প্রত্যাখান

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: রবি, ১৯/০৪/২০০৯ - ৬:১৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফরিদার আত্মহত্যার খবরে আমার ঘুম ভাঙ্গে আজ ভোরে।

ফরিদা আর আমি একই পাড়ায় থাকি, সেই হিসেবে আমি ওকে চিনি ছোটোবেলা থেকেই। আমাদের বাড়ির সামনে উঁচু বড় রাস্তা, সেটা পাড় হয়ে আবার নেমে গেলেই কালামদের বাঁশঝাড়, মোস্তফাদের পুকুর, তার পরপরই ফরিদার বাপচাচার ভিটা। ওদের বাড়ির সামনে ঈদগা মাঠেই ওর সাথে আমার প্রথম পুতুল খেলা।
ফরিদা আমার বছর দুয়েকের ছোট হবে, মানে বেঁচে থাকলে সবসময় তাই হত। পুতুলখেলা ছেলেদের খেলা নয়- এটা জানার আগে ফরিদাই ছিল আমার খেলার সঙ্গী। এরপর আর কোনোদিন আমার ফরিদার সঙ্গে ঘর করা হয়নি।

মৃত্যুর খবর কোনো স্বাভাবিক ঘটনা না হলেও আমি উত্তেজনা বোধ করিনা। কেন যেন ফরিদার মৃত্যুসংবাদ আমার কাছে চাল-ডাল-নুন-তেল-সাবান-বাজার-সদাইয়ের মত স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। মনে মনে কয়েকবার আউরাই, ফরিদা মারা গেল, মারাই গেল...।
আমি আলোড়নহীন থাকি। কিংবা মুর্দার নাম ফরিদা বলে আমাকে আলোড়নহীন থাকতে হয়।
অথচ, আমাদের জীবনের অনেক দিন, মাস, এবং বছর আমি ফরিদাকে দেখেছি, ফরিদা দেখেছে আমাকে। প্রতিবেশি হিসেবে, সমবয়সী দুজন মানব মানবী, আড়ালে আবডালে, প্রকাশ্যে। স্কুলে পড়ার সময় ঘাটপাড়ার ছেলেরা ফরিদাকে বেশ জ্বালাতো, স্কুলে যেতে আসতে, ঘুরতে, দাওয়াত খেতে গেলে, কিংবা অর্ধগ্রাম অর্ধমফস্বল বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে বৈশাখি মেলায় বান্ধবীরা মিলে স্টল দিলে। একবার এক অপরিচিত ছেলেকে শুনেছিলাম ফরিদাকে শিস দিতে। তারপর ঘুষি মেরে কেবল একটা দাঁত ফেলে দিয়েছিলাম ওর কুমারপাড়ার অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে মোড়ে। তারপর থেকে একই পাড়ার ছেলে হিসেবে আমি দায়িত্ব নিয়ে ফরিদার দেখভাল করার করতাম।
ফরিদা আমাকে ভাই ডাকতো। আমি ওকে শুধুই ফরিদা।

সাইকেলে চড়ে টুংটাং বেল দিতে দিতে ওদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝেমাঝেই ওর সাথে আমার দেখা হতো, মুখটিপে হাসতো ও, ওর সহজ সম্মতি ছিল আমার দাদাগিরিতে। কখনো কখনো ডাকতো, ও সবুজ ভাই, হুমায়ুনের দোকান থাইক্যা একটা হিন্দি বই আইন্যা দাওনা, ঐযে গোবিন্দর 'শোলা অর শবনম'। স্থির সাইকেলের চাকায় অলিখিত অথচ বিপদজনক পাড়াত সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে রাখতে বলতাম, এক থাবড়া মাইরা তুমার হিন্দি সিনামা দেখা বাইর করবাম, যাও পড়তে বসো গিয়া।

সেই ফরিদা আজকে গলায় দড়ি দিয়েছে। এই ফরিদাকে আমি চিনি। একরোখা ফরিদা, বাষ্পতাড়িত ভাতের ঢাকনার মত আবেগে তিরতির কাঁপা ফরিদা।

স্যান্ডেলটা পায়ে গলিয়ে লুঙ্গি আর স্যান্ডো গ্যাঞ্জি পড়েই ধীরস্থির ভঙ্গিতে ঘর থেকে বের হই। ফরিদার মৃত্যুতে এ বাড়ির কিছু আসে যায় না, কিন্তু যে কোনো মৃত্যুই বাতাসে একটা অশুভ আশংকার ছোঁয়াচে শিহরণ ছড়িয়ে দেয়, আমি আমার ঘর থেকে বাইরে এক পা ফেলতেই বুঝতে পারি তার আছর। ফরিদা এই বাড়ির কেউ নয়, ফরিদা মরে গেছে, কিন্তু কেন যেন বাড়ির অন্য সবাই আড়ষ্ট হয়ে থাকে ফরিদার নামে।

ফরিদার মৃত্যু আমাকে বিচলিত করে নি, ফরিদার এই অহেতুক চলে যাওয়ায় আমার কিছু আসে যায় না- এই ধারণা যতক্ষণ পর্যন্ত না এই বাড়ির উঠোনে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কলপাড়ে ছোটবোন আর ঘোষিঘরে মায়ের দুইজোড়া চোখ আমাকে সাপের মত নজড়ে রাখবে, আমি জানি। না, আমি এখনি কোথায়ো যাচ্ছি না- সেটা বোঝাতেই উঠোনের আমগাছটার একটা ডাল ভেঙ্গে দাঁত দিয়ে কামড়াতে থাকি। তারপর হেটে কলপাড়ের দিকে যাই, আমি নড়লে তাদের চোখলাগানো গ্রীবাও নড়ে, চলছে মাপঝোক, যেন অনেক দূর থেকে কেউ মাপছে আবহাওয়ার পারদ।

কোনো এক সময় আমাকেও ফরিদার মনে ধরেছিল, ভালো লেগেছিল, এরকম কিছু একটা ও বলেওছিল একদিন। তারপর অনেকদিন ফরিদার সাথে আমার কোনো কথা হয়নি। আমিই বলিনি। আমিও কী পছন্দ করতাম ফরিদাকে? ভালোবাসতাম ওকে? প্রতি বর্ষার প্রথম বাতাসে এতদিনের ঘরকুণো মানুষ যে দ্বিধায় ভোগে, যাবো কি যাবো না, আমি সেরকম ভুগতাম। বৃষ্টি সবারই ভালো লাগে, ভালো লাগে না শুধু বৃষ্টি শেষে জমে থাকা কাদা।

আমার অবহেলা কিংবা আসন্ন যৌবনের ভারেই হয়ত একসময় ফরিদার মধ্যে পরিবর্তন আসে। অনেক দিন পর, এক বৃষ্টিধোয়া দুপুরের পিচ্ছিল রাস্তায় ফরিদাকে আমি আবিষ্কার করি এক মায়াময় স্নিগ্ধতায় ভরা কচুরিলতার সৌম্য ঔদার্য্যের আধার হিসেবে। দেখি ফরিদা, একসময় পুতুল খেলতে গিয়ে আমাকে যার স্বামী হতে হয়েছিল, বড় হয়ে গেছে।

মাকে ফরিদার কথা বলি। একবার, সেইবারই শেষবার। তারপর ফরিদা কোনো এক জাদুবলে এ বাড়িতে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আমি কোনো ঘোষণা শুনি না, কেবল টের পাই। সেই প্রথম আমার অক্ষমতা আঙ্গুল তুলে আমাকে শাসিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার উপর কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়।

ফরিদাও কি টের পেয়েছিল? তবে সে তখন নারীত্বের দুয়ারে, তাই একসময় ঠিকই আমি ও ফরিদা আবার আগের মত স্বাভাবিক হয়ে উঠি। ফরিদা তার ক্যামিষ্ট্রি নোট ফটোকপি করে এনে দিতে বলে, এনে দেই। ফরিদার মা মুরগি জবাই করতে ডাকলে যাই, কলেজ থেকে ফিরে গাগোসল সেরে পাশে বসা আমার মায়ের ফরিদা বিষয়ক কুটনামি অগ্রাহ্য করতে করতে ওর মায়ের পাঠানো মুরগির ঝোল দিয়ে ভাত খাই। আমার মায়ের ভান্ডারে ফরিদার দুর্নামের শেষ নেই। জ্বিনে ধরা থেকে শুরু করে ফাতরা-বেয়াদ্দপ-সোমত্থা কোনোকিছুই বাদ যায় না। সবই ফরিদার কাছ থেকে আমাকে একশহাত দুরে রাখার জন্য, ভাতের দলা মুখে দিতে দিতে ভাবি, মায়েরা এমন কেন হয়, কোনো মায়ের মনেই পড়শির মেয়ে কখনোই মানানসই হয়ে উঠে না।

তারপরও, প্রেম করে বিয়ে করেছিল ফরিদা। না, আমাকে নয়, বশিরকে। বশিরদের বাড়িও এ পাড়াতেই, দশ মিনিটের পথ। বশিরের সাথে ফরিদার প্রেম- আমার কাছে এ জীবনের সবচেয়ে বড় বিষ্ময়। মানুষ জীবনে কিছু না পেলে তার স্বপ্ন নিয়েই হয়ত বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু ফরিদাকে পাওয়ার তো কিছু নেই, তাহলে ফরিদা যেদিন বশিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল সেদিন কেন আমি ইচ্ছে করেই বাড়ির বাইরে রাত কাটাই, কেন তাহলে মনে হয় কেউ যেন আমার হৃৎপিন্ডকে একটা ধারালো চাকু দিয়ে ফালি ফালি করে কেটে দিয়েছে, কেন ফরিদাকে ঘৃণা করতে সাধ জাগে মনে? হ্যা, ফরিদা বশিরের সাথে চলে যাবার আগে আমার কাছে এসেছিল, আমাকে জানাতে। তোমাকে প্রত্যাখান করলাম- এই অহংকারটুকু ফরিদা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল সেদিন।

বশির ছেলে হিসেবে খারাপ ছিল না। টেনেটুনে বিএ পাশ করে অটোমোবাইলের একটা দোকান দিয়েছিল, সেও বছর ছয়েক আগে। তার দুবছর পরই তো ওদের বিয়ে হলো। বিয়ে মানে আসলে সেরকম ঘটকালি করে মানুষ খাইয়ে বিয়ে নয়। ফরিদা পালিয়েছিল বশিরের সাথে, যদিও ফরিদার বাবা চাচারা রটিয়েছিল বশির তাদের মেয়েকে ভাগিয়ে নিয়েছে। কে কাকে ভাগিয়েছিল, বশির ফরিদাকে, নাকি ফরিদা বশিরকে? দুই পরিবারে মিটমাট হয়ে যাওয়ায় সত্যটা আর জানা হয়নি। এতদিন পর কেন জানি মনে হচ্ছে জানা উচিত ছিল। ফরিদাকে জিজ্ঞেস করলে বলত নিশ্চই। ফরিদা আমার কাছে কিছুই লুকোত না। অন্তত বিয়ের আগ পর্যন্ত।

ছয় বছর আগে পালিয়ে গিয়ে ফরিদা ঐ দুইদিন কোথায় ছিল? হোটেলে? নাকি কোনো আত্মীয়ের বাড়ি? নাকি বশিরের কোনো বন্ধুর আস্তানায়? কেমন ছিল ফরিদার ঐ দুইদিন? ফরিদার মৃত্যুর চেয়ে সেই দুইদিনের অজ্ঞানতা আমাকে বেশি পীড়া দিতে থাকে।

দুই বছর আগে মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মরে যাওয়া বশির ফরিদার মত মেয়েকে ভাগিয়ে বিয়ে করেছিল- অতটা সাহসী ছেলে বশির ছিল বলে মনে হয় না। গত দুটি বছর বিধবা ফরিদার জীবন আমাকে কখনো এই প্রশ্নের সামনে এনে দাড় করায় নি, আমি নিজের ভেতরে লুকিয়ে ছিলাম, ফরিদার স্বামীহীন জীবন আমার কাছে কোনো বিশেষ তাত্.পর্য নিয়ে হাজির হয় নি, ফরিদা বেঁচেছিল ওর জেদ নিয়ে, অহংকার নিয়ে। আমি খুশি ছিলাম ওকে সেই রাতে ওর পাওনা অহংকারটুকু ফিরিয়ে দিতে পেরে।

কিন্তু আজকে ফরিদা মারা যাবার পর এই প্রথম আমি একটা প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পাই না। সকাল সাতটার ঘাসের গায়ে লেগে থাকা আলসে শিশিরে পা ভিজিয়ে আম গাছের ডাল দিয়ে দাঁত মাজতে মাজতে কেবল ভাবতে থাকি, ভাবতেই থাকি। অবশেষে জীবনকে প্রত্যাখান করা ফরিদার মৃত্যু আমাকে একটি হঠাত্ অর্থহীন হয়ে যাওয়া খুঁতখুঁতে প্রশ্নের ঘূর্ণিপাকে আটকে রাখে।

তোমার আর কি চাই ফরিদা?


মন্তব্য

নাহার মনিকা [অতিথি] এর ছবি

সুবিন্যস্ত গল্প। চমতকার সাবলীল বলার স্টাইল।
মুগ্ধ হলাম।

ফারুক হাসান এর ছবি

থ্যাংকু!

ফারুক হাসান এর ছবি

হাহাহা!

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

ব্যাপক লাগলো!
একটানেপড়লাম।

প্রতি বর্ষার প্রথম বাতাসে এতদিনের ঘরকুণো মানুষ যে দ্বিধায় ভোগে, যাবো কি যাবো না, আমি সেরকম ভুগতাম।

-কঠিন হাসি
___________________________
বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

অদ্ভুত !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

মূলত পাঠক এর ছবি

ফারুক হাসান,

খুব ভালো লিখেছেন। সচলায়তন থেকে কোনো দিন গল্প সংকলন হলে এই গল্পটা তাতে থাকা উচিত, অন্ততঃ এই পাঠকের তাই মত। বানান সামান্য একটু শুধরে নিতে পারেন চাইলে, সবই চন্দ্রবিন্দু সংক্রান্ত:

ঈদগাঁ / ঈদগা
স্যাতস্যাতে / স্যাঁতস্যাঁতে
কাঁমড়াতে / কামড়াতে
মাপঝোঁক / মাপঝোক
জমে থাকা কাঁদা / জমে থাকা কাদা
দাড় করায় নি / দাঁড় করায় নি
দাঁত মাঁজতে মাঁজতে / দাঁত মাজতে মাজতে

আপনি কি ৎ লিখতে tt ব্যবহার করে দেখেছেন (হৃত্.পিন্ড)? ৎ-তে একটা ফন্ট সমস্যা ছিলো, তবে আমার আপেলযন্ত্রে তো ৎ আসে দেখতে পাই।

যাই হোক, এমন অসাধারণ গল্প, মগজ ও হৃদয় দু জায়গাতেই যার আবেদন, তা লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আরো লিখবেন।

ভালো থাকুন।

ফারুক হাসান এর ছবি

মূলত পাঠক, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বানানগুলো শুধরে দেবার জন্য। হাসি পোষ্টে ঠিক করে দিয়েছি। আপনার এই কাজটি কষ্টকর হলেও অসম্ভব উপকারী। দয়া করে চালু রাখবেন।
আর গল্প ভালো লেগেছে জেনে আমি যারপরনাই আনন্দিত।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

সচলায়তন থেকে গল্প সংকলন হয় । গতবছর 'পূর্নমুঠি' নামে গল্পসংকলন হয়েছিল যেখানে ফারুক হাসানের অন্য একটি চমৎকার গল্প ছিলো ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

দ্রোহী এর ছবি

সুন্দর গল্প!

ফারুক হাসান এর ছবি

লগাইছেন তাইলে!

দ্রোহী এর ছবি

হ! হাসি

থিসিস লেখতেছি। আর মাত্র ২ সপ্তাহ......তারপর শ্যাষ।

ফারুক হাসান এর ছবি

আমার লেখা হইতেছে শুরু, আর আপনের হৈল সারা!
গুডলাক!

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাষ্পতাড়িত ভাতের ঢাকনার মত আবেগে তিরতির

আর

প্রতি বর্ষার প্রথম বাতাসে এতদিনের ঘরকুণো মানুষ যে দ্বিধায় ভোগে, যাবো কি যাবো না, আমি সেরকম ভুগতাম।

এক গল্প থেকে দু' দুটো মনে রাখার মতো লাইন পেয়ে গেলাম হাসি

বেশ অনেকদিন গল্প লিখলেন ফাহা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক হাসান এর ছবি

হ্যা, বেশ অনেকদিন পরই বলতে পারেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গল্পের শেষটাই একটা মোচড় খেলাম। আসলেই আমারো বারে বারে মনে হলো সবুজ ভাইয়ের কাছে ফরিদা আর কি চেয়েছিল? চলুক

নিবিড় এর ছবি

দারুন লাগল প্রত্যাখানের গল্প চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ফাহা ভাইয়ের সব লেখায় যে জিনিসটা আমি পাই- সেটা হলো একটা মহল্লা-মহল্লা আবহ (অনেকটা কলকাতার দাদা টাইপ গল্পে যেরকম থাকে)।

এ গল্পেও সেটা ছিলো, তবে উতপ্রেক্ষার ব্যবহার সবচে ভালো লেগেছে...।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

মূলত পাঠক এর ছবি

উতপ্রেক্ষাটা কি জিনিস?

ফারুক হাসান এর ছবি

অনেকটা কলকাতার দাদা টাইপ গল্পে যেরকম থাকে
আরেকটু ব্যাখ্যা করে বললে বুঝতে সুবিধা হত। । নিজের লেখা জাজ করা কঠিন। দুয়েকটা উদাহরণ দিলে খুব ভালো হয়, সেরকম দাদা টাইপ লেখা পড়লে বুঝতে পারতাম এই স্টাইল কন্টিনিউ করা আখেরে ভালো না খারাপ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এইরকম গঠনমূলক কমেন্ট আরো আশা করছি। চলুক

জুলফিকার কবিরাজ [অতিথি] এর ছবি

আহা বেশ বেশ বেশ,
আহা বেশ বেশ বেশ।

রানা মেহের এর ছবি

স্থির সাইকেলের চাকায় অলিখিত অথচ বিপদজনক পাড়াত সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে রাখতে বলতাম

পুরো গল্পটাতো অতি চমতকার
আর এই লাইনটা মাথায় গেঁথে গেল

একটা কথা। শেষের প্যারাটা একটু খাপছাড়া মনে হচ্ছে।
আপনি কি অন্যভাবে প্ল্যান করেছিলেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

ফারুক হাসান এর ছবি

প্ল্যান এরকমই কিছু একটা ছিল। এই গল্পের মূল ঘটনা তো আগেই ঘটে গেছে, ফরিদার মৃত্যু। সুতরাং যা করা যায় বা যেত তা হলো মূল ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য অলরেডি ঘটে যাওয়া ঘটনার বিস্তার। আরেকটা থিম অবশ্য ছিল, ফরিদা আর সবুজের সম্পর্কের ধরণ উদঘাটন। কিন্তু বেশি বিস্তারিত খুলে বললে গল্পের মজাটা থাকে না। এইখানে পাঠকের কল্পনার স্বাধীনতা থাকা উচিত। তবে শেষ প্যারায় আপনার খটকা থাকলে সেটা আমারই লেখার দুর্বলতা। প্ল্যানের এক্সিকিউশনে মনে হয় একটু গন্ডগোল করে ফেলেছি মন খারাপ

স্নিগ্ধা এর ছবি

সেই প্রথম আমার অক্ষমতা আঙ্গুল তুলে আমাকে শাসিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার উপর কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়।

ফারুক হাসান - আমাকে নিয়ে কতজন আপনার লেখা লাইন উদ্ধৃত করলো দেখেছেন?!

চমৎকার একটা গল্প!

[অন্য প্রসঙ্গঃ থিসিসের জন্য শুভকামনা এবং সমবেদনা, আর আপনার স্ত্রী'র জন্য প্রার্থনা - ধৈর্য্যের হাসি ]

ফারুক হাসান এর ছবি

গল্পটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অফটপিক: থ্যাংকু থ্যাংকু দেঁতো হাসি

তারেক এর ছবি

অসম্ভব ভালো লেগেছে গল্পটা... অপূর্ব।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

ফারুক হাসান এর ছবি

কবিদের কাছ থেকে গদ্যের প্রশংসা পাওয়া সৌভাগ্যই বটে!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

রীতিমতো পরিণত গল্প!
অভিনন্দন!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ফারুক হাসান এর ছবি

এইটা একটা বিশাল কমপ্লিমেন্ট! ধন্যবাদ

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমি ক়দিন অনিয়মিত এখানে, আর এই ফাঁকে আপনি এত চমৎকার একটা গল্প লিখে ফেললেন? কেমন হলো?? হাসি

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

ফারুক হাসান এর ছবি

আররে, আপনার কাছ থেকে চাই সমালোচনা। তাড়াতাড়ি বড়সড় একটা সমালোচনাকমেন্ট আশা করতেছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।