কোরানমানা নাস্তিকের দেশে

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
লিখেছেন ধ্রুব বর্ণন (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১১ - ১১:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এদেশের নাস্তিকেরা, আল্লাহ মানে না, কোরান মানে। আল্লাহমানা মুসলমানের মতই - সে মদ খায়, জুয়া খেলে, জেনা করে। কিন্তু কোরানমানা মুসলমানের মত দিন শেষে তওবা করে। বলে, "সব দোষ শালা উদারপন্থী মাদারচোদদের"!

এদেশের নাস্তিক আর মোল্লাদের একই কথা। শরিয়া আইনের মত করেই তারা বলে দিতে চায় - মানুষ কি খাবে, কি খাবে না। কি খেলবে, কি খেলবে না। কার বউ কার সাথে শুবে। কার কাছ থেকে কে টাকা নিবে। মোড়ের কোনায় কোনায় তার লাগে তালেবানের মত রাষ্ট্র-পুলিশ। যারা জেনা করলে রিমান্ডে বেত্রাঘাত করে। নিজের বউ আর টিভিটা যাতে নিজের সম্পত্তিই থাকে।

কোরানমানা নাস্তিকের দেশ মোল্লার দেশের মতই। ওখানে পাপ করা যায় না। পাপ বলে কিছু নেই। মানুষ ভাত খাওয়ার মত দিনরাত পূণ্য করে। পাপ কথা বললে ঠোঁটে শক দেয়া হয়। পাপ কথা লিখলে বইয়ের পাতা থেকে উবে যায় লেখা। পাপ কথা শুনলে কর্ণগুহরে সীসা ঢেলে দেওয়া হয় এই দেশে। আর কেউ কেউ সেই দেশে বাস করে, যাদের অন্তরে নাস্তিকের এই কোরানের বাণী কখনো পৌঁছিবেনা। তারা নাস্তিকের দেশে গুলাগে দিনাতিপাত করে। অবৈধ মদ খাওয়ার দোষে রাষ্ট্র-পুলিশের রিমান্ডে একশ বেত্রাঘাতও পায় অহরহ। কোরানের দেশের মতই এই দেশে মদ পাওয়া যায় কেবল কোরানমানা শাসকের ঘরে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছুদিন আগে সৌদি আরবে একজন ধর্ষিত নারী বিচারের জন্য কোর্টে আবেদন করলে তাকে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী ৮ বছরের জেল দাওয়া হয়,ধর্ষিত নারীর বিরুদ্ধে কোর্টের অভিযোগ-"বিবাহ বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক স্থাপন" ... !!!!!!!!!!! সত্যই অসাধারণ ..

-অর্ফিয়াস

অপছন্দনীয় এর ছবি

এই ব্যাপারটার কোন রেফারেন্স জানা থাকলে জানাবেন দয়া করে?

আলাভোলা এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই পোস্টটাও বুঝতে পারলাম না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এটাকে যদি গল্প বলেন, তাহলে ট্যাগে dystopia না বলুন। কিছু বাক্য অসম্পূর্ণ থাকায় গল্পটা দুর্বোধ্য হয়ে গেছে। আর এটাকে যদি ঠিক রূপক বা রূপকাশ্রয়ী গল্প বানাতে চান, তাহলে আপনাকে মনে হয় আরো কয়েকটা বাক্য যোগ করতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পল্লব এর ছবি

ঠিক বুঝলাম না ইয়ে, মানে... সৌদি আরবের কথা বলতেসেন? নাকি বাংলাদেশ? নাকি পুরাটাই রূপক বা এমন কিছু?

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

নাশতারান এর ছবি

গুলাগ কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি
শুভাশীষ দাশ এর ছবি
দ্রোহী এর ছবি

বুঝি নাই.. মন খারাপ

দুর্দান্ত এর ছবি

পাঠকের চাইতে আপনার ভাবনা কয়েক বাক্য এগিয়ে আছে। আরো কিছু শব্দ খরচ করা গেলে মনে হয় পাঠক আরেকটি এগিয়ে এসে আপনার সাথে সাথে ভাবতে পারবে।

এদেশের নাস্তিকেরা, আল্লাহ মানে না, কোরান মানে

কোরান মেনে নাস্তিক থাকা যায়? নাকি কোরানের দেশের মানুষদের আপনি নাস্তিক বললেন?

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

কোরান মেনে নাস্তিক থাকা যায়?

নাস্তিক যখন কোরানের মত থাকা-খাওয়া-শোয়ার বিবিধ বিধি-নিষেধ অন্যের উপর ফলায়, তখন তো সে কার্যতঃ কোরানই মানে। সুদ, মদ, জেনার প্রতি বিষোদগার করা নাস্তিকরে আমি ‘কোরানমানা নাস্তিক’ শুধাইলাম। আক্ষরিক অর্থে সে কোরান পড়ে চলে না, কিন্তু তার রাষ্ট্র-ভাবনার যে প্রচ্ছন্ন সুর, তা কোরানেরই সুর। ইসলামি শরিয়ার মত। অ্যান্টি-লিবারেল, মৌলবাদী, স্বাধীনতাবিরোধী, টোটালিট্যারিয়ান

সিরাত এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

স্কুল/কলেজ জীবনে মদখোর বন্ধুবান্ধব বা অন্য পরিচিত সংখ্যা খুবই নগন্য ছিল বা প্রায় ছিলই না। সাধারন ভাবে সমাজে 'মদখোর' পরিচিতিটাই, অন্তত প্রকাশ্যে, বেশ বিরল বা ব্যতিক্রমী একটা বিষয় ছিল। অন্তত প্রকাশ্য বিবেচনায়, কিছুটা হলেও খড়ের গাঁদায় সুঁচ খোঁজার মত। ছিল নিদেনপক্ষে ভ্রূকুটি বা নিন্দাসূচক। যারা খেত তারা অনেক ডিসক্রিটলিই খেত। অনভ্যস্ত পোলাপাইনদের দেখতাম এক ক্যান ভালুক জোগাড় করাকেই বিশ্ব জয় বলে মনে করত। সেইসাথে, হ্যাঁ, ধর্ম, গোঁড়ামি, এবং পাব্লিক লাইফে ধর্মের দৃশ্যমানতা, রোয়াব ও রবরবাও এখনকার চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কম ছিল হয়।

এখন মনে হয় সবকিছুই উলটে গেছে। ঢাকা শহর অন্তত মদ, দুর্নীতি আর ধর্মের বন্যায় ভেসে যাচ্ছে - প্রকাশ্যেই। যে গুআযম একসময় বাইতুল মুকাররম মসজিদের সামনে মুসল্লীদের হাতে প্রকাশ্যে জুতাপেটা হয়েছিল, তার চ্যালা আমিনীর ডাকা হরতালে এখন ঢাকা শহর সুনসান হয়ে যায়। কয়েকদিন আগে সাতমসজিদ রোডে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে দেখি গোঁফ-না গজানো বাচ্চা বাচ্চা কিছু ছেলে লোকজনের মাঝে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রকাশ্যে ব্ল্যাক লেবেল আর ডিম্পলের রিলেটিভ মেরিট নিয়ে তর্ক করছে। ভাবলাম বেশ বেশ, দেশ অনেক এগিয়েছে দেখছি। অথচ অন্য দিকে দেখি মসজিদে মসজিদে জুম্মায় বা রমযানে তারাবীর ৩০ দিনের কোর্স কমপ্লিট করার জন্য মানুষের ভীড় মসজিদ ছাড়িয়ে রাস্তায় নেমে আসে - আগে যার এক দশমাংশও হয়তো দেখতাম না। হাজীর সংখ্যাও বাড়ছে। মজার ব্যাপার হলো, এইসব ধার্মিকদের অনেককেই জানি যারা অন্যসময় সন্ধ্যা হলে গ্লাস হাতে বসে পড়তে বিন্দুমাত্র স্ববিরোধিতা খুঁজে পান না। আবার আমার পরিচিত মহলে পাঁড় মদ্যপ, ৪২০, দুই নম্বর আর বহুগামীগুলাও একেকজন কট্টর আস্তিক। ধর্ম বা তাদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন তুললেই মারতে আসে। নাস্তিকরা তাদের পরম শত্রু ! কেষ্টা ব্যাটাই চোর। সব দোষ তার।

আগে মদখোর পেতে হলে চোখ-কান অনেক খোলা রাখতে হতো - আর এখন চোখকান সীলগালা করে রাখলেও এদের এড়ানোর উপায় নাই। এখন খড়ের গাদায় সূঁচ নয়, বরং সূঁচের মধ্যে খড়ের গাদা খুঁজতে হয়! তবে এটাও কোন সমস্যা না - সমস্যা হলো এদের অনেকেই আবার আসলে ছদ্ম কাঠমোল্লা। ঐ যে নজরুলের 'বিদ্রোহী'র ঐ লাইনটার মতো - 'এক হাতে তার বিষের বাঁশরী / আর হাতে রনতূর্য..' (?) - এটা না বলে আমরা বলতে পারি - 'এক হাতে তার মদের বোতল, জেনা ও দুই নম্বরির উপায় / আর হাতে তার জেন্দ-আবেস্তা..' হাসি
ইহকাল-পরকাল সবই তারা ঠিক রাখতে চান, একই ভাবে সাফল্যের সাথে 'ভোগ' করতে চান। কিভাবে তারা নিজেদের মনে এই সমীকরনটা মিলান আমি জানি না, তবে তাদের ভাবটা মনে হয় এমন যে -- ইহকালে যদি দুই নম্বরী করে সাফল্য পাওয়া যায় - তাহলে একই ভাবে পরকালেরটাই বা পাওয়া যাবে না কেন ? ঘুষ দিয়ে কি না ম্যানেজ হয় - ইশ্বর বাবাজীই বা বাদ যাবেন কেন। এসব ক্ষেত্রে স্পয়েল-স্পোর্ট নাস্তিকদের মাতব্বরি সহ্য করা হবে না। ও হ্যাঁ, বাংলাদেশে ঘোষিত/সেমি-ঘোষিত 'প্রগতিশীল' বা 'সুশীল' নাস্তিকদের নিয়ে আবার অন্য সমস্যা আছে।

মনমাঝি

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

খাক না! ধর্মাচার আর মদ্যপানে জোরাজুরি কিসে?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি তো আপত্তি করছি না! সেটা আমার পয়েন্টও না উপরের কমেন্টে। তবে ভণ্ডামি ভালো লাগে না - তা সে ধর্মাচারী হোক বা মদাচারী/গাঁজাচারী বা অন্যকিছু। মুশকিল হলো এই ভন্ডরাই এখন বাংলাদেশে নৈতিকতার ধারক-বাহক এবং ভন্ডামীই নৈতিকতার মানদণ্ড হয়ে গেছে। সেখানেই আপত্তি।

মনমাঝি

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

ভণ্ডাচারী তো নিজের জীবনযাপনে ভণ্ড। আপনার আমার কিছু আসে যায় না। আসে যায় যখন কেউ নীতি ফলাইতে আহে। তা সে ভণ্ডাচারী হোক, বা নীতিচারী। ফলাইতে আইলে আমার কাছে দুইটার কোনোটা বেশি আদর পাইবে না আরকি!

সিরাত এর ছবি

ইন্টারেস্টিং আলোচনা! হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

ভণ্ডাচারী কেবল নিজের জীবনযাপনে ভণ্ড হইলে তারে বোধহয় আর ভণ্ড বলা যায় না - সৎ-ই বলতে হয়। বাস্তবতা হইলো তারাই সবচে বেশি নীতি ফলায়। ভণ্ডাচারীরাই দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় নীতিচারী ও নীতিপ্রচারক। সেজন্যই তারে ভণ্ড কয়। .... এক হিসাবে দুনিয়ার সবাই-ই বোধহয় কমবেশি ভণ্ড। ফলাইতে কেউই পিছপা হয় না - কোরানমানা নাস্তিক, কিছু না-মানা আস্তিক, বা অন্য যে কোন '-স্তিক'ই হোক না কেন।

মনমাঝি

ইশান এর ছবি

গোড়ামী বিশ্বাসের ঝর্নাকে নর্দমায় পরিনত করে

কথাটা কার জানিনা কিন্ত খুব ভাল লাগছিল..

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখাটা বুঝিনাই বইলা নিজেরে খুব বেকুব বেকুব লাগতেছিল। মন্তব্য পড়তে আইসা বুকে বল কিছুটা ফিরত পাইসি।

অতিথি লেখক এর ছবি

তবে আমার লেখার ভুল, শাস্তি ৮ মাসের ছিলো ...

-অর্ফিয়াস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।