নির্বাচনী ইশতেহার ও প্রবাসীদের ভাবনা।

থার্ড আই এর ছবি
লিখেছেন থার্ড আই (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/১২/২০০৮ - ৩:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বড় দিনের ছুটিতে বাড়ী যাবার আনন্দ আর নির্বাচনে অংশ নেয়ার আনন্দ একসাথে শেয়ার করতে প্রবাসীদের মধ্যে এক দারুন উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও প্রবাসীরা এবারও নির্বাচনে ভোট দিতে পারবে না, তাই এক্ষেত্রে প্রবাসীরা নির্বাচন অংশ নেবে না বলে উপভোগ করবে বলাই যৌক্তিক। গত এক মাসে শুধু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিলেটের পথে উড়াল দিয়েছেন প্রায় পাঁচ শতাধীক লন্ডনী। আর যারা নিয়মিত ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন তাদের সংখ্যাটাও এর সাথে যোগ হচ্ছে। সেই সাথে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলতো আছেই। তাই নির্বাচন নিয়ে ইংল্যান্ড প্রবাসীদের আগ্রহ এবার সবচেয়ে বেশী। চলতি বছর সবোর্চ্চ সংখ্যক প্রবাসী প্রার্থীদের মনোনয়োন দেয়া হয়েছে। বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও স্বতন্ত্র প্রাথী মিলিয়ে শুধু মাত্র সিলেটের ১৯ টি আসনের মধ্যে ৮ টি ও ঢাকায় ১ টি আসনে লড়বে প্রবাসী প্রাথীরা। অন্যন্য জেলা মিলিয়ে হয়তো সংখ্যাটা আরো বেশী। দুটি রাজনৈতিক দলের নির্বচনী ইশতেহারে প্রবাসীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে । বলা হয়েছে দেশের নীতি নির্ধারণীতে প্রবসীদের মতামত নেয়া হবে। তাই এবারের নির্বাচনে প্রবাসীদের প্রত্যাশাও অনেক। প্রশ্ন হচ্ছে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবী গুলো বারবার উচ্চারিত হলেও কোন রাজণৈতিক দলই সেই আশার বাস্তবায়নতো দূরের কথা সঠিক দিক নিদের্শনাও দিতে পারেনি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্তত ব্রিটেন প্রবাসীরা ভোট দিতে পারবেন এমন আশার বাণী শুনিয়ে দুই নির্বাচন কমিশনারদ্বয় ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে সভা সমাবেশ করছে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করলেও ,সেই দাবী ফাইল বন্দী হয়ে পরে আছে।

চলতি বছর জুন মাসের কথা, ঢাকা থেকে লন্ডন ফিরছি। জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বোডিং পাস নেয়ার পর ইমিগ্রেশনে ঢুকতে যাবো এমন সময় এক আগুন্তক পথ আগলে বিনয়ের সাথে বললো, ভাই আমার ফরমটা ( আরোহন কার্ড) পূরণ করে দেন। আমি আগ্রহ নিয়ে তার ফরম পূরণ করে ভদ্রলোকের হাতে পাসপোর্ট ফেরত দিতেই আমার প্রতি একটা ২০ টাকার নোট বাড়িয়ে দিয়ে বললো, ভাই বড় উপকার করলেন নেন চা খাইয়েন। তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, টাকাটা আপনার কাছেই রাখুন , পরে খরচ করবেন। তারপর একের পর এক ৫ জনের ফরম পূরণ করলাম, ইতিমধ্যে আরো কয়েকজন এসে দাঁড়িয়েছেন, কিন্তু তাদেরকে সাহায্য করা সম্ভব হলোনা, আমার ফ্লাইটের সময় হয়ে গেছে। ভারাক্রান্ত মন নিয়ে ইমিগ্রেশনের পথে পা বাড়াতে হলো। শিক্ষা বঞ্চিত বিদেশযাত্রী এই শ্রমিকদের জন্য কি বিমান বন্দরে একজন কর্মকতা নিয়োগ করা যায়না যিনি এই ফরমগুলো পূরণ করে দেবেন ? মধ্যপ্রাচ্যগামী এই অভিবাসী শ্রমিকগুলোর কথা কি নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট করে কিছু বলা আছে ? যারা রেমিটেন্স পাঠিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল করে রেখেছে , বিদেশে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়ে দেশে ফিরছেন অথবা দালালদের খপ্পরেপড়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন। অভিবাসীদের এই দুষ্ট চক্র থেকে বের হবার কোন পথের সন্ধান কি করেছেন আমাদের ভবিষ্যত জন প্রতিনিধিরা ?

এক শ্রেণীর প্রবাসী আছেন যারা বিদেশে থেকে কিছু অর্থ কড়ি কামিয়েছেন, তাদের অনেকের মধ্যে একটা সমস্য লক্ষ্য করা যায়, ঢাকা বিমান বন্দরে নেমেই তিনি নিজেকে ফিল্মের হিরো মনে করেন, অথবা লাল পাসপোর্ট হাতে নিয়ে সবুজ পাসপোর্ট ওয়ালাদের তুচ্ছ জ্ঞান করেন। নিয়মের ধারে কাছে না গিয়ে নিজেকে ভিআইপি মনে করেন, ইমিগ্রেশন বুথে দাঁড়িয়ে অহেতুক বাড়ী ফেরার তাড়া দেখান অথবা প্রশাসণের বড় কর্তার সাথে তাঁর ঘনিষ্টতা আছে বলে আকার ইঙ্গিতে বুঝাতে চান। অথচ এই মানুষটি লন্ডনের হিথ্রো বিমান বন্দরে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশন সিকিউরিটি পার হয়েছেন। তখন তাঁর মুখ থেকে কোন শব্দ বের হয়নি। হিথ্রো বিমান বন্দরে কুকুর দিয়ে লাগেজ পরীক্ষা করে , জামা- জুতা খুলে মোটামুটি অর্ধ নগ্ন হয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হাত পা ছড়িয়ে নিজেকে আত্নসমর্পণ করে দেন প্রত্যেক যাত্রী, সেই একই যাত্রী ঢাকা বিমান বন্দরে এসে ঢাকার ইমিগ্রেশন পুলিশের নূণ্যতম দুই একটা প্রশ্নের জবাব দিতেও প্রস্তুত থাকেননা। ইউরোপ আমেরিকা প্রবাসী এই শ্রেণীর প্রবাসীদের হেদায়েত করার জন্য আমার প্রস্তাব, বিদেশী পার্সপোর্ট ধারীদের জন্য ঢাকা ও সিলেট বিমান বন্দরে সাদা অথবা কালো চামরার কোন ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ দেয়া হোক অর্থাৎ বিদেশী নাগরিকদের চাকরি দেয়া হোক। আমি নিশ্চিত বিমান বন্দরে সব সব রথি মহারথিরা তারের মতো সোজা হয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ইমিগ্রেশন ত্যাগ করবেন।

প্রবাসী বিনিয়োগের জন্য বিশেষ নাগরিক সুবিধা কিংবা সিলেটে ইপিজেড স্থাপনের ঘোষনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু বিনিয়োগের খাতগুলো চিহ্নিত করে সরকারের সহায়তায় সুনিদিষ্ট বিনিয়োগ প্রস্তাব থাকা জরুরী। প্রবাসে অনেক বিনিয়োগকারী আছেন বিনিয়োগ করতে আগ্রহী , কিন্তু তিনি বুঝে উঠতে পারছেননা আসলে ঠিক কোন খাতে বিনিয়োগ করলে লাভ জনক হবে। সরকারের তরফ থেকে যদি খাত গুলো চিহ্নিত করে সার্বিক তত্বাবধান ও অর্থের নিরাপত্তা দেয়া যায় তবে বিনিয়োগ কারীদের অভাব নেই প্রবাসে । দুই একটা খাতের কথা উল্লেখ করি, ইংল্যান্ডে বাঙালিদের সবচেয়ে সফল ব্যবসা রেষ্টুরেন্ট খাত। রেষ্টুরেন্ট মানেই শুধু মাত্র ভাত আর গোশত বিক্রির দোকান না। এই ব্যবসার সাথে জড়িত মসলা, শব্জি, হিমায়িত মাছ, ফার্নিচার, ক্রোকারিজ , পেইন্টিং এন্ড ডিজাইন সহ অনেক কিছু। ১২ হাজার রেষ্টুরেন্টে প্রতিদিন যে পরিমান শব্জি লাগে সেগুলো বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী করা গেলে প্রায় লক্ষাধীক লোকের কর্মসংস্থান হয়। বর্তমানে বিমানের ভাড়া বৃদ্ধির কারনে বাংলাদেশ থেকে শব্জি রপ্তানীকারকরা ধর্মঘট করে বসে আছেন, আন্তজাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও বিমান ভাড়া কমেনা। সঠিক প্যাকেজিং সুবিধা না থাকার কারণে অত্যন্ত সুস্বাদু বাংলাদেশী ফজলী আম বিদেশে আসছেনা। পরিশোধীত উপায়ে চিংড়ির প্রক্রিয়াজাত করণ করা হচ্ছেনা বলে চিংড়ি রপ্তানীতেও দেয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এসব খবর কি আমাদের রাজণীতিবিদরা রাখেন ? শুধু মাত্র মসলা ,চাটনি , চকলেট কিংবা পাপাডাম ইন্ড্রাষ্ট্রিজ করে বাংলাদেশ ব্রিটেন ও ইউরোপের বাজার ধরতে পারে। কিন্তু সেই পরিকল্পনা গুলো কে দেবে ? ভোটের হিসাব নিকাশে রাজনৈতিক দলগুলো কি এই সব সম্ভাবনার কথা গুলো বিবেচনায় আনবে ?

পর্যটন শিল্পের কথা অগনিত অসংখ্যবার বলা হয়েছে। সবাই শুধু বিদেশী পর্যটকদের কথা বলেন , কিন্তু পাঁচ লাখ ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালি আছেন যারা শুধু মাত্র অবকাঠামোগত কারনে নিজের দেশে হলিডে করতে আসেননা।অনেকক্ষেত্রে দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বাঙালিরা জানেই না তাদের দেশটা এত সুন্দর! নিরুপায় হয়ে সেই পয়সা তারা খরচ করেন দুবাই , সিঙাপুর ,থাইল্যান্ড কিংবা ইউরোপের দেশ গুলোতে। লন্ডনে অবস্থিত ইউরোপের দেশগুলোর ভিসা অফিসে গেলে মনে হবে আপনি কোন অত্যাধুনিক টুরিষ্ট ইনফরমেশন সেন্টারে ঢুকেছেন, আর বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে গেলে মনে হবে কোন অন্ধকার ভূতুরে বাড়ীতে ঢুকলাম। দুই একটা রং উঠে যাওয়া স্মৃতি সৌধের ছবি ছাড়া হাই কমিশনে কিছু নেই। অন্যান্য প্রবাসী দূতাবাস গুলোরও নিশ্চই একই অবস্থা ।

প্রত্যেক বিমানের টিকেট গুলোর পেছনে বাধ্যতামূলক প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি সংযুক্ত করে একটা টুরিষ্ট ইনফরমেশন লিফলেট ধরিয়ে দেয়া যেতে পারে সব যাত্রীদের। প্রবাসী ট্রাভেল এজেন্টগুলো নিজস্ব উদ্যোগে এই কাজটা করতে পারে। ঢাকায় বিমান অবতরণের সময় সব দেশের বিমান সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিডিও ডকুমেন্টারী প্রচার করতে একটা নিয়ম চালু করা যেতে পারে। বাংলাদেশে অবস্থিত সকল অভিজাত হোটেল গুলোতে বাধ্যতামূলক বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি এবং পর্যাপ্ত তথ্য সরবরাহ করার সুবিধা থাকতে হবে। প্রযুক্তির এই যুগে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো এখন প্রচারিত হয় বিশ্বজুড়ে। এই টেলিভিশন চ্যানেল গুলোও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবানা ও প্রাকৃতিক নির্দশণগুলো তুলে ধরে তরুন প্রজন্মের প্রবাসীদের আকৃষ্ট করতে পারে।

আগামী নতুন বছরে বিদেশে পড়তে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য একটা ভয়ংকর নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের পড়তে আসতে হলে টিউশন ফি’র পুরো টাকা অগ্রীম দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষকে। বাংলাদেশের মতো দেশের শিক্ষাথীদের পক্ষে এক সাথে ৮-১০ লাখ টাকা ব্যয় করে পড়তে আসা অনেকটা অসম্ভব ব্যপার হয়ে দাঁড়াবে। বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার জন্য সরকারের মহল থেকে অনুরোধ জানানো যেতে পারে, অন্যদিকে ব্যংকগুলো মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে। অন্যথায় নিকট ভবিষ্যতে স্বপ্নের দেশ বিলেতে আসাও বন্ধ হবে।


মন্তব্য

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

চমৎকার লেখা। চিন্তা ভাবনা আলাপ আলোচনার অনেক খোরাক আছে। দুঃখের বিষয় এই যে যাদের এই লেখা পড়াটা বেশী প্রয়োজন, তারা জীবনেও এইসব পড়ে দেখবে না।
------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

শেষ প্যারাগ্রাফটা কিন্তু অনেক চিন্তার বিষয়। এমন নিয়ম চালু করা তো এদের জন্যেই ক্ষতিকর। এখানের অনেক ইউনিভার্সিটি আর কলেজ চলতেছে বিদেশী স্টুডেন্টদের বেতনের টাকায়, নাইলে ওদের বাজ়েট কোনভাবেই ব্যালেন্স হয় না। এই সত্যটা ওরা নিজেরাও জানে - যে ফরেন স্টুডেন্টদের বেশী চিপড়ানি দিলে হিতে বিপরীত হবে। তাই এইরকম নিয়ম বেশ বড় বোকামি হবে। কোন লিংক থাকলে দিয়েন প্লীজ।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

থার্ড আই এর ছবি

অর্থনৈতিক মন্দাটা স্টুডেন্টদের ঘাড়েও চাপাতে চায় মনে হচ্ছে। এর প্রতিবাদে স্টুডেন্টরা অবশ্য একটা ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। অন লাইন ও ম্যানুয়াল পিটিশন মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার স্বাক্ষর জমা পড়েছে। স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রীটে।

---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

জিজ্ঞাসু এর ছবি

বিদেশী পার্সপোর্টধারীদের জন্য ঢাকা ও সিলেট বিমান বন্দরে সাদা অথবা কালো চামড়ার কোন ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ দেয়া হোক

বাঁদর সোজা করার ভাল প্রেসক্রিপশন।
সুন্দর লেখা। চলুক

___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে

zakir hussain এর ছবি

excellent writting tanvir vai.

শান্ত [অতিথি] এর ছবি

সুন্দর লেখা। যাদের পড়া দরকার তারাতো জীবনেও এইগুলো পড়বে না।

পুতুল এর ছবি

অপনার প্রায় সব কথাই সত্য। প্রবাশীরা অনেক কষ্ট করে, দেশে টাকা পাঠায়। যাওয়া আসার সময় বিমান বন্দরে অযথা হয়রানির শিকার হয়।
কিন্তু যে সব প্রবাশীরা নির্বচনে প্রার্থী হয়ে দেশে গেছেন, তাদের দেশে বিদেশে কোন কষ্ট বা অসুবিধা আছে সেটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
অতিরিক্ত সাফল্যের ফলে, এখন রাজনীতিতে একটু ডু মেরে আসা, এই যা। এ ভাবে সত্যিকারের রাজনীতি হয় না। সারা বছর বিদেশে বিলাস বহূল জীবন যাপন করে এখন নির্বাচনে অংশ নিতে দেশে যাওয়া একটা বিলাসিতা।
দেশের মঙ্গল বা উন্নতি করতে চাইলে সেটা কেবল ইলেকশন দিয়ে করা যায় এমনটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

থার্ড আই এর ছবি

প্রবাসী প্রার্খী দিয়েই প্রবাসের সমস্যা সমাধাণ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। প্রবাসীদের সমস্যাগুলো বিবেচনায় এনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার মতো কোন আলামত তো সরকারের মহলে দেখিনা। তাই নির্বাচনে প্রবাসী প্রতিনিধিত্ব একটা মাধ্যম বটে।

প্রবাসী কল্যান মন্ত্রনালয় বলে একটা মন্ত্রনালয় আছে যাদের কোন কর্মকান্ড আছে বলে মনে হয়না। আর দেশের মঙ্গল ইলেকশন দিয়ে করতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে প্রবাসী প্রতিনিধীর প্রয়োজন আছে বৈকি।
তবে, প্রবাস থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যাদের মনোনয়ন দেন সেগুলো মনোনয়ন বানিজ্যের জন্যই দেয়া হয় তাই প্রবাসীদের বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনা হয় না।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সুবিনয় মুস্তফী | বুধ, ২০০৮-১২-২৪ ১৭:৩৭
চমৎকার লেখা। চিন্তা ভাবনা আলাপ আলোচনার অনেক খোরাক আছে। দুঃখের বিষয় এই যে যাদের এই লেখা পড়াটা বেশী প্রয়োজন, তারা জীবনেও এইসব পড়ে দেখবে না।

তানভীর এর ছবি

এক শ্রেণীর প্রবাসী আছেন যারা বিদেশে থেকে কিছু অর্থ কড়ি কামিয়েছেন, তাদের অনেকের মধ্যে একটা সমস্য লক্ষ্য করা যায়, ঢাকা বিমান বন্দরে নেমেই তিনি নিজেকে ফিল্মের হিরো মনে করেন, অথবা লাল পাসপোর্ট হাতে নিয়ে সবুজ পাসপোর্ট ওয়ালাদের তুচ্ছ জ্ঞান করেন।

এটার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী বলা যায় বা আমাদের দাসত্ব মনোবৃত্তি। আমেরিকায় এয়ারপোর্টে ঢুকলে দেখি আমেরিকান পাসপোর্টধারীদের আলাদা লাইন, তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয় আর আমাদের মত সবুজ পাসপোর্টওয়ালাদের আকামে দাঁড় করিয়ে রাখে। একই জিনিস তো আমাদের দেশের বিমানবন্দরেও হওয়া উচিত ছিল- যে সবুজ পাসপোর্টধারীদের আলাদা লাইন থাকবে, তারা বিদেশী পাসপোর্টধারীদের তুলনায় অগ্রাধিকার পাবে এবং বিদেশী পাসপোর্টধারীরা আমাদের সবুজ পাসপোর্টের কথা চিন্তা করে একটু হলেও হা-হুতাশ করবে (আমরা যেমন বিদেশী এয়ারপোর্টে সিটিজেনদের লাইন এর দিকে তাকায়ে করি খাইছে)। কিন্তু আমাদের দেশে সবই উলটো। এখানে বিদেশী পাসপোর্টধারীদের সাথে হুজুর হুজুর করা হয় আর দেশের লোকদের সাথে করা হয় ক্রিমিনালের মত আচরণ (বিশেষ করে আপনি যদি মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিক হন)। ওই লাল পাসপোর্টধারী বঙ্গসন্তানদের দোষ দিয়ে আর কী হবে!

থার্ড আই এর ছবি

কিন্তু আমাদের দেশে সবই উলটো। এখানে বিদেশী পাসপোর্টধারীদের সাথে হুজুর হুজুর করা হয় আর দেশের লোকদের সাথে করা হয় ক্রিমিনালের মত আচরণ

ভালো বলেছেন। হুজুর হুজুর না করলে যে খয়রাত বন্ধ হয়ে যাবে ! আর তাহাদের পূর্ব পূরুষরা ক্রিমিনালগিরী করে সমস্ত অর্থ সম্পদ লুট করেছে বলেই এখনকার ব্রিটিশ আম্রেরিকান প্রজন্ম এত সুখে লাল পাসপোর্ট নিয়া গর্ব করে।
আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম হয়তো একদিন সবুজ পাসপোর্ট নিয়া গর্ব করবে। কিন্তু সেই সুদিন যে কবে আসবে সেইটাই বুঝতে পারতাছিনা !

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।