ডেইলি স্টারের সাংবাদিক, ব্লগার তাসনিম খলিলকে মনে আছে? এই তো সেদিন আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী একটি লেখার জন্য তাকে তুলে নিয়ে গেলো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্নভাবে চললো ফিসফিসানী। তারপর এক সময় চাপা গেলো মায়াময় মুখের এই কলম সৈনিকের কথা। ...
আজকে ফেসবুকে দেখি তাসনিম নিজেই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ এ সম্প্রতি দেওয়া তার ধারাভাষ্যটি আমাকে পাঠিয়েছেন।
তাসনিম খলিলকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি না, শুধু তার লেখা ছাড়া। এতোদিন পরে, আবারো তার লেখা পড়ে চমকে উঠলাম। তাহলে, এই শশ্মানপুরীই আমার দেশ!
সুইডেনে স্বপরিবারে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়া সাংবাদিক তাসনিমের রোমহর্ষক সেই ধারাভাষ্যটি পড়ুন এখানে।
মন্তব্য
সংযুক্ত: তাসনিম খলিল আটক ও মুক্তির বিষয়ে দৃষ্টিপাতের পোস্ট ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
আরিফের খবর কি?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাসনিম খলিলকে নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনটা পড়ে ভাবছিলাম সচলে পোষ্ট দিব। সচল খুলে দেখি বিপ্লব রহমান হাজির।
আপনাকে বিপ্লব।
---------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে
.
শুনতে পাই, কার্টূনিস্ট আরিফ সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার জন্য ওনার ওপর চাপ আছে। @ নজরুল ইসলাম।
মোরা যাত্রী একই তরনীর@ থার্ড আই।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
তাসনিম খলিল আমার প্রিয় সাংবাদিকদের একজন; তার উপর এই বর্বর নির্যাতনের আবারো ধিক্কার জানাই। আমাদের সেনাবাহিনী কি আজীবন মাথমোটাই থাকবে?
আমিও তাসনিম খলিলের মেসেজ থেকে জেনেছি নির্যাতনের বিবরণ। পুরো একদিন অপেক্ষায় ছিলাম সচলায়তনে কেউ লিখবার। মুখে অশ্রাব্য সব কথা, আর মাথায় দুর্বিনীত সব চিন্তা ঘুরছে তখন থেকেই। জানি না কী বলবো। কিছু ইনডেমনিটি কোন সংসদই রিপিল করতে পারে না। সেনাবাহিনীর আজীবন ইমিউনিটিও তেমনি।
অনেকেই বলেন নিজের নামেই কেন সেনা/সরকার/সেনাসরকার-বিরোধী মতের কথা লিখি। ভয়ের কথা বলেন, দেশে গেলে বিড়ম্বনার কথা বলেন। আমি সবাইকেই তাসনিম খলিলের কথা বলি। মানুষ যেখানে প্রতিবাদের সাহস দেখাতে পারে, সেখানে আমার মত কীটের আর যাই হোক আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকার অধিকার নেই।
ব্যাপার না। কদ্দুর যাবে যাক। এরশাদও ট্রাক চালিয়েছিল। ১১ নম্বর গাড়িগুলো গা ঝাড়া দিয়ে উঠলে সব বদলে যাবে।
হুম...গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
সবচেয়ে খারাপ লাগে যে বাংলাদেশের কোন মিডিয়াই এই সংবাদটি ছাপল না যেইখানে বড় বড় আন্তর্জাতিক মাধ্যমগুলো এ নিয়ে সংবাদ করল।
ডেইলী স্টারের সাংবাদিক হানা বললেন যে এখনও সংবাদপত্রের কন্ঠরোধ হয়ে আছে। আর্মির বিরুদ্ধে কিছুই তারা লিখতে পারে না।
তার মধ্যেই মাহফুজ আনাম আবার বড়াই করা একটি এডিটোরিয়াল লিখেছেন "১৭ বছরের ভয়হীন সাংবাদিকতা"। আন্তর্জাতিক মাধ্যম উল্লেখ করে নিজেদের একজন সংবাদ কর্মীর খবরটি পর্যন্ত যাদের ছাপাতে সাহস হয় না তাদের মুখে এ কথা মানায় না।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
সহমত রেজওয়ান ভাই।
মুখে , কাজে (বেড়াল)
তাসনিমের ধারাভাষ্যটি পড়লাম। অক্ষম ক্রোধে আক্রান্ত হয়ে মনে হলো, দেশটাকে আমি বড়োই ভালোবাসি, তবে ঘৃণা করি এই রাষ্ট্রকে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
তাসনিম খলিলের লেখাটা পড়তে পড়তে দম বন্ধ হয়ে আসে।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
সবাইকে ধন্যবাদ।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
নতুন মন্তব্য করুন