শেরালীকে জরুরী সাহায্যের আবেদন।

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শনি, ১৮/০৪/২০০৯ - ১২:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হিন্দু ধর্মে মৃতের সৎকার কিভাবে সম্পন্ন হয়?
সেখানে ঠাকুর এবং ছেলেমেয়েদের কি ভূমিকা (যদি ছেলেমেয়েদের কোন ভূমিকা থাকে)? বাবার একমাত্র মেয়ে হলে সম্পত্তির উপর কেমন অধিকার?
যে কোন জায়গায় বা সময় পোড়ানো যায় কি না। পোড়ানোর পরের অনুষ্ঠানাদি যেমন মুসলমানরা ৪০ দিন পরে কুলখানি বা চল্লিশা করে। সেদিন সামর্থ্য অনুযায়ী অনেকে অনেক লোকজন নেমন্তন্য করে খাওয়ায়।

কোন বিশেষ মন্ত্র পোড়ানোর সময় এবং তার আগে পরে পাঠ করা হয়! মেয়েরা ঐ সময়টাতে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে? ছাই কোথায়, কিভাবে ছিটিয়ে দেয়া হয়, কে দেয়। ছাই কি স্মৃতি হিসাবে রেখেদেয়ার রেওয়াজ আছে? পোড়ানোই কি একমাত্র বিধান? কবর দেয়ার রেওয়াজ আছে?
অঞ্চলভেদে এই সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কোন পার্থক্য আছে (বাংঙ্গালীদের মধ্যে)?

অসংলগ্ন এবং অগোছালো প্রশ্নবান ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এখানে জানাতে না চাইলে আমার ইমেইল এবং ব্যক্তিগত মেসেজ ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যগুলো দরকার শেরলী উপন্যাসের একটা পর্বের জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ।


মন্তব্য

গৌতম এর ছবি

আমি যতোটুকু জানি, এই নিয়মগুলো একেক জায়গায় একেকরকম। আপনার উপন্যাসের পটভূমি কোন এলাকার সেটা যদি জানাতে পারেন, তাহলে আমি চেষ্টা করে দেখতে পারি।

আরেকটি তথ্য জানিয়ে রাখি, যথাযথ দক্ষিণা দিলে সব ঠাকুরের কাছেই আপনার পছন্দানুযায়ী বিধান মিলবে। দক্ষিণা দিয়ে আমি প্রচলিত বিধান পরিবর্তন করিয়েছি- এমন ঘটনা আমার জীবনেই আছে প্রচুর।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পুতুল এর ছবি

দক্ষিণার ব্যাপারটা কেন যে মাথায় এলনা!
এখারে (জর্মনী) অবশ্য লোকে শেষবিদায়ের ফরমাশ দিয়ে বীমা করে রাখে।
বাংলাদেশের কুমিল্লা বা আশেপাশের এলাকা।
ধন্যবাদ গৌতমদা।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

গৌতম এর ছবি

দুঃখিত একটু দেরি হলো।

১. হিন্দু ধর্মের কেউ মারা যাওয়ার পর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তার সৎকার করতে হয়। এক্ষেত্রে ধরাবাধা কোনো নিয়ম না থাকলেও সেটা তাড়াতাড়ি করাই শ্রেয়।
২. যে কোনো জায়গায় পোড়ানো যায় না। সাধারণত শ্মশান বা শ্মশান না থাকলে সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত কোনো জায়গায় পোড়ানো হয়। গ্রামে বা এলাকায় শ্মশান না থাকলে সমাজের ব্রাহ্মণ ও সমাজপতিরা এটা ঠিক করেন।
৩. এ সময় মূল ভূমিকা পালন করে ঠাকুর। তিনি মন্ত্র পড়েন, এবং কার কী কাজ তা বুঝিয়ে বলেন। তবে মন্ত্রটি সংগ্রহ করতে পারি নি।
৪. পোড়ানোর সময় সাধারণত বড় ছেলে মুখাগ্নি করে। অর্থাৎ প্রথমে মৃতদেহের শবে আগুন জ্বালায়। বড় ছেলে কোনো কারণে অপারগ হলে পর্যায়ক্রমে অন্য ছেলেদের ওপর এই দায়িত্ব বর্তায়। মেয়েরা মুখাগ্নি করতে পারে না। কারো ছেলে না থাকলে ছোট ভাই বা নিকট আত্মীয়স্বজনদের মধ্য থেকেও মুখাগ্নি করতে পারে।
৫. পোড়ানোর সময় মাথা রাখতে হয় উত্তর দিকে। ছেলেদের চিৎ করে ও মেয়েদের উপুর করে শোয়াতে হয়।
৬. পোড়ানোর পর ছাই যথাস্থানে চারদিন পর্যন্ত রেখে দেওয়া হয়। চারদিনের দিন সবাই এসে জায়গাটিকে ভালোভাবে ধুয়েমুছে পরিষ্কার করে যান। এ কাজে যারা অংশগ্রহণ করেন, তারা সবাই ওইদিন মৃতের বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করেন।
৭. হিন্দু ধর্মে এমনিতে কবর দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে যারা সন্ন্যাসী, বৈষ্ণব তারা যদি ইচ্ছা করেন, তাহলে তাকে কবর দেওয়ার বিধান আছে।
৮. শ্রাদ্ধ হয় সাধারণত ১৩ দিনে বা ১১ দিনে। তবে জাতভেদে এর ভিন্নতা আছে। ব্রাহ্মণদের শ্রাদ্ধ হয় সাত দিনে। অপরদিকে শূদ্রদের হয় ১৫ দিনের বেশি। এটা ওই এলাকার কালচার-সমাজ ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে।
৯. মৃতদেহের ছাই রেখে দেওয়ার নিয়ম নেই। তবে কপালের সামনের অংশ অর্থাৎ পিণ্ড রেখে দেন অনেকেই। এটা পরে গয়া-কাশীতে গিয়ে গঙ্গায় ফেলা হয়।
১০. পোড়ানোর সময় ছেলেদের কিছু কাজ থাকলেও শ্মশান বা ওই এলাকায় মেয়েদের কোনো কাজ থাকে না। বাড়িতে কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক আচার পালন করতে হয়।
১১. সম্পত্তির ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও সাধারণত মেয়েরা পায় না। তবে বাবা-মা ইচ্ছে করলে মেয়েদের সম্পত্তি দিয়ে যেতে পারেন।
আপাতত এই কয়টি বিষয় লিখলাম। নতুন কিছু মনে পড়ছে না। আরো কিছু জানতে চাইলে লিখবেন। তবে একটা কথা বলে রাখি, প্রায় সব বিধানই কিন্তু পাল্টানো যায়। সংশ্লিষ্ট পুরোহিত এই বিধান পাল্টানোর কাজ করেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ গৌতমদা,
আমিও অনেক পরে ধন্যবাদ দিতে পারলাম। আশা করি কিছু মনে করেননি। লেখা সময়ের টানাপোড়নে ঠেলা গাড়ির মত এগুচ্ছে। আগে পর্বে পর্বে ভাগ করে পোস্ট দিতাম। গোটা তিরিশেক পোস্ট হয়ে গেছে অথচ বই অর্ধেকও লেখা হয়নি। তাই ঠিক করেছি আগে পুরোটা লিখে নেই, তারপর পিডিএফ করে এক সাথেই দেব।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।