নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা : শামসু ভাইয়ের ২১ দফা আচরনবিধি

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ১৯/০৮/২০১৯ - ১০:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১! নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
প্রতিদিন ভোরে উঠিয়া মনে মনে মন থেকে বলে
সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি

২। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
কোমল স্বরে কথা বলে।
তাহারা উচ্চস্বরে কথা বলতে জানেই না।

৩। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
জাতির পিতার মৃত্যুদিবসে নিজের ছবি টাঙায় না।

৪। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
মিথ্যাকে সত্যের মতো বলে না।

৫। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
ফুলগাছে পানি দেয়, পাখিদের খাবার দেয়।েআকাশের তারা গোনে।

৬। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
সব মেয়েদের বোনের চোখে দেখে

৭। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
নিজের দায়িত্ব ফেলে পরের দায়িত্ব নিতে যায় না।

৮। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
মুরুব্বীদের সামনে সিগারেট খায় না।

৯। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
অন্যের কথা মন দিয়ে শোনে।

১০। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
অন্যের দুঃখে কাঁদে।

১১।নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
কারও গায়ে ফুলের টোকাও দিতে জানে না

১২। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
সদা সত্য কথা বলে

১৩। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
নামাজ কাজা করে না

১৪। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
কবিতা পড়ে। নিজের ঘর নিজে পরিষ্কার করে।

১৫। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
ছবি আঁকে। গান শেখে।

১৬। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
ছোটভাইদের পড়াশোনায় সাহায্য করে।

১৭। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
কোমল চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

১৮। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
স্বল্পাহারী। বাকি খায় না।

১৯। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
চাটুকারীতা করে না

২০। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
শক্তের ভক্ত নরমের যম না।

২১। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা
প্রতিদিন ডায়েরি লেখে

ঘটণা আসলে এই, পুরানো ছাত্রলীগ কর্মী শামসু ভাই এই দেশের ইতিহাসকে ছাত্রলীগের ইতিহাসের মধ্যে উপলব্ধি করেন। ধারণ করেন। নবযুগের ছাত্রলীগের ছেলেরা কেমন হইবে তাই নিয়া ভাবিত ছিলেন। শামসু ভাই ছাত্রলীগের সমস্ত গৌরবের সাক্ষী না হইলেও সেই গৌরব রক্তপ্রবাহে অনুভব করেন। তারই উল্লাসে যখন তাহার সহিত দেখা হয় তাহার কণ্ঠ প্রবাহিত হইতে থাকে।

যুগ যায়। নবযুগ আসে। নতুন রূপে চির পুরাতনকে সাজাইতে হয়। ইহাই নবযুগের ধর্ম।
ছাত্রলীগকেও নবযুগের এই ধর্মকে উপলব্ধি করিতে হইবে। তাহাকে পুরাতনকে ঝাড়িয়া পুছিয়া নবসাজে উদ্বোধন করিতে হইবে।
প্রতি শীতে পাতা ঝরাইয়া নতুন পাতায় ফুলে নিজেকে নতুন করিয়া বৃক্ষ নিজেকে নবরূপে সাজাইয়া তুলে
ছাত্রলীগকেও যুগধর্ম মানিয়া তাহার পুরাতন জীর্ণতা খসাইয়া নতুন আবরনে আভরনে গড়িয়া তুলিতে হইবে।
তা যদি না ঘটে তবে তা অকস্মাৎ ভূপাতিত হইয়া পড়িবে। তাহার প্রাণাধিক প্রিয় সংগঠনকে কালের অন্ধকার গর্ভে হারাইয়া দিতে দেওয়া যায় না।
তাহাকে আগামী নবযুগের ইতিহাসে নিয়া যাইবার একটা তাড়না সব সময় তাহার মধ্যে ফুঁটিতে থাকে।
কীভাবে এই ছাত্রলীগকে নবযুগে নেয়া যাইতে পারে?
ইহার উত্তরে তিনি একটি স্বহস্তে লিখিত লিফলেট ধরাইয়া দিয়া কহিলেন-
এই নবযুগে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে ছাত্রলীগকে নবযুগের ছাত্রলীগ হইতে হইবে।
এই লক্ষ্যে ২১ দফা আচরনবিধি।

আমরা ওপর চোখ বুলাইতে থাকিলাম।।।


মন্তব্য

নজমুল আলবাব এর ছবি

নবযুগের ছাত্রলীগ নয় 'ছাএলীগ' হবে। আর এর ধারা ২১ টা কোনমতেই না, ১০০১ টা অতি অবশ্যই

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনি ঠিক বলেছেন। তবে শামসু ভাইয়ের ২১ দফা কি আদৌ সত্য হইবে?? আদৌ কি বাংলা আমার বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা হইবে?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।