কার্বন যুগ : মুখবন্ধ ১

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: মঙ্গল, ২৯/০৩/২০১১ - ৬:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশে থাকতে কম দামে কেনা, এমনকি বিনে পয়সাতেও পাওয়া অনেক বই পড়া হতো। বাইরে নতুন বই কিনতে গেলে গাঁটের পয়সা খরচ করতে হয় প্রচুর। তাই তক্কে তক্কে থাকি পুরাতন ভালো বই কম দামে কেনা যায় কিনা। তো এরকম একদিন মাত্র তিন ডলারে কিনলাম বিজ্ঞান লেখক Eric Roston এর The Carbon Age। সাম্প্রতিক বই, কিন্তু একে তো সেকেন্ড হ্যান্ড তার উপর পেপারব্যাক সংস্করণ, তাই দামটা সস্তাই হলো। খুলেই দেখি গোলাপি কালিতে আমার আগে বইটার যে মালিক ছিল তার নাম লেখা । Ryo, তবে o টা সে লিখেছে একটা হৃদয় এঁকে। বিজ্ঞানের প্রতি ভালোবাসা দেখে পুরাই মুগ্ধ আরকি! প্রথম অধ্যায় পড়েই বইটার প্রেমে পড়ে গেলাম, শুধু বইটার না, কার্বনেরও। সিদ্ধান্ত নিলাম, বইটার অনুবাদ করবো।

সেই অনুবাদ চেষ্টারই প্রথম প্রকাশ আজকের এই পোস্ট। অনুবাদ যে অপরিপক্ক সে ব্যাপারে আমি নিঃসন্দেহী, তবে ভরসা এটাই যে বইটির সাহিত্যিক মূল্যের চেয়ে বৈজ্ঞানিক পাঠের আনন্দ লাভের মূল্যটাই এক্ষেত্রে বেশি। আশা করছি, অনুবাদ করতে করতেই শেখা হবে অনেককিছু। এ যাত্রা পুরোটা মুখবন্ধ একেবারে দিলাম না, পাঠকের ধৈর্য্যে নাও কুলাতে পারে ভেবে।

শুভ পাঠ!

বইঃ কার্বন যুগ (The Carbon Age)
মূলঃ এরিক রোস্টন

মুখবন্ধ
কার্বনের অদ্ভুত রকম (The Strange Case of Carbon)

জেনে বিস্মিত হবেন যে কত অস্বাভাবিক, উৎসুক ভূমিকাই না কার্বন রাখতে পারে। - মাইকেল ফ্যারাডে

কার্বন যুগে স্বাগতম।

ইদানিং আমরা প্রায়ই খবরের শিরোনামে “কার্বন” শব্দটি শুনি, কিন্তু সচরাচর খুব একটা বুঝি না যে আসলে এটি কী বস্তু। একের পর এক দুর্যোগের মূল হোতা এই কার্বন। বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমন জলবায়ুকে নিয়ত উষ্ণ করে তুলছে। চঞ্চলা মধ্যপ্রাচ্য মজে আছে এক উদ্বায়ী হাইড্রোকার্বনে, যার অপর নাম জ্বালানিতেল, সেই তেল যেন উপচে পড়ছে চারদিকে। খাদ্যাভাসের নানান উন্মাদনায় কার্বোহাইড্রেটের জনপ্রিয়তা এই বাড়ছে তো এই কমছে। ঔষুধপত্র, যা প্রায়ই তেলঘটিত কাঁচামালের উপর নির্ভর করে, তার দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। এদিকে আমেরিকার সৈন্যরা চাচ্ছে কার্বন ফাইবারের তৈরি শারীরিক বর্ম আর যানবাহনের নিরাপত্তা, যার কারণে আকাশচুম্বি হচ্ছে উড্ডয়ন ও খেলাধুলা সামগ্রীর দাম, কারণ উড়োজাহাজের পাখা থেকে শুরু করে টেনিস রাকেট পর্যন্ত সবই তৈরি হচ্ছে ঐ কার্বন ফাইবার দিয়েই। এই যে ছোট্ট ছোট্ট কাহিনীগুলি- এদেরকে এক সুতায় গেঁথে একটা সামগ্রিক গল্প দাড় করানো, কীভাবে একটি পদার্থ আমাদের জীবন ও জীবিকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তার এক বহমান মহাকাব্য রচনা, কিংবা পৃথিবীর যত প্রাণহীন শক্তি, বাতাস, সাগর, শিলা – এবং মানুষের তৈরি পরিকাঠামো- এদের সাথে ঐকতানে ঐ পদার্থের ক্রমশ খোলস উন্মোচন – বলতে গেলে এদের তেমন কিছুই এখন পর্যন্ত বলা হয় নাই।

প্রতি বছর নানান বই আর প্রবন্ধে আমাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে যে কার্বন চক্র, কার্বনের এই বৈশ্বিক প্রবাহ, ভেঙ্গে গেছে। এই দুর্যোগগুলির উপর, অনেক সময় যার সাথে জীবন-মরণের প্রশ্ন জড়িত, সর্বসাধারণের উচিত নিরন্তর নজরদারি করা। চক্রটির কীভাবে কাজ করা উচিত তার উপর আলোচনা বলতে গেলে খুবই কম। কার্বন যুগ বইটি কার্বনের বিস্ময়কর জগতকে – এবং কার্বন ল্যান্ডস্কেপের যে নিরন্তর পরিবর্তন ঘটছে সেই পরিবর্তনে বিবর্তন ও বর্তমান শিল্প নির্ভর সভ্যতার ভূমিকাকে – ধ্বংসের আর স্থায়িত্বের দুই সময়েই, উন্মোচিত করবে। সহজ কথায় বললে, জগত সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি শেখার দ্রুততম মাধ্যম হচ্ছে এই কার্বন পরমাণু।

একটি যুক্তিসম্মত প্রত্যাশা হতে পারে যে, যে বিরানব্বইটি প্রাকৃতিক মৌল দিয়ে আমাদের এই গ্রহ এবং এই গ্রহের সকল জীবনের সৃষ্টি, তাদের সবাই সমান পরিমাণে মিলেমিশে এই সৃষ্টির কাজটি করেছে। তা কিন্তু নয়। মহাবিশ্ব মোটামুটিভাবে যুক্তিসম্মত, আবার ততটা যুক্তিসম্মতও নয়। কার্বন মহাবিশ্বের চতুর্থ সহজলভ্য মৌল, কিন্তু পৃথিবীর না। এই গ্রহটি অনেকাংশেই অক্সিজেন ও সিলিকনের একটি বড় গোলক। পৃথিবীতে কার্বন এমনকি প্রথম দশটি সহজলভ্য মৌলের মধ্যেও পড়ে না। এরপরও সে সমস্ত প্রাণের গঠন করে ও শক্তি যোগায়। কার্বন মৌলিক উপাদানগুলির মধ্যে এক নাগরিক সম্রাট, প্রকৃতিতে চাকর থেকে সুশীল– সব ভূমিকায় সে অভিনয় করে, এবং এর মধ্য দিয়ে সে নিয়ন্ত্রণ করে আমরা কে আর প্রাণ কি। পিটার এটকিন্স লিখেছেন, “মৌল হিসেবে কার্বনের রাজকীয়তার উদ্ভব এর মাঝারিমানতা থেকেইঃ সে প্রায় সবকিছুই করে, এবং কোনোকিছুই অতিরিক্ত করে না, তথাপি এই মিতাচারের গুণেই সে প্রকৃতির উপর প্রবল প্রভাব বিস্তার করে”। কি কারণে সে এরকম, অদ্ভুত রকম, সেটাই এই বইয়ের বিষয়বস্তু।

কার্বন এক বিশ্বব্যাপী স্থপতি, নির্মাতা, এবং প্রাণ সৃষ্টির সবচেয়ে মৌলিক উপাদান। এটি প্রতিটা জীবন্ত প্রাণীর আণবিক মঞ্চ, সকল মৃত প্রাণীরও। কার্বন প্রতিটা কোষে কোষে সঞ্চিত শক্তি পৌছে দেবার দায়িত্বে নিয়োজিত এক কোয়ার্টারমাস্টার, প্রাণের যোগানদাতা। প্রতিটি জীবন্ত বস্তু তার জীনগত বা বংশানুক্রমিক তথ্য সঞ্চয় করে রাখে কার্বনের লিপিতে লেখা এক রাসায়নিক বর্ণমালায়, একটিমাত্র ভাষায়। ভরের হিসেবে, ডিএনএ’র নিখুঁত লাবণ্যময় প্যাচানো সিড়িতে কার্বন হচ্ছে সবচেয়ে বড় উপাদান। সকল জীবন্ত বস্তু গঠিত হয় দুই ডজনের মত মৌলিক পদার্থ দিয়ে, অথচ শরীরের ৯৬ শতাংশ তৈরি মাত্র চারটি মৌল দিয়ে – কার্বন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন, এবং নাইট্রোজেন – আর বেশিরভাগ অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনই পানি। কার্বন হচ্ছে সেই ভেলক্রো যে ধরে রাখে, আবার ছেড়ে দেয়, আর তৈরি করে প্রাণের সকল অণু।আমাদের চুলে যেটুকে তেল থাকে এবং আমাদের পেটে, ত্বকে এবং টিস্যুতে যে চর্বি থাকে তারা মূলত হাইড্রোকার্বন, বা হাইড্রোজেনের সাথে আটকে থাকা কার্বনের কাঠামো। চিনির মধ্যে আছে কার্বন, হাইড্রোজেন, আর অক্সিজেন, সুক্রোজেও তাই, যে সুক্রোজের কারণে বিস্কুটের স্বাদ মিস্টি, এবং ডিএনএর সমান্তরাল হেলিক্সকে বেষ্টন করে রাখা ডিঅক্সিরাইবোজেও তাই। অ্যামিনো এসিড, যার মধ্যে থাকে প্রাণের চারটি সবচেয়ে মৌলিক উপাদান, সেই অ্যামিনো এসিড তৈরি হয় একটি মাত্র কার্বন পরমাণুকে ঘিরে। অ্যামিনো এসিড হচ্ছে সেই বিল্ডিং ব্লক বা ইট যা দিয়ে তৈরি হয় প্রোটিন, যাদেরকে বলা হয় ‘প্রকৃতির রোবট’। সেই প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয় এক একটা কোষের কাঠামো এবং সেই প্রোটিনই কোষের সমস্ত কার্যাবলি সম্পন্ন করে।

কার্বন প্রাণের নির্মাণগুরুর চেয়েও বড় কিছু। সভ্যতা গড়ে উঠেছে কার্বনের ভিত্তির উপর, কেবল জীবাশ্মজ্বালানির বৈশ্বিক ব্যবহার নয়, তার চেয়েও অনেক বেশি বিস্তৃত সে ভিত্তি। আমরা যতটুকু দেখতে পাই তার চেয়েও বেশি সাদৃশ্য বিরাজ করে জীব ও জড়জগতের মধ্যে। যেমন, প্লাস্টিক কেবলমাত্র বোতল তৈরির কোনো উপাদান নয়, প্লাস্টিক একটি পলিমার, অজস্র পৌনঃপুনিক একক দিয়ে গাঁথা একটা মালা, তা সেই মালা কচ্ছপের খোলেই পাওয়া যাক কিংবা খোল দিয়ে নির্মিত রোদচশমাতে, জীবন্ত মুরগিতেই থাকুক কিংবা প্লাস্টিকের মুরগিতে। রসায়নবিদরা বলেন যে নাইলন একটি পলিমাইড, প্রোটিনের মত, কিন্তু আদতে এটি একটিমাত্র পৌনঃপুনিক সিনথেটিক অ্যামিনো এসিডের মালা। “আমরা, আমাদের সকলেই, প্রাকৃতিক প্লাস্টিকের এক একটা গুদামঘর”, প্লাস্টিক ফেইলারের উপর একজন বিশেষজ্ঞ একবার তার ক্যান্সারে আক্রান্ত সহধর্মিনীর রাসায়নিক অবনতি ও অসুস্থতার মধ্যে এক বিষাদময় সাদৃশ্য দেখে এটাই বলেছিলেন।

কার্বন যদি জীবনের জন্য এত সহায়কই হয় – এবং সেটাই হয়ে এসেছে – তাহলে আমরা প্রলুব্ধ হয়েই বলবো যে আমাদের কুয়াশাচ্ছন্ন শুরুর সময় থেকে প্রতিটা যুগই ছিল কার্বনের। তথাপি কার্বন যুগের তকমাটা বেশ ভালোভাবে পায় ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট সময়কাল। কার্বোনিফেরাস কাল, ৩৫৯ মিলিয়ন থেকে ২৯৯ মিলিয়ন বছর আগের সময়কাল পর্যন্ত বিস্তৃত এ সময়টা সেই তকমা অর্জন করে নিয়েছে, কারণ এ সময়টাতেই মাটিচাপা হয়েছিল বিপুল পরিমাণের কয়লা তৈরিতে সক্ষম জৈব কার্বন। সেই সময়েই আবার বাতাসে ঘনীভূত হয়েছিল বিপুল পরিমাণের অক্সিজেন। কার্বোনিফেরাস যুগে ডালপালাপূর্ণ উদ্ভিদের ব্যাপক সমৃদ্ধি ঘটেছিল পৃথিবীতে। তাদের শিকড় মাটির রদবদল ঘটায় এবং পাথরের ক্ষয়ে যাওয়াকে ত্বরান্নিত করে, অনেকটা ঝেঁটিয়ে কার্বন এবং খনিজ পদার্থকে সাগরে দূর করে দেয়া হয়। সামুদ্রিক প্রাণদল তাদের কিছুটা শুষে নেয়, কিছু কার্বন অবশেষে সমুদ্রতলে তলানি হিসেবে থিতু হয়। যখন এই ক্ষয়প্রক্রিয়ায় স্থলজ কার্বন কমতে থাকে, তখন উদ্ভিদ ও গাছপালা বাতাসের কার্বন ডাইঅক্সাইডের দিকে হাত বাড়ায়, বিনিময়ে পানি থেকে সংশ্লিষ্ট আণবিক অক্সিজেন বাতাসে ছাড়তে থাকে। লম্বা, শল্কবহুল গাছেরা বয়স্ক হয়ে একসময় ভিজে নরম মাটিতে ভেঙ্গে পড়ে, আর তাদের সঞ্চিত কার্বন মাটির নিচে চলে যায়, সেখানেই থেকে যায় যতদিন পর্যন্ত না কয়লা শিল্পের জন্য আবার সেগুলোকে মাটি খুড়ে উপরে নিয়ে আসা হয়, মাত্র গত তিনশো বছরে – ভূতাত্ত্বিক সময়ের হিসেবে যা সেকেন্ডের সমান।

কার্বন প্রাণকে দেয় কাঠামো। অক্সিজেন তাকে প্রজ্বলিত করে। কার্বোনিফেরাস যুগে বিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলে। এর ফলাফল হিসেবে ১৭৫ ফুট লম্বা, শল্কবহুল, বিস্তৃত ও নরম পাতা সমৃদ্ধ গাছপালা, ৩০ ইঞ্চি বিস্তৃত পাখাসমৃদ্ধ গঙ্গা-ফড়িং দেখা যায়। এ রকম জগত এখন কেবল কল্পবিজ্ঞানেই সম্ভব। আজকের দিনের কার্বন যুগ হচ্ছে কার্বোনিফেরাস যুগের ঠিক উল্টোটা – কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি যুগযুগান্তর ধরে মাটিচাপা থাকা কার্বন পুড়িয়ে আবার বায়ুমন্ডলে ফেরত দিচ্ছে কার্বন আর অক্সিজেন মিলে তৈরি হওয়া কার্বন ডাইঅক্সাইড। আপনার গাড়িটিও ঠিক সেটাই করছে। কার্বোনিফেরাসের অনেক পরে বলা যায় ‘সম্প্রতি’ই যে পেট্রোলিয়াম পাথর থেকে চুয়ে চুয়ে বের হয়েছিল সেই পেট্রোলিয়াম পরিশোধনের ফলেই তৈরি হয় গ্যাসোলিন (পেট্রোল)। বেশিরভাগ জ্বালানিতেলই গত ৯০ মিলিয়ন বছরে ভূ-গর্ভস্থ ভল্টগুলিতে আটকে পড়েছিল। এতে আর আশ্চর্য কি, বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাইঅক্সাইড বাড়ার সাথে সাথে যে বৈশ্বিক ওষ্ণায়ন চলছে তার সাথে সাথে কমছে (এই কমাটা আশংকাজনক নয় যদিও) বাতাসের অক্সিজেনের পরিমাণও।

(মুখবন্ধ চলবে)


মন্তব্য

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

চলুক।

nazmul এর ছবি

nice job, to be cont...

বইখাতা এর ছবি

চলুক মুখবন্ধ পড়েই মনে হচ্ছে বইটা খুব আকর্ষণীয়ভাবে লেখা হয়েছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

দারুণ। পড়তে থাকব নিয়মিত।

কিছু জায়গায় অনুবাদকের নোট থাকলে ভালো হয় যেমন,

যে বিরানব্বইটি প্রাকৃতিক মৌল দিয়ে আমাদের এই গ্রহ এবং এই গ্রহের সকল জীবনের সৃষ্টি

এই বইটি যখন লেখা হয়েছিল তখন তথ্যটি হয়তো সত্যি ছিল, কিন্তু এই সময়ে মৌলিক পদার্থ ১১৮ টি সেটি অনুবাদক তাঁর নোটে উল্লেখ করে দিলে আর ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা থাকে না।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফারুক হাসান এর ছবি

লেখকের তথ্য ঠিকই আছে। বইটি কিন্তু সাম্প্রতিক, ২০০৮ সালে প্রকাশিত। ১১৮টি মৌলিক পদার্থ আবিস্কৃত হলেও প্রকৃতিতে পাওয়া যায় প্রথম বিরানব্বইটিই, বাকিগুলি কিন্তু সিনথেটিক, প্রাকৃতিক নয়, ল্যাবে তৈরি। প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত ঐ ৯২টি মৌল দিয়েই পৃথিবীর সবকিছু তৈরি।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঠিকাছে তাহলে। প্রাকৃতিক মৌল কথাটার ঠিক মানে বুঝতে পারিনি আমিই। ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ইশতিয়াক এর ছবি

অসাধারন অনুবাদ ফারুক ভাই। আপনার অনুবাদ পড়ে মূল বইটা দেখতে ইচ্ছে হলো। শেষে পেলাম এখানে

ফারুক হাসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ!

পাগল মন এর ছবি

মুখবন্ধের আংশিক অনুবাদ পরেই বইটা পড়তে ইচ্ছা করছে। অনুবাদ বেশ ভালো হয়েছে কিন্তু পরের পর্ব দিতে দেরি করবেন না প্লীজ।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

সাফি এর ছবি

সাথে আছি। দেখি কোথাকার কার্বন কোথায় যেয়ে গড়ায়...

স্পর্শ এর ছবি

ওয়েলকাম টু দ্য ক্লাব দেঁতো হাসি

হাল ছাড়বেন না কিন্তু। মনযোগী পাঠক হিসাবে আসন গেড়ে বসলাম। হাসি আর একেক বসায় যতটা বেশি সম্ভব অনুবাদ করে ফেলবেন। এমনকি পোস্ট করে ফেলার পরেও অনুবাদ কাজ থামাবেন না। আস্ত বই অনুবাদ করা 'হিমালয়পাড়ি' দেওয়ার মত ব্যাপার। একশবার মনে হবে ধুর বাদ দেই।

'সেটল করে'-এর একটা ভালো বাংলা হতে পারে 'থিতু হয়'।

সূচনাটা ইন্টারেস্টিং। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

ফারুক হাসান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ! ভরসা পাচ্ছি। আসলেই আস্ত বই অনুবাদ করা মনে হয় প্রায় অসম্ভব একটা কাজ। অনুবাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা পোস্ট দিবে না কি? আমাদের খুব কাজে লাগবে সেটা।

অনুবাদে খাটুনি সাংঘাতিক, তবে মজাও পাচ্ছি। অনুবাদ নিয়ে যে কোনো মতামত এরকম জানানো চাই কিন্তু।

হাসিব এর ছবি

সরকারবিরোধী লেখা!

'বিশ্বকে কার্বনমুক্ত করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে - প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (১৮.০১.২০১১)

ফারুক হাসান এর ছবি

খাইছে! বিশ্বের কার্বনের পরিমাণ ৭৫ মিলিয়ন বিলিয়ন টন, এর পুরোটাই মুক্ত করতে হবে? অ্যাঁ তাইলে আমি খামু কি? অভাগার পেটে লাথি দেবেন না হুজুর!

দুর্দান্ত এর ছবি

ইয়ে হাসিনার গায়ের জামদানীও কিন্তু কার্বনের তৈরী। ঐটাকে মুক্ত করা কি ঠিক হবে?

দুর্দান্ত এর ছবি

চলুক
---
মন্দার আগে পর্যন্ত ইড্রোকার্বন বানিজ্যের কনফারেন্সের আড্ডাগুলোর একটা প্রচলিত চুটকি ছিল,
৫০-৭০ এর দশকগুলো ছিল হাইড্রোকার্বন কে কার্সিনোজেন মুক্ত করার সময়।
৭০-৯০ এর দশকগুলো ছিল হাইড্রোকার্বন কে সালফার মুক্ত করার সময়।
৯০ এর পর থেকে হাইড্রোকার্বন কে কার্বনমুক্ত করার সময় এসে গেছে।
এর পর থাকবে কেবলই হাইড্রোজেন।

কার্বন নিয়ে মাতামাতি শুরু হওয়ার পরে, হাইড্রোকার্বনওয়ালারা নিকোলাস ইন্স্টিটিউট আর কার্বন ট্রাস্ট মত নানান আকারের কার্বন-কবি কারখানা থেকে নিয়মিত রিপোর্ট-ব্লগ কিনতে থাকে। কিন্তু অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়। তাই মন্দায় কার্বনবিষয়ক কনফারেন্সগুলোতে হাইড্রোকার্বনের ব্যাপারীরা এখন আর এগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্য কমে এসেছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক... একবারে জমায়ে পড়ুম

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

নজরুল ভাই, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে আপনাকে পুরোটা একসাথে পাতে দিতে পারবো। কিন্তু তাহলে তো আমার কোনো উপকার আপনি করবেন না। প্রতি পোস্টে অনুবাদ নিয়ে আপনার মতামত আশা করছিলাম, বইয়ের বিষয়বস্তুর উপরও। আপনাদের মতামত, মন্তব্য না পেলে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবো তো!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।