আগাচৌ'র সত্যযুগ

বিপ্লব রহমান এর ছবি
লিখেছেন বিপ্লব রহমান (তারিখ: শনি, ০৬/০৬/২০০৯ - ৪:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী সাংবাদিকতা জগতের এক জীবন্ত ইতিহাস। আজ দুপুরে হঠাৎ করেই তিনি আমাদের অফিস, দৈনিক কালের কণ্ঠে বেড়াতে এলেন।

সেই শৈশব থেকে অনেক তাঁর লেখা পড়েছি। আর গত প্রায় দুদশকের পেশাগত জীবনে সাংবাদিকদের আড্ডায় তাঁর পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথাও শুনেছি। গত বই মেলায় কী এক অনুষ্ঠানে দেখি তাঁকে। তবে সেবার ভীড়-ভাট্টায় তাঁর ক্ষীণ কণ্ঠের বক্তব্য প্রায় তেমন কিছুই শুনতে পারি নি।

আজ ঘরোয়া আড্ডায় আগাচৌ প্রায় ঘন্টা খানেক বক্তব্য রাখেন। নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, উপ মহাদেশের সাংবাদিকতার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। তিনি যা বলেন, তা অনেকটা এ রকম:

১৯৪৮ সালের পর দৈনিক আনন্দবাজারের ভূমিকা ছিলো সাম্প্রদায়িক। তারা প্রায়ই এপার বাংলায় কোথায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে, কোথায় মন্দির ভাঙা হয়েছে-- এসব খবর বানিয়ে ফলাও করে ছাপতো। জবাবে এপার বাংলার কাগজ দৈনিক আজাদ পাল্টা সব সাম্প্রদায়িক খবর ছাপতো, ওপার বাংলার কোথায় মসজিদ ভাঙা হয়েছে বা কোথায় মুসলিম নারীর ইজ্জত লুঠ করা হয়েছে -- ইত্যাদি। অবস্থাটা শেষে এমন দাঁড়ালো যে, এই দুই কাগজ সাম্প্রায়িক উস্কানীর প্রধান ভূমিকা পালন করতে লাগলো।

সে সময় আনন্দবাজার গোষ্ঠি থেকে একটি অংশ বেরিয়ে গিয়ে নতুন এক দৈনিক প্রকাশ করলো, নাম--সত্যযুগ। ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী ডালমিয়া ছিলেন তাঁর অর্থদাতা। আনন্দবাজার গোষ্ঠির সাংবাদিকরা সমালোচনা করে বললেন, ডাল মিয়ার মতো কুখ্যাত ব্যবসায়ীর কালো টাকায় ‘সত্যযুগ’ প্রকাশ হচ্ছে, এটি খুবই লজ্জার কথা। জবাবে সত্যযুগের সাংবাদিকরা বললেন, টাকার কোনো রং নেই, আর এর পরেও কালো টাকা যদি দেশের জন্য ভালো কাগজে ব্যয় হয়, তখন সেটি আর কালো থাকে না; এটি সাদা হয়ে যায়।

রাতারাতি সত্যযুগ প্রগতিশীলদের একটি প্রধান সারির দৈনিকে প্রতিষ্ঠা পেলো। দুই বাংলায় আনন্দবাজার ও আজাদের বিকল্প হয়ে দাঁড়ালো এই কাগজ।

কিন্তু সে সময় ডালমিয়া একটি ভুল করে বসলেন। তিনি লিখলেন একটি আতœজীবনী। সেখানে সরলভাবে কিছু স্বীকারোক্তি ছিলো, যেখানে তিনি বলেছিলেন, কোন কোন কোম্পানীর ক্ষতি করে তিনি অসৎ উপায়ে অর্থ আয় করেছিলেন।

আনন্দবাজার গোষ্ঠি এই বইটি নিয়ে তুমুল হইচই শুরু করলো। তাঁরা সরকারকে বাধ্য করলো মামলা দিয়ে ডালমিয়াকে গ্রেফতার করতে। আর সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গেলো ‘সত্যযুগের’ মতো একটি প্রতিশ্র“তিশীল কাগজ। আর পরে আনন্দবাজার তার চরিত্র বদল করতে বাধ্য হয়।

আগাচৌ বললেন, কালের কণ্ঠ পরিবারকে আমি এখান থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানাই। এটি যেনো হয়ে ওঠে এ কালের ‘সত্যযুগ’ ....তবে মালিক পক্ষ বিপাকে পড়লে এটি যেনো সহসাই বন্ধ হয়ে না যায়, এর সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খানকে আমি এ অনুরোধ জানাই। আমি দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে আছি। যতদিন বেঁচে আছি, আবেদ খানের সঙ্গে আছি।

জবাবে আবেদ ভাই তাঁকে বসুন্ধরা গ্র“পের এই পত্রিকাটির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব রক্ষা ও অর্থ যোগানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দৈনিক কালের কণ্ঠ হবে একটি সত্যিকারের নতুন ধারার দৈনিক। এই কাগজ বাংলা ভাষায় তো বটেই, এমন কী উপমহাদেশেও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে!


মন্তব্য

মাহবুব লীলেন (লগাইতে পারি না) এর ছবি

তাইলে আপনি আগাচৌ দিয়েই আপনার সাংবাদিকতা শুরু করলেন কালের কণ্ঠে?

গুড গুড

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঠিক তা নয়। ...

অনেক বড় বড় সাংবাদিক, সাহিত্যিক কালের কণ্ঠে শুভেচ্ছা জানাতে আসছেন। আজ এসেছিলেন আগাচৌ। ওনার শুভেচ্ছা বার্তার খানিকটা সচলে শেয়ার করলাম--এই আর কী! হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

মজা পাইলাম

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঞঁ !


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সবজান্তা এর ছবি

০১

আগাচৌ-র লেখার সাথে পরিচয় বেশ ছোটকালেই, আমার বাবা তাঁর লেখার বেশ ভক্ত। নিজের চোখ কান একটু ফোটার পর পর বুঝতে পারলাম ভদ্রলোক আওয়ামী ঘরানার, এবং মাঝে মাঝে খুব হাস্যকর এবং দৃষ্টিকটু বক্তব্য দিয়ে ফেলেন ( ইকবালের মিছিল থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা দ্রষ্টব্য), কিন্তু তারপরও তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি তাঁর সৎ স্বীকারোক্তির জন্য, তাঁর পলিটিক্যাল ওরিয়েন্টেশন সৎভাবে স্বীকার করার জন্য। অনেকেই আমার সাথে দ্বিমত করেন, তবে আমি তাঁকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তিনজন কলামিস্ট এবং পলিটিক্যাল ফোরকাস্টার হিসেবেই মানি।

০২

"কালের কণ্ঠ" নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে আশাবাদী হতে চাই। এই দেশে আসলে কোয়ালিটির দিক থেকে প্রথম আলোর সমকক্ষ কোন পত্রিকা না হওয়ার কারণে, প্রথম আলো অনেক রকম ভণ্ডামি করে যাচ্ছে কোন রকমের প্রতিরোধের সম্মুখীন হওয়া ছাড়াই।

কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, আশাবাদী হওয়ার কারণও আপাতত পাচ্ছি না। যেই পত্রিকার মালিকপক্ষ ভূমিদস্যু বসুন্ধরা গ্রুপ, তারাই কি সাংবাদিকদের যথেষ্ট হাত খুলে লিখতে দিবেন ? কালের কণ্ঠ কি পারবে বিভিন্ন প্রোজেক্টে বসুন্ধরা যে দুর্নীতি করেছে, তার চিত্র তুলে ধরতে ?

একদম স্বাধীন হওয়াটা রাতারাতি অসম্ভব এটা আমি জানি। তবু যদি পঞ্চাশভাগ স্বাধীনতাও পায়, তবু বলবো, এই পত্রিকা দাঁড়িয়ে যাবে।

০৩

প্রেস জোকসের আর পর্ব কই ?


অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

১. অনেকটা একমত। তাছাড়া ‌'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানোর' অমর সঙ্গীতের শ্রষ্টা তো এদেশের এক জীবন্ত ইতিহাস।

২.

একদম স্বাধীন হওয়াটা রাতারাতি অসম্ভব এটা আমি জানি। তবু যদি পঞ্চাশভাগ স্বাধীনতাও পায়, তবু বলবো, এই পত্রিকা দাঁড়িয়ে যাবে।

একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে আমিও আপনার মতো আশাবাদী হতে চাই; চাই মিডিয়ায় এক চেটিয়া বাণিজ্যের অবসান।

আর এদেশের সংবাদপত্রের মালিকানার ইতিহাস কিন্তু ‌'সত্যযুগের' মতোই। আর দৈনিক ইত্তেফাক থেকে শুরু করে সেদিনের ‌'জনকণ্ঠ' পর্যন্ত -- একটি শীর্ষ পত্রিকায় তখনই ধস নেমেছে, যখন এতে মালিকপক্ষ হস্তক্ষেপ শুরু করেছে।...

৩. প্রেস জোকস-এর পরবর্তী পর্বগুলো আসতে সময় লাগবে। কেননা এগুলো তো বানানো জোকস নয়; এগুলো গণমাধ্যমের দৈনন্দিন ঘটনা থেকে সংগ্রহ করা।

---

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

@ সবজান্তা

এই দেশে আসলে কোয়ালিটির দিক থেকে প্রথম আলোর সমকক্ষ কোন পত্রিকা না হওয়ার কারণে,

প্রথম আলোর কোয়ালিটি কী?
সমকক্ষ হতে হবে কেন?
একটা ভালো পত্রিকার আশায় খুব বসে আছি... এটাই কথা...

কালের কণ্ঠ আসুক... স্বাগতম... হয়ে উঠুক একটা সংবাদ পত্রিকা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

প্রচুর সমালোচনা সত্যেও প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কিন্তু এখনো সত্যিই মানসম্পন্ন পত্রিকা। @ হের নজু।

আপনার বাকী মন্তব্য ও আশাবাদের সঙ্গে একমত। অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

কার মান? কীসের মান? কারা নির্ধারণ করবে এই মান? এই মান কি কাগজের , ছাপার কালি, পেজ মেকাপ, বানানের শুদ্ধতা ... নাকি অন্যকিছুর?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সবজান্তা এর ছবি

আমপাঠকের দৃষ্টিতে প্রথম আলোর কোয়ালিটিটা জানেন কী ?

প্রথম আলোর চমৎকার কিছু ঝা চকচকে ক্রোড়পত্র, দেশের সত্যিকারের এবং তথাকথিত - দুই রকম প্রগতিশীল ব্যক্তিদের নিয়মিত লেখা প্রকাশ, নানা রকম সোশ্যাল ইনভলভমেন্ট (যদিও তা প্রশ্নের সম্মুখীন, কিন্তু আমজনতা আর এতো জানে না) ইত্যাদি।

অনেকেই প্রথম আলোর এই ধরি মাছ না ছুই পানি নীতিতে যারপরনাই বিরক্ত, কিন্তু যোগ্য বিকল্পের অভাবে হয়তো প্রথম আলোই রেখে যাচ্ছে।


অলমিতি বিস্তারেণ

বিপ্লব রহমান এর ছবি

চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি প্রথম আলোরে খারাপ বললাম কই?
কিন্তু এইটারে মান পত্রিকা বানানোর পক্ষে না আমি। অন্য পত্রিকা নিজস্ব মতেই বেড়ে উঠুক।

এই দেশের অন্য পত্রিকাগুলোর মূল সমস্যা কী জানেন? মালিকপক্ষ, বিজ্ঞাপনদাতা থেকে শুরু করে পাঠক, সবাই পত্রিকাগুলোর কাছে আরেকটা প্রথম আলোই চায়।
আর চাপে পড়ে অন্য পত্রিকাগুলোকে প্রথম আলোর পথেই হাঁটার চেষ্টা করতে হয়। ফলে না থাকে তাদের স্বতন্ত্র, না হতে পারে তারা প্রথম আলো।

প্রথম আলো ব্যবসায়ীক দিক দিয়ে যেহেতু অনেক এগিয়ে আছে, তাই তারা অন্য পত্রিকাগুলোর সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়, স্রেফ ফাঁপড়ে রাখার জন্য (আমি এটাকেও খারাপ বলছি না, এটা তারা করতেই পারে)। সেই চ্যালেঞ্জগুলোর পিছনে ছুটতে ছুটতে পত্রিকাগুলো আর নিজস্বতা বজায় রাখতে পারে না। না পারে নিজের স্টাইল তৈরি করতে।

প্রথম আলো তার মতো করে নিশ্চয়ই ভালো। তাকে আমি কোথাও খারাপ বলছি না।

কিন্তু আমি বলছি একটা বিকল্প দরকার। সেটা প্রথম আলোর স্বার্থেই দরকার। আমরা প্রথম আলো এখন তো পাচ্ছিই, চাই অন্য একটা পত্রিকা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

ঠিক তাই।

আরেকটা প্রথম আলো বানানোর প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নতুন ধারার দৈনিক।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

তানবীরা এর ছবি

বিপ্লবদা,

১. বসুন্ধরা আর সব গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রিজ এর মতো সব শাখা থেকে পয়সা আদায় করতে চায়। টিস্যু, রিয়াল স্টেট, মার্কেট, দোকান সব হইছে এখন বাকি প্রকাশনা ব্যবসা। এটা হলো মূল মন্ত্র। দেশ সেবা গ্যায়ী তেল লে নে।

২. সব বিজ্ঞাপনেই থাকে, আমি আলাদা - আমি শ্রেষ্ঠ। সব মানুষও তাই ভাবে আমি আলাদা সবার থেকে। আসলে কি তাই ঘটনা ?

৩. কালের কন্ঠের জন্য শুভ কামনা

---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বিপ্লব রহমান এর ছবি

তাতা আপু,

১. বসুন্ধরা গ্রুপের এই দৈনিকটি তো কোনো দাতব্য সংস্থা নয়; এটি ব্যবসা করবে না, এ কথা তো কেউ বলেনি। এটিকে পেশাদার দৃষ্টিতে দেখাই ভালো।

২. দেখা যাক না শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়। আগে কাগজটা প্রকাশ হোক তো!

৩. অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

থার্ড আই এর ছবি

আগাচৌ সম্পর্কে আমার অনুভূতি মিশ্র। এই বর্ষীয়ান সাংবাদিকের লেখা এখনো মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়ি,তবে আগে যতটা অন্ধ ভাবে সব কিছু বিশ্বাস করতাম এখন সব কিছু বিশ্বাস না করলেও খুব কাছে থেকে দেখি বলে লেখা গুলো উপভোগও করি বটে।
-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

-------------------------------
স্বপ্নকে ছুঁতে চাই সৃষ্টির উল্লাসে

বিপ্লব রহমান এর ছবি

চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

স্পর্শ এর ছবি

কালের কন্ঠের জন্য শুভকামনা। আশাকরি এটা সত্যিকারের কালের কন্ঠ হয়ে উঠবে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

শংখচীল এর ছবি

আগাচৌ অনেক সময় ফরমাশি লেখা লেখেন ব্যক্তি,গোষ্ঠি স্বার্থে। সেগুলো বাদ দিলে তার সব লেখা আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি,কারন উনি আমাদের সমসাময়িক ইতিহাসের জীবন্ত স্বাক্ষিদের একজন। আগাচৌ এর পলিটিকাল কমেন্টারিগুলোতে স্বঘোষিত পক্ষপাত থাকে, কিন্তু তা যৌক্তিকতাকে পরিহার করে নয়। এতে রাজনীতির একটি পক্ষের সুলিখিত,সুচিন্তিত পারস্পেক্টিভ পাওয়া যায়। অন্যপক্ষের লেখকরা এতটা গুছিয়ে লিখতে পারেন না বলেই উনার উপর অনেকের একটু বেশি আক্রোশ। উনি বাইবেল লেখেন না,যে চোখ বুঝে মানতে হবে। সে দাবী উনারও নাই।
বর্ষীয়ান এ লেখকের দীর্ঘজীবণ কামনা করি।
"কালের কন্ঠ" পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

"একুশ শতকের বটতলায়" এক সময় মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়তাম। আগাচৌ মাঝে মাঝে একটু বেশিই আবেগপ্রবণ হয়ে যান, সে-সময় তাঁর লেখার মান ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক। তবুও পছন্দের লেখক ও মানুষ।

কালের কণ্ঠ কি প্রকাশ শুরু হয়েছে? অনলাইনের লিংক দিতে পারেন?

আমিও অপেক্ষায় আছি ভাল একটি দৈনিক পত্রিকার।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কালের কণ্ঠ এখনো প্রকাশ হয়নি; প্রস্তুতি পর্ব চলছে মাত্র।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

সাইফ এর ছবি

টাকার কোনো রং নেই, আর এর পরেও কালো টাকা যদি দেশের জন্য ভালো কাগজে ব্যয় হয়, তখন সেটি আর কালো থাকে না; এটি সাদা হয়ে যায়

জানি না কতটুকু সত্য এই কথাটি, তবে ভালো লাগলো পড়ে। দোয়া রইল "কালের কন্ঠ" এর জন্য (অবশ্য শকুনের দোয়ায় গরু মরে না মন খারাপ )

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কোনো বিতর্কে না গিয়ে অতি বিনয়ের সঙ্গে শুধু একটি কথা মনে করিয়ে দিতে চাই : @ সাইফ

মাদার তেরেসা যাদের থেকে অনুদান নিতেন, তাদের মধ্যে মাফিয়া ডন তো বটেই, এমন কী মাদক-অস্ত্র চোরাচালান ব্যবসায়ী ছিলেন। আর জানেন বোধহয়, যে কয়েকটি পেশাকে এখনো মহৎ পেশা বলা হয়, তারমধ্যে সাংবাদিকতা পেশাটিও আছে।

অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

প্রথম আলো কোনো কালেই নিরপেক্ষ পত্রিকা ছিল না। পত্রিকাটি বরাবরই প্রতিক্রিয়াশীল। কিন্তু এর তুখোড় সম্পাদক এর গোষ্ঠিস্বার্থ নিরীহ পাঠকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে লুকিয়ে এসেছেন। আবার অনেকেই, জেনে বুঝে বাধ্য হয়েই প্রথম আলো পড়েন। এই যে বাধ্য হয়ে পড়েন এটা অবশ্যই প্রথম আলোরই সাফল্য। এগুলো নিতান্তই আমার মত। পৃথিবীজুড়ে প্রথম আলোর লাখ লাখ পাঠক /'সমর্থক' আছেন। তারা কেন / কী বুঝে পড়েন/ 'সমর্থন করেন' সেটা তারাই জানেন। তাদের অধিকার। এবং অবশ্যই তারা কেউ বিচার-বুদ্ধি-বিবেকহীন নন। কিন্তু আমি অন্তত প্রথম আলোর একচেটিয়া ভণ্ডামির ও গুন্ডামির (অবশ্যই আমার সংজ্ঞায়) অবসান চাই। কালের কণ্ঠ কি পারবে ?


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

নিরপেক্ষ কোন পত্রিকা আছে কি?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

কালের কণ্ঠ কি পারবে ?

প্রথম আলো কী করছে বা করছে না, সেটি আমার আলোচ্য নয়। @ অনিন্দ্য রহমান

আপনার মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কোনো একজন সহ ব্লগার স্বাক্ষরে লিখেছেন: মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। ...আমরাও তাই মনে করি। এখন বাকীটা না হয় হোক ‌‍'ফলেই পরিচয়'।

ধন্যবাদ।

---
হঠাৎ এই পুরনো ও বহুল কথিত প্রশ্ন? @ পিপিদা।

সংবাদে এক ধরণের ভারসাম্য থাকা অবশ্যই প্রয়োজন; এটি সাংবাদিকতার নীতিমালার একটি আবশ্যিক শর্তও বটে। আর নিরপেক্ষতাও একটি পক্ষ; সেক্ষেত্রে সংবাদের পক্ষপাতিত্ব তথা জনগণের পক্ষপাতিত্ব করতে তো দোষ নেই! হাসি

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সংবাদে এক ধরণের ভারসাম্য থাকা অবশ্যই প্রয়োজন; এটি সাংবাদিকতার নীতিমালার একটি আবশ্যিক শর্তও বটে। আর নিরপেক্ষতাও একটি পক্ষ; সেক্ষেত্রে সংবাদের পক্ষপাতিত্ব তথা জনগণের পক্ষপাতিত্ব করতে তো দোষ নেই!
একমত। তবে অধিকাংশ পত্রিকার জন্মই হয় কোন না কোন মত বা গোষ্ঠিকে তুলে ধরার জন্য। কোন একটা পক্ষ নেয়া খারাপ নয়, যদি সেটা একঘেয়ে না হয়ে যায়। কালের কন্ঠ সেরকম না হলেই ভালো।

আপনি যদি ওখানে যান, তো এ্যডভান্স টাকা নিয়ে নেবেন, যাতে বাকীর খাতায় সবসময় নেগেটিভ ব্যালান্স থাকে হাসি

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

শুভ কামনা বিপ্লব তোমার জন্যে এবং কালের কণ্ঠের জন্যে।
কালের কণ্ঠকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন,অনেক প্রত্যাশা।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আরিফ খান এর ছবি

আমি প্রথম আলোর ভক্ত পাঠক।দুই বড় দলের লুটপাটের বিরুদ্ধে আপোসহীন অবস্থানের জন্য আমি তার ভক্ত।কিন্তু উপরোক্ত আলোচনায় উঠে আসা অভিযোগ গুলি (ভণ্ডামি,গুণ্ডামি) একটু বুঝিয়ে বা নির্দিষ্ট করে বললে আমার মত আম পাঠকের উপকার হত।(যদি তাতে পরিবেশ দূষিত না হয় ,তো)

বিপ্লব রহমান এর ছবি

দৃষ্টি আকর্ষণ @ অনিন্দ্য রহমান ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন পত্রিকা কি সবার কাছে সমান গ্রহণযোগ্য হয়? না হয়েছে কোন কালে? সময়েই দেখা যাবে কালের কন্ঠ কার কন্ঠ হয়ে ওঠে। বয়স তো কম হলোনা, অনেক কিছুই দেখলাম। পত্রিকা যে কত ভালো ব্যবসা তা নতুন নতুন পত্রিকার জন্ম দেখেই আঁচ করা যায়।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হ!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

হিমু এর ছবি

কালের কণ্ঠের কাছে আমার প্রত্যাশা, এর অনলাইন সংস্করণ হতে হবে ইউনিকোডে।

তবে যে পত্রিকার মালিক বসুন্ধরা গ্রুপ, তাকে নিয়ে লম্বাচওড়া আশাবাদ পোষণ করি না। পত্রিকা তার মালিকের ডালকুকুরের ভূমিকাই পালন করে দিনের শেষে। প্রথম আলো বসুন্ধরার কুকীর্তি ফাঁস করবে, আর কালের কণ্ঠ ফাঁস করবে ট্রান্সকমের, তারপর আমে-দুধে সব মিশে একাকার হয়ে যাবে, পড়ে থাকবে পাঠকরূপ আঁটিটি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম।...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

একটা জরিপ হয়ে যাচ্ছে বিপ্লব স্যার। কাজে লাগান। ফল পাবেন।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

বিপ্লব রহমান এর ছবি

একমত।।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

দ্রোহী এর ছবি

সবচেয়ে জরুরী প্রশ্ন: বেতন ঠিকমতো পাবেন তো?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কালের কণ্ঠের জন্য শুভকামনা রইল। তবে ভুমিদস্যু মালিকের পত্রিকা নিয়ে মোটেই আশাবাদী নই।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

আবারো বলছি, এদেশের সংবাদপত্রের মালিকানার ইতিহাস কিন্তু ‌'সত্যযুগের' মতোই। ...
অনেক ধন্যবাদ।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

কীর্তিনাশা এর ছবি

কালের কন্ঠের যাত্রা শুভ হোক, সফল হোক !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হাসি


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

অনিকেত এর ছবি

আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামান রইল---

প্রথম আলোর প্রতিদ্বন্দী একটা পত্রিকার প্রয়োজন খুব বেশি এই সময়ে। শুরুর দিকে আমি 'আলু'-র ভক্ত ছিলাম। তাদের নতুন কিছু করার এবং সে সময়কার সৃষ্টিশীল প্রচেষ্টা গুলো সাধুবাদ পাবার যোগ্যতা রাখে। কিন্তু খুব বেশিদিন লাগলো না---আলু তাদের মালিক গোষ্ঠির ধামাধরা খয়ের খাঁ হিসেবে আবির্ভূত হল। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে, কার্টুনিষ্ট আরিফের ঘটনাটা। কোন একটা কারনে আমি কিছুতেই এই ঘটনাটা ভুলতে পারি না। একটা নির্দোষ রসিকতা করার জন্যে কাউকে এইরকম শাস্তি পেতে হতে পারে---এইটা অভাবনীয়। তারচেয়ে অভাবনীয় হল আলুর আচরণ!

এককালের বাম মতাদর্শী আর একালের ধনাকর্ষী মতিভাই যেভাবে হাঁটু ভেঙ্গে মৌলবাদীদের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ চোষণ করে এলেন---সেটা নজির বিহীন! অনেকে বলবেন---আরে এইটাই তো বেচারার রুটিরুজির উৎস, এইভাবে সে লোক খেপিয়ে তো ব্যবসা চালাতে পারবে না। আমার কথা হল--এইটে ছিল একেবারে মোক্ষম একটা সময় যখন প্রথম আলো তার মেরুদন্ড(!) এর অস্তিত্ব জানান দিতে পারত। তার যে বিশাল পাঠক গোষ্ঠী আছে---তার সবই কি মৌলবাদী কপট মনের অধিকারী? আলু যদি একবার আরিফের পক্ষ নিয়ে পাঠককুল তথা দেশের মানুষের কাছে আবেদন জানাতো যে একটা নিরীহ কার্টুনিষ্ট 'বধ' করার চাইতে দশ ট্রাক ভর্ত্তি অস্ত্র গায়েব হবার কেস নিয়ে অনুসন্ধান করা, অথবা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ---তাহলে কি খুব বিরাট ব্যবসায়িক ক্ষতি হতো?

কার্টুনিষ্ট আরিফের ঘটনা একটা সাধারণ নজির মাত্র। আলু দিনের পর দিন আপোষ করে গেছে---অত্যন্ত "সতর্ক ভাবে" সংবাদ পরিবেশন করে গেছে----যা আমার মতে, আমাদের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করেছে বেশি। যখন দেশে মুক্তবুদ্ধির ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তার চর্চা হওয়া প্রয়োজন ছিল---ঠিক তখনই দেশের 'সর্বাধিক' প্রকাশিত-পরিবেশিত পত্রিকাটির মেরুদন্ডহীনতার পরিচয় কেবল হতাশাব্যঞ্জক নয়,
দিন-বদলের আশার স্বপ্নের মূলে কুঠারাঘাত!

বিপ্লব রহমান এর ছবি

হুমম।...
---

ধন্যবাদ সবাইকে।


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।