ফুরান্তিস বনাম অফুরান্তিস

দিগন্ত এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত (তারিখ: রবি, ০৪/১১/২০১২ - ৭:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে - এরকম প্রেডিকশন বোধহয় একমাত্র মায়া-সভ্যতার অবদান নয়। আদি-অনন্তকাল ধরেই ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন সভ্যতায় এই ভবিষ্যতবাণী ব্যবহার হয়ে আসছে। মানব-সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যাবার কথা আসে ঐ হাত ধরেই। তবে আজকাল বিজ্ঞানীরাও মাঝে মাঝে বলেন অমুক সালে অমুক জায়গায় দু’চারটে উল্কা পড়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যখন একজন অর্থনীতিবিদ বা সমাজ-বিজ্ঞানী বলেন সভ্যতার শেষের কথা তখন তিনি ঠিক কি বোঝাতে চান?

পৃথিবীর সম্পদ সীমিত অথচ মানুষের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এর ওপর ভিত্তি করে এক শ্রেণীর অর্থনীতিবিদ অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন যে একটা সময় আসন্ন যখন অর্থনীতির “গ্রোথ” ঋণাত্ত্বক হয়ে যাবে - অর্থাৎ জীবনযাত্রার মান আর বাড়বে না। এই যেমন এখন চারদিকে নতুন নতুন বাড়ি-ব্রিজ-রাস্তা হচ্ছে - তেমনটা আর থাকবে না। আমি এই অর্থনীতিবিদদের দলটাকে নাম দিই ফুরান্তিস - মানে সবকিছু ফুরিয়ে যাবে, এরকমটাই তাদের মত।

অন্য আরেকটা দল আছে যাদের বক্তব্য মানব-সভ্যতার এই ক্রমোন্নতি অবশ্যম্ভাবী। স্বাভাবিক পৃথিবীতে মানুষ ঠিকই তার উন্নতির পথ খুঁজে নেবে। যদি কিছু ফুরিয়ে যায় তার বিকল্প বের করবে, বিকল্প দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়লে অন্য কোনো পথে সেই সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধ করে দেবে, তাও আদম্য মানুষ ফিরে তাকাবে না। মানবসভ্যতার ইতিহাস থেকে আজ অবধি দেখলে এই কর্নুকোপিয়ানদের মতামতই সঠিক বলে মনে হয়। এদের নাম দিই অফুরান্তিস - মানে কিছুই ফুরাবার নয়, ভাবখানা এমন।

ফুরান্তিস দলের কর্ণধার হলেন ম্যালথাস। ম্যালথাস সেই ১৭৯৮ সালেই একটা মারাত্মক বই লিখে তখনকার সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে তিনি দেখিয়েছিলেন জনসংখ্যার বৃদ্ধির প্রবণতা এক্সপোনেন্সিয়াল অথচ খাদ্য ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের সরবরাহ কেবলমাত্র লিনিয়ার-গ্রোথ পেতে পারে। অর্থাৎ, কোনো সমৃদ্ধির সময়ে জনসংখ্যা কিছুদিন বাড়ার পরেই খাদ্যে ঘাটতি দেখা যাবে - সমৃদ্ধির সময়ের পরেই আসবে দুর্ভিক্ষ, বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধ আর মোটের ওপর ঋণাত্ত্বক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। ম্যালথাসের নাম থেকে এই বিশেষ সময়ের নাম দেওয়া হয় ম্যালথাসিয়ান ক্যাটাস্ট্রফি

ফুরান্তিসদের বিশেষ বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে। এই সময়ে জন্মহার কমলেও মৃত্যুর হার তার থেকেও বেশী হারে কমে যাওয়ায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাড়তে থাকে। পল এল্রিচ ও তার সহযোগী সিয়েরা ক্লাব ছিলেন এই দলের মানুষ। তার বইতে তিনি দাবী জানান যে সত্তরের দশকেই উন্নয়নশীল বিশ্ব দুর্ভিক্ষের পর দুর্ভিক্ষে উজার হয়ে যাবে , কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার সাথে তাল মিলিয়ে সম্পদের জোগান দেওয়া ধরিত্রীর পক্ষে অসম্ভব। এই অবস্থার উন্নতির জন্য তিনি আবার কিছু নীতি-প্রবর্তনের দাবীও জানিয়েছিলেন। তবে বলাই বাহুল্য তার এইসব ভবিষ্যতবাণীর কোনোটাই ফলে নি। ২০০৯ সালে একটি সাক্ষাতকারে তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়, উনি বলেন ওনার উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে সতর্ক করে দেওয়া এবং উনি তাতে সফল। বর্ধিত সতর্কতার কারণেই এই যাত্রায় প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে সভ্যতা গণ-মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে গেছে।

তবে ফুরান্তিসদের মধ্যে সবথেকে স্টার হলেন ক্লাব অফ রোম। চার গবেষকের একটি দল ১৯৭২ সালে এম আই টি-র ল্যাবে পাঁচ প্যারামিটারের সিমুলেশন চালিয়ে দাবী জানান ২০১২-২০২০ সাল নাগাদ কোনো এক সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতি একটা এমন অবস্থায় পৌঁছবে যেখান থেকে আর বৃদ্ধি সম্ভব না। যে পাঁচটি প্যারামিটার এই ক্লাব অব রোম তাদের সিমুলেশনের জন্য ব্যবহার করেছিলেন সেগুলো হল - জনসংখ্যা, শিল্পায়ণ, দূষণ, খাদ্য উৎপাদন ও প্রাকৃতিক সম্পদের আহরণ মাত্রা। সিমুলেশনে দেখা যায় প্রাথমিকভাবে এই সব প্যারামিটারই ক্রমবর্ধমান কারণ একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। এইভাবে, একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছনর পরেই শুরু হয় ভাঙণ। ক্লাব অব রোম এই বিষয়ে প্রথম জনসমক্ষে প্রকাশ করেন লিমিটস-টু-গ্রোথ নামে একটি বইয়ে। । ২০০৩ সালে প্রকাশিত একটি আপডেটে দেখা যায় ১৯৭২-২০০২ অবধি এই পাঁচটি প্যারামিটারের পরিবর্তন হয়েছে ১৯৭২ সালে তাদের ভবিষ্যতবাণী যেমন হয়েছিল - ঠিক সেইভাবে। অর্থাৎ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি হয়ত সেই ভাঙণের পথেই। তবে তারা এও যুক্ত করেন যে প্রযুক্তির অভূতপূর্ব বিকাশের ফলে তাদের সিমুলেশনে বর্ণিত ভাঙণ হয়ত আরেকটু দেরীতে (২১ শতকের শেষের দিকে) আসবে।

অনেক তো বললাম ফুরান্তিসদের কথা, এখন বলা যাক অফুরান্তিসদের কথা। আরবানা-শ্যাম্পেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুলিয়ান সাইমন আবার বলেন যে জনসংখ্যাকে বোঝা হিসাবে দেখার ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভুল। বাড়তি জনসংখ্যা আদপে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে সাহায্য করে। আর বাজার অর্থনীতি এমনভাবে চলে যাতে কোনো দামী জিনিসের বিকল্প সস্তা কিছু বের করতে পারলে দুয়ের দামই পড়ে যায়। ব্যাখ্যাটা অনেকটা এরকম -

“জনসংখ্যা ও আয়ের বৃদ্ধি সীমিত সময়ের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের চাহিদা বৃদ্ধি করে দাম বাড়িয়ে দেয়। এই বাড়তি দাম ব্যবসায়ী আর আবিষ্কারকদের কাছে ইনসেন্টিভ হিসাবে কাজ করে। তারা সবাই সমাধান খোঁজার কাজে সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করে। এদের অধিকাংশই ব্যর্থ হলেও, শেষমেষ কেউ না কেউ বিকল্প কিছু একটা বের করে ফেলে। দীর্ঘমেয়াদে বিকল্প আসায় দাম আবার আগের স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরে যায়।”

শেষ করার আগে এই সাইমন আর এল্রিচের একটা বিবাদের কথা না বলে পারছি না। এল্রিচের দাবী প্রাকৃতিক সম্পদের দাম বাড়তেই থাকবে, কারণ বর্ধিত জনসংখ্যার চাপ। সাইমনের বক্তব্য দাম বাড়লেও দীর্ঘমেয়াদে তা স্থিতিশীল হয়ে যাবে। এই নিয়ে ১৯৮০ সালে সাইমন আর এল্রিচ একটা বেটিং করেন। এল্রিচের পছন্দমত পাঁচটি খনিজ দ্রব্যের (ক্রোমিয়াম, কপার, নিকেল, টিন ও টাংস্টেন) দাম দশ বছর পরে কত দাঁড়ায় তা দেখা হবে। এই দশ বছরে যদি দাম বেড়ে যায় তাহলে সাইমন এল্রিচকে বর্ধিত দামের সমানুপাতে “ক্ষতিপূরণ” দেবেন। উলটো হলে এল্রিচ দেবেন সাইমনকে। দশকের শেষে দেখা গেল সবাইকে অবাক করে শেষ হাসি হেসেছেন সাইমন, উনি পকেটস্থ করলেন ৫৭৬ ডলার। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ এর মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছিল ৮০০ মিলিয়ন। অথচ পাঁচটি অবশ্য প্রয়োজনীয় খনিজের দাম গড়ে বাড়ল না। পাঁচটির প্রত্যেকটিই দামে কমে গেল। এবং সাইমনের কথাই সত্যি হল। ১৯৮০ সালে বসে যে কেউ হয়ত বলে দিতে পারত কপারের দাম এক দশক পরে বেড়ে যাবে, কারণ তখন কমিউনিকেশন নেট-ওয়ার্কের জন্য অবশ্য-প্রয়োজনীয় ছিল কপার। কিন্তু সেই দশকের মাঝে একবার অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্ক বাজারে চলে আসার পরে আর কপারের প্রয়োজনীয়তা আগের মত রইল না। বাজারের চাহিদার সাথে দামও ঝটপট পড়ে গেল।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক প্যানেলের মতে ২১ শতকে জনসংখ্যা “পিক” করবে, অর্থাৎ পরের শতাব্দীতে জনসংখ্যা কমতে থাকবে। তাছাড়া জনসংখ্যাকে এখন আর কেউ সেরকমভাবে “থ্রেট” বলে মনে করে না। এখন যখন খবরে মাঝে মাঝে পড়ি খনিজ তেল অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম আর কত বছর পরে ফুরিয়ে যাবে তখন মনে হয় আমি কি জীবদ্দশায় পেট্রোলিয়াম-উত্তর যুগ দেখে যেতে পারব? ফুরান্তিস না অফুরান্তিস - কে হবেন জয়ী? খেয়াল রাখুন, ফুরান্তিসদের কিন্তু একবার জয়ই যথেষ্ট আর অন্যদিকে অফুরান্তিসদের জয়ী হতে হবে বারে বারে, মানবসভ্যতার উন্নয়নের পতাকা তুলে রাখতে।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন যখন খবরে মাঝে মাঝে পড়ি খনিজ তেল অর্থাৎ পেট্রোলিয়াম আর কত বছর পরে ফুরিয়ে যাবে তখন মনে হয় আমি কি জীবদ্দশায় পেট্রোলিয়াম-উত্তর যুগ দেখে যেতে পারব?

পত্রিকায় দেখলাম রাশিয়া নাকি মহাশূন্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহন করতে যাচ্ছে। সেখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ লেজার প্রযুক্তিতে পৃথিবীতে নিয়ে এসে এখনকার সবচেয়ে সস্তা বিদ্যুতের চেয়েও ছয় গুন কম দামে দেশে দেশে বিক্রী করতে পারবে। জাপানও নাকি আরো আগে থেকেই একই লাইনে হাঁটছে। আপনার এখন বয়স কত?

আব্দুল্লাহ এ.এম.

দিগন্ত এর ছবি

আপনি কি এটার কথা বলেছেন? এটা আমেরিকা-রাশিয়া উভয়েই করার চেষ্টা চালাচ্ছে কিন্তু তেলের ব্যাপারটা একটু আলাদা। তেল হল মোবাইল সোর্স অব এনার্জি, তাই ইলেক্ট্রিসিটি ঠিক এখনও তেলের বিকল্প নয়।

Bill Gates has calculated that if you took all the world's batteries,
they together would have enough capacity to store 10 minutes
of the world's demand for energy.


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

Atahar এর ছবি

আপনার লেখার সাবজেক্টগুলো ভালোলাগে, লেখাও। এই লেখা আরেকটু বিশদ করলে ভালো লাগত, মানে কোন দল কতটুকু rational, এইরকম।

দিগন্ত এর ছবি

এটা বিশদ করতে গেলে সিরিজ আকারে লিখতে হয় কিন্তু আমার বর্তমান অবস্থায় সিরিজ লেখার ধৈর্য থাকে না। যৌক্তিকতার ক্ষেত্রে বলব এখন পর্যন্ত যারা অফুরান্তিস দলের, তারাই এগিয়ে। কিন্তু ফুরান্তিসদের যুক্তিও ফেলে দেবার নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে কোনো শর্টেজের জন্য অর্থনীতির উন্নয়ন ব্যহত হবার সম্ভাবনা খুবই কম। টেকনলজি এখন একটা ক্রিটিকাল অঞ্চল পেরিয়ে গেছে যখন মৌলিক গবেষণা আমাদের জন্য অনেকগুলো দ্বার একসাথে খুলে দিয়েছে যাদের সবগুলো একসাথে ব্যর্থ হওয়া শক্ত।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

তাপস শর্মা এর ছবি

আসলেই অদ্ভুত লাগে ভাবতে। যদি এমন হয় হঠাত করেই পৃথিবীর সব জোগান শেষ হয়ে যায়... যদিও তা এমনিতেই হবার নয়

বলি কি সব্বাইকে চার্বাক দর্শনে বিশ্বাস করতে বলেন, আর আমরাও বলি - লাইনে আসুন

০২

দিগন্ত দা অরুণাচল নিয়ে আপনার একটা লেখা পড়ে আমার একটা ভ্রমান্ধ দৃশ্য সচল হয়েছিল। এই লেখাটাও ভালো লাগল

দিগন্ত এর ছবি

ধন্যবাদ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

এখনকার বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক সম্পদগুলো শেষ হওয়ার পর নতুন ভাবে নতুন সব আবিষ্কৃত উপাদান দিয়ে কিভাবে মানুষ সভ্যতা টিকিয়ে রাখবে এটা বেশ কৌতূহলোদ্দীপক বিষয়। ততদিনে পরিবেশ আরও কতোটা দূষিত হবে, জ্বালানী নিরাপত্তার বিষয়ে আন্তঃদেশীয় সম্পর্ক কীরূপ থাকবে, নতুন আবিষ্কার কত দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌছুবে ইত্যাদি ইত্যাদি... জানতে বেশ আগ্রহী হওয়াটাই স্বাভাবিক...

কিছু দিন আগে হিমু ভাই একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। একটা ছবি ছিল স্টক চেক নিয়ে...

দিগন্ত এর ছবি

আসলেই আমার লেখাটা হিমুর স্ট্যাটাসের ওপর ভিত্তি করে পড়াশোনার সাথে সম্পর্কিত। তবে এ নিয়ে আরো কি কি ঘটতে পারে সেটা ইন্টারেস্টিং। তবে নতুন কিছু এলে তা আবার প্রথম বিশ্ব থেকেই আসবে এবং তৃতীয় বিশ্বের সাথে প্রথমের ফারাক আরও বাড়বে - এ ছাড়া আমি আর কিছু মাথায় আনতে পারছি না।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

নতুন কিছু এলে তা আবার প্রথম বিশ্ব থেকেই আসবে এবং তৃতীয় বিশ্বের সাথে প্রথমের ফারাক আরও বাড়বে - এ ছাড়া আমি আর কিছু মাথায় আনতে পারছি না।

আমারও তাই মনে হয়...

নুভান এর ছবি

চরম ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের দক্ষ ব্যাবহার (রিসোর্স এফিসিএন্সি এন্ড ইউটিলাইজেশন) নিয়ে একটা কাজ করছি, ওটায় বেশ কাজে লাগবে আপনার তথ্য গুলো। অনেক ধন্যবাদ হাসি

দিগন্ত এর ছবি

ধন্যবাদ। দক্ষ ব্যবহার ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ - সাবসিডি যেমন রিসোর্সের অদক্ষ ব্যবহারে প্রণোদনা দেয় সেরকম এনার্জি সেক্টরেও কিভাবে প্রাইসিং হবে সেটা রিসোর্সের ব্যবহার ঠিক করে দেয়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ওডিন এর ছবি

বেশ ইন্টারেস্টিং, দিগন্ত দা। হাসি

লিঙ্কগুলো গুঁতানো শুরু করলাম।

দিগন্ত এর ছবি

আরো মন্তব্য করুন পড়াশোনা করে। হাসি


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আসলেই ইণ্টারেস্টিং বিষয়। ভাল্লাগলো।

চরম উদাস এর ছবি

দারুণ তো

মরুদ্যান এর ছবি

ভাল লাগল বিষয়টা।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ। ফুরান্তিস বনাম অফুরান্তিস শেষ পর্যন্ত তাহলে ঠিক গবেষণার রেজাল্ট না বলে মতামত বলা যায় শুধু? একই ফেনোমেনার জন্যে বিভিন্ন গ্রুপ একদমই বিপরীত রেজাল্ট পাচ্ছে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে আমি যদি ফুরান্তিসদের দলে থাকি তাহলে হাজার যুক্তি তর্ক দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করব যে শেষ পর্যন্ত সবই শেষ হবে। কারণ এই টাইপের হিউজ প্যারামিটারের প্রবলেমের সলিউশান শেষ পর্যন্ত শুধু সিমুলেশানে বোধহয় সম্ভব না। তবে আপনার শেষকথাই বোধহয় শেষকথা,

ফুরান্তিসদের কিন্তু একবার জয়ই যথেষ্ট আর অন্যদিকে অফুরান্তিসদের জয়ী হতে হবে বারে বারে, মানবসভ্যতার উন্নয়নের পতাকা তুলে রাখতে।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

দিগন্ত এর ছবি

সেটাই, তর্কটা বেশ ভাল জমে কিন্তু যুক্তিতে খুব একটা কুলোয় না। পরের ধাপের কথা আগে থেকে ভেবে যাওয়া ছাড়া মানুষের হাতে এখন কিছু করার নেই।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

#আমিতো শুধু ভাবি সব প্রাকৃতিক সম্পদ শেস হবার পরে কি হবে? আবার নিজে নিজেই সান্তনা পাই নিশ্চয়ই ক্ষুরধার বিজ্ঞানীরা কিছু একটি আবিষ্কার করবে বিকল্প হিসেবে। অভিনন্দন আপনাকে। ভাল লেগেছে পোষ্ট। উত্তম জাঝা!

দিগন্ত এর ছবি

একদম সেটাই সকলের প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।