সাত লক্ষ তারার শেষটিতে

তারানা_শব্দ এর ছবি
লিখেছেন তারানা_শব্দ [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৫/১২/২০০৯ - ১০:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যারা সারাক্ষণ মহানন্দে থাকেন, যাদের লাইফে বোরিংনেস বলে কিছু নাই, তাদের আনন্দ-উল্লাস মাটিতে নামায় আনতে আমার এই লেখা!!নিজ দায়িত্বে পড়ুন, বোরিং ফিল করুন এবং অন্যকে বোরিং ফিল করতে উৎসাহ দিন !! দেঁতো হাসি

এই লেখার শানে নুযূল হচ্ছে আমার ফাইনাল এক্সাম! এক্সাম শুরু হলেই আমি যেই সব বই খাতা নিয়ে পড়তে বসি ঐগুলা লেখালেখি, কবিতা ইত্যাদিতে ভরে যায়! তাই আমার আর পড়াশুনা হয় না! ক্যাম্নে হবে? খাতায় লেখার জায়গা থাকলে তো?? কাল থেকে ফাইনাল শুরু! সবাই দোয়া করবেন!

আসুন, আমরা মূল লেখায় ফিরে যাই!

( কথোপকথন শুরু হয় মেয়েটিকে দিয়ে আর শেষ হয় ছেলেটিকে দিয়ে!)

- তো তুমি কী যেন বলছিলে সেদিন?

- সাত লক্ষ তারার শেষটিতে উত্তর লেখা আছে!

- আমি ছয় লক্ষ ন’হাজার নয়শ সাতানব্বই এ এসে ঠেকেছি!

- এতো দূর?

- হু !

- চোখ জ্বলেনি ?

- জ্বলেছে!

- কেনো খুঁজেছো তাহলে? অন্ধ হয়ে গেলে?

- কেনো? মানুষ প্রেমে অন্ধ হয় না বুঝি ?

- অন্ধের আবার প্রেম!

- তুচ্ছ লাগে খুব, নাহ ?

- তাই বলেছি নাকি?

- তবে খুব যে মুখ বাঁকালে? অন্ধকে তিরস্কার করলে?

- ওটা প্রায়শ্চিত্ত, তিরস্কার নয়!

- প্রেমের আবার প্রায়শ্চিত্ত, কী?

- আছে, তুমি বুঝবে না অবুঝ বালিকা!

- চাই ও না বুঝতে!শুধু উত্তর চাই!

- বললাম তো, সাত লক্ষ তারার শেষটিতে !

- উফ! তোমার বলে দিলে কী হয়?

- আমি জানলে তো বলবো?

- ইশ!মিথ্যে কথা!আর মোটে তিনটা তারা দেখা বাকি!

- কোন তিনটা? শুনি নামগুলো?

- ইশ!শখ কত!

- বলো না, প্লিয!!!

- ঐ দিন আমি ও প্লিয বলেছিলাম!

- উমম...

- শুধু কী তাই ?তুমি এতো নিষ্ঠুর!হাত বাড়িয়ে দিলে, চোখের জল মুছাতে, তবুও উত্তরটা দিলে না!!

- বাড়িয়েছিলাম ঠিকই, ছুঁতে তো আর পারলাম না!

- উত্তরটা তো দিতে পারতে!

- দিয়েছি তো, সাত লক্ষ তারার শেষটিতে!

- ওটা উত্তর নয়!!!!!!!!!

- তবে ওটা কী?

- ওটা!ওটা......ওটা আমাকে দেওয়া কষ্ট!যেই কষ্ট আমি ছয় লক্ষ ন’হাজার নয়শ সাতানব্বই বার পার করেছি!

- আর মোটে তিনটি, লক্ষীটি!

- আর পারবো না, ভয় লাগে!

- কিসের ভয় বোকা মেয়ে! আমি আছি না ?

- এখানে থাকলে হবে? ঐ তিনটের একটায় থাকতে হবে!

- তো খুঁজে দেখো না, আর একটু কষ্ট করো, পাবে!

- সত্যি ??

- হু! আরে, কী হলো? মুখ কালো যে?

- এটাতেও নেই!

- নেই???

- উ!!আর সাহস নেই! আমি আর খুঁজতে পারবো না!

- আর দু’টো, লক্ষী মেয়ে!ভয় পায় না!আমি আছি তো!

- ছাই আছো!এখানে থাকলে হবে? আর মোটে দু’টো!!!

- তাড়াতাড়ি দেখো!আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে!প্লিয, তাড়াতাড়ি করো! আর অপেক্ষা সইছে না!

- নাহ!ভয় লাগে!

- কিসের ভয় !!!!! খোঁজ বলছি !!!!! তোমাকে খুঁজতেই হবে!!!! এক্ষুণি খোঁজ!

- ধমক দিচ্ছ কেনো? খুঁজবো না আমি! যাও! চলে যাও তুমি!

- আচ্ছা! ভুল হয়ে গেছে!লক্ষীসোনা আমার, খুঁজ!

- নাহ! এমন কেনো হয় ?

- কী হলো? এটাতেও নেই?

- নাহ!নেই! নেই তো নেইইই!!আমি......

- আচ্ছা আসো, শেষ তারাটা আমরা দু’জন মিলে খুঁজি ?

শেষ তারাটি দেখার আগেই স্বর্গের ওপারে দরজায় দাঁড়িয়ে মেয়েটি আকুল হয়ে কাঁদতে থাকে!চোখের জলে স্বর্গের দরজা থেকে ছেলেটির দূরত্ব মেয়েটির কাছে আরো ঝাপ্সা হয়ে যায়!দূরত্ব যেন বাড়তেই থাকে! ভয়ে-আতঙ্কে মেয়েটি তির তির করে কাঁপতে থাকে! ছেঁড়ে চলে যাওয়ার ভয়, একা হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক!

এই সাত লক্ষ তারার শেষ তারাটিতে লেখা ছিল ছেলেটির স্বর্গে প্রবেশের শেষ সিদ্ধান্ত!


মন্তব্য

রিফা [অতিথি] এর ছবি

আমার তো মোটেও বোরিং লাগে নাই । বরং ভালো লেগেছে ।

কি করবো ?

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

আমার আর পড়াশুনা হয় না! ক্যাম্নে হবে? খাতায় লেখার জায়গা থাকলে তো?? -
এই লাইনে সহমত চোখ টিপি
আর গল্প? পড়তে বেশ ভাল্লাগ্লো আপু চলুক

-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভালো লাগলো লেখাটা। নতুন একজন ভালো লেখিকা পাচ্ছি আমরা, বোঝা যাচ্ছে। আপনার লেখা দেখে মনে হচ্ছে প্রাথমিক জড়তা আর অপরিচিতি কাটাচ্ছেন লেখাগুলো দিয়ে। অপেক্ষায় রইলাম।

তারানা_শব্দ এর ছবি

ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাইয়া! ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্যে!!
আগের লেখাটিতেও অনেক ভুল ধরে দিয়েছেন!! ওইটার ধন্যাপাতাও এই খানেই নেন!!

দেঁতো হাসি

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

রাহিন হায়দার এর ছবি

ভালো লাগলো। ডিস্ক্লেইমার না দিলেও চলত। লিখতে থাকুন।

________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

লীন এর ছবি

ভালো লাগছিলো, তবে শেষ করতে পারলাম না। আসলেই একটু বোরিং হয়ে গিয়েছে। লিখতে থাকুন তারাবাণু।

______________________________________
লীনলিপি

______________________________________
লীন

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

লেখাটা অন্য ধাচের। তোর তো দেখি পোতিভার শেষ নাইরে ...
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

তিথীডোর এর ছবি

বড়-ই লুমান্টিক লেখা দেখি! বোরড হইনি, উদাস হয়ে গেসি! চোখ টিপি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।