এই অগ্রহায়ণে

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ২৫/১১/২০০৭ - ৮:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কেন যে মাটির দেয়ালে ঝুঁকে থাকে চাঁদ- এই অগ্রহায়ণে
ভালোবাসার নরম রুটির গায়ে সন্দেহের ছত্রাক
প্রতিস্থাপনযোগ্য কোনো কিছুরই কোনো উপমা নেই তবু
সে জড়ায়ে থাক বিমূঢ়তার জালে যখন বেধেছে সংসার।

উপযোগী টেবিলের উপর তাই গুটিকয়েক মরা কালো ভুল
আর এই অগ্রহায়ণে কিছু ছড়ানো ছিটানো চুল খেলা করে,
মনের দাগ যেন শুকনো গোবর
চারিদিকে পক্স, পোলিও, আর শহরে নতুন পাগলা কুকুর।

যে কোনো আয়নার মত পলকহীন চোখে দেখা শহরের
শেষ বাস মাতাল কেরাণির ন্যায় নিঃস্ব হয়ে ফিরে এলে
কিংবা যখন পাশের ঘরে অচেনা রমণীর আঁচলঘেষা খুচরো হাওয়া
উড়ন্ত চড়কের হুংকার হয়ে খেলা করে

মনে পড়ে এই অগ্রহায়ণে আমার
কোথাও যাবার কথা ছিল।


মন্তব্য

নিঘাত তিথি এর ছবি

কবিতার মত কবিতা পড়তে কত যে ভালো লাগে...
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

ফারুক হাসান এর ছবি

মন্তব্যটাও কবিতা হয়ে গেছে যে!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

কনফুসিয়াস এর ছবি

বাপু হে, আপনি দেখি জীবন দাশেরে মনে করায়ে দিলেন!
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফারুক হাসান এর ছবি

অক্ষন জীবন বাবুর এইটা শুইনা ফালান!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

??? এর ছবি

আরেকটি সুন্দর কবিতা, শেষ দু'লাইন বাদে।

..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

ফারুক হাসান এর ছবি

এই শেষ দুই লাইনের খপ্পরে এইবার না আগেও পড়েছি এবং একই মন্তব্য আগেও পেয়েছি। মন খারাপ
শেষ লাইন দুটি কি আরোপিত বলে মনে হয়?
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

??? এর ছবি

নাহ। আরোপিত ঠিক না। নানান দৃশ্যকল্প আর অনুভব মিলে যে আবহটি তৈরি হয়েছে, শেষ দু-লাইনে এসে সেটা ম্লান হয়ে পড়ে। এই সরাসরি বিবৃতি নগ্ন হামলা চালায় ঐসব মগ্ন ধ্বনিচিত্রে। ফলে, কবিতাপাঠ হয়ে গেলে পাঠকের শুধু মনে থাকবে যে এই কবির কোথাও যাওয়ার কথা ছিল। মনেই থাকবে না যে, কোথাও না-গিয়েও তিনি কতরকম গন্তব্যের কথা বলতে পেরেছিলেন!

পরোক্ষের একটা বিপদ থাকে, তাকে মাঝে মাঝেই প্রত্যক্ষ এসে চাপাচাপি করে।
..............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

ফারুক হাসান এর ছবি

আপনার মন্তব্য এই পোস্টের অলংকার হয় রইলো।
আর শেষ দুই লাইনের ভূতের ঘরেও বোধহয় আগুন লাগলো! হাসি
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

??? এর ছবি

উপযোগী টেবিলের উপর তাই গুটিকয়েক মরা কালো ভুল
আর এই অগ্রহায়ণে কিছু ছড়ানো ছিটানো চুল খেলা করে,
মনের দাগ যেন শুকনো গোবর
চারিদিকে পক্স, পোলিও, আর শহরে নতুন পাগলা কুকুর।

আমার মন্তব্য নয়, এই পোস্টের অলংকার এই পোস্ট নিজেই, তার দুর্দান্ত সব কাব্যিক বিবৃতি।
.............................................................
শুশুকের ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে সাঁতরে এসেছি কুমীরে-ভরা নদী!

সবজান্তা এর ছবি

দুর্দান্ত !
-------------------------------------------------
অলমিতি বিস্তারেণ

শেখ জলিল এর ছবি

ভালোবাসার নরম রুটির গায়ে সন্দেহের ছত্রাক
....উপমাটা ভাল্লাগছে।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।