কাঁটা চামচ দিয়ে একজনের চোখ গেলে দেয়ার ক্রিটিক্যাল মুহূর্তে আমার বেশ কিছুদিন আগের একটি অনুভূতির কথা মনে পড়ে যাবে এবং প্রতিবেশির বদলে নিজেকেই মেরে ফেলতে ইচ্ছে হবে, মনে হবে আমিই তো চেয়েছিলাম, এরা উৎসব নিয়ে আসুক, দু একটা ভালো-মন্দ কথা বলুক; এখন এই নিস্ফল আক্রোশের কোন মানে নেই, তবে এই চিন্তাটি আসতে কিছুক্ষণ দেরি হয়ে যাবে এবং হাতের রিফ্লেক্সকে ফিরিয়ে আনা যাবে না, শেষ সময়ে ভিকটিম মাথা নাড়িয়ে ফেললে কাঁটা চামচ তাঁর কপালে গিয়ে আঘাত করবে।
কোন এক বর্ষার সন্ধ্যায়, হয়ত সেদিন বর্ষা ছিল না, কিন্তু আকাশ ভীষণ মেঘলা ছিল, হয়ত সেদিন আসলে বর্ষাকাল ছিল না বরং শীত ছিল, কিংবা প্রচন্ড গরম ছিল, যখন বাসায় কেউ ছিল না, বাড়ি ফিরে এসেছিলাম আগেই, ফিরে এসে মন খারাপ হয়েছিল এবং তখন মনে হয়েছিল, অনেকদিন বাসায় অতিথিদের আনাগোনা নেই। অবশ্য এরকম প্রায় হয়, বাসায় কেউ থাকে না এবং এই সত্যটির সঙ্গে আমাকে প্রায় মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয় যে, বাবা-মা দুজনেই খুব ব্যস্ত মানুষ, সেই ব্যস্ততার ভেতরে কুঁকড়ে গিয়ে আমি একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। ঘরের সামনে ফুলের টব-যাতে কোন ফুল নেই, কেবল ময়লা পানি, যা আমাদের ডেঙ্গু ভাবাপন্ন বলে প্রতীয়মান করতে পারে, সেই নিরস টবের দিকে একবার তাকিয়ে ঠাঁস শব্দে দরজা লাগিয়ে ভেতরে ঢুকে যাই; কিন্তু ঐ একদিন আমি দরজাটা খোলা রাখি। দরজা খোলা রাখার পেছনে বিশেষ কোন কারণ ছিল না, অথবা ওভাবে যে দরজা লাগিয়ে দেই তার পেছনেও কোন কারণ থাকার কথা নয়; বাসার নিচের গেটে দারোয়ান আমাদের এই ডুপ্লেক্স বাড়ির সদর দরজা আটকে রাখার প্রয়োজনীয়তা কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছে, তবু ঠাঁস শব্দে দরজা লাগানোর পেছনে একটা আক্রোশ থাকতে পারে- যা আমি কখনো গভীরে গিয়ে ভেবে দেখেনি। এমন হতে পারে যাবতীয় ক্ষোভ, বিষণ্নতা আমি ঝেড়ে ফেলতে চাইতাম নির্মম নিষ্ঠুরতার ভান করে। ভান-ই হবে কেননা বাস্তবে আমার জোরে শব্দে কথা বলার অভ্যাস নেই, মাঝে মাঝে এতটাই আস্তে কথা বলি যে, পাশে বসে থাকা মানুষ শুনতে পায় না। এটা ভিন্ন কথা যে আমার পাশে বসে থাকার মানুষ খুব একটা নেই।
দরজা খোলা রেখে নিজের রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো, ঐ খোলা দরজা দিয়ে দীর্ঘদিন কেউ প্রবেশ করে না। কেউ বলতে নিজ বাড়ির বাইরের মানুষ কিংবা অমানুষ।
গতকাল আমার বন্ধু আনোয়ারের বাসায় গিয়েছিলাম। অজস্র স্যান্ডেল তার বাসার বাইরে লুটোপুটি খাচ্ছিল। বেল বাজাতে গিয়ে থমকে গিয়েছিলাম। তখন আন্টি এসে সামান্য হেসে বললেন, বাসায় অনেক মানুষ তো, তোমাকে ঠিকমতো বসতে দিতে পারব না, আনোয়ার একটু বাইরে, তুমি একটু কষ্ট করে অপেক্ষা করো। আর কোথা থেকে ছুটে এসে তার ছোট ভাই আমাকে একেবারে খাবার টেবিলে নিয়ে বসিয়ে দিল। আবারো আন্টি এসে লজ্জায় অবনত হয়ে
বললেন,ভালো কোন কিছু রান্না করা হয় নি। টেবিলে তাকিয়ে দেখি, পোলাও, মুরগীর রোস্ট, সালাদ, আচার আর কোকের বোতল সাজানো আছে। এরচেয়ে বেশী কী আয়োজনের প্রয়োজন ঠিক মাথায় ঢোকেনি। আমাদের বাসায় শেষ কবে এমন অনুষ্ঠান হয়েছিল?- ঘরোয়া, পারিবারিক উচ্ছ্বাসময় উপস্থিতি? আদৌ কি হয়েছিল কোনদিন? ড্রয়িংরুমের সাজানো ঝাড়বাতি দেখে মায়া হয়, বিশাল এলইডি টিভিতে কেবল মানুষের ছায়া নড়াচাড়া করে, সোফার উপর হালকা ধুলোর আস্তরণ- এতটা অবহেলা তো মানুষ মানুষকে করে, জড় পদার্থের প্রতি মানুষ আরো কিছুটা অনুভূতিপ্রবণ বলে জানতাম।
ফ্রেশ হয়ে ফেসবুকে বসতেই এক গাদা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাই। অচেনা কিছু নাম ঝুলে থাকতে দেখি। আমি গোবেচারা ফেসবুক ইউজার, এমন হওয়ার কথা না, তাই কিছুটা অবাক হই। সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য ধরে ফেলি আচমকা এই সেলিব্রেটিপনার কারণ কী। এক বিখ্যাত মানুষের স্ট্যাটাসে কমেন্ট দিয়েছিলাম। কোন কারণে সেই কমেন্ট এতসব অচেনা মানুষের ভালো লেগে যাওয়ায় এখন এত রিকোয়েস্ট। ব্যাপারটি নিঃসন্দেহে অদ্ভুত। মানুষের এই সাইকোলজি ঠিক ধরতে পারি না আমি। একদম অচেনা, কোনদিন দেখা হয় নি, ভবিষ্যতে দেখা হবার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে- এমন মানুষকে এভাবে বন্ধু হতে বললে ঠিক কী লাভ হয়? এতটাই নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে মানুষ- সামনাসামনি কথা বলার মতো আপন কেউ নেই?
এইসব ছাঁইপাশ ভাবতে ভাবতে টাইমলাইনে ঘোরাঘুরির ফাঁকে নিউজটা দেখতে পেলাম। লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং সঙ্গে তার স্ত্রী লেখিকা বন্যা আহমেদ গুরুতর আহত। এমন একটি খবর দেখার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম না।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাকে ফোন দিব ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। মাথা কেমন ফাঁকা হয়ে গেল। মনে হচ্ছে সুঁই দিতে গুঁতো দিলে বেলুনের মতো চুপসে যাবে। গতকালকেই বইমেলায় গিয়েছিলাম। দূর থেকে দেখেছিলাম তাকে। কী সুন্দর মায়াবী হাসি! হেসে হেসে গল্প করছিলেন কারো সঙ্গে। এমন একটা মানুষকে কুপিয়ে মেরে ফেলল কেউ? নিজের ব্যক্তিগত বিষণ্নতায় বুঁদ হয়ে থাকা আমাকেও স্পর্শ করে যায় আচমকা এই খবর। হোমপেজ স্ক্রল করে নিচে নামতে নামতে দেখি প্রতিবাদে মুখর সবাই। কেমন জানি, হাসি পেয়ে যায়। আগামীকাল এই সময়েই ফেসবুকে এই উত্তেজনা ঝিমিয়ে আসবে হলফ করে বলা যায়। নামতে নামতে চাচার স্ট্যাটাসে চোখ আটকে যায়। নিজেকে ভীষণ প্রগতিশীল দাবি করা চাচা ইনিয়ে-বিনিয়ে হত্যাকান্ডের বিচার চেয়ে শেষে জুড়ে দিয়েছেন কিন্তু শব্দটি। কিন্তু দিয়ে বলেছিলেন, এমন কিছু লিখলে এরকম হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। ফেসবুক বন্ধ করে দেই। সময় দিতে হবে। আমি চিরদিন নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি, এসব ব্যাপার নিয়ে বিচলিত হলে আমার চলে না। মৌলবাদের আক্রমনে আমার কিছু যায় আসে না। কিন্তু আসলেই কী তাই? চাইলেও চিন্তা থেকে বিচ্ছিন্নতা নেয়া যায় না, বরং চিন্তার সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় হয় দাদার ফোন পেয়ে। একটু ভয়ই পেয়ে যায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ। দেখা হলে হাসতে হাসতে বলেন, ভালোবাসতে ভালবাসতে হার্টের অবস্থা একেবারে শেষ। বাইপাস সার্জারি হয়েছে, পরানো হয়েছে রিং। তারপরেও তিনি আমাদের বাসায় না থেকে আজিমপুরে নিজ বাসায় থাকেন।
দাদু, ছেলেটাকে নাকি মেরে ফেলেছে।
ছেলেটার নাম না বললেও আমি বুঝে ফেলি দাদা কার কথা বলছে। আমি চুপ করে থাকি। দাদা ভীষণ পছন্দ করতেন তাঁর লেখা। আমি প্রথম দাদার কাছ থেকেই ওনার ব্যাপারে জানতে পারি। এমন সময়ে চুপ করে থাকা ছাড়া কিছু বলার থাকে না। এই চুপ থাকার ভেতরে অব্যক্ত অক্ষমতা বুঝে নিয়ে দাদা ফোন রেখে দেন।
রাতে বাবাও ফোন দিয়ে বললেন, হত্যাকান্ডের ব্যাপারে কোনোরকম প্রতিক্রিয়া দেখাবে না কোথাও। এভাবেই একটি দিন কেটে যায় আমার- এই হত্যাকান্ড অল্প একটু আলোড়ন তুলে গেল কেবল, আর বাকিসব কিছু আগের মতো; এতো পারফেক্ট কার্বন কপি হয় দিনগুলোর, অবাক হতেও আর ইচ্ছে করে না।
২
ঘোরের ভেতর সময় কেটে যায়। কিসের ঘোর,বুঝে উঠতে পারি না। বইমেলা শেষ হয়ে যায়। বইয়ের স্তুপের দিকে তাকিয়ে থাকি, ঝড়ে এলোমেলো হয়ে যাওয়া গাছের মতো। জানালা খুলে দাঁড়ালে পাশে আরেকটি বিল্ডিং চোখে পড়ে, প্রতিদিনের একঘেয়ে চিত্র। বিল্ডিং এর সঙ্গে লাগোয়া বিল্ডিং, যেন দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধু, দেখা হয়েছে অনেকদিন পর, এখন আর কোনোভাবেই আলাদা করা যাবে না। তাকিয়ে থাকি। তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগে। এমন সখ্যতা আজকাল মানুষের সঙ্গে মানুষের নেই।
বাবার মেসেজের দিকেও তাকাই একটু পর পর। তোমার দাদা মারা গেছেন, মেসেজটা দেখে তেমন কোন অনুভূতি হয় না। অথচ আমার ঘরদোর কাঁপিয়ে কাঁদার কথা। আমি একটু কী এবনরমাল? নাহয় অভিজিৎ রায়ের খুনের পর কেন খারাপ লাগবে, দাদা মারা যাওয়ার পরেও কেন চোখ দিয়ে পানি বের হবে না?
অনেক স্মৃতি মনে আসার কথা। ছোটবেলার স্মৃতি। বড়বেলার আড্ডার স্মৃতি। অথচ কিছুই মনে আসে না। ঝাপসা দৃষ্টি। দাদা সবসময় চাইতেন, ভালোভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে। শেষদিকে বলতেন, আমার তো দেয়ার আর কিছু নেই, এখন তোমাদের সময়, তোমরা দেশকে ভালোকিছু দিবে, দিতে হবে। দাদার কথার সূত্র ধরে ভাবনাটা আসে, আমি এখন পর্যন্ত কী দিয়েছি? আদৌ কি কিছু দেবার সম্ভাবনা আছে, আমার কিংবা আমাদের প্রজন্মের? মৌলবাদের আগ্রাসনে সবাই দেশ ছাড়ার কথা ভাবছে, আমি দেশেই থাকব কিন্তু দেশে থেকে করব কী?
এসব ভাবনার মাঝে যাবতীয় সামাজিক দায়িত্ব পালনের ডাক চলে আসে। দাদাকে কবরে শুইয়ে দিয়ে বাসায় আসার পর আমাদের বাসাকে আর ঠিক চিনতে পারি না। এত এত মানুষ এসেছে, এরা কারা, কেন এসেছে, কি চায়?
এভাবে উদভ্রান্তের মতো দাঁড়িয়ে আছ কেন? মা’র কথা শুনে আরো অবাক লাগে। এখন এই সময়ে এত মানুষ দেখে উদভ্রান্তের মতো দাঁড়িয়েই তো থাকার কথা। আশেপাশে একটু তাকাতেই বাবাকে দেখতে পেলাম। শুকনো মুখে কারো সঙ্গে কথা বলছে।
কে জানি বলছে, বাসায় তো কেউ রান্না পাঠায় নি। এত মানুষদের খাওয়াব কিভাবে?
গা গুলিয়ে ওঠে। ভিড় থেকে বের হতে চেয়েও ভেতরে আটকে যাই।
মন খারাপ করো না। তুমি এখন বড় ছেলে। অনেককিছু দেখে রাখতে হবে ।
তোমার বাবাকে সামলে রেখো।
যা হয়েছে ভালোর জন্য। দোয়া করো।
এত এত কথার ভিড়ে আমি অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি।
আচ্ছা, খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন কোথায়? এই কথাটা শুনে আমার ইচ্ছে হয় চেঁচিয়ে বলি, এটা কি বিয়েবাড়ি? নাকি কোন সার্কাস? আপনার রং তামাশা করতে এসেছেন? আতরের গন্ধে যেন হাজার হাজার সাপ ছুটে এসেছে, তীক্ষ্ণ, বিষধর সাপ।
ও আপা, এটা কি হলো? একজন বয়স্ক করে মহিলাকে কাঁদতে দেখি। হাউমাউ করে, যেন তার সবশেষ হয়ে গেছে। উনি কে ঠিক চিনতে পারি না। তবে একটু আগে ওনাকে দেখেছিলাম, খাওয়ার আয়োজনের ব্যাপারে খোঁজ করতে।
একটু পেছনে ফিরে যাই। গত পরশু দাদা হাসপাতালে ভর্তি হবার পর থেকেই বিভিন্ন মানুষের ফোনে বাবাকে বিরক্ত হতে দেখেছি। তখন ইচ্ছে হয়েছিল, বাবাকে জিজ্ঞেস করি, এই বিরক্ত হওয়া কী তোমার মানায়? কয়দিন খোঁজ নিতে ওনার? এতটা নিষ্ঠুর কথা বলতে পারি নি, বাবার চোখে কান্না আর অপরাধবোধের অদ্ভুত মিশ্রণ দেখে কিছু বলতে ইচ্ছে হয় নি। আমারো হয়ত এই উটকো গেস্টদের দেখে বিরক্ত হওয়ার কারণ নেই, হয়ত তারা সত্যি সহমর্মিতা দেখাতে এসেছে। এই সামাজিক চর্চা তো বহুকাল থেকে চলে আসছে, এটি অস্বীকারের উপায় কী? এই ছোটখাটো লোক-দেখানো সামাজিকতা ভাইরাসের মতো যেখানে নিঃশেষ করছে সবাইকে, সেখানে কেউ কেউ সমাজ বদলে স্বপ্ন দেখে- কী, বোকা! কিংবা আমরা আসলেই বোকা, নির্বোধ- ওদের পাশে দাঁড়াই না বলে।
আমার চাচাকে দেখি। প্রগতিশীল চাচা। আব্বুর আপন চাচাতো ভাই। উনি আমাকে দেখে এগিয়ে আসেন। মাই সান, বলে বুকে টেনে নেন। উৎকট গন্ধে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। ফল রাখার একটা কাঁটা-চামচকে চাচার ঠিক পেছনের টেবিলে আমার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে আছে।
মানুষকে তো যেতে হবেই।
আমি চাচার কথায় মাথা ঝাঁকাই।
কার মরণ,কিভাবে লেখা আছে বলা মুশকিল। ভালো মানুষের মরণ হবে তোমার দাদার মতো। আর অভিজিৎ কিংবা তার মতো মানুষদের মরণ হবে রক্তের ভেতরে।
আমি খেয়াল করি, রক্তের ভেতরে শব্দটি বলার সময় চাচার চোখ চকচক করে ওঠে এবং ঠিক ঐ মুহূর্তেই কাঁটা-চামচ দিয়ে আমি চাচার চোখে আঘাত করি এবং পরমুহূর্তেই নিজের ভুল বুঝতে পারি, বুঝতে পারি- আধুনিক সময়ে মানুষের সঙ্গে পেতে চাওয়ার মতো পাপের আর কিছু নেই।
----
খসড়া, মার্চ ২১-২০১৫
মন্তব্য
লেখার শব্দ এগিয়ে গেছে দাবার চালের মতো, শুভ কামনা লেখক
আদি কোষ
ধন্যবাদ।
গল্পটা আসলে গল্প হলেও ভালো হতো, বাস্তব নয়।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ভালো লেগেছে এই বিষণ্ণ লেখা।
-ভাবনায় ফেলে দেবার মত একটা লাইন।
শুভেচ্ছা
ভাবনা খারাপ জিনিষ
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ওয়াও। জাস্ট ওয়াও।
-সো
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
বিষণ্ন সময়
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বহুদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। চলুক!
হুম। ভালো আছেন?
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দৌড়ের উপ্রে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
অনেকটা ঘোরের ভেতরেই পড়ে ফেললাম গল্পটা।
শুভকামনা রিশাদ-
জিল্লুর রহমান সোহাগ (স্রোত)
ভালো লাগলো।
স্বয়ম
অভিজিৎ রায়ের অংশটা আরোপিত মনে হল।
এটা বাস দিয়ে গল্প খারাপ লাগেনি।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আমার উল্টোটা মনে হয়। অভিজিৎ রায়ের গল্প বলার জন্য লেখা। বাকিটুক ঠিকমতো যায় নি, হয়তোবা। খসড়া যেহেতু এডিটের সুযোগটা থাকছেই।
ধন্যবাদ।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
লেখাটায় কাফকার মত গল্প বলার একটা ভঙ্গি আছে। শব্দগুলোর বিষন্নতা যেন ছুঁয়ে দেখা যাচ্ছে। রাগ হতাশা, যা গল্পের মূল ঘটনাটার মূল তা ফুটে উঠেছে খুব সুন্দরভাবে। হ্যাঁ , কিছু অংশ জোর করে চাপানো মনে হয়। তবু শুধু বলার ভঙ্গিমার কারনেই গল্পটা সুন্দর।
কিরো
ধন্যবাদ।
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দেবদ্যুতি
নতুন মন্তব্য করুন