ডারউইন থেকে ডাবল হেলিক্স - ৪

দিগন্ত এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৩/২০০৮ - ১০:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

autoইউজেনিক্স ছিল মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিজ্ঞানের একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। যদিও আজ অবধি ইউজেনিক্সের মূল দায় বিজ্ঞানীদের ঘাড়েই চাপানো হয় বাস্তবে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বার্থরক্ষার্থে ইউজেনিক্সকে সুচতুর ভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। যতজন না বিজ্ঞানী ইউজেনিক্সে সামিল হয়েছিলেন, তার চেয়ে বেশী ছিল সমাজ-বিজ্ঞানী আর রাজনীতিজ্ঞরা - যারা নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগিয়েছিলেন একে। রাষ্ট্রের ধারণা ছিল এই বিজ্ঞানের অজুহাতে যদি নিচুতলার মানুষগুলোক সরিয়ে ফেলা যায়। সাথে ছিল কিছু বর্ণবিদ্বেষী বিজ্ঞানী, যারা অবৈজ্ঞানিক প্রথায় সার্ভে করে অদ্ভুত সব ফলাফল এনে হাজির করতেন। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ইউজেনিক্সে যাদের মূল অবদান, সেই বিজ্ঞানীদের কেউই নোবেল পুরষ্কার পাননি, মূল বিজ্ঞানীমহলেও এই তত্ত্ব যথেষ্ট বিতর্কিত ছিল। অথচ তাদের গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই রাষ্ট্র আইন প্রবর্তন করে। বিজ্ঞানের এতটা স্বার্থান্বেষী ব্যবহার ইতিহাসে বিরল।

যাই হোক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মারণলীলা শেষ হতেই ইউজেনিক্সের দাপটও শেষ হল। কিন্তু ধাক্কা খেল না জিন-বিজ্ঞান। নতুন নতুন আবিষ্কার থেমে থাকল না। মরগ্যান সমাধান করে দিয়ে গেছেন যে ক্রোমোসমের মধ্যেই থাকে বংশগতির চাবিকাঠি, সেই চাবিকাঠি এবার হাতে তুলতে মানুষ মরিয়া হল। কিন্তু তার জন্য জানা চাই বংশগতির রাসায়নিক তত্ত্ব - যা রাসায়নিক আকারে বলে দেবে বংশগতি ঠিক কি ভাবে প্রবাহিত হয়।

যখন ডারউইন তার বিবর্তনবাদ প্রতিষ্ঠা করতে হিমসিম খাচ্ছেন, সেই সময়ে ফ্রেডেরিক মিশার নামে এক সুইস জীববিজ্ঞানী পুঁজ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে দেখলেন এর মধ্যে নিউক্লিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। পরে তিনি শ্বেতকণিকার ক্রোমোজোমকে নিউক্লিক অ্যাসিডের উৎস হিসাবে সঠিকভাবে চিহ্নিত করেন। উনি এর নাম দেন নিউক্লেইন। মিশার সঠিকভাবে ধারণা করতে পেরেছিলেন যে বংশগতি কোনো রাসায়নিকের মাধ্যমেই প্রবাহিত হয়। উনি নোবেল পুরষ্কার পাওয়া অবধি বেঁচে থাকতে না পারলেও আরেক বিজ্ঞানী এরপরে নিউক্লিক অ্যাসিড নিয়ে কাজ করে নোবেল পুরষ্কার পান। তিনি হলেন অ্যালব্রেখট কোসেল (ছবিতে)auto। ১৯১০ সালে প্রোটিন আর নিউক্লিক অ্যাসিড নিয়ে কাজ করার জন্য তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হয়। নিউক্লিক অ্যাসিড নিয়ে কাজ তখন সবে শুরু। নিউক্লিক অ্যাসিডের গঠন নিয়ে এর পরে কাজ করলেন ফিবাস লেভেন, নিউ ইয়র্কে রকফেলার ইন্সটিটিউটে। ইনি কোষে পাওয়া নিউক্লিক অ্যাসিডের রাসায়নিক উপাদানগুলোকে আলাদা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিউক্লিক অ্যাসিডের চার উপদান - অ্যাডেনিন(A), থিয়ামিন(T), সাইটোসিন(C) আর গুয়ামিন(G)। কিন্তু উনি ক্রোমোজমের নিউক্লিক অ্যাসিডের সঠিক কাঠামো বলতে পারেন নি। ১৯২৯ সালে ডি-এন-এ বা ডি-ওক্সিরাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড আবিষ্কার করার পরে উনি দাবী করেন যে এটি মাত্র চারটি নিউক্লিওটাইড নিয়ে গঠিত auto(ছবিতে লিভানের প্রস্তাবিত গঠন)।

লেভেনের এই আবিষ্কার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা ব্যাপার তখন বিজ্ঞানীদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে বংশগতির বাহক যাহেতু খুবই জটিল বার্তা বহন করে, তাই তার রাসায়নিক কাঠামোও জটিল হবে। লেভেনের আবিষ্কারের পরে বোঝা গেল ডি-এন-এ এর কাঠামো এই জটিল বার্তা ধারণের পক্ষে উপযোগী হবে না। তাই বিজ্ঞানীরা মনে করতে থাকলেন প্রোটিনই হবে সেই বার্তাবাহক। ২০ রকমের বিভিন্ন অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরী বলে প্রোটিনের বিভিন্ন রূপ ধারণ করা সম্ভব আর বার্তা বহনের কাজও করা সহজ। অপরদিকে, মাত্র চারটে ভিন্ন ধরণের রাসায়নিক দিয়ে তৈরী চার শৃঙ্খলার অণু কিছুতেই অত জটিল বার্তা বহন করতে পারে না।

এই ভুল ধারণা আরো অনেক দিন রয়ে যেত, যদি না আরেক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পরীক্ষাগারে এক অঘটন না ঘটিয়ে ফেলতেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক আবিষ্কারের চেষ্টায় ফ্রেডেরিক গ্রিফিথ গবেষণা করছিলেন নিউমোকক্কাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে। এই ব্যাকটেরিয়া দুধরণের - একটা মারাত্মক ধরণের আরেকটা নির্বিষ। প্রথম ধরণের ব্যাকটেরিয়াকে বলা হত S(Smooth) আর দ্বিতীয়টিকে R(Rough)। এই S ব্যাকটেরিয়া ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করালে তার দ্রুত মৃত্যু হত। কিন্তু R ব্যাকটেরিয়া কোনো ক্ষতিই করতে পারত না। দেখা গেল, S ব্যাকটেরিয়ার কোষের বাইরের দিকে উপস্থিত একটি বিশেষ পদার্থের আচ্ছাদন কোষকে রক্ষা করত, R ব্যাকটেরিয়ার কোষে এরকম কিছু ছিল না। এবার উনি কিছু মৃত S ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দেখলেন ইঁদুর মরে না। সবশেষে মৃত S ব্যাকটেরিয়ার সাথে সাথে R ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দিয়ে দেখা হল। কিন্তু গ্রিফিথকে অবাক করে দিয়ে ইঁদুরটা মরে গেল auto(ছবিতে)। কি ভাবে মৃত ব্যাকটিরিয়াগুলো বেঁচে উঠে ইঁদুরটাকে মেরে দিল? দুই ভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া কি ভাবে ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলল ইঁদুরটাকে? মৃত ইঁদুরের শরীর থেকে সংগৃহীত ব্যাকটেরিয়াগুলো দেখা গেল সব S ব্যাকটেরিয়া। এর মানে জিনগত ভাবে বদলে গেছে ব্যাকটেরিয়া। কিন্তু কি ভাবে এরকম হল? মানবসভ্যতার ইতিহাসে, চোখের সামনে প্রজাতির রূপ পরিবর্তন করা আগে দেখা যায় নি। গ্রিফিথই প্রথম সে সৌভাগ্য অর্জন করলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, কি ভাবে এটা ঘটে? মৃত ব্যাকটেরিয়া থেকে কি এমন উপাদান সংগ্রহ করে জীবন্ত ব্যাকটেরিয়াগুলো যাতে তারা রূপ পরিবর্তন করতে পারে?

সেই সূত্র উদ্ঘাটন করলেন অসয়াল্ড আভেরী, অনেক পরে, ১৯৪৪ সালে সেই রকফেলার ইন্সটিটিউটেই। auto(ছবিতে) উনি বিজ্ঞানী ম্যাকলয়েড আর ম্যাককার্টির সাথে মিলে প্রমাণ করে দিলেন যে উপাদান সংগ্রহ করে এই রূপান্তর ঘটে তা হল ডিএনএ। গ্রিফিথ যে কাজটা মৃত S ব্যাকটেরিয়া দিয়ে করেই বিস্মিত হয়েছিলেন, সেটাকেই এই বিজ্ঞানীরা কয়েক ভাগে ভেঙে নিলেন। প্রথমে মৃত S ব্যাকটেরিয়াগুলোর বাইরের আচ্ছাদন সরানো হল আর তারপরে আগের প্রক্রিয়া চালানো হল - তাতেও রূপান্তর হল। তার মানে বাইরের আচ্ছাদনের কোনো ভূমিকা নেই রূপান্তরে। একই ভাবে উনি এর পরে একে একে মৃত S ব্যাকটেরিয়াগুলো থেকে প্রোটিন ও আর-এন-এ সরিয়ে দিয়ে দেখলেন রূপান্তর হচ্ছে। সবশেষে ডি-এন-এ কোষ থেকে সরিয়ে দিতেই দেখা গেল আর কোনো রূপান্তর হচ্ছে না। তার মানে গল্পটা এরকম দাঁড়ালো - মৃত S ব্যাকটেরিয়াগুলোর ডি-এন-এ জীবিত R ব্যাকটেরিয়াগুলো গ্রহণ করে পরিবর্তিত হচ্ছে - নতুন রূপ ধারণ করছে। তার মানে, ডি-এন-এই হল জীবের বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক - অন্য কথায় ডি-এন-এ জিনের সাথে সরাসরি সম্পর্কিত।

কিন্তু দুঃখের বিষয় আভেরীর মত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হল না। আভেরী, ম্যাকলয়েড আর ম্যাককার্টি - কেউই কোনোদিনও নোবেল পুরষ্কার পেলেন না। (অনেক পরে বাংলাদেশে কলেরা নিয়ে গবেষণাকেন্দ্রের প্রধানরূপে নিযুক্ত হলেন ম্যাকলয়েড। বাংলাদেশের সেই কলেরা গবেষণা কেন্দ্র এখন পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়েরিয়া ডিসিসেস রিসার্চ নামে।) ততদিনে প্রোটিন নিয়ে বংশগতির ধারণা বিজ্ঞানীদের মধ্যে এতটাই গেঁথে গেছে যে অনেক বিজ্ঞানীই তার মত পাত্তাই দিলেন না। এই পাত্তা না দেবার দলে ছিলেন সুইডিশ রসায়নবিদ এইনার হ্যামারস্টেনও। কিন্তু হ্যামারস্টেন আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে বসলেন (সূত্র - জেমস ওয়াটসনের ডি-এন-এ বইটি), নোবেল কমিটিতে আভেরীর নমিনেশনের বিরোধিতা করলেন। পঞ্চাশ বছর পরে নোবেল আর্কাইভ থেকে জানা গেল এই নির্মম সত্য। মজার কথা, হ্যামারস্টেন নিজেও কিন্তু ডি-এন-এ নিয়েই কাজ করতেন। অথচ তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি এর কি মহিমা হতে পারে। উনি আর বেশীরভাগ বিজ্ঞানীর মত মনে করলেন প্রোটিনই হবে বোধহয় বংশগতির বাহক। আর এর ফলে নোবেল পুরষ্কার থেকে বঞ্চিত হল একটি মৌলিক গবেষণা ও গবেষক। ডি-এন-এ-এর প্রকৃত কাঠামো জানা যাবার কয়েক বছরের মধ্যেই উনি মারা যান। জেমস ওয়াটসন তার বইতে লিখেছেন - হয়ত আর কয়েক বছর বাঁচলে উনি নোবেল পুরষ্কার পেয়েই যেতেন। আরেক নোবেলজয়ী জীববিজ্ঞানী আর্নে টিসেলিয়াসের মতে নোবেল না জেতা বিজ্ঞানীদের মধ্যে আভেরীই ছিলেন সবথেকে যোগ্য বিজ্ঞানী।
(চলবে)


মন্তব্য

জাহিদ হোসেন এর ছবি

যদিও অনেক কিছুই জানা তাও পড়তে খুবই ভাল লাগছে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

অভিজিৎ এর ছবি

নতুন কী আর বলব! বরাবরের মতই মুগ্ধতা।

সবে ধন নীলমনি নারায়ন সেনের বইটার কথা বাদ দিলে জেনেটিক্সের উপর ইতিহাসভিত্তিক তেমন কোন ভাল বই বাংলায় বাজারে নেই, ইন্টারনেটে এ ধরনের লেখালিখি এখনো বিরল। দিগন্তের লেখা আমাদের সে অভাব অনেকটাই পূরণ করবে।



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

শিক্ষানবিস এর ছবি

জমে উঠেছে সিরজটা। প্রতিটি পর্ব আগেরটাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আগের পর্বটা ভালল লেগেছিলো সমাজে বিজ্ঞানের প্রভাবের প্রমাণ দেখে। এই পর্বে বুঝলাম বিজ্ঞানীদের থেকে দোষ বেশী সমাজবিদ এবং রাজনীতিবিদদের। বিজ্ঞানকে সমাজ কিভাবে ব্যবহার করবে তা-ই মুখ্য হয়ে দেখা দিচ্ছে। একটা বিষয় আবার বুঝতে পারলাম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনেকটাই আবশ্যক ছিল। মান ইতিহাসের সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় হলেও এটা এড়ানোর কোন উপায় ছিল না। পুরো পৃথিবীটা নাড়া খেয়ে নতুন দিকে মোড় নিয়েছে এর মাধ্যমে। এমনকি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বাইরে অন্যান্য প্রকৌশলেরও সৃষ্টি হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, যাকে মিলিটারি প্রকৌশল বলা হতো। এখন আর মিলিটারি নেই। যতই মিলিটারি দূর হবে, ততই সভ্য হবে মানুষ।

নদদুন তিন বিজ্ঞানীর কাজ সম্বন্ধে জানলাম, মিশার, কোসেল এবং লেভেন। আভেরী, ম্যাকলয়েড আর ম্যাককার্টির জন্য দুঃখ হচ্ছে। অবশ্য নোবেল পাওয়াই মুখ্য নয়। তাদের নাম আমরা ঠিকই মনে রাখবো।

ম্যাকলয়েড ICDDR,B তে কাজ করেছেন, এটা জেনে খুব ভালো লেগেছে। বোঝেনই তো, দেশের প্রতি টান। বাংলাদেশে কোন গণ্যমান্য ব্যক্তি কাজ করে গেছেন, জানলেই ভালো লাগে। ICDDR,B নিয়ে বাংলা উইকিতে একটা নিবন্ধ লিখেছিলাম। সেখানে এটা যোগ করে দেব। নিবন্ধটা দেখতে পারেন।
http://bn.wikipedia.org/wiki/আইসিডিডিআরবি

দিগন্ত এর ছবি

যতই মিলিটারি দূর হবে, ততই সভ্য হবে মানুষ।
- খুব একটা খাঁটি কথা বলেছেন। এটাই হল বিশ্বশান্তির একমাত্র পথ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শিক্ষানবিস এর ছবি

আরেকটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইংরেজি অনেক ওয়েবসাইট-ই দেখবেন ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সাথে লিংক বাড়ায়। আপনি এখানে বিভিন্ন নাম এবং তত্ত্বের লিংক দেয়ার মাধ্যমে যে চমৎকার কাজ করছেন। কিন্তু বাংলা ওয়েবসাইটগুলো যদি বাংলা উইকিপিডিয়ার সাথে লিংক বাড়ায় তাহলে ভাষা হিসেবে বাংলা অনেক এগিয়ে যাবে। অনলাইনে চমৎকার বাংলা বিশ্বের সৃষ্টি হবে। এটা ঠিক বাংলা উইকিতে অনেক কিছুই নেই। আপনি এখানে যে লিংকগুলো দিয়েছেন তার অধিকাংশই নেই। তাও কিছু আছে। যেমন এই আইসিডিডিআর'বি। যেগুলো আছে সেগুলোর জন্য বাংলা উইকির লিংক ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। গুগলে বাংলায় লিখে সার্চ দিলেই বুঝতে পারবেন বাংলা উইকিতে সেটা আছে কি-না।

বাংলা উইকির নিবন্ধগুলো হয়তো অতোটা সমৃদ্ধ না। কিন্তু যা আছে লিংক হিসেবে তা যথেষ্ট। দিন দিন তো বাড়ছেই। পাশাপাশি বাংলা উইকিতে অন্য যেকোন ভাষার উইকিতে সে নিবন্ধটির লিংক দেয়া আছে। আপনার কষ্ট অবশ্য একটু বেশী হবে এতে। ভেবে দেখুন।

দিগন্ত এর ছবি

আপনি ঠিকই ধরেছেন। বাংলা উইকির লেখাগুলোর দিকে আমরা একদিমই নজর দিই না। এখানের লেখাগুলো আমি লেখা শেষ হলেই বাংলা উইকিতে টুকরো টুকরো করে তুলে দেব। সেটা আমি প্রতিবার লেখার শেষেই ভাবি আর ভুলে যাই। আমার লেখা শেষ হলেই এবার আপনি আমাকে ব্যাপারটা মনে করিয়ে দেবেন। সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

শিক্ষানবিস এর ছবি

এখানে ইঁদুরের পরীক্ষাটার কথা পড়ে সবচেয়ে মজা পেয়েছি। বিজ্ঞানীরা সব সময়ই ইঁদুর নিয়ে পরীক্ষা করতে আগ্রহী। এখনও জিনতত্ত্বের সব পরীক্ষা ইঁদুর দিয়ে হচ্ছে। ইঁদুরই কেন বেছে নেয়া হয় কারণটা স্পষ্ট জানি না। আপনি জানেন কি?

ইঁদুর নিয়ে একটি অতি মজাদার পরীক্ষার কথা জানতে হলে আমার অনুবাদ করা একটি প্রবন্ধ পড়তে পারেন। প্রবন্ধটি লিখেছেন জো জেড সিয়েন। সাইন্টিফিক অ্যামেরিকানে প্রকাশিত হয়েছিল। খুব মজা পেয়েছি পড়ে এবং অনুবাদ করে। লিংকটা দিলাম:
http://bigganpuri.wordpress.com/2008/02/21/স্মৃতির-সংকেতায়ন/

এছাড়া ইঁদুর নিয়ে আরেকটি মজার পরীক্ষার কথা জানলাম ডিসকভারি চ্যানেলের এততটা ডকুমেন্টারিতে। প্রমাণ্য চিত্রটির নাম "রিয়েল সুপারহিউম্যান্‌স"। মানুষের অতিপ্রাকৃত সব ক্ষমতার কথা। এ নিয়ে চীনা এক বিজ্ঞানীর গবেষণা। ইঁদুর নিয়েই করেছেন। এ নিয়ে বিস্তারিত লিখার ইচ্ছা আছে।

তানভীর এর ছবি

পড়েছি সবগুলো পর্ব। ভালো লেগেছে। আরো পড়ার ইচ্ছে আছে সেটা জানাতে মন্তব্য করলাম, যেন থেমে না যান হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।