উড়ে যায়, দূরে যায়

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি
লিখেছেন মাহবুব ময়ূখ রিশাদ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ৩০/০১/২০১২ - ৩:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

#
প্রতিদিনের নিয়ম মেনেই বিচ্ছিরি শব্দে এলার্ম বেজে ওঠে। রাতুল প্রতিরাতে ভাবে শব্দ পরিবর্তন করে একটা গান লাগিয়ে রাখবে। সকালের শুরুটা সুন্দর কোনো সঙ্গীতের সুরে শুরু হবে। ক’দিন ধরেই খুব শুনছে লালনের গান ‘ তাল তমালের বনেতে’। এই গান দিয়ে দিন শুরু হলে মন্দ হতো না। অথচ দিনের আয়ু বাড়তে বাড়তে যখন অন্ধকারকে আপন করে নেয় তখন এই ইচ্ছের আয়ু শেষ হয়ে যায় টুপ করে।

চোখ খুলে চারপাশটা অন্ধকার দেখে সে। এলার্ম দেয়া সাতটায়। এতক্ষণে সূর্য উঠে যাওয়ার কথা। তার জানালার কাচ গলে পায়ের কাছে ছোট্ট করে সূর্য্যের আলো এসে ভিজিয়ে দেয় বিছানা। বিচ্ছুরিত আলো এলোমেলো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় ঘরের এদিক-সেদিক। কেমন যেন জমাট বাধা অন্ধকার। মনে হচ্ছে আলো এসে জমে গিয়ে অন্ধকার হয়ে আছে।

রাতুল কিছুই দেখতে পায় না। আজ ভুল করে আগে এলার্ম দিয়ে ফেলেছে ভেবে তীব্র বিরক্তি নিয়ে শুতে গেলে ফোন বেজে ওঠে। সে বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করে ফোনের শব্দ শুনছে কিন্তু ফোন দেখতে পারছে না।

এবার একটু ভয় পেয়ে যায় সে। ভয় পেয়ে চুপ করে বসে থাকে। ভেবে দেখতে চেষ্টা করে, কী কী হতে পারে?

প্রথম সম্ভাবনা হিসেবে সে একটি স্বপ্ন কিংবা দুঃস্বপ্নের কথা ভাবতে চেষ্টা করে। আবার সাথে সাথে এটাও মনে হয় তার জীবনটাই তো স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নের সমাহারে তৈরী। আর কতিদন হয়ে গেলে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বপ্ন দেখে না সে। আজ হঠাৎ করে কেন দেখবে?

সকালে কলেজে কুইজ পরীক্ষা আছে। এটা নিয়ে সে মোটেও ভীত না। পরীক্ষা ভালোই দেয় সে। সুতরাং পরীক্ষার কারণে চাপ অথবা চিন্তার কারণে এই মুহূর্তে কোনো বাজে স্বপ্ন দেখবে তার সম্ভাবনাও কম।

রুপাই কে সে খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেবে যে তাকে সে ভালোবাসে। বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছে আগুন দু পাশেই লেগেছে। সুতরাং এটা নিয়েও সে ভীত না। বাবা গতকাল আমেরিকা গিয়েছে ব্যবসার কাজে। কোনো কিছু নিয়ে ধমক খাবার সুযোগ নেই। মা নিশ্চয় মা’র ইয়াং বন্ধুটির সাথে ঘুরতে যাবে। শূন্য বাসা, ভরাট মন—এই পরিস্থিতিতে দুঃস্বপ্ন কেন?

আচমকা শিরদাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় রাতুলের। মনে পড়ে যায় কয়েকদিন আগে একটা উপন্যাস পড়েছিল। হোসে সারামাগোর “ব্লাইন্ডনেস”। ওখানে প্রথমে একজন গাড়ি চালাতে গিয়ে অন্ধ হয়ে যায়, তারপর ধীরে ধীরে সমস্ত জনপদ একটা অন্ধ নগরীতে পরিণত হয়। অন্ধ মানুষদের আলাদা করে রাখা হয়, সেখানে তৈরী হয় ঘাত-প্রতিঘাতে ভরা তাদের নতুন সামাজিক জীবন। ওর সাথে কী তবে তাই হচ্ছে?

সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারে না। হতে পারে। উপন্যাসে হতে পারলে জীবনে কেন হবে না? এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবতে চেষ্টা করে রাতুল। যদি সত্যি সে অন্ধ হয়ে থাকে এবং এটা যদি ছোঁয়াচে হয় তবে এটা কাউকে এখন-ই জানানো যাবে না। সরকার জানতে পারলে তাকে ধরে জেলখানার কয়েদিদের মতো কোথায় আটকে রাখবে। তাছাড়া বাবা নেই, মা নিশ্চয় এতক্ষণে বের হয়ে গেছে। মা’কে জানানোর কথা ভেবে হাতড়ে হাতড়ে ফোন খুঁজে বের করে সে। তখন মনে পড়ে কেউ একজন ফোন করেছিল তাকে। কিন্তু দেখতে পাচ্ছে না। রুপাই কী ফোন করেছে? ও কেমন আছে? ওর সাথেও কী এমন হচ্ছে? হাজারো প্রশ্ন ওর মাথায় ভিড় করতে থাকে। চিন্তার জ্যাম লেগে যায়। কিন্তু কোনো ট্রাফিক পুলিশ খুঁজে পায় না যে জ্যাম থেকে বের হওয়ার একটা রাস্তা দেখিয়ে দেবে।

মা’র নাম্বার ডায়াল করে সে। ওপাশে রিং হয়ে থেমে যায়। কেউ ধরে না। তারমানে মা এখন ইয়াং বন্ধুর সাথে ব্যস্ত। রুপাই এর নাম্বার মুখস্থ আছে। ওকে ফোন দিতে গিয়ে থেমে যায়। মনে হতে থাকে যদি ফোন দিতে গিয়ে এই অন্ধত্ব রুপাই এর কাছে চলে যায় যদি? এই কথাটা মনে আসা মাত্র বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করে মা’র কাছে অন্ধত্ব চলে যেতে পারে এমন কিছু তার মনে হয় নি। কেবল রুপাই এর ক্ষেত্রেই মনে হলো। দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এল। রুপাই তো আমার কেউ না, ভাবে রাতুল। কেউ না কারো জন্য এত অনুভূতি ধারণ করে রেখেছে সে? ভেবেই নিজে একবার অবাক, একবার খুশি, একবার কষ্ট পায়। অনুভূতির মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে হঠাৎ তৈরী হওয়া বাস্তবতা থেকে তাকে কিছুটা দূরে সরিয়ে দেয়।

তুমি কেমন মেয়ে পছন্দ করো? ক’দিন আগেই রুপাই ওর কাছে জানতে চেয়েছিল।

কিছু না ভেবেই রাতুল জবাব দিয়েছিল, যার গালের নিচে ছোট্ট কোনো তিল কাছে আসার আহবান জানায়।

রাতুলের ধারণা রুপাই লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিল। তব এই ব্যাপারে সে নিশ্চিত কিছু বলতে পারে না। কেননা, সে নিজেই মাটির দিকে তাকিয়ে ছিল,যদিও মাটিতে কোনো আয়না রাখা ছিল না যাতে রুপাই এর চেহারা দেখা যায় । এ কথাও সত্য রুপাই এর চেহারা দেখার জন্য রাতুলের আয়না কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। এখন এই আধাঁর হয়ে থাকা পরিবেশেও সে দিব্যি রুপাইকে দেখতে পাচ্ছে- আড়মোড়া ভেঙ্গে ঘুম থেকে উঠছে কেবল।

ভেতর থেকে অশ্রু বের হয়ে আসতে চায়। আর কোনোদিন কী বাস্তবে দেখা হবে না? নাকি কোনো পুরোনো, এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন জনপদে অন্ধদের শহরে তাকে দিন কাটাতে হবে?

ফোনে রিং বেজে ওঠে।

কীরে, রাতুল ফোন করেছিলে?

হুম, মা।

কলেজে যাও নি?

না, আজ ইচ্ছে করছে না।

ওপাশ থেকে হালকা স্বরে শোনা যায়, আই আজ রাতুল কলেজে যাবে না, বাসায় থাকবে। অন্য কোথাও যাই চলো। কলেজে যাবে না মানে? ফাঁকিবাজ হইসে না? আহ বাদ দাও তো।

অনেক আস্তে বলা কথাটি শুনতে ভুল হয় না রাতুলের।

কেন বাবা,শরীর খারাপ?

না, মামনি। তুমি বাসায় এলে সমস্যা হবে না।

তাই তো, মা’র ব্যক্তিগত জীবন আছে। সেখানে যার ইচ্ছে তার প্রবেশাধিকার আছে। রাতুলের কেন সমস্যা হবে? রাতুল অনেক ভালো ছেলে। ও কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাথা ঘামায় না।

তবে মাঝে মাঝে বেশ দ্বিধায় পড়ে যায় সে। শুনেছে তার বাবা-মা প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। এখন দুইজন দুই মেরুতে বাস করে আর তাদের মাঝে একমাত্র সন্তান রাতুল ঘুরে বেড়ায়। কোনো মেরুতেই স্থিতি পায় না সে, কেবল টের পায় কম্পন। রুপাইকে যদি বিয়ে করে সে তবে তারাও কী দুই মেরুতে বাস করবে?

এই প্রথম অন্ধত্বকে তার আর্শীবাদ মনে হয়। অন্ধ হয়ে হারিয়ে গেলে রুপাই এর সাথে তার কখনোই মনোমালিন্য হবে না। কেননা মনোমালিন্য হবার সুযোগ তৈরী হবে না। হয়ত দূরে কোথাও রুপাই মাঝে মাঝে বসে বসে কাঁদবে, সে কাঁদবে আর অশ্রুজলে তৈরী হবে বিষণ্ণতার ফুল দিয়ে তৈরী উদাসীনতার মালা কিন্তু অবস্থান থাকবে এক মেরুতে।

হিসেব মেলাতে পারে না রাতুল। শুনেছে বাবা দেশের বাইরে গেলে তার সফরসঙ্গী হয়ে যায় কোনো তরুণী, হয়ত মেয়েটি তার বয়সী। কখনো অনুসন্ধান করেনি সে। তার চাহিদা পূরণ হচ্ছে, তাই বাবা কী করল আর কী করল না সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোকে রাতুলের অশ্লীলতা মনে হয়।

বাবা এলেই মা’কে জড়িয়ে ধরে বলেন, মিসড ইউ সো মাচ হানি।

মা বলেন, সেইম হেয়ার। আমার জন্য কী এনেছ?

এইখানে প্রকাশিত হয় কপটতা। রাতুল বোঝে। হানি মানে মধু আর এই বাড়ির কেউ মধু পছন্দ করে না। সুতরাং মা’কে ইচ্ছে করে মধু ডেকে বাবা তার অপছন্দের কথা জানান দেয় কি’না সেটা কখনো তার বাবাকে জিজ্ঞেস করা হয় নি। না চাইতে সে যেখানে সবকিছু পায় সেখানে সে এসব জিজ্ঞেস করবে কেন?

এখন রাতুল ধীরে ধীরে অন্ধ অবস্থা প্রাপ্তি নিয়ে খুশি হয়ে উঠতে থাকে। তার মধু পছন্দ না। রুপাইকে তার কখনোই মধু কিংবা হানি বলে ডাকতে হবে না।

রাতুল ক’দিন ধরেই টের পাচ্ছে তার আসলে প্রাণের বন্ধু বলে কেউ নেই। অনেকেই আছে, তার সাথে মেশে কিন্তু কখনো সে একটা গ্রুপের হতে পারে নি। বন্ধুরা মিলে মুভি দেখতে যায়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে জানতে পারে। বন্ধুরা সেন্ট-মার্টিন বেড়াতে যায়। ছবিতে নীল জল আর প্রবাল দেখে সে। আড়ালে আবডালের কিছু কথা থেকে রাতুল জানে তাকে কেন এড়িয়ে চলা হয়। অসম্ভব বড়লোকের ছেলে রাতুল, কেউ তার সাথে স্বাভাবিক হতে পারে না। এটা অবশ্য ভিন্ন কথা তার বাবার টাকার উৎস কী। রাতুল জানে চাইলে বাবা তাকে সিনে থিয়েটার বানিয়ে দেবে, সেন্ট-মার্টিনে একটা জমি কিনে দেবে। রাতুল এসব কিছু চায় না। রুপাই শুধু ওর সাথে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলে। ওকে জিজ্ঞেস করে, এই তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ ?

রাতুল জানে সে একবার বলেছে, সে বারবার বলবে, গালের নিচের ছোট্ট তিল আছে যার, মনের ভেতরে অসীম মমতা আছে যার, হাসিতে হাসিতে যার শুদ্ধতা ঝরে পড়ে তেমন মেয়ে পছন্দ তার। ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কফির কাপেও চুমুক দিতে যার সামনে বসে ক্লান্তি লাগবে না তার তেমন মেয়ে তার চায়। তখন নিশ্চয় রুপাই অবাক হয়ে যাবে আর ভাববে, আরে সবকিছু তো আমার সাথে মিলে যায়!

এখন সে অন্ধ হয়ে গেছে সুতরাং আর নতুন কিছু ঘটবে না তবু সে মন খারাপ করে না। ঘর কাঁপিয়ে হাসতে শুরু করে। কেননা রুপাই এই বাড়িতে আসবে না, তাই তাকে কোনোদিন শুনতে হবে না, তোমার বাবা-মা এমন কেন?

#

অন্ধ অবস্থায় প্রায় পাঁচ ঘন্টা কাটিয়ে দেবার পর রাতুল অনুভব করে তার খিদে লেগেছে। বিছানা থেকে উঠতে গিয়ে পড়ে যায়। তার চোখ খোলা। এখন আর সবকিছু আগের মতো অন্ধকার লাগছে না, অন্ধকার সয়ে গেছে চোখে। এখন কেমন যেন সাদা সাদা অন্ধকার বিষণ্ণ ফুল হয়ে ফুটে আছে। হিসেব করে পা ফেলে এগোতে গিয়ে শুনতে পায় মা’র ঘর থেকে শব্দ আসছে।

ওহ, সুইটহার্ট.........

আই ক্যান্ট টেক ইট এনিমোর। জাস্ট ডু ইট... ........

রাতুল দরজা লাগিয়ে সাবধানে বিছানায় ফিরে আসে। তার আগে জানালা খুলে দেয়। রিকশার টুং টাং শব্দ ভেসে আসে, মানুষের কথা ভেসে আসে। তার মা এখনো অন্ধ হয় নি, বাইরের মানুষজন অন্ধ হয় নি। কেবল সে অন্ধ হয়ে গেছে। রাতুল ভাবতে থাকে, সে বধীর হয়ে গেল না কেন? যাবতীয় শব্দ থেকে ছুটি নিয়ে নিতে পারত? সে ভাবতে থাকে, সে মরে গেল না কেন? মরে গেলে এক বিশুদ্ধ তরুণী তার জন্য নীরবে চোখের জল ফেলত সারাজীবন!

গতকাল ঘুমোতে যাবার আগে ভীষণ সুন্দর একটা প্রজাপতি দেখেছিল খাটের মাথায়। এখন সেখানে হাত দিয়ে দেখে শূন্য খাটের মাথা। প্রজাপতি নেই, উড়ে চলে গেছে। আলো চলে গেছে, হারিয়ে গেছে। আর কোনো প্রজাপতি নেই উড়ে যাবার জন্য। আর কোনো আলো নেই আধাঁর বুঝতে পারার জন্য। আর কোনো দুঃস্বপ্ন নেই স্বপ্ন দেখার জন্য। আর কোনো মানুষ নেই অমানুষ হবার জন্য। রাতুলের খুব ইচ্ছে করে শুদ্ধতম তরুণীকে বলতে, তোমার কাঁধে কী আমি কিছুক্ষণের জন্য মাথা রাখতে পারি?

যেদিকে যায় রাতুল সেদিক দেখে দেয়াল উঠে আছে। বর্গক্ষেত্রে বন্দী সে। তার কাছে কোনো হাতুড়ি নেই দেয়াল ভাঙ্গার জন্য। বিস্মিত হয় না রাতুল যখন সে বুঝতে পারে, এই বর্গক্ষেত্রেই সে আসতে চেয়েছিল। সে দু হাত ছড়িয়ে হাতড়ে হাতড়ে বারান্দার রেলিং এর উপর গিয়ে দাঁড়ায়।

আলো এসে জমাট বেধে অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল। অন্ধকার সয়ে এলে হয়ত দু একটা প্রজাপতি উড়ে গিয়েছিল। বর্গক্ষেত্রে বন্দী হয়ে তখন রাতুলের শুধু প্রজাপতি হতে ইচ্ছে করছিল।


মন্তব্য

দ্যা রিডার এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন... কেন যেন একটু অসমাপ্ত মনে হয়েছে ... কিন্তু পড়তে অনেক ভাল লেগেছে চলুক

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

ইচ্ছে করেই রেখে দিলাম। যে যার মতো করে ভেবে নেক। একটা প্রেমের গল্প লিখতে চাচ্ছিলাম। কি যে লিখলাম এটাই বুঝলাম না মন খারাপ

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

সাকিবা ফেরদৌসি এর ছবি

বর্ণনা আলদাভাবে প্রশংসার দাবি রাখে, অন্তর্নিহিত যে কথন, জীবন ও অস্তিত্ব, তার সীমাবদ্ধতা , তাকে অতিক্রমের চেষ্টা, আবার তাতেই নিস্ফল আত্মসমর্পণ , সব চিত্রিত হয়েছে এখানে। তাই গল্পটি অনেক হৃদয় ছোঁয়া ।

একটি কিশোরের কাছে জীবন অনেক রহস্যময়। তার পাওয়া না পাওয়ার বোধ , তার স্বপ্ন দহন সব টের পেলাম । কষ্ট বোধ উঠে আসল , একটু চুপ করে বসে আছি তাই। গল্পটা ভাবাচ্ছে।

লেখা চলুক। শুভকামনা রইলো।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

আপনাকে অনেক বেশি ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকা হোক আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তানিম এহসান এর ছবি

হাসি

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

ভালো লাগেনি? ইয়ে, মানে...

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

তানিম এহসান এর ছবি

হাসিমুখ কি বলে? আরে ভাই, আমি মন থেকেই হাসি, হাসি নিয়ে অভিনয় নেই। এবার আপনিও হাসুনতো, একটু দেখি হাসি ... পরীক্ষা ভালো হওয়া চাই, বলে গেলাম কিন্তু হ্যাঁ ..

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

হাসি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

কাজি মামুন এর ছবি

আপনার লেখায় সাবলীলতা রয়েছে। রয়েছে সূক্ষ্ম অনুভূতির সরল প্রকাশ। রয়েছে কষ্ট ও জীবন জিজ্ঞাসা। আমার ভাল লাগার জায়গাগুলি কোট করলাম:

চিন্তার জ্যাম লেগে যায়। কিন্তু কোনো ট্রাফিক পুলিশ খুঁজে পায় না যে জ্যাম থেকে বের হওয়ার একটা রাস্তা দেখিয়ে দেবে।

যেদিকে যায় রাতুল সেদিক দেখে দেয়াল উঠে আছে। বর্গক্ষেত্রে বন্দী সে।

আর কোনো আলো নেই আধাঁর বুঝতে পারার জন্য। আর কোনো দুঃস্বপ্ন নেই স্বপ্ন দেখার জন্য। আর কোনো মানুষ নেই অমানুষ হবার জন্য।

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ভালো লাগাগুলো জানাবার জন্য

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

তৃপ্ত হলাম না কিন্তু। ঐ গল্পগুলোর মতো আরো চাই.......... হাসি


_____________________
Give Her Freedom!

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

ব্যাপার না। আমার নিয়মিত পাঠকদের এই গল্পটা ভালো না লাগার সম্ভাবনা বেশি। ঠিক আমার মতো করে লিখেনি হাসি

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।