লোহাখোর

পুতুল এর ছবি
লিখেছেন পুতুল (তারিখ: শনি, ২২/০৮/২০০৯ - ৬:৫৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লোহাখোর শুরু

-টিনের ফ্যাক্টরী বন্ধ রাখো। যত লোহা আছে সব রড ফ্যাক্টরীতে পাঠাও। গতকাল যে জাহাজ ভিড়ছে সেটার সব লোহা রড ফেক্টরীতে যাবে। রডের দাম বেড়েছে টনে পাঁচ হাজার টাকা। বসুন্ধরা অর্ডার দিয়েছে পাঁচ হাজার টন। কি বোকামী করে যে টিন বানাতে গেলাম! আজকাল টিনের ঘরে থাকার মানুষ আছে! হয় দালান না হয় মাটির ঘর। টিনের ঘর বানানোর কিছু মানুষ দালানে উঠে গেছে। বাকীরা টিন কেনার টাকা নেই বলে ছনের চালার নীচে আশ্রয় নিয়েছে। শুধু শুধু লোহা গুলো টিন বানিয়ে নষ্ট করলাম। শুকুর আলহামদুলীল্লাহ; বারে এলাহী তুমি মহান। হা- হুতাশ করলে আল্লাহ নাখোশ হবেন। সবই মালিকের ইচ্ছা। ম্যানাজার সাব নতুন কোন জাহাজের খবর যেন আমাদের আগে কেউ না পায়।

আব্বা কথা বলার সময় চুপ করে শোনাই নিয়ম। বার্মাটিকের গোল টেবিলের চার পাশে সবাই এখন আব্বার কথা মন দিয়ে শুনছিলেন। আব্বার কথা শেষ হওয়ায় এবং ম্যানাজারের উদ্দেশ্যে নির্দেশ থাকায় ,ম্যানাজার এবার একটু বলার সুযোগ পেলেন।

গলা খাকড়া দিয়ে ম্যানেজার বললেন; জী আব্বা, আমরা সব রকমের যোগাযোগ রাখছি। ইউরোপ, আমেরিকার সব জাহাজ কোম্পানীর সাথে দৈনিক আলাপ চলছে। ম্যানাজারের কথা এখানে থামিয়ে দিয়ে আব্বা শুরু করলেন;
-টাকার কথা ভাববেন না। পাজী খেরেস্তান গুলো আগে বিনা পয়সায় জাহাজ ফেলে চলে যেতো। নাদান বাঙ্গালীরা ওদেরকে পুরোনে জাহাজের জন্য প্রতিযোগীতা করে টাকা সাধতো। আর হারামী গুলো টাকার লোভে কথা দিয়ে কথার বরখেলাফ শুরু করেছে! ইউরোপে এই ভাঙ্গা জাহাজ গুলো টাকা দিয়ে গলাতে হতো। আর আমরা তার জন্য উল্টো টাকা দেই।
-দোষ তো আমাদেরই আব্বা।
আব্বার বড় ছেলে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবার ব্যবসা দেখা-শোনা করে। শুধু আব্বার ছেলেরাই, আব্বাকে মাঝে মাঝে কথার মাঝখানে থামিয়ে দিয়ে নিজেদের মত জানাতে পারে। আব্বার বড় ছেলে ইফতেখার পড়াশুনার সময় থেকেই ব্যবসার সাথে জড়িত। নিজের অভিজ্ঞতায়ই ইফতেখার দেখেছে, ইউরোপে চলাচলের ছাড়পত্র না পাওয়া জাহাজ গুলো প্রায় নাম মাত্র দামে এখানে বিক্রি করে যেত। আর এখন অনেক আগে থেকে যোগাযোগ না রাখলে কথা দিয়েও ক্যাপ্টেন গুলো ঘুষের লোভে অন্য কোম্পানীকে জাহাজ দিয়ে চলে যায়। কামার-কুমাররা পর্যন্ত আজকাল জাহাজ ব্যবসা শুরু করেছে।
-ঠিক বলেছ বাবা।
আব্বা ছেলের মতই অন্য সব জাহাজ কাঁটা কোম্পানীগুলোর উপর মহা বিরক্ত। আর সাদা চামড়ার মানুষগুলোও ভয়ঙ্কর হারামী। তাদের দেশের নিয়ম মেনে নিজের দেশে জাহাজ কাঁটতে জাহাজের সব রকমের বিষাক্ত আবর্জনা পরিবেশ কর্মীদের তত্ত্বাবধানে পরিস্কার করতে হত। পুড়নো লোহার কানাকড়ি মূল্য ওদের দেশে নেই। একটা জাহাজ কাঁটকে যা খরচ হয় তা দিয়ে আর একটা নতুন জাহাজ কেনা যায়। আমাদের দেশে আমরা মল-মূত্রের ট্যাংকী পর্যন্ত সাগরের জলে ফেলে দিতে পারি বলেইতো জাহাজ কাঁটায় এখনো লোকসান দেয়া শুরু করিনি।

জাহাজের বিষাক্ত আর্বজনার কথাটা মনে আসতেই গত মাসে দূর্ঘটনার কথাটা আব্বার মনে পড়ল। তাই ম্যানাজার সাহেবকে জিজ্ঞেস করলেন;
-ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্যটা পৌঁছেছে কিনা, খবরটা পেয়েছেন নাকি ম্যানাজার সাহেব?

- জী, আব্বা। সিরাজ রাতের ট্রেনে এসেছে। সকালে আমার সাথে দেখা করে বলেছে; মৃত ওয়েলড্রার রহমত উল্লাহর স্ত্রীর হাতে ক্ষতিপুরনের এক লাখ টাকা দিয়ে কাগজে সই নিয়ে এসেছে। কুলি আলাউদ্দীন এবং হযরত আলীর স্ত্রীরাও তাদের মৃত স্বামীর ক্ষতিপূরন বাবদ পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পেয়েছে।

আব্বা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বললেন; যাক আল্লার মাল আল্লায় নিয়ে গেছে আমাদের কি করার আছে। কোন জাহাজে আগুন লাগার মত গ্যাস আছে কোন জাহাজে নেই সেটা আমরা কি করে জাবন? পেশাগত ঝুকিতো সব কাজেই থাকে। আসলাম গাজীর দুজন শ্রমিক মারা গেছে। কত দেন-দরবার করে বিশ হাজার টাকা করে দিল! আমরা এত নাদান হতে পারবনা। সব কাজের লোকদের নিজের ছেলেদের মতই দেখি। লোকে বলে কর্মচারী, আমি বলি এরা আমার বাল-বাচ্চা।

পিতৃস্নেহের লোভেই আলহাজ্জ্ব জুলমত আলী সাহেবের সব কর্মচারী ওনাকে আব্বা ডাকেন। অফিসে এসেই প্রথমে নিজের ছেলে আর ম্যানেজারকে নিয়ে মিটেং-এ বসেন তিনি। তার পর অন্য কাজ। আজো তার ব্যাতিক্রম হলোনা। একটু খোলা হাওয়া গায়ে না লাগলে তাঁর ভাল লাগেনা। কেমন দম বন্ধ হয়ে আসে। তাই এসিটা দশ-বারো সেলসিয়াসে রাখতে হয়। আব্বা পেছনের জানালাটা খুলে বা হাতে তসবীহ নিয়ে এখন দৈনিক ইনকিলাব পড়বেন। খবরের কাগজটার উপর থেকে চশমাটা হাতে নিতেই সবাই বুঝে গেল; মিটিং আজকের মত শেষ। এখন কোন কাজের কথা থাকলে তিনি পিয়ন রশিদকে দিয়ে সালাম পৌঁছে দেবেন। অন্যরাও তাই করে। ফোনে তাঁকে কেউ বিরক্ত করে না। সরাসরি ফোনের ব্যবস্থা থাকলেও তিনি সেটা কখনো ব্যবহার করেন না। সবাই বের হয়ে গেল। রশিদ জানে আব্বা এখন দুধ-চিনি ছাড়া এক কাপ চা খাবেন। রশিদ চা নিয়ে ঘরে ঢুকছিল। হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে ম্যানেজার সামনে রশিদকে পেয়ে ইশারায় জানাল রশিদ যেন আব্বাকে ম্যানেজারের সালাম দেয়।

সকালের নাস্তা বানিয়ে আগে কাজের লোকদের খাওয়া হলে গফুর আর ছেলে নাস্তা খায়। তারপর দুপুরের খাবার জোগার-যন্ত্র করে। গফুর আব্বার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। গেল বছরের যাকাতের টাকা দিয়ে আব্বা গফুরকে দোকানটা খুলে দিয়েছেন। সে জন্যই গফুর আব্বার সব কাজ-কর্ম নিজের মনে করেই অনেক সময় উপযাচক হয়েই করে। আজ সকালে কামলাদের কথা শুনেই গফুরের সন্দেহ হয়ে ছিল; কোন একটা ঝামেলা এই বেঈমানগুলো পাকাবে। আব্বার এখানে একটা অফিস আছে। দোকান থেকে অফিসটা দেখা যায়। কিন্তু কথা-বর্তা ঠিকমত বোঝা যায় না। মনে হয় বেতন নিয়ে সাইড অফিসারের সাথে গোলমাল করছে বেইমান কামলাগুলো। গফুর নাস্তা রেখে সেদিকেই যাচ্ছে।

-না সাব আমরা আর কাম করুম না। দয়া কইরা আমাগো মজুরীডা দিয়া দেন। আমরা বাইত যামুগা।
-আব্বা এখন দেশে নাই। সিঙ্গাপুর গেছে। এক হপ্তা বাদে আইব। অহন কামে যাও।
এখানে রুহুল নামে আব্বার গ্রামের একটা ছেলে বসে। কোন ঝামেলা হলে ফোনে তাঁকে জানিয়ে দেয়। এই সব বলে আজকে তেমন কাজ হলো না। সবাই বলল; ঠিক আছে আব্বা আইলে টেকা নিমু। কাম আর করুম না। গায়ে বল নাই।

সত্যিই ওদের দেহে কোন শক্তি নেই। জোয়াল টানতে টানতে বলদের ঘাড়ে যেভাবে কড় পরে, সেভাবে এদের কাঁধে কড় পরে গেছে। ভারী লোহার চাপ আর ঘর্ষণে ঘা হয়ে গেছে। রাতে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেভাবেই হোক টাকা পয়সা যা পাওয়া যায় তাই নিয়েই বাড়ি যাবে। আব্বার মূলোটা আর কোন ভাবেই ওদের প্রভাবিত করতে পারবে না। যে যাই বলুক এই লোহার বোঝা আর বইবে না। সবাই অফিসের বাইরে বারান্দায় বসে অপেক্ষা করছে। এদের পাশ দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে গফুর অফিসে ঢুকে রুহুলের কাছে ঘটনা জানতে চায়।

-কিতা কইরাম, আন্নে কী কন, আব্বারে ফোন কইত্তামনি?
রুহুল পরামর্শ চাওয়ায় গফুর একটু গর্বিতই হয়েই বুদ্ধি দেয়;
-কতা এক্কান কই, আই জানি গাজী সাবের সাইডে বেকগুন বই-রইছে। এগুনেরে খেদাই, গাজী সাবেরগুন লই-আয়। তুই আব্বারে আর কতা ক।
ম্যানেজারের মুখে সব কথা শুনে আব্বা তাজ্জব বনে গেলেন। আমার খেয়ে পরে আমার আশ্রয়ে থেকে বেঈমান গুলো বেঈমানী করে! গফুরের কথায় ভরসা করা কঠিন। কাজেই গাজী সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলেন আব্বা নিজেই। শত হোক যার শ্রমিক তাকে জিজ্ঞেস করে আনাই উচিৎ। গাজী সাহেব নিজেই এখন শিপিং লাইন খুলেছেন। তাই কামারের কাজ পারলে ছেড়েই দেন। কাজেই সুযোগ বুঝে পুরো সাইড বেঁচে দেয়ার প্রস্তাব করলেন। আব্বা বেজায় খুশি। সমস্যা তাহলে মিটে গেল।

এবার বজ্জাত গুলোকে বিদেয় করা যায়। পাজেরো জীপে আব্বা, তার পেছনে আরো কয়েকটা গাড়ীতে ক্যাশিয়ার ম্যানেজার সহ আরো কয়েক জন, সাগর পারের অফিসে এসে ঢুকলেন। গফুর এর মধ্যে দেড় মাসের বাকীর খাতা নিয়ে আলাদা একটা পৃষ্ঠায় এদের হিসেব কড়ায়-গন্ডায় লিখে এনেছে। গফুরের টাকা রেখে তারপর শ্রমিকদের যা বাঁচে, তাই তাদের হাতে দেয়া হবে।

গফুরের হিসেব মতে দেড়মাসের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের মূল্য প্রায় শূন্য। শরীরে কোন শক্তি এমনিই অবশিষ্ট ছিল না। লিখিত হিসাব যেভাবে গফুর হাতে কলমে দেখিয়ে দিল, তা শুনে মাথায় হাত দেয়ার বল বাহুতে নেই। মাখন অসন্তুষ্টি সামলাতে কেঁদেই ফেলল। বড়লোকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে শুধু ভোগান্তিই বাড়ে। সেটা জানে বলেই মাখন অশ্রুর তাপে বিদ্রোহ থামায়।

পাঁচশত টাকার নোটটা হাতে নিয়ে আব্দু ভাবে ভাড়া দিয়ে ঘর পর্যন্ত পৌঁছে বাচ্চাটার জন্য একটা প্যাকেট বিস্কুট নেয়া কঠিন হবে। বেশী লাভের আশায় যে দু’টাকা জমেছিল সেটা পথের খরচ বাবদ এখানে আসার ভাড়া হিসাবে গচ্চা গেল। কিন্তু করবে কি! দৈনিক ক্ষেত মজুরের কাজে যা পায় তাতে ছনের চালা, ঘরের খুঁটির বাঁশতো যোগাড় করা যায় না। এই বর্ষায় ঘরটা টিকানো কঠিন হবে। দলের সবাই হয়তো এখন এটাই ভাবছে।

আলহাজ্জ্ব জুলমত আলী শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দেয়ার নিদের্শ দিয়ে পকেট থেকে তসবীহ বের করলেন। এই অফিসটাতে এসি না থাকায় দ্রুত পাজেরোতে গিয়ে বসলেন। গাড়ীতে সব সময় এসি চালু থাকে। যা গরম পরেছে! রোজা রাখাটা এবার ঈমানের পরীক্ষা। বারে এলাহী সব তোমার ইচ্ছা। গাড়ির ধোঁয়ার মত আব্দু-মজলুরা আব্বার গাড়ীর পেছনে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
(সমাপ্ত)


মন্তব্য

বালক এর ছবি

পড়লাম।

_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

পুতুল এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাঁশি বাজানোর পোজটাই শুধু দেখলাম, বাঁশিতো শোনলাম না।
একদিন শোনাবেন আশা করি।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

তীরন্দাজ এর ছবি

হ্যা, আসলেই আব্বা! .. এটাই আসল সত্য।

খুব ভালো গল্প লিখেছেন পুতুল। সাবাস!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পুতুল এর ছবি

থেংকু বস।
আসলেই আব্বা, আব্বাদের কেন মরন হয়না!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রবাসে থেকে এই ডিটেইলড চিত্র আঁকেন কি করে?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

পুতুল এর ছবি

ধন্যবাদ পান্ডবদা,
মানুষের মাতৃভাষা, মাতৃভূমি, মা এইসবতো একটাই থাকে। দূরে এলে সে গুলো আরো বেশী করে টের পাওয়া যায়। সে জন্যই চেষ্টা করি একটু লিখতে। তাতে দায়বদ্ধতা কমে না যদিও, কিন্তু আর কি করার আছে। দেশ চলেছে এক অদ্ভূত উটের পীঠে!
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পুতুল এর ছবি

থেংকু নজু ভাই।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।