Archive - 2006

January 13th

ধার্মিকতা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০১/২০০৬ - ৪:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সীমিত প্রবাস জীবনের ক্ষুদ্র উপলব্ধি ধর্মান্ধতা পশ্চাৎপদতার পরিচয় না। আর অন্য একটা উপলব্ধি যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর অন্যতম মৌলবাদী দেশ। চার্চে না যাওয়ার জন্যে একঘরে করে রাখার মতো আশ্চর্য ঘটনাও ঘটে এখানে। অবশ্য আশ্চর্যই বা বলি কিভাবে ব্যাক্তিসাতন্ত্রপুজা করতে করতে মানুষগুলো বিচ্ছিন্ন দ্্বীপের মতো। তাদের সংঘবদ্ধতার চাাহদা পুরন করার মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নাই। 500 বছরে কতগুলো ভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মানুষ প্রাচুর্য আর প্রতিষ্ঠার লোভে আদিবাসিদের বঞ্চিত করে সমাজ তৈরি করেছে কিন্তু সংস্কৃতির সংমিশ্রন করে নি। এটা নৃত্বত্তের আলোচনা আমার করা শোভা পায় না। আমার বিশ্লেষন কোন জাতিয় ঐতিহ্য না থাকায় এরা পরস্পরের সাথে সংযুক্ত না। কোন রান্নার ধারা নেই কোন লোকগী


মেঘদলের প্রথম সংকলন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০১/২০০৬ - ৫:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাহসানের কৃতদাসের নির্বানের সাথে সাথে উদ্্বোধন হয়েছে মেঘদলের প্রথম সংকলনের। চারুকলার কয়েকজন ছাত্র মিলেমিশে গানে নতুন ছবি একেছে। 11টা গান। সবগুলো ভালো হওয়ার সম্ভবনা নেই সবগুলো ভালো নয় তবে চেনা অচেনা আর আকাশ মেঘে ঢাকা সংকলনের সেরা গান। ছেলেবেলা ক্রুসেড অন্য দুটো মোটামুটি মানের গান। শ্রুতিমধুর আমি কবিয়াল নই গানে জেমসের ছাপ স্পষ্ট। ওঁম গানটি সবমিলিয়ে কোন গন্তব্যে যায় নি। বাংলাদেশের গানের দলগুলোর মধ্যে ইরাক যুদ্ধের প্রতিবাদে লেখা ক্রুসেড গানের প্রভাব পড়বে এমন আশংকা প্রবল।

অন্য গানগুলো তেমন ভালো না । তবে যারা এই সংকলন কিনেছেন তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কম। অন্তত গানের প্রতি আন্তরিকতা স্পর্শ করবে সবাইকে।


ভুল বাংলা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০১/২০০৬ - ৩:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ আগে দুরে নামের একজনের গান শুনে আমি অবাক। যেই মানুষটা পর পর 3টা বাংলা বাক্য লিখতে পারে না সে গান গাইছে কেন? পরে দেখলাম আন্ডারগ্রউন্ড মেটাল ব্যান্ডের জনগন ভূল বাংলায় গান লিখে, সব গান ভুল তা কিন্তু না। তবুও বিষয়টা শ্রুতিকটু। কিন্তু ভুল বাংলার বা অর্থবিহীন বাংলার নতুন উদাহরন হুইল পাওয়ার এর বিজ্ঞাপন। নোংরা কালো মোজা ধুয়ে সাদা করে ফেলবে এমন দাবি নির্মাতার। কিন্তু যদি মোজা কালো হয় সেটা সাদা করে ফেলা ভালো কোন লক্ষন না।
এর পরের উদাহরন বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত খবরে। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কোরবানীর বর্জ্য পরিস্কার করছে। যদিও আমি দাবি করছি না সিটি কর্পোরশনের সব কর্মী অপরিচ্ছন্ন তবে তাদের খবর ছিলো পরিচ্ছন্নতা অভিযান --এ ক্ষেত্রে শব্দ


January 12th

একটি সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশা

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০১/২০০৬ - ৯:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


দেশপ্রেমিক সবারই প্রত্যাশা একটি সুখী সুন্দর বাংলাদেশ। সেজন্য আমাদের অনেকেই ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত। কিন্তু দেশের এই দুরবস্থা ও পিছিয়ে থাকার জন্য বেশিরভাগ মানুষই দোষ দেন আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর অযোগ্যতাকে।

রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের যোগ্যতার অভাব বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে একটি বাধা তা বিদেশী গবেষকরাও বলে থাকেন। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর পরে দীর্ঘ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সামরিক শাসনের দেশে নতুন রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি হতে পারেনি। বি


অপবাকের সৎ বক্তব্য

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: বুধ, ১১/০১/২০০৬ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


অপবাক ইসলামী শাসনব্যবস্থা ও বাংলাদেশ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন। সবাইকে অনুরোধ করি সে লেখা পড়তে। তার লেখা সম্পর্কে আমার মন্তব্য সংক্ষিপ্ত:

অপবাক আপনার বক্তব্য সত্যের চেয়েও সত্য। কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য চাই অজুহাত। ধর্ম এখানের অস্ত্র ও অজুহাত।
এটা শুরু হয়েছিল ইসলাম ধর্মের জন্মলগ্নেই। বর্শার আগায় কোরান গেঁথে মাবিয়া বলেছিলেন কোরানেই আছে সব সমাধান, যুদ্ধ থামাও। প্রায় পরাজিত শত্রুর এই যে ধর্ম ব্যবহারের কূট-কৌ


January 11th

বাঙালের ব্রিটিশ বুদ্ধি-৩

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: বুধ, ১১/০১/২০০৬ - ১:৩৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


দোষ স্বীকার না করাটা আমাদের বাঙাল সমাজে একটা বিশেষ স্টাইল। বিশেষত: নেতারা কখনও প্রকাশ্যে দোষ স্বীকার করেন না। হতে পারে এই স্বীকার থেকে আরো বেশি বিপদে পড়ে যাওয়ার ভয় তারা পান।
এই জায়গায় ব্রিটিশদের সাথে আমাদের অনেক মিল। গবেষণা না করেই বলা যায় প্রাক্তন প্রভুদের সাথে দু'শ বছর বসবাসেই আমরা এটা অর্জন করেছি। আমেরিকান নেতারা যেখানে সহজেই নিজের দোষ স্বীকার করেন, ক্ষমা চান, ব্রিটিশরা পারতপক্ষে তা করে না।
প্রথম উদাহরণ হতে পারেন লন্ডনের মেয়র কেন লিভিংস


January 10th

ইসলামী শাসনব্যবস্থা ও বাংলাদেশ

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০১/২০০৬ - ১:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের- উদিচির বোমাবিস্ফোরনের আগে বা পরে। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমরের তালেবান দল ক্ষমতায়। অলস আলোচনা শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মুর্তি ধ্বংসকরা নিয়ে। মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ কিন্তু পরধর্মপালনে সম্পূর্ন স্বাধীনতাও ইসলামের একটা ধারা। যদি অন্য ধর্মের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে বিধর্মীদের রক্তের লালসা থাকতে পারে না। আর তারচেয়ে বেশী গুরূত্বপূর্ন বিষয় তার পূরাতাত্তি্বক মূল্য। সভ্যতার অগ্রগতির এক একটা সোপান মুর্তিগুলো। নির্বোধের মতো নিজের দেশের ঐতিহ্য ধ্বংস করা নিজের সংস্কৃতির প্রতি তীব্র বিরাগ কোন উন্নত মননশীলতার বিষয় না।

আসলে এই উগ্র ইসলামিক রাজনীতি কতটুকু গ্রহনযোগ্য। দুইটা বহুল ব্যবহার করা হাদিস- তোমাদের মধ্যে


এতো উড়াল কোথাও নিলো না

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০১/২০০৬ - ৬:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


পাখিটার উড়াল হলো নীলাকাশে
হাওয়ায় ভেসে দেশে দেশে
কতো দিন রাত্রিগেলো, পথের মাঝে পথ হারালো পাখিটার আহার হলো, নিদ্রা হলো,
সঙ্গী হলো ভালবেসে
তার সময় গেলো রকম সকম ভিন্ন উড়ালে

অনেক ঝড় বৃষ্টি গেলো, অচিন শাখা ছায়া দিল বুকের ভেতর তৃষঞা ছিল শুকিয়ে গেলো
রৌদ্রে পুড়ে অবশেষে
তার জীবন গেলো একলা ডানায় তালে বেতালে

এতো উড়াল কোথাও নিলো না
তার ক্লান্ত ডানা স্থিতি পেলো না।।


বাঙালের ব্রিটিশ বুদ্ধি-২

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০১/২০০৬ - ৬:১৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ব্রিটিশরা বাণিজ্য করতে গিয়ে ধীরে ধীরে শাসনভারই তুলে নিল বাংলার। দু'শ বছর তারা সেখানে চালিয়েছে শোষণ। এর মধ্যে একশ' বছর চলেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন। ভাবলে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে যে একটি কোমপানি শাসন করলো আমার দেশ এতবছর ধরে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কতটা নপুংসক ছিলেন তবে। কঠিন হয়ে গেল কথাটা। রস করেই বলি, কতটা বাঙাল ছিল তারা।
বাঙাল এখনও রয়ে গেছে তারা। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা। অনেক আগেই এখানে বাঙালি এমপি হওয়া উচিত ছ


মহাজনের সমুদ্র গমন নিরাপদ হোক

হীরক লস্কর এর ছবি
লিখেছেন হীরক লস্কর (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০১/২০০৬ - ৬:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বল্গার হাবিব মহাজন জানিয়ে গেছেন যাচ্ছেন তিনি সেন্টমার্টিন দ্্বীপে। বুঝা গেল গরু বা ছাগল কোনো দলেই তিনি নেই এবার। কোরবানির ঈদের বনেধর সুবাদে মৌজ করতে ছুটেছেন প্রবাল দ্্বীপে। সেন্টমার্টিন দ্্বীপের অবশ্য দেশি নাম নারিকেল জিঞ্জিরা।
আমরাও গিয়েছিলাম গতবছর দলে বলে। আর সবার জীবনের সেরা ভ্রমণের তালিকায় আজীবনের জন্য গাঁথা হয়ে গেছে সেই ভ্রমণ। এদের মধ্যে অন্তত: একজনের সাথে আর কখনই দেখা হবে না। ইউকে'র গিলডফোর্ডের বাড়িতে নীরবে মারা গেছেন মামা। একাই থাকতেন