'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি।'

আয়নামতি এর ছবি
লিখেছেন আয়নামতি [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৪/২০১৪ - ৪:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

" জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড" বহু ব্যবহারে এত ক্লিশে করে ফেলেছি এই বাক্যটাকে! কিন্তু কোনভাবেই তার সত্যিটাকে চাপা দিতে পারিনি। অপরাধ করে যখন অপরাধী পার পেয়ে যায় তখন হাতে পায়ে বাড়ে তার দোসর। রাষ্ট্র, সমাজ আর এই আমাদের মত হতভাগ্য বিশেষ করে নারীকূলের দিকে বিদ্রুপ করে যায় বার বার 'জাস্টিড ডিনাইডের' লোলুপতা। 'নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস রুখবোই' স্লোগান শব্দেই আঁটকে থাকে কেবল। অসহ্য একটা অস্হিরতায় ভুগছি একটা খবর পড়ে। খবরটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় হয়ত, রাষ্ট্র কিংবা সমাজের রথী মহারথীদের কাছে। আমি কেন তবে খুঁচিয়ে ঘা করবার চেষ্টা করছি? ক্ষত দেখলেই মাছিমন ভনভন করে! এসব ঘটনা তো এখন খুবই গা সয়ে গেছে আমাদের। আজকের রাশিফল কিংবা আবহাওয়ার খবরের মতই নিয়মিত ছাপার হরফে প্রকাশ পাচ্ছে । তবে রাশিফল কিংবা আবহাওয়ার খবরের মত অতটা গুরুত্ব পায় না বেচারা। সেকেণ্ড সেক্স বলে কথা! ওদের এত আশকরা দিতে আছে নাকি! ওদের জন্মই হয়েছে লালসার বস্তু হতে। পড়ে পড়ে মার খেতে। কিন্তু উহু! টু শব্দটি করা যাবে না। করলে ক্ষতিটা তোমারই। তুমি নিজেই কলঙ্কের কালিতে মাখামাখি হবে। তোমার নগ্নতা সহজ লোভ্য করে দেয়া হবে আমজনতার তরে। তোমার পরিবারের ভিটেতে ঘুঘু চড়ানো হবে। তারচে' 'চুপ করো শব্দহীন হও।'

অতএব বিকৃতমনোষ্ক খেলারামেরা খেলে যায় যার যার বৃত্তে। মাঠে, ঘাটে, রাস্তায় কোথায় ঘটছে না এমন 'মামুলি(!)' ঘটনাগুলো? ঘটনা দেখে শুনে ভাবতেও গা কাঁপছে এমন সময় হয়ত বা খুব দূরে না, যখন "ধর্ষণ" কারো কারো জন্য অবসরের বিনোদন হয়ে উঠবে! পশুর মধ্যে পাশবিকতা না থাকলেই বরং সেটা আশ্চর্যের বিষয়। কিন্তু মানুষের ভেতরে বিশেষ করে শিক্ষকতার মত একটা মহান পেশায় জড়িত মানুষ নামের প্রাণীগুলোর মধ্যে যখন এমন প্রবণতা দেখি লজ্জায়, ঘৃণায় শান্ত রক্তে খুনের নেশা জাগে। পরিমলের কথা মনে আছে? দেশ জুড়ে আমরা সোচ্চার হয়েছিলাম মানুষ নামের ঐ নরপশুটার শাস্তির দাবীতে। সেসব দাবী হালে পানি পায়নি তেমন। 'জাস্টিজ ডিনাইডের' এই আশকারায় কার লাভ হয়েছে? লাভ হয়েছে একমাত্র পরিমল এবং তার মত বিকৃত মানসিকতার পশুগুলোর। যে কারণে এখনো ঘটে চলেছে শিক্ষাঙ্গনের মত পবিত্র জায়গায় শিক্ষক নামের মহান মানুষের(?) হাত দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীর জীবনকে দুর্বিষহ করে দেবার মত ঘটনা।

কিছুদিন আগের একটা বাসি খবর পড়ে আমি এতটাই অস্বস্তিবোধ করেছি-করছি কী বলবো! এ কোন সমাজে বসাবাস আমাদের? কাদের হাতে নিশ্চিন্তে ছেড়ে দিচ্ছি আমাদের সন্তানদের শিক্ষাদানের দায়িত্ব? এরা ঠিক কতটা মানুষ? শিক্ষক না হয়ে এসব বিকৃতমনাদের হাতে চাপাতি ধরিয়ে দিলে এরা তো হাসতে হাসতে মানুষ খুন করতে পারে! কষাইখানাতে এদের নিয়োগ না দিয়ে কেন এমন পেশায় যুক্ত করা হয় যে পেশার যোগ্যই এরা না? একটা বিদ্যালয় আর বেশ্যাখানার মধ্যে ফারাক করবার জ্ঞান যাদের নেই তারা শিক্ষক হবার যোগ্য হয় কোন অধিকারে??
ভাবতে পারা যায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া একটি মেয়েকে দীর্ঘ একটা বছর ধরে দুইজন পশু(শিক্ষক) ধর্ষণ করে এসেছে ভাগাভাগি করে? ছোট্ট ঐ বোনটা তো এখনো তার শৈশবই পার করতে পারেনি, এখনি তাকে জীবনের এই বিভৎস রূপ দেখে ফেলতে হলো! কেমন কেটেছে-কাটছে তার প্রতিটা দিন রাত্রি? সেটা অনুভবের ক্ষমতা আছে আমাদের? আমরা কেবল অনুমান করতে পারি তার যাতনা, অসহ্য বেদনা আর প্রতিবাদ না করতে পারার অসহায়ত্ব!

পরিমলের যদি দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্হা করা যেতো তবে হয়ত অনেক পরিমলই এভাবে মেয়েগুলোর জীবন দুর্বিষহ করার সাহস পেতো না। কিন্তু রাষ্ট্র তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিসিএস ক্যাডারে সেই পাপীষ্ঠ পরিমল নিয়োগ পেয়েছে কিনা আমার জানা নাই। যেখানেই সে থাকুক, আবার তার ব্যাপারে চাপা পড়ে যাওয়া বিচারের ব্যবস্হা নেয়া হোক। বিবেকের তাড়নায় রাজা ইডিপাসের মত অসৎ চরিত্রের এইসব পরিমলেরা কখনোই নিজেদের শাস্তি দেবার সৎ সাহস রাখে না। রাষ্ট্রকে নিতে হবে সে সাহসী এবং কঠোর উদ্যোগ। এদের ফাঁসির দড়িতে ঝোলাতে হবে। এমন শাস্তিই এই ঘৃণ্য পাপের একমাত্র এবং যোগ্য বিচার হওয়া উচিৎ। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রীসহ আরো অনেক নারীই রাষ্ট্রীয় ভাবে উঁচু পর্যায়ে আছেন; সেদেশের নারীদের প্রতি এসব সন্ত্রাস রুখতে ব্যর্থ হবার দায় ইতিহাস মনে রাখবে। এমন ব্যর্থতা ক্ষমা করবে না আগামি প্রজন্মও। সন্ত্রাস/ধর্ষণের মত অত্যাচারের স্বীকার শিশুরা একটা আশাহত বিষন্ন ভবিষ্যৎ ছাড়া আর কিছু দিতে সক্ষম হবে না; এমনটা আশা করাও অন্যায়। অন্যায় মুখ বুঁজে সয়ে যাওয়া যদি অপরাধ হয়, তবে কেন তাদের সাথে হয়ে যাওয়া অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করে তাদের সে দায়ভার থেকে মুক্তি দেয়া হবে না! এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেবার সময় এসে গেছে। দয়া করে আর সময়ক্ষেপণ করবেন না। ধর্ষণের এই বিকৃত উৎসব বন্ধের লক্ষ্যে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদানে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগে সর্তকতা নেয়া প্রয়োজন। সম্ভব হলে একেবারেই নিয়োগ দেয়া না হোক তাদের। বেশি বেশি নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যেতে পারে। মোট কথা শিক্ষক নামের এইসব পশুগুলোকে কোনভাবেই ছাড় দেবার পক্ষে নই আমি। ক্ষত ঢাকতে ঢাকতে একদিন সমস্ত শরীরটাতে পচন ধরে যাবে যদি এখনি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়া হয়। মুখ বুজে থাকা দুর্বিষহ জীবন বয়ে বেড়ানো সমস্ত বোনেদের হয়ে আজকে এই দাবী জোরগলায় করে যাচ্ছি, অনেক হয়েছে! আর নয়। পরিমলসহ ধর্ষণের সাথে জড়িত সকল পশু শিক্ষকের ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই!

সূত্র:
সেই তুচ্ছ খবরের লিংকটি!


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

আমাদের দেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এখন ২৮ লাখ। বিচারকদের সংখ্যা সে অনুপাতে খুবই কম। সুতরাং মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আমাদের প্রায় নিয়তি নির্ধারিত। এইসব মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে তোলা উচিৎ। ধর্ষকের পরিচয়সহ এই সকল মামলার ফলোআপ মিডিয়াতে নিয়মিত আসা উচিৎ। আর আমার যদি ব্যক্তিগতভাবে এইসব কুলাঙ্গারদের শাস্তি দেওয়ার সুযোগ থাকত তাহলে বলতাম "ও'কে চাব্‌কে সোজা কর"।

গোঁসাইবাবু

তিথীডোর এর ছবি

চাব্‌কে সোজা কর

শুধু চাবুক? এটুকুই?

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

ওটা জয় গোস্বামীর একটা কবিতা থেকে কোট করেছিলাম। আর চাবকাতে চাবকাতে কিন্তু ছাল-চামড়া তুলে ফেলা যায়। আরো একটা 'অবসিন' শাস্তির কথা মাথায় ছিল যেটা উল্লেখ করিনি।

গোঁসাইবাবু

আয়নামতি এর ছবি

চাবুক'টা আসলে ঘুমিয়ে থাকা জাতির বিবেককেই মারা দরকার!

আয়নামতি এর ছবি

বিচারকের অপ্রতুলতার অজুহাতে এমন জঘন্য অপরাধীদের শাস্তির বিধান চাপা পড়ে যাওয়ার মাশুল যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দিতে না হয় সে কামনা।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

খুবই দুঃখজনক ঘটনা।

পুরুষ শিক্ষক নিয়োগে সর্তকতা নেয়া প্রয়োজন।

-একমত

সম্ভব হলে একেবারেই নিয়োগ দেয়া না হোক তাদের।

-ঢালাও হয়ে গেল না?

আমি যতদূর জানি, সরকারি প্রাথমিক স্কুলে নিয়েগে নারী প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন। (এবং অনেক পদের ক্ষেত্রে ন্যুনতম শিক্ষাগত যোগ‌্যতা নারী প্রার্থীদের জন্য কম রাখা হয় যাতে বেশি নারী আবেদন করতে পারেন)

খবরটা পড়ে আসলাম, সেখানে লেখা:

প্রশান্ত কুমার ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলায় এর আগে দুটি স্কুল থেকে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

-এটা কি করে সম্ভব হয়? কেন আগের চাকরিগুলো গেল, সেটা জানার প্রয়োজনও কেউ বোধ করল না?

এক লহমা এর ছবি

প্রতিটি মন্তব্যর সাথে সহমত।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

সবাইকে এক পাল্লায় মাপতে আমি মোটেও রাজী নই। তবুও ঢালাও ভাবে লিখে ফেলেছি রাগকে সামাল না দিতে পারার অক্ষমতায়, দুঃখিত। একজন প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের মানদণ্ড দেশে ঠিক কেমন আমার জানা নাই। তবে সেটা যে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্হায় নাই তা এমন সব ঘটনাগুলো জানান দিয়ে যায় বার বার।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি।'

চলুক

আয়নামতি এর ছবি

হুদাই চেঁচিয়ে যাওয়া হয়ত মন খারাপ

এক লহমা এর ছবি

চলুক
হ্যাঁ বিচারে বিলম্ব হওয়ার অর্থ বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া, যার অবধারিত ফল অপরাধের অনায়াস বৃদ্ধি পাওয়া।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

আয়নামতি এর ছবি

বিলম্ব শব্দের সাথে অপেক্ষা আর আশা'র বসবাস। এসব ঘটনায় আশার বাসা বাঁধতে দেয়া হচ্ছে কোথায়!
তবুও ইকোটা যদি কোনভাবে পৌঁছায়...

সুবোধ অবোধ এর ছবি

মন খারাপ
আমার মতে ধর্ষণের শাস্তি একটাই -পুরুষাঙ্গ কর্তন!!! তারপর নাহয় ওই কুলাঙ্গার বেঁচে থাকুক!!!!!

আয়নামতি এর ছবি

বিশেষ ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমে এদের ফাঁসিই দেয়া দরকার। অঙ্গহানিতে এদের শিক্ষা হবে বলে মনে হয় না।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

তাও তো এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এরকম আরো কত ঘটনা নীরবে ঘটে যাচ্ছে সেটা কি আমরা জানি? পথে ঘাটে তো দূরে থাক, শিক্ষায়তনের মত পবিত্র জায়গায়ও আমরা আমাদের শিশুদেরই নিরাপত্তা দিতে পারছি না!!!

সেদিন অস্ট্রেলিয়ার প্রি-স্কুল, প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকতার যোগ্যতা ইত্যাদি দেখছিলাম। এক জায়গায় দেখি প্রার্থীর সারা জীবনের ইতিহাস খতিয়ে দেখার কথা আছে, সে নিজে কখনো নির্মম ঘটনার মধ্যে দিয়ে এসেছে কি না, পরিবারে কোন সহিংসতা, যৌন নিপীড়ন বা "অ্যবিউজের ঘটনা আছে কিনা, সে নিজে এগুলো কোনটার শিকার কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি হাজার রকমের ভেরিফিকেশন। মনে হলো হ্যাঁ, আমরা যাদের হাতে আমাদের শিশুদেরকে ছেড়ে দিচ্ছি, তাদেরকে তো আসলেই খুব ভালো করে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে দেখতে হবে যে তারা আসলেই মানুষ নাকি দো-পেয়ে দানব!!

এমন একটা লেখার জন্য উত্তম জাঝা!

____________________________

আয়নামতি এর ছবি

খুব সত্যি কথা, আমরা হয়ত খুব সামান্যই জানতে পারছি, বেশিরভাগটাই চাপা পড়ে থাকে লজ্জা, সামাজিক বাধা ইত্যাদির নীচে। এটুকু জেনেই অসুস্হবোধ করি বাকীটুকু জানবার সাহস রাখিনা তাই মন খারাপ

হুম শিশুদের বিশেষ করে নারীশিশুদের শিক্ষাদানের ব্যাপারে উন্নত দেশগুলোতে ভীষণরকমের খোঁজখবরের ভিত্তিতেই নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সেখানে মামার গন্ধে মামী'র বালাই নেই, নেই নিজের চরিত্র ফুলের মত পবিত্রের মৌখিক মূল্যায়ন। আহা এমন ব্যবস্হা আমাদের দেশে কবে নেয়া হবে, কবে???

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কী ভয়াবহ একটা ঘটনা!! এক বছর ধরে ঘটিয়ে গেছে এই ঘটনা!! আজব একটা দেশে বাস করছি আমরা।

আমি জানি সব পুরুষ শিক্ষককে ঢালাওভাবে দায়ী করা উচিত না। বদমাশদের সংখ্যা খুবই কম। হয়তো এরকম শিক্ষকের সংখ্যা দশমিকের এক শতাংশও নয়, তবু এই ঘটনা প্রমাণ করে বাচ্চা বাচ্চা মেয়েরাও আজকাল এইসব পশুদের কাছ থেকে নিরাপদ না। অনেককে দেখেছি এমনকি সাত বছরের কন্যার জন্যও পুরুষ শিক্ষক রাখতে ভরসা পায় না। জানোয়ারের চেয়েও কত অধম এই সকল মানুষ নামের কলংক।

এই দুই বদমাশের কী শাস্তি হবে আমি জানি না, আদৌ বাকীজন ধরা পড়বে কিনা জানি না। কিন্তু এসব দেখে শুনে মনে হয় মাঝে মাঝে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দরকার। ক্ষমতা থাকলে আমি ওই দুই শিক্ষককে নিজের হাতে খুন করতাম।
আসল কথা হলো, পরিমলদের শাস্তি না হওয়ার ফলাফল এইসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আয়নামতি এর ছবি

খুব আশা করতে ইচ্ছে করে এসব জঘন্য অপরাধের শাস্তি হবে...পরিমল থেকে শুরু করে সবগুলোকে ঝুলিয়ে দেয়া হবে।
দুরাশাই হয়ত...আমার ছোট ভাই বোনগুলো কিংবা আমার অনাগত সন্তানেরা নির্মল-সুন্দর, অসহ্য নোংরা থাবাহীন একটা
পরিবেশে বেড়ে ওঠবার অধিকারটুকু তো পেতেই পারে। পারে না???

দীনহিন এর ছবি

প্রতিবাদী লেখাটার দরকার ছিল, আয়নামতি!

ধর্ষণের এই বিকৃত উৎসব বন্ধের লক্ষ্যে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাদানে পুরুষ শিক্ষক নিয়োগে সর্তকতা নেয়া প্রয়োজন।

সতর্কতা কিভাবে নেয়া যেতে পারে? সে ব্যাপারে আপনার কোন অভিমত আছে, আয়নামতি?
নিয়োগ পরীক্ষায় তারা লালসাটুকু ঠিকই গোপন করতে সক্ষম হবে বলে আমার বিশ্বাস, তাহলে কিভাবে রুখব আমরা লুল পুরুষ শিক্ষকদের?

সম্ভব হলে একেবারেই নিয়োগ দেয়া না হোক তাদের।

কিছু লুল শিক্ষকদের জন্য সব পুরষ শিক্ষককেই দুর্ভাগ্য বরণ করতে বলছেন? ব্যাপারটি ভাল দেখাবে? "লিঙ্গ বৈষম্য" হয়ে যাবে না ?

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

আয়নামতি এর ছবি

সতর্কতা নিয়ে ভাববেন এক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞেরা। আমি শুধু ক্ষোভটুকু প্রকাশ করেছি ভাই।
হা হা নিয়োগ পরিক্ষায় তো এমন বোকামি করতে যাবেনা কেউ। অতীত রেকর্ডই বলে দেবে আমার ক্রিয়াকর্ম(অবশ্য যদি রেকর্ড করা হয় তো) তবে আমি মনে করি দেশের শহর/জেলার প্রতিটা স্কুলের নিজ দায়িত্বেই ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ আছে কিনা নিদির্ষ্ট কোন শিক্ষিক বা কোন ব্যাপারে তা নিয়ে বসা যেতে পারে। এতে করে হয়ত বেরিয়ে আসতে পারে অন্যায় অনাচারের কথা। এসব যদিও সময় সাপেক্ষ বিষয় তারপরও ইচ্ছা থাকলে কি না হয়! ' দ্যা হান্ট' মুভিটিতে একটা মিথ্যা অপবাদে স্কুল শিক্ষকটার জীবনটা কেমন এলোমেলো হয় গেলো ...আমাদের হয় ঠিক তার উল্টো!

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যাপারটা কেবল অক্ষরেই থাকবে বোধ করি…

আয়নামতি এর ছবি

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যাপারটা কেবল অক্ষরেই থাকবে বোধ করি…

তারপরও চেঁচিয়ে যেতে হবে আপনাকে, আমাকে-আমাদের!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বিবমিষা আসে শুধু
আর সবকিছু ধু ধু

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

আয়নামতি এর ছবি

আমাদের আগামি প্রজন্মকে এমন ধু ধু প্রান্তরে ছেড়ে যেতে মন চাইবে???

দেব প্রসাদ দেবু এর ছবি

ওফ্‌! জঘন্য!! অসুস্থ বিকৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কি দিন দিন? দমবন্ধ লাগছে লিংঙ্ক এবং লেখাটি পড়ার পর।

আয়নামতি এর ছবি

দেবুদা, এমন কত ঘটনা যে আমাদের চোখ এড়িয়ে থাকে ভাবতে গেলে দমবন্ধ হয়ে আসে।
এই ঘটনা পড়ার পর এর চেয়েও জঘন্য কিছু ঘটনার উদাহরণ জানাতে আগ্রহী ফ্রেণ্ডকে তিরোস্কার করে থামিয়েছি।
অন্ধ হলেই কী প্রলয় বন্ধ হয়!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
গুরুত্বপূর্ণ লেখা। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কি হবে এইসব নরপশুদের? হবে না, অল্পদিনে আমরা ভুলে যাব এই ঘটনাটি, তারপর আবার ঘটবে আবার ভুলব আবার ঘটবে... ...
প্রতিদিন যে পরিমাণ ধর্ষণের ঘটনা পেপারে আসে তারচেয়েও বেশী ঘটে বাস্তবে ...কয়টার বিচার হয়, এমন বিচার যাতে অন্য কেউ ধর্ষণের কথা চিন্তা করলেও ভয়ে কেঁপে উঠে... হয়না... তাই ধর্ষণ করে শিক্ষক থেকে শুরু করে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পর্যন্ত... দিনদিন আমরা একটা অসুস্থ জাতিতে পরিণত হতে যাচ্ছি...

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

আয়নামতি এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ কিনা জানিনা রে আরজু, তবে আমার কেমন ভয় করে ভবিষ্যতের কথা ভাবতে।
একমাত্র কাজিনকে এখন প্রতি সপ্তাহে ফোন করি। ওর স্কুল-কোচিং এসব নিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাই।
ভীষণ হতাশ হই এই জায়গাটা নিয়ে। পৃথিবীর আরো কিছু অসভ্য দেশের মত আমরাও এখানটাতে অনেক পিছিয়ে আছি...

আয়নামতি এর ছবি

বমি পাবার মতই আপু!

রানা মেহের এর ছবি

বমি পেয়ে গেল ঘটনাটা পড়ে

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।