পরিচয়

তাওসিফ সালাম এর ছবি
লিখেছেন তাওসিফ সালাম [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৮/২০০৮ - ৭:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার মাসখানেকের মধ্যে লক্ষ্য করা গেল, সেখানে নতুন কারও সাথে পরিচয় হওয়ার পর নাম এবং আরও কয়েকটি খুটিনাটি প্রশ্ন করার পর যে প্রশ্নটি আমি করবই, তা হলো নতুন পরিচয় হওয়া ব্যাক্তি কোন স্কুলের ছাত্র। সমবয়সী, কাছাকাছি বয়সীরা তো আছেনই, কোন কোন স্যারকেও ক্লাসে আমার এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রশ্নের উত্তর যদি হয় গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, তখন মনে হয় আহ!, নিজের লোক পাওয়া গেল।

নিজের স্কুল নিয়ে কে না গর্ব করে। একটু শাঁসালো স্কুলে পড়লে এ ব্যাপারটা যেন একটূ বেশিই থাকে। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের চলতি নাম গভমেন্ট ল্যাব, বা শুধু ল্যাব। এখানে যারা পড়ছে এবং যারা এস,এস,সি পাশ করে গেছে, তাদের নাম ল্যাবরেটরিয়ান। আমি পদে পদে মানুষজনকে এই প্রশ্ন করে যাই, আর আমার ভাগ্যও ভালো যে পদে পদে আমি ল্যাবদের পেয়েও যাই। যেমন ধরা যাক আমার অ্যাকাউন্টিং ক্লাসের কথা। NSU-তে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের ইন্ট্রোডাক্টরি অ্যাকাউন্টিং ACT201 কোর্স করতেই হয়। সেই কোর্স করার সময় আমার ফ্যাকালটি ইন্সট্রাক্টার ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডঃ মাহফুযুল হক। ক্লাসে যাবার আগে একটা কানাঘুষা শোনা গিয়েছিল যে স্যার ল্যাবরেটরিয়ান। ক্লাসে স্যার কে জিজ্ঞেস করে জানা গেল তিনি ল্যাব'৮২ ব্যাচ। ক্লাসে ল্যাবের ছিলাম আমি আর সংগীত (সামিনুর ইসলাম, বর্তমানে ইংল্যান্ডে কুইন ম্যারি ইউনভার্সিটিতে অধ্যয়নরত)। স্যার যখন জানতে পারলেন আমরা ল্যাব'০৩ ব্যাচ, তখন নিজের চেয়ে ২১ বছরের ছোট এই গুট্টি দুটো ল্যাবকে দেখে তিনি হাসি চাপতে পারেননি। তার কাছ থেকে জানা গেল NSU-তে ল্যাব'৭২ ব্যাচের একজন আছেন যিনি ফিন্যান্সের প্রফেসর।

NSU-তে বেশকজন ফ্যাকালটি রয়েছেন যারা নিজে ল্যাব এবং আমরা নিজেদের পরিচয় দেয়ার পর তারা ক্লাসের মধ্যেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন। তাদের মাঝে একজন হলেন, ল্যাব'৯৩ মুহম্মদ রাশেদুল হাসান। স্যারকে ফেসবুক ল্যাব'৯৩ গ্রুপে তাঁর ব্যাচমেটদের ছবি দেখাবার তিনি কি করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেননা। আসলে সবাই এস.এস.সি, এইচ.এস.সি পাশ করার পর নিজেদের ক্যারিয়ার নিয়ে এত ব্যস্ত হয়ে পড়ে, যে খুব ক্লোসফ্রেন্ড ছাড়া বাকিদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখা হয়না। এতদিন পর সেই বন্ধুদের দেখার পর অনুভূতি অন্যরকম হওয়াই স্বাভাবিক। স্যার তখন আমাদের বললেন যে আমি তাকে এমন কয়েকজনের ছবি দেখিয়েছি, যাদের চেহারা তিনি সেই ১৯৯৩-এ পাশ করার পর এই প্রথম দেখলেন, অর্থাৎ পনেরো বছর পর দেখা। তার কাছ থেকে জানা যায়, আমাদের প্রিয় আশরাফুল হক স্যার, যার কাছে আমরা NSU-তে ইলেক্ট্রনিক্‌স-এর প্রথম কোর্সটি করেছিলাম, তিনিও একজন ল্যাবরেটরিয়ান, ল্যাব'৯২ ব্যাচ।

NSU-তে ল্যাবরেটরিয়ান স্যারদের প্রসংগে দেওয়ান রাহাত করিম-এর কথা শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করি। রাহাত করিম, NSU-র স্কুল অফ বিজনেসের ফ্যাকালটি ইন্সট্রাক্টার, গত বছর ২৭শে সেপ্টেম্বারে ক্লাস নিয়ে ধানমন্ডির বাসায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে প্রাণ হারান। দেওয়ান রাহাত করিম ছিলেন ল্যাব’৯০ ব্যাচ।

প্রত্যেকটি ল্যাবরেটরিয়ানের জন্য ল্যাব জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়। স্কুলের স্যার এবং বন্ধুরা, স্কুলের মাঠ আর একটু লায়েক হয়ে উঠলে স্কুল পালানো, এগুলো ল্যাবদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ল্যাবের বেশিরভাগ স্যারদের বাসাই সাধারণত ধানমন্ডি, গ্রিনরোড, সেন্ট্রালরোড, কলাবাগান এসব এলাকায় হয়ে থাকে। আর স্যারদের বাসায় পড়ার সূত্রে এই এলাকাগুলোও স্কুলস্মৃতির একেকটা অংশ জুড়ে থাকে। আমি ল্যাব থেকে পাশ করে বেরিয়েছি ২০০৩ সালে, অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে। এই এখনও আমি মাস খানেক পরপর স্কুলে যাই। পরিচিত স্যারদের সাথে দেখা না হলেও, দেখা হয় স্কুলের কর্মচারীদের সাথে, যাদের প্রত্যেকবার একই অভযোগ, “ভাই, আমাদের কথা তো ভুলে গেসো”। কিন্তু তারা একথা বুঝতে চায়না যে তাদের কথা ভোলা অসম্ভব। আরও আছে স্কুলগেটের সামনের বাদামঅলা, মুড়িঅলা আর আইসক্রিমঅলা। অবশ্য এদের কেউ কেউ মাঝে মাঝে বাসায় আসে, সেই সূত্রে এসের সাথে যোগাযোগ বজায় থাকে।

আমি তো পাশ করে বেরিয়েছি মাত্র পাঁচ বছর আগে। আরও অনেক সিনিয়ার আছেন যারা পাশ করে বেরিয়েছেন দশ পনেরো বছর আগে। কিন্তু চিন্তাচেতনায় ল্যাব রয়ে যায়। কেউ কেউ রিইউনিয়ন-এ সাহায্য করেন, কেউ নিয়মিত স্কুলে আসেন। এখনও প্রতি শুক্রবার বিকেলে স্কুলের বালুর কংক্রিটের মাঠে নিয়ম করে ফুটবল বা ক্রিকেট খেলা হয়। বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ল্যাব’৯৩-ল্যাব’৯৯ পর্যন্ত ভাইয়ারা, কিন্তু তার চেয়ে পুরনো বা নতুনরাও আছেন। কোন একটি ব্যাচের রিইউনিয়ন যেন শুধু অনুষ্ঠতই হয়েছিল ঢাকায়, কিন্তু পুরোটাই অর্গানাইজ করা হয়েছিল অ্যামেরিকা থেকে।

গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র হিসেবে ‘ল্যাবরেটরিয়ান’ নামটি একটি পরিচয়। ঐতো বললাম, এখন স্কুলে গেলে পুরোন কর্মচারী যাদের সাথে দেখা হয়, তাদের সবার কমন অভিযোগ, আমরা নাকি তাদের দিনকে দিন ভুলে যাচ্ছি। কিন্তু তাদের কি করে বোঝাই, ল্যাবের কোন কিছুই যে ভোলা সম্ভব না।


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একখান ভালো জিনিস মনে করেছেন
ইসকুল...

কিন্তু আমি পাশ করেছি একটা উদ্বাস্তু স্কুল থেকে
আমি নিশ্চিত জানি কেউ আমার জানাশোনার মধ্যে নেই
থাকার কথাও না

আমার হোমল্যান্ড হলো কলেজ
সিলেট এমসি কলেজ...

০২

আপনার লেখা প্রথম পড়লাম
সচলে অভিনন্দন

তানবীরা এর ছবি

দেশের বাইরে থাকার কারনে, বাস্তবে অনেক স্কুল মেটের চেহারা ভুলেই গেছি। ধন্যবাদ ইন্টারনেট, জিটক, ফেসবুক কে, বান্ধবীদের সাথে যোগাযোগটা তাও রয়ে গেছে।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

তাওসিফ সালাম এর ছবি

মাহবুব লীলেনকে-

নিজের স্কুলটা একটা প্রচন্ড সেন্টিমেন্টের ব্যাপার। যাদের বাবার বদলির চাকরির সূত্রে অনেক স্কুলে পড়ার অভিজ্ঞতা আছে, তাদের অনুভূতি এক্ষেত্রে কেমন তা বলতে পারছি না। কিন্তু যে স্কুলে আট দশ বছর কাটিয়ে দিয়েছি, চিন্তা চেতনায় তার কথা থেকেই যায়। এটা সবার, মানে সব স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের জন্য সত্যি। তবে আমি নিশ্চিত ল্যাবরেটরিয়ানদের কাছে গভমেন্ট ল্যাব ইস্যুটা একটু বেশীই স্পেশাল।

সচলায়তনে এটা আমার প্রথম লেখা। অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।

****

তানবীরাকে-

আসলে যেটা দেখা গিয়েছে, ল্যাবদের মাঝে যারা দেশের বাইরে আছেন তারা যেন খোঁজখবর বাকিদের চেয়ে একটু বেশীই রাখেন। খোঁজ করে দেখা যায়, ল্যাবরেটরিয়ানদের দেশের বাইরে গিয়ে পড়ালেখা করার প্রবণতা খুব বেশি এবং দেশের বাইরে গিয়েও তারা নিজেদের মাঝে ল্যাবরেটরিয়ান পরিচয়েই সংঘবদ্ধ থাকেন। এক্ষেত্রে ফেসবুক একাই বিশাল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আলমগীর এর ছবি

নিজের স্কুল নিয়ে কে না গর্ব করে। একটু শাঁসালো স্কুলে পড়লে এ ব্যাপারটা যেন একটূ বেশিই থাকে। গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের চলতি নাম গভমেন্ট ল্যাব, বা শুধু ল্যাব। এখানে যারা পড়ছে এবং যারা এস,এস,সি পাশ করে গেছে, তাদের নাম ল্যাবরেটরিয়ান। আমি পদে পদে মানুষজনকে এই প্রশ্ন করে যাই, আর আমার ভাগ্যও ভালো যে পদে পদে আমি ল্যাবদের পেয়েও যাই।

ভালো না। বলার অপেক্ষা রাখে না, একই ভাবে আপনি NSU এর গর্বেও হয়ত গর্বিত হবেন, এবং সামাজিক মিলনে NSU এর ছাড়া কারো সাথে কথা বলবেন না।

প্রথম পোস্ট হিসাবে কেবল স্মৃতিচারণ হলেই ভাল হতো।

তাওসিফ সালাম এর ছবি

চার পাঁচ বছর কাটানো প্রতিষ্ঠানের স্মৃতি কখনওই দশ বছর কাটানো প্রতিষ্ঠানের স্মৃতিকে ছাপিয়ে মূখ্য হতে পারেনা, অন্তত হওয়াটা স্বাভাবিক নয়। পোস্টটির নীচে ক্যাডেটের একজন অন্যভাবে হলেও এই কথাটিই বুঝিয়েছেন।

আপনি বোধ হয় স্কুলের পরিচয়, NSU-র পরিচয় ইত্যাদিকে কাল্ট-এর সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। অমুক প্রতিষ্ঠানের মানুষের সাথেই শুধু কথা বলব কিংবা তমুক প্রতিষ্ঠানের লোকজন ছাড়া আর কারও সাথে কথা বলবনা, এরূপ কিছু তো বল্গপোস্টের কোথাও লেখা হয়নি। তাহলে সামাজিক ভাবে পরিচয়ের মূখ্যতা গৌণতার প্রসঙ্গ আসছে কেন?

প্রথম ব্লগপোস্ট স্মৃতিচারণ হলে ভাল কি হত এবং না হওয়াতে মন্দ কি হয়েছে, সেটা বুঝিয়ে বললে উপকৃত হব।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

অভিনন্দন সচলে প্রথম লেখার জন্য
আসলেই এই ফেসবুকের জন্য আমিও আমার সেই ক্লাস ফাইভের অনেক বন্ধুদের দেখতে পেলাম ১৪ বছর পর, আর তখনের সেই আনন্দের ফিলিংসটা যে কিরকম তা বোঝানো যাবেনা।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

শামীম এর ছবি

আব্বার বদলীর চাকুরীর সুবাদে কয়েকটা স্কুলে পড়েছি। সবচেয়ে লম্বা হল ষষ্ঠ থেকে এস.এস.সি.। কিন্তু স্কুল বা কলেজ স্মৃতির খাতায় তেমন দোলা দেয় না। কারণ ছিল - খালি যাওয়া আসা আর পড়া। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি স্মৃতিময়: কারণ সেখানে যাওয়া-আসা-পড়া ছাড়াও থাকা হত। প্রথম একা ডর্মিটরিতে থাকা, বিভিন্ন রকম মানুষের সাথে সত্যিকার ভাবে কিছুটা মেশার অভিজ্ঞতা এখানেই। আমার স্মৃতির ঝুলিতে তাই স্কুল খুবই ধুসর, কলেজও বেশ ধুসর ....

বিদেশে যাওয়ার সময় প্রথম যে তালিমটা দেয়া হয় সেটা হল বাঙালিদের দলাদলি বিষয়ে সতর্কতা। আমরা এক হয়ে থাকা শিখিনি মনে হয় ... কখনো জেলা, কখনো স্কুল, কখনো রাজনৈতীক অপদার্থগুলোর সমর্থনে আমরা ইজম করেই চলি .... এজন্যই আমাদের দোযখে পাহারাদার লাগে না।

খুব সম্ভবত আমরা মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে বেড়ে উঠি না। প্রমাণ দেখি ক্রিকেটের মাঠে, আর আমাদের প্রাণপণে কোন না কোনো দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টায় .... ...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তাওসিফ সালাম এর ছবি

আলমগীরকে-

একটি নির্দিষ্ট বয়স পর থেকে একজনের জীবন সাধারণত আবর্তিত হয় তার পেশাকে ঘিরে। আর প্রফেশনাল লাইফে আপনার গ্র্যাজুয়েশান Alma Mater অবশ্যই অগ্রাধিকারের দাবিদার। কিন্তু আপনি যে অংশটুকু উদ্ধৃত করেছেন, তার শুরুতে আমি ‘শাঁসালো’ কথাটি উল্লেখ করেছি। এর মাধ্যমে আমি যা বোঝাতে চেয়েছি তা হল, একটু সর্বজনজ্ঞাত/পরিচিত স্কুলগুলোর স্টুডেন্টদের বেশিবভাগই তাদের স্কুলের নাম প্রকাশ করতে গর্ববোধ করবে। এটাই স্বাভাবিক। গর্বের প্রসঙ্গ থেকে সরে আসলেও যে স্কুলের পরিচয় অর্থহীন, তাও নয়। আপনি ফেসবুকে বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিভিন্ন ব্যাচের গ্রুপে লক্ষ্য করলে দেখবেন, দেশে বিদেশে বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত প্রাক্তনিরা তাদের পুরনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এই স্কুল বা কলেজেরই পরিচয়ে। প্রত্যেকের শৈশবের স্কুল তাদের কাছে এক আবেগজড়ানো ব্যাপার, একথা নিশ্চয়ই অস্বীকার করার উপায় নেই।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার ভবিষ্যৎ পোস্টগুলোতেও প্রয়োজনীয় মন্তব্যদানের আমন্ত্রণ রইল।

*****

মুশফিকা মুমুকে-

অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে পুরনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখতে ফেসবুক উল্লেখযোগ্য ভাবে সাহায্য করছে। বহুদিন যোগাযোগ না থাকা বন্ধুদের সাথে আবার দেখা হয়ে যাওয়াটাও ফেসবুকে ঘটে থাকে।

*****

শামীমকে-

আপনার মত যারা বাবার বদলির চাকরির সূত্রে অনেক স্কুলে পড়ার অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন, তাদের পক্ষে কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানের উপর মায়া না জাগাই স্বাভাবিক। কোন জায়গায় দীর্ঘদিন অবস্থান না করলে মায়া জন্মাবে কি করে?

নিজের স্কুলের উপর লেখা এই পোস্টটি পড়ে আপনার কেন দলাদলির কথা মনে হল তা আমি সত্যিই বুঝতে পারিনি। বিভিন্ন স্কুলের স্টুডেন্টদের মাঝে স্কুলের ভিন্নতাকে ইস্যু করে কোথাও কোন দলাদলি বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটেছে বলে আমি কখনও শুনিনি। এজন্যই হয়তোবা স্কুলের পরিচয়কে দলাদলির ক্যাটাগরিতে ফেলাটা আমার কিছুতেই যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে না। স্কুলের সূত্রে যেহেতু কোন গোষ্ঠী বিভাজনের কোন নজির নেই, তাই এই পোস্ট থেকে জাতি হিসেবে আমাদের এক না থাকার বৈশিষ্ট্যটির ব্যাখ্যা দেয়ার প্রশ্নও আসছেনা।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং আমার ভবিষ্যৎ পোস্টগুলোতেও প্রয়োজনীয় মন্তব্যদানের আমন্ত্রণ রইল।

শামীম এর ছবি

আমি দূঃখিত, আগের মন্তব্যটা মনে হয় একটু রূঢ় হয়ে গেছে। কিন্তু জানেনই তো ...

"ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়"

যা হোক আপনার বন্ধুদের দেখে ভালই লাগলো - বন্ধু পাওয়াটা যথেষ্ট ভালো একটা অভিজ্ঞতা। হাসি
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

তাওসিফ সালাম এর ছবি

আপনার মন্তব্যটি রূঢ় ছিলনা।

বরং মন্তব্যটি পড়ে মনে হয়েছে যে আপনার হয়তো এমন কোন অভিজ্ঞতা আছে যার ফলে, একজন ল্যাবরেটরিয়ানের স্কুলগর্বকে আপনার কাছে বাঙ্গালী জাতির অনৈক্যের এবং আত্মবিশ্বাসহীনতার চিহ্ন বলে মনে হয়েছে। সেরকম অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করতে পারেন।

ধন্যবাদ।

রায়হান আবীর এর ছবি

আমিও যেখানেই যাই ক্যাডেট খুঁজি। কামে দেয়। তবে ভার্সিটিরে ক্যাডেট কলেজের মতো ফিল করি না।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

তাওসিফ সালাম এর ছবি

রায়হান আবীর যা বললেন, আমি আমার পোস্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সাধারণ কথাটিই বোঝাতে চেয়েছি। এর মাঝে ইজম, অনৈক্য, আত্মবিশ্বাসের অভাব, এসব কোন ফাক দিয়ে ঢুকল কে জানে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।