বিষয়বস্তুহীন বিষয়

দৃশা এর ছবি
লিখেছেন দৃশা (তারিখ: বুধ, ১৯/১২/২০০৭ - ২:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজকের সকালটা বেশ সুন্দর…ঝরঝরা টাইপ সুন্দর (তাই বলে মোল্লা সল্ট লবনের মত নয়), চিকন একটা রোদ হিমেল কিছু ফুরফুরে সঙ্গী সাথী নিয়ে টুপ করে ঘরে ঢুকে পড়ছে বাধাহীন ভাবে। দেখেই মনটা ভাল হয়ে যায় এমন একটা সকাল। আমার ঘরের বারান্দা থেকে সামনের দৃশ্যটাও(*দৃশা নয় লুৎফুল আরেফীন) অসাধারন যে কোন সময়ের জন্য- হোক তা ঝড়-বৃষ্টি ,বা কনকনে শীতের শিশিরবেলা, কিংবা প্রখর রোদের প্রকট দাপট। প্রচুর গাছ-গাছালির আড়াল থেকে দেখা যায় বিশাল এক দিঘীর খানিকটা অংশ। এই দিঘীর কাছে আমার ঋণ অনেক, কতশত সুন্দর মুহুর্ত না চাইতেই দিয়ে গেছে আমার স্মৃতি নামক গোপন ঝুলিতে যা শুধু বাড়ালে বাড়তেই থাকে।

বন্ধুদের সাথে দিঘীর ঘাটে বসে হেড়ে গলায় তোলা গানের জলসা... বিকেলে কখনও ঘাটের শেষ সিড়িতে বসে আর্টপেপারের ছোট্ট সীমানায় নানা রঙের আঁকিবুকি... এক পাল রাঁজহাসের ধুপধাপ সিড়ি পেরিয়ে ঝপাং করে পানিতে ঝাপ দেওয়ার উল্লাস... কোন ভবিষ্যত কবির হাতে কাগজ কলম নিয়ে বসে থাকার উদাস দৃশ্য...তা দেখে মানুষের (আমি পাপীও আছি)মিটিমিটি হাসি...রাতের অন্ধকারে চাঁদের উচ্ছাস আর বৈদ্যুতিক বাতির মিশেলে তৈরি অদ্ভুত আলোর প্রতিফলন... ঝুম বৃষ্টিতে ছোট্ট ছোট্ট জলকণাদের দিঘীর জলের সাথে আলিঙ্গন...রোদেলা দুপুরে দিঘীর জলের ঝিলমিলে আলোড়ন... সবই কত সাধারন... শুধু মানুষের দেখার চোখে অসাধারন।

কাল বাদে পরশু কিংবা তরশু যে কোন একদিন ঈদ... ঠিক কবে তাও জানি না। জানার যে খুব একটা আগ্রহ আছে তাও না... যেদিন হবে জানবই তো, এমন একটা অবস্থা। পথেঘাটে পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে খুব রাশভারী টাইপ হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করে "ক’টা গরু দিচ্ছ? নাকি ছাগল দিবা?"... আমি তার থেকেও রাশভারী স্বরে জিজ্ঞেস করি "ঈদ কবে বলতে পারেন?" কিছু কিছু সাধারন ব্যাপারে আমার যেমন উত্তেজনার শেষ নেই তেমন কিছু কিছু অসাধারন ব্যাপারে আমার উদাসীনতারও বিরাম নেই।

এখন কথা আসতে পারে দিঘী থেকে শুরু করে ঘটনা গরুতে এসে ঠেকলো কেন? এদের মধ্যে যোগসাজশটা কি?কিছুই না...একেবারেই না। এলেবেলে লেখকদের লেখা এমনই হবে সেটাইতো স্বাভাবিক। তাৎপর্যহীন গুরুত্বহীন বিষয়বস্তুহীন জগাখিচুড়ি। বিক্ষিপ্ত মনের বিক্ষিপ্ত প্যাঁচাল যেটা না গেলা যায় না উদ্গীরন করা যায়...যা শুরু হয় চরম আবেশ নিয়ে যা শেষ হয় অদ্ভুত উদাসীনতা দিয়ে... আবেশটা থাকুক আপনাদের সবার কাছে...উদাসীনতাটুকু না হয় রয়ে যাক আমার কাছেই।

Sunshine on my shoulders makes me happy
Sunshine in my eyes can make me cry
Sunshine on the water looks so lovely
Sunshine almost always makes me high

If I had a day that I could give you
Id give to you a day just like today
If I had a song that I could sing for you
Id sing a song to make you feel this way

Sunshine on my shoulders makes me happy
Sunshine in my eyes can make me cry
Sunshine on the water looks so lovely
Sunshine almost always makes me high

If I had a tale that I could tell you
Id tell a tale sure to make you smile
If I had a wish that I could wish for you
Id make a wish for sunshine all the while

Sunshine on my shoulders makes me happy
Sunshine in my eyes can make me cry
Sunshine on the water looks so lovely
Sunshine almost always makes me high
Sunshine almost all the time makes me high
Sunshine almost always

(*দৃশা- আরেফীন ভাইসাব তার এক লেখার কমেন্টবক্সে আমার নাম দৃশা থেকে দৃশ্য বানায়ে ফেলাইছিল...এইটার তেব্র পতিবাদ ঝানাই।)


মন্তব্য

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হুমম অলস দুপুর।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

s-s এর ছবি

দৃশা

ঠিক এই গানটাই শুনছিলাম গতকালের চমৎকার সকালে আমিও, অফিস যাবার ট্রেনে, গায়ের ওপর জাফরি কাটা জানালা দিয়ে আসা রোদ্দুর, চোখ বন্ধ , কানে আইপড আর মাথার ভেতর ডেনভার।।মনে করিয়ে দিলেন আবার - - - - - জীবন, তার ছোট্ট সৌন্দর্যগুলো নিয়েই বড় পরিপূর্ণ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আর আমি কি শুনছিলাম জানেন? ডেনভারেরই Annie’s song. কি অদ্ভূত! সত্যিই ভাগ্যিস এই ছোট ছোট ভাল লাগা গুলো ছিলো নাহলে মানুষ পালাতো কোথায়?

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

দৃশা কে দৃশ্য লেখার জন্য করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আপনার লেখাটা পড়েই মনটা ভালো লাগলো। অনেক ভালো লেখেন আপনি। মনে ভাবের জোয়ার আসলে এরকম আঁকিবুকি টাইপ লেখা কলম বেয়ে বেয়ে পরে। এই লেখাগুলোর শুরু শেষ খুব গাণিতিক না হলেও বোধ হয় চলে!

আরশাদ রহমান এর ছবি

মাঝে মাঝে এলোমেলো ভাবতে ভালো লাগে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওয়েলকামব্যাক ডুব সাঁতারের পানকৌড়ি! (বানানটায় একটা চন্দ্রবিন্দু আছে না!)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সুন্দর উপস্থাপনা। দ্বিতীয় প্যারাটা একেবারেই নিরন্তর (কন্টিনিউয়াস) শেষ বাক্যে শেষ হওয়া-- ধরনটা আমার খুবই প্রিয়। এমন করে তো লিখতে পারিনা তাই শুধু পড়তেই ইচ্ছে করে।

দৃশা এর ছবি

হুম মুর্শেদ ভাই অলস মন্তব্য...:D।।গান-বাজনার কি খবর?
সেজুতি,স্নিগ্ধা রবী বুড়োর যেমন সব সময়ের জন্য গান আছে ডেনভার গুরু ও আমাদের প্রতিটা মুহুর্তের জন্য গান উপহার দিয়ে গেছেন। হাসি
আরেফীন ভাই এপোলজি গ্রান্টেড। লেখাটা ভাল লাগল জেনে আমারও ভাল লাগল।
আরশাদ ভাই আমার তো দেখা জাইতেছে মস্তিস্কে গন্ডগোল আছে। কারন আমার সবসময়ই এলোমেলো ভাবতে ভাল লাগে।
ওই হয় শালী চোর ধুগো কিরাম আছো...?
প্রকৃতিপ্রেমিক ভাই আপনে তো পুরা শরমে ফালাইয়া দিলেন... পড়ে ভাল লেগেছে এনে খুশি হলাম

অবশেষে ঈদ যেদিনই হোক সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। একটু পর আমি চললাম আমার বাড়ির পথে।

দৃশা

সবজান্তা এর ছবি

বহুদিন বাদে মহাপুরুষের ( নাকি মহানারীর ) পদরেনু পেয়ে আমরা ধন্য ! আপনি লেখেন না বলেই , আমার মত অলেখক, কুলেখকরা এত মাস্তানি করতে পারি দেঁতো হাসি

লেখাটা ভালো লাগলো। ডেনভারের গান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ডেনভারের ২ টা গান আমার বেশ প্রিয়, ড্রিমল্যান্ড এক্সপ্রেস আর ব্রীজেস ইন ওল্ড সাংহাই ।

আরো লেখা পড়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।

----------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

কিছু কিছু সাধারন ব্যাপারে আমার যেমন উত্তেজনার শেষ নেই তেমন কিছু কিছু অসাধারন ব্যাপারে আমার উদাসীনতারও বিরাম নেই।

ডিজুস ফ্যাশন।

দৃশা এর ছবি

সবজান্তা কিরাম আছেন? লেখা পড়ার লাইগা ধইন্যবাদ।
সেন্টু সাদাত আপনেতো এ বিষয়ে মাস্টার। দেঁতো হাসি

দৃশা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।