জল রঙ স্বপ্ন এবং একটি ফড়িং

বোহেমিয়ান এর ছবি
লিখেছেন বোহেমিয়ান (তারিখ: বুধ, ১৭/০৩/২০১০ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


"মা এর থেকে মামা কেন বেশি ভালো বল্ তো?" মামা জিজ্ঞেস করে ।

"কারণ মা এ একটা মা, মামায় দুইটা মা!" নাইশা বলে ওঠে ।

মামা বাসায় আসলেই নাইশার খুব ভালো লাগে। মামা শুধু ভালো ভালো গিফট দেয় সেই কারণে না, বেড়াতে নেয় সেই কারণে না, মামা অন্য বড়দের মত সারাক্ষণ বড়দের মত করে কথা বলে না! মামা তো ওর সাথে খেলেই তারপর মজার মজার কথা বলে । নাইশার ফ্রেণ্ডরা তো ওকে হিংসা করে ওর মামার জন্য। অবশ্য মামাকে ওদের ফ্রেণ্ডদের সামনে আনা যাবে না । মামা ওকে হয় আম্মু অথবা বুড়ি ডাকে। ফ্রেণ্ডরা যদি শোনে ওকে বুড়ি ডাকা হয় তাহলেই হয়েছে! দেখা যাবে স্কুলে ওর নাম ই হয়ে যাবে বুড়ি! ক্লাস ফাইভে উঠেছে সে এবার । এত বড় একটা ক্লাসের মেয়েকে কেউ বুড়ি ডাকে?!

"মামা আমাকে বুড়ি ডাকবে না কতবার বলেছি!"

"সরি বুড়ি!" বলেই মামা হাসে।

নাহ! মামাকে নিয়ে পারা যায় না! নাইশা ভাবতে থাকে । নিলয় ফাযিলটা নেই এখন। ঠিক হয়েছে । খালি ক্রিকেট খেলতে চায় মামা এলেই । ক্লাস থ্রিতে পড়ে তবুও মাথায় যদি একটু বুদ্ধি শুদ্ধি থাকত! এখনো ছোটই রয়ে গেল! নিলয় এর শুধু বুদ্ধিশুদ্ধি ই কম না , ও একটা আস্ত শয়তান! নাইশা ওর বড় তাও ওকে নাম ধরে ডাকে! কত্ত বড় ফাযিল!

আম্মু নিলয়কে স্কুল থেকে আনতে গেছে । নাইশার আজ স্কুল নেই ।মামার ও অফিস নেই । মামা অনেক দিন পর এলো ওদের বাসায় । মামার নাম সাব্বির । আম্মু ডাকে সাবু! (ভাগ্যিস ওকে আম্মু নাশু ডাকে না!) মামা অনেক কমিক্স নিয়ে আসে । চাচা চৌধুরী পড়া শেষ হয়ে গেছে ওর । ৩ টা টিনটিন ও পড়ে ফেলেছে । চাচা চৌধুরী পড়ে একটা কার্টুন ও এঁকেছে সে। ছোঁচা চৌধুরী আর সাবু!
ছোঁচাটা হচ্ছে নিলয়!(এত পেটুক! সারাক্ষণ খালি খাওয়ার কথা বলে!)
মামা ছবিটা দেখে খুব খুশি হয়েছে । যদিও বলেছে মামার নাকটা নাকি বোঁচা হয়ে গেছে! ছোঁচা চৌধুরী আর বোঁচা চৌধুরী! নাইশা ফিক করে হেসে দিল ।

নাইশার ছবি আঁকতে খুব ভালো লাগে , বিকেল বেলা গুলোতে ফাঁক পেলেই সে ছবি আঁকে । আগে শুধু গ্রামের দৃশ্য টাইপ ছবি আঁকত । এখন অনেক কিছু আঁকে । আটলান্টিক এর নীচের ছবি, মহাকাশের ছবি, মেঘের ছবি। মামা বলেছে যত বেশি আলাদা আঁকা যায়। ভুলেও অন্যদের মত আঁকা যাবে না । সে তাই ছবি আঁকার আগে অনেক ভাবে । ছবির জন্য ভাবতেও তার অনেক ভালো লাগে ।

ছবি ভালো হলেই দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয় । নাইশা আর নিলয় যে রুমটায় থাকে তার ডানপাশের দেয়ালটা নাইশার আর বাম পাশের টা নিলয় এর। (ওর দেয়ালে খালি স্পাইডারম্যান এর ছবি। গাধার গাধা! বড় হয়ে স্পাইডারম্যান হতে চায়! এমন বোকা লোক আর একটাও আছে?! সুপারম্যান তো না সুপার গাধা! )

ওদের পাশের বাসায় একটা ফুলের বাগান আছে । নাইশারা দোতলায় থাকে ।ওদের বারান্দা দিয়ে ফুলগুলো দেখা যায় । এত সুন্দর! নাইশার খুব ইচ্ছে করে ফুল গুলো চুরি করে নিয়ে আসতে! মামাকে ওর প্ল্যান এর কথা বলল । মামা বলল "ফুল গাছে থাকাই ভালো । ফুল ছিড়লে গাছের কষ্ট হবে। " এর চেয়ে কাগজের ফুল নাকি ভালো!নষ্ট হবার ভয় নেই । কষ্ট হবার ও ভয় নেই! মামা একটা ফুল বানিয়ে দিয়ে বলল,রঙ করে ফেল । এই বাগানের ফুলগুলোতে অল্প ধরণের রঙ আছে , ওকে অনেক ধরণের রঙ লাগাতে বলল । নাইশা মোম রঙ ব্যবহার করে । মামা অবশ্য ওকে জল রঙ কিনে দিবে পরের সপ্তাহে । কী মজাটাই না হবে! এবার কল্পনার সব রঙ মিশিয়ে ছবি আঁকা যাবে! (কথাটা মামার ! মামা খালি কল্পনা করার বলে, বাবার ঠিক উলটো! বাবা ওর ছবি দেখে বলে "কী সব হাবিজাবি!" দেখা জিনিস আঁকতে বলে । মামাকে বাবার কথা বলল সে । মামা বললো কল্পনারটাও নাকি এক প্রকারের দেখা! এত কঠিন কথা নাইশা বোঝে না ।সে শুধু বোঝে তার আঁকতে ভালো লাগে। জল রঙ পেলে অনেক ভালো ছবি আঁকা যাবে ।)

নিলয় আর আম্মু আজ বেশ লেট করে বাসায় আসলো ।

"নাইশা... নাইশা... তোমার নতুন টিচার এর বাসায় গিয়েছিলাম আজ । অনেক বড় বেত আছে সেই টিচার এর!টিচার এর ইয়া বড় পেট ! হিহি হাহা। অনেক রাগী । তার মোছটাও রাগী রাগী!! তুমি না পড়লে তোমাকে মাইর দিবে আর মোছ টানবে!" এই বলে বিশ্রি করে একটা হাসি দিল! নিলয়টা এত্ত ফাযিল! নাইশার ক্ষতি হলে এত আনন্দিত হয় !

আম্মু মামাকে দেখে খুশি হয় । একমাত্র ছোট ভাইকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।

দুপুরে খাওয়ার সময় নাইশা আম্মুকে বলে
"আম্মু মামা আগামী সপ্তাহে জল রঙ এনে দিবে! কী মজা! "

"কী?! না না! জল রঙ কিনে দিস না সাবু ,ওতো এ বছর ছবি আঁকার সময় ই পাবে না । ছবি আঁকা নিয়েই থাকতে চাবে। বিকেল বেলা ঘুমানো দরকার । সমাপনী পরীক্ষা না সামনে ! ৩ টা টিচার... "

আম্মু আরও অনেক কিছু বলতে থাকে । নাইশার কানে ঢোকে না । ও জানে সব । ইদানিং সারা দিন ই ওকে পড়ার উপর থাকতে হয় । এখন আরেকটা নতুন টিচার !

আম্মুর মামাকে বলে "তুই এর চেয়ে বড় দেখে একটা ব্যাগ গিফট কর। ওর নতুন কেনা ব্যাগ টাও ছোট হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে । এত বই ওর! "

নাইশার এত্ত মন খারাপ হল । জল রঙ এর বদলে ব্যাগ! এটা কোন কথা হল ?

মামা আম্মুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করে এতটুকু বাচ্চার উপর এত প্রেশার দেয়া ঠিক না , আম্মু শোনে না । মামা আর আম্মু তর্ক করতে থাকে ।

নাইশা খাওয়া শেষ করে ওর রুমে চলে যায় । ওর মনটা খারাপ হয়ে গেছে । সমাপনী পরীক্ষাটার উপর সব রাগ চাপে ওর । জল রঙ তো পাবেই না, উলটো ওর ছবি আঁকা বন্ধ হবে । নতুন টিচার এর কাছে পড়তে গেলে ও তো আর সময় ই পাবে না ছবি আঁকার ।

সদ্য রঙ করা কাগজের ফুলটা নিয়ে ওর বিছানায় শুয়ে পড়ল । নিলয় বারান্দায় গিয়ে ফড়িং ধরতে লাগল । পাশের বাগান থেকে মাঝে মাঝেই ফড়িং চলে আসে ওদের বারান্দায়। আর ফাযিল নিলয় সেই ফড়িং গুলো ধরে, মাঝে মাঝে তো সুতো দিয়ে বাঁধে ! আচ্ছা ও এত পাজি কেন ?

আম্মু এসে বলল "আম্মু একটু চাপো তো ।" ওর বিছানায় উঠে আগের টাঙানো একটা ছবি খুলে ফেলল।
স্কচটেপ দিয়ে নতুন একটা ছবি টাঙাতে শুরু করল ।

"এটা কি আম্মু?"

"তোমার বিজ্ঞান বই এর একটা ছবি । অঙ্কুরোদগমের ছবি । তুমি সামনে পড়বে এটা । চোখের কাছে ছবি থাকলে তাড়াতাড়ি পড়া হয়ে যাবে। পরে দেখে নিও । এখন ঘুম দাও তো । বিকেলে টিচার এর কাছে যেতে হবে। "

আম্মুর ছবি টাঙানো শেষ হলে নিলয়কে "নিলয় ঘুমুতে যাও"বলে চলে গেল ।

অঙ্কুরোদগম । কী কঠিন শব্দরে বাবা! ওর মেঘের ছবিটা খুলে এত পচা একটা ছবি টাঙানো হয়েছে! ছবিটায় কী বিশ্রি রঙ! ছবি আকাও বন্ধ ,সাথে টাঙানো ও বন্ধ ! মেঘের ছবিটা ভাঁজ করে বালিশের পাশে রেখে দেয় ।

"নাইশা! নাইশা!দেখো না । আরেকটা ফড়িং ধরেছি !" নিলয় চেঁচাতে থাকে । নিলয়টা না খুব খারাপ!সে সুন্দর ফড়িংগুলো ধরে আর পাখা কেটে দেয় ।
নিলয় বলতে থাকে "নাইশা ,এই নাইশা দ্যাখো না। ফড়িংটা তবুও বেঁচে আছে !"
নাইশা চুপ করে শুয়ে থাকে , জবাব দেয় না ।
গন্ধহীন,কাগজের ফুলটা হাতে নিয়ে ডানা কাটা ফড়িংটার জন্য কষ্ট পায় সে,অনেক কষ্ট ।

উৎসর্গ : নামে ছোট্ট, হৃদয়ে বিশাল, কাজে অক্লান্ত, স্বপ্নে অনন্যা ।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

বড়রা বরাবরি বড়ই বোকা।
ওরা অবশ্য মনে করে ওরা চালাক! তাতে কি আর বোকামী যায়?!

নাইশাদের জন্য শুভকামনা।
আর ওদের মা বাবাদের চেতন-কামনা।

মর্ম

বোহেমিয়ান এর ছবি

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
বড়দের বোধোদয় হোক ।
নাইশারা ভালো থাকুক

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

মেলিতা [অতিথি] এর ছবি

ফেউসবুকের লিঙ্ক থেকে তোমার লেখা গুলো পড়ি। এটা অবশ্য লিঙ্ক দেখে পড়া না। ভাল লাগল। তোমার লেখার মান দিন দিন অনেক ভাল হচ্ছে।

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
আমার লেখা লেখির বয়স কিন্তু অনেক কম ।
ইদানিং একটু মনোযোগ দিচ্ছি, এভাবে উৎসাহ দিলে আরো মনোযোগ অক্ষুণ্ণ থাকবে ।
ভালো থাকুন
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ নজ্রুল ভাই । অভিজ্ঞ পাঠকের প্রশংসা বিশাল ব্যাপার ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

তিথীডোর এর ছবি

ঘুম ভাঙ্গতেই লেখাটা পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো!
আঁকিবুঁকির এ গল্প নিজের সঙ্গে অনেকটা মিলে যায় কিনা হাসি
পিঠাপিঠি ভাইটার সঙ্গে ছোটবেলায় সর্ম্পক ছিলো ঠিক এরকম...

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

বোহেমিয়ান এর ছবি

আমারো ঘুম থেকে উঠেই এই কমেন্ট দেখা! কমেন্ট দেখে খুশি হলাম ।
কারণ একজনের সকাল টা আরেকটু সুন্দর করতে পেরেছি!
আপনার লেখাটা লিখে ফেলেন ।

আমার বড় আর ছোট দুই বোন পিঠাপিঠি সম্পর্ক না । কারণ গ্যাপ আছে একটু
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ লাগলো গল্পটা। অনেক সুন্দর।

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ বিডিয়ার ভাই চোখ টিপি
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নাশতারান এর ছবি

আফসোস। ফড়িংদের কষ্ট কেউ বুঝতে চায় না !!

আমার পৃথিবীতে ফড়িংদের ডানা কাটা একটি দন্ডনীয় অপরাধ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

মন খারাপ
কেউ না মন খারাপ
আমার পৃথিবীতেও ।!
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

রাজীউর রহমান [অতিথি] এর ছবি

পড়তে ভাল লাগছিল। আরেকটু লম্বা করতে পারতি । বাচ্চাদের নিয়ে লেখা এমনিতেই কঠিন কাজ । অনেক লেখক বাচ্চাদের মনস্তত্ব ঠিকমত ধরতে পারেন না যা শেষ হয় হুমায়ুন আহমেদের স্থুল রসিকতায়। তোর লেখা ভাল হয়েছে ।

আর ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের জন্য আরো খারাপ দিন আসছে। ক্লাস ফাইভে থাকতে দুপুর যেন কাটতোই না, অপেক্ষা করতাম কখন বিকাল হবে ; খেলতে যাবো। স্যারদের কাছে দৌড়ানো শিখেছি ইন্টারে। এখনকার অবস্থা দেখলে খুব দুঃখ লাগে। এমন দুষ্টচক্রে পতিত আমরা সহসা এ থেকে উদ্ধারেরও কোন সম্ভবনা নাই ।

পরীক্ষা চলতেছে, না হলে আরো নিয়মিত লেখতে বলতাম।
হাসি

বোহেমিয়ান এর ছবি

হেহে!! আম্মো তো!!
আমি তো তার মাঝে আবার বাসার কাছের একটা সরকারি স্কুলে পড়ছি! তেমন পড়াশোনা ছিল না । হাই স্কুলেও অনেক কম পড়ছি ।
আর এখনকার বাচ্চাদের মন খারাপ
আমাদের প্রাইমারি স্কুলের সময় কিন্তু বেশ কিছু মাঠ ছিলো । হাই স্কুলে ওঠার পর সেই সব জায়গায় অনেক কিছু বানানো হইছে । ভাগ্যিস মাঠ গুলোর বার্ধক্য দেখার সময় পাইছিলাম!! এখনকার বাচ্চারা তো সেই সব মৃতদেহের উপর বিশাআআল অট্টালিকা দেখে মন খারাপ রেগে টং
থ্যাঙ্কস দোস্ত ।

আবারো শুভ জন্মদিন । এই গল্পটার প্লট অনেক দিন মাথায় নিয়ে ঘুরতেছিলাম।
আপাতত মনে হয় না আর কিছু লিখব ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

বাউলিয়ানা এর ছবি

এক কথায় চমতকার ! চলুক

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কিছু জিনিষ আছে একটু চোখ বুলানো দাবী করে। যেমনঃ "বিকেল বেলা গুলো"। পড়তে কেমন লাগে বলুন তো! অথচ এটা "বিকেল গুলো" হলে পড়তে অনেক আরাম লাগে। বিকেলের মতো একটা বিষণ্ণ ভাবও ফুটে ওঠে!

গল্পটা বেশ ভালো হয়েছে। চলুক
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

বোহেমিয়ান এর ছবি

থ্যাঙ্কস ধুগোদা তীক্ষ্ম দৃষ্টি যাকে বলে ।
খেয়াল রাখবো ।

আবারো ধন্যবাদ পড়ার জন্য ।

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

দেঁতো হাসি ফড়িং এর ডানা কাটার অপরাধে নিলয়কে নিল ডাউন!

আজকালকার নাইশাদের জীবন আমাদের মতো রঙ্গীন না...ওদেরও স্যার আছে, বাসার বা পড়তে যাওয়া নানা ব্যাচে...অথচ সেই ক্লাস ফাইভে আমরা স্যারের বাসায় যাওয়াটাকে একরকম অপরাধ ভাবতাম...! আমার প্রথম বাইরে পড়া ক্লাস নাইনে, ম্যাবসে... তার আগে নো টিচার নো ব্যাচে পড়া... মন খারাপ ভাগ্যিস বড় হয়ে গিয়েছিলাম! :| মন খারাপ

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

বোহেমিয়ান এর ছবি

আমিও অবাক হই!! এখন এরা পড়াশোনা বিষয়ে কত সচেতন!! আর আমরা!!!

ভাগ্যিস বড় হয়ে গিয়েছিলাম
আমারো এক ই কথা!
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

গল্পটা সকালেই পড়েছিলাম। মন্তব্য করার আগেই ল্যাপটপ হাতছাড়া হয়ে গেলো...

ভালো লাগার কথা বলে যাই।

_________________________________________

সেরিওজা

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুহান ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ফারাবী [অতিথি] এর ছবি

অনেক ভাল লাগল গল্পটা বোহেমিয়ান। সত্যিই যেন এভাবেই বাচ্চাগুলোর ডানা কেটে দেয়া হয়( ফড়িং এর ডানা কেটে দেয়ার সাথে মেয়েটির সাদৃশ্য কল্পনা করে)। খুব কষ্ট লাগে। সবচেয়ে খারাপ লাগে বাবা-মাদের ভাবভঙ্গি দেখলে আজকাল। তারাও যেন আজকাল কেমন হয়ে যাচ্ছে, যেন বাচ্চাদের মানুষ নয়, টাকা বানানোর মেশিন হিসেবে তৈরী করতে বদ্ধপরিকর।

ভাষাটা একটু বেশিই সহজ মনে হল, কি বাচ্চাদের মনস্তত্ব প্রাঞ্জল ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্যই হয়ত। তবে সেজন্য গল্পটা সতিকার কিশোর গল্প হয়ে উঠেছে।

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ । হ্যা ঠিক ই ধরেছেন আমি ভাষাটা এই কারণেই সরল করেছি।
কাগজের ফুল আর অঙ্গুরোদগম কথা গুলো ও কিন্তু এনেছিলাম শিশুদের সাথে তুলনা করতে । ভবিষ্যতে আরো ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা থাকবে ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ওডিন এর ছবি

দারুণ!

আমারও মাঝে মাঝে মনে হয় কয়েকদিন আগেই বড় হয়ে খুব বেঁচে গেছি! এখনকার সময়ে ডানাছেঁড়া ছোটমানুষ হওয়াটা মনে হয় না খুব একটা ভালো কিছু।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

বোহেমিয়ান এর ছবি

আসলেই! বড় বাঁচা বেঁচে গেছি!
অনেক অনেক ধইন্যাপাতা

_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

বইখাতা এর ছবি

চমৎকার গল্প !

বোহেমিয়ান এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নাবিলা বিনতে নাসির এর ছবি

আমার তো মন টাই ভাল হয়ে গেল!
অনেক কিছু বলতে ইচ্ছা হচ্ছে...ছোটবেলায় আমার ছবি আকার খাতা গুলোর হারিয়ে যাওয়া মনে করলেই অনেক খারাপ লাগে.........তোমার লেখাটা পড়ে আরেকবার অনুপ্রাণিত হলাম!

বোহেমিয়ান এর ছবি

তোমার মন ভালো করতে পেরে আমিও খুশি ।
ভালো কাজ অব্যাহত রাখো ।
এই কামনাই করছি ।
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

ভালো লাগলো গল্পটা।
ভালো থাকুক নাইশারা আর দুরন্ত নিলয়রাও হাসি

------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

বোহেমিয়ান এর ছবি

ধন্যবাদ মৌ ।
ভালো থাকুক ফড়িংরা ...
_________________________________________
বোহেমিয়ান কথকতা

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।