যুদ্ধাপরাধ নিয়ে ড: ফখরুদ্দীনের দ্বন্দ্ব?

আড্ডাবাজ এর ছবি
লিখেছেন আড্ডাবাজ (তারিখ: বুধ, ৩১/১০/২০০৭ - ৯:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেস্টা ড: ফখরুদ্দীন আহমেদ যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করার উপায় নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন।? আজকে বিডি নিউজে দেখলাম,

ঢাকা, অক্টোবর ৩১ (বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম)- যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ। বুধবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছেন, "যুদ্ধাপরাধীদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। কিন্তু কে বা কারা যুদ্ধাপরাধী, তা কি ভাবে নির্ণয় হবে।

না, হান্নান-মুজাহিদ এদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যে কটাক্ষ করল, অস্বীকার করল তা নিযে তার কোন মন্তব্য নেই। দেশে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ঝড় চলছে, তা নিয়েও তার কোন বক্তব্য নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে তার সরকারের কি কোন উদ্যোগ আছে? হাজার হাজার কোটি টাকা যারা পাচার করেছে তাদেরকে জেলের বাইরে রাখার জন্য তো উদ্যোগের কোন অভাব দেখি না। তার আশংকা কিভাবে যুদ্ধাপরাধীদেরকে সনাক্ত করা হবে তা নিয়ে? সেই দায়িত্ব যারা মুক্তিযোদ্ধা, আইনবিদ আর স্বজনহারা তাদের জন্য রেখে দিলে হয় না? হায়রে অভাগা বাংলাদেশ!!! যাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে স্বাধীনতার সূর্য জ্বলল তাদেরকে অস্বীকার করতে কতো ছলাকলা? নিমকহারামিরও একটা মাত্রা থাকে। এই দেশে কোন কিছুতে কোন মাত্রা নেই।

এই দেশে যাদের জন্ম আর এদেশের জন্ম নিয়ে যাদের মনে কোন সন্দেহ আর দ্বন্দ্ব নেই, তাদের মনে যুদ্ধাপরাধ, মুক্তিযুদ্ধ আর স্বাধীনতা নিয়েও কোন সন্দেহ বসবাস করে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশীভয়েসে প্রকাশিত ড: আবদুল মোমেনের লেখা পড়ার জন্য ড: ফখরুদ্দীনকে আহবান জানাই। তাকে বেলজিয়াম প্রবাসী মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ব্যরিস্টার জিয়াউদ্দীন আহমেদের জাস্টিস আফটার জেনোসাইড লেখাটা পড়তেও আহবান জানাব। কিন্তু যে জেনেও জানতে চায় না বুঝতে চায় না, তাকে কোন লেখা দিয়ে তিরিশ লাখ প্রাণের মূল্য বুঝানো যাবে?


মন্তব্য

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

কাদের মোল্লার বক্তব্য কেউ পড়েছেন। ছাপিয়েছে মঈনুলের পত্রিকা। সুতরাং বিরাট এক খেলা চলছে। সাধু সাবধান!!!

কেউ সুন্দরী নারীর লোভে, কেউ ভারতীয় স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে যায় ঃ. কাদের মোল্লা

।। ইত্তেফাক রিপোর্ট ।।

জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেছেন, কেউ সুন্দরী নারীর লোভে, কেউ হিন্দুর সম্পদ লুক্তন, কেউ ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কেউই আন্তরিকতা কিংবা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। অনেকেই ভারতের অখণ্ডতার সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন। এই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পতাকাতলে বেশ কিছু জাতীয় বেইমান ও বিশ্বাসঘাতক আশ্রয় নিয়েছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “চাচার কবর কৈ আর চাচী কান্দে কৈ!” তিনি বলেন, কতিপয় রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা না করে নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি রাজনৈতিক দল বাতিলের দাবি তুলেছে। তারা জানে না বাংলাদেশে ধর্মবিরোধীদের কোন ঠাঁই নেই। যারাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তারাই নির্বংশ হয়ে যাবে।

গতকাল মঙ্গলবার খতিব উবায়দুল হকের কর্মময় জীবনের ওপর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধীঃ জামায়াতের বক্তব্য

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত হওয়া ও ক্ষমার বিষয়টি রাতারাতি বা গোপনে হয়নি।

ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা ও দেশে ফেরত পাঠানো ছিল দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও আলোচনার ফল এবং সব কিছুই ছিল প্রকাশ্য। ক্ষমা ঘোষণার এই দলিলে স্বাক্ষরকারী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজিজ আহমদ বেঁচে না থাকলেও বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এখনও বেঁচে আছেন।

তৎকালীন সরকারের তদন্তানুসারে যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা ছিল ১৯৫ জন। এর বাইরে আর কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। তবে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্তরা এর আওতার বাইরে ছিল। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও মরহুম শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। এ সময় জামায়াত নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের কোন মামলা হয়নি, এমনকি জিডিও হয়নি। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট তদানীন্তন নেতা ও কর্মীবৃন্দ এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না।
-----------------------------------------------
খড়বিচালি জোগাড় করি, ঘর বানাবো আসমানে

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

ভাস্কর এর ছবি

আওয়ামি লীগের ব্যর্থতা বা রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির দায় এখন জনগণের উপর চাপাইতে চায় জামায়াত...এই রাজনৈতিক ফ্যালাসীরে প্রতিরোধ করতে হইবো...৭৩'এর নির্বাচনে আওয়ামি লীগরে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আইনা দেশ তাগো হাতে বিক্রি কইরা দেয় নাই সাধারন মানুষ।

আওয়ামি লীগ যুদ্ধাপরাধের বিচার করে নাই বইলা সেইটা আর অপরাধ নাই এই বিবেচনা একটা বিভ্রান্তিকর উপস্থাপন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...


স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

আড্ডাবাজ এর ছবি

এইবার যেই আগুণ হান্নান-মুজাহিদ খোঁচায়ে জালাইল, এটারে নিভতে দেয়া যাবে না যতক্ষণ এইসব ঘাতক রাজাকাররা না জলে...।

সুজন চৌধুরী এর ছবি

ঠিক।
____________________________
লাল গানে নীল সুর হাসি হাসি গন্ধ......

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অতীতে বহুবার দেখা গেছে... কোনো একটা কিছু নিয়া আন্দোলন শুরু হইলে সেইটারে দিগভ্রান্ত করার জন্য অন্য একটা রাষ্ট্রীয় ইসু্ তোলা হইছে। বা কৃত্রিম কোনো বড় দূর্ঘটনা ঘটানো হইছে... যাতে জনগনের মনবিচু্যতি ঘটে। এইবার সেইটারে উৎরাইতে হইবো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধ্রুব হাসান এর ছবি

যতদিন না যুদ্ধাপরাধী বেজন্মাদের বিচার হবে ততোদিন মাঝে মাঝেই লগি, বৈঠা, এমনকি হাতের কবজি দিয়ে জনসম্মুখে পিঠিয়ে হত্যা করা হবে ঐ বেজন্মাদের......এতে মানবাধিকার লঙ্গিত হলেও আমার হাত এবং মস্তিষ্ক ব্যথিত কিংবা দুঃখিত হবেনা এতটুকুও, কারণ একাত্তুরের মানবাধিকার লংগন আমার অনুভূতি অবশ করে রেখেছে আগেই। সেই পাপের বিচার ছাড়া নতুন, সমৃদ্ধ ও শান্তির বাংলাদেশ -চিন্তা করাই গুরুতর অপরাধ! জয়বাংলা!!

দ্রোহী এর ছবি

ফকরুদ্দিন, আইজুদ্দিন সবই একজাতের শিয়াল। হোগামারায় ব্যথা না লাগলে স্বীকার করবে না যে হোগামারা খাইছে।


কি মাঝি? ডরাইলা?

কালোবিড়াল এর ছবি

সহি সালামতে সামনের বছর নির্বাচনটা হলে হয়। মাইনকার পুতের পরিনতি দেখার অপক্‌খায় আছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।