![]()
  প্রেম নিয়ে আমার বিভ্রাট গেলো না
 দিনরাত ভেবে যাকে সময় কাটে
 তার ভাব মেলে না
 যার সাথে নেই কোনো হৃদয়ের লেন-দেন
 জীবনের পথে-ঘাটে তার নিত্য আনাগোণা
 প্রিয় যেজন কাছে আসে,
 পাশে বসে, মৃদু হাসে
 কথায় কথায় শোনায় হরেক শান্তনা
 রহস্যের জাল ছড়ায় হিসাব মেলে না।
   ![]()
  কার হাতে তুমি রাখো হাত
 কার কাঁধে রাখো মাথা
 কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে
 দেখবে নতুন ভোর
 দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
 তোমার জেদের জোর
 স্বপ্নগুলো আমাদের হতো
 মুঠোয় ভরা কাঁচপোকার মত
 সুখের পায়রা বাকবাকুম স্বরে
 উষ্ণতা দিয়ে যেত অবিরত
 যদি না তুমি, দিন রাত্রি
 সকল কাজেই আমার ত্রুটি
 খুঁজতে নিরন্তর। 
 দেখে নেবো আমি, দেখে নেবো
 তোমার জেদের জোর।।
 কার হাতে তুমি রাখো হাত
 কার কাঁধে রাখো মাথা
 কার সাথে তুমি রাত্রি জেগে 
তুমি তো মূলত একা স্বপ্নদোসর
 তুমিতো একাই থাকো রাত হয় ভোর
 তুমিতো জানোই একা হয়ে যায় লোকে 
 তবে কেন বলো
 কেন বলো
 বিরহ ছুয়েছে আমাকে।।    
প্রথম গীতসংকলনের অভাবিত জনপ্রিয়তা প্রত্যাশার যে সীমা তৈরি করেছিলো তার সামান্যই অতিক্রম করতে পেরেছে কৃতদাসের নির্বান। বছরের শেষ হতাশা বলা যাবে না এটাকে তবে সঙ্গীতজগতের শীর্ষ দশ হতাশার একটা হবে নিশ্চিতভাবেই। ব্যাতিক্রমি ক থাচয়ন গায়কি সব ছিলো শুধু সব মিলে শ্রবনযোগ্য কিছু হয়ে উঠে নি। কাঁদা চাদের হাট নিরানব্বই সহ সব গানই প্রত্যাশার শুরু থেকে মুখ থুবরে পড়ে গেছে।
আদতে গানের কথা আর গায়কি সব না ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং বাজনার সংমিশ্রন ও গানের শ্রুতিমধুরতার শর্ত। পর্যাপ্ত সময় এবং পরিশ্রম দুটোই ছিলো না এই সংকলনে। আমি নিশ্চিত তাহসানের এর চেয়ে ভালো কিছু দেওয়ার আছে কিন্তু শিল্প সময় এবং পরিশ্রম দাবী করে। জনপ্রিয়তার দায় চুকাতে তাহসান যেমন ব্যাস্ত এখন
   ![]()
  নাইবা দিলাম আকাশ থেকে মিটমিটে লাল তারা পেড়ে
 বৃষ্টি থেকে রামধনু আর গভীর জলের পদ্মফুল
 নাই দেখালাম মগ্ন চোখে অলীক স্বপ্ন বর্ষাধারা
 কল্পকথার রাজরাণী আর স্বর্ণমুকুট চক্ষুকাড়া
 নাইবা দিলাম ভবিষ্যতের ফুলকথার সব প্রতিশ্রম্নতি
 দিচ্ছি তোমায় বর্তমানের মুঠোয় ধরা অনুভূতি
 সত্য নেয়ার ভয়ে তুমি তাই কি এত জড়োসড়ো
 তোমার কাছে সত্যের চেয়ে মিথ্যে স্বপ্ন অনেক বড়ো?
 দিলাম বাড়িয়ে তোমার দিকে হাতের ডগায় আলিঙ্গন
 কপোল, ওষ্ঠে, তিলক দিলাম প্রেম-মদির সুখ
  যদিও কবিতা কবিতাই তারপরও রবি ঠাকুরের কবিতা সেই কালের আধুনিক কবিতা হিসেবে গন্য হয়েছে। আর রবি ঠাকুরের গ্রাসে কবিতার এমন দুরাবস্থা অমিয়র প্রথম দিকের কবিতায় তার স্পষ্ট ছাপ।
 যদি রবি ঠাকুরের কবিতা চিরায়ত বা অতীত ধারায় রাখি তবে অমিয় সুধীন জীবনানন্দ এরা পরবর্তী আধুনিক।    
  আমার পছন্দের কবি শক্তি চাটুজ্যে। আমি রবি ঠাকুর পড়ি নি নজরুল তেমন পড়ি নি। আমার ভালো লাগে নি যে কটা পড়েছি। শক্তির বলার ধরন , দেখার ধরন, ছবি আঁকার ধরনে আলাদা একটা ভাব।
 ঘাসের গভীড়ে চরে ভেড়া
 রীতিমতো ঘাস হয়ে যায়
 যখন ভেড়াকে খুটে খায়। 
কবিতার শব্দগুলোর আড়ালে গল্প থাকে যার কিছুটা কবির জানা কিছুটা অবচেতন। শক্তির নিজের অনুভব কবি সমস্ত লিখাগুলোই আসলে একটা দীর্ঘ কাব্য যা আলাদা করে সারা জীবন ধরে কবি লিখছেন। তাই কবির কবিতাকে দেখা প্রয়োজন সামগ্রীক ভাবে। আমার যদিও এই কথা মেনে নিতে সামান্য আপত্তি আছে, তবে একজন মানুষের জীবনদর্শন তার কাজে প্রতিফলিত হয়। তার রাজনৈতিক অবস্থান তার মানসিক অভিক্ষেপ পড়ে তার প্রতি উচ্চারনে। একজন কবি তার অবস্থান আর অনুভব
কষ্ট করে লিখে যখন পোস্ট করতে যাই দেখায় ভুল হয়েছে এবং লেখা উধাও হয়ে যায়। কিযন্ত্রনা। অন্য সমস্যা যুক্ত বর্নে। আমি ব্লাক লিখতে চাই বেলাক মানে কালো এখনও সফল হই নি।
যেকোন বিচারেই ধর্ম সরস একটা বিষয়। আর এটা নিয়ে আলোচনা অবশেষে ব্যক্তিগত বিশ্বাসে গিয়ে থামে। তখন যুক্তি নয় উচচারণগুলো আবেগের এবং তা আড্ডার সবার ব্যক্তিগত আক্রমনে গিয়ে থামে ।
ইশ্বরবিশ্বাস বাদ দিলে ধর্মে ধর্মে বিভেদ নেই তেমন।
পৃথিবীতে সবচেয়ে অদ্ভুত দৃশ্য সন্তানের বেড়ে ওঠা। প্রথম যখন দেখলাম কোলে তুলতে ভয় হতো। জেলীর মতো ,হাতের ফাক দিয়ে গড়িয়ে পরবে ভয় হতো, সেই পুতুল দিনে দিনে রূপ বদল করে এখন বসতে শিখেছে, হামাগুড়ি দিয়ে সামনে যায়,দুলতে দুলতে ধপাস পরে যায় বিছানায়। তার অভিধানে শব্দসংখ্যা কম। কিন্তু তার নিজস্বপছন্দে চলার নির্ভুল জেদ আমাকে আশ্চর্য করে প্রতিদিন। তার নামটাই বলা হয় নি---ঋক অনিন্দ্য । প্রথম বছরের সবগুলো মাইলস্টোন সে পার হবে ঠিকমতো এই আশা। হামাগুড়ি দিতে দিতে একদিন উঠে দাড়াবে নিজের পায়ে, হাটবে নিজের পথে। যদিও খারাপ লাগে এ রকম পরিজনহীন বেড়ে উঠছে প্রবাসে তার জনকের শেকড় ,সংস্কৃতি কোনটাই সে পবে না । তেরো পার্বন 21শে ফেব্রুয়ারি,1লা বৈশাখ হালখাতার নগদ লেনদেন সবছাড়া ব