পাইরেট বে’ : নেট-দস্যূদের অভয়ারণ্য

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি
লিখেছেন লুৎফুল আরেফীন (তারিখ: সোম, ১৪/০১/২০০৮ - ৪:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto১.
ঘটনার শুরু ২০০১ সালে -- ব্রাম কোহেন নামক এক এমেরিক্যান প্রোগ্রামারের হাত দিয়ে বিট টরেন্ট (BitTorrent) যখন ভূমিষ্ট হলো। এটা এমন একটা প্রোটোকল যার মাধ্যমে বিপুল পরিমানের ডাটা হাত থেকে হাতে প্রতিনিয়ত স্থানান্তরিত হচ্ছে। নতুন একটা সিনেমা যখন হলিউডের ছাড়পত্র নিয়ে সবে আলোর মুখ দেখেছে সেটাও আপনি ঘরে বসেই ঘন্টাখানেকের মধ্যে নিজের কম্পিউটারে নামিয়ে ফেলতে পারেন। বিনে পয়সায় তো বটেই, বিনে খাটুনীতেও! বিনিময়ে আপনি যে কিছুই দিচ্ছেন না সেটা ঠিক না, আপনি যতোক্ষণ ফাইলটি ডাউনলোডে ব্যস্ত, ততোক্ষণে আপনার পিসি থেকেও ফাইলটার কিয়দংশ চলে গেছে আপনারই মতো আরোও শত শত নেট দস্যূর ঘরে।

এটাই হলো পিয়ার-টু-পিয়ার (peer to peer) ফাইল শেয়ারিং এর মোদ্দাকথা। আর বিট-টরেন্ট হচ্ছে সেই ফাইল চালাচালির একটা প্রোটকল বা তরিকা। এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হলো অন্যের ঘাড়ে চেপে নিজের এটা সেটা আদানপ্রদান করার অপূর্ব সুবিধা! আপনার একটি ফাইল আপনি শেয়ার করতে চান, কিন্তু আকারের বিশালতার কারণে সেটা নিজস্ব সারভারে (যদি থাকে) আপলোড করা সম্ভব হচ্ছে না, কিংবা, হার্ডওয়্যার এবং প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ (ডাটা সরবরাহের ক্ষমতা এবং হার) সাপোর্টও আপনার নেই। চিন্তা নেই, আপনি তখন শরনাপন্ন হবেন একটি বিটটরেন্ট সারভারের, যারা বিনে পয়সাতে আপনার ডেটাসমূহের খবর অন-এয়ার করে দেবে। হাজারো নেটারু সেই খবর পেয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে আপনার সাথে সখ্য করতে (এটাকে বলা হয় Peer করা); অল্প অল্প করে নিয়ে নেবে ফাইলটার ভগ্নাংশ। আর তাদের মাধ্যমে পরক্ষণেই সেটা আবার আকাশে উড়াল দেবে। এভাবেই হাজারো নেটারুর ঘাড়ে ভর দিয়ে ফাইলটি অসংখ্য টুকরোয় অনলাইন হবে যার কেন্দ্রে থাকবে সেই বিটটরেন্ট সারভার।
শুধু আপলোড নয়, আপনার প্রয়োজনীয় ফাইলটি ঠিক একই কায়দায় খুঁজে নিয়ে ডাউনলোড করতে পারেন। আর এই খোঁজাখুজির ভারটাও নিতে প্রস্তুত বিটটরেন্ট সারভারগুলো। তাদের কাজটাই হচ্ছে তাবৎ দুনিয়ার নেট-দস্যূদের ধন সম্পদের খোঁজখবর সযত্নে গুছিয়ে রাখা। আপনার কাছে তাদের চাওয়া শুধু সামান্য ব্যান্ডউইথ। যা দিয়ে আপনিও কিছু কিছু আপলোড করবেন। দেয়া আর নেয়ার এই নেটীয়-সামন্তবাদকেই এক কথায় সবাই বিটটরেন্ট বলে জানে।

২.
এবারে আসি পাইরেট-বে (The Pirate Bay) র নেট-দস্যূদের কথায়। ব্রাম কোহেনের হাত হয়ে আজকে বিট টরেন্ট প্রোটকল বিশ্বজোড়া জনপ্রিয় এক প্রযুক্তির নাম। আর এই প্রযুক্তিকে কে যারা বেশী বেশী করে জনগনের কাছাকাছি সফলভাবে নিয়ে গেছে তাদেরই একজন গটফ্রিড স্ভার্থোলম আর আরেকজন ফ্রিডরিক নেইজ। এই ২জন ২০০৪ এর গোড়ার দিকে সুইডেনে প্রতিষ্ঠিত করেন বিটটরেন্ট সারভার The Pirate Bay -- যেমন কাজ তেমনই মানাসই একটি নাম! কপিরাইট আইনের ঘোর পরিপন্থী এই সব নেট দস্যূরা সবসময় আইনের ভ্রুঁকুটি উপেক্ষা করে চালিয়ে গেছে বাধামুক্ত, শঙ্কামুক্তভাবে তথ্যভান্ডার ব্যবহারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে। আজকের বিশ্বে ইন্টারনেটের মোট ট্রাফিক (অনলাইনে ফাইলের আদানপ্রদানের গতিবিধি)-এর শতকরা ১৫ থেকে ৩৫ ভাগ পিয়ার-টু-পিয়ারের মাধ্যমে সৃষ্ট! নেহায়েত কম নয় বটে!! এই দস্যূবৃত্তির জন্য তারা আইনের যে ফাঁকটুকুর সদ্ব্যাবহার করছেন, সেটি খুব সোজাসাপ্টা। তাদের মতে, বিটটরেন্ট সারভার কখোনই কোনও কপিরাইটেড পদার্থ নিজ হাতে এহাত-ওহাত করছে না। তারা কেবল ফাইলের ইনডেক্সিং করছে, অর্থাৎ সূচিপত্র আগলাচ্ছে!! প্রকৃত আদান-প্রদান ঘটছে ইউজার লেভেলে! সুতরাং কপিরাইটেড সামগ্রী বিতরণের মতোন গুরুতর অপরাধের দায় তাদের ওপর কোনোভাবেই বর্তায় না!!

৩.
আইনের এই পিন্ডি চটকানো, সুইডিশ কর্তাদের সইবে কেন? তারা হামলা করলেন যথারীতি পাইরেট-বে’র ওপর। এটা ২০০৬ এর মে মাসের ঘটনা। ৬৫ জন পুলিশের একটি দল হামলা করলো স্টকহোলমের সারভার হাউজ। বাজেয়াপ্ত করলেন তাদের সমস্ত যন্ত্রপাতি আর সারভার (হার্ডডিস্ক)। বন্ধ হলো পাইরেট-বে ISP এর অধীন সবকয়টি সারভার। গ্রেপ্তার হলেন কর্ণধার গটফ্রীড আর ফ্রিডরিক এবং সেইসাথে আইনী উপদেষ্টা মাইকেল ভাইবর্গ। জিজ্ঞাসাবাদের পর যদিও তাদের দ্রুতই ছেড়ে দেওয়া হয়। পরবর্তিতে সুইডেনের টেলিভিশন Sveriges Television প্রচার করে যে, এই আইনী হামলার নেপথ্যে ছিল এমেরিক্যান সংস্থা MPAA (বা মোশন পিকচার এসোসিয়েশন অব এমেরিকা) এবং হলিউডের প্রোরোচনা। অবশ্য, সুইডেন সরকার সেই দাবী প্রত্যাখ্যান করে।

যাইহোক বিশ্বমোড়লদের ঘাঁটাঘাটির ফলে হিতে বিপরীত হলো বলা যায়। প্রতিষ্ঠার পরের ২ বছরে পাইরেট তেমন একটা জনপ্রিয় না হলেও, এই ঘটনায় তারা পাদপ্রদীপের আলোয় চলে আসলো রাতারাতি। মাত্র ৩ দিন পরেই ২ দস্যূ সারভারটিকে আবার অনলাইন করলেন নেদারল্যান্ড থেকে। মজার ব্যাপার হলো এরপর নেদারল্যান্ড সরকারের সমালোচনার মুখে পরে পাইরেট বে আবারও সুইডেনে পূনর্বাসিত হয় ঠিক পরের মাসেই। এরপর পাইরেটদের আর ফিরে তাকাতে হয় নাই। সুইডিশ পত্রিকা Svenska Dagbladet এর হিসেবমতে, সেসময় বিজ্ঞাপন বাবদ পাইরেট-বে আয় করেছে মাসিক ৭৫,০০০ ইউ এস ডলার!

পরবর্তিতে আরোও অনেক প্রতিষ্ঠান আপত্তি তুলেছে তাদের কপিরাইটেড সামগ্রীকে এভাবে খোলাবাজারে বিনামূল্যের পন্যে পরিণত করার বিরুদ্ধে। কাজ যে হয়নি সেটা বোঝা যায় অদ্যবধি পাইরেটদের সদম্ভ পদচারণা দেখেই। এরকম কিছু প্রতিবাদ আর সেগুলোর ব্যাপারে পাইরেটদের উদাসীনতাপূর্ণ চিঠি-চালাচালির কিছু রেকর্ড আছে পাইরেটদেরই নিজস্ব ওয়েবসাইটটিতে। রুই কাতলাদের কেউইই বাদ নেই সেই তালিকায়– মাইক্রোসফ্ট, ড্রিমওয়র্কস, ইলেকট্রনিক আর্টস, ADV ফিলমস, SEGA, Apple, ওয়ার্নার ব্রোস – কাকে লুট করে নাই এই দস্যূর দল!!

৪.
পাইরেটরা এরপর আরোও বিচিত্র এক কর্মকান্ডের জন্ম দেয় ২০০৬ এর জুনে। মাইক্রোনেশন নামে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিকী রাষ্ট্র ছড়িয়ে আছে বিশ্বজোড়া তারই একটি কিনে নিয়ে সেখানে স্বাধীণ কপিরাইট আইনমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয় তারা। এগুলো আদৌ কোনও স্বীকৃত রাষ্ট্র নয়। কিন্তু এদের নিজস্ব সংবিধান থেকে শুরু করে সংবাদপত্র অবধি -- সবই আছে!! আছে নিজস্ব ডাকটিকেটও!! পাইরেটদের বায়নার সেই মাইক্রোনেশনটির নাম সী-ল্যান্ড (Sea Land, নীচের ছবিটি দেখুন)।
auto
যুক্তরাজ্যের সাফোল্ক অঙ্গরাজ্যের তীর ছেড়ে ১০ কিলোমিটার দূরবর্তী উত্তর সাগরের বুকে একটি পরিত্যাক্ত সেনাদূর্গ ছিল এটি।

২টি টাওয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রতিকী রাষ্ট্রটির তদানীন্তন সরকারের অনিচ্ছার কারণে সেটি কিনে নিতে ব্যর্থ হয় পাইরেটরা। নীচের ম্যাপে সী-ল্যান্ডের অবস্থান দেখা যাবে।
ম্যাপ অব সীল্যান্ড
সীল্যান্ডের প্রিন্স মাইকেল, যার আরেক নাম মাইকেল বেটস, পাইরেটদের কাছে রাষ্ট্র বিক্রী না করা প্রসঙ্গে বলেন, “It’s theft of proprietary rights, it doesn’t suit us at all. In fact, I’ve written a book and Hollywood is making a movie out of it, so it would go right against the grain to go into the filesharing thing.” বলাবাহুল্য, হলিউড ছিল পাইরেটদের লুটের তালিকায় সবচে বড় লুন্ঠিত!!

এতে হতোদ্যম না হয়ে পাইরেটরা একটি দ্বীপ কেনার ইচ্ছে ব্যক্ত করে, যেখানে কপিরাইট আইনমুক্ত আলাদা রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে এই আন্দোলন অব্যহতা থাকবে। এই লক্ষ্যে অর্থ সংগ্রহও শুরু হয়েছে। সেখানে অর্থ সাহায্যের বিনিময়ে সেই মাইক্রেল্যান্ডের নাগরিকত্বও পাওয়া যাবে সহজেই!! অদ্যবধি যদিও সেই দ্বীপ কেনার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নাই তথাপি কল্পিত সেই মাইক্রোল্যান্ডের নাগরিক হতে আগ্রহীর সংখ্যা নেহায়েত কম নয়! এ পর্যন্ত তারা এই খাতে ডোনেট করেছে ২০,০০০ মার্কিন ডলার!

পাইরেটদের এই সাইটটি আজ অনেকেরই পরিচিত। তার পরেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি:
. পাইরেট বে’র মূল সাইট: http://thepiratebay.org/
. কপিরাইট আইনের বিষয়টা স্মরণ করে দেওয়া বহু প্রতিষ্ঠানের সব চিঠি চালাচালি আর সেগুলোর প্রতি ভ্রুক্ষেপহীণ পাইরেটদের উত্তর: http://thepiratebay.org/legal
. সীল্যান্ড নামক মাইক্রোল্যান্ডের অবস্থান: http://yourforum.gr/InvisionBoard/index.php?showtopic=61884&pid=106352&st=0&#entry106352
. সীল্যান্ড সম্পর্কে পিপাসা বেশী থাকলে, http://www.sealandnews.com/micronations-%E2%80%93-what-on-earth-are-they_109.html
. পাইরেটদের আরেকটি প্রকল্প BAYIMG.com যা কিনা একটি ছবি শেয়ারের সাইট। অনেক ছবি পাবেন এখানে। http://bayimg.com/cloud
. বিভিন্ন সময়ে পাইরেটদের জয় উদযাপিত হয়েছে তাদের সাইটের ব্যানারে, সেগুলো একটা কালেকশন, http://thepiratebay.org/doodles
. একটি ডকুমেন্টারী আছে ২০০৬ এর মে মাসের পুলিশী রেইড নিয়ে। ছবিটি টরেন্ট ক্লায়েন্ট দিয়ে নামিয়ে দেখতে পারেন: http://thepiratebay.org/user/stealthisfilm


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

জটিল সব কান্ডকীর্তি দেখি!
ভালো লাগলো পড়ে। বিটটরেন্ট দিয়ে প্রচুর বই আর টিউটরিয়াল নামিয়েছি নেট থেকে।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হুমম, খুবই জটিল। আমি যখন প্রথম জানতে পারলাম এক বন্ধুর কাছে খুবই অবাক হই!

কপিরাইটের হাত যতোটা শক্ত মনে হয়েছিল, ততোটা হয়তো আসলেই নয়। সুতরাং, পাইরেটদের হয়তো দ্বীপ কেনাটা খুউব জরুরী হবে না।

তীরন্দাজ এর ছবি

তথ্যসমৃদ্ধ লেখাটি খুব ভাল লাগলো।

বিট টোরেন্ট ব্যবহার করে প্রচুর গানের সংগ্রহ বেড়েছে। কিন্তু শোনারই সময় পাইনা।
**********************************
যাহা বলিব সত্য বলিব

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হু, সবকিছুর ডিজিটাইজ হবার বড় সমস্যাটা কিন্তু ঐখানেই। যেমন ডিজিটাল ক্যামেরা এসে ছবি তোলাটা বেড়ে গেছে, কিন্তু ছবি আয়োজন করে দেখা বা টানিয়ে রাখা (অর্থাৎ প্রিন্ট করা) কিন্তু কমেছে।

পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ফারুক হাসান এর ছবি

খাইছে, দস্যুদের ব্যাপারস্যাপারই দেখি আলাদা!
আমরা সচলপাইরেটরা মিলেও একটা নেশন কিন্যা ফালাবো কিনা ভাবতেছি ! নাম হইবে উহার 'একটিভ নেশন' হাসি
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আমার একাউন্ট দিয়ে দেই তাইলে, আপনি টাকা দেওয়া শুরু করেন -- বিনিময়ে প্রথম নাগরিক হিসেবে আপনাকে দেওয়া হবে, লর্ড উপাধি -- লর্ড ফারুক হাসান!!

খুশী?

ফারুক হাসান এর ছবি

হুমমম!
পোস্টের শানে নূযুল তাহলে এই! ধান্ধাবাজি!! হাসি
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হু, নেটে দস্যূ থাকতে পারলে, মলমপার্টি থাকবো না ক্যান? ধান্দাবাজি জিন্দাবাদ।

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

ফারুক হাসান এর ছবি

.

নজমুল আলবাব এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

নজমুল আলবাব,
আমার লেখাগুলো পোস্ট করার পর পরই আমি কেন যেন বুঝে যাই যে আপনি বাচ্চা নিয়ে হাজির হয়ে যাবেন -- মন্তব্য করতে!
পরের সব মন্তব্যের জন্য আগাম ধন্যবাদ জানিয়ে রাখলাম হাসি

নজমুল আলবাব এর ছবি
লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

হা হা হা, আবারও হাজির....!!!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

রাগিব এর ছবি

বিটটরেন্টের প্রোটোকলটা চমৎকার। এছাড়াও peer-to-peer technology টা অনেক গুরুত্বপূর্ণকাজে ব্যবহৃত হতে পারতো।

কিন্তু সমস্যাটা ওখানেই। কপিরাইট ভেঙে সিনেমা আর গান চুরির ব্যপারটা peer-to-peer শব্দটাতেই কলংক লেপে দিয়েছে।

ব্যক্তিগত ভাবে আমি ডিজিটাল চৌর্যবৃত্তির বিরোধী। আপাতদৃষ্টিতে মজার মনে হলেও পরিশেষে চৌর্যবৃত্তিটা সামাজিক ও অন্যান্য পর্যায়ে নৈতিকতায় ধ্বস নামাচ্ছে। কপিরাইট-মুক্ত বিশ্বের মানে এই না যে, কেউ কপিরাইট দাবি করলে সেটাকে হেলায় উড়িয়ে দেয়া যাবে।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

আপনার দৃষ্টিভং্গীর সাথে দ্বীমত করতে পারলাম না।
আবার চুরিটা আমি করি - এটাও অস্বীকার করতে পাললাম না।
মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।