বাছাই আস্তছেলে

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০৬/২০০৭ - ৩:৫৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আস্ত পুরান
--------------------------------------------------------------
দুনিয়ার দোড়ী হাজতে গোটা ইনসান লাইফের হুজ্জতি মেঙে ট্যানারি মোড়ের কাভু বিবির হুশ ফিরলো চান্দের বিশতম রাইতে। কালি ফরসা রাইত - গরমু পিয়ে মাথাটা কেমুন ঝং মাইরা থাকে - বাইরে আকাশ খালি নল গিটটি ছোটায় -কাভু বিবি গায়েবী দমকে কুকড়ে যায় - বাম কান্ধে আসীন কাতেবিনের উদ্দেশ্যে বিড়বিড় করে- আমিও ঝোম মারি তুমবাও ঘুমাও ...
বেহুশ মাইনস্যের দুষ নাই - কাতেবীন বেকার- চোক্ষে কাজল দিয়া খালি আন্ধা সাজো... ঐশী কলমে জং ধরবো... - ফোকলা মুখে লাল গোলাপী মাড়ি ঝিলিক মারে -হি হি হি হি -
জিন্দেগীভর সে ইয়াদ রেখে এসেছে সাক্ষীকে...
-সাক্ষী নাই তো কাজী সাহেব বিগার টুটিকা বদনা -হাশরের জাবেদা আর মিলবো না - লাগোজ থেকে আরশী বের করে আর চাদপানা মুখখানা দেখে আর ভাবে -
এই মুখে দুনিয়ার তাবৎ জেনানার রোশনাই জড়ো হইছে - আরশীরে জিগায় - ক তুই ক - - আরশী তার লদনী গোসাই- সে যা বলে আরশী তাই কয় - কিন্তু হাশরের ময়দানে -
ভাবতেই তার মাথা গুলান দিয়্যা ওঠে - ও রে কিরামান তুই ঘুমাইস না,- ল্যাখ ল্যাখ পিনিক মাইর্যা যত ভালো কাজ - মানকিন কাতেবিন দুই জন একজনের ঘুম পাড়াইন্যার আর একজ রে জাগাইনার এন্তেজামে দিনকাল লুচ্ছারগাই - (কিন্তু ওরাও ব্যাটা লোক - ফেরেস্তা হইলে কি হইবো - ঠিকই জেনানার জিন্দেগী গুজরান করে)হাততালের চরকি ঘুরান পেরশান হইয়্যা যায় -
কিন্তু আর বেবাক মুখ এরাও সাবুদ মানবে মামুদের দিনে- মাথায় হিজাব টেনে নেয়- পরহেজগার বেসাতি মানাইছে - লোটের বাজারে পরদা বিবি ও হাইট্যা যায় - আর হক্করের বুক টাটায় - কেমুন রঙ এর মেলা হইছে - লোটে ফক্করের দম নিতে নিতে ভাবে ফরিয়াখানার ফরিয়াদের ওয়াক্ত এর টাইম বুঝি হইয়া গ্যাছে - আহ মাবুদ ক্ষমা দ্যাও - তবুও নেশায় বকরী তার আর আজ ইচ্ছে করে না কোন হিজাবী গানে কোমর দুলাইতে - বরঞ্চ কাভূ বিবি ভাবে চামর চান্দ আইজ বুঝি ফুটবো না...

শব্দ বুঝিতে না পারিলে ঈমানদারদের জন্য

নল গিটটি - বুন্দুকের গুলি (বজ্রপাত এর শব্দ) গরমু - হট ওয়াটার
চামর - জোশ্
বিগার টুটিকা বদনা - হিজড়া
লদনী - বন্দী
লুচ্ছারগাই - বুড়া
লোটে ফক্করের - লুঠ করা হালকা মজা
কেরামান - ফেরেস্তা - ভালো কাজের হিসাব লেখে- কাতেবীন - মন্দ কাজের হিসাব লেখে -
লদনী গোসাই - চামচা
পিনিক : নকল/ মিথ্যা
…………………………………………………..

ট্যানারি মোড়ের ক্যাভন বিবির বেহেশ্ত দর্শন
--------------------------------------------------------------
অন্তকাল ন্যাককিচুসে গেথে বিবিকে হর হপতায় খোয়াব সায়রে রাঙায় মুসওয়ালি্ল - ইনসান আর কত রঙ বুনায় বলো? -
বেহেশতী খুশবু হালুয়ার গন্ধ হয়ে নসীবি আতরী রাতে মৌ মৌ করে - জীন্দেগীর সাঁজোউটিতে সকল আদম ফিরে যাবে মনকীর নকীরের লমারিসে - বয়ানে রোশনাই ঝরে - যেন দুধকালের শিউলি - তার বুক কাপে -'
.. হুর সাদাশুভ্র গুলাব তার ত্বকের রঙ - সবুজাভ আশনাই তার জেল্লায় '-মান কিরে মড়মড়ি পিয়ারী বাতে তার হৃদয় কাপে কিন্তু তার তাতে কি আখেরীকালের কিসওদা ভেবে ভেবে কুল কিনারা পায় না ক্যাভন বিবি -
-রসানতে তাগত লোকটার সফেদ মুখে বেহেশতী আওরাতের সঙ্গলোভে হামেশা কাতর নিকলী চোখদুটো তার মধ্যে দো-তললী বাহার ইয়াদ করে.. কাজলী রাতে লোমশ হাতের মুঠোয় গলে যেতে যেতে সে অনুভব করে এইটুকুইসব -
এই নসীবি রাত কি অন্তকালে তার জন্য রোগেগোর বন্দবস্ত রেখেছে - সত্তর হুর এর স্বপ্ন তার ইশারায় আতুরকালের আবছা গিলমানের অস্পষ্ট দোলায় ঝাপটা মাঙে-
..কিন্তু কুনো সে নিশান পায় না - এ নিয়ে কুনো জবানই সে মুকখাল করতে পারে না - কার কাছে সে পাবে অন্তকালের তরীকার নিশ্চিন্ত পায়শ- নিশি্পষ্ট হতে হতে সে প্রত্যেকটি মূহূর্ত ভাবে বেহেশ্তী আমলে মইনঅরি আসবে না - নিস্ফলা হয়ে অনন্ত মসতিদার হয়ে কি ফায়দা - দুধের নওহর আর বেদানার কামনারাঙা স্তুপ তাকে কি ফুল পরাবে - তার নিজেকে মকর ঠাহর হয় - দুনিয়ার বেহশইত হুর এ ভোগলু - বেহেশতী ভাতিরও বরাত আছে কিন্তু তার?
এমত তার গোস্বা হয় - অনন্ত বিটুরি নসীবি - হায় ইনসানি - দাড়ির কুন্ডলে বাতাস আটকে যায় - তার আর শরীর নাই - পুরোটা এক তাল এটুলি বিটুলি বিকলি - কেবলি গোঙায় - গলে গলে গলে গলে গরে গলে যায় -
সে পড়ে থাকে মুসওয়ালি্ল সওয়ারীপনা গুজরান করে। বেহেশতী খোয়াবে মাতওয়ারা খুশবু চিক্কুরে একসময় হে পাক পরওয়ারদেগার .. মাবুদ তুমি রহম করো - মোনাজাতের জিম্মায় উদবুদ হয়ে যায়- ততক্ষনে ক্ষুনি্নবৃত্তির এন্তজাম এ আগুনের লাকড়ি জ্বলে ওঠে...
ক্যাভন বিবির মুখে ফুলরঙ নিংরায় - শরীরে তখনও ফট -ট টপ টফ টট শব্দে চোখ কচলায়-গরম ভাতের সুবাসও চিলম পায় না - আতরী রাতের শেষে আকাশে শুকতারা জ্বলজ্বল করে - জিকিরের বন্দেগিতে আর রোশনাই জ্বলে না - বন্দেগীরত লোকটাকে টাইমের ভাতি ঠাহর হয় - আহ রোসনলাল - তুই কিলা খুন রাঙালি -- খোয়াব নামে না, রোশনাই নামে না, ঝিল্লী নামে না কেবল গরমি ওঠে - ঝাড়িদার মুসওয়ালি্ল তার খোয়াব লুটে খেচে লুটে খেচে লুটে খেচে যাবে - অনন্ত আখেরী কাল আর তোমার নসীবে খালি - ক্যাভন বিবির চুলায় আর মন ধরে না-
জিকির অন্তে মোনাজাত তখন ঝুমবেলায় -ক্যাভন বিবি মুসওয়ালি্লর চোক্ষে আর লোল ছাড়া কিছু দেখেনা - মুসওয়ালি্লর সুরেলা গুনগুনানিতে সত্তর হুরের ঝিললি পালা চলে- ট্যানারি মোড়কা জেল্লাদার ক্যাভন বিবির কাছে বেহেশত আর বেহেশত ইয়াদ হয় না - তা সিকটা নানখাতাই খোপিআখানা । মোনাজাত শেষে মুসওয়ালি্ল তার দিকে চোখ ফেরায় - মুখে চলতাই হাসি রাঙিয়ে তার দিকে আসতে শুরু করে - ক্যাভন বিবি উনুনে চক্ষু মেলে- আগুনের আচ ততক্ষনে গরমী হাওয়া লুটাতে শুরু করেছে-

(সরল ঈমানদারদের জন্য ঈষৎ সরলীকৃত)

ঈমানদারদের জন্য শব্দানুসারিকা

ন্যাককিচুস : কৃপনতা
লমারিস : ধরা পড়া আলিঙ্গন
মান কিরে মড়মড়ি : ভালোবাসা
দুধকাল : প্রতূ্যষ (এখানে ভোরের এবং একই সাথে শৈশবের)
রোগেগো : উপভোগ
মুকখাল : বলা
মইনঅরি : ঋতুকাল
মসতিদার : তরু
নী মকর : বেশ্যা
বেহশইত : বেহেশতের জিনিষ পৃথিবীতে
হুর এ ভগলু : সুন্দরী পোষা কুকুরী
ইনসানি : মানবী
এটুলি বিটুলি : নরম কাদা
বিকলি : স্তন
চিলম : মজে যাওয়া
দো-তললী - বারাঙ্গনা
রোসনলাল - খুনি
সিকটা - এক
নানখাতাই - বারবনিতা
খোপিআখানা -এখানে পতিতা ও দুশ্চরিত্রাদের দ্বারা অবৈধ যৌনসম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দেয়া হয়
……………………………………………………
ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন
---------------------------------

পাত্তা লাগাইন -
নিমকি ছেনালি দেইখ্যা আর আর কত জল ভাসাইবেন-
ম্যালা ডিজাইন আছে -আছে নানান খোয়াব-
ঢাক গুঢ় গু ঢ় কইর্যা ছুপা রুস্তম এর গিলিট মারস
গুলতানি মারোছ বাহাত্তুরে বয়সে -
কি আর এমুন বাগড়া বয়স- টেপাটেপি আমেজে
এখুনও কাটে ঝিললি সময়-
চিকলিবাজির স্যাঙাৎ ডাকে চৈতনফক্কা চোয়ারে
ছ্যাঙরাকাল ওড়ে বাউলি ওভিসারে-
উজালা চাকুম উজালা চাকুম উঠতিবাজ মেঘ
নাইম্যা পড়ে কামরাঙা ষোড়শীর ইন্টেরিয়র
ডেকোরেশন রাঙাবে বলে...

.................

সোয়স্তির কুয়াশায় নিদ পায় ফক্কা
--------------------------------------------------------------
রাত কেবলি ভৈরবী বাজায়, নিদ খোয়াব বোনে না সোয়াস্তির কুয়াশায়...
নকদি ভালোবাসায় শরীর কাঁপে যেমন গামছাবাজ ফোক্করী আলাপনের ফেরেববাজী চোকরধান্দায়। হায় কিসওয়াদা খেচে যাওয়া মন আতরীবাজি করে অ্যাটুলি (তোষামুদে) ঝোম (ঝুম ঘোর) প্রিয় আড়িয়া বান্ধা ( মেয়ে খোজা) খেলায়।
খোয়াবে তো সে হামেশাই গুরমা ( সর্দার) সাঁজে, দুনিয়া তারই এত্তেলা সাজায়, জিন্দেগী সাল্তা (রিভলবার) তোলে বিটুড়ি (বুড়ো) আমেজে। নটটি (মানিব্যাগ) তো নেসিয়া ( পতিতালয়ের চাকর) - কেবলি ধান্দা ফোকে উতরেনেআ (ছিনিয়ে নেয়া) ঢল ঢলিয়া (মেয়েদের অন্তর্বাস) চুকুমদারীতে। কতদুর যায় বোলো ... বাগবাজারের (শূন্য) খেলা।
জলপানি (ভাবীকালের পতিতা) মেঙে কেটে যায় বন্দেগীর প্রহর... পড়ে থাকে ঝুনো এক ফক্কা।
……………………………………………………………………………

বিয়ে কেন টেকে : ম্যাটাল বাবুর বাসা ফিরতি পথের কিয়দংশক ভাবনা
------------------------------------------------------------------
ন্যেশ্বরী বোতলের শেষ মালটুকু চালান মেরেই চো চিক্কু(সুন্দরী) দ্যাখে সে -যেন প্রিন্টেড পোষ্টার ঝলকাইতেছে- ম্যাটাল বাবুর উঠতে ইচ্ছে হয় -তার চোখে ইলি্ল বিল্লী কাটে ঘাওবাজ হৃদয়ের আকুলি বিকুলি - তার ইচ্ছে হয় সে ... কোন কিচ্ছুই মুরতি ছাড়া রুপ পায় না - খেপমারা হৃদয় খিল্লী খোজে ঢোক গেলা চাকুমে (চুম্বন) - আহা কি রোশনাই , কি জেল্লা চাল্লুস মন তার চৈতন খুজে পায় না ট্যানারী মোড়ের আন্ধার ভাঙানো ঝাল ঝক্করির ঠ্যাংরা আলোয় তার বিছানায় বসে ক্যাভন বিবি উদম রাঁড়ির মতো স্থানুসেজে বসে থাকে - কোন যরে পরশ নিয়ে আসে বৈতালিক হাওয়া -নিজেকে ঝেড়ে ঝাপটে উটকো সময়ের উদোমাদা (উদ্দাম + মত্ত) হাতছানি থেকে ইনজিনকে সামাল দ্যান ম্যাটাল বাবু - চো েতার তার ক্যাভন বিবির ইসটিকুটুম এত্তেলা ইনটু - সিনটু (প্রেম প্রেম খেলা) - কিন্তু হায় খায়েশের মজলিস মনজিল খুজে পায় না - নিজের উপরেই চোয়াড়ে ওঠে - পাশ থেকে চৈতন বলে ওঠে গুড়গুড়িয়ে বাবু ম্যালা হলো - এবার তোমার ওভিসারী আয়েনায় পর্দা দ্যাও - ফিরে যাও - ফিরে যাওনিজেকে কত্তাভজা মনে হয় ম্যাটাল বাবুর - চিনড়িনিয়ে ওঠে বেখম্বাজ গলায় - ক্যানে বা ফিরবি সেই রদ্দি জায়গায়?চৈতন হড়বড়িয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে যায় - পেত্ত্যেকদিন যে মুলুকে যাই একদিন না গেলে অস্বস্তি হয়নিজেই আবার নিজের আনাংলায় (বাজে কথা) কচকচি কাটে- হ ক্যামুন জানি ফাঁকা ফাঁকা লাগেএই কারনেই বোধহয় বিয়েগুলো টেকে - ভাবতে ভাবতে ম্যাটাল বাবু ক্যাভন বিবির ভাবনায় নিজেকে আপতা আপতি বেধে রওয়ানা দেয় বান্ধা রাস্তায়-ওখানে বসে আছে আরেক গয়ংগচ্ছ গস্তানি (বান্ধা পতিতা)এটা কি দুস্তর কিংবা আলটপকা রাস্তা সে খেয়াল থাকে না
……………………………………………

আইজ খোয়াবের রাইতের শেষে :-
-----------------------------------------------------------------
বেশুমার লোগানের খুশবু ইন্তেজাম করে বাতিল মালের কারবারে - প্রেতাত্মারা গায়েবী চো েদ্যাখে যেন ইস্কাপনের টেক্কা আজো দুনিয়ায় সওয়ার, বুড়ো বাজীকর বাজীমাত করবে কোন দ্যাশের বাজিগর তারই হিসেব ইন্তেজমাল করতে পাঠায় খাস পেয়াদা - কে আর আজ নিদ মাঙে - আজ এই বন্দেগীর রাতে?

হা হা হা হা হা .. সব্বাই বুদ কেমুন নেশায় -বাজী পোড়ে, আতস জ্বলে কি জ্বলে না ঈমানদাররা তার এত্তেলা রাখে না -
জিন্দেগীর সকল ফরমান যেন মগজের মধ্যে পিষে রাখা লোল- দুই চুকোটর বেয়ে ঝর্ণার যুগল ধারার মতো নেমে আসে, অবদমনের আর্তনাদ - সুর ধ্বনিতে গচ্ছিত রাখে দুহাতের তালুর মধ্যে, চোখের সুরমা ততনে অশ্র অশ্রুতে সয়লাব - সবুজাভ পুতির দানায় নাম জপে যায় সর্বশক্তিমানের, মোসাহেব ফেরস্তা ডানায় বসে তোষামদের হিসেবের খাতায় কলম ধরে- শতকের কোঠা পার হয়ে হাজার ওঠে উদ্গত সম্মিলিত হাহাকার ধ্বনী- তারা আর এই জীবনের অবদমন হালাল করতে পারে না- পরওয়ারদেগার যেন বেহেশতের নহরে তার এই জিন্দেগীকে শাদী করান- লোভী মন বেমক্কওয়া মূখ ফসকে পেড়ে ফেলে খায়েশের তোবারক -

আহা কি পাপ অন্তরযামী তুমি মা করো আমরা তোমার পাপী বান্দা - তোমার ইচ্ছের অগোচরে তো কিছুই হয় না হে মাবুদ- তিনি অন্তর্যামী ইয়াদ রাখে না ইনসান- ভাবে বেফাস উচ্চারনে বেত্তমিজ খায়েসের স্খলনে ুতার চুদ্বয় থেকে জলের ধারা বয়ে আসে নিরন্তর- তুমিতো তাহাই রেখেছো আমাদের পুরস্কার হিসেবে - শেষ বিচারের দিনে সংযমের বদলাতো লাম্পট্যের অবাধ বিচরনেই নিহিত আর তুমিতো সর্বজ্ঞানী - তুমিতো জানো যা পুরস্কার তাহাই বাসনা - যার দৌলতে তোমার বান্দার হৃদয় অসাবধানী উচাটন হতেই পারেু
অকান্ত অশ্রুবর্ষনে তার মন শান্ত হয়- কে না জানে তিনি দয়ালু এবং মাশীল।
বান্দারা ইবাদতে কান্তি বোধ করে- কুপিত হয় নিজস্ব শারীরিক সীমাবদ্ধতায় -হায় মাবুদ - কেন চো েনিদ এসে ভর করে - কেন সুবেহ সাদিকের ফরসা রেখা এই পূন্যরাতের এবাদতী সওয়াব থেকে আমাদের বঞ্চিত করে - আহ আমরাও এতনে পৌছে যেতে পারতাম তোমার আরশের মণিকোটরে- যেখানে অফুরন্ত যৌবন সহস্রাধিক হেরেমের জৌলুশ নিয়ে ঝলমল করে-
বিশ্বাসীগনের চো েশেষরাতের খোয়াব আবার হানা দেয় - তাদের জিগিরের গোলামী ধ্বনি গুঞ্জন তোলে- দুএকজন নড়ে চড়ে বসে -হটাৎ চোখে নীদপড়া আলসেমী শরীরের ছন্দায়িত দোলায় তাড়িয়ে দিতে চায়- জিগিরের সুরেলা টানে তাদের লজ্জা মিশে যায়- সম্মিলনে একাকিত্বের পাপের বোঝা হৃদয় থেকে নেমে যায় - প্রত্যেকে একই আগাম লোভের পাপে দন্ডিত - এতগুলি বিশ্বাসীর মিলিত আহ্বান তিনি কি করে প্রত্যাখ্যান করবেন-
ফজর নতুন আশ্বাস নিয়ে আসে- চোখের নীচে জমে ওঠা কান্তি হটাৎ ঝরে পড়ে - মোয়াজ্জিনের সুরেলা মিহি ধ্বনি আসন্ন ভোরের হালকা শীতল বাতাসে ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে তাদের বুকের উপর থেকে জগদ্দ্ল পাথর গড়িয়ে পড়ে -
আসন্নদিনের আশীর্বাদ মেঘের শীতলতায় তাদের উপর দিয়ে বয়ে যায় - তারা আয়াতের হ্রষস্বরে রসে ভেসে যেতে থাকে -
বেহেস্ত এর নসিবী কপালের খোয়াবে...
ততনে আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে... ষোড়শীর কোমল বুকের আভাসের মতো।
………………………………………………………………

শনিবারের
----------------
ইনডোর গেমে চতুরঙ্গ নাটকের সপ্তম স্বর্গঅভিনিত হইবে.... রোজ শুক্রবার :রাত 12.01হুশিয়ার .....কেউকেটা আছেন যত মুখে মারেন কুটকচালনেটিপেটি বাদ্যি বাজান ড্যাশিং পুশিং দাত কেলানো মহারাজকিততিকলাপ ... ছ্যা ছ্যা মারা কুতকুতে ঐ ত্রিভুজ ফোড়াস্বপ্নমতির শুক্রবার ... ইনডোর গেমে জমবে মজাশ্রান্ত সকাল শনিবার ... …………………………………………………………………………….


মন্তব্য

ঝরাপাতা এর ছবি

আমার 'ট্যানারি মোড়ের ক্যাভন বিবির বেহেশ্ত দর্শন' বেশি ভালো লেগেছিলো। যতদূর মনে পড়ে প্রথমে আপনি শব্দগুলোর অর্থ দেননি পরে অর্থ সংযুক্ত করেন।
_______________________________________
পোড়াতে পোড়াতে ছাই, ওড়াতে ওড়াতে চলে যাই . . .


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আস্তপুরাণটা মনে হয় নতুন
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

কর্ণজয় এর ছবি

লেখাগুলোর পেছনে আর কিছু না থাকুক শ্রমের কমতি ছিল না...
আস্ত মেয়ের ব্লগের উপরে জ্বলজ্বল করতো ' ট্যান কার্ভ'
ওখান থেকেই আসে ট্যানারী মোড় আর ক্যাভন বিবির কনসেপ্ট...
ব্যক্তিগতভাবে এগুলো খারাপ নিশ্চয় কিন্তু আস্ত মেয়ে তো একটা কনসেপ্ট এর মতোই ছিল .. যেটার থেকে আর একটা কনসেপ্ট জন্ম নিতে পারে.. অন্তত তখন এরকম মনে হয়েছিল

কর্ণজয় এর ছবি

chokh era-e ghechilo tor ... etao ager lekha..

কর্ণজয় এর ছবি

ha.. jhorapata..
pore oneker comment poira kheal eshe ashlo.. ortho dea darkar

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

এখানেই প্রথম পড়লাম। অন্যরকম।
শব্দগুলো কোন ভাষার? বিভিন্ন ভাষার?

**************************
গাধারে সাবান দিয়া গোসল দেয়ানোটা গাধাপ্রীতির উজ্জ্বল নমুনা হতে পারে; তবে ফলাফল পূর্বেই অনুমান করা সম্ভব, গাধার চামড়ার ক্ষতি আর সাবানের অপচয়।

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

কর্ণজয় এর ছবি

পুরোটাই বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দ। তবে ভদ্র সমাজে নয় - বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মধ্যে ব্যবহৃত শব্দ, যেটা প্রকাশ্যে বলা হয় না... অনেকটা সান্ধ্য ভাষা বা ইংরেজীতে স্ল্যাং বলা যেতে পারে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।