জেনেসিস ১১-২৫

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ২২/০৬/২০০৭ - ৩:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১১.

তারপর ড্রিলের চিপায় ওপাশে পৌছে বিড়ি ধরাই কাগজ আর মিশ্র তামাক পোঁড়া ধূপে অনিয়মিত ধুনট নাট-বলটু নেড়ে গাণিতিক ভূগোল তাঁতিয়ে তোলে আর তাতেই রেঁধে খাই বরাবর হাঁস,ট্রানসপারেন্ট মৌচাক খল খল করে হেসে ওঠে সরিষার দূর্দশা দেখে,চেখে দেখি আপত্য সংশয় শীর্ষাসন জটিলতায়

১২.

উত্তাপেই গলে এসেছে আজতক সবকিছু, পিছু নেয়া এক ধরনের উত্তাপ যার রিলেটিভ সারপ্লাস ভ্যালু নির্ণয়ে ইন্টিগ্র্যাল ক্যালকুলাসের মাগারমাছ হট্টমুলার ম্যাংগ্রোভে বুবকা-নিরোধ হয়ে ঝুলে থাকে , ফুলে থাকে উত্তুঙ্গ সমাবেশ ভালোবেসে , দেশে দেশে শুভনাম জপে,চপে অদক্ষ আলুর ডিসকোর্স পিষে মারে,ঝাড়ে বংশে ঝাড়ি-পট্টি রগড়ে দেয় হরিহর নামাবলীতে

১৩.

ডাইভ দিতে গিয়ে সরে যাচ্ছি সরে যাচ্ছে সবকিছু,প্রতিসরাঙ্কের হিজিবিজি,সিঁড়ি ভাঙ্গা রানআপের চক্রমণ,ফরমায়েসী ডুব সাঁতারের কড়ি-বরগায় ব্যাক ভলি-পোলভোলট,ভোলটার বিদ্যুৎকোষের গূঢ় সত্য ফুচকি মারে সদানন্দ নকশবন্দী বিভ্রমে,কোরাসে জোয়ারি চরস,সরস মুচড়ে সটান

১৪.

মেরুদন্ডের হালকা ব্যায়াম আলাদা মখলুকাতের হেফাজত করে,জেয়াফত তদারকারী ভরকেন্দ্র গুবড়ে পোকাদের সাথে ভাঁপা পিঠা হয়ে ছোঁয়াছুয়ি খেলে,জীবন্ত প্রবীণ তেলে দিনের প্রথম কিস্তি আলুপুরি চালান করে তালপাতার পাখার ডাঁটে পিঠ চুলকে নেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব,একঠেলায় দশটি আনকোরা ঘামাচি হত্যার অরগ্যাজম জ্বলে ওঠে চোখে

১৫.

মুলা,সিদ্ধ ডিম কিংবা বুটের ডালের মেটাফিজিক্স ঠাসাঠাসি মিনিবাসে ক্ষণিকের স্বস্তি এনে দেয়,কেলাসিত ভ্রামক উদ্বায়নসূত্র খুঁজে পায় ক্ষণিকের কোলাব্যাং টোটেম,হার্ডব্রেকে পুনরায় মাখামাখি,রাখীবন্ধনের বরাত দিয়ে চাখাচাখির শাপ চটকে যায় একাধিক অনিয়মিত কারকে,বিভক্তি চেয়ে থাকে লবণপানিতে

১৬.

তারপর কাঁচামরিচই এগিয়ে নিয়ে যাবে ইতিহাস,একটু কেশে চিলমচী গান্ধা করে নিলেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব, খয়েরের অধ:ক্ষেপের মাঝে অনিয়মিত সুপারির রকি মাউন্টেন হাই তুলে একটু মুচড়ে নেওয়া, একটু পরেই হানা দেবে বেকুব চ্যাংড়া পোলাপানের গুষ্টি যাদের জীবনে কৃত্রিম ঘনদুধ ইতিমধ্যে সমাধান ছাড়িয়ে বহুদুর

১৭.

ফিউজের চারপাশে উঁই পোকারা ছ্যাঁক পোয়ায়,এক জোড়া প্যাঁকে নড়ে উঠে থেমে যায় খোঁয়াড়ের হাঁস,সদ্য সারদা ফেরত ছানা মিয়া চুক চুক করে ব্লু ক্রস চাখে,একটু বাড়তি চিনি তবুও জবাব নাই আমার দাদায়ও খাইছে,মোটা কাঁচিতে বোর্ড পেপার কাটার স্কেলে ঢেঁকুর তুলে একটু মুচড়ে নেয় নবজাত ঠোলা

১৮.

ছররা গুলির মতো হাঁচিকণা থেকে চিটচিটে গামছায় পানের খিলিগুলোকে বাঁচিয়ে নস্যি এগিয়ে দিয়ে হাঁফ ছাড়েন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব, যাক দুপুর টাইমে কারো নজরে পড়ে নাই, আইজকাইল পাবলিকে হুদাই চিল্লায় , আমাগো সময়ে সোজা চিল্লায় যাইতো তারপর মাজায় ব্যাথা লইয়া ফিরতো এই বলে কায়দা করে মটকা মারতেই মাজা মটমট করে উঠলো, শেকড় নড়ে উঠছে

১৯.

উইপোকার সাথে আরও খানিক খাটক নৃত্য চালিয়ে বাত্তি নিভিয়ে ভোগলু হয়ে বসে বিড়ি ধরাতে গিয়ে থেমে গেলেও হাঁচি আর বসে থাকতে রাজি হলো না,টানেল ভিশন এড়িয়ে হাইপারবোলিক পোলভোলট উৎসে ফিরে এল যথারীতি,সংগঠিত হতে দিলেই শালারা খালি রিপিটেশান খোঁজে,জোনাকি ঝোঁপের বংশ নাশের চেষ্টায় অনিয়মিত হাঁচিই পরমার্থ

২০.

হামাগুড়ি বাস্তবতার অনিয়মিত হামান দিস্তা বাঁচিয়ে জরু-গরু আঁচিয়ে খাওয়া,হাওয়া থেকে নিচু হয়ে দাওয়ার ক্ষেত্রফল পলপল ইয়াদ রেখে সর্বাত্মক রক অ্যান্ড রোল,খোল-করতালের জ্যামিং অষ্টাবক্র মুণির বড় প্রিয় ছিল - সেই সাথে হার্ডকোর কেত্তন,রেডিও জিগজ্যাগ বিষমপদী খালে হুভারক্রাফট হবার পথে একটু ভেবে গুড় গুড় করে ঝোঁকে উদ্বায়ূ সমানুপাতে

২১.

বাদামের বদলে কাঁচা মটরশুঁটি চিবিয়ে বাঁশের মাচায় আরেকটু মুচড়ে আধখাওয়া তরমুজের অসমাপ্ত মেটাবলিজম বুঝে নেওয়া, ব্রততীপরিপাকে শাকপাতার সারৎসার - ঘাড় থেকে আড়াআড়ি ঝাড়ি-পট্টি চেছেপুছে পুরনো লুঙ্গীতে ধূসর মানচিত্র, স্কেল মেপে সুনসান চেপে যেতে ষাষ্টাঙ্গ

২২.

ঝাড়ুতে লেগে থাকা শেষ ধূলোটুকু সাদা মেঘের স্মৃতি জমা করে পড়ে থাকে উলটা উঠানে,অন্তর্মুখী হাই তুলে চাঁদিতে হাল্কা কল্কি তাঁতিয়ে নেন ওয়াহিদুর রহমান ইউসুফ জাই সাহেব,মোটামুটি বিভ্রম বরাবরই চালু থাকে নাকের ডিবিতে প্রায়-নিয়মিত ঘামাচি হয়ে, রয়ে সয়ে চলে যায় বিচুর্ণিভবন

২৩.

আলাপে বড় হতে থাকা কৃষ্ণ-গহবর থেকে আৎখা ঘূণ ঝরে পড়ে ভ্রাম্যমাণ বিড়ালের আগমণে,কড়ি-বরগা বদলানোর মতো ভাংতি জমছেনা কিছুতেই,ধ্বসে পড়বে যেকোনদিন হাতের নাগালে নিচুতে,আশু অসমাপ্ত তেহাইয়ের আতঙ্কে সমগুলো সতর্ক দৃষ্টি রাখে প্রতিটি ফাঁকে,নিটোল আবর্তনে ভরসা নেই

২৪.

আলগা পাত্তি আর চিত্তঘনক মারতে মারতে জেগে ওঠে আশে পাশে প্রকৃতি বিরোধী পর্বতমালা,ভ্রু কুঁচকে তাকায় মুনকির-নকির,মিসকিন দু-দন্ড জিরিয়ে নেয় পাদদেশে,তাদের থুতু আর কফে ঋদ্ধি আসে উত্তর-পার্থিব গতরে,পাঞ্জাবীর ভোগলা ফুঁড়ে আসা রোদে পুরাতন তেলে এলডোরাডো

২৫.

আধখাওয়া পুরোনো শনপাপড়ি মেঘ কালচে হয়ে এলে ঝাঝড়ি পলিথিনের পুরনো বিকল্পে খুশী হতে হয় প্রাকৃতিক নিরোধের গুরুচন্ডালী মুখে ধূপ-ধুনো দিয়ে কারণ কুনো আর গেছো ব্যাং এর সহাবস্থান অবলোকনের পুরনো জম্পেশ তড়িকাগুলো আগের মতো চাইলেই আধভেজা বারুদের মতো বিশেষায়িত দক্ষতায় ফুস করে ওঠে না


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

পড়ি আর মাথা চুলকাই!

------ooo0------
বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ...


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সুমন চৌধুরী এর ছবি

খাইছে!
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।