গ্রেফতার পরবর্তী আপডেট

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: সোম, ১৬/০৭/২০০৭ - ১১:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গার্ডিয়ান পত্রিকার প্রতিবেদনের উপসংহারে বলছে,

Critics say Bangladesh used to be the world's second-largest Muslim democracy, after Indonesia. But after the bloodless coup it is turning into the world's second-largest military regime, after Pakistan.
বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এই বেহাল অবস্থার জন্য কাদের লোলুপ ক্ষমতালিপ্সা কাজ করেছে তা গত দু বছরের ইতিহাস ঘাটলেই দেখা যাবে। বাংলাদেশ হাটছে পাকিস্তানের পথে। গনতন্ত্র হবে নিয়ন্ত্রিত। সামরিক ছাউনি থেকে নির্দেশিত। সামরিক গোয়েন্দাদের কার্যক্রম নিয়ে শেখ হাসিনার সর্বশেষ উক্তি পর্দার আড়ালের মুখোশ খুলে দিয়েছিল। স্বভাবতই সামরিক সরকার এতে শংকিত হয়েছিল। এখন তাকে অন্তরীণ করে দ্রুত গতিতে এগোবে সংস্কার। শুরু হবে সর্বদলীয় জাতীয সরকার কাঠামো। দেশের উন্নয়ন হবে ইন্দোনেশিয়া বা থাইল্যান্ড মার্কা। হায়রে গণতন্ত্র। বারবার নুর হোসেনের গণতন্ত্রের স্বপ্ন সামরিক জান্তার বুটের নীচে নিস্পেশিত হয়। পাকিস্তানের পরে বাংলাদেশ এখন নাম লিখাচ্ছে সামরিক জান্তার অধীনে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলমান দেশ হিসেবে।

শেখ হাসিনার গ্রেফতার নিয়ে দেশী ভয়েসে যোগ করা হয়েছে নতুন নতুন আপডেট। এর মধ্যে আছে গ্রেফতারের আগে শেখ হাসিনার লেখা চিঠি, এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাক্ষাতকার। ব্লগ ও সংবাদ মাধ্যমের সর্বশেষ আপডেট যোগ করা হয়েছে।


মন্তব্য

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

অবস্থাদৃষ্টে মনে হইতেছে পূর্বের যুদ্ধের সময়কার সবচাইতে বড় হন্তাকারকের পুত্রই আমাদের ভাগ্যনিয়ন্তা হইয়া উঠিয়াছে, স্মৃতিসৌধের কাছে থাকিয়া, জলপাই কাপড় পরিয়া। আমাদিগকে উর্দু চর্চা করিতে হইবে, বাংলা ব্লগে আর লিখিবার প্রয়োজন নাই। পাকিপ্রেমীরা তো আছেই, তাহারা এমনিতেই আমাদিগকে এস্থান হইতে বহিষ্কার করিয়াছে, এণে আমরা নিজেরাই চলিয়া যাইব, আহ্ পাক্, উহ্ পাক্, আদপে না-পাক্ । অনেকে মিষ্টান্ন বিতরণ করিয়াছে, পিতৃপরিচয়হীন কূল সকল সময়েই সুনির্দিষ্ট পরিচয়যুক্ত মনুষ্যকূলের বিপর্যয়ে সুখী হইয়াছে, ইহা নতুন কিছু নহে। জলপাই এর ভয়ে টকে অনেকেই অনেককিছু করিয়া থাকে (আমি যেমনতরো কোডে লিখিতেছি) হর্ষের কথা হইলো এই - মধ্যবয়স্ক ছত্রিশ বছরের নারী জীবনের পনেরো বছর কাটাইয়াছে উর্দি তলে, দশ বছর পাকিপ্রেমীদের তত্ত্বাবধানে, বেদ্বীনদের সাথে সে মাত্র বছর দশেক অতিবাহিত করিয়াছে, তার মাঝে মাত্র পাঁচ বৎসরকাল নওরতন বিবির সহিত। তথাপিও নওরতন বিবির স্কন্ধে সকল দোষ চাপাইয়া আমরা আনন্দে ভাসিতেছি বঙ্গোপসাগরের জলে, পাকিদের গুহ্যদ্বার চাটিবার উল্লাসে। এত নক্শা করিবার প্রয়োজন কি? বলিলেই হয় পাক্ পাক্ দিল চাই, উর্দু বলিতে চাই, জিন্নাহ টুপি চাই, বিকৃত কামেচ্ছা মিটানোর তরে ‘পূর্ণিমা’ চাই। আর ভালো বোধ করি না। আমাদিগের বিচার, যে দিকে স্বরেঅকার....

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অতিথির কমেন্টেটা বির্তক সৃষ্টা করতে পারে। তবু আমার আপত্তিকর মনে হয়নি মনে প্রকাশিত করলাম।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

উৎস এর ছবি

আজকে মাহফুজ আনামের এই কমেন্টারীটা পড়লাম। অনেকদিন পর একটা মনের মত লেখা দেখলাম। সমস্যা হচ্ছে আমাদের মিডলক্লাস এই বক্তব্য মনে মনে বিশ্বাস করা থেকে এখনও অনেক দুরে। মুখে গনতন্ত্র আমরা বলি ঠিকই, কিন্তু হৃদয়ে এখনও মধ্যযুগেই আছি। আর্মিদের আর কি দোষ দেব ...

We would like to strongly suggest that this is no way to strengthen democracy. Just as 'command economy' failed so will 'command politics'. The core of democracy is people's right to choose their leaders and those who will represent them in the government. We accept that we made some bad choices in the past. We accept that our leaders, including Sheikh Hasina and Khaleda Zia, betrayed our trust in many cases and over many years. We also agree that we got tired and fed up with confrontational and destructive politics and that we all yearned for a change. But we never agreed to bargain our democracy for 'knights in shining armour' to save us from dire straits.

আড্ডাবাজ এর ছবি

এভাবেই আমরা জলপাই মামাদের জন্য সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছি। তারা হচ্ছে অবিসংবাদিত ত্রাতা। তাদের ছাড়া উপায় নেই। গনতন্ত্র ব্যর্থ তাই এখন থেকে আমরা মিলেমিশে দেশ চালাব। ঐক্যমতের ভিত্তিতে। দল নেই। নেতা নেই। সব এক সারিতে। ব্যয়বহুল মস্তিস্কবিহীন রোবটদের স্বাগত জানাই। সামরিক বাহিনীর হাতে আর যা আসুক গণতন্ত্র আসে না। ইতিহাস সাক্ষী। আমরা শুধু দেখব ইতিহাসের সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতির দিকে আমরা কিভাবে এগোচ্ছি...।

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

বাংলাদেশে এই চক্র চলতেই থাকবে যতদিন দেশের মানুষের মানসিকতা পরিবর্তন না হয়।

উৎস এর ছবি

'knights in shining armour' কথাটা খুব ভালো লাগলো। আমাদের মত ডান্ডা ভক্ত জাতির একরমই হওয়া উচিত।

আড্ডাবাজ এর ছবি

না, উৎস ডান্ডা ভক্ত হলে এই দেশ এখনও পরাধীন থাকতো। স্বাধীন হতো না। এই দেশ বহুবছর ডান্ডার বাড়িতে চলেছে, তাতে লাভ কিছু হয়নি। গণতন্ত্রকে সবসময়ই প্রভাবিত করা হয়েছে। এর গতিকে রুদ্ধ করা হয়েছে। এই বন্ধ্যাত্ম থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হাসিনা-খালেদা কেউই যোগফলে জনগণের জন্য কিছু করে নি। এটা তাদের ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতার দায়ভার নিতেই হবে। তারা কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয়। হাসিনা-খালেদা জেলে গেলে সাধারণ মানুষ অখুশী হবে না। এবং এই পরিস্থিতিটাকেই ব্যবহার করছে জলাপাইরা।

জলপাইদের বাঁশ খেতে খেতে দীর্ঘশ্বাস ছাড়তে হবে। সেই বাঁশে অতিষ্ট হয়ে হয়তো আবারো হাসিনা-খালেদারা হিরো হয়ে উঠবে। সাধারণ মানুষের তাতে ভালো কিছু হবে না। এই লুপ থেকে বেরোনোর উপায়ও জানা নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আড্ডাবাজ এর ছবি

হক কথা বলেছেন বলাই। উপায় বের করতে হবে কবিরাজের কাছ থেকে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।