানি জমি হয়ে যায়
আর মানুষে মানুষে ফাটল বেড়ে গেলে সেখানে জমে থাকে মেঘ

শ্যাজা এর ছবি

কোথাও মেঘ জমে আর কোথাও মানুষও ভেঙে চুরে যায় । সেই ভাঙাচোরা মানুষ আর ফসল ফলাতে পারে না... নিজের মাঝেই গুটিয়ে যায়... সংসারের বোঝা হয়ে যায়... মনোরোগি বলে তারে লোকে।।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বহিরাঙ্গ বিকল হলে দরিদ্র মানুষ রাস্তায় সেই অঙ্গ উন্মুক্ত করে ভিক্ষা করে- স্যার আমি অচল মানুষ। কাম করতাম পারি না। আমারে একটু সাহায্য করেন স্যার
আর অন্তরাঙ্গ বিকল হলে ধনী মানুষেরা তা পরিবর্তন করে এসে আস্তে আস্তে কথা বলে- আমি মেজর সার্জিক্যাল অপারেশনের পেশেন্ট। উত্তেজনা বারণ

কিন্তু যার অন্তর বিকল হয়ে যায় সে সবকিছু ঢেকেঢুকে রেখে একা একা হাঁটে- আমার কেউ নেই যার কাছে গিয়ে বলি হৃদয়ে বিশাল ফাঁটল প্লিজ একটু সেলাই করে দাও
২০০৭.০৯.০৮

শ্যাজা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ লীলেন।


---------
অনেক সময় নীরবতা
বলে দেয় অনেক কথা। (সুইস প্রবাদ)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।