ঘুম পাড়ানী গল্প সংকলন

উৎস এর ছবি
লিখেছেন উৎস (তারিখ: শনি, ০৭/০৭/২০০৭ - ১:৫৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় আমার নানা আর দাদার কাছ থেকে এ গল্পগুলো শুনেছি। এগুলো ঠিক লোককাহিনির মতো বড় নয়। আবার ঠাকুরমার ঝুলিতেও কোনদিন দেখিনি। বেশ কয়েকটা ঠাকুরমার ঝুলি আর একটা ঠাকুরদার ঝুলি ছিলো বাসায়। কিন্তু নানা আর দাদার মুখে শোনা হয়তো ৩০০/৪০০ শব্দের গল্পগুলো মূলত এলাকা ভিত্তিক, যেগুলো পাত্রপাত্রীরা রাজা-রানী না হয়ে, রাখাল, চোর, জমিদার, মাঝি ইত্যাদি। যেমন নানাবাড়ীতে যেগুলো শুনতাম, দাদাবাড়ীতে সেগুলো ছিলো না, সেখানে আবার আরেক রকম কাহিনী। অথচ নানাবাড়ী আর দাদা বাড়ীর দুরত্ব ৫০/৬০ মাইলের বেশী হবে না।

এগুলোর কি কোন সংকলন করা হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে সংকলন করা ভীষন জরুরী। গল্পগুলো সাহিত্যের বিবেচনায় মানোত্তীর্ন সম্ভবত নয়, কিন্তু ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে যাদুঘরে রাখার মতো। অনেকগুলোই খুব ছোট গল্প, ৫/১০ মিনিটেই বলা যায়।

সংরক্ষন করা যায় কিভাবে। আমার ধারনা আর ২০ বছর পরে এগুলোর তেমন কোন চিহ্নই থাকবে না। আপাতত এই আইডিয়া গুলো মাথায় আসলোঃ
১। শুরুতে এই ব্লগের আমরা যার যার কালেকশন খোলা হাতে লিখে জমা দিতে পারি। খোলা হাতে মানে গল্পটা যেমন ঠিক তেমন ভাবে, কোন আধুনিকীকরন, শব্দ পরিবর্তন না করে। যদি গল্পে "গু" শব্দটি থাকে তাহলে "গু" হিসেবেই রেখে দেব। এই অংশটুকু হবে এক্সপেরিমেন্ট। কারন স্রেফ জনা পঞ্চাশেক ব্লগারের কাছ থেকে সেরকম উল্লেখযোগ্য সংকলন করা সম্ভব না।
২। একটা পাইলট প্রজেক্ট হাতে নেয়া যায়। যেমন ৫জন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রকে হায়ার করবো আমরা। সেকেন্ড ইয়ার হলে ভালো হয়। একমাসের জন্য তাকে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দেয়া হবে (ধরা যাক ময়মনসিংহ)। সে সত্যিকার গ্রামে গিয়ে গল্পগুলো সংগ্রহ করবে (as is), ভালো হয় অডিও রেকর্ড করে আনতে পারলে। ধরা যাক শুরুতে একজনকে হাজার দশেক টাকা দিয়ে চেষ্টা করে দেখলাম, আদৌ সম্ভব কি না। আমাদের মধ্যে থেকে যারা ঢাকায় আছেন তাদের কাউকে সুপারভাইজর বানানো যায়।
৩। আরেকটা করা যেতে পারে গনিত অলিম্পিয়াড ধরনের কোন একটা প্রক্রিয়ার সাথে জড়িয়ে দেয়া। জাফর ইকবাল বা কায়কোবাদ স্যারকে অবশ্য কনভিন্স করতে হবে। অলিম্পিয়াডের সময় অভিভাবকদের কাছ থেকে গল্প গুলো সংগ্রহ করা যায়।
৪। পত্রিকাগুলোর সাহায্য চাওয়া যায়। একটা বিজ্ঞাপন দেয়া যায়, গল্প গুলো চিঠি লিখে পাঠানোর জন্য। ১০০ জনকে পুরষ্কার দেয়া যায়।

বিনে পয়সায় সম্ভব না। আমরা ফাইনান্স করার চেষ্টা করতে পারি। সচলয়াতন প্রজেক্ট হিসেবে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

খুবই চমৎকার একটা আইডিয়া।

বইয়ের পাতা বলে একটা ফীচার আছে সচলায়তনে, সেখানে এক এক করে গল্প জমা করা যেতে পারে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

উৎস এর ছবি

তাহলে একটা বইয়ের পাতা খুলে ফেলি। আমি প্রথম গল্পটা দিচ্ছি, কিন্তু বাকিদেরকেও কিছু কিছু দিতে হবে।

ইরতেজা এর ছবি

অনেক পরিকল্পনা করেছেন...আপডেট জানাবেন প্লিজ।

__________________________________
ত্রসরেণু অরণ্যে

_____________________________
টুইটার

তারেক এর ছবি

আওইডিয়াটা সুন্দর। আছি, কেজে তাজে লাগলে বইলেন।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালো প্রস্তাব।

ফারলিন এর ছবি

বইটা কই? ( পড়তাম একটু !)

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই প্রকল্পের কোনও আপডেট আছে কি?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক আমার জানা গল্পগুলো জমা করে দিতে চাই, আপডেট কই?

দেবদ্যুতি

সো এর ছবি

?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।