রোমেল চৌধুরী এর ব্লগ

পৃথিবীর পথেঃ প্রথম পর্ব (পঞ্চম কিস্তি)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১৩/০২/২০১১ - ৮:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইভনিং গেম ড্রাইভ শেষে আমরা যখন ক্যাম্পে ফিরে আসছি ছেলেরা তখন পরিতৃপ্তির কোলে দেহ এলিয়ে আবেশে চোখ মুদে একটি সার্থক দিনের পরিসমাপ্তিতে হৃষ্টচিত্ত। আর মেয়েরা সদ্য আহরিত ভালোলাগার বিস্ময়ের কথা বার বার উচ্চারণে আপ্লুত। “ইচ্ছে হলে ক্যাম্পে পৌঁছে তোমরা পাশের মাসাই পল্লী থেকে ঘুরে আসতে পারো। পরিচিত হতে পারো ওদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে। বিশ ডলারের বিনিময়ে ওরা তোমাদের যূথচারী নাচ দেখাবে, আগুন জ্বালিয়ে দেখাবে


একুশের বইমেলা ও একজন নিভৃতচারী

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৭/০২/২০১১ - ২:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কতদিন পরে এলেম একুশের বইমেলায়। আরো তো এসেছি বহুবার, বহুবার ভিড়ের ভেতর দিয়ে একাকী হেঁটে গেছি এই পথ ধরে। ধুলোমাখা স্যান্ডেলের মতো মলিন হতে হতে হেঁটে গেছি একা একা। পুরনো পাঞ্জাবীর তেল চিটচিটে আস্তিনের ফাঁক গলে আমার বিশীর্ণ আংগুল সবার অলক্ষ্যে এই রমনার কিংবদন্তীসম বটবৃক্ষের ঝুলে পড়া শেকড় ছুঁয়েছে। ক্ষণিকের জন্য খুঁজে ফিরেছে একচিলতে উড়ে যাওয়া সুখ, একটু উদ্বায়ী নির্ভরতা। এই তো, এই তো সেই বটমূল। তার ঝুলে


আন্না আখমাতোভার কবিতা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০২/২০১১ - ৯:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

In Memory of M. B.
Here is my gift, not roses on your grave, not sticks of burning incense. You lived aloof, maintaining to the end your magnificent disdain. You drank wine, and told the wittiest jokes, and suffocated inside stifling walls. Alone you let the terrible stranger in, and stayed with her alone. Now you're gone, and nobody says a word about your troubled and exalted life. Only my voice, like a flute, will mourn at your dumb funeral feast. Oh, who would have dared believe that half-crazed I, I, sick with grief for the buried past, I, smoldering on a slow fire, having lost everything and forgotten all, would be fated to commemorate a man so full of strength and will and bright inventions, who only yesterday it seems, chatted with me, hiding the tremor of his mortal pain.


তুমি আছো বলে

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ২৯/০১/২০১১ - ৯:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমি আছো বলে বড় ভালো লাগে মাটি
বিকেলের রোদে মেঠো পথে হাঁটা হাঁটি

তুমি আছো বলে সবুজের আয়োজন
অনন্ত আকাশ, শঙ্কামুক্ত মন


আমাদেরও ব্যথা পেতে হয়

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০১/২০১১ - ৯:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এসো এইবার
তুমি আর আমি পাশাপাশি, হাতে হাত রেখে
কুয়াশায় মুখ ঢেকে শীতের সকালে
উড়ে উড়ে নামি
থেকে থেকে কেঁদে উঠা আর্ত নদীটির বুকে
এসো, তুমি আর আমি।

নরম জলের স্তন ছুঁয়ে দিতে দিতে যদি
আকাশের পানে চেয়ে দেখি
তুমি আমি হই ছায়াপথ − আকাশের নদী
আমাদের নদী ছেঁচা যতো নীল − নীলরং জল − সুনীল আকাশ −
ব্যথার আঁধার মেখে চোখ বেয়ে নামে নিরবধি
বিষণ্ণ বালক এক,
সন্ধ্যের বুক চিরে কেঁদে কেঁদে ঘুরে ফেরে একা
আধফোটা ছিন্ন কমলের মতো মতো
চোখে তার ধূলিময় মলিনতা আঁকা।

যদি সেই নদী থেকে এক ঝাঁক ডাকাতিয়া ডাহুক পাখি
আমাদের ডেকে বলে, ‘জলে ভাসো −
ভেসে ভেসে চলে যাও অনন্ত মোহনায়’


শীতল যুদ্ধের ক্ষণ

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২১/০১/২০১১ - ৯:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(Ralph Pomeroy রচিত 'Corner' এর ছায়া অবলম্বনে)
পুলিশটা বসে আছে ওই ওখানে
টান টান সতর্কতা তার মুখের ভাঁজে
জমে উঠে দুধের সরের মতো
একটু হেলে ধরে রেখে তার মোটরসাইকেলটাকে
সে বসে আছে সিটের উপর
মিছেই রেখেছে ধরে আয়েশী ভাব
ক্যামন রেখেছে ভর এক ঠ্যাংযে নিত্যসঙ্গী বাইকের আর নিজের
শিকারী ধনেশ যেন
বেহুদা ঘুরছি কেন?


চার মিশালী

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০১/২০১১ - ১:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১। সেল বাজার

কি বললি, বলতো শুনি, সেল বাজারের কেসটা?
ফোন না শুধু, যা খুশী তোর বেচতে পারিস বেশটা।
আরেব্বাস, করবো নাকি দেশটা বেচার চেষ্টা?
পারবি নারে, তুই কোথাকার ক্যাবলা কান্ত কেষ্টা
তুই কি বেটা পারবি হতে মন্ত্রী-উপদেষ্টা ?

২। শিল্পীর লিমেরিক

দাদার জন্মে দাদাবাদের নাম শুনিনি আমি
প্রকাশ বাদের কথা শুনে কুলকুলিয়ে ঘামি
ইমেজিসম তুলিতে নেই
স্যুরিয়ালিজম ঝুলিতে নেই
চাষাবাদের হাভাত ঠেলেই শিল্পী আমি নামী।

৩। বিবরে বিলাস

নির্জনে যদি অরণ্যে খুঁজি শ্রান্তি
খোলা দরজায় সাহসী দাঁড়াবো ঘুরে
মাধুকরী মাগি যদি বা শীর্ণকান্তি
গোলাপকে নেব পুরোটা হৃদয় জুড়ে।

৪। নরকের দেউরী


পৃথিবীর পথেঃ প্রথম পর্ব (চতুর্থ কিস্তি)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/০১/২০১১ - ৪:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,–
কাহারে সে ডাকে!


শীতার্ত দিনের কবিতা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৮/০১/২০১১ - ৮:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কখনো উঠোনে আমার দাঁতাল জন্তুর মতো
শীতের ছেদন দাঁত বড়ো বেশী হিংস্র হয়ে উঠে
কুয়াশার আবরণে লুকিয়ে কঠিন মুখ
আচম্বিতে সে ঢুকে পড়ে হুট-হাট
জানালার ফাঁকে বসা একচিলতে নরম সুখ
মৃত্যুময় হলুদ বৃন্তের মতো টুপটাপ শিশিরের শব্দে মিশে ঝরে পড়ে
উত্তরের জীর্ণ কপাটের ফাঁক গলে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া
শীতল সরীসৃপের মতো হিলহিলে নৈঃশব্দ্যে
ঝরাপাতার বুকজুড়ে ছড়ায় শ্বেত-সন্ত্রাস যত্রতত্র;
নেকড়ের মতো তার জান্তব হিমের ভয়ে সিটিয়ে পড়ে
কুঁকড়ানো বাস্তু কুকুর, চৌকাঠ, জলের কলস,
কানের পাতার কোল, আস্তিনের মলিন গুহা,
লেপের দূরবর্তী কোণ, কেদারার কাঠ, একগাছি বিশীর্ণ আঙুল।


পৃথিবীর পথেঃ প্রথম পর্ব (তৃতীয় কিস্তি)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২২/১২/২০১০ - ১০:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সবুজ ছাতার নীচে পেতে রাখা আয়তকার টেবিলটি যখন আমাদের কাছে পেয়ে প্রাণ পেল, টাস্কার বীয়রের হলুদ চাদরের মাঝে কালো হাতির সাদা দাঁতের দীপ আলোর পূর্ণ প্রতিফলনে আমাদের দৃষ্টি কেড়ে নিতে চাইলো, ঠিক তক্ষুনি নাওকো জলপান শেষ করে কিশোরী চাপল্যে-উচ্ছলতায়-আনন্দে ক্যামেরাবাজীতে মেতে উঠলেন। জলের বোতল ও কাগজের রুমালের আড়াল এড়িয়ে আমরাও নড়ে চড়ে বসলাম। ছবি পর্বের ই ...