আমার ব্যক্তিগত অডেসি ---১

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি
লিখেছেন ফারুক ওয়াসিফ (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৩/২০০৯ - ৬:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'জল দেখিলে প্রবাসে দেশের কথা মনে পড়ে'।
কথা খানি কার? সেই শয়তান বুড়ো নীরদ সি চৌধুরীর। আমার প্রবাস নাই। আমি দেশেই থাকি। পিঁপড়ে যেমন মাটি-গাছ-গা বেয়ে অবলীলায় বিচরণ করে, তেমন করে দেশের বুকে হাঁটি। আমার প্রবাস বেদনা নাই, তবু কেন জানি আমারো জল দেখলে দেশের কথা মনে পড়ে। দেশকে চিত্রে ভাবতে গেলে জলময় অববাহিকার কথা মনে পড়ে। মনে হয় সে যেন অনেক দূরের কোনো দেশ। তাহলে কি আমি আমার ভেতরেই প্রবাসী? আমারও কি ফেরা হচ্ছে না অনেক কাল? কী জানি। কিন্তু মেঘনা-পদ্মা আর ডাকাতিয়ার নদীসঙ্গমে ভাসতে ভাসতে মনে হচ্ছিল, আমার ফেরা হয়নি। শেষ হয়নি আমার ব্যক্তিগত অডেসি।

২.
''ফিরে ফিরে যায় আলোকরেখায়; অলৌকিক সে তরণী।
লুপ্ত স্মৃতির ভারে সঘন হয় ঘাটের তিমির
অতলের শিস শুনে ভুলে যাই জল বিনাশিনী।''
(জলেশ্বরী ঘাটে রাত)

হুহু বাতাস আসছে পৃথিবীর পিঞ্জর থেকে। ওপরে কালপুরুষ ছুটছে শ্রবণাকে ছুঁতে। আকাশ আলো করে বাকিসব নক্ষত্রেরাও যেন কোথাও চলেছে। ওদেরও কি আছে এক্সোডাস, আছে নিজস্ব অডেসি?
এদিকে নীচে অসীম জলরাশি চিরে দূরে দূরে কিন্তু একই রেখায় চলছে অনেকগুলি স্টিমার আর লঞ্চ। গুনে দেখি, এক দুই করে করে বারটি সামনে। পেছনে আরো কয়েকটি। নিকষ অন্ধকারে ফুটে আছে অজস্র আলোবাদ্যির তরণী। যেন অনেক কাল পরে ঘরে ফেরা মানুষগুলোকে নিয়ে বাদ্য তুলে তারা যাচ্ছে। তাদের দুপাশে অনেক দূর পর্যন্ত লাল জোনাকের মতো জেগে আছে সারসার ইলিশের নৌকা। জ্যোতির্ময় ছায়াপথের মতো দুপাশে তারাও চলেছে।

এই পথে কি আমি আগে কখনো এসেছি? খুব ছোটোবেলায়, যখন আমি দুই কি তিন_ তখন শেষ লঞ্চে চড়েছি। সেসময়ের কথা মনে থাকার কথা না। কিন্তু আমার মনে পড়ে, ভোররাতের দিকে আমাকে কোলে তুলে কেবিন থেকে বেরিয়ে বাবা ঝাঁপ দিতে যাচ্ছিলেন পানিতে। লোকে তাকে থামায়। লঞ্চঘাটায় থামার সময় জেটির সঙ্গে বাড়ি খাওয়ার ঝাঁকুনিতে উনি ভেবেছিলেন, লঞ্চ ডুবছে। আরো অনেক কিছুই মনে পড়ে। মনে পড়ে তারো আগের কথা। মানুষ চাইলে নাকি জন্মমুহূর্তের স্মৃতিও মনে করতে পারে। কি জানি? কিন্তু আমার ইচ্ছা, মনে পড়ুক। সব মনে আসুক। যাকে যাকে হারিয়েছি, যার সঙ্গে আর কখনোই দেখা হবে না, তারও মুখ জাগরূক থাকুক ক্ষতচিহ্নের মতো। যেন জানি সেই ক্ষতের সংবেদন।
''দিনমান জলের শরীরে যত জল গড়ায়
আর তাতে যত কথা হয়, আমি জানি তার থেকেও বেশি।
...তার আঁচে আমারও শিরা উথলায় সুরবশে
বলো, কেন ঝরি তার নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে।'

আর এখনো মনে করতে চাই সেই মেয়েটিকে। ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে দেশের বাড়ি যাচ্ছি। শীতের আগের বিকেল। দূরের জঙ্গল ঘিরে কুয়াশা আর গেরস্ত বাড়ির রান্নার ধোঁয়া ছায়াপথের মতো ভাসছে। নারকেল আর সুপুরির ঘন বাগিচা ঘেরা পথ দিয়ে রিকশায় করে ফিরছি। বিকেলের শাদা আলো পলিমাটির শাদাকে যেন আরো জ্যোতির্ময় করেছে। সামনে একটা বাঁক দেখা যাচ্ছে। ঝনঝন করে রিকশাটা যেই বাঁক পেরুল, অমনি দেখি টিন আর কাঠের রঙিন নতুন একটি বাড়ি। তার একটি জানালায় এক জোড়া চোখ, নাক কপাল, চুলের সিঁথি। তার মুখটা ঢাকা ছিল। কয়েক সেকেন্ড, পথটা পেরিয়ে আসি। কিন্তু আজো চোখে মায়াঞ্জন হয়ে সেই দৃশ্য ভাসে। আজো অনেক রাতে তারার নীচে স্থির হয়ে বসে থাকলে এরকম কারো কথা মনে পড়ে। আর মনে পড়ে, আমার যেন কোথায় ফিরবার আছে। কোথায় যেন পড়ে রয়েছে ঘরের পথ। আমার মনই আমার দেশান্তর।
তাই ফেরার কথা মনে হলেই আমার নদীর কথা মনে আসে। দেশের কথা মনে এলে আমারো জলভাসানে যাবার সাধ হয়। কিন্তু এই মরাকে নিয়ে কে ভাসবে? বেহুলারা আর নাই। বাংলার পথে-ঘাটে আর নাই ভাটফুল। ছিন্ন খঞ্জনার মতো তারা আর কাঁদে না, বেহুলা বেহুলা বলে। তবু আমি,
''নদীর শিয়রে আছি দাঁড়িয়ে আবছা মেঘলীন
ওপারে আমার দেশ_ আমি শুধু পারাপারহীন। ''

(চলবে)
* পংক্তিগুলো সব আমার জলেশ্বরী ঘাটে রাত থেকে নেওয়া।


মন্তব্য

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমার জলের কথা শুনলেই দেশের কথা মনে পড়ে!

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আজো অনেক রাতে তারার নীচে স্থির হয়ে বসে থাকলে এরকম কারো কথা মনে পড়ে। আর মনে পড়ে, আমার যেন কোথায় ফিরবার আছে।

আমারও হয়তো তাই। আরো অনেকের হতে পারে।

লেখা ভালো লাগলো। পড়বো নিয়মিত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"আর মনে পড়ে, আমার যেন কোথায় ফিরবার আছে। কোথায় যেন পড়ে রয়েছে ঘরের পথ।"
চমৎকার লেখা। কেন যে কথাগুলো অতো আপন মনে হয়...
মন খারাপ নাকি, ওয়াসিফ?

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

জীবনবাবুর কবিতায় আছে,
''দেখিতেছিলাম সেই সুন্দরীর মুখ, চোখে-ঠোঁটে অসুবিধা_ভিতরে অসুখ''

সুন্দরী মাত্র জীবনবাবুর আকর্ষণ নয়। তাঁর আকর্ষণ অসুস্থ সুন্দরীর প্রতি, কেননা,
''কে যেন নিতেছে তারে ক্ষয়ে
নাগ-পশু-মানুষ ও দানবে।''

আমার আকর্ষণও সেরকম। বন্ধে, ব্যক্তিগত মনখারাপ-টারাপ আমাকে সরাসরি চালায় না।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

মূলত পাঠক এর ছবি

অসাধারণ লেখা। আগে বিশুদ্ধ কবিতা পড়তাম, এখন মনে হয় তার চাইতে বেশি ইনটেরেস্টিং কবিতার পিছনের কাহিনী। জয় গোস্বামীর 'হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ' এর ভালো উদাহরণ।

আপনার কবিতা আগে পড়া হয় নি, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষণে কাব্যিক ভাবটা কোত্থেকে আসে সেটা বুঝলাম এইবার।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

আগে বিশুদ্ধ কবিতা পড়তাম, এখন মনে হয় তার চাইতে বেশি ইনটেরেস্টিং কবিতার পিছনের কাহিনী।

অরুনেশ ঘোষের একটা স্মৃতিকথা পড়েছিলাম অনেক আগে - কিভাবে কিশোর বয়সে উড়িষ্যা কি আসামের প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি জীবনানন্দের কবিতা প্রথম আবিষ্কার করেন। তার সেই স্বপ্নের মত গদ্য জীবুবাবুর কবিতার মতই স্বার্থক ছিল।

*

এই লেখাটা একদম অন্যরকম। কেমনে লেখে জানিনা। জানলে নিজেই লেখতাম।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

আমি খাঁটি দোকানি। বিষ নিজে না খেয়ে রসিকের পাতে দিই না। আত্মপ্রকাশের ভার প্রায়শই অসীম।
.....................................................................................
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

রীতিমতো সুস্বাদু কেক!!!চলুক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনে তো মশয় সাহেব! পিঠা পায়েস কিছু মনে আসল না?
হাসি

নিবিড় এর ছবি

ভাল লাগছে তাই চলুক এই সিরিজ কোন চা পানের বিরতি ছাড়াই চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্নিগ্ধা এর ছবি

অদ্ভূত সুন্দর!!! মাঝে মাঝে আপনার এই লেখাগুলো পড়ার সু্যোগ হয় ভাগ্যিস, নাহলে আপনার রাগী রাগী ভাবটাই 'একমাত্র' বা নিদেনপক্ষে 'প্রধাণমাত্র' ভেবে রাখতাম হাসি

শীর্ষেন্দু'র 'উজান' এর কথা মনে পড়লো কেন যেন!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

ছোটো বেলায় মানে ইন্টারমেডিয়েটের আগে খুব টানতো শীর্ষেন্দু। লোকটা বিপজ্জনক ভাবালু ও রক্ষণশীল। কিন্তু কি আশ্চর্য মায়া তৈরি করে রাখতে জানেন। এঁরাই শিল্পী।

আপনি এলেন, এবার তাহলে অন্তত এই লেখা দিয়ে হলেও প্রায়শ্চিত্ত করি। তারপরও কি বোঝা যাবে? ড. জেকিল আর মিস্টার হাইডের ঐক্যসূত্র কী?

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শেখ জলিল এর ছবি

''নদীর শিয়রে আছি দাঁড়িয়ে আবছা মেঘলীন
ওপারে আমার দেশ_ আমি শুধু পারাপারহীন। ''
...হায়!

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

হায়!

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

চলুক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অসামান্য, অসামান্য। খুব ভাল লাগলো। আমারো স্নিগ্ধা আপুর মত একটা রাগী রাগী চেহারা আটকে গিয়েছিল মাথায়। সব পানি হয়ে গেল। দেঁতো হাসি

মেঘনা-পদ্মা আর ডাকাতিয়ার সঙ্গমস্থল? আপনি কি চাঁদপুরের আশে-পাশের নাকি?

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

কাহিনীর শেষে রহস্যমোচন, সেটাই নিয়ম।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক বস... আমি আপনার খটোমটো লেখা পড়ে খালি ডরাই... এরকম কিছু পেলে খুব আরাম হয়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

খটোমটো লিখি কী আর সাধে? কাউকে পেলে বাস্তবতা ঝেঁটানোর চাকরিটা দিয়ে দিয়ে আমি লুকাতাম পৃথিবীর মোহমুগ্ধ মায়ার গহনে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

কবে জানি, শ্যামল( গঙ্গোপাধ্যায়)'র এই জীবনের যতো মধুর ভুলগুলি পড়ে এমন বেকুব বনে গিয়েছিলাম ! আর সম্প্রতি পড়া হলো জ্যোতি প্রকাশ দত্তের দুই নদীর মোহনায় ...!
আর এখন, এই রাত বিরাতে, দেশহীন অন্ধকারে আপনার পরাক্রমশালী গদ্যের তোড়ে, হাতড়ে সব কিছু; দেখি, আসলেই হুহু বাতাস আসছে পৃথিবীর পিঞ্জর থেকে ! এমন গদ্য পড়ে ঈর্ষা জাগে রে ভাই ! খুব ।
আর মনে পড়ে -

সীমানার ওই পাড়ে আমার দেশ
এখানে আমি একা, ভীনদেশী...

আরো কিস্তিগুলোর অপেক্ষায় রইলাম ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আমার স্বদেশ নেই । আমি প্রবাসেই থাকি ...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

স্বদেশেই থাকি, প্রবাসের মতো করে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

ফকির ইলিয়াস এর ছবি

আপনি অনেক কিছু্ই লিখতে পারছেন ! প্রিয় ফারুক ওয়াসিফ
আমি পারছি না । আমার ব্যর্থতা সেখানেই ।
আপনি লিখুন- স্বার্থকতার উজ্জ্বল তারায়। আমি পড়তে চাই ।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

তার মানে এক দিক থেকে আপনি হয়তো আমার থেকে স্বস্তিতে আছেন। 'কোথাও আঘাত ছাড়া কোথাও আঘাত ছাড়া সূর্যালোক নেই'।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

কীর্তিনাশা এর ছবি

গুরু গুরু

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

নত হয়ে থাকলুম।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

তানবীরা এর ছবি

কোন এক চিহ্নিত সীমানা আমার স্বদেশ। দেশের অবস্থান কি ভৌগলিক সীমারেখায় , নাকি হৃদয়ে?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

দেশ কারো কাছে অঞ্চল, কারো কাছে মানচিত্র। আমার কাছে দুটোই। এবং সে দুটোর অবস্থান যতটা না অভিজ্ঞতার জমিনে তার থেকে বেশি মানবজমিনে অথাত আমার মনে।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।