পিচ্চিপোস্ট ৩ঃ বর্ধমান
আপনি জানেন কি, মোটামুটি ৪১০ বছর আগে সুবা বাংলার বর্ধমানে বাদশা জাহাঙ্গীরের দুধভাই কুতুবুদ্দিন মেহেরুন্নিসার তৎকালীন স্বামী আলি কুলিকে তরবারি বাগিয়ে ইন্নালিল্লা করে দেন। চক্ষে অন্ধকার দেখা অসহায় বিধবা মেহেরুন্নিসা বাংলা ছেড়ে গিয়ে উঠেন জাহাঙ্গীরের আগ্রার জেনানামহলে। তার চার বছর পরে লাইনে থাকা সকল ছুঁড়িকে টপকে জাহাঙ্গীরকে শাদী করে মেহেরুন্নিসা হয়ে উঠেন নূর জাহান। দুনিয়ার আলো।
অতএব আর দেরি কেন। আজই ঘুরে আসুন নূর জাহানের স্মৃতিবিজড়িত বর্ধমান।
19/12/2017 - 11:42অপরাহ্ন
মহাবীরের পন্থাকে শাস্ত্র নাস্তিকপন্থা হিসেবে চিহ্নিত করে। আড়াই হাজার বছর আগে, তিনি তাঁর পথপরিক্রমায় আস্তিকগ্রামে কিছুদিন ছিলেন। স্থানের নামের সাথে অস্তি-নাস্তি’র কোন সম্পর্ক নেই, সে স্থানের বয়স তখনই দেড় হাজার বছরের মতো। মহাবীরের একটা উপাধি হচ্ছে ‘বর্ধমান স্বামী’। সেই থেকে আস্তিকগ্রামের সম্মানিত নাম হলো ‘বর্ধমান’। মুঘলদের চতুর্থ সম্রাট যে একটা অপদার্থ ছিল সেটা সবাই জানেন। তার একটা প্রিয় বিষয় ছিল স্থানের পুনঃনামকরণ। সে জায়গাটার নাম দিলো বাধ-ই-দিওয়ান। লোকে তার থোড়াই পরওয়া করলো। বর্ধমান নামই টিকে গেল। ক্ষত্রিয় সংগ্রাম রাই পাঞ্জাব থেকে এসে বর্ধমান রাজ প্রতিষ্ঠা করেছিল। সে নিজে এবং তার বংশধরেরা বড়ই রাজভক্ত ছিল। যথাক্রমে মুঘল ও ব্রিটিশ দুই প্রভুর নিমকহালালী করে গেছে আজীবন, এমনকি ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও। স্বাধীন দেশে এদের কোন দরকার ছিল না। তাই ১৯৫৬ সালে পণ্ডিতজী এই আগাছা উচ্ছেদ করেন।
@হিমু ভাই, অবশ্যই। কুতুবুদ্দিন কোকার পুরা নামে সিদ্দিকি কেবল বলিয়াদির জিনিওলজি ছাড়া কোথাও দেখা যায়না অবশ্য, দুষ্ট ঐতিহাসিকেরা কুতুবুদ্দিন খাঁ কোকা লিখেই খালাস। তবু জাহাঙ্গীরের দুধব্রো কোকার নামে সিদ্দিকি অবশ্যই ছিল, তিনিই নিঃসন্দেহে বলিয়াদির পূর্বপুরুষ।