দিরুর জীবনের স্ন্যাপশট, গল্প নাই

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০১/২০১১ - ৮:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাখি কখন জানি উড়ে যায়
একটা বদ হাওয়া লেগে খাঁচায় ...

একদিন যখন তুমি আশ্বস্ত হবে, জানবে, এই মৃত্যু চোখের পলকে তোমাকে ভ্রমণ করে যায়, তখন তুমি, প্রতিবার চোখ খুলে দেখবে, এই পৃথিবীতে বস্তুতপক্ষে নির্লিপ্ততাই মানুষের স্বভাবধর্ম।

সুতরাং ছেলের নাম নির্লিপ্ত নিরহংকার। মা বলছিল আরবি নাম রাখতে। সেই মা বাঙালির ইতিহাস কমবেশি ঠিকঠাক জানে। জানলেও, তার ছেলে ভাষানিরপেক্ষ হয়। ভাষা ইতিহাসনিরপেক্ষ না হউক।

একদিন নির্লিপ্ত রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দিরুর দেখা পায়। দিরু মাঝে মাঝে শহরে আসে। মশার কয়েল আর কানঢাকা টুপি কিনতে।

দেহজীব দিরুকে ভণ্ড ভাবার উদ্যোগ নেয় নির্লিপ্ত।

কিন্তু,

উপনিষদ মাধ্যমিক সমাজবিজ্ঞানের মতো। মোটা। এবং যা কিছু আছে তাই নিয়া কারবার। কুমারখালির দিরু ফকির এত কিছু জানে না। সে ভিতরের দিকে রওনা হইছে ষোল বচ্ছর আগের মাঘ মাসের ঠান্ডায়। ভিতরে যে গেছে, এখনো সে ভিতরেই যায়।

সে এখন মাঝে মধ্যে চুলকায়। আর তখন মানুষ পয়দা হয়। মানুষ ও তার কেন্দ্রাভিগ চুলকানি দিরুকে আরো ভিতরের পথ দেখায়। সেইখানে, যা কিছু নাই তাই নিয়া ব্যপক কারবার।

কানঢাকা টুপি নিয়াও সে মুগ্ধ করে ফেলে নির্লিপ্তকে, গানে। বদলে পয়সা পায়। আরো পয়সা পায়।

নির্লিপ্তের হেভি চোখ। সে এইরকমই কিছু খুঁজতেছিল।

নির্লিপ্তের জ্ঞানী বন্ধুরা সার্ত্রে কপচায়। সিগ্রেট খেলে গলা শুকায়। আর তখন সে জানতে পারে, আমাদের জিভ আমাদের করোটির ভেতরটা চেটে চলে, আমৃত্যু।

সেই সময় দিরু ফিউশনটিউশন করে একাকার করে ফেলতেছে। নাম দেয়া হইছে দিরু বাউল । সিডির নাম, আরশি এসপ্রেসো। পার্ট ওয়ান রোজায়। পার্ট টু কোরবানিতে।

কী দেখতে পাও? সুন্দরবনের মধু। গোপন অঙ্গের মালিশ। আর? থাকার হোটেল। ভাত মাছ তরকারি। পাশেই, এখানে নিওন সাইন বানান হয়। আর? সামনে স্কুল। ইংরেজিতে এ প্লাসের নিশ্চয়তা। জাপান ভাষা শিখুন। কোরিয়া ভাষা শিখুন। আর? শান্তিনীড়। ৭৯/বি। আপনার পরিচয় দিন। আর এইসব দেখি। বস্তুত পড়ি। এবং অকস্মাৎ আবিস্কার করি, লেখকেরা লিখে দিয়ে চলে গেছে।

আমাদের লোকসংযোগে 'অনুপস্থিত লেখক' কদাচিৎ বিদ্যমান। নির্লিপ্তের জ্ঞানী বন্ধুদের একজন আমি, বলি। দিরু গান গায় সহজ মানুষ। সে স্বয়ং এইসব গায়, সামনাসামনি। নির্লিপ্ত টিকেট বেঁচে।

অনেক বছর আগের কথা।

একদিন দিরু বলল সাঁতার দেই চল। সেইটা দিলাম ঠিকাছে। দিরু বলল ঐপারে যাব আসব। যে আগে পারে, সেই জিতবে। আমি অবাক। দিরু মিঞা তুমি না বাজি লাগ না? হারও না জিতও না? দিরু বলল ইয়া আলি। তারপর মাঘমাসের ঠান্ডা পানিতে নামলাম। ঐপারে যাব আসব। দিরুও নামল। ফিরার পথে দেখি সে নাই। সে মরল না ফকিরি নিল বাজারে সেই প্রশ্ন আজও উত্তর পায় না।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব চমৎকার লাগল অনিন্দ্য দা। তবে মনে হয় গল্পের আরও ডালপালা ছিল। সব কাটছাট করে শুধু মূলকান্ড ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরোটা দিলে আরো ভালো হত মনে হয়। হাসি

-অতীত

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

এইটা একটা অপোস্ট


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সময়াভাবে পড়াটড়া ছাড়ছি,
যাও একটু পড়তে বসলাম, মাথার উপরে দিয়া গেলো... মন খারাপ

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

test


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

স্ন্যাপশটের সমস্যা হলো মাঝেমধ্যে বারুদ ছাড়াই ফায়ার হয়্যা যায়, কিংবা আগের দিনের মতো শুধুই ফ্ল্যাশ জ্বলে, ছবি ওঠে না।

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

জ্বে


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হুনলাম, এইখানে নাকি কমেন্ট করলে বাগে ধরে, তাই একটা কমেন্ট করতে আইলাম!

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কথা সত্য।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বাগে ধরুক আর টাগেই ধরুক, আবার কমেন্টাইলাম।

এমন গল্প পড়লে মনে হয় গল্প লেখার চেষ্টা আমি কেন করি? নির্লিপ্ততো শুধু নামে, আসল নির্লিপ্ততো দিরু নিজেই। অবশ্য দিরু আর নির্লিপ্ত যদি দুইটা আলাদা মানুষ হয়। আর গল্প নাই কে বললো? আমিতো বিশাল গল্পের ছায়া দেখলাম।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

তারা আলাদা।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

রু (অতিথি)  এর ছবি

ঠিক বুঝিনি, কিন্তু ধরে নিচ্ছি লেখা ভাল হয়েছে।
একটা অফটপিক কথা জিজ্ঞেস করি, কিছু মনে করেন না। 'বর ও বরের বন্ধুরা' নামক একটা লেখা গুঁতোগুঁতির শীর্ষে আছে, কিন্তু কিছু দেখতে পাচ্ছিনা, কোন মন্তব্য করারও উপায় নাই ওইটাতে। ব্যাপারটা কী? কেউ জানালে কৌতূহল মিটতো।
-রু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

বর ও বরের বন্ধুরা বিয়ে করে, বিয়ে খেয়ে শেষে বরযাত্রী নিয়ে বাসায় চলে গেছে। এইজন্য কাউকে দেখা যায় না মনে হয়! চিন্তিত

রু (অতিথি)  এর ছবি

মনে হওয়া হয়ই দিয়ে হবে না। কেউ সঠিক উত্তরটা জানলে, জানাবেন দয়া করে। -রু

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

অতিথিদের একসেস নেই এটা এরকম একটা ছবি 'পোস্ট' ছিল। ফিল্টার শুধরে বিষয়টার সমাধান করা হয়েছে।

কোনো প্রশ্ন থাকলে এখানে ওখানে জিজ্ঞেস না করে contact এট সচলে যোগাযোগ করবেন। নইলে চোখে পড়েনা এবং উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। ধন্যবাদ।

রু (অতিথি)  এর ছবি

ধন্যবাদ।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

চা নাস্তা খান হাসি ছবি-লেখা আমিও দেখতে পাই না।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধরে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মাথার উপর দিয়ে গেল অনিন্দ্য'দা। আমার মাথার এন্টেনা ক্ষুদ্রাকার মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীলকান্ত এর ছবি

আমি এখনও প্লেনে চড়ি নাই...


অলস সময়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।