আমরাও কি সাভান্ট হতে পারি?

দিগন্ত এর ছবি
লিখেছেন দিগন্ত (তারিখ: সোম, ১৬/০৬/২০০৮ - ১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(আগের পর্ব)

চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক সাম্প্রতিক বিজ্ঞান কি বলছে এ নিয়ে। সাধারণভাবে, সবাই একটা ব্যাপারে একমত নন যে এই অতিবুদ্ধিমানদের (savant) মস্তিষ্কের কোনো বিশেষ গঠনের জন্যই তারা এ ধরণের অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধিকারী। বরং, যারা দুর্ঘটনায় পড়ে এরকম ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের ঘটনা থেকে একটা ব্যাপার পরিষ্কার, যে মস্তিষ্কের গঠনের কোনো সাধারণ হেরফের হলেও এরকম ক্ষমতা আসা সম্ভব। আর এই হেরফেরই বুঝিয়ে দেয় আমাদের মস্তিষ্কের আসল ক্ষমতা কতটা বেশী। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনে আসে না বলে তার সীমিত ক্ষমতাই চোখে পড়ে। তবুও সেই সীমিত ক্ষমতাও নগণ্য নয়। ধরা যাক চোখের দেখার সময় মস্তিষ্কের ভূমিকার কথা। চোখ থেকে আসা সমস্ত তথ্য মস্তিষ্ক পড়ে শেষমেষ সিদ্ধান্ত নেয় ও অন্যান্য অঙ্গকে নির্দেশ দেয়। কারো মুখ মনে পড়ার জন্য তার মুখের সমস্ত কিছুই মস্তিষ্ক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বিশ্লেষণ করে আর তারপরে সিদ্ধান্ত নেয় এটা কার মুখ।

অ্যালান স্নাইডারের মতে, অতিবুদ্ধিমানদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিগুলো একটু অন্যভাবে কাজ করে। আমরা দেখেই যেমন প্রসঙ্গ থেকে বুঝে ফেলি কার মুখ সেটা, সেই ব্যাপারটা এদের মধ্যে অনুপস্থিত। আর তার ফলেই আমাদের এই হিসাব করার আর মিলিয়ে নেবার যন্ত্রটা বিকল হয়ে পড়ে কিছুদিনের মধ্যেই। সাভান্টদের ক্ষেত্রে এই যন্ত্রটা অনেক ধারালো হয়ে ওঠে। এই একই কারণে এই ধরণের সাভান্টদের মধ্যে কেবলমাত্র কয়েকটা ক্ষেত্রেই বিশেষ দক্ষতা দেখা যায়, সবকিছু একসাথে পেরে ওঠে না তারা। একই কারণে, চেনা লোকের মুখচ্ছবি চিনতেও অধিকাংশ সময়েই তারা ব্যর্থ হয় - তাদের মধ্যে এই কনটেক্সচুয়াল থিংকিং এর ব্যাপারটা থাকে না।

সিডনী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অ্যালান স্নাইডার সেন্টার অব মাইন্ডের প্রতিষ্ঠাতা। উনি পেশায় ছিলেন আলোকপদার্থবিদ, এখন হয়ে গেছেন সাভান্ট-বিদ। ১৯৮৭ সালে মস্তিষ্ক-বিজ্ঞানী রামচন্দ্রনের এক সেমিনারে গিয়ে তার মনে হয় যে মস্তিষ্কই তার গবেষণা করার উপযুক্ত বিষয় হতে পারে। যেমন ভাবা তেমন কাজ - পদার্থবিদ্যা ছেড়ে দিয়ে নেমে পড়লেন জীববিদ্যা নিয়ে। ওনার মূল উদ্দেশ্য কিন্তু সাভান্টদের কার্যকারণ অনুসন্ধান করা নয় - বরং, সবার মধ্যেই এক সাভান্ট লুকিয়ে আছে - তাকেই খুঁজে বের করে আনা। তার মতে বাচ্চা অবস্থায় আমরা সবাই এক একজন সাভান্টই থাকি। সেই অসম্ভব ক্ষমতার অধিকাংশই আমাদের সামাজিক দক্ষতা দেয় আর ভাষায় দখল আনে। সাভান্টদের কিন্তু সামাজিক দক্ষতায় যথেষ্ট ঘাটতি দেখা যায়, যেন মস্তিষ্ক একটা কাজ বন্ধ রেখে বাকি কাজের জন্য সেই একই যন্ত্র ব্যবহার করে চলেছে। কিন্তু, কি ভাবে বয়স্ক মানুষের মধ্যেও এই একই ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়?

তার বক্তব্য থেকে মনে করা যায়, আমাদের মস্তিষ্কের কিছু অংশকে সাময়িকভাবে উত্তেজিত করলে আর কিছু অংশকে বিকল করে দিতে পারলে আমরাও কিছুক্ষণের জন্য সাভান্টের মতই আচরণ করব। যদি সাভান্ট বিষয়ক বিজ্ঞানীমহলের তত্ত্ব ঠিক হয়, তবে এও পেরে ওঠা সম্ভব। এর জন্য স্নাইডার বের করেছেন এক বিশেষ থেরাপী। একে এমনিতে বলা হয় টি-এম-এস - এর কাজ হল মস্তিষ্কে মৃদু তড়িৎপ্রবাহ করিয়ে কিছু নিউরোনকে জাগিয়ে তোলা। সিনেমায় এরকম অনেক দেখা যায়, মাথায় একের পর এক ইলেকট্রোড লাগানো অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুত পাঠানো হয়। এর ফলে মস্তিষ্কের মধ্যে তথ্য যে পথে সচরাচর চলাচল করে, তার জায়গায় অন্য পথে চলতে পারে। এবার স্নাইডার বেশ কিছু সাভান্ট-গোত্রীয়দের পরীক্ষা করলেন। তাদের সাথে সাধারণদের পার্থক্য বের করার চেষ্টা করলেন। এভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে উনি দক্ষতাগুলোর সাথে মোটামুটি কোন অংশের নিউরোনের উত্তেজনা প্রয়োজন তার একটা ধারণা করলেন।

এরপরে শুরু হল সাধারণের মধ্যে একই পরীক্ষা। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবকদের ডেকে তাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে টি-এম-এস করে দেখা গেল তাদের কিছু কিছু বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুটো পরীক্ষা করা হল। টি-এম-এস করা অবস্থায় পর পর কিছু ছবি আঁকলে দেখা যায় ছবির মান দ্রুত বৃদ্ধি পায়। একই ভাবে একটা সাদা কাগজে অনেকগুলো বিন্দু এঁকে গুণতে দিলে এর ফলে গোণার জন্য অনেক কম সময় লাগে। এরকমই এক স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় ছিলেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক লরেন্স অসবর্ণ। তিনি বিড়াল আঁকার পরীক্ষাইয় বসেছিলেন টি-এম-এস মাথায় নিয়ে। তার লেখায় আসে -

"আমি জীবনে কয়েক কোটি বিড়াল দেখেছি, তাই চোখ বুজলে একটা বিড়ালের ছবি কল্পনা করা খুব একটা শক্ত নয়। কিন্তু কাগজে তার প্রতিকৃতি আঁকতে গেলেই সমস্যা। আমি প্রথমবারের প্রচেষ্টায় একটা কীটপতঙ্গ গোছের কিছু একটা আঁকলাম। ... প্রথম ছবি আঁকার দু'মিনিট পরে আমাকে আবার আঁকতে বলা হল। আরো মিনিট দুয়েকের মধ্যে আরো একটা, আর তার পরে চতুর্থটা। মাথা থেকে ইলেকট্রোড সরানোর পরে ভাল করে দেখলাম আমি কি এঁকেছি। দশ মিনিটের টি-এম-এসের কল্যাণে বিড়ালের লোমশ লেজ প্রায়-জীবন্ত হল, মুখ থেকে বিড়াল বলে চেনার মত হল। মুখে একটা বেড়াল-বেড়াল ভাবভঙ্গীও এল। আমাকে অন্যসময়ে হলে এই আঁকা নিজের বলে স্বীকার করে নিতে যথেষ্টই বেগ পেতে হত। আমার মত এক সাধারণ অদক্ষ আঁকিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে কোনো ট্রেনিং বা নির্দেশনা ছাড়াই শিল্পীতে পরিণত হবে তা ভাবাই যায় না।"

মিডিয়াতে যথেষ্ট এ নিয়ে আলচনা হলেও বিজ্ঞানীরা অবশ্য এখনও স্নাইডারের বক্তব্য নিয়ে ততটা আশাবাদী নন। অধিকাংশ জার্নালেও এখনও তার পেপার প্রকাশিত হয় নি। অনেকে তার এই পরীক্ষার ফলাফলের বিরোধিতাও করেছেন। তাও স্নাইডার একটা প্রচলিত ব্যতিক্রমকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার প্রচেষ্টা করেছেন, এটা খুব একটা বড় ব্যাপার। আরও বড় কথা, এই ব্যাখ্যার স্বপক্ষে উনি পরীক্ষামূলক প্রমাণও সংগ্রহ করছেন। আজ থেকে একশ বছর পরে ছেলেপুলেরা পরীক্ষা হলে ক্যালকুলেটরের জায়গায় এরকম টি-এম-এস ওয়ালা এক টুপিই হয়ত ব্যবহার করবে, আর সিভিল ইঞ্জিনিয়াররা কয়েক টানে ছবি আঁকার জন্যও তাদের হার্ড-হ্যাটে আগে থেকেই টি-এম-এস লাগানো থাকবে। এখনও হয়ত সে দিন বহুদূর, কিন্তু স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়?
(শেষ)

[ভিডিও দেখুন - রুডিগার গাম। কিন্তু ইনিও একইরকম হিউম্যান ক্যালকুলেটর। রুডিগার এককালে চারবার অঙ্কে ফেল করেছিলেন। কিন্তু ২১ বছর বয়সে উনি এই ক্ষমতা অর্জন করেন। ছোটো থেকেই উল্টোদিক থেকে পড়তে পারার ক্ষমতার জন্য তাকে শয়তানের প্রতিভূ বলে ধরা হত। তাই বন্ধুরা কেউ তার সাথে মিশত না। সাথে স্নাইডারের বক্তব্যও এই ভিডিওতে আছে। পরীক্ষাগুলোও দারুণ ... প্রশ্নগুলোও তাই। এর ক্ষেত্রে স্নাইডারের তত্ত্বও খাটে না, কারণ কোনো মস্তিষ্কে পরিবর্তন ছাড়াই হঠাৎ করে তার এই ক্ষমতা চলে এসেছে। ]

পর্ব ২

ড্যানিয়েলকে নিয়ে আরো একটা ভিডিও
[ড্যানিয়েলের দাবী দুটো সংখ্যা দুটো আকার বা আকৃতি আছে, আর তাদের মধ্যবর্তী যে ফাঁকটা সেটার আকার থেকেই সে তাদের গুণফল বের করে নেয়। অদ্ভূত ... ]


মন্তব্য

রেজওয়ান এর ছবি

অটিজম বা সামান্য পরিমান মস্তিস্কের গঠনের হেরফেরে মানুষ এই ধরনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারে। তবে অনেক সময় হলিউডের ছবিতে যেমন দেখা যায় তা হয়ত অতিরন্জিত।

এছাড়া এভাবে ক্যালকুলেটর ছাড়া গুণ করার বেশ কিছুনিয়ম আছে যা চর্চার মাধ্যমে দ্রুত করা সম্ভব। কলেজে পড়ার সময় একটি বই পড়ে জেনেছিলাম ট্রাখটেনবার্গ স্পিড সিস্টেম অফ বেসিক ম্যাথেম্যাটিক্স সম্পর্কে। আমার কাছে ব্যাপারটি খুব মজার মনে হয়েছিল। তখন কিছুদিন চর্চা করেছিলাম এবং ক্যালকুলেটর ছাড়াই সহজে গুণ করতে পারতাম বিশাল বিশাল সংখ্যা। আপনারাও এটি দেখতে পারেন জ্যাকো ট্রাখটেনবার্গের বইটি পড়ে।

রাশিয়ান ইহুদী গণিত প্রফেসর জ্যাকো ট্রাখটেনবার্গ নাৎসীদের দ্বারা বন্দী থাকা অবস্থায় জেলে বসে এই পদ্ধতি আবিস্কার করেন। ট্রাখটেনবার্গ পদ্ধতির সাথে শ্রী ভারতী কৃষ্ন উদ্ভাবিত বৈদিক গুণন পদ্ধতির মিল আছে।

ট্রাখটেনবার্গ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সুইজারল্যান্ডে আসেন। সেখানে প্রতিষ্ঠিত করেন গণিত ইন্সটিউট যার খ্যাতি আজও রয়েছে "জিনিয়াসদের স্কুল নামে"। মজার ব্যাপার হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের ব্যান্ক, বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং আয়কর বিভাগে ট্রাখটেনবার্গ সিস্টেমে গণনা করার সংস্কৃতি রয়েছে

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

দিগন্ত এর ছবি

আমাদের সময় এদেশে আপনাদের মত পরীক্ষায় ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে দেওয়া হত না মন খারাপ তাই আমাদের বাধ্য হয়েই ওই বৈদিক গুণন শিখতে হয়েছিল। এমনিতে ব্যাপারটা বোগাস, কারণ ক্যালকুলেটর এসে যাবার পরে ওটার আর দরকার কি?

অটিসমের সাথে সাভান্টের সম্পর্ক নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন আছে। প্রথমত সব অটিস্টিক সাভান্ট নয়। আবার সব সাভান্টও অটিস্টিক নয়। কিন্তু সাভান্টদের অর্ধেক অটিস্টিক, তাই এদের মধ্যে কিছু একটা সম্পর্ক আছে বলেই মনে করেন, স্নাইডারও সেরকমই মনে করেন। কিন্তু ভিডিওর ড্যানিয়েল টেমেট বা রুডিগার গাম কেউই অটিস্টিক নয়।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

টি-এম-এস টা তো বেশ কাজের। আমি এর মাধ্যমে আইনস্টাইন হতে চাই! চোখ টিপি খাইছে দেঁতো হাসি হাসি

দিগন্ত এর ছবি

লিওনার্ডো দ্য ভিঞ্চি কি দোষ করল?


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

স্পর্শ এর ছবি

সাভান্ট হতে পারলে ভাল হত !! হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তাহলে, আধা আইনস্টাইন আধা লিওনার্দো ... ভাবছি মিশেলটা কেমন হবে ... হুমম ... চোখ টিপি

স্নিগ্ধা এর ছবি

দিগন্ত - আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই চমৎকার পোস্টটার জন্য!! আমার নিজের মস্তিস্কের নানান খানা নিয়ে খুব কৌতুহল আছে, কিন্তু আলস্যবশতঃ এ বিষয়ে খুঁজে খুঁজে বিশেষ পড়া হয় না। আপনার লেখাটা আমার সেই ঝামেলাটা দূর করলো ..... হাসি

দিগন্ত এর ছবি

ভিডিওগুলো দেখতে পেলে অনেক মজা পাবেন, আগ্রহও বাড়বে। সময় পেলে ওগুলোও দেখে নেন।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

চমৎকার

আচ্ছা সাম্প্রতিককালে মেমোরি প্লাস নামে একটা রোগের নাম শুনলাম
আমাদের এক ফ্রেন্ডের মায়ের হেয়েছে রোগটা
উনি এখন তার ছোটবেলা থেকে দেখা এবং শোনা সবগুলো ঘটনা এবং কথা অবলীলায় বলে যেতে পারেন
সারাক্ষণই তিনি কথা বলেন
কিন্তু সমস্যাটা হলো কোন কথা বলা ঠিক না এবং কার সামনে কোনটা বলা যাবে না সেই ব্যাপারে উনি একেবারেই নির্বিকার

এই বিষয়টাও কি ওরকম কিছু?

দিগন্ত এর ছবি

হতেই পারে, আমার জানা নেই।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

সিরাত এর ছবি

উফ! পাগলা লেখা! পড়তে পেরে দারুণ লাগছে!

সিরাত এর ছবি

আমার মনে হয় সামনে আমরা জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড হবো ব্রেনের অপটিমাল ব্যবহারের জন্য!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।