পৃথিবীর পথেঃ প্রথম পর্ব (চতুর্থ কিস্তি)

রোমেল চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন রোমেল চৌধুরী [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১২/০১/২০১১ - ৪:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,–
কাহারে সে ডাকে!


বিকেলের খানিকটা আয়ু আছে তখনো। আমরা এসে পৌছুলাম মারা সিদাই ক্যাম্পে। সেখানে স্থানীয় মাসাই গোত্রপতি সশরীরে উপস্থিত আমাদের অভ্যর্থনা জানাবার জন্য। দীর্ঘ একহারা কালো কুচকুচে শরীর। হাতে চা গাছের শেকড়ের মতো আঁকাবাঁকা কাঠের লাঠি। লাঠির মাথায় দিকটার কাঠ চেঁচে বুনো মোষের করোটি খোদাই করা। নিপুণভাবে তরুণাস্থি কেটে ফেলা দু’কানের লতি থেকে ঝুলছে চিতার দাঁতের তৈরি একজোড়া দুল । হাতে ও গলায় নানা রঙের বাহারি গহনা, কমলা-লাল মাসাই পোশাকের সাথে একযোগে সবাই যেন শখের দোল উৎসবে মেতেছে। এই সর্দার পবিত্র ধর্মাচার ভেবে বর্তমানকে এখনও রেখেছে গেঁথে প্রাগৈতিহাসিক ঐতিহ্যের পরতে পরতে।

“এই হলো তোমাদের তাঁবু। দু’জন করে থাকবে একটাতে। পেছনে ওয়াশরূম আছে, গরম পানির ব্যবস্থাও করা আছে। সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত ইলেক্ট্রিসিটি থাকবে। সে সময়ের ভেতরে ক্যামেরার ব্যাটারী চার্জ করে নিতে ভুলো না যেন। তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে চা পান করে নাও, সন্ধ্যে নামার আগে খানিকটা গেম ড্রাইভ করে আসা যাবে তাহলে”, জর্জের মুখ থেকে বহুদিনের অভ্যাসে সুবিন্যস্ত একসারি নির্দেশ বেরিয়ে এসে আমাদের চঞ্চল ও উৎসাহী করে তোলে, ভেতরে ছুট লাগায়। তিনটি তাঁবুর প্রথমটির দখল পাকাপোক্ত করে ফেলে দুই জাপানী তরুণী। মাঝের তাঁবুতে কেটিকে নিয়ে ফরাসি সুন্দরী চোখ টিপে বলে উঠে, “ছেলেরা কিন্তু রাতে পাহারা দেবে আমাদের”। আর সব শেষেরটায়, যেদিকটায় বনের শুরু, ঝুটা খাবারের লোভে হায়েনারা ঘোরাফেরা করে ইতস্তত:, মাঝে মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষে তীক্ষ্ণ শব্দে বুকে হিম তোলে, অগত্যা সেখানে গিয়ে ঢুকি আমি আর শিনজি। “ভয় নেই, চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দেয়া আছে, ফাঁক-ফোঁকর গলে ঢুকে পড়লে খুঁচিয়ে তাড়িয়ে দেব খন”, হাতের বল্লম উঁচিয়ে বলে উঠে একজন মাসাই। আমাদের মনের শব্দ হয়তো শুনতে পেয়েছে, অথবা দীর্ঘদিন ধরে এমন আরো অনেক ভিনদেশীর মনে শঙ্কার নীল রেখা ফুটে উঠবার আগেই প্রলেপ বুলিয়েছে অভ্যস্ত আয়োজনে।

চটজলদি গরম জলে শাওয়ার সেরে নিলাম। শিনজীকে তখন পেয়েছে বিড়ির নেশায়। গাড়ীতে একসাথে সবাই থাকায় এতক্ষণ প্রাণভরে সুখটান দেয়া যায় নি, এবার সেই মওকা মিলেছে। ও এবার একটানে একেবারে আগা থেকে গোড়ায় নামাবে বিড়ির আগুন। বুক ভর্তি সুখ নেবে, কয়লার ইঞ্জিনের চিমনীর মতো গল গল করে ধোঁয়া ছাড়বে নাকের দু’ফুটো দিয়ে। চা এসে গেলো। চায়ের সাথে শখের বশে শিনজীর বাড়িয়ে দেয়া একশলা মার্লবোরো নিলাম। দুই টানে নিজেকে ওয়েস্টার্ন পেপারব্যাকে পড়া ইরফানের মতো ভাবা গেল খানিকটা সময়। “তোমরা যাবে না, দেরী করছো কেন?”, কেটির কথাতে সম্বিত ফিরে জোরকদমে হেঁটে গাড়ীতে উঠে বসি আমরা সবাই। চার মিনিটের মাথায় গাড়ী ছুটিয়ে মাসাইমারার গেটে নিয়ে আসে জর্জ। এতক্ষণ ইতস্ততঃ চড়ে বেড়ানো একটি কি দু’টি হরিণ দেখেই আমরা যারা নিজেদের ধন্য মনে করেছিলাম মুহূর্তেই তাঁদের নিজেদের কি যে বোকা লাগে অথচ তখনও তো আমরা জানি কি বিপুল বিস্ময় অপেক্ষা করছে আমাদের জন্যে সাফারির ভেতরটার দিগন্ত বিস্তৃত ঘাসের প্রান্তরে, ছোট ছোট ঝোপের আড়ালে, খালের মতো শীর্ণ নদীর বুক জুড়ে।

একে একে হরিণেরা আসিতেছে গভীর বনের পথ ছেড়ে,
সকল জলের শব্দ পিছে ফেলে অন্য এক আশ্বাসের খোঁজে
মানুষ যেমন ক'রে ঘ্রাণ পেয়ে আসে তার নোনা মেয়েমানুষের কাছে
হরিণেরা আসিতেছে।


ইভিনিং গেম ড্রাইভের শুরুতেই নজরে এল এক সুদৃশ্য হরিণ। মায়াভরা দু’টি তার চোখ, সদা সচকিত তার কান, ক্ষীপ্র তার গতি। সামনের পা থেকে পেছনের পা অবধি পেটের উপর দিয়ে মোটা কাজল কালো দাগ। এই দাগের তলায় সাদা নরম তলপেট, আরো নিচে কস্তুরীর বিবশ করা গন্ধের নেশা নিয়ে জেগে থাকা মৃগনাভী। আর উপরে আদুরে বাছুরের মতো মসৃণ পিঠ। লেজটি কালো। খাঁড়া শিংদুটি পোড় খাওয়া বড় বাঁকানো স্ক্রুর মতো উল্টো করে মাথার মধ্যে গেঁথে দেয়া। এই হরিণের নাম কী? সুন্দরবনের চিত্রল কিংবা মায়াহরিণের মতো নয়। শিকারীর প্রবেশাধিকার নেই, তাই নেই ঘাই হরিণীর আহ্বান। তাহলে কি এই হরিণীর নাম? নাওকোর কাছে এর উত্তর মিললো। তার হাতে ধরে রাখা বুনো জন্তুদের উপর জাপানী ভাষায় লেখা ছোট্ট টুরিস্ট গাইড হাতে আঁকা সাদাকালো রেখাচিত্রে ঠাসা। একে বলে থমসনের গজালা (Thomson’s Gazelle)।

“ঐ দেখ আরেকটি গজালা এটি একটু বড়”, অর্বাচীনের মতো বলে উঠি আমি। “উঁহু ওটি গজালা নয়, এলান্ড (Eland)", জর্জ শুধরে দেয়, “ভুল নামে ডেকেছ বলে অভিমানে মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে”। সবাই হেসে উঠে উচ্ছ্বাসে, আমি কিছুটা আরক্ত হই। ভাবি, আরেকটু সংযত হতে হবে আমায়। ফের ভাবি, আনন্দ আহরণেই তো এসেছি তাহলে হোক না কেন, ‘ও রে রে রে রে রে আমায় ছেড়ে দে রে দে রে’। ভিতর বলে, ‘সকল বাঁধন টুঁটি’, বাহির বলে, ‘সামলে’। তাই অনুচ্চে আবৃত্তি করি,

আজ এই বিস্ময়ের রাতে
তাহাদের প্রেমের সময় আসিয়াছে;
তাহাদের হৃদয়ের বোন
বনের আড়াল থেকে তাহাদের ডাকিতেছে জোৎস্নায়,–
পিপাসার সান্ত্বনায় — আঘ্রাণে — আস্বাদে!


এবার যে কিম্ভুত-কিমাকার জন্তুটিকে দেখলাম সেটিকেই যে আদিম কোন মানব প্রাগৈতিহাসিক যুগের গুহায় এঁকেছিল সে বিষয়ে আমরা ছিলাম শতভাগ নিশ্চিত। গোধূলির কমলা আলো স্নাত পাহাড়ের কোল ঘেঁষে যখন আলো-ছায়ার খেলা চলছে, নিজমনে ঘাস চিবুতে থাকা এই পশু তখন যেন মাসাইমারার বিস্তীর্ণ প্রান্তরকে প্রাগৈতিহাসিক অভিব্যক্তিতে অভিষিক্ত করে চলেছে। এদের গ্র্যান্ড মাইগ্রেশন দেখবো বলেই তো এখানে এসেছি আমরা। মারা নদীর উপর দলে দলে ঝাঁপিয়ে পড়বে এরা, ছিটকে উঠে বাষ্প ছড়াবে নদীর স্বচ্ছ জল, কুমীরেরা তেড়ে আসবে লিক লিকে লোভ নিয়ে, কারুর হয়তো পা মচকে-ভেঙে যাবে, কেউবা ভেসে যাবে প্রতিকুল স্রোতের তোড়ে, তবু তারা ছুটবে মাসাইমারা পার হয়ে সেরেঙ্গাতির পথে, ‘সবুজ ঘাসের দেশ চোখে দেখে’।

সন্ধ্যে সমাসন্ন হলে একে একে সবাই যেন ডেরায় ফিরে আসে, মাসাই মারার সব পশুই। অন্ধকার যখন অতিকায় হিংস্র বেবুনের মতো দুরের পাহাড় ডিঙ্গিয়ে ঝুপ করে নামে, তখন ক্ষণিকের জন্য হলেও বড় বাঘেরও গায়ে কাঁটা দেয়। সিংহের দল সিঁটিয়ে যায়। মোষগুলি নিজেকে লুকায়। তাই অগুনতি বুনো মোষ কিম্বা জেব্রার দল মাসাই মারার প্রাচুর্য হলেও ঝোপের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে নিতে ব্যস্ত একটি বুনো মোষ দেখিয়েই জর্জ যখন ইভিনিং ড্রাইভের ইতি টানতে যাবে ঠিক সে মুহূর্তেই ওয়্যারলেসে ভেসে আসা অস্পষ্ট বার্তা শুনে আশা ঝিলিক দিয়ে উঠলো ওর চোখে। গাড়ী ঘুরিয়ে নিলো এক পলকে। ছুটলো যেদিকটায় সেখানে নিতান্তই শীর্ণ দেহের পাতাঝরা মরা ঝোপ ছাড়া কিছুই নজরে আসলো না। এরই মধ্যে ওয়্যারলেসে বার্তা ছড়িয়ে গেছে দিগ্বিদিক, সবগুলো হুড খোলা মাইক্রোবাস ঘিরে রেখেছে একটি ম্যাড়ম্যাড়ে ঝোপকে, সবগুলো মানুষের ও ক্যামেরার চোখের দৃষ্টি যেন একটি বিন্দুতে নিবদ্ধ, ‘বড়ো বাঘের ডেরা’।

এদিকটায় ক’টি বড় বড় গাছ, সবুজ পত্রপল্লবে বিকশিত। তারই ফাঁকে দেখতে পেলাম অতিকায় এক মেরুন মোরগ ফুলের উপর সন্ধ্যের ছায়া যেন মমতা মাখাচ্ছে। “জিরাফ”, সোৎসাহে চেঁচিয়ে উঠে আমি। উত্তেজনার তোড়ে হাত থেকে ক্যামেরা পড়ে যায় গাড়ীর বাইরে। “সামলে”, জর্জ ড্রাইভিং সীট থেকে ঝটপট নেমে পড়ে ক্যামেরা কুড়িয়ে দেয়, “যদি বাঘের ডেরার কাছাকাছি এমনটি ঘটতো, দেন উই কুড হ্যাভ ফরগট অ্যাবাউট ইট”।

গাছের পাতা বেয়ে বেয়ে কিভাবে সন্ধ্যে নেমে আসছে, সেই হিমেল ছবি দেখতে দেখতে যখন বিগত যৌবনের কথা ভাবছি আর ক্যাম্পে ফিরছি, দেখি মগডালে বসে আছে একটি অতিকায় শকুন, ঠোঁটে তার ব্যবচ্ছেদের লিপ্সা। (চলবে...)


মন্তব্য

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার লেখা নিয়ে তো কোন কথাই বলবোনা। অসাধারণ লেখনীর কারনে একই জিনিসের বহুগুণ সুন্দর বর্ণনা পাই আপনার লেখা থেকে। চালিয়ে যান বস্‌!

ও এবার একটানে একেবারে আগা থেকে গোড়ায় নামাবে বিড়ির আগুন। বুক ভর্তি সুখ নেবে, কয়লার ইঞ্জিনের চিমনীর মতো গল গল করে ধোঁয়া ছাড়বে নাকের দু’ফুটো দিয়ে।

Biri BH

বিড়ি টানতে বড়ই ভালু পাই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

রাতঃস্মরণীয় ভাই,
মানুষকে কাছে টেনে নেবার যে ঈর্ষণীয় ক্ষমতা আপনার আছে তার বিন্দুমাত্র আমার নেই। আমি অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক, আলাভোলা, পাগল প্রকৃতির মানুষ। 'মাধুকরী'র পাগলা ঘোষসা পৃথুর মতো। নিজমনে কথা কইতে কইতে ইচ্ছে হলে মাঝে মাঝে হৃদকলমের টানে হয়তো কিছুট লিখি, সচলায়তন দয়া করে হয়তো তা ছাপে। তা পড়ে যদি আনন্দনদীর স্রোতে উজানবেলা কিছু খুশীর ঝাঁপাঝাঁপি হয় তবে সেই তো আমার আলো। আমার তো আর কোন চাওয়া পাওয়া নেই, 'সাধ নেই ফসলের তরে'। পুনশ্চঃ এও জানিয়ে রাখি আপনার লেখার মুগ্ধ পাঠক আমি, আপনার লেখা আমার শীর্ণ হৃদয়ের ডালে ভালোবাসার বাহারী ফুল ফোটায়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আহা! স্বপ্নের মাসাইমারা। রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের পর আপনারী এই পোস্ট। হিংসা বাড়ছে চক্রবৃদ্ধি হারে।

লেখা ও ছবি দুটোই সুন্দর। Gazelle এর উচ্চারণ গ্যাজেল না? তবে গজালা শুনতেও মন্দ লাগছে না।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ফাহিম ভাই,
'গ্যাজেল' ই সঠিক, 'গজালা' নয়। তবে নিশ্চিত এই যে রাতঃস্মরণীয় ভাইয়ের জুড়ে দেয়া ছবির 'গেঁজেল' নয়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আপনার রসবোধ তো দারুণ। আর আগের পোস্ট/ মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে কবিতা বেশ ভালবাসেন!

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

হ্যাঁ ভাই, বাগদেবীর প্রেমে সেই কবে থেকে দিওয়ানা হয়ে আছি! সেই দিওয়ানাদের লিস্টিতে আপনার নামটিও দেখতে পাচ্ছি যে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ছবির 'গেঁজেল'টাকে চিনতে পেরেছেন তো? দেঁতো হাসি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

পেরেছি, 'সুখের' অপর নাম 'রাতঃস্বরণীয়' ভাই!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

বইখাতা এর ছবি

যাওয়া তো আর হবে না, তাই ছবি দেখেই সুখ। হাসি গ্র্যান্ড মাইগ্রেশনের কথা কোথায় যেন পড়েছিলাম। খুবই আগ্রহোদ্দীপক মনে হয়েছে। 'সিরগা' বইটাতে খুব সম্ভবত এরকমই কিছু একটা আছে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

বইখাতা ভাই,
যাওয়ার মওকা কখনো যদি মিলে যায়, মিস করা মোটেই উচিত হবে না। মাসাই মারার রোমঞ্চকর অভিজ্ঞতার শতভাগ অনুভুতি কোন ভাবেই কারুরই পক্ষে ভাষার বর্ণনায়, স্থিরচিত্রে কিম্বা ভিডিওতে ধারণ করে প্রকাশ করা বোধকরি সম্ভব নয়। গ্রান্ড মাইগ্রেশন নিয়ে মাসাই মারার শেষ কিস্তিটি একটু জাঁকিয়ে লেখারই ইচ্ছে আছে। জানি না কতটুকু পারবো। হ্যাঁ, 'সিরগা'র বর্ণনা মনমুগ্ধকর, তবে আমি প্রথম আগ্রহী হই 'দি বার্ডম্যান' ছোটগল্পটিতে বার্ডম্যানের দিকে বুনোমোষের পালের দলবদ্ধ ছুটে আসার অসাধারণ বর্ণনা পড়ে।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

কৌস্তুভ এর ছবি

এরকম আপনিই লিখতে পারেন।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

কৌস্তুভ ভাই,
আমি তো লিখি না, আপনাদের প্রেরণা আমায় লিখিয়ে নেয়।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

অদ্রোহ এর ছবি

এভাবে বিদেশ বিভুঁইয়ে কবে চষে বেড়াতে পারব কে জানে? দেশের কত জায়গা তো এখনো দেখাই হলনা।

লেখা, ছবি দারুণ রোমেল ভাই।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

অদ্রোহ ভাই,
কামনা করি দেশ ও বিদেশ দুই'ই দেখুন প্রাণভরে আর আমাদের উপহার দিন দারুণ দারুণ সব লেখা। আমরাও মনভরে আস্বাদ নিই অমৃতের।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।