বাংলাদেশ সব সম্ভবের দেশ। পাগল অর্থমন্ত্রীর প্রলাপ সংবাদ পত্রের প্রথম পাতায় আসে । তার বিভিন্ন নির্মম রসিকতা দেখে পড়ে বুঝতে অসুবিধা হয় না কেন বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে সুখি দেশ। তার আঞ্চলিকতার দোষ কেউ শুধরাতে পারবে না। অবশ্য বাংলাদেশের কজন মানুষ শুদ্ধ আর সুন্দর বাংলায় কথা বলতে আর লিখতে পারে।
ভাষা জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম। সুন্দর কথা বলতে পারাটা শিল্প এবং এটা করতে তেমন বেশী পরিশ্রম করতে হয় না সামান্য আন্তরিকতা এবং প্রচেষ্টা থাকলেই হয়। রাজনৈতিকদের অশোভন সংস্কৃতি চর্চার প্রধান ক্ষেত্র সংসদ। কুরূচিপূর্ন কথা বলার জন্যে নিশ্চিত কেউ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করে না। কিন্তু সস্তা সং সভা হয়ে গেছে সংসদ। এদের জন্যে খারাপ অনুভুতিও আসছে না। বেড়ে ওঠা এসব মা
  1947এ শুধুমাত্র সংখ্যাগড়ে বেশীকম থাকার জন্যে কোন এক আশ্চর্য সকালে প্রতিবেশী ভিনদেশী নাগরিক হওয়ার মতো ভুতুরে বাস্তবতা প্রতক্ষ্য করলো কিছু দূর্ভাগা মানুষ। একটা টাইপ রাইটার আর উদ্ভট জেদে সেকুলার একজন মানুষ ধর্মভিত্তিক একদেশের জাতির পিতা হয়ে গেলো।
 প্রথম নির্বাচিত সংসদ অধিবেশনে এর দূর্বলতার প্রকাশ পেলো। রাষ্ট্রভাষা প্রসঙ্গে মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ র মতো অনেক মানুষ বাংলা পছন্দ করলেও গোলাম মোস্তফার মতো অনেকের পছন্দ ছিলো উর্দু। শুধুমাত্র রাজনৈতিক অধীনতা মানুষের বিবেচনাবোধের অধপতন ঘটায় এর প্রমান রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের প্রতি দিন প্রকাশিত হয়েছে। আর এই আন্দোলন ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের অসারতার প্রমাণ, ধর্মপ্রভাববিহীন দেশের জন্যে প্রয়াসে র সুচনা পাকিস্তানের জ
  34 বছর এবং দুই প্রজন্ম পরে কোন প্রভাব ছাড়া কিছু কথাবলার মানসিক স্থিরতা অর্জন করেছি । এটা আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষন।
 আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে শুরু করি।
 7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার বক্তব্য থাকলেও মূলত শেখ মুজিবের প্রধান লক্ষ্য ছিলো স্বাধিকার। পুর্ব পাকিস্তান নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করবে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে যুক্ত হবে আলাদা রাজ্য হিসেবে যেমন যুক্ত রাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত। 7ই মার্চের ভাষনে স্বাধীনতার কথা বলেও সরাসরি যুদ্ধের সুচনা না করে আলোচনার পথ খুলে রাখা আর এই অবসরে পাকিস্তানি সৈন্যবাহীনির এদেশে অবস্থান গ্রহন এবং অবশেষে 25শে মার্চ এর বর্বরতা এটা রাজনৈতিক ভুল এমন মত থাকতে পারে বিপরীত মতও থাকতে পারে, আলোচনা
   ![]()
  শেষ বলে কোনো কথা নেই
 ফিরে যেতে পারি চাইলেই
 ভালবাসা দিলে আছি
 না দিলে নেই।
 চলে যাবো তুমি বললেই। 
 সোনার শেকলে কিইবা ফলে
 যে যাবার যে যাবেই।
 ভালবাসা দিলে আছি
 না দিলে নেই।
 চলে যাবো তুমি বললেই।
   ![]()
  লাশ যেন বসে আছে মঞ্চে
 গানও গাইছে সুরে সঠিক
 তোমাকে আমি শিল্পী বলিনা
 মৌসুমি ভৌমিক
 গান শুধু যন্ত্রণার নাট্যরূপ নয়
 গলা চিরে বেরম্নবে গোঙানি
 ফুটপাতের পঙ্গু ভিখারির
 চিৎকারের বাহানা
 তাকে আমি গান বলিনা
 যতই মজুক তাতে বেভুল পথিক
 তোমাকে আমি শিল্পী বলিনা
 মৌসুমি ভৌমিক।
   ![]()
  প্রেম নিয়ে আমার বিভ্রাট গেলো না
 দিনরাত ভেবে যাকে সময় কাটে
 তার ভাব মেলে না
 যার সাথে নেই কোনো হৃদয়ের লেন-দেন
 জীবনের পথে-ঘাটে তার নিত্য আনাগোণা
 প্রিয় যেজন কাছে আসে,
 পাশে বসে, মৃদু হাসে
 কথায় কথায় শোনায় হরেক শান্তনা
 রহস্যের জাল ছড়ায় হিসাব মেলে না।
   ![]()
  কার হাতে তুমি রাখো হাত
 কার কাঁধে রাখো মাথা
 কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে
 দেখবে নতুন ভোর
 দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
 তোমার জেদের জোর
 স্বপ্নগুলো আমাদের হতো
 মুঠোয় ভরা কাঁচপোকার মত
 সুখের পায়রা বাকবাকুম স্বরে
 উষ্ণতা দিয়ে যেত অবিরত
 যদি না তুমি, দিন রাত্রি
 সকল কাজেই আমার ত্রুটি
 খুঁজতে নিরন্তর। 
 দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
 তোমার জেদের জোর।।
 কার হাতে তুমি রাখো হাত
 কার কাঁধে রাখো মাথা
 কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে 
তুমি তো মূলত একা স্বপ্নদোসর
 তুমিতো একাই থাকো রাত হয় ভোর
 তুমিতো জানোই একা হয়ে যায় লোকে 
 তবে কেন বলো
 কেন বলো
 বিরহ ছুয়েছে আমাকে।।    
প্রথম গীতসংকলনের অভাবিত জনপ্রিয়তা প্রত্যাশার যে সীমা তৈরি করেছিলো তার সামান্যই অতিক্রম করতে পেরেছে কৃতদাসের নির্বান। বছরের শেষ হতাশা বলা যাবে না এটাকে তবে সঙ্গীতজগতের শীর্ষ দশ হতাশার একটা হবে নিশ্চিতভাবেই। ব্যাতিক্রমি ক থাচয়ন গায়কি সব ছিলো শুধু সব মিলে শ্রবনযোগ্য কিছু হয়ে উঠে নি। কাঁদা চাদের হাট নিরানব্বই সহ সব গানই প্রত্যাশার শুরু থেকে মুখ থুবরে পড়ে গেছে।
আদতে গানের কথা আর গায়কি সব না ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং বাজনার সংমিশ্রন ও গানের শ্রুতিমধুরতার শর্ত। পর্যাপ্ত সময় এবং পরিশ্রম দুটোই ছিলো না এই সংকলনে। আমি নিশ্চিত তাহসানের এর চেয়ে ভালো কিছু দেওয়ার আছে কিন্তু শিল্প সময় এবং পরিশ্রম দাবী করে। জনপ্রিয়তার দায় চুকাতে তাহসান যেমন ব্যাস্ত এখন
   ![]()
  নাইবা দিলাম আকাশ থেকে মিটমিটে লাল তারা পেড়ে
 বৃষ্টি থেকে রামধনু আর গভীর জলের পদ্মফুল
 নাই দেখালাম মগ্ন চোখে অলীক স্বপ্ন বর্ষাধারা
 কল্পকথার রাজরাণী আর স্বর্ণমুকুট চক্ষুকাড়া
 নাইবা দিলাম ভবিষ্যতের ফুলকথার সব প্রতিশ্রম্নতি
 দিচ্ছি তোমায় বর্তমানের মুঠোয় ধরা অনুভূতি
 সত্য নেয়ার ভয়ে তুমি তাই কি এত জড়োসড়ো
 তোমার কাছে সত্যের চেয়ে মিথ্যে স্বপ্ন অনেক বড়ো?
 দিলাম বাড়িয়ে তোমার দিকে হাতের ডগায় আলিঙ্গন
 কপোল, ওষ্ঠে, তিলক দিলাম প্রেম-মদির সুখ